ভাষা ও চেতনা সমিতি পশ্চিমবঙ্গের অগ্রণী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রতিষ্ঠা ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অন্নদাশঙ্কর রায় ও সম্পাদক ইমানুল হক।
মাতৃভাষায় শিক্ষা সরকারি কাজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন ভাষা ও চেতনা সমিতির লক্ষ্য। অশোক মিত্র শঙ্খ ঘোষ অরুণ মিত্র সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় অমিয় বাগচী অজিত পাণ্ডে প্রতুল মুখোপাধ্যায় দেবেশ রায় জ্যোতি প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় মৃণালিনী দাশগুপ্ত আজিজুল হক সহ বহু গুণী লেখক শিল্পী এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯৯ থেকে সারারাত বাংলাভাষা উৎসব ও পান্তাভাত শুঁটকি সহ সারাদিন বাংলা নববর্ষ উৎসব পালন শুরু করে সমিতি।
সমিতি দেশ ও বিদেশে বহু ত্রাণ কাজ করেছে।
১৯৯৯ রবীন্দ্রসদন নন্দন চত্বরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পাঠশালা চালু
১৯৯৯: স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বাংলাভাষায় প্রশ্নের দাবিতে সফল আন্দোলন। ২০০৪ এ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বাংলায় নামফলক লেখার দাবিতে যৌথ অভিযান চালায় ভাষা ও চেতনা সমিতি। আন্দোলনে যোগ দেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, অশোক দাশগুপ্ত, তপন মিত্র, রঞ্জন সেনগুপ্ত, সহ বহু লেখক সাংবাদিক, শৈলেন মান্না, সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য সহ বহু খেলোয়াড়, পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থপ্রতিম দেব, আসামের নীতীশ ভট্টাচার্য, পাটনার পূর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, শ্রীলেদার্সের কর্ণধার সত্যব্রত দে, সমর নাগ, দেবাশিস ভট্টাচার্যসহ বহু অভিনেতা, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পোদ্যোগী এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত বাংলাভাষা আন্দোলনের মানুষ।
১৯৯৯-এ ওড়িশা ত্রাণ
২০০০-এ মুর্শিদাবাদ ও গাইঘাটা বন্যা ত্রাণ
২০০০ ও ২০০২ গুজরাটে ভূমিকম্প ও গণহত্যা ত্রাণ
২০০৯ সুন্দরবনে বিস্তীর্ণ এলাকায় আয়লা ত্রাণ।। সুন্দরবনের ভিতর প্রথম যৌথ রান্নাঘর চালু। লাইব্রেরি চালু এবং গণবোনফোঁটা শুরু
২০১৫ কাশ্মীরে বন্যাত্রাণ
২০১৫ নেপালে গিয়ে ভূমিকম্প ত্রাণ
২০১৬ মানিকতলা খাল পাড়ে ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়ে ফুটপাতের পাঠশালা শুরু
২০১৬ থেকে কলকাতায় গণভাইবোনফোঁটা চালু
২০১৭ হাওড়া মালদা মালদহ রায়গঞ্জ ইটাহার সহ ২৫ টি এলাকায় বন্যাত্রাণ
২০১৮ কেরালায় বন্যাত্রাণ
২০১৮ মানিকতলা খাল পাড়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ফুটপাতের বই ঘর/ লাইব্রেরি চালু।। উদ্বোধক শঙ্খ ঘোষ
২০২০ করোনা পরিস্থিতিতে মানিকতলা খাল পাড়ে তিন মাস ধরে সাপ্তাহিক রেশন প্রদান ২০৩ টি পরিবারকে।
২০২০ আমফানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর সুন্দরবনের ১৯ টি গ্রামে ত্রাণ দেওয়া এবং ছয়টি গ্রামে যৌথ রান্নাঘর চালু।
দুই জায়গায় লাইব্রেরি/ বই ঘর চালু
২০২০ মানিকতলা খাল পাড়ে কম্পিউটার ও সেলাই শিক্ষাকেন্দ্র চালু
২০২১ ইয়াস ত্রাণ সুন্দরবনের গঙ্গাসাগর ছোটমোল্লাখালি বড়মোল্লাখালি এলাকায় যৌথ রান্নাঘর চালু। ছয়টি গ্রামে ত্রাণ
২০২৪ হাওড়া এবং হুগলি জেলায় বন্যাত্রাণ ও একজায়গায় যৌথ রান্নাঘর চালু
Bhasha O Chetona Samiti ভাষা ও চেতনা সমিতি hasha O Chetona Samiti ভাষা ও চেতনা সমিতি
Bhasha O Chetona Samiti
Emanul Haque II
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।