এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ১৮ মার্চ ২০২০ ১২:৩১91523
  • একেবারে মনের কথাগুলি লিখেছেন, প্রতিভাদি!
  • Amit | 162.158.***.*** | ১৮ মার্চ ২০২০ ১২:৪৯91524
  • খুব নিষ্ঠূর সত্যি কথা গুলো। ভাবিনি আমাদের জেনারেশন-এই এগুলো দেখতে হবে। কোনোমতে পেরিয়ে যাবো ভেবেছিলাম গায়ে হাওয়া লাগিয়ে।
  • | ১৮ মার্চ ২০২০ ২১:২৩91537
  • সেই মানুষে মানুষে গড়ে তোলা অসাম্যের নগ্ন অসভ্যতা দেখছি। দেখেই চলেছি। আগামী ২০ দিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধেপ্রাপ্ত মানুষ গৃহসহায়িকারা আসা বন্ধ করেছে বলে তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করে ক্যাম্পাসে ঢোকা বন্ধ করার দাবী জানায়।
  • শিবাংশু | ১৮ মার্চ ২০২০ ২১:৩৮91539
  • সত্যি কথা, মিথ্যে মানুষদের গড়া...
  • প্রতিভা | 162.158.***.*** | ১৮ মার্চ ২০২০ ২১:৫৬91540
  • গৃহসহায়িকাদের নিয়ে এ পাড়াতেও তুমুল অসন্তোষ। আমরা সবাই মূলত এক বোধহয়।
  • একলহমা | ১৯ মার্চ ২০২০ ০২:০৯91543
  • আম্রিকায় আমাদের মত সাধারণ আয়ের মানুষদের জীবন থেকে গৃহসহায়িকাদের অস্তিত্ব লুপ্ত হওয়াটা আমাদের এই সংককটটা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
  • সে | 162.158.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ০২:৫৯91545
  • নাহ, একদম একমত নই। এ কীরকম মানসিকতা? এভাবেও চিন্তা করা যায়?
  • সে | 162.158.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ০৩:০২91546
  • প্রচুর ভুল তথ্য প্রতিভাদি। আপনি তথ্যসূত্র যাচাই করে লিখলেন, নাকি বায়াসড হয়ে?
    সব মানুষ সত্যিই এত নীচ? নাহ।
  • প্রতিভা | 14.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ১০:০৫91555
  • সে কে বলছি। কিসের তথ্যসূত্র ? কি ব্যাপারে বায়াসড ? একটু বুঝিয়ে বলুন।
  • অলকানন্দা | 162.158.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ১২:০৫91562
  • মানুষের মধ্যে মানবিকতার অভাব দিনদিন বেড়ে চলেছে এই বিষয়ে আমার অন্ততঃ কোনো সন্দেহ নেই। মনুষ্যত্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলে মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করবার অধিকার হারাবে। প্রকৃতির মানুষকে যতো না প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক বেশী প্রয়োজন মানুষের প্রকৃতিকে, এ কথা যদি আজও না বোঝে মানুষ তাহলে ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে কলহে ব‍্যস্ত লোভী আত্মসুখপরায়ণ মানুষ মুছে গেলেই বোধহয় আজ অন্য প্রজাতি বা এক কথায় পৃথিবীর জন্য ভালো!
  • সে | 162.158.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ১৩:২৭91566
  • "কি, বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা, শ্বশুর শাশুড়ি বা অন্য বয়স্ক আত্মীয় আছেন নাকি ? থাকলে মহা দুশ্চিন্তা বা নিষ্কৃতির আলোকরেখা দুইই হতে পারে। কারণ ৮০ বছরের বেশি বয়স হলে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ঢুকতেই দেওয়া হবে না।"
    "নিষ্কৃতির আলোকরেখা" -মানুষ এভাবেও ভাবে?

    "এখনো এইরকম হয়নি এদেশে, কিন্ত হবার সম্ভাবনা একশতে একশ। ইটালিতে এইরকম হতে যাচ্ছে এবং যে কারণে হতে চলেছে তার উপস্থিতি আমাদের দেশে বহুগুণ বেশি। " আজ্ঞে না, "নিষ্কৃতির" জন্য নয়।

    "আর আমাদের দেশে অতিমারীর সঙ্গে লড়বার যোগ্য কোনো পরিকাঠামোই নেই বলা চলে, সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা সর্বদা বাড়ন্ত। ডাক্তার দূরের কথা, শ্বাসকষ্টের রোগিকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ঠিকমতো দিতে জানে এরকম লোকই থাকবে না তখন।
    করোনা মহামারি আমাদেরকে তাহলে এক গভীর নৈতিক দ্বন্দ্বের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা কি বিনা চিকিৎসায় বাপ মাকে মরতে দেব ? আসন্ন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কে ঠিক করবে কে মরবে, কে বাঁচবে ?" - সবই সম্ভাবনা। কেউ জানে না বিনা চিকিৎসায় কে কাকে মরতে দেবে, এক্সট্রিম অবস্থায় পৌঁছলে তখনই জানা যাবে, এখন থেকে হিসেব কষতে বাধা নই যদিও। তবে মানুষ হিসেবে আমি নিজেকে যহতু অন্যদের চেয়ে বেশি জানি, আমি এরকম করব না, করি ও না, এবং আমার পাশ যাব্রা রয়েছেন তাঁরাও এমন মনোবৃত্তির কথা ভাবতে পারেন না।
    সরকারি পরিকাঠামোর অপ্রতুলতার সঙ্গে "আমরা কি বিনা চিকিৎসায় বাপ মাকে মরতে দেব " বাক্যবন্ধ জুড়ে দিলে সাড়া জাগানো প্রবন্ধ হতে পারে, কিন্তু তা আরোপিত। ইট ডিফার্স ফ্রম পার্সন টু পার্সন। মা ন সি ক তা। কার কেমন।
    বাকি বাক্যগুলো প্রায় সবই বিশ্বায়নের কুফল ও করোনা, ইত্যাদির পুনরাবৃত্তি। বড়োলোকের দেশগুলো কত খারাপ, এখানেও নারী পুরুষের বৈষম্য, কিছুটা রাজনীতি।
    আরেকটা শব্দের নাম ভালবাসা। প্রিয়জনের বয়স যতই হোক না কেন, ভালোবাসাটুকু দরকার। এর মধ্যে ধনী দরিদ্রের পার্থক্য হয় না। সেটা না থাকলে অবিশ্যি কিছুই বলর নেই।
    ইতালীকে ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়ন সাহায্য করছে না, এরকম ওয়ান লাইনার খুবই চাঞ্চল্যকর। কিন্তু ব্যাপারটা এত সররৈখিক নয়। দুয়েকটা নামজাদা কাগজে এরকম কথা লিখেছে বটে, সেসব রেফারেন্সের পেছনেও আছে রাজনীতি, অর্থনীতির খেলা। সেসব পড়ে নিয়েছি।
    আইসোলেশন এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং দরকার।
    ও হ্যাঁ ইয়োরোপে রোগীর চিকিৎসা কেমনভাবে হবে সেটা ঠিক করেন ডাক্তার এবং রোগী নিজে। বাইরের কেও নয়। সবকিছুই ভারত বা পশ্চিমবঙ্গের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এগুলো জানা সম্ভব নয়।

    এই লেখাটি নিয়ে আমি প্রশংসা করি নি, খুবই রিস্ক নিয়ে লিখছি, কারণ অনেক সময় সরাসরি প্রশংসা না পেলে লেখক খুব ই অপছন্দ করেন ( অন্য অভিজ্ঞতা থেকে বলছি), কিন্তু আমি অকপটতা প্র‌্যাক্টিস করি বলেই লিখলাম।
  • সে | 162.158.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ১৪:০৭91568
  • "গৃহসহায়িকা" (সহায়ক কেন লেখা হলো না সেসবও আমাদের বায়াস থেকেই আসছে, যাইহোক) ইয়োরোপের যেদেশে আমি থাকি সেখানেও সব ঘরে নেই। আমার ঘরে নেই, কিন্তু আমার চেয়ে কম আয় করে আমার মেয়ে, তার ঘরের কাজ করে দেবার জন্য সে লোক নিয়োগ করেছে। ব্যাপারটা আয়ের জন্য নয়, প্রয়োজনের কারনে। যিনি সপ্তাহে একদিন এই কাজ করতে আসেন, তিনি আইনত পারিশ্রমিক নেন (হাতে হাতে ক্যাশ টাকা নয়) এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিক। সেই কারনেই তিনি দারিদ্র‌্যসীমার ওপরেই থাকেন। এগুলো প্রাসঙ্গিক না হলেও বলে রাখা ভালো।
    তিনি কিন্তু সমস্ত নিয়ম মেনেই কাজ করেন, হাতে গ্লাভস পরে এবং যথাযথ সম্মানের সঙ্গে। ব্ল্যাকে কাজ করিয়ে নেওয়া অপরাধ শুধু নয়, অনৈতিকও। এসবই যে গরীব দেশ বড়োলোক দেশের তফাৎ তা কিন্তু নয়, এগুলো সততা এবং নৈতিকতার ব্যাপার। তবে যে পরিসরে লিখছি, সেখানে পরিসরটি এতই সরু, যে বোঝানো সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে।
    এবং মানুষ দিন কে দিন আরও অমানবিক হয়ে চলেছে আগের চেয়ে, এই স্টেটমেন্টও সরলরৈখিক।
  • প্রতিভা | 162.158.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ১৭:৪৩91576
  • সে- বাবু ( এখানেও আবার বায়াস খুঁজবেন না দোহাই, পছন্দমতো বাবু বা বিবি করে নেবেন), ঐ যে নিষ্কৃতি কথাটা তাতে আপনার বা আমার মা ন সি ক তাকে বোঝাতে চাইনি। ওটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাভাষার একটি অলংকার, যাকে বলে শ্লেষ। ওটা কোনো ব্যক্তিগত আঙুল তোলার ব্যাপার নয়, একটি ট্রেন্ডের সূচক।
    দেশ থেকে বেরনো কোনো খবরের কাগজ পড়েন? তাহলে নিশ্চয় দেখে থাকবেন কতো বৃদ্ধ বৃদ্ধা প্রায়ই পরিত্যক্ত হয় আপনজনের দ্বারা। এবং এরা সবাই হতদরিদ্র নয়।
    মুশকিল হল এই গুরুর দুচাট্টি ছেলেপুলে ছাড়া আমার কোনো এন আর আই বন্ধু নেই, কিন্তু এমন বিস্তর আছে যারা ঐ হতভাগ্যদের স্টেশন থেকে তুলে অল্প পয়সার বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। সরকারি হাসপাতালে দুর্গন্ধের মধ্যে রাত জাগে। ফলে আমাদের কাছে মনে হয় এটা নিষ্কৃতি খোঁজা। আর এটা নিশ্চয় একথা বলে না যে এখন লোকের মানসিকতা অনেক নীচে নেমে গেছে।

    অথচ উল্টোদিকটা নিয়েও আমরা ভাবি। শুধু স্বার্থপরতাই তো নয়, এই 'নিষ্কৃতি' খোঁজার পেছনে অন্য কারণও থাকে। যেমন দারিদ্র।বস্তির ঘিঞ্জি একটা ঘরে মলমূত্র মেখে বিনা চিকিৎসায় পরে থাকে যে বৃদ্ধ বৃদ্ধারা মৃত্যু ছাড়া তাদের নিষ্কৃতি কোথায় ? সন্তানের হয়ত পেট ভরে খেতে দেবার সামর্থ্যই নেই,ওষুধ তো পরের কথা। রাষ্টের কোনও দায় সেখানে থাকা উচিত ছিল কি ? দায়গ্রহণ না করলে সেইসব মৃত্যু তো রাষ্ট্রের পক্ষেও নিষ্কৃতির ব্যবস্থা করা হল, তাই নয় কি ?
    ওইজন্য শ্লেষ। কারো মা ন সি ক তা উলঙ্গ করবার জন্য ততটা নয়, যতটা অসহায়তা এবং অ ভি জ্ঞ তা থেকে।

    এ অব্দি করোনা নিয়ে এদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যত লেখা পড়েছি সবই সম্ভাবনা নিয়ে। তবে কি রোগ পুরো ফুটে বেরোবার পর আলোচনা শুরু হবে ? যে দেশগুলি ভুক্তভোগী তাদের অভিজ্ঞতার নিরিখে কোন আগাম আলোচনা করা যাবে না ? মানেটা এইরকম দাঁড়ালো যে যতক্ষণ আমি বা আপনি বুড়ো বাপ মাকে তাড়াচ্ছি ততক্ষণ ঐ ট্রেন্ড নিয়ে আমরা কোনো কথা বলতে পারব না !

    ইতালিকে সাহায্য না করার পেছনে যে যে কারণগুলো ভ্যালিড বলে মনে হয় সেগুলোর ওপর কোন লিংক বা আপনার নিজের লেখা আশা করছি। আমার মতো পাতি চিন্তকের সম্বল বলতে তো ঐ, দু একটি নামজাদা কাগজের অবজারভেশন। সেগুলো তো আপনি পড়েই নিয়েছেন।

    আসলে রাজনীতিই ঈশ্বর। এই লেখার প্রত্যেকটি প্রতিক্রিয়া গভীরভাবে রাজনৈতিক। বড়লোকেদের দেশ খারাপ এমন তো বলা হয়নি, বরং গরীব দেশের বড়লোকেরাও খারাপ এইরকম মনে হলে ঠিক হতো। এবং পুনরাবৃত্তি হলেই তা মিথ্যে হয়ে যায় না।

    সহায়ক কেন লেখা হয়েছে, তার কারণ খুব সিম্পল। এখানে খুব বড়লোক, ফিল্মস্টার, মাড়োয়ারি ইত্যাদি ছাড়া সহায়ক রাখা যায় না। দেশে ফিরলে এর সত্যতা খোঁজ নিয়ে দেখবেন। আমার সহায়িকা কিছুতেই গ্লাভস পরে না। ওর নাকি কাজ করতে অসুবিধে হয়। অনেক বাড়ির বৌরাও পরেনা। পাছে কেউ ঢঙ বলে।

    আমার বলার ধরণে রাগ করবেন না প্লিজ। আমি আপনার না - পসন্দে একটুও রাগ করিনি। দেশে ফিরলে একদিন আড্ডা দেবেন আমার সঙ্গে। বিদেশে বেশিদিন বসবাস করলে যে বিস্মরণে ভোগে মানুষ, সেগুলো কেটে যাবে এমন আশ্চর্য আশ্চর্য তথ্য আছে ঘোরাঘুরি আর সোশাল ওয়ার্কের কল্যাণে।
    বিশ্বাস না করলে, সুকুমার রায় শোনাব কিন্তু। মাথায় আমার শিং দেখে ভাই ভয় পেয়েছ কতই না / জানো না মোর মাথার ব্যামো কাউকে আমি গুঁতোই না / আমি আছি, গিন্নি আছেন, আছে আমার সাত ছেলে / সবাই মিলে ---- দেব মিথ্যে অমন ভয় পেলে।
    কবিতাটার নাম 'ভয় পেও না।'
  • শামীম আহমেদ | 162.158.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৬91580
  • এই লেখাটি বিভিন্ন দুষ্টুমি করার পর বিবেককে নাড়া দেওয়া, লজ্জায় মাথা নত করে কান লাল করে শোনা সেইসব দিদিমণিদের ভুল শোধরানোর সেশনের মত। এই অতিমারি সাংঘাতিক রূপ দেখায় নি এখনও, কিন্তু তাতেই কী কথাগুলো মিথ্যে হয়ে যায়? পার্টি-হুইহুল্লোড়-তাত্ত্বিক আড্ডার উষ্ণতায় আমরা সিনিয়র সিটিজেনদের ফেলে রাখি হিমশীতল একাকীত্বে। নিজেরই মনে পড়ল কতদিন মাকে ফোন করিনি। অসুস্থ শয্যাশায়ী মেহেরপুরের সেই যৃঁই মাসীমণির খবর নেওয়া হয়নি বহুকাল। একদা বাঘাটে তেজে লেখালেখি-বিতর্ক চালান এখন প্যারালাইজড-নিশ্চুপ শেখরকাকুরও খবর জানি না। সবাই হারিয়ে যাবেন। মাস দু'মাসের শোক-অপরাধবোধ শেষে সেই চলবে পার্টি-হুইহুল্লোড়-তাত্ত্বিক আড্ডা। যতটুকু সময় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারতাম, পাশে বসে গল্প শুনতে পারতাম সেটাই খরচ হবে ফেসবুকের বুদ্বিদীপ্ত বিতর্ক-তরজায়, ছুঁচোলো টুইটে। তবে সাময়িকভাবে হলেও লেখাটি পড়ে লজ্জায় যে কান গরম হল, সেটাই বা এই বিবেকহীনতার যুগে কম কীসে? 

  • সত্যজিৎ মজুমদার | 172.69.***.*** | ১৯ মার্চ ২০২০ ২০:২৪91584
  • সব সময়ের মতই সমস্যা আর দুঃশ্চিন্তার জায়গাটি আপনি সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছেন দি । অনাগত সমস্যাকে বুঝে ফেলতে যে দক্ষতা আবশ্যক তা আপনার আছে, সবার থাকে না । আর বিশ্বায়ন থেকে শুরু করে ভাইরাসের আক্রমণ, সব ক্ষেত্রেই যে প্রধান টার্গেট দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ, তাতে কোন সন্দেহ নেই । যারা চোখ বুজে আছেন তাদের কথা ভিন্ন ! অবশ্য দরিদ্রদের যে কি কি সমস্যা সেটা বুঝতেও তাদের সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান, বা ভাবনা প্রয়োজন হয়, তার জন্য একটু চোখ খুলে তাকাতে হয়, একটু নীচে নেমে আসতে হয়, অত কষ্ট সবার পোষায় না ।
    যাইহোক সত্যিই এ লেখা অনবদ্য, এবং তার সাথে ভীষণ প্রযোজনীয়, সামনের যে ভয়ংকর সময় আসছে তার জন্য মানসিক আর মানবিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য । এছাড়া আর কিছু করার নেই, কারণ সেই রাজনৈতিক কারণেই দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার যা হাল, তাতে হাতের মুঠোয় একরাশ নিরাশা ছাড়া আর কিছুই নেই রাখা ।
    সাবধানে থাকবেন দি, আর লিখবেন ।
  • কমল দাস | 162.158.***.*** | ২০ মার্চ ২০২০ ০৯:৩৬91600
  • আপনার লেখা গতানুগতিক চিন্তা থেকে বিলকুল দুরে। কি অসম্ভব এক পৃথিবী বিশ্বায়ণের মধ্য দিয়ে তৈরী হয়েছে। সভ্যতা, মানবিকতা,র পচা দগদগে ঘা টা হয়তো আমরা দেখতে চলেছি। অসাধারন লেখা।
  • প্রভাস চন্দ্র রায় | 162.158.***.*** | ২০ মার্চ ২০২০ ১২:৩২91606
  • খুব সত্যি কথা। বয়স্ক মানেই বাতিল। খবরে প্রকাশ, ইতালিতে(চীনে নয়) ষাটোর্ধ্ব মানুষের জন্য হাসপাতালের দ্বার রুদ্ধ। প্রকৃতির জগতে একটি কথা খুবই প্রচলিত, সার্ভাইবাল অফ দি ফিটেস্ট। মানুষের জীবনে, আমাদের দেশে কিন্তু আমরা এমন ভাবি না। আচ্ছা কম বয়সীরা কি কখনো বয়স্ক হবেন না !
  • বিপ্লব রহমান | ২১ মার্চ ২০২০ ০৯:২৩91639
  • করোনা এসেছে সভ্যতার মুখোশ ছিঁড়ে ফেলতে। 

    লেখা,  সে ও প্রতিভা দি'র বিতর্ক উপভোগ্য।

    কিন্তু সে'র বক্তব্যে কিছু অহেতুক শ্লেষ রয়েছে, নিছকই রজ্জুতে সর্প ভ্রম, বা পূর্ব ধারণা।  উড়ুক           

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন