এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ধারাভির ইতিকথা (পর্ব - ১)

    দময়ন্তী
    আলোচনা | বিবিধ | ২২ জুন ২০০৮ | ৭৬১ বার পঠিত
  • এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি - ধারাভি।
    মুম্বাইয়ের যে কোন অপরাধমূলক কাজকর্ম্মে ভদ্রসমাজের আঙুল ওঠে যে দিকে তা হল - ধারাভি।
    সেন্ট্রাল রেলওয়েজ আর ওয়েস্টার্ন রেলওয়েজের রেললাইনের মাঝামাঝি হৃদয় আকৃতির এক বিশাল ভূখন্ড - ধারাভি। এর তিন কোণায় মুম্বাইয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশান, মাহিম, মাতুঙ্গা আর সিওন। ১৭৫ হেক্টর জমির ওপরে গড়ে ওঠা ধারাভি বস্তিকে অনায়াসে ভারতবর্ষের একটি ক্ষুদ্র রেপ্লিকা বলা যায়। এখানে প্রায় সব ভাষাভাষি ও প্রায় সবরকম পেশার দশ লাখ লোক বাস করে। দশ লাখ, সংখ্যাটি সরকারী। বেসরকারী হিসাবে কত, তা কেউ অনুমান করারও চেষ্টা করে না।

    বস্তি শব্দটি এসেছে বসতি থেকে। ধারাভি অঞ্চলে বসতির অস্তিত্ব ছিল সেই সময়ও, যখন "বোম্বে' ছিল সাতটা দ্বীপের মত ভূখন্ডের সমাহার, মাহিম খাড়ি দিয়ে ভাগ করা। ধারাভি বসতির আদি বাসিন্দা গুজরাটের মৎস্যজীবি "কোলি' সম্প্রদায়। এরা মূলত: মাহিম খাড়িতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু সিওনের বাঁধটির জন্য মাহিম খাড়ি ক্রমশ: বুজে গিয়ে বোম্বে একটি অবিচ্ছিন্ন ভূখন্ডে পরিণত হতে থাকে। গড়ে উঠতে থাকে বোম্বে শহর। খাড়ি শুকিয়ে যাওয়ায় "কোলি'দের জীবিকা নির্বাহের সমস্যা দেখা দেয়, মৎস্যজীবি থেকে এরা ক্রমশ অন্য পেশায় সরে যেতে থাকে। শহর বাড়ে দ্রুত। হাত পা ছড়ায়। চাহিদা দেখা দেয় বিভিন্ন পেশার লোকের। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ জীবিকার খোঁজে এসে স্থায়ীভাবে থেকে যায়। শহরের রূপকাররা পরিকল্পনা করার সময় মাথায় রাখেন উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন আয়ের "ভদ্রলোক'দের কথা। কিন্তু ভুলে যান ঝাড়ুদার, সাফাইকর্মী, যোগাড়ে, রাজমিস্ত্রী, চর্ম্মকার ও আরও অজস্র সহায়ক পেশায় নিযুক্ত লোকের কথা শহরের বেড়ে উঠতে ও দৈনন্দিন কাজ চালাতে এদের শারীরিক শ্রমের প্রয়োজন, কিন্তু এদের যা আয়, তাতে এদের পক্ষে শহরে কোন বাসস্থানের ব্যবস্থা করা অসম্ভব। অতএব যেখানেই একটু ফাঁকা জায়গা, সেখানেই গড়ে উঠতে থাকে অস্থায়ী বাসস্থান, ঝুগগি-ঝোপড়ি, বসতিগুলি আস্তে আস্তে পরিণত হয় বস্তিতে, কর্তৃপক্ষ প্রথমে এদের না দেখার ভান করেন, যেন এক বিশাল সংখ্যক শ্রমজীবি মানুষের কোন অস্তিত্বই নেই --- তারপর বাড়তে থাকা শহরের প্রয়োজন হয় আরো ফাঁকা জায়গার -- তখন নজরে পড়ে অনেকটা জায়গা "বেআইনী দখলদার'দের দখলে রয়েছে --- ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বস্তিগুলি। মানুষগুলি আবার ভাসতে ভাসতে চলে আরেকটা ফাঁকা জয়গার সন্ধানে -- যদি এসে পৌঁছায় ধারাভিতে , তো নিশ্চিন্ত। তখন ধারাভি ছিল শহরের একেবারে প্রান্তে, বছরের অনেকটা সময় নোংরা জলেডোবা এক নীচু জমি -- গড়ে উঠল মস্তবড় এক বস্তি -- ধারাভি বস্তি।

    ধারাভির গড়ে ওঠা ও উন্নয়নের ইতিহাস কাছ থেকে দেখলে প্রথমদিকে আসা লোকজনদের মোটামুটি দুটো বিভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম দল হল মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন উপকূলের লোক। এরা প্রথমে বসতি বানিয়েছিল দক্ষিণ বোম্বেতে। কিছুদিন বাদে সেখান থেকে তাড়া খেয়ে আসে ধারাভিতে। একইভাবে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের কুমোররাও প্রথমে দক্ষিণ বোম্বে, সেখান থেকে বোম্বেরই আরও একটি স্থান ঘুরে শেষে আসে ধারাভিতে। "কুম্ভরওয়াড়া' ধারাভির একটি অন্যতম প্রাচীন অংশ। এই পরিযায়ী মানুষগুলির ভেসে বেড়ানোর ইতিহাস লক্ষ করলে রাষ্ট্রে উচ্ছেদ-নীতিরও খানিক হদিশ পাওয়া যায়। দ্বিতীয়্‌দল হল তামিলনাড়ু থেকে আসা চর্ম্মকারের দল, তামিলনাড়ুরই চাকলি, চিকি, মাইসোর পাক প্রস্তুতকারকের দল ইত্যাদি। উত্তরপ্রদেশের এম্ব্রয়ডারী কারিগররা এসে ধারাভিতে তৈরী পোশাকের কারখানা খোলে। ক্রমশ: ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে লোকজন এসে এখানে ছোটখাট কারখানা বা দোকান খুলে বসতে থাকে। ধারাভির ট্যানারিগুলি সরকার থেকে বেআইনী ঘোষণা করা ও পুলিশ দিয়ে ভেঙ্গে দেবার পরেও, উঁচুমানের লেদার প্রোডাক্টস যথেষ্ট সস্তায় পাবার জন্য যেতেই হবে ধারাভির মেন স্ট্রীটে। বিভিন্ন ভাষা, বিভিন্ন পেশা ও বিভিন্ন আচার আচরণের লোকের এক আশ্চর্য্য কোলাজ, ধারাভি।

    শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বিভিন্ন শিল্প, যথা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির বাড়বৃদ্ধির ফলে, একসময় শহরের উপকন্ঠে থাকা হার্টশেপের এই ভূখন্ডটি আজ একেবারে শহরের কেন্দ্রেই অবস্থিত। ধারাভির এই অবস্থানটিই তাকে করে তুলেছে এত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮০ সালে বেআইনী চোলাই প্রস্তুতের ঠেকগুলি ভেঙ্গে দেবার জন্য পুলিশী অভিযান চালান হয় আর তখনই ধারাভি প্রথম সকলের নজরে আসে। যদিও চোলাইয়ের ঘাঁটিগুলি পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায়ই গড়ে ওঠে ও লালিতপালিত হয়, তবুও একদিন হঠাৎই সবার ঘুম ভাঙ্গে, জরুরীভিত্তিতে ভাঙাভাঙি শুরু হয়। তো, সেইসময়ই ধারাভিতে জীবনযাপনের ন্যুনতম প্রয়োজনীয় জিনিষগুলির অভাব দেখে কিছু টাকা বরাদ্দ করা হয় বাসিন্দাদের জীবনযাপনের মান উন্নয়নের জন্য। তবে তা যৎসামান্য। এই ঘটনাটিকে বরং সরকারের তরফে ধারাভি ও তার অধিবাসীদের অস্তিত্ব স্বীকার করা বলে ধরাই ভাল। এরপরে ১৯৮৫ সালে জাতীয় কংগ্রেসের শতবার্ষিকী উৎসব পালনের সময় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ধারাভি পরিদর্শনে যান। তিনি বোম্বের উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেন, যার মধ্যে থেকে বেশ বড় একটা অংশ ধারাভির উন্নয়নে ব্যয়িত হয়। খুব ধীরে ধীরে ধারাভির পরিবর্তন শুরু হয়। যদিও এই "উন্নয়ন' খুবই ওপর ওপর কিছু লোকদেখানো কাজ। তবুও তাতে স্যানিটেশান ব্যবস্থা, পানীয় জল ইত্যাদির কিছু কিছু উন্নতি হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাত টাকা বরাদ্দ হয়েছে উন্নয়নের জন্য। কিন্তু ধারাভির ভেতরে জটিল সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিন্যাসের উন্নয়নের জন্য যে দূরদর্শিতা ও পরিকল্পনার প্রয়োজন, তা অধিকাংশ সময়ই অনুপস্থিত।

    ধারাভি জন্ম দেয় অনেক রূপকথারও। তামিলনাড়ুর উত্তর আর্কটের হাজি শামসুদ্দিন একদিন জীবিকার খোঁজে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন ধারাভির একটি অস্থায়ী কুঁড়েতে। চাল পাচারকারী হিসাবে কাজ শুরু করেন। বোম্বের সাবার্ব অঞ্চল থেকে ১ টাকা ১৪ পয়সা কিলো দরে চাল কিনে এনে ১০ টাকা কিলো দরে বিক্রী করতেন। আজ তিনি A1 চিকি ফ্যাক্টরীর মালিক। এ-ওয়ান চিকি (বাদামচাক্তি) শুধু নামে নয় গুণমানেও সেরা, অত্যন্ত জনপ্রিয়ও। আজ তিনি ধারাভির একটি হাইরাইজ বিল্ডিঙে একটি ফ্ল্যাটেরও মালিক। তাঁর গ্রাম থেকে জীবিকার খোঁজে আসা বহু লোক তাঁর ফ্যাক্টরীতে কাজ করে আর তাঁর মত এক সফল মালিক হবার স্বপ্ন দেখে। আছে তিরুনেলভেল্লি জেলা থেকে ট্যানারির কাজে আসা লোকজন। ১৯৬০ থেকে এদের বড় একটা অংশ বেআইনী চোলাইয়ের ব্যবসায় লেগে যায়। ১৯৮০তে প্রায় সমস্ত চোলাইয়ের ঠেক ভেঙে দেবার পর এরা ছড়িয়ে পড়ে চিকি, ইডলী বানানো, লেদার প্রোডাক্টস বানানো এবং আরো নানারকম ব্যবসায়। এদের অনেকেই আজ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী হিসাবে কর্মরত। ধারাভিই আজও এদের বাসস্থান। এরা যে অংশে বাস করে, সেখানে গেলে মনে হবে তামিলনাড়ুর একটি ছোট্ট গ্রামকে যেন তুলে এনে ধারাভির মাঝখানে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন শিশুগুলি নিয়মিত স্কুলে যায়, মহিলারা প্রতিদিন সকালে চুলে টাটকা ফুল গুঁজে কাজকর্ম করে।

    ১৮৫০ থেকে আস্তে আস্তে গড়ে ওঠা ধারাভিতে জাতপাতের ভিত্তিতে ভাগাভাগি ছিল, ঝগড়াও ছিল, কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ ও মারামারি ১৯৯২এর আগে ধারাভি দেখেনি। ধর্মের ভিত্তিতে এলাকা ভাগাভাগিও শুরু হয় ১৯৯২-৯৩ থেকেই। তখনই ধারাভির যত্রতত্র গজিয়ে ওঠে বিভিন্ন মাপের দেওয়াল। পেশাভিত্তিক বিভাজন আজও আছে। জাতভিত্তিক বিভাজন কিছু হাল্কা হয়ে এসেছে ধর্মভিত্তিক বিভাজন। অথচ ধারাভি শুধুই একটি বস্তি নয়, একটি আস্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট। মুম্বাই শহরের অর্থনীতিতে ধারাভির অবদান কিছু আছে কিনা, চলতি ভদ্রসমাজের ধারণা অনুযায়ী মুম্বাইয়ের ক্রাইম-রেট বৃদ্ধির জন্য ধারাভির অবস্থিতিই দায়ী কিনা -- এগুলি নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব।

    ধারাভির ইতিকথা আসলে একটি শহরের বেড়ে ওঠার ইতিকথা। বোম্বে থেকে মুম্বাই হয়ে যাওয়া শহরের বদলে যাওয়া জীবন ও জীবিকার ইতিকথা, উচ্ছেদের ইতিকথা, শিল্পোন্নয়নের কথা, বিত্তহীনের প্রতি রাষ্ট্রের এবং ধনীর মনোভাব ও দরিদ্রের বেঁচে থাকার কৌশল উদ্ভাবনের ইতিকথা।

    (চলবে)

    জুন ২২, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২২ জুন ২০০৮ | ৭৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন