এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্য যৌনতা

  • লড়াই বাকী আছে

    সুদীপ্ত পাল
    অন্য যৌনতা | ০৪ আগস্ট ২০২০ | ৩৮৬৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • দুটো চিঠি- পরিচিত হরফে, ভাষাটা ভালভাবে বুঝতে পারি না- মোটামুটিভাবে পড়তে পারি। প্রথম চিঠিটা কয়েক পাতার- সুন্দর হাতের লেখা- ভাষাটা না বুঝলেও দেখে বলতে পারি বেশ পরিপাটি লেখা। দ্বিতীয় চিঠিটায় অনেক জায়গায় কাটাকুটি। আমি নিজে যখন কিশোর বয়সে কাগজে কিছু লিখতাম- এই পরিমাণই কাটাকুটি করতাম। অনেক কাটাকুটির মধ্যে এক জায়গায় দেখলাম আত্মহত্যা শব্দটা লিখে, কেটে দিয়ে, আবার লিখেছে। ছোট্ট একটা বানান ভুলের জন্য ঐ কাটাটা। আচ্ছা যখন ছেলেটি ঐ বানান ভুলটা করেছিল তখন কি অনেক উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিল? যখন লিখেও কেটে দিয়েছিল তখন কি একবার অল্পের জন্য হলেও ঐ ভাবনাটাকে নিজের মন থেকে কেটে বাদ দেবার ইচ্ছা তার হয়েছিল? উত্তর আমার কাছে নেই- থাকার কথাও নয়।

    এলেবেলে তিনটে ঢেউ দিয়ে আন্ডারলাইন করা শিরোনাম, আর ডায়রির পিনগুলোর উপর ডটপেন দিয়ে রং করা, আর কাটাকুটিগুলো দেখে মনে হচ্ছিল নিজেরই কিশোরবয়সে লেখা একটা ডায়রির পাতা। অসমীয়া ভাষা ভালভাবে বুঝি না, তাই সেই ভাষায় লেখা চিঠির আবেগ-অনুভূতিগুলো বোঝা সম্ভব নয়, কিন্তু ঐ যে ছোট ছোট জিনিসগুলো চোখে পড়ছে- সেগুলোও তো চোখ ঝাপসা করে দেয়। ছেলেটির মাথায় তখন কি চলছিল না জানতে পারলেও তার হাতটা কিভাবে চলছিল সেটা ঐ চিঠিটাই দেখিয়ে দেয়। চিঠিতে বেশ কয়েকবার শাস্তি কথাটা দেখলাম, ক্ষমা কথাটাও দেখলাম- কী অর্থে জানিনা- খুব বেশী পড়ার চেষ্টা করিনি- বা পরিচিত কাউকে দিয়ে অনুবাদ করানোর কোনও চেষ্টা করিনি। সে বাড়ীর লোকেদের শাস্তি চেয়েছে এটা মিডিয়া রিপোর্টে দেখলাম। ছেলেটির মা কিছুদিন আগে অসুখে মারা গেছে। এর জন্য তার সমকামিতাকে দায়ী করেছে তার পরিবার- বিশেষ করে বাবা আর দিদিরা- এটা বোঝা গেছে।

    অন্য ছেলেটির চিঠিটা খুব পরিপাটি। বারবার আশা শব্দটা দেখতে পেলাম। সাইন্স-আর্টস এসব পড়া নিয়ে কিছু একটা দ্বন্দ্ব- সেই নিয়ে আলোচনা। অনেক লম্বা চিঠি- যৌথ পরিবারের ছোটখাটো অনেক ঘটনার উল্লেখ- কিছু আর্থিক বিষয়ও একাধিক বার উঠে এসেছে। হয়তো আমি লেখাগুলো একটা চ্যাটবটের মত করে আধো-আধো বুঝে পড়ছি, কিন্তু জলজ্যান্ত মানুষের মত করে পড়লে বেশীদূর হয়তো পড়তে পারতাম না। সুইসাইড নোট পড়া সহজ কাজ নয়।

    নোটগুলো সোশাল মিডিয়ায় কিভাবে এসেছে জানিনা, তবে এটুকুন বোঝা অসম্ভব নয় যে ওরা দুজন চেয়েছিল এগুলো সর্বসমক্ষে আসুক। চিঠিগুলো যতটা বাড়ীর লোকেদের উদ্দেশ্যে লেখা তার থেকে অনেক বেশী বাড়ীর লোকেদের বিষয়ে লেখা। অনেক জমে থাকা ক্ষোভ নিয়ে লেখা। সুইসাইড নোটগুলো সোশাল মিডিয়ায় কীভাবে এল- ওরা দুজনই মৃত্যুর আগে সার্কুলেট করে গেছে নাকি ওদের মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে এসেছে আমার জানা নেই। প্রথমটা যদি সত্যি হয় তাহলে কেউ ঠেকানোর চেষ্টা কেন করল না জানা নেই। মিডিয়াতে বিশেষ কভারেজ নেই।

    একজন অভিনেতার আত্মহত্যা। সে সুইসাইড নোট রেখে যায়নি। হয়তো কোনো ব্যক্তিবিশেষকে দায়ী করতে সে চায়নি। কিন্তু মানুষ একজন অপরাধী খুঁজে বার করতে না পারলে শান্তি পায় না। আমাদের ক্রাইম স্টোরি চাই, সোশ্যাল মিডিয়ায় মব জাস্টিস করতে হবে তো! আমরা তাই পপকর্ন নিয়ে বসে যাই।

    এরা দুজন সুইসাইড নোট রেখে গেছে। একটা সমাজকে তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে। কিন্তু যখন পুরো সমাজটা দায়ী, তখন ঐ সমাজটা একজন অপরাধী খুঁজে তাকে লিঞ্চিং করার পাশবিক আনন্দটা পায় না, তাই মাথাও ঘামায় না।

    অভিনেতার ঘটনাটায় আমাদের কারণ খোঁজার খুব তাড়া ছিল। আমরা কারণ খুঁজি সমাধান খোঁজার জন্য নয়, ইতি টানার জন্য। একটা কনক্লুসনে পৌঁছলে নিজেকে বেশ বিজ্ঞ বলে মনে হয়, আর তাছাড়া নিজের কিছুটা দায় এড়ানো যায়। কারণ হিসেবে ব্যর্থ প্রেম যদি দেখাতে পারি তাহলে আমাকে মানসিক স্বাস্থ্যের মত জটিল বিষয় ভাবতে হবে না। আর একজন অর্থলোভী, বহুগামিনী প্রেমিকার গল্প টেনে আনতে পারলে তো আরও ভাল- পুরো সিরিয়ালের উপাদান হয়ে গেল। আমরা কেউ কেউ হয়তো একটু কম সংকীর্ণমনা- তাই ব্যক্তিবিশেষকে দোষ না দিয়ে সিস্টেমের ত্রুটি ধরলাম। নেপোটিজম বলে একটা নূতন শব্দও শিখলাম। এখন সোশাল মিডিয়াতে শুধু লেখা কপি-পেস্ট হয় না, আবেগেরও কপি-পেস্ট হয়, হলও! যাঁরা নেপোটিজম নিয়ে অনেক কথা কপি-পেস্ট করলেন তাঁরা নিজ কর্মক্ষেত্রে কীভাবে প্রচ্ছন্নভাবে নেপোটিজমকে উৎসাহ দেন বা নিজেরই অজান্তে নিজে নেপোটিজমের শিকার হন সেটা একবারও বললেন না- এটাই কপি-পেস্ট করা আবেগের ফল। কপি-পেস্ট আবেগ থেকে সৃষ্টি হয় আরেকটা জিনিস- গণ উন্মাদনা- মাস হিস্টিরিয়া। শাসক দলের একজন রাজ্যসভা সাংসদও ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামলেন- এমনকি একটা রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনের ইস্যুও হয়ে গেল।

    কিন্তু আসামের এই ছেলেদুটির গল্প তো ব্যর্থ প্রেমের গল্প নয়, বিশ্বাসঘাতকতার মশলাদার গল্প তো নয়ই। খুব সত্যিকারের নিখাদ একটা ভালবাসারই তো কাহিনী এটা। শেষ মূহুর্ত অবধিও মনে হয় ওরা একে অপরের হাত ধরেছিল।

    দুটি সমকামী ছেলের আত্মহত্যা করার ঘটনা নিয়ে কপি-পেস্ট করার মত আবেগ (এবং হ্যাশট্যাগ) বাজারে ছাড়া যায় না। ওটা নিয়ে আমরা চায়ের টেবিলে আলোচনা করতে পারি না যে। আর মাস হিস্টিরিয়ার উপাদান তো নেইই। আবেগ আর ভাবাবেগ ঠিক এক জিনিস নয়। আবেগটা নিজের ভিতর থেকে আসে। দ্বিতীয়টা অনেকটা গড্ডলিকাপ্রবাহের মত। একটা ধর্ষণের ঘটনার পর প্রচুর লোক আছে যারা "ডেথ পর রেপিস্ট" বলে হ্যাশট্যাগ দেয়। যাদের দায়বদ্ধতা থাকার কথা - সরকার, পুলিশ, আইনব্যবস্থা- এরাও কিন্তু চায় একটা সহজ ভাবাবেগ নিয়ে মানুষ মেতে থাকুক- কারণ খুঁটিনাটি সংস্কার অনেক সময়সাপেক্ষ, সংসাধনসাপেক্ষ কাজ। যেসব বিষয় নিয়ে গোষ্ঠী-আবেগ, ভাবাবেগ এগুলো জাগানো যায় না সেগুলো কম মনোযোগ পায়। তাছাড়া যে আবেগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা যে আবেগগুলো দিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধি করা যায়, সরকার এবং গণমাধ্যমগুলো কিন্তু চায় সেই আবেগগুলোকে বেশী বেশী করে ছড়িয়ে দিতে, অন্যগুলোকে চাপা দিতে।

    একটা আত্মহত্যার কথা শোনার পর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলাটা জরুরী অবশ্যই, আইনগত ভাবে কী কী করা যায় এই ধরনের ঘটনাকে ঠেকাতে সেটাও আলোচনা করা যায়- কিন্তু এই মূহুর্তে আবেগ, ভাবাবেগ, গণ-উন্মাদনা, গোষ্ঠী-আবেগের কথাই আমি বেশী করে বলছি। কারণ এগুলো পপুলার ন্যারেটিভকে আকার দেয়। একটা উদাহরণ দিই। কিছুদিন আগে একজন ইউট্যুব-শিল্পী ইউট্যুবার বনাম টিকটকার বিষয় নিয়ে একটি ভিডিও বানায়। মোটামুটি গল্পটা এরকম- ইউট্যুবার মৌলিক কনটেন্ট বানায়, টিকটকাররা বানায় না- অতএব ইউট্যুবার অনেক উচ্চশ্রেণীর মানুষ। টিকটকাররা হোমো, ছক্কা ইত্যাদি কারণ পুরুষদের মেয়েলি সাজ, মেয়েলি নাচ, আর পুরুষে পুরুষে ভালবাসা প্রদর্শন টিকটকে খুব প্রচলিত। অতএব টিকটকাররা অনেক নিম্নশ্রেণীর মানুষ। খুব অল্প সময়ে সেটি ভারতের সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত ভিডিও হয়ে দাঁড়ায়। মজার ব্যাপার যে ইউট্যুবই ভিডিওটা শীঘ্রই ব্যান করে মূলত হোমোফোবিয়ার জন্য। কিন্তু ঐ অল্প সময়েই ভারতে হোমোফোবিয়া এবং ট্রান্সফোবিয়া কীরকম তার একটা ঈঙ্গিত ঐ ভিডিওর জনপ্রিয়তা থেকে আমরা পেয়ে যাই। ভিডিওটা ব্যান হবার যেরকম প্রতিবাদের ঝড় বয় সেটা আরও ভয় পাইয়ে দেবার মত। অতএব ৩৭৭ তুলে নেবার পরেও কেন ঐ প্রেমিকযুগলকে আত্মহত্যা করতে হল সেটা আমরা বুঝতে পারি।

    ৩৭৭এর রায়ের পর সমকামিতা আর শাস্তিযোগ্য নয়- ভালো কথা- কিন্তু সমকামবিদ্বেষ বা হোমোফোবিয়ারও তো শাস্তি নেই। ছেলেদুটি সুইসাইড নোটে শাস্তি চেয়েছে- তাদের পরিবারের লোকেদের, সমকামবিদ্বেষের। এই ব্যাপারে আইন প্রয়োজন। সম্প্রতি আরও কিছু ঘটনা- বাংলার বুকেই- বিধাননগর থানায় একজন সমকামী ব্যক্তিকে পুলিশের আটক করে রাখা, বনগাঁয় একটি ছেলে ও তার মাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়া, গতবছর মাদারিহাটে একজন ক্রসড্রেসারের মব লিঞ্চিং ও হত্যা - এগুলো ঘৃণার ছবিটা বেশ বড় করে দেখিয়ে দেয়, হোমোফোবিয়া বা ট্রান্সফোবিয়া নিয়ে আইনের প্রয়োজনীয়তাটাও। তবে আইনের সংস্কারে সময় লাগে। ৩৭৭এর লড়াই তিন দশক ধরে চলেছে। তাছাড়া আইন যদি ৩৭৭এর রায় বা নালসা জাজমেন্ট দিয়ে কমিউনিটিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়ে থাকে, ভারত সরকার আবার কয়েক ধাপ পিছিয়ে দিয়েছে ট্রান্স-বিল এনে, এবং বাণিজ্যিক সারোগেসীকে প্রায় অবৈধ বানিয়ে দিয়ে।

    অবশ্যই আইনের প্রক্রিয়াগুলো চলবে। সমলৈঙ্গিক বিবাহকে স্বীকৃতি দেবার আইনি লড়াইও শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া নিজের গতিতে চলতে থাকবে। তবে মানুষের কাছে পৌঁছোনোর প্রক্রিয়াও আমরা চালিয়ে যাব। ইংরাজীভাষী এলিটের বাইরে আমাদের বেরোতে হবে- আমরা বেরোচ্ছিও- তবে অনেকদূর যাওয়া বাকী আছে।

    বলা হয় হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা কানের কাছে এসে সশব্দে তালি বাজায় কারণ শব্দ না করলে প্রান্তিক মানুষের বক্তব্য কেউ শোনে না। তাই শব্দ করতে হবে, ঢাকঢোল পেটাতে হবে, আমাদের আবেগগুলোকে অন্য আবেগের তলায় চাপা পড়তে দিলে চলবে না। বেরিয়ে আসতে হবে ক্ষোভগুলো যাতে সবাই দেখতে পায়, সবাই পড়তে পারে- তবে সুইসাইড নোটের আকারে নয়।



    লেখক পরিচিতি: সুদীপ্ত একজন স্ট্যাটিস্টিশিয়ান এবং বেঙ্গালুরুতে একটি বহুজাতিক সংস্থায় ডাটা সাইন্টিস্ট হিসাবে কর্মরত। উনি ওনার সংস্থার এলজিবিটি অ্যাসোশিয়েট রিসোর্স গ্রুপের প্রধান সঞ্চালক। সুদীপ্তর লেখা এলজিবিটি বিষয়ক ও অন্যান্য গল্প বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্য যৌনতা | ০৪ আগস্ট ২০২০ | ৩৮৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৫ আগস্ট ২০২০ ১৩:০২95928
  • গুরুত্বপুর্ণ লেখা।
  • একলহমা | ০৫ আগস্ট ২০২০ ২৩:২৫95940
  • গুরুত্বপূর্ণ লেখা।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন