এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  পারাপার

  • হেনরি মিলার, দীপক মজুমদার, একটি বই ও এক অসমাপ্ত তরজমা

    হিরণ মিত্র
    পড়াবই | পারাপার | ০৪ অক্টোবর ২০২০ | ৩২৭৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব তরজমা দিবস। সেই উপলক্ষেই এবারের ‘পড়াবই’ সজ্জিত তরজমা বিষয়ক চারটি রচনায়। লিখছেন: অমিয় দেব, হিরণ মিত্র, ঋতা রায় এবং গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
    ১৯৬৭। ক্যালিফোর্নিয়া। হেনরি মিলার সকাশে দীপক মজুমদার। বাঙালি কবিকে নিজের একটি বই উপহার দিলেন মার্কিন সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী। বইটি তরজমার চেষ্টা করেছিলেন দীপক মজুমদার। তিন বার। শেষ হয়নি। তিনবারই থেমে গেলেন একটি বাক্যে এসে। কেন? সেই অসমাপ্ত তরজমা-প্রচেষ্টার স্মৃতিচারণে হিরণ মিত্র


    আজ থেকে তিপান্ন বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়া শহরে এক বিরল দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, কবি দীপক মজুমদার মুখোমুখি হয়েছিলেন আধুনিক কিংবদন্তি (মার্কিন সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী) হেনরি মিলারের।




    ছবি আঁকছেন হেনরি মিলার (১৮৯১ – ১৯৮০)। ছবি সৌজন্য: http://hungryalistgeneration.blogspot.com



    দীপক মজুমদার (১৯৩৪ – ১৯৯৩)। ছবি সৌজন্য: http://hungryalistgeneration.blogspot.com



    ছিয়াত্তর বছরের বৃদ্ধ তখন মিলার। শোনা যায়, ওই সাক্ষাৎকার খোদ মিলারের বাড়িতেই নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রম করে। এ বিষয়ে হেনরি মিলার লিখেছেন, ‘দীপক আমার ভালোবাসার জগতের মানুষ, আমাকে উপহার দিয়ে গেল অসাধারণ কিছু মুহূর্ত।’ এবং এভাবেই ‘চিরঅবিশ্বাসী’ হেনরি-হৃদয়ের ‘আশীর্বাদধন্য’ দীপক মজুমদার হাতে পেয়েছিলেন ‘To Paint is to Love Again’, একটি পেপারব্যাক সংস্করণ। বর্তমান মূল্য আনুমানিক, বারোশো থেকে পনেরোশো আমেরিকান ডলার। নিলামে আরও বেশিও হতে পারে। এই বইটিতে মিলার আধুনিক চিত্রকলার বিষয়ে, নিজের ছবি আঁকা চর্চার বিষয়ে, বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা লিখে রেখেছেন। রয়েছে চোদ্দোটি রঙিন ছবি। মিলারের ছবিগুলি খুবই বিচিত্র। স্বপ্নঘেরা। এ নিয়ে একটু বিশদে আলোচনা করা যাবে। প্রথমে অনুবাদ নিয়ে কথা হোক। আশ্চর্য বিষয়, যা আমি কখনও বুঝতে পারিনি, আজও বুঝতে পারিনা, দীপকদা তিনবার একই জায়গায় থেমে গেছেন, অনুবাদ করতে করতে। ঠিক ঊনত্রিশ পাতায়। এমন এক জায়গায় যেখানে বলা হচ্ছে, শয়তানের রং কালো, ঈশ্বর সোনালি। ঠিক এই কথা শুরুর মুখেই বার বার দীপকদার কলম থেমেছে।





    দীপক মজুমদারকে উপহার দেওয়া হেনরি মিলারের সেই বই। বইটির প্রথম পাতায় মিলারের উপহার-বার্তা। ছবি সৌজন্য: হিরণ মিত্র



    শুরুটা কেমন ছিল? ‘কবে, কখন বা কীভাবে সেসব শুরু হল? প্রায়ই প্রশ্ন করি নিজেকে। ভাবতে ভালোলাগে। সেই রাত্তিরেই কি ব্রুকলিনের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কাচের প্রদর্শন-জানলায় রাখা টার্নারের ছবিগুলোর সামনে থ হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম যখন? নাকি আরও আগে, আরও এক রহস্যগন্ধী কায়দায়? লং আইল্যান্ডের গ্লেনডেল শহরে জন ইমহফ্‌-এর বাড়িতেও হতে পারে। তার দুই ছেলে জোয়ি আর টোনির সঙ্গে অসংখ্য তুমুল আনন্দের ছুটি কাটিয়েছি। জন ইমহফ-ই এখন জলজ্যান্ত ছবি আঁকিয়ে, যার অনুষঙ্গে আসি আমি। সে ছিল এক আলেমান দেশান্তরী। পাড়ার ও চারপাশের গির্জাগুলোর রঙিন কাচজানলা তৈরি হত তার হাতে, আর ঘন ঘুরঘুটে বাড়ির শুধুমাত্র ছাত্রদের ব্যবহারযোগ্য লম্ফর আলোয় বন্ধুদের উপহার দেবার জন্য সে এঁকে চলত নানা জলরঙের কাজ। এখনও তার গোড়ার দিককার কাজের একটি নিদর্শন আমার কাছে আছে। আমার তখন সাত-আট বছর বয়স। বাবা-মাকে সে ওই কাজটি দিয়েছিল। আজও যখনই তাকাই, অবাক হয়ে যাই এই ভেবে যে মানুষের হাত কী করে এমন আশ্চর্য সৃষ্টির খেলায় মেতে ওঠে! নিশ্চয়ই আতস কাচের তলায় সূক্ষ্ম ব্রাশ বুলিয়ে করা।’

    অনুবাদ এইভাবে এগোতে থাকে। দীপকদা এমনি অলস ছিলেন। সারাদিন কথা বলতেন, কথা, কথা, আর কথা। মেঝেতে বসতে ভালোবাসতেন। হাঁটু দুটো মুড়ে। শরীরটাকে পাকানো দড়ির মতো টান টান রেখে, একটু কুঁজো হয়ে বসে লিখতেন। হাতের লেখায় একটা তীক্ষ্ণতা বা কৌণিক ভাব ছিল, সমাজটাকে দেখতেনও ওই ভাবে। খুবই তিক্ত, কঠোর সমালোচক। লিখতে ছিল প্রচণ্ড অনীহা। কবিতা লেখা কাজ। কিন্তু লেখা বেরোত না। একটা অজুহাত ছিল যে, কোনো কথা লিখলেই নাকি মৃত হয়ে যায়। যতক্ষণ তাকে উচ্চারণ করা হচ্ছে, স্বর প্রক্ষেপণ ও সঠিক উচ্চারণে তার প্রাণ থাকে। সে সচল থাকে। যে মুহূর্তে তাকে আকার, অক্ষরে বাঁধা হল, সে কথা রূপ পেল ঠিকই, কিন্তু তা তার মৃত রূপ। যদিও আমি একথা বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করি না কারণ, আপাত মৃত্যু হলেও যদি তর্কের খাতিরে তাকে গ্রহণ করিও, সে আবার প্রাণ পায়, বেঁচে ওঠে, পাঠকের পাঠে। পাঠক তাকে বাঁচিয়ে তোলে। এ বিশ্বাস বা ভাবনা দীপকদার ছিল না। তাই লিখতেন না, শুধু বলতেন। অজস্র বলতেন। বলা শুরুর ধরনটাও ছিল বিচিত্র। জানি না, অনুবাদ কর্মের গল্পের মধ্যে তা বেমানান হবে কি না। তবুও বলা যাক।

    সকালে উঠে আমার বইয়ের তাকের সামনে, দুটো পা ফাঁক করে দাঁড়াতেন। ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের মতো, কিন্তু উলটো ‘ভি’। তারপর দুটো হাতে জোর তালি বাজাতেন। কেন কে জানে! তারপরেই দ্রুত ছোঁ মেরে একটা বই তাক থেকে খামচে তুলে আনতেন, এনেই আবার তালি। এবার বই সহ। বইটা খুলে যেত। দুটো পাতা দুদিকে খোলা। মুখের সামনে, যে-কোনো একটা শব্দের দিকে চোখ আটকে গেল। ব্যাস, কাজ শেষ। সেইদিনের ওই ইংরেজি শব্দের বঙ্গানুবাদ দিয়ে দিনের ও রাতের তর্ককথা, মীমাংসা, উত্তর পক্ষ, পূর্ব পক্ষ সবই সমাধা করা যাবে। বেশ কয়েক কাপ চিনি ছাড়া বা অল্প চিনি দিয়ে কালো কফি থাকবে তার পাশে। কাঁচা চারমিনার জিভের জলে ভিজিয়ে সুখটান থাকবে, মুঠি হাতের আঙুলের ফাঁকে। হাঁটুর উপর কয়েকটা চাপড় থাকবে, উত্তেজনা বশে, কথার ফাঁকে। এই রোগ আমার মধ্যেও ঢুকে গেছে, মাঝে মাঝেই আমি একা একা তালি বাজাই। কিন্তু কোনো অনুবাদের জন্য নয়!

    দীপক মজুমদার খুব একটা অনুবাদের কাজ করেননি। যদিও দুটো ভাষার উপর দখল ছিল ভালোই। বুদ্ধদেব বসুর তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র, যাদবপুরে। পড়াশোনা করতেন প্রভূত। তবুও খুবই বদনাম ছিল। পড়ুয়ারা নানা টিটকিরি দিত। মিলার সাহেবের স্তুতি কেউ ভালো ভাবে নেয়নি। কিন্তু উনি স্বহস্তে লিখেছেন। হেনরি মিলারকে তো আর বোঝানো যাবে না, দীপক কী! কবি-সাহিত্যিক বন্ধুরা মনে করত, দীপক একটি মূর্তিমান ‘ভাঁওতা’! দীপকদা দীর্ঘ দিন আমার বাড়িতে থেকেছেন। এখানেই ডেরা বাঁধেন বাধ্য হয়ে, কারণ স্ত্রী ত্যাগ করে, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছে, হঠাৎই। থাকার জায়গা নেই। চাকরি নেই। সে অন্য গল্প।

    যাই হোক সেই বইটির অনুবাদ প্রসঙ্গে ফিরি। বার বার অনুবাদ শুরু করছেন, নির্দিষ্ট পাতায় এসে থেমে যাচ্ছেন। রহস্য। ওই অসমাপ্ত অনুবাদকর্মটি আমি ‘আবাদ’ নামে আমার একটি ছোটো পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ করি। পরে মনফকিরা বই আকারে কিছু নির্বাচিত লেখা বের করে। খুবই খারাপ সম্পাদনা করে। তার মধ্যে এটি আশ্রয় পায়। অনুবাদ বহু রকমের হয়। ভাবানুবাদ, আক্ষরিক অনুবাদ, প্রাঞ্জল অনুবাদ। দীপকদার অনুবাদ এই তৃতীয় বিভাগের। খুবই প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য। বহু অনুবাদ আমি পড়েছি। বিশেষ করে চিত্রকলা নিয়ে। অসম্ভব কেঠো। ঠোক্কর খেতে খেতে যেতে হয়। আসলে বিদেশি আবেগ ও দেশি আবেগ এক গোত্রের নয়। বিদেশি আবেগকে দেশি পাত্রে পরিবেশন করার কায়দা রপ্ত করা দরকার। দীপকদার হাতে জাদু ছিল। এমনিতে অসাধারণ বাংলা লিখতেন। বিশেষ একটা দীপক ঘরানা। ওই সময় ওনার সমকক্ষ কমই ছিল। এটা দীপকদা বুঝে গিয়েছিলেন। তাতে আরও অনীহা বাড়ে। আর লেখা কমে যায়। একসময় থেমে যায়। এর একটা বিচিত্র উদাহরণ এখানে আনছি। তাও অনুবাদ সংক্রান্ত। ‘সাসা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে, আজও আছে। তার একটি পত্রিকা ছিল। নাম—মুভ ক্রাফট। মূলত ইংরেজিতে। অনেক বাংলা লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ হত। পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন প্রথম থেকেই দীপকদা। তার একটা কারণ, তার পরিচালকরা ছিলেন ওনার ছাত্রী। যাই হোক, এই পত্রিকার পরিপূর্ণ, অলংকরণ, ছাপা ইত্যাদি আমার দায়িত্বে ছিল। প্রতি সংখ্যার এক-একটা বিশেষ বিষয় থাকত। মূল বা কেন্দ্র-বিষয়। আমার কাজ ছিল একটি ডামি বা খসড়া বানানো। যেখানে ছবি, অলংকরণ, প্রচ্ছদ ও লেখার অংশগুলি চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ একটি শোভন পত্রিকা ওনাকে দেওয়া হবে। যার মধ্যে উনি ওই ছবি ও শূন্য অংশকে লেখা দিয়ে ভরাট করবেন। আশ্চর্য প্রস্তাব, ছবি বা অলংকার, লেখার পিছে পিছে আসার কথা। এখানে উলটো। ছবি আগে, লেখা পরে। অর্থাৎ, চিত্রের লিখিত অনুবাদ।

    অনুবাদে ফিরে যাই। হেনরি মিলার লিখছেন, “I was incapable of drawing a vase, let alone a leaf or a flower. As for the table on which the vase stood, well not even an acrobat could have kept his footing on the ones I made. Yes, as the teacher rightly said, it was hopeless to expect anything of me. I was an aesthetic leper, so to speak. To clinch it, I positively loathed the crabby bitch who reigned over us—a dried up spinster who talked of nothing but planes, shadows, perspective and such nonsense.”

    দীপকদার অনুবাদ— ‘কিছুতেই পাত্র আঁকতে পারতাম না। ফুল-পাতা তো দূরের কথা। যে টেবিলের ওপর পাত্রটা দাঁড়িয়ে থাকার কথা, আমার হাতে তার যা ছিরি হত, তাতে একজন বাজিকরের পক্ষেও তার ওপর কায়দা-কসরৎ মেরে দাঁড়ানো সম্ভব হত না। হ্যাঁ, আমাদের আর্ট টিচারও খুব সংগত ভাবেই আমার কাছ থেকে আর তেমন কিছু আশা করতেন না। আমি একধরনের নান্দনিক কুষ্ঠরোগী হয়ে উঠেছিলাম আর কি। এককথায়—আমাদের ওপর সবসময় ছড়ি ঘোরানোর জন্য এই খিটখিটে, রসকষহীন আইবুড়ো মাগীটাকে আমি নিশ্চিতভাবেই ঘেন্না করতাম। সারাক্ষণ তার মুখে ঘুরত ছবির সমতট, ছায়া, প্রেক্ষিত ইত্যাদি ফালতু ও নষ্ট কথাবার্তা।’




    To Paint is to Love Again বইটিতে দেওয়া হেনরি মিলারের আঁকা একটি ছবি। (সৌজন্য: হিরণ মিত্র)



    হেনরি মিলারের লেখায় একটা বিশেষ অভিব্যক্তি লক্ষ করি। কথা সাজানো, ভাব, বিশেষ বিশেষ ধরনের কথা-উচ্চারণ। লেখাগুলোর বা বলা যায় লেখকের মনোভাব ধরা দেয়। ঠিক সেই মনোভাবকেই দীপকদা, তার বাংলা তরজমায় আনতে চাইতেন। যে সমস্ত চলতি কথা আছে, যা মিলারও রেখেছেন, ওখানকার চলতিতে, তাকে বাংলার চলতি দিয়ে পূরণ করা। এইভাবে হেনরি মিলারের বঙ্গীকরণ হয়ে যায়। আমাদের দুর্ভাগ্য, অনুবাদটি অসম্পূর্ণ। অলস মানুষ, তাঁর অলসতা না কাটিয়ে খুবই অন্যায় করেছেন। আমাদের বঞ্চিত করেছেন। আমার আস্পর্ধা এই অসম্পূর্ণ কাজটিকে সম্পূর্ণ করার। তারপর প্রকাশ করার। ছবিগুলি প্রকাশ করার অনুমতি পাওয়া যাবে কি না জানি না। ছবিগুলি প্রকাশ করা খুবই জরুরি। মিলারের স্বপ্ন-জগতকে ছোঁয়া যায়। তাঁর না-পারা, অপটু হাতের প্রয়াস। প্রথমজীবনে শিল্প-ছাত্র হিসেবে ব্যর্থতা, পরে প্রেমকে চিত্রের মধ্যে আবিষ্কার করা। আশ্চর্য লাগে মূল লেখাটি পড়তে, ‘ছবি আঁকা মানে, আবার ভালোবাসা’। এই ‘আবার’ শব্দটা খুবই জরুরি। প্রেমিক তার প্রেমকে খুঁজবে, স্বাভাবিক। কিন্তু খুঁজছে অপটু চিত্ররচনার মধ্যে, আর প্রেমে পটু হয়ে উঠছে। অবাক প্রয়াস।




    গ্রাফিক্স: স্মিতা দাশগুপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ০৪ অক্টোবর ২০২০ | ৩২৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন