“ঋষভ স্যার, ঘুমিয়ে পড়লে নাকি?”
ঋষভ সারথির বুকের সোনার চেনটা নিয়ে খেলা করতে করতে সমুদ্রের নরম বালির উপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছে, নিজেও টের পায়নি।
সারথি আবার ঋষভকে ঠেলা মেরে বলল “ঘরে ফিরতে হবে তো, নাকি এখানেই রাত কাটাবে? এই বিচে অনেক কাঁকড়া আছে কিন্তু!”
“কাঁকড়ারা ঘুমোচ্ছে, কামড়াবে না!” তন্দ্রাচ্ছন্ন ঋষভ বলল।
“বিনোদ স্যার বকবে!”
“তোমায় বকবে, আমি তো ওনার গেস্ট!”
“না, গেস্টদেরও বকেন। খুব রাগী লোক।”
“তোমায় তো খুব ভালোবাসেন!”
সারথি একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলল “বুড়ো প্রচণ্ড খাটিয়ে নেয়।”
“তা ও যখন পাকাপাকি ভাবে এ দেশে চলে আসবে, তোমায় তো গাধার মত খাটাবে। খুব কষ্ট হবে তোমার?”
“না না। বরঞ্চ, উনি এলে কাজের প্রেসারটা ভাগ হয়ে যাবে। আর তাছাড়া দু’জনে মিলে ব্যবসাটাকেও আরো বাড়ানো যাবে।”
“এটা তোমাদের দু’জনের ব্যবসা?”
“পার্টনারশিপ।”
ঋষভ হঠাৎ সারথির গায়ের উপর উঠল। সারথি এখন মাথার সামনের দিকে বেশ লম্বা লম্বা চুল রাখে। ঋষভ একটা একটা করে চুলগুলো সারথির কপাল থেকে সরাল। এটা ঋষভ কাল থেকে লক্ষ করছে – কিন্তু জিজ্ঞাসা করবে ভেবে ভেবেও জিজ্ঞাসা করেনি।
“কী দেখছ, ঋষভ স্যার?”
“এই চোটটা। আগে তো ছিল না।”
“ছিল তো!”
“সত্যি বলছ?”
“ছিল। তোমাকে আগেরবার বলিনি, বাবা যখন জানতে পারল আমি গে – আমায় দেয়ালে ধাক্কা মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল?”
“বলনি আগেরবার। শুনে খুব খারাপ লাগল। কিন্তু কেন জানিনা, মনে হচ্ছে এই দাগটা ছিল না। আমার স্পষ্ট মনে আছে, ছিল না। তিন বছর আগেও না। চার বছর আগেও না।”
“বাঃ, সব মনে রেখে দিয়েছ তো!”
“হুঁ। আচ্ছা, বলতে না চাইলে বোলো না।”
“বলছি। আমার একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল। বিয়ে করল।”
“তোমায়?”
“ধ্যাত। একটা মেয়ের সাথে। তা, ওর সঙ্গে আমার ঝগড়া হল। হাতাহাতি হল। ও ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। হাম্পির মন্দিরগুলোর পাথরের চাতাল তো দেখেছই। ফেটে গেল মাথা।”
“ওহ্! খুব বদমাস লোক তো।”
তার আর রেশমীর মত শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদ সবার হয় না – সবাই ওদের মত ভদ্রলোকও হয়না – ঋষভের মাথায় খেলছিল এই কথাগুলো।
“না না, বদমাস না। প্রথম ধাক্কা আমিই মেরেছিলাম। আস্তে করে। ও চটে গেল। সবাই তো আর আমার মত রেসপন্সিবল লোক নয়। আবার বলে কিনা – বেবুশ্যিপনা করে বেড়াস – আমার ভালবাসাও চাই! তোর মত লোকের জন্য আমি বিয়ে-সাদি না করে বসে থাকব নাকি?”
“ওহ!”
মঞ্জুনাথের বিয়ে হয়েছে, বাচ্চা হয়েছে বটে – কিন্তু ছেলেটিকে দেখে ঋষভের মনে হয়নি সে এরকম হিংস্র হতে পারে। একটু রগচটা কিন্তু শান্তশিষ্ট ছেলে – তবে এরকম আবেগের মুখে পড়লে অনেক মানুষই বদলে যায়। তাছাড়া মঞ্জুনাথের সঙ্গে যে সারথির কিছু একটা ছিল – এ কথা কেউই বলেনি – সবই তার আন্দাজ।
“ঋষভ স্যার! তুমি এটা সত্যি গল্প ভাবলে নাকি?”
“ভাবলাম তো! গল্প ভাবিনি, সত্যি ভাবলাম।”
“না গো! বয়ফ্রেন্ডই কোনো কালে ছিল না। থাকলে তাকে অনেক ভালবাসতাম। এমন কপাল ফাটিয়ে দেওয়া বয়ফ্রেন্ড থাকলেও নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতাম। কিন্তু সে কপাল আর কোথায় বল, ঋষভ স্যার!”
“তাহলে চোটটা কীভাবে লাগল?”
“একটা ট্রাভেল এজেন্সি খুলেছিলাম। আগে যে ট্রাভেল এজেন্সির সাথে কাজ করছিলাম তারা চটে গেল। বুঝতেই পারছ – কম্পিটিশন। এজেন্সির মালিক প্রথমে নিজে এসে শাসালো। তারপর গুন্ডা পাঠাল। আমি তাতেও পিছু হটবার লোক নই। তারপর রাত্রিবেলা বাড়ি ফিরছি। গুন্ডা দিয়ে পেটাল। অথচ যখন ওদের সাথে কাজ করেছি, কত ভাল ভাল ভাব দেখাত। বুঝতেই পারছ – এসব ব্যবসায় বন্ধু-টন্ধু কিছু হয়না।”
সারথির দুটো গল্পের মধ্যে কোনটা সত্যি – ঋষভ কিছুই বুঝে উঠতে পারল না। খালি নিজেকে বলল – কাল হয়তো চোটের কারণটা আবার বদলে যাবে। আর কারণ যাই হোক – তুমি জেনে করবেটা কী? সারথির জীবনী লিখবে নাকি?
ঋষভ খালি সারথির কপালের দাগটায় চুমু খেয়ে ওর গা থেকে নেমে আবার সমু্দ্রের চকচকে জলটায় চোখ রাখল।
পরদিন সারাদিন আবার সারথির দেখা নেই। অনেক নাকি কাজ। এতদিন ঋষভ সারথিকে একা সারথি বলেই জানত – যার আগে পিছে কেউ নেই। এক কৃষ্ণাকে দেখেছিল – কিন্তু সে বড় আলগা সম্পর্ক ছিল। এখন মনে হয়, যেন সারথির সঙ্গে সবসময় আর একটা মানুষ থাকে।
বিনোদ স্যার একবার এসে ঋষভের খোঁজ খবর নিয়ে গেলেন। বললেন, আসলে ওনারা একটা নূতন হোম-স্টে খুলছেন কাছাকাছিই, তো সেখানে ইন্টিরিয়র ডেকোরেশনের কাজগুলো সারথিই তদারক করে। ঋষভ একটা বাইসাইকেল ভাড়া করতে চেয়েছিল, দিয়ে গেলেন। সাইকেলে করে সে এই ব্যাকওয়াটার আর সমুদ্রের মাঝখানে একফালি কুজিপল্লি গ্রাম, যা আক্ষরিক অর্থেই একফালি, ঘুরে দেখছিল। এখানকার বিচগুলো টুরিস্ট বিচ নয়, লোকের ভীড় কম, প্রায় পাড়ার নিজস্ব বিচ বলা যায়।
এখানকার কিশোরবয়স্ক ছেলেরা বেশ স্বাস্থ্যবান, ফর্সা এবং অনেকটা জন্মগত ভাবেই পেশল শরীর। ফুটবল খেলার শেষে কেউ কেউ সমুদ্রে নেমে স্নান করছিল, কেউ কেউ বিচে বসে হাওয়া খাচ্ছে, কেউ বিচেই ফুটবল নিয়ে তখনও নাড়াচাড়া করে যাচ্ছে। তাদের ভেতরে ফুটবল অথবা অন্য কিছু নিয়ে হাতাহাতি খুনসুটি আবার পরমুহূর্তে নিজেদের মধ্যে ভালবাসাবাসি এসব দেখতে দেখতে ঋষভ ভাবছিল ওর নিজের দেশ আমেরিকায় ছেলেদের মধ্যে এই রকম ভালবাসা দেখা যায় না, আর এরকম অলসভাবে সমুদ্রের হাওয়া খেতেও কেউ আসে না। ওদেশে আউটডোর অ্যাক্টিভিটির অভাব নেই, কিন্তু সেগুলোও ‘অ্যাক্টিভিটি’ এবং সেগুলোরও একটা উদ্দেশ্য থাকতে হয়। সাইকেলটাকে পার্ক করে, সেও বিচের উপর একটা বড়সড় ভাঙা নৌকার ছায়া জোগাড় করে বালির উপরেই গা এলিয়ে দিল।
ঋষভ স্পষ্ট বুঝতে পারছে এটা স্বপ্ন – তবু দেখছে। সেই গোয়ার মত জালে জড়িয়ে গেছে। জড়িয়ে যাচ্ছে, জড়িয়ে যাচ্ছে। শেষে সারথি এসে হাজির হল। সে এখন আর সেই আগের বদমাস লোক নয়। নিজে যত্ন নিয়ে একটু একটু করে জালটা ছাড়াচ্ছে। এতক্ষণ ধরে ছাড়াচ্ছে, তবু জালের জট খোলে না, কিন্তু ঋষভের ভাল লাগছে। চলুক না হয় এ’রকম। কিন্তু ধুপ করে একটা ফুটবলের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। দুঃস্বপ্ন ভাঙলে কম খারাপ লাগে। এরকম ভাল স্বপ্ন ভাঙলে বেশি দুঃখ হয়।
বলটা ধাক্কা খেয়েছিল ভাঙা নৌকোয় – তাই অত শব্দ। বলটা জোগাড় করতে দু’টো ছেলে এল। ঋষভের হকচকানি খাওয়া অবস্থা দেখে প্রথমে ওরা একটু ভয় পাচ্ছিল, তারপর বেশ মজাই পেল – ঋষভের চোখমুখ দেখে আর ভিনদেশি লোক দেখে।
“কিছু মনে করবেন না স্যার। আমরা বুঝতে পারিনি এই ভাঙা নৌকোর ছায়ায় কেউ ঘুমোচ্ছে।”
বোঝার কথাও নয়। এমন জায়গায় কোনও স্বাভাবিক মানুষ ঘুমোয় না। তাও আবার ঋষভের মত ভদ্রলোক মানুষ। ঋষভ ততক্ষণে নিজের ঘুমভাব কাটিয়ে বলটা হস্তগত করে নিয়েছে।
“বলটা পেতে পারি স্যার?”
“না। পানিসমেন্ট। পাবে না।”
“কী করবে ওটা নিয়ে?”
“খেলব।”
“এসো।”
এত সহজে ভিনদেশি দুগুণ বয়সী লোককে ওরা খেলায় নেবে, ভাবতে পারেনি ঋষভ। ঋষভের মনে হচ্ছিল আমেরিকার নাগরিকত্ব সারেন্ডার করে এই ভারতবর্ষে থেকে গেলেই বেশ হত। জীবনে নানারকম উৎপটাং পরীক্ষা-নিরীক্ষা সে করেছে। এটা করতেই বা ক্ষতি কী!
লাঞ্চের সময় অল্প সময়ের জন্য সারথির দেখা পাওয়া গেল। বিনোদ স্যার নিজের হাতে সারথিকে খাবার বেড়ে দিলেন। ফ্রিজ থেকে দইয়ের ঘোল বার করে একটা বোতলে ভরে সারথির জন্য প্যাক করে দিলেন। পিঠে একটু হাত বুলিয়ে মালায়লম ভাষায় কি যেন বললেন। সারথি আবার রওনা দিল কাজে।
যার কাছে সব আছে, তাকে নূতন করে দেয়ার কিছু থাকে না। সারথির চোখমুখ দেখে ঋষভ বুঝতে পারে তার মধ্যে একটা সব পেয়েছির দেশের আনন্দ আছে। অর্থাৎ ঋষভের পক্ষে তাকে নূতন করে খুব বেশি কিছু দেয়ার সুযোগ নেই। মানুষের নিজেকে তখন খুব গরিব মনে হয়, যখন সে দেখে তার কাছে অনেক কিছু থেকেও এমন কোনও জিনিস নেই – যেটা সে কাউকে দিতে পারবে।
বিনোদ স্যার ঋষভকে বললেন, ফোর্ট কোচিতে প্যালেস আর পর্তুগিজ যুগের বাড়িঘর দেখে আসতে। সুন্দর সুন্দর বিখ্যাত কেরালা মুরাল পেন্টিং আছে প্যালেসে। ঋষভ একাই বেরিয়ে পড়ল। প্যালেসের দেয়ালে রামায়ণ পেইন্ট করা – রঙ ফিকে হয়ে গেছে – তবে অদ্ভুত সুন্দর। ভেবে অবাক হল – বাড়ির দেয়ালে রামায়ণ নিয়ে কিছু মানুষ বাস করত।
ফোর্ট কোচির সমুদ্রপাড়ে চাইনিজ ফিশিং নেট দেখতে দেখতে সে ভাবছিল, বছর দুয়েক আগে হয়তো মঞ্জুনাথের বিয়ে হয়ে যায়, সারথি কেরালা চলে আসে। তারপর মঞ্জুনাথের ছেলে হয়, সেই জন্য হয়তো সারথি ওর সাথে সব যোগাযোগ ছিন্ন করে দেয়। কপাল ফাটে। আবার পুরনো এবং পছন্দের ক্লায়েন্ট ডঃ শ্রীধরের সাথে হয়তো ও সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় নূতন লোক অর্থাৎ বিনোদ স্যারকে পাবার পর। আর বুড়োর পয়সার তো কোনো অভাব নেই। তবে এগুলো সবই ‘হয়তো’। সব জুড়ে জুড়ে গল্প সে নিজেই বানাচ্ছে, তাও সেই লোকটাকে নিয়ে যার সত্যি মিথ্যার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। ঋষভ নিজেই নিজেকে তিরস্কার করল এই বলে, “তোমাকে অন্যের জীবনের ঘটনাপঞ্জী জুড়ে জুড়ে গল্প বানাতেই বা কে বলেছে। আর কাউন্সিলার তো বলেইছেন, সবকিছুর কার্যকারণ না খুঁজতে। সবকিছুর অর্থ খুঁজে বার করার দায় তো তোমার নয়। সব অর্থ উদ্ধার করে কি তুমি পরমার্থ লাভ করবে নাকি?”
ফিরে এসেও সারথির দেখা নেই। ঋষভ নিজেকে বলল, সত্যিই অনেক কাজ। সবার জীবন তো আর তার মত, সিলিকন ভ্যালিতে দশ বছর ডলার রোজগার করে তারপর বাকি জীবন উল্টোপাল্টা ভাবনাচিন্তা করে কাটাবার জীবন নয়!
ডিনারের জায়গায় অন্য গেস্টদের সঙ্গে বসে ঋষভ ডিনার সেরে নিল। পাশের টেবিলের দম্পতিটিকে দেখে মনে পড়ে যাচ্ছিল অন্য একজনের কথা, যাকে হারানোর দুঃখ এখনও হয়, আর সেই দুঃখ কাটাতে সে অন্য সাত-পাঁচ ভাবনা নিয়ে বসে থাকে, আর নিজেকে আরওই দুঃখ দেয়!
রাত্রিবেলা ঋষভ বিছানায় বসে জেগেই ছিল, আর মধ্যে মধ্যে ঘড়ি দেখছিল। ঠিক সাড়ে বারোটার সময়, দেখা দিল তার নিশাচর সঙ্গী, সারথি!
“আজ ঘুমোওনি দেখতে পাচ্ছি!”
গতকালেরই বিচ, কিন্তু ঋষভের মনে হল সমুদ্র যেন অনেকটা এগিয়ে এসেছে। জোয়ার ভাঁটার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।
“তুমি যে আমার সাথে, তোমার ঘুমন্ত বিনোদ স্যার সে কথা জানে?” সারথির পিঠের উপরের বালিগুলোতে আঙুল দিয়ে আঁকিবুকি করতে করতে ঋষভ জিজ্ঞাসা করল। সারথির পিঠের ভিজে বালিতে চাঁদের আলো পড়ে চকচক করছিল।
“উনি আমার স্বাধীনতায় বাধা দেন না।”
সারথির কোন কথাটা সত্যি – কোনটা নয়, সেটা তিন বছর আগেও বোঝা যেত না, এখনও যায় না। অতএব ঋষভ তার কোনো কথাই মৌখিক সত্যতার ভিত্তিতে নেয় না! তাছাড়া এইসব প্রশ্নোত্তরে রাতটাকে নষ্ট করার মানে হয় না। রাত্রিবেলা ছাড়া তো আর অন্য সময় সারথি দেখা দেবে না! আর দেখা দিলেও, সে রাতের এই জ্যোৎস্নাস্নাত রূপ হবে কিনা জানা নেই!
ঋষভের ইচ্ছা হচ্ছিল এই চাঁদনি রাতে, সমুদ্রের জলে নাবতে। সারথি সাবধান করল, “ঢেউ বিশেষ নেই, তবে বিচের স্লোপ অনেক, স্নানের পক্ষে সুবিধার নয়। চলো তোমায় পাশের বিচে নিয়ে যাচ্ছি, ওটা অনেক সুবিধের।”
বিচ হপিং করে করেই দুজনের অনেকটা রাত কেটে গেলো! এদিকে ঘুমের চোখে ঋষভের প্রায় নেশাগ্রস্তের মতো অবস্থা। কিন্তু সে ঘরে ফিরতে চায় না! প্রায় মাতালের মতো অবস্থায় সে বলল, “ভাই সারথি, তোমার হোম-স্টেতে থাকলে তো তুমি আমায় পাত্তা দেবে না। তোমার বিনোদ স্যারের সেবা করবে। তুমি হচ্ছ অনেকটা ভ্যাম্পায়ারের মতো, দিনের বেলা আমার সামনে আসো না, আর রাত্রিবেলা তোমার ডানা গজায়, কোন কোন দেশে উড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছো আমায় তার ঠিক নেই।”
“ঘরে চলো। প্লিজ।”
“কোনো ক্ষতি নেই, তুমি খালি রাতে এসে দেখা দিলে। দিনের বেলা না হয় ওনারই সেবা করলে। রাতটা না হয় আমি পাই!”
“আমি সুপারম্যান নই। রাতে ঘুমোতেও হয় আমায়।”
পরদিন সকালে ঋষভ নিজেকে পেল একটা গাড়ির পিছনের সিটে শোওয়া অবস্থায়। সামনে বিনোদ স্যার গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁর পাশের সিটে সারথি মাথা নিচু করে বসে! ভোরবেলা উঠে সারথিকে দেখতে না পেয়ে, তন্ন তন্ন করে বিভিন্ন বিচে গিয়ে খুঁজেছেন বিনোদ স্যার।