এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  অর্থনীতি

  • হীরা ফেরি: শেষ পর্ব  

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ০৬ মার্চ ২০২৩ | ১৩১৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (৪ জন)
  • পর্ব ১ | পব ২ | পর্ব ৩
    শয্যা এবং প্রাতরাশ 
     
    সাতের দশকে ইংল্যান্ডে রেল ছিল সরকারি। আমাদের মতন কপর্দকশূন্য টুরিস্টদের দেশের ট্রেনে যত্র তত্র ঘোরার সুবিধের জন্য মহারানির যাতায়াত মন্ত্রক ব্রিটরেল পাস নামক একটি ছাড়পত্র  সুলভে বিক্রি করতেন। তার আয়ু আট বা পনেরো দিনের। সে টিকেট কিনে কোথাও না হয়  পৌঁছুনো গেল। তারপরে রাত্রিবাসের পালা। সে সময়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফ্রাঙ্কফুর্ট অফিসে যৎসামান্য মজুরিতে কর্ম করি, রেস্ত সীমিত। হোটেলে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। অতএব ট্রেন থেকে নেমে শয়নের জন্য যে  হট্ট মন্দিরের খোঁজে নেমে পড়তে হতো তাকে দুনিয়া শুদ্ধু লোকে চেনে বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট নামে। সমারসেট ওয়েলস স্কটল্যান্ড  বা কেন্টে দেড় থেকে দু পাউনডে রাত্রিবাস করেছি,  তিন পাউনডের  বেশি কখনো দিয়েছি বলে মনে পড়ে না।  আইল অফ ওয়াইটের রাইডে  শহরে  অনেক খুঁজেও কিছু না পেয়ে পার্কে বসেছিলাম।  রাত্তির এগারোটার নাগাদ পুলিশ হাজির , বললে এখানে থাকা চলবে না।  আমার সমস্যার কথা শুনে সে বললে গাড়িতে ওঠো, আমি এক  ল্যান্ডলেডিকে চিনি , তার ঘর  খালি থাকতে পারে! সেই প্রথম (এবং আশা করি শেষ বারের মতন) ইউরোপে  পুলিশের ভ্যানে উঠেছি। সেখানে পৌঁছুতে ভদ্রমহিলা বললেন  সারাদিন হা পিত্যেশ করে বসে আছি, অন্তত এই মাঝরাতে আপনি এলেন! 
     দু দশক বাদে বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের এক নতুন প্রয়োগের সঙ্গে পরিচিত হলাম। ব্যাঙ্কিং  বাজারে স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের কেনা বেচা চলে, যার নাম সেকেন্ডারি ট্রেডিং। যেমন ধরুন  সিটি ব্যাঙ্ক জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কোম্পানিকে দু বছরের কড়ারে ধার দিয়েছে এবার সিটি তার স্বত্ব বিক্রি করে দিলো রাবো ব্যাঙ্ককে। দু বছর পার হলে রাবো ব্যাঙ্ক কভেন্ট্রিতে জাগুয়ারের দরোজায় সেই টাকা আদায়ের জন্য কড়া নাড়তে পারে অথবা ইতিমধ্যেই অন্য কাউকে বেচে দিয়ে থাকতে  পারে। ঋণ শোধের দিন যার হাতে মালিকানা তাঁকে আমরা বলি হোল্ডার ইন ডিউ কোর্স যিনি সেদিন সেই টাকা পেলেন অথবা হাতে হ্যারিকেন ধরলেন!  
    এ ধরণের ট্রেডিং তুলকালাম হারে দেখা যায় স্বল্প মেয়াদি আমদানি রপ্তানির ব্যবসায় যাকে আমরা ট্রেড ফাইনান্স বলি।  বি পি  (ব্রিটিশ পেট্রলিয়াম -  ব্লাড প্রেশার নয়) ছ মাসের কড়ারে জাহাজ ভর্তি তেল বেচল কেনিয়ার কোবিলকে।  কোবিল একটি হুন্ডি লিখে জানাল ১৮০ দিন বাদে তারা দশ মিলিয়ন ডলার নিউ ইয়র্কে জমা করবে বি পির খাতায়। কেনিয়ান কোম্পানির ওপরে ভরসা নেই তাই বি পি সিটিব্যাঙ্কের গ্যারান্টি চাইল- অর্থাৎ কেনিয়া দাম না চুকোলে সিটি সে ডলার দেবে।  আগামী কল্য সিটি এই হুন্ডি মেলন ব্যাঙ্ককে বেচে দিতে পারে – ছ মাসের ভেতরে এই কাগজটি মালিকানা বহুবার বদলে যায় এবং এইখানে শুরু হয় ট্রেডিঙের বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের খেলা।
    সিটি ব্যাঙ্কের ক্রেডিট গুরু  ট্রেডিঙের গ্রাহামকে বলেছেন কেনিয়ার কোবিল কোম্পানির ঝুঁকি ৯০ দিনের বেশি ধরে রাখা চলবে না – বেচতে হবে সেই কাল  পূর্ণ হবার আগেই।  এদিকে খদ্দের জুটছে না, গ্রাহাম চিন্তিত।  একদিন লাঞ্চে ওয়েস্ট এল বি ব্যাঙ্কের পিটারকে তার  সমস্যার কথা জানালে পিটার বললে এক কাজ করো, ৯০ দিন হবার আগে আমাকে বেচে দাও, কিন্তু আমি এক মাসের বেশি কেনিয়ার ঝুঁকি নিতে পারব না। তোমাকে আবার এই কাগজ আমার কাছ থেকে কিনে নিতে হবে।  যদি রাজি থাকো উই হ্যাভ এ ডিল! গ্রাহাম দেখাল সে ৯০ দিনের ভেতরে বেচেছে পিটার এক মাসের জন্যে কিনে নিয়ে আবার গ্রাহামকে বেচল -সে আবার তিন মাসের জন্য কেনিয়ান ঝুঁকি নিতে পারেই  কেননা এবার তার নতুন মিটার শুরু হলো।
    লোন ট্রেডিঙের বুকনিতে এর নাম  বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট! আইন বাঁচল, ক্রেডিট গুরুরা খুশ  আরেকটি লাভ হল এই যে গ্রাহাম এবং পিটার দুজনেই বর্ধিত বাণিজ্য দেখাতে পারে – একই ছানাকে বারবার দেখিয়ে যতবার কেনা বেচা হয় তত ব্যবসায়ের পরিমাণ বা টার্ন ওভারের বৃদ্ধি হয়  সরাসরি জানতে চাইলে কোন ট্রেডার এইরূপ বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের অস্তিত্বের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করবেন!
    অশ্বথামা হত ইতি গজ বলে অনেক ট্রেডার  ওপরঅলাদের দ্বারা  নির্দেশিত ধার দেওয়ার সীমানা বা লিমিটকে আইনি গণ্ডির মাঠে  বেঁধে রেখে বাহবা এবং বোনাস অর্জন করে থাকেন।
    এভাবেই চাকা ঘুরতে থাকে।
    এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুধু ট্রেডিঙে সীমাবদ্ধ নয়।
     
    মরিশাস দ্বীপের জ্ঞান
    ভাবিন বললে  "সার আপ ঘুমানা সমঝতে  হোঙ্গে?"
    এক ট্রেড ফাইনান্স সেমিনারে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে মরিশাস এসেছি। এই  সব ভ্রমণে অনেক নতুন মানুষজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। ভাবিন প্যাটেল  মরিশাসে নথিবদ্ধ একটি ফান্ড চালায়, তাঁর মালিক কাগজে কলমে মরিশাসের মানুষ তার আসলে  ভারতীয়  অর্থ আসে সেখান থেকে তারপর সেই অর্থকে নানা প্রকারে ঘোরানো ফেরানো হয়।  দু দিনের আলাপে ভাবিন বললে আমার বাড়ি চলুন – শাকাহারি ভোজন কিন্তু কেবল ঢোকলা নয় ! তার স্ত্রী চমৎকার রান্না করেন।  নানান গাল গল্প হল। ব্যালকনি থেকে সমুদ্র দেখা যায়,  সে ভারি সুন্দর দৃশ্য।  তার সঙ্গে পিজিন ভাষার সঙ্গে মোলাকাত হলো। কেতাবি মতে যখন একটি বাক্যে একের অধিক ভাষার শব্দ সংযুক্ত হলে তাকেই বলা হয় পিজিন (সে অর্থে আমরা বাঙ্গালিরা দুটো ইংরেজি শব্দ যোগ না করে কিছুই বলতে পারি না!)  ভাবিনের বউ তার কাজের মহিলাকে যে রূপ ভোজপুরি ফরাসি গুজরাতি ইংরেজির সংমিশ্রণে এক কর্ম সূচি নির্দেশ করে দিলো তা সুনীতি বাবুর বিস্ময় উদ্রেক করতে পারতো।



    ঘুমানার প্রতিশব্দ কি  রাউনড ট্রিপিং? সে অর্থে ঘুমানা দেখেছি লন্ডন বাজারে। এও জানি এনরন, ওয়ার্ল্ড কম ইত্যাদি একদা প্রসিদ্ধ বর্তমান অনেক  কেস স্টাডির বিষয় স্বরূপ কোম্পানি অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এনার্জি অথবা টেলিকমের বাজারে কেনা বেচা করেছেন, শুধুমাত্র বাড়তি বাণিজ্য দেখানোর জন্য।
     

    ভাবিন হাসলো – সার ঘুমানা আরও অনেক রকম হয়ে থাকে। আপনারা ধার দেওয়ার সময়ে দেখেন সে কোম্পানির টার্ন ওভার বা বাণিজ্যের পরিমাণ কতো? তাই তো?
    বললাম অবশ্যই। কোম্পানির ব্যবসার পরিমাণ বুঝতে গেলে সেটা তো জানতেই হবে, মানে নগদের স্রোত (ক্যাশ ফ্লো)। সেখান থেকে মাপা হবে লাভ লোকসানের সীমানা।
    ভাবিন বললে সার ক্যাশ ফ্লো কেনা যায়,  ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বার্তা বলে।  খানিকটা ফি দিতে হয় ফলে ব্যাল্যান্স শিটের চেহারা ভদ্রস্থ হয়। সেটাও ঘুমানা।  আন্তর্জাতিক বাজারে বিশেষ করে মরিশাস রুটে যে সব নিবেশক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনা বেচা করে থাকেন  সেটাও ঘুমানা! অবশ্য  যদি লক্ষ্য করেন, তবে সব ব্যাঙ্ক এতটা জানতে চায় না।
    বয়েসে অনেক ছোটো ভাবিন, আমাকে আর লজ্জা দিতে চাইল না হয়তো।  কি করে বলি  ব্যাল্যান্স শিটের পাতায় পাতায় যা লেখা তারই বিশ্বাসে ব্যাঙ্কিং ব্যবসা গড়ে উঠেছে - গুচ্ছের এম বি এ ট্রেনী সেই সব সংখ্যার ছান বিন করেছে, কত রকমের মডেল তৈরি হয়েছে, কত না আনালিসিস হয়েছে।  এ যে অসত্য, সকলি অসত্য হে আমার চিরভক্ত!   আমাদের ছোটবেলায় গ্রামেগঞ্জে মানুষ বলতো  এ খবরটা ছাপার অক্ষরে বেইরাইছে গো, এ বাজে কথা হইতে পারে না বাবু!
     
    লাবুরদনের ওয়াটারফ্রন্ট হোটেলে নামিয়ে দিয়ে গেলো ভাবিন।
     
    একটা পুরনো কথা মনে পড়লো। অনেকদিন আগে স্কটিশ চার্চ কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক চন্দ্রনাথদা (চট্টোপাধ্যায়, ভ্রাতৃসংঘ ক্লাবের প্রাণপুরুষ) পরামর্শ দিয়েছিলেন, "মাঝে মাঝে অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড পড়ে দেখো। চেনা শব্দগুচ্ছের  নতুন অর্থ খুঁজে পাবে, যেমন রান অ্যান্ড  রান টু বি হোয়ার ইউ আর।" যে কোন অর্থনীতিকে কেবলমাত্র তার আপাত অবস্থানটি  জিইয়ে রাখার জন্য প্রভূত পরিশ্রম করতে হয়, থেমে বসে জিরনোর উপায় নেই!
    থ্রু দি লুকিং গ্লাসে  হয়তো পড়েছিলাম,"নাথিং উড বি হোয়াট ইট ইজ,  বিকজ এভরিথিং উড বি হোয়াট ইট ইজ নট"।

     
     মরিশাসের আলোচনা সভায় 
     

    বিজয় গোয়েল বিনোদ আদানি অরুন পনচারিয়া 
     
    আহমেদাবাদের সন্ধ্যা
     
    পেল্লায় একটা মাঠে বাঁধা হয়েছে  স্টেজ, নানান ম্যারাপ -কোথাও রাজস্থানি কোথাও মারাঠি  কোথাও গুজরাতি ভোজ্য বস্তুর স্টল- গরম পরোটা লুচি ভাজা হচ্ছে। অন্যত্র মিষ্টির বিশাল প্রলোভন। এখানে ওখানে ছড়ানো কেদারা  কিন্তু চুপ করে  বসে থাকার সুবিধে নেই।  সতত সঞ্চরমান পরিবেশকের দল বারে বারে জানতে চাই আমি বা আমরা কি চাই কিছু না চাইলে অন্য কিছুর সেবা কি তারা সরবরাহ করতে পারে।  দুটি বস্তু এখানে অলভ্য – মদিরা এবং আমিষ।
    ডিসেম্বরের সন্ধ্যা অতি মনোরম। এসেছি কে সেরা সেরা নামক এক ডিজিটাল সিনেমা প্রতিস্তানের  প্রযোজক এবং আহমেদাবাদের দুটি সমবায়ী ব্যাঙ্কের কর্ণধার শ্রী সতিশ পঞ্চারিয়ার ছেলে জয়েশের বিয়েতে। সঙ্গে  আছেন লন্ডনের এক আইন ব্যবসায়ী, ইন্দো ব্রিটিশ বাণিজ্য কমিটির মূল গায়েন সিঙ্ঘানিয়া অ্যান্ড কোর মালিক বিজয় গোয়েল,  যার অফিসে মায়া সদ্য ইন্টার্নশিপ করে এসেছে। সতীশের ভাই অরুণের সঙ্গে আমার বিশেষ পরিচিতি একত্র কাজকর্ম, কনফারেন্স করেছি – আমাদের কাছেই, সারের সানিংডেলে থাকেন। কাউকে আসতে দেখে অরুন ভাই হঠাৎ উঠে দাঁড়ালেন, আসুন আমার একজন অতি প্রিয়জনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই। ইনি ভিনোদ আদানি, আমার দুবাইয়ের প্রতিবেশী।
    ভিনোদ আদানি  আমাদের আড্ডায় যোগ দিলেন। ছোট্ট খাটো মানুষ, অত্যন্ত মিশুকে। তাঁর ভাঁড়ারে গল্পের অভাব নেই।  সারা সন্ধ্যে প্রায়  একত্র কাটালাম।  নিরামিষ খাওয়ার উপকারিতা থেকে আরম্ভ করে ধূমপানের হানিকারক ক্ষমতা ইত্যাদি নানান বিষয়ে আলোচনায় মাতিয়ে রাখলেন। 'আপনারা আমাদের বেশির ভাগ খাবার তো চেনেন না' বলে স্টল থেকে স্টলে ঘুরে আমার খাবার নির্বাচন করে দিলেন। একবার  মাত্র স্থান বদল করেছি।  যে  বিশেষ কারণে বিজয় গোয়েলের প্রসিদ্ধি আছে লন্ডনের ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে তা আমার জানা ছিল না। ভিনোদ সেটির উল্লেখ করলেন – জানেন আপনাদের মহারানির  বার্ষিক টি পার্টিতে গোয়েলের নিমন্ত্রণ হয় কেন? জানা গেল বিজয় গোয়েল যখন বাকিংহাম প্যালেসের অদূরে ইবুরি স্ট্রিটে বাসা বাঁধেন, তাঁর মাথায় কোন এক দুর্মতি খেলা করে! পাঁচশ গজ দূরের প্রতিবেশিনীকে একটি চিঠি লেখেন – আমি আপনার বাড়ীর কাছেই থাকি। আমি কি আপনাকে আমার গরিবখানায় একদিন চায়ের আমন্ত্রণ জানাতে  পারি? তার উত্তরে মহারানি বিজয় গোয়েলকেই তাঁর চায়ের মহতী সভায় ডাকেন!

    অরুণ বললেন, জানেন ভিনোদ ভাইয়ের সবচেয়ে প্রিয় খাবার কি? খিচুরি! গত মাসে লন্ডনে এসে আমাকে ফোন করেছেন, অরুণ ভাই তোমার বাড়ি যাবো,  সবিতা বেনকে বোলো নিজের হাতে যেন খিচুরি বানিয়ে রাখে! বিজয় গোয়েল  ঠাট্টার সুরে জানতে চাইলেন ভিনোদ ভাই গ্রিক পড়তে পারেন কিনা  (তাঁর পাসপোর্ট সাইপ্রাস সরকারের ইস্যু করা যদিও  তিনি দুবাইয়ের বাসিন্দা)।
    সমবেত হাস্যরোলের মধ্যে ভিনোদ বললেন যতদূর জানি পাসপোর্টে আমারই নাম লেখা আছে,  ছবির সঙ্গে আমার চেহারা  মিলে যায়!
    এই চমৎকার শীতের আমেজে ঘাসের গালচের ওপরে আরাম কেদারায় বসে আছি- এমন সময়ে একটু উত্তেজনার সঞ্চার হলো। অনেকে কোন কারণ ছাড়াই ইতি উতি ঘুরতে লাগলেন।
    ভিনোদ ভাই একবার সেদিকে তাকালেন,"আমার ভাই এসেছে  মনে হচ্ছে"।
    তারপরে আবার সেই সানিংডেলে খিচুরি খাওয়ার  গল্পে ফিরে গেলেন।

    ১১ ডিসেম্বর ২০১৭


    (সমাপ্ত)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১ | পব ২ | পর্ব ৩
  • আলোচনা | ০৬ মার্চ ২০২৩ | ১৩১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০৬ মার্চ ২০২৩ ২১:৩১517049
  • উরিত্তারা!
    তারে ধরি ধরি মনে করি ধরতে গিয়েও আর পেলাম না!
  • Amit | 121.2.***.*** | ০৭ মার্চ ২০২৩ ০৪:৫০517069
  • এ মানে যা বোঝালেন হিরেনদা - দুনিয়ার পুরো ফিনান্সিয়াল মার্কেট গুলোই সারাক্ষণ একগাঁদা আর্টিফিশিয়াল বাবল এর ওপর বসে আছে। মাঝে মধ্যেই কয়েকটা ফাটবে। আবার নতুন তৈরী হবে। যারা পাকা খেলোয়াড় তারা ওঠা নামা দুদিকেই মুনাফা করে নেবে। আর যারা এমেচার তাদের দুদিনের লাভ , তারপর ই ধপাস। 
  • Kishore Ghosal | ০৭ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৭517087
  • এই লেখায় যা করলেন না, এককথায় অনবদ্য - যেটুকু বললেন - সেটুকু হিমশৈলের চূড়া - আর বাকি বিশাল ব্যাপারটার ইঙ্গিত দিয়েই চুপ করে গেলেন। আবার বলি অনবদ্য। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩৮517088
  • কিশোর 
     
    ঠিক!বুঝ গুণী যে জানো সন্ধান ! নইলে কোন এজেনসি কোথায় হামলে পড়ে!
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪১517089
  • অমিত 
     
    সব দেশের বদমায়েসী একই ছকের। বারনি মেডফ হোক জেফ স্কিলিং হোক বা অন্য দিকে আমেরিকান  এস ই  সি  থাক - । অনেক কাহিনি বলা বাকি! সাধু সাবধান থাকুন!
  • বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় | 103.18.***.*** | ০৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৪517092
  • অতি চমৎকার লেখা। বিষয় যাই হোক সরসতা এবং বক্তব্যের মাধুর্যে অনয়াসে পড়ে ফেলা যায় এবং শেষ গানের মতো রেশ থেকে যায় মনের ভিতরে।
    এটা হীরেনদার যে কোনো লেখার ক্ষেত্রেই ঘটে।বই বেরুলে পড়তে হবে  এটাই শেষ কথা।
  • Debanjan Banerjee | ০৯ মার্চ ২০২৩ ২০:০৭517183
  • হিরেনবাবু যথারীতি অসাধারণ লেখা |
     
    আমার বলতে ইচ্ছে করছে যে শেষ হয়েও হইলো না তো শেষ |
     
    কিশোরবাবু এইখানে একটা জিনিস আপনাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে | আপনি আপনার "ধর্মাধর্ম "বইটিতে গুজরাট অঞ্চলের বণিকদের ঐতিহাসিক বাণিজ্য করার দক্ষতার কথা বলেছেন | আচ্ছা এর সঙ্গে কি গুজরাট অঞ্চলের বণিকদের জৈন ধর্মের ব্যাকগ্রউন্ডের কোনো সম্পর্ক আছে ? আমার পরিচিত কলকাতার এক মাড়োয়ারি জৈন ব্যবসায়ী বলেছিলেন যে তারা সবসময়ে ব্যবসার ব্যাপারে একটি নিয়ম মেনে চলেন যে নিজেদের ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবসা করলে মিথ্যা কথা একে অপরকে না বলা এবং নিজেদের ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবসা করে নিজেদের না ঠকানো | আজকের আদানী গোষ্ঠীর সাফল্য যেটি হিরেনবাবু উল্লেখ করছেন সেটি কি এই গুজরাটি জৈন ধর্মের কোনো বিশেষ একটি ধর্মীয় আচরণগত দিকের পরিচয় ??
  • | ০৯ মার্চ ২০২৩ ২০:২০517187
  • ওরে বাবা কি মোক্ষম জায়গায় শেষ করে দিলেন! ইশ্শ 
  • Kishore Ghosal | ০৯ মার্চ ২০২৩ ২১:১১517192
  • @ Debanjanbabu, 
     
    গুজরাট অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাণিজ্যের দক্ষতা সুপ্রাচীন কাল থেকে - যদিও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি - তবু আমার ধারণা সেই সিন্ধু সভ্যতার কাল থেকে। তার সঙ্গে  অবশ্যই যুক্ত হয়েছে জৈন ধর্মের প্রভাব - আরও সরাসরি বললে জৈনধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীর মধ্যে গড়ে উঠেছিল নিবিড় যোগাযোগ এবং "ভাইচারা" বা Amity।  যা আজও অনেকাংশে বর্তমান। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৯ মার্চ ২০২৩ ২১:১৩517193
  • তিন পর্বের কোন চরিত্র কাল্পনিক নয় যে , তাই যেমন ঘটেছে তেমনি বলা! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন