এক বাঁও
“তোমাকে আমি ঠকাবো না।এটা জেনে রেখো” ।নাচো বলেছিলো।কথাটা বিশ্বাস করার অবশ্য কোন কারণ নেই।নাচো যেসব জিনিষ বিক্রি করে তার মধ্যে মিথ্যে কথাও একটা।না করলে ওর সংসার চলবেনা।শুধু একরকম জিনিষ বিক্রি করলে কারুরই সংসার চলেনা আজকালকার দিনে।নাচো মিথ্যে কথা বিক্রি করে, বেনামী বারুদ(অনেক আগে থেকে বলে কয়ে,অনেক দাম দিলে তবে পাবেন)বিক্রি করে,পুরোনো হাতফেরতা মণি-মানিক বিক্রি করে(পাতা ছেঁড়া হলুদ বই,রং ফিকে হয়ে যাওয়া ছবি,আর কি কি চান?)।নাচো পাতা বিক্রি করে।সরল ভালোমানুষ ন্যাকাচন্ডী পাতা নয়... যা পুড়িয়ে ধোঁয়া দিলে ভুত পালায় সেই পাতা।ভুতের উপদ্রব খুব আজকাল সর্বত্র।খারাপ স্বপ্নের ভুত, অস্বপ্নের ভুত, ভুতেরই বাড়বাড়ন্ত!
নাচো'র কাছ থেকে আমি পাতা কিনি।শুকনো রঙের, উনোবুনো গন্ধের পাতা।খারাপ স্বপ্নদের দূরে রাখতে লাগে।অস্বপ্নদেরও।
একটা এত্তটুকুন কাগজের পুরিয়ার মধ্যে ফিকে সবুজ রঙের শুকনো শ্যাওলার মত দেখতে।হাতে নিতে গন্ধ পেলাম।জলের গন্ধ।খুব গভীর, শক্তিশালী জলের গন্ধ।কেমন মনে হয় ঐ গন্ধের মধ্যে থেকে সবুজ অতল চোখ দিয়ে জল আমার মনের মধ্যিখান অব্দি দেখে নিচ্ছে।চুম্বকীয় চোখ।চোরাস্রোতের ঘুর্ণির মত আমাকে টেনে ডুবিয়ে নিতে চায়!
নাচো বললো "তোমাকে আমি ঠকাবোনা।আমার ‘নানা’ আন্দিজের ওপার থেকে অনেক খুঁজে এ জিনিষ বাড়িতে এনেছিলো।বলেছিলো টাকাপয়সা দিয়ে ওর দাম হয়না।খুউব দরকার না হলে ওতে হাত দিসনা।"
--"তাহলে হাত দিলে কেন?"
--"খুব দরকার বলেই দিলাম।তাছাড়া অন্য কেউ হলে দিতামওনা।তুমি নাও।দেখবে কী রকম টনক নড়ে যাবে।এর দরকার তোমারই বেশি।"
কেন আমার দরকার বেশি তা জিজ্ঞেস করে কোনো লাভ নেই।হয়তো বলবে আমার কানের পেছনের রং নীল, বা হাতের তালু আটাকামা মরুভূমির মত চ্যাপ্টা,কিম্বা হয়তো আমার হাত-পায়ের পাতা হাঁসের মত জোড়া ....বা যাহোক একটা কিছু।আমি হাত বাড়ালাম।টনক হাতে-কলমে নড়তে কোনোদিন দেখিনি।নতুন অভিজ্ঞতা ভালো লাগারই কথা।
টাকাপয়সা দিয়ে যে জিনিষের দাম হয়না নাচো এক গুচ্ছ টাকাপয়সার বদলে সে জিনিষ আমার হাতে গুঁজে দিয়ে দ্রুত সরে পড়লো।আমি আন্দিজের ওপারের সেই অমূল্য গাছড়ার ধোঁয়ায় বুক ভরে নিলাম।
দু' বাঁও
এক জোড়া গভীর চোখ দিয়ে কেউ আমায় দেখছিলো।অদ্ভুত রঙের চোখ।ভোর হবার আগে আকাশের যেমন রং হয়।কিম্বা,মটরশুঁটির চিকণ ফুল যখন প্রথম পাপড়ি মেলে তখন তার যেমন রং থাকে।দুটো রং এক নয়।জানি।কিন্তু ঐরকমই এই চোখেরও রং এক থাকেনা।কখনো মনে হচ্ছিলো এ'রকম,কখনো অন্যরকম।
কে দেখে? কে?
-- "ওঃ,মুচ্ছো ভাঙলো তাহলে!আমার নাম ই-ব্রে।কিম্বা রি- চে।
এ কেমন ধারা নাম?
-- "তোমার জন্য সহজ করে বলছি তো তাই অমন শোনাচ্ছে...ইলিউশন ব্রেকার,কিম্বা রিয়ালিটি চেকার।"
--"কি আবোলতাবোল বকছেন মশাই?"
--"পছন্দ হলোনা?তাহলে ধরো স্বরূপ প্রদর্শক।অথবা রূপান্তরকারী।এগুলো পছন্দ হয়?"
ঐ হতচ্ছাড়া শ্যাওলাটার ঘোরে স্বপ্ন দেখছি নিশ্চিত!
--"ঐখানে ভুল হলো।স্বপ্ন এতদিন দেখছিলে।এখন জেগে উঠেছো।"
--"তাহলে কি এ টনক নড়ার ফল? আপনিই কি টনক?"
--"প্রথমটার উত্তর হ্যাঁ।দ্বিতীয়টার না।টনক নড়ার ফল বৈকি।কোনো ইলিউশন ভেঙে গিয়ে যখন রিয়ালিটি চোখে পড়ে সেই প্রক্রিয়াকেই প্রাকৃত ভাষা 'টনক নড়া' বলে।বই দেখে বললাম,এই সংজ্ঞাই তো দিয়েছে দেখছি...তবে আমি টনক নই।এত বড় বিশ্ব-প্রপঞ্চ,তায় এতগুলি প্রাণী।তাদের প্রত্যেকের এতগুলো রিয়ালিটি।সবার টনক হতে গেলে আমার অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি হবে যে!
--"নাচো মিথ্যে বলেনি তাহলে।টনক সত্যিই নড়েছে!কিভাবে নড়লো টের পেলামনা তো?প্রক্রিয়াটা দেখার ইচ্ছে ছিলো।"
--"পুরো মিথ্যে বলেনি।আজকালকার দিনে খাঁটি জিনিষ আর কোথায় পাবে?একটু আধটু খাদ সবেতেই থাকে।ঐদিয়েই চালিয়ে নাও না।"
চালানোর রাশ যে আদৌ আমার হাতে নেই তা আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম।তাতে অসুবিধার কিছু নেই।আমার কোথাও যাবার তাড়া নেই।এই ই-প্রো না রি-চ্যাং নাকি সু-ঔ-যস্ লোকটি কি চাইছে তা অব্শ্য এখনো বোঝা যাচ্ছেনা।তবে দুনিয়ায় সবকিছু বুঝতেই হবে এমনই বা কী কথা আছে?
--"আমি কিছুই চাইছিনা বাপু।আমার কাজ শেষ হয়েছে।আমি এবার গায়েব হবো।তারপর তোমার রাস্তায় তুমি কী করবে তার দায় তোমার।"
--"আহা কিসের রাস্তা,কিসের কী তাই তো বুঝে উঠতে পারলামনা।অবশ্য না বুঝলেও ক্ষতি নেই এখুনি তো বলছিলাম।তবু একটু ধরতাই দিয়েই দিন না কেন? কষ্ট করে সময় নষ্ট করে এদ্দুর এলেন,অমন কঠিন কাজটা করলেন।আমার না বোঝার জন্য পুরোটাই মাঠে মারা যাবে সে তো ভালো কথা নয়।"
--" তোমার কথাগুলো বড্ড আনাড়ীর মত হলো হে।দূরত্ব,সময়,এফোর্ট, ‘বোঝা’এই কোনকিছুরই কোনো অ্যাবসোলিউট মানে নেই। সব আপেক্ষিক,সব আরোপিত,সবই শুধুমাত্র ধারণা। তবে কিনা স্বরূপ দেখাতেই তো আমার আসা।কাজেই ক’টা কথা বলেই যাই। এই যে তোমাকে সবাই ‘তুমি’ বলে জানে,সে তুমি তোমাদের সময়ের ধারণা অনুযায়ী এতদিন এক রিয়ালিটিতে বাস করে আসছো।কিন্তু তোমার অস্তিত্বের যে তরঙ্গ তার কাঁপন আবার অন্য এক রিয়ালিটির তালে চলছে।এই দুই রিয়ালিটির চড়াই,উতোর,আড়, দীঘ কোনো দিক দিয়েই মিলছেনা।
--“বাপ রে!এমন একখানা কাজ এতদিন করে আসছি অথচ বিন্দু-বিসর্গ মালুম দেয়নি!এ কেমন অন্যায্য কথা বলুন?”
--“শুরুতেই তো বললাম, এতদিন স্বপ্ন দেখছিলে।ঘুমিয়ে থাকার সময় সবকিছু অন্যরকম দেখায়।তবে একেবারেই যে মালুম দেয়নি তাও ঠিক নয়।একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবে।তোমার জানা দুনিয়ার ধারণায় সেসবের কোনো ব্যখ্যা হয়না বলে ঐ সমস্ত ‘বিন্দু-বিসর্গ’কেই হয় অস্বীকার করে গেছো।নয়তো নিজেদের বুঝতে পারার গন্ডীর মাপে কেটেছেঁটে অন্যরকম মনে করে নিয়েছো।তা এখন জেগে উঠেছো, এবার সব দেখতে টেখতে পাবে আর কী!আমার কাজ ছিলো তোমায় খবরটুকু পৌঁছে দেওয়া।এবার কেমন করে বাকি অঙ্কটা কষবে তা তোমাকেই ঠিক করতে হবে।শুধু এটুকু মনে রেখো যেকোনো তরঙ্গেরই কাঁপন খুব জরুরী জিনিষ। কম্পাংকের সামান্য নাড়াচাড়ায়,যোগবিয়োগে,অদলবদলে বরফের পাহাড়ে ধ্বস নামে শুনেছো তো?তা ধরে নাও ঐ ধ্বস নামাটা একটা ছোট মাপের ঘটনা।এইই আর কী।"
উইডের ঘোরে না থাকলে হয়তো বেশ একটু ইয়ে হয়ে যেতাম।ইয়ে মানে এখানে 'চমকে','থমকে','ব্যোমকে' যা একটা খুশি বসিয়ে নিন।তবে আমি ঠিক ঐ শব্দগুলোই বোঝাতে চাইছি তা নয়।সব অনুভুতিকে তো আর কথায় ধরা যায়না!অবশ্য এইসময়ে শব্দ আর অনুভুতি নিয়ে ভাবতে বসা চলেনা।কোথায় কিসের দুর্বোধ্য এক কাঁপন আর তাতে এই তুচ্ছ আমি একটু লয়-ছন্দ ভুল করে ফেললেই মহাজাগতিক ধ্বস নেমে আসতে পারে --পরিস্থিতি যথেষ্ট সঙ্গীন।'সঙ্গীন' কি ঠিক শব্দ হলো?না 'পরিস্থিতি গম্ভীর' বললে বেশি লাগসই হত? আঃ! বলছি এখন শব্দ আর অনুভুতি এসব তুচ্ছ জিনিষ নিয়ে আমাকে উচাটন করবেননা!তা আপনাদের ওপর যদি কোনো ভরসা করা যায়!
তিন বাঁও
নিদুলী মন্ত্রের কথা পড়েছিলাম বইয়ে,অনেকদিন আগে।ঘুমিয়ে পড়ার মন্ত্র।বদলে যাবার মন্ত্র।ঐ বিশেষ ধরণের 'বদল' আজকাল খুব পরিষ্কার ভাবে টের পাই। আমার সারা সত্বা জুড়ে।কিন্তু সেই লোকটি যে বলে গেছিলেন আমি জেগে উঠেছি? আগে হলে এই ঘুম আর জাগা নিয়ে ধাঁধায় পড়তাম হয়তো। এখন আর কোথাও ধোঁয়াশা লাগেনা। জীবনের মত দক্ষ স্টেজ ম্যাজিশিয়ান আর কেউ নেই।কিন্তু ই-ব্রে আমায় ধোঁয়া আর আয়নার অন্যপার দেখতে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন।
আমি বদল টের পাই।নানা রকম বদল।নানা রঙের, আকারের,স্বাদের। আমি দেখতে পাই আমার হাত-পায়ের পাতা হাঁসের মত জোড়া। বলেছিলাম আপনাকেও, আগে। দেখেছেন তো? ধরেই নিয়েছিলেন ওটা স্রেফ ভাষার অলংকার! মস্তিষ্ক তাইই করে।অজানা সত্যিকে একটা চেনা মোড়ক দিয়ে লেপ্টেলুপ্টে রাখতে চায়।জ্ঞানীজনেরা কেউ একে বলেন 'মিস্ট', কেউ 'গ্ল্যামার',কেউ বলেন 'মাগ্ল রিপেলিং চার্ম'।
আরো টের পাই। আমার চুলের রং আস্তে আস্তে কালচে সবুজ হয়ে যাচ্ছে।কোমরের তলা থেকে বাকিটুকু সবজে-নীল।চোখ বন্ধ করলেই আমি গন্ধ পাই।গভীর জলের গন্ধ।সূর্য্য যখন সমুদ্রের নীচে তলিয়ে যায়,ঢেউ আর বালির কোমল ধুসর সন্ধিস্থলে দাঁড়িয়ে শরীরের সবটুকু দিয়ে আমি স্রোতের আদর বুঝতে পারি।কোথায় স্রোতের উষ্ণতা কেমন করে বদলায়,কোথায় সে নরম ঠান্ডা আঙুল দিয়ে বুকের ওপর হিজিবিজি কাটে,কোথায় পরম ওমে জড়িয়ে ধরে,ফিসফিসিয়ে সব ক্লান্তি সাদা ফেনার মত গলিয়ে দেয়.... আমি আমার সবটুকু অনুভুতি দিয়ে বুঝতে পারি।
অনেক রাত্রে একলা জেগে আমি সেই অন্য দুনিয়ার গান শুনতে পাই।শব্দহীণ ভাষায়, ঝড়ের শিষের মত গান। কেউ বলে দেয়নি, কিন্তু আমি জানি কে গায়।ওর নাম 'বালেনা'।মাঝ সমুদ্রে পথ হারানো,ভয় পাওয়া ক্লান্ত নাবিকদের ঐ গান গেয়ে ও বাড়ি আসতে বলে।এই দুনিয়ার মানুষের কানে সবটুকু ধরা পড়েনা।মস্তিষ্ক ইলিউশনিস্ট তাকে 'সাইরেন'দের মরণ-জাদুর গান বলে উপকথা লেখে।বালেনা শুধু বাড়ি আসতে বলে।আমাকে। "আয়,আয়,আয়...আয়,আয়"।
বদল চারপাশেও কিছু কিছু কীর্তিকলাপ করছিলো।ঐ যে তরঙ্গের কাঁপনের ব্যপার।কম্পাংকের কোথাও কিছু পাল্টালে তার ঢেউ অনেকদূর অব্দি ছাপ রেখে যায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই, যে চারপাশের বেশির ভাগ অংশটাই বদলকে একেবারে মেনে নিতে পারেনা।দেখবেন লক্ষ্য করে,চেনা ছকের বাইরের কিছুকে মানুষ কেমন ভয় পায়,এড়িয়ে চলে,চোখ-কান-মন ফিরিয়ে নিতে চায়।
ফিরিয়ে নিচ্ছিলো মানুষ, নিজেদের,আমার থেকে অন্যদিকে।বহুদিন ধরে গড়ে ওঠা ভালোলাগা-হাসি-গল্প-পাশে বসা সবকিছুকে ছাপিয়ে 'বদল' তাদের কাছে বড় হয়ে ওঠে।সবকিছুর ওপর ছায়া ফেলে।'স্বরূপ প্রদর্শক' যেমন বলে গেছিলেন, যে আমাকে এতদিন তারা 'আমি' বলে জানতো,সে যে ঠিক সেই 'আমি'ই নয় তার আঁচ পেতেই মানুষ সরে যাচ্ছিলো আমার কাছ থেকে।কেউ রূঢ় ভাষায় চোট হেনে।কেউ ধীরে ধীরে,ভদ্র ভাবে।দোষ তাদের নয়।ভুল গাড়ীতে উঠে পড়লে মানুষ আপনাকে নামিয়ে দেবার কথাই ভাববে।
বাঁধন আল্গা হয়ে যাওয়াকে আজকাল ভয় পাইনা আর।তিনি বলে গেছিলেন; আমার রিয়ালিটি আলাদা।এ গাড়ী যাবেনা।আমায় অন্য গাড়ী নিতে হবে।
আমার বড় ভালোবাসায় বেঁচে থাকা আমার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে আছে।অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে।
চার বাঁও অথবা চার হাজার
নাচোর সাথে একবার কথা বলা দরকার।ওর ‘নানা’ সত্যি জাদুর পাতা খুঁজে এনেছিলেন!নাচো না থাকলে সারা জীবনটাই ভুল দরজায় কড়া নেড়ে কেটে যেতো আমার।
--"ডেকেছো কেন?আজ আমার সময় কম।মাসতুতো ভাই এসেছে দেশ থেকে।দেরি করে বাড়ি গেলে ইস্মি রাগ করবে।"
--"আমার গীটারটা তোমাকে দেব বলে ডেকেছি।আর এই সাদা পীস-লিলির গাছটা।এটা ইসমেরালদাকে দিও।রাগ করবেনা।"
--"তুমি কি অন্য কোথাও চাকরি নিলে?ওর'ম হাঁ করে নিঃশ্বাস নিচ্ছো কেন?তোমার কি অসুখ করেছে?"
--" না অসুখ করেনি।আমি খুব ভালো আছি।নাচো,সেদিন যে পাতা এনেছিলে আর আছে তোমার কাছে?"
--"না,ও আর কোথায় পাবো! দেখো,তোমার এত শখের জিনিষ এমনি এমনি দিয়ে দিলে....এরপরে না বললে আমার অধর্ম হবে।ঐ পাতা তো আমি কাজুমির কাছ থেকে চেয়ে এনেছিলাম।ওরা ঐদিয়ে সুশি বানিয়ে খায়।সমুদ্রের শ্যাওলা।'নোরি' না কি যেন নাম!’নানা’র গল্প,আন্দিজের গল্প না বললে কেউ কিনতোনা।আমার টাকার দরকার ছিলো খুব।"
রি-চে বলেছিলেন পুরোপুরি মিথ্যে কথা আজকের বাজারে আর পাওয়া যায়না।একটু আধটু খাদ থাকবেই…..