এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পোষাকের পছন্দ ও স্বাচ্ছন্দ্য বিষয়ে দু'চার কথা 

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ জুন ২০২৩ | ১২৬২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • খুব ছোটবেলায় মানে এই নয় দশ বছর বয়সে আমি শাড়ি পরতে বেজায় ভালোবাসতাম। আমার ছোটপিসি তখন আমার পছন্দের নীল রঙের একটা সাড়ে নয়হাত শাড়ি কিনে দিয়েছিল যেটা আমি মাঝে মাঝেই দুপুরবেলা পরে বসে থাকতাম। কুঁচি টুচি ঠিকঠাক  দিতে পারতাম না, বড়মাইমার কাছে নিয়ে গেলেই যত্ন করে পরিয়ে সেফটিপিন আটকে দিত। আমি সেই শাড়ি পরে তারপরে নানারকম কল্পনা করে করে খেলতাম। কখনও ট্রেনে করে বেড়াতে যাওয়া কখনও বা রাণী লক্ষ্মীবাঈ সেজে পেঁপেগাছের শুকনো ডালকে তলোয়ার বানিয়ে যুদ্ধ করা।  সরস্বতীপুজোর দিনে ইস্কুলে  যাবার আগে মায়ের একটা সিল্কের শাড়ি মা কিম্বা বড়মাইমা পরিয়ে দিত। সে তো আস্ত শাড়ি, পেটের কাছে টোপলা হয়ে ফুলে থাকত। আমার দিব্বি লাগত তাও। যদিও রাস্তায় চলাফেরার সময় জড়োসড়ো হয়ে যেতাম। 
     
    ক্লাস সেভেনে উঠতেই আমার দিদা  দাবী করল আমাকে এবার থেকে বাড়িতে শাড়ি পরতে দেওয়া হোক। আমার মামাতো দিদির ক্ষেত্রেও এরকম দাবী করেছিল মহিলা, বড়মাইমা পাত্তা দেয় নি। আমার বেলায় মা কিন্তু ব্যপারটা নিয়ে সত্যিই একটু ভেবেছিল। পরে দেখল আমি বাড়িতে শাড়ি পরলে মা'র ঝামেলাই বাড়বে সবচেয়ে বেশী। অতএব তখন রক্ষা পেলাম।  কিন্তু সেই ক্লস সেভেন থেকেই আত্মীয় স্বজন দিব্বি  টুকটাক আমাকে শাড়ি উপহার দিতে লাগল। আমিও মাঝে সাঝে পরি,  তবে বাড়িতে পরে বসে থাকি না আর। এই বছরই পুজোর সময়  ফরিদাবাদে সেজমামার কাছে বেড়াতে গেলে সেজমামা স্থানীয় এক সর্দারজির দোকানে নিয়ে গিয়ে সালোয়ার কামিজের কাপড় কিনে মাপ দিয়ে বানিয়ে আনে। সে ছিল একেবারে মাপে মাপে বানানো, একটুও ঢিলেঢালা নয়। ফলে মা একটুও পছন্দ করল না, আমাকে বিশেষ পরতেও দিল না। ঐ দিয়েছে বলে একদিন কোনওরকমে কিছুক্ষণ। 
     
    ক্লাস নাইন থেকে আমাদের স্কুলে শাড়ি বাধ্যতামূলক ছিল, শুধু পিটির দিন সালোয়ার কামিজ। নাইন টেন আমাদের মর্নিং স্কুল গোটটাই শাড়িসর্বস্ব। ততদিনে আমার আর নতুন ফ্রক কেনা হয় না, পুরানোগুলো বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে অনেকদিন চালিয়েছিলাম। কিন্তু এগারো ক্লাসের মাঝামাঝি গিয়ে সবকটা ফ্রকই বাইরে পরে যাবার অযোগ্য হয়ে গেল।  স্কার্ট ব্লাউস সেট  সেই ক্লাস সেভেনেই মা একটা কিনে দিয়েছিল, কিন্তু খেয়াল না করে মিডিস্কার্ট কিনে এনেছিল। সে নাকি খুবই 'অসভ্যমত জামা' তাই মা সেটাকে বসে বসে সেলাই করে হাঁটু  অবধি করেছিল। এবার মিডি মানে প্রায় ঠ্যাঙের অর্ধেক ঢাকা বস্তুটাকে কম ঠ্যাঙ ঢাকায় পরিণত করে কীভাবে 'সভ্য' হল জিগ্যেস করায় চাট্টি বকুনি জুটেছিল, সদুত্তর জোটে নি বলাই বাহুল্য। দিদাই  মিডিস্কার্টকে নাকচ করেছিল নাকি মা সে আমি আর কোনওদিন জানতে পারি নি।  তবে সালোয়ার কামিজের ব্যপারে দিদার কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। 
     
    তো দিদার কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলে গোটা এগারো বারো , কলেজজীবন, পরবর্তী কম্পিউটার শেখার সময় অবধি  আমাকে সর্বত্র শাড়ি পরে যেতে হয়েছে।  টিউশানি করতাম সেই পড়া চলাকালীনই কিন্তু সে যা যৎসামান্য পেতাম তাতে পোষাক কেনা সম্ভব ছিল না। ফলে টোলে পড়তে যাবার জন্য সকাল সাড়ে ছটায় দৌড়ে ট্রেন ধরার সময়ও শাড়ি, বাড়ি এসে হুড়মুড়িয়ে স্নান খাওয়া সেরে আবার কলেজ দৌড়ানোর সময়ও শাড়ি। খুবই কষ্ট হত এতবার করে এতকিছু পরে দৌড়াদৌড়ি করতে।  ১৯৯৪ সালে আমার প্রথম চাকরির বেতন ছিল ৫০০ টাকা। সেখান থেকে বাঁচিয়ে তৃতীয়মাসে গিয়ে সালোয়ার কামিজ কিনেছিলাম শ্রীরামপুরে স্টেশানের পাশের হকার্স কর্ণার থেকে। দিদা গজ্গজ করেছিল, যথেষ্ট  তীক্ষ্ণ কথাবার্তাই শুনিয়েছিল। কিন্তু গায়ে মাখিনি। 'নিজের মুরাদে করগা যা'  বাক্যকে অক্ষরে অক্ষরে মেনেছি আর কিছু শোনার প্রয়োজন মনে করি নি। 
     
    আমার মামাতো দিদি তার বিয়েরও বহু বছর পরে সালোয়ার কামিজ পরতে শুরু করে। যতদূর মনে পড়ছে  দিদা  বেঁচে থাকাকালীন ও কোনোদিনই কোন্নগরের বাড়িতে পরে আসে নি, অন্য কোথাও পরত কিনা জানি না। ১৯৯৪ -২০০২ এই সময়ে আমি সালোয়ার কামিজ পরলেও জিন্স বা ট্রাউজার পরে উঠতে পারি নি। ২০০২ এ যখন বেলজিয়াম যাবার জন্য নির্বাচিত হই এবং জানতে পারি বেলজিয়ামে এক ব্যাঙ্কের অফিসে বসতে হবে , যেখানে ওয়েস্টার্ন ফর্ম্যালস বাধ্যতামূলক তখন সত্যি বলছি বুকের মধ্যে এমন একটা খুশীর ঝলক টের পেয়েছিলাম যা ভাষায় লিখে বোঝানো আমার কম্ম নয়।  ভাইয়ের একটা কর্ডুরয়ের ট্রাউজার অল্টার করিয়ে আর শেকসপিয়ার সরণীর অ্যালেন সোলির দোকান থেকে কেনা দুটো শার্ট নিয়ে দিল্লি। সেখানে ছোটমাইমার সাথে ফ্যাক্টরি আউটলেট থেকে জিন্স আর নাইকির স্নিকার্স কেনা, নিজে গিয়ে সাউথ এক্স থেকে আরো দুটো শার্ট আর ব্লেজার কেনা। তা আমার তো নিজেকে ব্লেজার স্যুটেও বেশ ভাল দেখতে ভাল লাগে বাপু, 'মেয়েদের শাড়িতেই ভাল লাগে' এ আমার জন্য নয়। 
     
    এতক্ষণ যাঁরা ধৈর্য্য ধরে পড়েছেন তাঁদের জন্য এইবার আসি আসল কথায়। 
    ১) শাড়ি পরে অনেককিছুই করা যায় নিশ্চয়ই তবে সেই কাজগুলো সালোয়ার কামিজ বা প্যান্ট শার্ট বা লেগিংস টপ পরে আরো সহজে করা যায়।  যে মেয়েটাকে তিন চারবার বদলে বাস অটো ট্রেন বা নৌকো কি স্টিমার  ধরে প্রতিদিন  যাতায়াত করতে হয় তার জন্য শাড়ি বা লংস্কার্টের মত পোষাকের তুলনায় সালোয়ার চুড়িদার জিন্স, পাজামা, পালাজ্জো অনেক বেশী সুবিধেজনক। এই পোষাকগুলোয় দুটো পা স্বচ্ছন্দে এদিক ওদিক সরানো যায়, কোথায় খানিক উঠে গিয়ে পা দৃশ্যমান হয়ে আশেপাশের লোকের বক্রচক্ষুর মুখোমুখী হতে হবে সেই ভয় না করেই। শাড়ি পরে দৌড়ে ঝাঁপিয়ে ট্রেনে বাসে বা ভুটভুটিতে ওঠার সময় এই ভয়টা আমাকে নিয়মিত তাড়া করত। এছাড়া শাড়ি পরে যাতায়াতকালীন আমি অসভ্য হাতের শিকার বেশী হয়েছি, সালোয়ার কামিজ বা প্যান্ট শার্টে সে অভিজঞতা প্রায় নেইই।   
     
    শাড়ি পরে অসংখ্য মহিলা এখনও এইভাবে যাতায়াত করেন, সেটা হয়ত তাঁদের পছন্দ, হয়ত বা আমার দিদার মত কেউ পিছন থেকে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু ঐ তো ওরা শাড়ি পরেই সব করছে কাজেই তুমিও করো এটা অহেতুক ফতোয়ার মত লাগে আমার। আর এখানে খেয়াল রাখতে হবে আজও পশ্চিমবঙ্গের অনেক স্কুলে শিক্ষিকাদের শাড়ি পরে যেতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ দেওয়া হয়, এখনও অনেক শিক্ষিকাকে স্কুলে সালোয়ার কামিজ পরে যাবার জন্য বিভিন্ন বাধার মুখোমুখী হতে হয়। 
     
    ২) শাড়ি পরতে গেলে তার সাথে শায়া ব্লাউজও চাই। আর্থাৎ শরীরের এক এক অংশে তিনটে করে কাপড়ের পরত জড়াতে হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের মত জায়গায় যেখানে ভূগোলের ভাষায় উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু সেখানে এই তিনটে করে পরত মানে কয়েক লিটার করে ঘাম সঙ্গে অস্বস্তি, ব্লাউজ সায়া ঘামে ভিজে চামড়ায় লেপ্টে  থাকার বিরক্তি অতিরিক্ত।  সেই সময় যদি পিরিয়ড চলে তো অস্বস্তি বিরক্তি অসুবিধের মাত্রা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। একটা ঢিলে পালাজ্জো বা কার্গোপ্যান্ট বা সালোয়ার (চুড়িদার নয় কিন্তু)  আর উপরে ঢিলে কুর্তা এরকম আবহাওয়ায় অনেক বেশী আরামদায়ক। যথেষ্ট হাওয়া খেলে, ঘামে ভিজে গায়ের সাথে লেপ্টে যাবার সম্ভাবনা কম। মাঠেঘাটে  যাঁরা শাড়ি পরে খেতের কাজ বা রাজমিস্ত্রির যোগাড়ের কাজ করেন খেয়াল করে দেখবেন শাড়িটা তাঁরা গুটিয়ে হাফপ্যান্টের মত করে কোমরে গুঁজে নেন। উপরের আঁচলও টেনে গুঁজে নেন। এঁদের যদি হাফপ্যান্ট আর হাফহাতা গেঞ্জি জাতীয় পোষাক দেওয়া ও প্রাথমিক লজ্জা কাটাতে সাহায্য করা যায় হয়ত দেখা যাবে এঁদের বৃহদংশই হাফপ্যান্ট গেঞ্জিতেই বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন। 
     
    ৩) শাড়িতে পকেট নেই, আলাদা করে লাগিয়েও নেওয়া যায় না। ধরুন আমি নদীর ধারে প্ল্যাস্টিক কুড়াতে যাবো কি গাছ লাগাতে যাবো অথবা দৈনিক হাঁটাহাটির পরে টুকিটাকি বাজার করে ফিরবো। তা শাড়ি পরে গেলে আমাকে আরেকটা বটুয়া কি ব্যাগ নিতে হবে গ্লাভস, মাস্ক, জলের বোতল, টুপি, মোবাইল, জিনিষ আনার ব্যাগ ইত্যাদি বহন করার জন্য। যে কোনও ফর্মের পাজামা আর কুর্তায় দিব্বি প্রয়োজনমত পকেট বানিয়ে নেওয়া যায় উপরোক্ত জিনিষগুলো বহন করার জন্য। আমার সিক্স পকেটার্সের পকেটে তো তিনভাঁজের ছাতাও ঢুকে যায়। জরুরী কোনও প্রয়োজনে দ্রুত বেরোতে হলেও শাড়ি ও তার আনুষঙ্গিকের তুলনায় কুর্তা পাজামা পরা অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। আমার এক বন্ধুকে দেখি শাড়ি পরে বেরোতে হবে বলে বিভিন্ন ধরণের কাজকর্ম একসাথে জমাতে থাকে। জমাতে জমাতে হয়ত দুই কি তিন সপ্তাহ বাদে একদিন বেরোল। ঐ তৈরী হবার আলস্যেই কত কাজ কেবল পিছাতে থাকে তার। 
     
    ৪)  এইবারে আসি হাতেবোনা তাঁতবস্ত্র রক্ষার কথায়। আমাদের দেশে বস্ত্রবৈচিত্র‌্য বিপুল।  হাতেবোনা তাঁতবস্ত্রই এক এক রাজ্যে কত রকমের। এরপরে সুতোর কাজ,  সিল্কের নানা ধরণ, বৈচিত্র‌্যের কোনও শেষ নেই। এর মধ্যে হাতে বোনা বস্ত্রের অনেক বৈশিষ্ট্য আজ লুপ্ত হওয়ার মুখে। তাকে রক্ষা করতে গেলে চাই সুদূরপ্রসারী দীর্ঘস্থায়ী সরকারী পরিকল্পনা। একজন দুজন তো দূরের কথা হাজার দুহাজার কি দুইলাখ লোক মিলে হাতেবোনা তাঁত কিনলেও স্থায়ীভাবে শিল্প বাঁচানো সম্ভব নয়। একজন মানুষ সারাবছরে কতগুলো কাপড় কিনতে পারে? আমার কোনও ধারণা নেই। কিন্তু সেভাবে একটা বয়নধারা বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব কি? কয়েকজন মানুষ বা কয়েকটা এনজিও মিলে গাছ লাগালেই যেমন বৈশ্বিক উষ্ণতা কমে আসবে না, বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফে সুষ্পষ্ট পরিকল্পনা ও তার রূপায়ণ চাই। এও তেমনি বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে উদ্যোগ ও তার রূপায়ণ চাই। 
     
    ৫) উপরে লিখেছি প্রতিদিন শাড়ি পরা কেন আমার মত অনেকের পক্ষে অসুবিধেজনক, এমনকি যাঁরা রোজ পরেন সেরকম অনেককেও বিকল্প পোষাক সম্পর্কে প্রাথমিক জড়তা কাটাতে সাহায্য  করলে সম্ভবত অনেকেই বিকল্প পোষাক ব্যবহার করতে শুরু করবেন। তো এর সাথে যদি বয়নধারাকে বাঁচানোর ব্যপারটা একসাথে ভাবি তাহলে এটাই মনে হয় যে বুনকারেরা যদি শাড়ির সাথে সাথে অন্যান্য পোষাকও হাতে বুনতে শুরু করেন তো তাতে তাঁদের জিনিষের চাহিদাই বাড়বে। তাঁত ছাড়াও একটি সেলাই মেশিনও লাগবে বটে তাঁদের, কিন্তু কামিজ, কুর্তা পাজামা, সালোয়ার চুড়িদার ফ্রক ইত্যাদি যদি তাঁরা বুনতে ও বানাতে শুরু করেন তাহলে তাঁতজাত সামগ্রীর বাজার আরও বিস্তৃত হবে। এতে মানুষের চাহিদাও মিটবে আর বুনকারদেরও কিছুটা সুরাহা হবে বলেই মনে হয়। উদাহরণস্বরূপ তন্তুজের কথা উল্লেখ করা যায়। তন্তুজে শাড়ি ছাড়াও নানারকম তৈরী পোষাক পাওয়া যায়।  তন্তুজের কর্মচারীদের কাছে শুনি যথেষ্ট চাহিদাও আছে। 
     
    এতক্ষণ যাঁরা ধৈর্য্য ধরে পড়লেন তাঁদের আর একটা কথা বলে শেষ করতে চাই। তাঁতবস্ত্রের জন্য লাগে কাপাস। কাপাসের ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট কিন্তু যথেষ্ট বেশী অর্থাৎ  কাপাস চাষের জন্য দরকার হয় প্রচুর জল। মোটামুটি এককিলো (২.২ পাউন্ড) কাপাস উৎপাদনের জন্য জল লাগে ২০,০০০ লিটার।  মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে ক্যাশক্রপ হিসেবে কাপাস চাষ করে করে এখন স্থায়ী খরা অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। জলস্তর নেমেছে হু হু করে। এমনিতে আজকাল পৃথিবীজুড়ে অতিরিক্ত পোষাক কেনার ঠ্যালায় কাপাস চাষ বেড়েছে হু হু করে। সাথে সাথে নেমেছে জলস্তর। আরো বেশী চাষ করা বা করতে উৎসাহিত করা আদৌ উচিৎ হবে কিনা সন্দেহ।  

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ জুন ২০২৩ | ১২৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kuntala | ২০ জুন ২০২৩ ০২:৪৮520543
  • সিরিয়াস লেখা। আমিও ক্লাস নাইন থেকেই শাড়ি। সালওয়ার-কামিজ নিজের রোজগারের টাকায়।
    তবে শাড়ি পরে একটা কাজ পথে ঘাটে খুব ভাল করে করা যায়, শালীনতা রক্ষার খাতিরে সে কথায় আর না-ই গেলাম.....
  • যোষিতা | ২০ জুন ২০২৩ ১০:৩৮520552
  • হ্যাঁ বুঝেছি। কিন্তু তাহলে ভেতরে প্যান্টি পরা চলবে না।
  • :|: | 174.25.***.*** | ২০ জুন ২০২৩ ১১:১০520554
  • পছন্দ আর স্বাচ্ছন্দ্য ছাড়াও সৌন্দর্যের একটা ব্যাপারও আছে পোশাকের সঙ্গে জড়িয়ে -- যেটা পর-রুচিতে চলে। সেখানে খাবারের মতো আপরুচির অর্থাৎ আমার নিজেকে দেখতে ভালোলাগের জবরদস্তি চলেনা। 
  • | ২০ জুন ২০২৩ ২১:২৪520570
  • কুন্তলাদি, হ্যাঁ বুঝেছি। কিন্তু একেবারে খোলা মাঠে বাথরুম যেতে গেলেও ট্যুপিস জামাপ্যান্ট বেশী সুবিধেজনক লাগে,  খুব বেশি এক্সপোজার লাগে না বলে। 
    আর যোষিতা যা বলেছেন সেটা  একটা ক্রাইটেরিয়া শাড়ির সুবিধে নিতে গেলে। 
     
     
    পররুচি পহেননা,  পতীর পুণ্যে সতীর পুণ্য, মেয়েদের নম্র হতে হয় ব্লা ব্লা ব্লা...  এসব জঞ্জাল  থেকে নিজেকে অনেকদিনই বের করে এনেছি। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের অনেককে বুঝিয়ে উঠতেও পেরেছি। 
    যাদের অন্যের পোষাক 'দেখতে ভালোলাগে না' তারা নিন্দেমন্দ করবে, চুকলি কাটবে চন্ডীমন্ডপ টাইপের ঘোঁট পাকাবে, হু কেয়ারস! 
  • 4z | 69.159.***.*** | ২০ জুন ২০২৩ ২১:৪০520572
  • আমি আমার স্বাচ্ছন্দ্যমত জামাকাপড় পরব, আমার যেটা ভালো লাগে সেটা পরব। অন্যের রুচি নিয়ে খামোখা মাথা ঘামাতে যাবো কেন? যার দেখতে ইচ্ছে করবে না সে নিজের চোখ বন্ধ রাখলেই তো পারে। 
  • r2h | 192.139.***.*** | ২০ জুন ২০২৩ ২২:৪৯520577
  • আপরুচি খানা একটি অবান্তর মিথ। দুই বিষয়েই উদাহরন আছে - মাহসা আমিনি এবং মহম্মদ আখলাক।

    পররুচির চাপ থেকে বেরুতে পারা বড় ব্যাপার।
  • :|: | 174.25.***.*** | ২১ জুন ২০২৩ ০৩:৫৪520585
  • দুটিই সন্দেহের বশে হত্যা। এর সঙ্গে রুচির কী সম্পর্ক ঠিক বুঝলুম না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন