বছর দশেক আগে কর্পোরেট ট্রেনার হায়াসিন্থ আর্য্য লক্ষ করেন, কিছু কিছু মায়েরা তাঁদের বাচ্চা মেয়েদের সান্টা ক্লজের পোষাকে সজ্জিত পুরুষদের সাথে খেলতে দিতে ঠিক স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। এদিকে খ্রীষ্টমাসের সময় বিভিন্ন শপিং মলে, স্কুলে স্কুলে সান্টার চাহিদা বেড়েই চলেছে। তাঁর মতে এমনিতেও সান্টার স্নেহপ্রবণতা, ধৈর্য্য ইত্যাদি মেয়েদের স্বভাবে স্বত:স্ফুর্তভাবেই আসে। তাই তিনি ঠিক করেন মেয়েদের নিয়ে নিজস্ব একটি সান্টাবাহিনী গড়ে তুলবেন, "সান্টা ব্রিগেড'।
আর্য্যর গড়ে তোলা এই সান্টা ব্রিগেডে এখন জনা পঞ্চাশেক মহিলা আছেন। আর্য্য এঁদের শিখিয়েছেন সান্টার ঐ দাঁড়িগোঁফ, জোব্বা ক্যারি করা, সান্টার অভিনয়, ভয়েস মড্যুলেশান, যাতে নিখুঁত সান্টাসুলভ "হো হো হো' করতে পারেন ইত্যাদি। এছাড়াও বাচ্চাদের কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কিছু প্রশ্নোত্তরও তৈরী করান সান্টার ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য। তিনি অভিনেত্রীদের সান্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রশ্নগুলো খুব সাবধানে উত্তর দিতে শেখান, যাতে সান্টা সম্পর্কে মিথ বাচ্চাদের মন থেকে মুছে না যায়। বাচ্চারা অনেকসময় হ্যান্ডশেক করতে গিয়ে সান্টার হাতের দস্তানা টেনে খুলে নেবার চেষ্টা করে, সান্টার পাকা ভুরু, চুল, দাড়ি ধরে টানাটানি করে; তাই আঙুল ভাঁজ করে কীভাবে হ্যান্ডশেক করলে দস্তানা খুলে আসবে না, বা চুল, দাড়ি, ভুরু সব অক্ষত থাকবে সেসবও শেখাতে হয় তাঁকে।
তাঁর ব্রিগেডে যেমন গৃহবধু আছেন, তেমনি আছেন বিজনেস স্কুল থেকে পাশ করা তরুণী এম বি এ। পুণে শহরের "মম অ্যান্ড মি', ক্রসওয়ার্ড ইত্যাদি শপিং মলে এবং অন্তত দশটা প্রথম্সারির স্কুলে সান্টা ক্লজ সেজে যান সান্টা ব্রিগেডের মহিলারা। পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সী বিপিও কর্মী জেনিফার ইঞ্জিনীয়ার খ্রীষ্টমাসের সময় সান্টা সাজেন, কারণ সান্টা বাচ্চাদের মুখে যে খুশীর হাসি এনে দেয়, সেটা তাঁর কাছে একটা বড় প্রাপ্তি। জেনিফা র সাফল্যের হাসি হেসে বলেন যে আজ পর্যন্ত কেউ ধরতে পারে নি ফাদার খ্রীষ্টমাস সান্টা ক্লজের পোষাকের অন্তরালে তিনি আসলে একজন মহিলা।
বিস্তারিত:
http://epaper.dnaindia.com/epapermain.aspx?queryed=40&username=&useremailid=&parenteditioncode=40&eddate=12%2f23%2f2009