এই সময় Wittgenstein-এর সঙ্গে ব্রিটিশ গণিতবিদ-দার্শনিক Frank Plumpton Ramsey দেখা করেন এবং তাঁর সঙ্গে ট্রাক্টেটাস গ্রন্থ নিয়ে কিছু আলোচনার পর Wittgenstein-এর মনে হতে থাকে এই গ্রন্থে কিছু গোলমাল থেকে গেছে। এই Ramsey ট্রাক্টেটাস গ্রন্থ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন এবং Wittgenstein-কে পুনরায় দর্শনের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ১৯২৫ সালে দশ বছর বিরতির পর তিনি আবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনচর্চায় ফিরে আসেন এবং আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট শেষ না করা সত্ত্বেও অসামান্য ট্রাক্টেটাস গ্রন্থটির জন্য মূলত Bertrand Russell ও George Edward Moore-এর সুপারিশে তাঁকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। দর্শনে ফিরলেও Wittgenstein-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয়ে দাড়ায় তাঁর স্বতঃপ্রণোদিত ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রা। ১৯২৬-১৯২৮ তিনি বোনের গৃহ নির্মাণের জন্য স্থপতির কাজ করেন। অসামান্য এই বাড়িটি আজও সংরক্ষিত আছে এবং স্থপতি হিসেবে Wittgenstein-এর নাম লেখা আছে। ১৯৩০-১৯৩৬ কেমব্রিজে পড়ানোর সময় ছাত্রদের মনে হয়েছিল তাঁর ক্লাসরুম যেন একটি জীবন্ত দার্শনিক গবেষণাগার। প্রথাগতভাবে কিছু ভেবে এসে পড়াতেন না বরং তৎক্ষণাৎ তাঁর মনে যে দার্শনিক ভাবনার উদয় হত তিনি তাই নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে আলাপে মজে যেতেন। মাঝে মাঝে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে ক্লাসের মধ্যে সম্পূর্ণ চুপ করে বসে থাকতেন, ছাত্ররাও এই আত্মমগ্ন ভাবের পরিবেশকে অক্ষুণ্ণ রাখত। ১৯৩৬ সাল নাগাদ শ্রমিকের কাজ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন চলে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু সোভিয়েত দেশ রাজি না হওয়ায় তা আর হয়ে ওঠে নি। নৈতিক শুদ্ধতার কথা যা ইতিপূর্বে বলা হয়েছে সেই স্পৃহা পরেও বহাল ছিল, তাই জানা যায় ১৯৩৭ সাল নাগাদ তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের কাছে খ্রিস্টীয় রীতি মেনে কনফেসান করেছিলেন। ১৯৩৯ সালে কেমব্রিজে George Edward Moore-এর জায়গায় তাঁকে অধ্যাপকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং তাঁর মনে হতে থাকে চারিদিকে বিশ্বযুদ্ধ চলছে এর মধ্যে অধ্যাপকের কাজ করে যাওয়া নৈতিক ভাবে উচিৎ যায় না। তাই নিজের পরিচয় গোপন রেখে একটা খুব সাধারণ কাজ খুঁজতে শুরু করেন এবং লন্ডনের গাইস হাসপাতালে পোর্টার বা কুলির কাজ নেন। এখানে কিছুদিন কাজ করার পর নিউক্যাসেলে একটি মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিটে টেকনিশিয়ানের কাজ করেন। যুদ্ধ শেষ হলে তিনি আবার কেমব্রিজে অধ্যাপনার কাজে ফিরে আসেন কিন্তু ‘ফিলজফিকাল ইনভেস্টিগেশানস’ নামক গ্রন্থটি রচনার জন্য অধ্যাপনার কাজ থেকে ১৯৪৭ সালে অবসর নিয়ে নেন। পেশাগত দার্শনিকদের উপর করা উত্তর আমেরিকার একটি সার্ভেতে এই ‘ফিলজফিকাল ইনভেস্টিগেশানস’ গ্রন্থটিকে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ট্রাক্টেটাস গ্রন্থটির স্থান ছিল চতুর্থ। অবসরের পর আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় নিভৃতে বসবাস করতে থাকেন এবং লেখালেখি চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯৫১ সালে ক্যান্সারে তাঁর মৃত্যু হয়। শেষ দেড় বছরে ‘অন সারটেনটি’ বলে যে লেখা গুলি লিখে গিয়েছিলেন পরবর্তীকালে এপিস্টেমলজির যুগান্তকারী কাজ হিসেবে সেগুলি স্বীকৃত হয়ে আছে। ‘ফিলজফিকাল ইনভেস্টিগেশানস’ ও ‘অন সারটেনটি’ তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়।
‘What is your aim in philosophy - to show the fly the way out of the fly bottle’, ‘ফিলজফিকাল ইনভেস্টিগেশানস’ গ্রন্থে তাঁর এই উক্তিটি ট্রাক্টেটাস উত্তর Wittgenstein-এর দর্শনের ভরকেন্দ্র। পূর্বে অর্থপূর্ণতা ও অর্থহীনতা নিয়ে যে আলোচনা করা হয়েছে পরে Wittgenstein সেই অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে আসেন। ‘নেমস’ ও ‘অবজেক্ট’-এর পারস্পরিক সম্পর্কের ভিতর দিয়ে তিনি যে ভাবে চিন্তা-ভাষা-বাস্তবের মধ্যে সীমারেখা টানার প্রয়াসী হয়েছিলেন সেই বেড়া তিনি ভেঙে দেন। এই জন্য অনেকে তাঁকে ‘উত্তর-আধুনিকতার’ পূর্বসূরি বলে। চিন্তা-ভাষা-বাস্তবজগৎ আলাদা আলাদা এই ধারণা থেকেই সীমারেখা টানার প্রয়াসী হয়েছিলেন, কিন্তু পরে বলেন এই ধারণা ঠিক নয়। কারণ একটি বস্তুও ভাষার কাজ করতে পারে, প্রাত্যহিক জীবনে এহেন উদাহরণের অভাব নেই। পূর্বে যে অবরোহী পদ্ধতির কথা বলেছিলেন, এখন বললেন ঐ ভাবে ভাষাকে বোঝা যাবে না, ভাষাকে বুঝতে গেলে তার ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে বুঝতে হবে। অর্থাৎ, যে ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে ভাষা প্রাণ পায় সেই দিকে নজর দিতে হবে। বাক্যের ও শব্দের অর্থ নির্ভর করে পরিস্থিতি, পটভূমি ও ব্যবহারের উপর। তার মানে আরোহী (a posteriori) পদ্ধতির দিকে চলে এলেন যা পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা নির্ভর। আসলে ভাষার যে ডিটারমিনিস্টিক সেন্সের (সুনির্দিষ্ট অর্থ) কথা বলেছিলেন যা ছাড়া কমিউনিকেশন হয় না, পরে তিনি বললেন ডিটারমিনিস্টিক সেন্স ছাড়াও কমিউনিকেশন হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ‘ইট’ শব্দের অর্থ বস্তুটির মধ্যে নেই, আছে ভাষায় তার ব্যবহারের মধ্যে। ‘এই বস্তুকে ইট বলে’ বলে যে বস্তুটিকে দেখান হল তাকে ইট শব্দের অর্থ বলা যায় না কারণ তা হলে ইট বস্তুটি ভেঙ্গে গেলে আমাদের বলতে হয় ‘ইট শব্দের অর্থ কিছুটা ভেঙ্গে গেল!’। এইজন্য শব্দের পর শব্দ দিয়ে সাজানো ভাষার কোনো ডিটারমিনিস্টিক সেন্স থাকে না, তা সত্ত্বেও কমিউনিকেশন হয়, কারণ অর্থটা ভাষায় তার ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়। দাবা , গলফ এবং সাঁতার এই তিনটির মধ্যে খেলার কোনো সাধারণ (common) গুণাবলী না থাকা সত্ত্বেও আমরা এদের খেলা হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি কী ভাবে? Wittgenstein একে বলেছেন ‘পারিবারিক সাদৃশ্য’ (family resemblance), অর্থাৎ খেলার যদি কোনো সারধর্ম থেকে থাকে তবে সেটা হল তার ব্যবহার পদ্ধতি। একাধিক আসবাব বিভিন্ন ঘরে বিভিন্ন ভাবে বিন্যস্ত হয়ে সেই সেই ঘরের পৃথক পৃথক অথচ অর্থপূর্ণ সংজ্ঞা হয়ে ওঠার মত ব্যাপার অনেকটা! পরিশেষে Wittgenstein বলছেন ভাষার এই গঠনের জন্যই, এই স্বতঃস্ফূর্ত ব্যবহারের জন্যই, যুগ যুগ ধরে চলে আসা দার্শনিক প্রশ্ন/সমস্যাগুলির কোনো উত্তর/সমাধান হয় না। আসলে আমরা যেমন সহজেই প্রশ্ন করে থাকি ‘কম্পিউটার কী?’ বা ‘ডাইনোসরের অস্তিত্ব আছে কি না?’, তেমনই ভাষার এই গঠনগত ও ব্যবহারগত সাযুজ্যের জন্য একই ভাবে প্রশ্ন করে ফেলি ‘পরম সত্ত্বা কী?’ বা ‘ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি না?’। যেন ‘কম্পিউটার কী?’ বা ‘ডাইনোসরের অস্তিত্ব আছে কি না?’ এই প্রশ্নগুলি করা যায় ও এর উত্তর আছে বলে আমাদের ধারণা জন্মায় ‘পরম সত্ত্বা কী?’ বা ‘ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি না?’ এই প্রশ্নগুলিও করা যায় এবং এগুলিরও উত্তর আছে। Wittgenstein-এর মতে এই প্রশ্নগুলিই আসলে শুদ্ধ প্রশ্ন নয়! দার্শনিকেরা এই ব্যাপারটিই এতকাল বুঝে উঠতে পারেননি। দর্শনের কাজ তাই এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া নয়, এই সমস্যাগুলি যে আসলে সত্যিকারের সমস্যা নয়, এই প্রশ্নগুলোই যে আসলে শুদ্ধ প্রশ্ন নয় এটা স্পষ্ট করাই দর্শনের কাজ। একেই তিনি বলেছেন ‘to show the fly the way out of the fly bottle’। তথ্যের উদাহরণ দিতে গেলে বলতে হয়, একজন চোর যেমন একজন পুলিশকে দেখতে পেলে আর চুরি করে না, একই ভাবে আমাদের ধারণা হয় আমাদের পাপ পুণ্য দেখার জন্য একজন সর্বময় পুলিশ আছেন! কিন্তু তারপরেও একজন ধার্মিক সব বুঝেও পাপ কাজ করেন ও পরিতাপে কাল্পনিক সর্বময় পুলিশের সম্ভাব্য শাস্তি প্রদানের ভয়ে কাঁপেন! Wittgenstein তাই সমাধান না হওয়া ঐ সব দার্শনিক সমস্যাগুলিকে ‘Sickness of intellect’ বলেছেন। তাই অনেকে তাঁর দর্শনকে নিদানমূলক (therapeutic) দর্শন বলে। এই প্রশ্নগুলিকে Wittgenstein ভুল প্রশ্ন বলেন নি বা এগুলি মনে জাগা উচিৎ নয় তাও বলেন নি, বলেছেন এগুলির উত্তর ভাষার ঐ চৌহদ্দিতে পাওয়া যাবে না, এরজন্য জীবনযাপনের ধরণ পাল্টানোর প্রয়োজন আছে। উল্লেখিত তিনটি গ্রন্থে তাঁর মৌলিক চিন্তার যে পরিচয় পাওয়া যায় Wittgenstein মনে করতেন নৈতিক সাহস ছাড়া তা সম্ভব নয়। ‘দর্শন’ আরামকেদারায় বসে চিন্তা করে যাওয়ার মত ব্যাপার নয়। নৈতিক সাহস জীবনের দাম দিয়ে অর্জন করতে হয় এবং আত্মপ্রতারক হলে অর্থাৎ যা সে প্রকৃতঅর্থে সত্য বলে উপলব্ধি করে না কেবল নিজস্বার্থে দর্শন হিসেবে প্রচার করে তাই দিয়ে কোনো কিছুই সমৃদ্ধ হয় না। আত্মপ্রতারণা না করে জীবন যাপন করাকে তিনি সব থেকে কঠিন কাজ বলে মনে করতেন। ঐ সব দার্শনিক প্রশ্নের সমাধান করতে হলে ভাষার কচকচি ছেড়ে জীবনযাপনের পরিবর্তনের ভিতরে এসে দাড়াতেই হবে না হলে বোতল থেকে মাছির মুক্তি নেই।
Wittgenstein মনে করতেন দর্শন ও জীবন বা জীবনযাপন সম্পৃক্ত! এই জন্য তাঁর দর্শন Liberation-এর দর্শন বা মুক্তির দর্শন হিসেবেও পরিচিত। Russell-কে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘How can I be a logician before I am a human being?’। এখানে এসে পূর্ব-পশ্চিম কোথাও একটা মিলে যায়। আদি ভারতে যাজ্ঞবল্ক্য, গার্গী, মৈত্রেয়ীরা তাঁদের নিজস্ব পথে দার্শনিক সমস্যাগুলির সমাধান খুঁজেছিলেন আর বিংশ শতাব্দীতে পশ্চিমে আরেকজন মনীষী দার্শনিক তাঁর নিজস্ব প্রতিভায় পৌঁছলেন প্রায় সেই একই পথে! সম্ভ্রমের ব্যাপার হল Wittgenstein আমাদের দেশে আধুনিককালে যার সঙ্গে তাঁর চিন্তা ও বুদ্ধির সবচেয়ে বেশি সাযুজ্য খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি তথাকথিত কোনো দার্শনিক বা ধর্মগুরু বা সমাজসংস্কারক ছিলেন না, ছিলেন মূলত একজন কবি। প্রকৃতপক্ষে যে উপনিষদীয় ভারত রবীন্দ্রনাথের আধুনিক উদার ও সংস্কারমুক্ত মনের অনুপ্রেরণা ছিল তার সাথে এসে মিশেছিল পাশ্চাত্যের যুক্তিবাদ ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, অন্যদিকে যুক্তিবাদী ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন Wittgenstein-এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি ছড়িয়ে দিয়েছিল উপনিষদীয় প্রজ্ঞা। মৃত্যুর আগে তাঁর বলে যাওয়া শেষ কথা ছিল, ‘Tell them I have had a wonderful life’।
অনেক ধন্যবাদ। এর আগে রে মঙ্কের "ডিউটি অফ জিনিয়াস " (প্রতিভার কর্তব্য ) পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো। কিছু জিনিস মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে গেছিলো, কিন্তু আপনি অনেকটাই দ্বন্দ্ব কাটিয়ে দিলেন।
@b এরকম পাঠ প্রতিক্রিয়া পেলে মনে হয় লেখার উদ্দেশ্যে কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তিনটে পর্ব পড়লাম। অনবদ্য।
এত thought provoking প্রবন্ধ অনেককাল বাদে পড়লাম। অসামান্য!
সমৃদ্ধ হলাম।
সংবরণ, অপ্রতিম খুব ভালো লাগলো তোমাদের প্রতিক্রিয়া পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ।
@বিপাশা অত্যন্ত ভালো লাগলো আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়ে।
মনোজ্ঞ রচনা . দর্শন এবং
ব্যক্তি সত্তা যেভাবে মিলে
গিয়েছে লেখাতে তা খুবই প্রসংশনীয়
@পার্থ, তোমার প্রতিক্রিয়া পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ।
@পার্থ, তোমার প্রতিক্রিয়া পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ।
দুরূহ একটি বিষয়কে এত সহজে বলা যায়! অতুলনীয়! এরকম ধরনের আলোচনা আরো আশা করছি।
@নিবেদিতা খুব ভালো লাগলো আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ।
লেখাটি বেশ ভালো লাগলো । আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় কোনভাবে?
@Chirayata Kushari খুব ভালো লাগলো আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়ে। অবশ্যই যোগাযোগ করা যায়, আমার ইমেইল আইডি: s.kino1980@gmail.com
অনেক ধন্যবাদ।
খুব সমৃদ্ধ হলাম। দার্শনিক Wittgenstein -এর ভাবনা ও জীবনের ওপর বাংলায় এইরকম সমৃদ্ধ ও প্রাঞ্জল আলোচনা পড়িনি। অনেক ধন্যবাদ।
বই আকারে পাওয়ার আশা রইল।
শুভদীপ যদি প্রফেশনাল দর্শনচর্চাকারী হন তবে ওনাকে অনুরোধ করব ইমানুয়েল কান্টের দর্শন নিয়ে কিছু লিখতে।
@বীথিকা অত্যন্ত আনন্দিত হলাম আপনার মতামত পেয়ে। সম্পূর্ণ লেখাটি পাঠ করে মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@b আমার সাধ্যমত অবশ্যই চেষ্টা করব ইমানুয়েল কান্টের দর্শন নিয়ে লিখতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।