এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • ভয়ের দেবতা

    দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১২৬২ বার পঠিত
  • এক

    "কুশল,  তুমি জীবনে  কখনো ভয় পেয়েছ?"
    "হ্যাঁ ভয় তো মানুষ মাত্রেই পায়, এটা একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি"
    "ওরকম তাৎক্ষণিক বুক ধড়াস করে ওঠা  ভয় নয়, সত্যিকারের ভয়"
    "মিথ্যারকমের ভয়ও হয় বুঝি?"
    "হ্যাঁ হয়, বড় মাকড়সা নাকি বাঘে তোমাকে জ্যান্ত ছিঁড়ে খাচ্ছে, এরকম একটা দৃশ্য কল্পনা করে তুমি ভয়ে শিউরে ওঠো নি কখনো?"
    "বুঝতে পেরেছি। তুমি বলতে চাইছ বেঁচে থেকেও যেসব ভয় আমাদের ঘাড়ে চেপে থাকার জন্য আমরা নিজেদের জীবনটা নিজেরা বাঁচতে পারি না,সেরকম ভয়?"
    "বলছি। কিন্তু তার আগে এই যে পাগলা ঝোরা আর ভোরবেলা পাখির ডাকের আওয়াজটা ব্যাক গ্রাউন্ডে  চলছে এটা বদলে দিলে ভালো হয় না?"

    এই অনুরোধটা শুনে কুশল ভুরু কুঁচকে একবার রণজয়ের দিকে তাকাল। চোখ বুজে শান্তভাবে রণজয় শুয়ে আছে সবুজ সোফাটার ওপর। বুকের ওপর দুটো হাত জড় করে রাখা। শুয়ে শুয়ে ধ্যানের মত । ঠিক এইসব সাইকোথেরাপি সেশানের সময় যেভাবে শুয়ে থাকা নিয়ম।

    কুশলের এই ক্লিনিকের চেম্বারের বাতাসে কৃত্রিম ধূপের মিষ্টি গন্ধ। কম্পিউটারের মাধ্যমে ঘর জুড়ে দেওয়ালে লুকোনো  সাউন্ড সিস্টেম থেকে নানা রকম প্রাকৃতিক আওয়াজ হয়। পাখি ডাকে। ঘরের আলো কমে আসে।

    এখন অনেক এমপ্লয়ার তাদের কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড , গ্র্যাচুইটি , বছরে কুড়িটা ছুটি, মেডিক্লেমের মত এই সুবিধাও দেয়। সুবিধা অর্থে সপ্তাহে একদিন করে বিনামূল্যে আধঘন্টা কোনো পেশাদার শ্রিঙ্কের কাছে গিয়ে গল্পসল্প করা। মনের কথা খুলে বলা। কোম্পানি সেশনের খরচ দিয়ে দেয় , অর্থাৎ এসব এমপ্লয়াররা জানে তাদের কর্মচারীরা এমন চাপের মধ্যে কাজ করে যে সেটা সুস্থভাবে কাটাতে এসব নিয়মিত দরকার। 

    কুশলের দিনে চারঘন্টা এই সমস্ত কোম্পানির লোকেদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বাকি চারঘন্টা নিজস্ব পেশেন্টদের বা ক্লিনিকে যারা থেরাপির জন্য নাম লেখায় তাদের জন্য রাখে।

    প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় এই সেশনটা রণজয়ের সঙ্গে। সে গত ছমাস ধরে আসছে , একদিনও কামাই করেনি। 

    এতদিন রণজয়ের বিশেষ কোনও অসুবিধা কুশলের চোখে পড়েনি। অল্পবয়সি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কাররা যেমন হয়। তিন বছর হল বিয়ে হয়েছে শ্রীতমার সঙ্গে। অন্য লোকের কোটি কোটি টাকা সে সামলায়। সেই টাকাকে আরও বাড়ায়। আক্ষরিক অর্থেই যেন টাকা নিয়ে খেলা করে। টাকা তার কাছে মনিটরের স্ক্রিনে ফুটে ওঠা সংখ্যার মত, বাস্তবের কড়কড়ে নোটের মত নয়।  তো এইসব চাকরিতে যেটুকু চাপ থাকে তা রণজয়েরও আছে। সেশনের মধ্যে রণজয় ইতিমধ্যেই সেসব বলেছে। কুশলের মনে হয় রণজয় উপভোগ করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে এই কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া, এই আধঘন্টার জন্য রণজয় যেন সারা সপ্তাহ মুখিয়ে থাকে।

    "আওয়াজটা বদলে বৃষ্টির দিনের আওয়াজ করে দাও, শুনতে ভালো লাগবে।"
    "হ্যাঁ আমিও সেরকম ভাবছিলাম।" - কুশল আওয়াজটা বদলে দিল। স্টুডিও কাঁপিয়ে নেমে আসতে লাগল বাজ আর জলের বৃষ্টি ফোঁটার শব্দ।
    "অন আ লাইটার নোট, তুমি কোনদিন সমুদ্রের জলে বৃষ্টি পড়ার শব্দ শুনেছ রণজয়?"
    "না, সমুদ্রের জলে ঢেউয়ের শব্দে বৃষ্টির শব্দ ঢাকা পড়ে যায়।"
    "ঠিক , তারপর বল কি বলছিলে?"
    "কাল ভোরবেলা  আমি একজন অনেকদিন আগে  চেনা মেয়ের সঙ্গে  যৌনতার স্বপ্ন দেখেছি।"
    "তাতে ভয় পাবার কি হল?"
    "আসলে, তারপর কাল দুপুরেই আমি শুনেছি যে সে আর জীবিত নেই।"
    "দাঁড়াও দাঁড়াও , চেনা মেয়ে বললে , কিরকম চেনা?"
    "এককালে খুবই চেনা ছিল। এমবিএর সময় কলেজে  পড়তাম একসঙ্গে । সবসময় দেখা হত, ক্লাসে, হোস্টেল ক্যান্টিনে , গ্রুপ স্টাডি, প্রোজেক্ট জমা দেওয়া এইসব আরকি।"
    "শুধু সহপাঠিনী হিসেবে পরিচিত?"
    "একরাতে তার সঙ্গে  যৌনতাও হয়েছিল, চাকরীর প্লেসমেন্টের পর কলেজ শেষ হয়ে আসার সময় পার্টির পর। মানে অল্পবয়সে বাড়ি থেকে দূরে থাকলে ঝোঁকের মাথায় যেরকম হয় আরকি, তাৎক্ষণিক  একটা ব্যাপার।"
    "তারপর আর কন্টিনিউ হল না?"
    "নাহ , পরের দিন সকালে বলেছিল নেশার ঘোরে একটা ভুল হয়ে গেছে।"
    "প্রায় দশ এগারো বছরের পুরনো ব্যাপার তো। কাল দুপুরে খবরটা পেলে কি করে ?"
    "হ্যাঁ যোগাযোগ তো বহুদিন ছিল না। পুরনো একজন কলেজের সহপাঠী মেসেজ করে খবর দিল। ডেঙ্গু হয়েছিল..."

    রণজয় খুবই শান্তভাবে কথাগুলো  বলে যাচ্ছে। কলেজ প্রেমের নস্টালজিয়া রণজয়ের কথায় ফুটে উঠছে না। হয়ত রণজয় ভেতরে দুঃখিত হয়েছে কিন্তু ভেঙে পড়েনি। সেটা অবশ্য  আরও চিন্তার ব্যাপার হত।

    "কিন্তু এতে তোমার ভয় পাবার কি হল আমি এখনও বুঝতে পারলাম না।"
    "ভোরবেলা স্বপ্ন দেখলাম তারপর দুপুরে জানলাম খবরটা। এটা কিরকম কাকতালীয় ব্যাপার? খুবই স্পষ্ট ছিল স্বপ্নটা, মনে হল সিনেমা দেখছি। তারপর আমরা বিছানায় শুয়ে কথা বলছিলাম  । হঠাৎ  কেউ বারবার কলিং বেল বাজাচ্ছিল। বিরক্ত হয়ে  ঘুম ভেঙে দেখলাম শ্রীতমা বিছানায় নেই। বাইরে এসে দেখলাম ও যোগব্যায়াম করছে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত করে , আমি ভুলে গেছিলাম।  "
    "তুমি যোগব্যায়াম করো না?"
    "না আমি ওর মত স্বাস্থ্যসচেতন নই। ভোরবেলার ঘুমটা আমার খুব প্রিয়। "
    "বেশ। "
    "আমি উঠে পড়েছি দেখে ও খুব কঠিন একটা আসন করা অবস্থাতেই বড় বড় অবাক চোখ মেলে তাকাচ্ছিল। যোগব্যায়ামের সময়ে কথা বলা বারণ।দশ পনেরো সেকেন্ড বাদে স্বাভাবিক হলে জিজ্ঞেস করলাম - "
    "কি ? কেউ বেল বাজাচ্ছিল কিনা ?"
    "হ্যাঁ , ও অবাক হয়ে বলল এত ভোরবেলা কে বেল বাজাবে ? আমি ব্যাপারটা ধামাচাপা দিতে বললাম দুধের বোতল নিয়ে যে ডেলিভারির  ..."
    "ওরা বেল দেয় না। আমিও ওদের থেকেই দুধ আর পাঁউরুটি নিই। নিঃশব্দে রেখে যায় দরজার পাশে। 
    "ঠিক। শ্রীতমাও সেটাই বলল। আমি জানতাম না। "
    "যাই হোক , আর কিছু তো নয় ? শ্রীতমাকে কি তুমি স্বপ্নের কথাটা বলেছ ?"
    "না"
    "বলার দরকার নেই। এটা আপাতত  এই সেশনের মধ্যেই থাক।"

    আধঘন্টা শেষের অ্যালার্মটা বেজে উঠল। আজকের মত রণজয়ের থেরাপির সময় শেষ। বৃষ্টির আওয়াজ থেমে গেছে। রণজয় চোখ খুলে উঠে বসল। 

    দুই 
    "আজ ভোরবেলা আবার সেইরকম  ..."

    প্রথমবার এই সমস্যার পর আজ তিনমাস কেটে গেছে। এই তিনমাস রণজয় আর কোনো কাকতালীয় স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেনি কুশলের সঙ্গে। 
     
    "সেই একই মেয়ে?"
    "না এবার অন্যজন, এ আমার সাথে প্রথম চাকরিতে ছিল এবং প্রায় একবছর আমরা সিরিয়াস সম্পর্কে ছিলাম।"
    "ঠিক আছে, এর কথা  কি শ্রীতমা  জানে ?"
    " হ্যাঁ , এই সম্পর্কের কথাটা ও জানে । ইন ফ্যাক্ট এই সম্পর্কটা ভাঙার কদিন পরেই শ্রীতমার সাথে আমার পরিচয় হয় । তারপর সেখান থেকে একসময় বিয়ে। "
    "বিয়ের পর কি তোমার সাথে যোগাযোগ ছিল? মানে এক্সট্রা ম্যারিটাল..."
    "না সেসব কিছু নয় , সবজায়গায় এমনিতেও ব্লক করা আছে  । আমার আগেই ওর বিয়েও হয়ে গেছিল।  পুরোনো একজন কলিগ এখন আমাদের অফিসে কাজ করে সে আজ বেলায়  বলল  রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় ... সঙ্গে ওর বরও ছিল। আমি আজ সারাদিন কাজে মন দিতে পারিনি।  "
    "হুঁ"
    "কিন্তু বারবার এরকম কেন হচ্ছে? আজকের স্বপ্নেও আমরা কথা বলার সময় খুব জোরে জোরে মোবাইল ফোন বাজতে শুরু করল । জঘন্য রিংটোন। শুনলেই মনে হয় ফোনটা মাটিতে আছড়ে ভেঙে ফেলি। "
    "চেনা রিংটোন? ওই সম্পর্কে থাকার সময় ব্যবহার করতে? "
    "অত মনে নেই। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল তখন। খুব তেতো কিছু মুখে পড়লে যেরকম লাগে। "
    "ঘুম ভেঙে গেল?"
    "তখন থেকেই মন খচ খচ করছিল।  এখন বলে একটু হালকা লাগছে।  "
    "তুমি প্রায় একবছর কোনো ছুটি নাওনি। পারলে ছুটি নিয়ে একসপ্তাহ বড় কোথাও  ঘুরে এসো।  "

    রণজয় চলে যাবার পর কুশল একবার ভাবল , আধঘন্টা সময় কাটাতে রণজয় এই স্বপ্ন দেখার সঙ্গে মৃত্যুর খবরের যোগ করে  বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলছে ? হতেই পারে , শুধু রণজয় কেন , আসলে কোম্পানি ফ্রিতে দিচ্ছে বলে এখানে যারা আসে অনেকেই বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে। কুশল বুঝতে পারে কিন্তু বলেনা কিছু।  কিন্তু রণজয় এরকম গল্প বানাবে শেষমেশ ? রণজয়ের কথাবার্তা শুনে এতদিন সেরকম মনে হয়নি ।

    একসপ্তাহ পরের বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময়  রণজয় এলো না। কুশল ভাবল এমনি শরীর খারাপ হতে পারে, বা হয়ত সত্যি সত্যি  ছুটি নিয়ে ঘুরতে গেছে । এই সব সেশন ইচ্ছে করলে এমনিও  ফাঁকি দেওয়া যায় , বাধ্যতামূলক কিছু তো নয়। 

    তার কাছে কোনো রুগীর ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার থাকে না।  নিয়মমত এই স্লটগুলোয় যার আসার কথা সে না এলেও  স্লটটা অন্য কাউকে দেওয়া যায় না।  কুশল চুপচাপ সেই  আধঘন্টা ধরে তার একজন বান্ধবীর লেখা একটা গল্পের  বই পড়তে শুরু করল। এবছরই  বেরিয়েছে, কুশলকে  উপহার দিয়েছিল। 

    তার পরের সপ্তাহের  স্লটেও  রণজয় এলো না। এবার কুশল ক্লিনিকের রিসেপশনিস্টকে ফোন করে রণজয়ের ফোন নাম্বার চাইল। কিন্তু সে দিতে পারল না - "উনি ক্লিনিকের রুগী তো নন। অফিসের রেফারেন্সে আসতেন। ওনার অফিস থেকে নাম্বার দিতে পারবে। আপনি চাইলে জিজ্ঞেস করছি।" 

    তার বান্ধবীর বইটা কুশল আবার খুলে বসল। বইটা শেষ হয়ে এসেছে, আর তিনটে গল্প বাকি। বেশ ভালো বইটা , একেকটা গল্প একেকরকম স্বাদের।  

    রণজয় ভাবছিল তাকে যেন  স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে কেউ কিছু বলতে চাইছে , বারবার মৃত মানুষদের স্বপ্নে দেখলে নিজের মন খারাপ হবেই। রণজয় ভয় পাচ্ছিল যেন এরপর তার পালা? নাহলে হয়ত বেশ বড় ছুটি নিয়েছে , বছরের সমস্ত জমানো ছুটি একসঙ্গে। কত কিছু হতে পারে। 

    চিন্তাগুলো মাছির মত ভন ভন করছে মাথার ভেতর। তাদের হুশ হুশ করে তাড়াতে আরো চারজনের সঙ্গে  সেশন শেষ করে  বাড়ি ফেরার আগে অফিসের ভয়েপ থেকে রণজয়ের মোবাইল  নাম্বারে ফোনটা করল কুশল। 

    আশার কথা, ফোনটা বাজছিল। অন্তত, সুইচ অফ করা নেই।  একবার , দুবার , তিনবার , বেজে যাচ্ছিল ...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১২৬২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    কবিতা - Aminul Islam
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:14a:500:e780:e8f3:9aba:db96:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২৩ ০৪:০৭518013
  • দীপাঞ্জন,
    এই গল্পটা আমার ভালো লাগলো। শেষটা একটা ব্রড ব্রাশ স্ট্রোকের মত ধীরে ধীরে আবছায় মিশে গেছে মনে হলো। খুবই থট প্রোভোকিং। কিন্তু দুটো কথা আছে। এক, এক জায়গায় 'কিশলয়' লিখেছেন। ওটা বোধহয় টাইপো? 'কুশল' হবে তাই না? দুই, এই যে কুশল বলেছেন মিথ্যে ভয় বলে কিছু হয় নাকি, এটা একজন প্রোফেশনাল থেরাপিস্টের কাছ থেকে শুনে একটু অবাক লাগছে। ভয়ের নাড়ি নক্ষত্র অন্তত তাঁর খুব ভালো করেই জানার কথা, নয় কি? নাকি উনি সব জেনেও ডেলিবারেটলি কথাটা বলেছেন? জাস্ট রণজয়ের পার্স্পেক্টিভটা বোঝার জন্য?
    ভয় এবং তার জন্য থেরাপি, এই দুটোর সাথেই আমার খুব নিবীড় পরিচয় আছে। সেইজন্য এইসব কথা মনে হলো।
  • দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় | ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৩:২৫518028
  • ধন্যবাদ কেকে , টাইপোটা ঠিক করে দিয়েছি। দ্বিতীয় পয়েন্টটায় ইচ্ছাকৃত ভাবেই কথাটা বলা হল রণজয়ের দৃষ্টিকোণটা বোঝার জন্য। ভয় নিয়ে কুশল আরো বিশদে  আলোচনা করতে পারত , কিন্তু আমি লেখাটাকে অত ভারী করে তুলতে চাইনি। 
  • kk | 2601:14a:500:e780:3beb:a9a5:bad5:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২৩ ২২:৫৫518042
  • ধন্যবাদ দীপাঞ্জন। বুঝতে পারলাম।
  • Ranjan Roy | ৩১ মার্চ ২০২৩ ০৮:৩৩518048
  • খুব ভালো লেগেছে গল্পটা. 
    ভাবছি কয়েকজন মিলে ভয় 2. ভয় 3 করে গল্প লিখলে কেমন  হয়? 
    এই গল্পটির মতন টাইট এবং আয়তন ছোট! অর্থাৎ যেমনটা আমি পারি না. 
    একক, ইন্দ্রাণী এঁরা পারেন. 
    Kk,  আপনি শুরু করুন না!
  • মিত্তির | ৩১ মার্চ ২০২৩ ১১:৪৪518056
  • সত্যিকার ভয় সবসময়ই শারীরিক থেকে মানসিক হয়, কাল্পনিক ভয়ও নিজের বা অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চারিত হয়৷ আমার ভয়ের অভিজ্ঞতা ব্যাপক.....
  • kk | 2601:14a:500:e780:518e:d9e9:6824:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২৩ ২০:০৯518077
  • রঞ্জনদা,
    আপনার এই ভয় সিরিজের আইডিয়াটা খুব ভালো। গুরুতেই অনেকে আছেন যাঁরা খুব ভালো লিখতে পারবেন। তবে আমার শুরু করার অপেক্ষায় থাকলে কত যুগ কেটে যাবে তার ঠিক নেই! ভয়ের সাথে আমার সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ, তবে তাকে শব্দে ধরা বা গল্প আকারে লেখা আমার দ্বারা হবে কিনা নিশ্চিত নই। যেটুকু পেরেছিলাম 'নুড়িতলা'র তিনটে পর্বে অল্প-বিস্তর লিখেছিলাম। তবে সিরিজ শুরু হোক, চলতে থাকুক। আমি লিখতে পারলে নিশ্চয়ই লিখে যাবো।
  • Ranjan Roy | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৪১518095
  • মিত্রের
     
    লিখে ফেলুন আপনার অভিজ্ঞতার গল্প।
  • দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০২:০৮518106
  • হ্যাঁ কেকে , আপনার নুড়িতলার ক্রিপ্টো চিরকুট আর গাইডেড মেডিটেশনের লেখাগুলোয় পড়েছিলাম। এই জিনিসগুলো নিয়ে এমনি লেখালেখি করা খুবই কঠিন সন্দেহ নেই , তাই কিছুটা গল্পের আড়াল নিতে হয়।  
     
    রঞ্জনদার প্রস্তাব ব্যাপক। laugh
  • | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:১১518109
  • ভাল লেগেছে গল্পটা.
  • ভীতু | 146.196.***.*** | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫৪518129
  • রণজয় ভাবছিল...এটা কি রণজয়ের চিন্তা না কুশলের ? (তলার দিক থেকে তিন নম্বর প্যারা )যদি রনজয়ের হয় তাহলে হয়ত বেশ বড় ছুটি নিয়েছে বা কত কিছু হতে পারে এগুলো তো কুশলের চিন্তা বলে মনে হচ্ছে |একই প্যারাগ্রাফে ? একটু ধোঁয়াটে লাগছে |তাছাড়া পুরো গল্পটাই তো কুশলের ভিউপয়েন্ট থেকে |
  • দীপাঞ্জন | 223.19.***.*** | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৫৯518140
  • @ভীতু ওই প্যারাটা কুশলই ভাবছে। পরের প্যারার শুরুতে সেটা বলে দেওয়া আছে।
  • guru | 103.17.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪৭518163
  • @দীপাঞ্জন 
                  খুব ভালো লিখেছেন |chaliye যান |
  • guru | 103.17.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ২২:২৬518164
  • @দীপাঞ্জন
     
                  অনুগল্প হিসেবে এই গল্পের আইডিয়া খুবই ভালো | আমাদের খুব চেনা পরিচিত রুটিনের ছক একদিন ভেঙ্গে গেল, জন্ম নিলো অনিশ্চয়তা আর সেই থেকেই এলো ভয় .............. ভালো খুবই ভালো | এখনকার youtube চ্যানেলগুলোর মতো বস্তাপচা তন্ত্রমন্ত্র আর সিরিয়াল কিলিং এর থেকে অনেক ভালো এই জিনিস |
  • দীমু | 223.19.***.*** | ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ২২:০৭518209
  • ধন্যবাদ guru এবং দ দি
  • | ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৪২518212
  • দীমু দেখে আমার সচলের খেঁকশিয়ালের সিগনেচার মনে পড়ল।  laugh
     
  • দীমু | 223.19.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০০:১৮518218
  • laughlaugh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন