এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জিমি আর কলতান  ১৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ আগস্ট ২০২৪ | ১৫৪ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
    দিন পনের পরের কথা। কলতানের এক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বন্ধুর মাধ্যমে অ্যসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শোভাবাজারের ডেথ সার্টিফিকেটের ব্যাপারটা ফয়সালা করা গেছে। হাওড়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এরকম মারাত্মক ভুল কাজ করার জন্য শো কজ করা হয়েছে হাওড়া পুলিশ থেকে। এক মনোময়ের ঠিকানা আর একজনের ডেথ সার্টিফিকেটে গেল কি করে?

    পুলিশ সুপার বললেন, ' ইটস এ গ্রস নেগলিজেন্স অফ ডিসচার্জিং ডিউটি অন দা পার্ট অফ হসপিটাল অথরিটি। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে রেকটিফায়েড না হলে কেসটা কোর্টে তোলা হবে। হাওড়া পুলিশ তাতে পার্টি হবে ... '

    মামলাটা অবশ্য অতদূর গড়ায় নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে যথাযথ ডেথ সার্টিফিকেট প্রদান করেছে।

    আসলে হাসপাতালের চরম ঔদাসীন্য ও অসাবধানতায় কিছুক্ষণ আগে আমহার্স্ট স্ট্রীটের পেশেন্ট পার্টির, মানে ব্যাঙ্কের সহকর্মীদের স্রেফ মুখের কথা শুনে মৃত্যু শংসাপত্র দিয়ে দেয়। এটা একটা ক্রিমিনাল অফেন্সের পর্যায়ে পড়ে। তাহলে কি তারা মৃতদেহ দেখেইনি ? হ্যা দেখেছিল। একটু পরেই নিয়ে আসা শোভাবাজারের জিমির প্রিয়তম জনের মৃতদেহ দেখে তারা নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। কারণ একই দিনে কিছুক্ষণের তফাতে একই নামের দুজন মনোময়ের অ্যক্সিডেন্ট কেস আসার মতো অদ্ভূত ঘটনা যে ঘটতে পারে তা এদের কল্পনারও বাইরে ছিল। এসব কাজ অবশ্য এত সহজে সমাধা হয়নি। কলতানকে এ জট ছাড়াবার জন্য বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। নানারকম ফরেন্সিক টেস্টের বেড়াজাল পেরোতে হয়েছে। সমস্যাটা আরও জটিল হয়ে গিয়েছিল মনোময়বাবু প্লাস্টিক সার্জারি করে নেওয়ায়। শুধু এই জন্যই লাভপুরের সদানন্দ আশ্রমের মহাগুরু প্রজ্ঞাবান স্বামীর বিরুদ্ধে একটা মামলা রুজু করতে হল মনোময় ঠাকুরের সাক্ষ্য সাপেক্ষে। মনোময়বাবু মায়ার বাঁধন কাটাতে গিয়ে আবার ফিরে আসতে বাধ্য হলেন কলতানের পাল্লায় পড়ে এবং পাকে পাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়লেন 'জিমি আর ওদের' মায়ায়।

    আরও একমাস বাদে প্রাণময়, স্বপ্নময়দের সমস্যা মিটল। কলতান প্রাণময়কে ফোন লাগাল ---- ' হ্যা .... প্রাণময়বাবু .... আপনাদের প্রবলেমটা সলভড হয়ে গেছে। আপনি কাল এগারোটা নাগাদ এস এন ব্যানার্জী রোডে কর্পোরেশান অফিসের গেটের সামনে আসুন ... আমিও থাকব .... ওখান থেকে অরিজিনাল ডেথ সার্টিফিকেট বার করব .... '
    ---- ' আপনার সঙ্গে পরিচয় না হলে আমরা জানতেই পারতাম না আপনি কতটা গুণী মানুষ .... আমি কি বলব .... অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে .... কাল দেখা হবে .... '

    এবার কাকলিদেবীকে ফোনে ধরল কলতান।
    ---- ' হ্যা... ম্যাডাম ... পরশু বিকেলে আপনাদের বাড়িতে যাব। আপনি কাইন্ডলি আপনার দাদাকে কাল ওখানে আসতে বলুন। বিশেষ দরকার আছে ... '
    ---- ' আচ্ছা বলব .... কিন্তু ব্যাপারটা কি একটু বলবেন ? '
    ---- ' সেটা কাল আপনার বাড়িতেই বলব ... আমার নাম করে আসতে বলবেন .... না আসলে কিন্তু অন্য রাস্তা নিতে বাধ্য হব ... '
    কাকলি উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল, ' আ ...চ্ছা ঠিক আছে .... বলব ... '

    প্রাণময়বাবুদের ডেথ সার্টিফিকেটের ব্যাপারটা মিটে যাবার পরদিন আমহার্স্ট স্ট্রীটে একশ তেইশ বি-তে গেল। জিমি যথারীতি তার শারীরিক ভাষায় নানারকম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে লাগল। কলতান বেশ খানিকক্ষণ জিমিকে আদর করার পর মনোময়বাবুর দিকে তাকিয়ে বলল, ' তারপর বলুন স্যার কেমন আছেন এখন ? '
    মনোময়বাবু একটা হাতলওয়ালা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। তিনি কোন কথা না বলে মুচকি হেসে চোখ বুজে একপাশে ঘাড় কাত করলেন।
    পাঁচটা বেজে দশ মিনিট হল। কলতান একবার ঘড়ি দেখল। ঠিক এই সময়ে উজ্জ্বলবাবু এসে ঢুকলেন।
    কলতান বলল, ' আসুন মিস্টার দত্ত। আপনার জন্যই অপেক্ষা করছি। '
    উজ্জ্বলবাবু বললেন, ' আপনি যে মনোময়কে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন .... এটা একটা বিরাট কাজ করেছেন ... আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি ... এরকম হতে পারে ... আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ জানাব .... আপনি সত্যিই একজন জিনিয়াস .... হ্যা, বলুন কি জন্য জরুরী তলব করেছেন ... আপনি ডাকা আর পুলিশ ডাকা একই ব্যাপার ... '
    ---- ' তাই যদি মনে করেন তাহলে সময় নষ্ট না করে বলে ফেলুন তো ... জাল ইনসিওরেন্সের কারবার কতদিন ধরে করছেন ? '
    ---- ' জাল ইনসি.... তার মানে ? কিসব বলছেন ? ' দত্তবাবু যেন আকাশ থেকে পড়লেন।
    কলতান তার অ্যটাচি থেকে ক্লেম অ্যপ্লিকেশানের ফটোকপিটা বার করল।
    ---- ' এই দেখুন ....এটা আপনিই আমাকে দিয়েছিলেন। এতে যে গাড়ির নাম্বার লেখা আছে সেটা এদের গাড়ির নম্বরই নয়। সেটা হবেই বা কি করে ? এ গাড়িটার তো অ্যক্সিডেন্টই হয়নি .... '
    উজ্জ্বলবাবু আবার আকাশ থেকে পড়লেন ----
    ' সেকি ! কই দেখি দেখি .... তাই তো ... 'আই' -এর জায়গায় 'টি' হয়ে গেছে .... '
    ---- ' মিস্টার দত্ত .... হয়ে যায়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। তাছাড়া পলিসি নাম্বারও তো মিলছে না ... এটা খুব সম্ভবত শোভাবাজারের আর এক মনোময় ঠাকুরের গাড়ির নাম্বার ....আসলে তার গাড়িটারই অ্যক্সিডেন্ট হয়েছিল। পলিসি নাম্বারটা সেই গাড়িটার বীমার। ঘটনাক্রমে শোভাবাজারের মনোময়ও আপনার ক্লায়েন্ট ছিলেন। আপনি তখনও জানতেন না যে সে গাড়িটার অ্যক্সিডেন্ট হয়েছে। ব্যাপারটা হল শোভাবাজারের ওই গাড়িটার পলিসি আপনার কাছে ছিল। আপনি নকল ক্লেম ফর্মে এই নাম্বারটাই লাগিয়ে দিলেন। আরও একটা ব্যাপার হল, লোগোটা ভালভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে এটা জি আই সি-র লোগোই নয়। অন্য কোন বেসরকারি কোম্পানির লোগো। খুব সম্ভবত কলকাতার কোম্পানিই নয়। এখন আপনি বলতে পারেন এটা করে আপনার লাভ কি ? উইদাউট প্রপার ভেরিফিকেশান তো ক্লেম পেমেন্ট হয় না। কিন্তু আপনি জানেন, আমরাও অনেকেই জানি কোম্পানির ভেতরের লোকের সঙ্গে যোগসাজশ থাকলে সবই সম্ভব। ভেরিফিকেশান ছাড়াই পেমেন্ট বেরিয়ে যাবে। তবে এই একটা কেস হাসিল করে তো আপনার পকেটে বিরাট কিছু ঢুকবে না। এরকম প্রচুর কেস করাতে হয় আপনাকে, কারণ আপনার সাহায্যকারিদেরও তো দেওয়া থোয়ার ব্যাপার আছে....। সবগুলো কেস মিলিয়ে মোটামুটি মন্দ আয় হয় না

    তবে এই একটা কেস হাসিল করে তো আপনার পকেটে বিরাট কিছু ঢুকবে না। এরকম প্রচুর কেস করাতে হয় আপনাকে, কারণ আপনার সাহায্যকারিদেরও তো দেওয়া থোয়ার ব্যাপার আছে....। সবগুলো কেস মিলিয়ে মোটামুটি মন্দ আয় হয় না ... কি বলেন উজ্জ্বলবাবু ? '
    ---- ' কি সব আবোল তাবোল বকছেন আপনি ? পার্টি যখন ক্লেম সাবমিট করতে চাইবে তখন তা'লে কি হবে ? ' উত্তেজিত হয়ে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে ওঠেন উজ্জ্বল দত্ত।
    ---- ' তখন পার্টিকে বলবেন .... ফর্ম কালেক্ট করতে গিয়ে দেখলেন যে .... ক্লেম অলরেডি ডিসবার্সড হয়ে গেছে। তারপর কিছু নাটক অবশ্য করতে হয় আপনাকে জালিয়াতিটা কি করে হল ভেবে পাচ্ছেন না আপনি .... ইত্যাদি ইত্যাদি বলে বিমূঢ় বিদ্ধস্ত হয়ে যাবার ভঙ্গী করেন। তারপর পার্টিকে কোন ফোন নম্বর
    টম্বর দিয়ে বলেন অমুক অমুক জায়গায় যোগাযোগ করতে এবং এইভাবে তাদের অথৈ জলে ফেলে দিয়ে নিজে মামলাটা থেকে সরে থাকেন .... '
    ঘরে সবাই সবাই নিস্তব্ধ। উজ্জ্বলবাবু বাকরুদ্ধ অবস্থায় খাড়া হয়ে বসে গনগনে চোখে কলতানের দিকে তাকিয়ে আছেন। যেন ফেটে পড়ার অপেক্ষা।
    ঘরের নিস্তব্ধতা ভেঙে তিনি বলে উঠলেন ----
    ---- ' মিস্টার গুপ্ত আপনি কি বলছেন আপনি জানেন ? '
    ---- ' খুব ভালরকম জানি। সব প্রমাণ আমার হাতে আছে .... '
    ---- ' আপনার নামে আমি মানহানির মামলা করতে পারি জানেন ? '
    ---- ' তাই নাকি ? তা, ক্ষমতা থাকলে করবেন .... তার আগে বাকিটা শুনে নিন। মনোময়বাবু কর্ত্তব্যজ্ঞানশূন্য বোহেমিয়ান স্বভাবের মানুষ ঠিকই... কিন্তু ওনাকে ধর্মের আফিঙ খাওয়ান আপনি। তারপর সদানন্দ আশ্রমে নিয়ে গিয়ে ফেলেন প্রজ্ঞানন্দ বাবাজির সান্নিধ্যে পুরোপুরি মগজ ধোলাই করাবার জন্য। তারপর একদিন এই অ্যক্সিডেন্টের গল্প তৈরি করেন ব্যাঙ্কের কর্মীদের শিখন্ডি খাড়া করে। উদ্দেশ্য ধীরে ধীরে মনোময়বাবুর সব কিছু গ্রাস করা। এরকম কাজ আপনি আরও অনেক করেছেন। অনেককে পথে বসিয়েছেন। কিন্তু নিজের মায়ের পেটের বোনের ঘরে মুখে কাপড় বেঁধে ডাকাতি করতে ঢুকবেন এটা ভাবা যায় না... '

    উজ্জ্বলের মুখ রাগে এবং উত্তেজনায় লাল হয়ে উঠল। তিনি মুঠি পাকিয়ে দু হাঁটুর ওপর হাত রেখে সোজা হয়ে বসেছিলেন।

    ঘড়ঘড়ে গলায় বললেন, ' আপনি কিন্তু মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন মিস্টার গুপ্ত .... আমি কিন্তু .... আমি কিন্তু .... '
    ---- ' সে যা করবার করবেন .... এখন আপনি শোভাবাজারের ঠাকুরবাড়ির কার ইনসিওরেন্সের পলিসিটা আমাকে দিয়ে দিন। ওদের আমি কিছুতেই ফাঁসতে দেব না ... '
    জিমি কিছু একটা আন্দাজ করে উজ্জ্বলের দিকে মুখ তুলে দুবার ডেকে উঠল ----' ভুক ... ভুক ... '
    তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে, সিঁড়ি দিয়ে উঠে ছাদের দিকে চলে গেল।
    উজ্জ্বল দত্ত একইভাবে চোখমুখ লাল করে বসে আছেন।
    কলতান একগাল হেসে তাকে বলল, ' আমি নই, আসল গোয়েন্দা কিন্তু জিমি '। বলতে না বলতে জিমি বোধহয় ছাদের চিলেকোঠা থেকে একটা পোঁটলা মতো নিয়ে এসে হাজির হল মুখে করে।
    কলতান বলল, ' দেখলেন তো .... জিমিই আসল গোয়েন্দা। এই পোঁটলাটা জিমি আমাকে আগেই দেখিয়ে দিয়েছিল। এটাই এখন আপনার জীয়ন কাঠি, মরণ কাঠি। সমস্ত জালিয়াতির কাগজপত্র আপনি পোঁটলায় পুরে এখানে ফেলে রাখতেন, এটাকে নিরাপদতম জায়গা বিবেচনা করে। ভেবেছিলেন, এখানে কোনদিন কোন তল্লাশি হবার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ওই যে কথা আছে .... ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আমি যে এই মামলায় কোনভাবে ঢুকে পড়তে পারি আপনি কোনদিন চিন্তাও করেননি। এ মামলা কোর্টে উঠলে মনোময়বাবু রাজসাক্ষী হবেন কথা দিয়েছেন। তখন এটা জানতেও কোন অসুবিধে হবে না যে, মগজ ধোলাইয়ের পর প্লাস্টিক সার্জারি করে মুখ পাল্টে নেবার রাস্তায় আপনিই তাকে চালিত করেন .... '

    উজ্জ্বলবাবু একবার মনোময় বাবুর দিকে তাকিয়ে তারপর মাথা নীচু করে কি ভাবতে লাগলেন। কাকলি আর স্বর্ণালী সব শুনে টুনে উজ্জ্বলবাবুর দিকে তাকিয়ে স্তম্ভিত হয়ে বসে আছে। মনোময়বাবু চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বুজে কি সব আকাশ পাতাল ভাবতে লাগলেন।

    কলতান বলল, ' এই যে .... পোঁটলা থেকে একটা ডায়েরি পাওয়া গেছে। উজ্জ্বলবাবু এখানে সব ডিটেলস- এ লিখে রাখতেন। তার লোক ঠকানো কারবারের যাবতীয় কুশীলবের হিসেব নিকেশ এতেই পাওয়া যাবে। এটা এভাবে এখানে রেখে দিয়ে কি ভুলই যে করলেন মিস্টার দত্ত। জিমির কল্যানে ডায়েরিটা অনেক আগেই আমার হাতে পড়েছিল। সব কিছু আমি তখনই জেনে যাই। তারপর আবার পোঁটলায় ভরে রেখে দিই যথাস্থানে। পালাবার কোন চেষ্টা করবেন না কিন্তু। আপনার নামে দু জায়গায় এফ আই আর করে রেখেছি .... বীরভূমে আর কলকাতায়। পুলিশ আপনাকে কাস্টডিতে নেবেই এবং বাকি সব কথা পেট থেকে বের করবেই। তার আগে আপনি শোভাবাজারের বীমা পলিসিটা আমাকে হ্যান্ড ওভার করে দিন যাতে আমি আপনাকে অন্তত কিছুটা প্রোটেকশান দিতে পারি। নইলে কিন্তু ..... '

    উজ্জ্বল দত্ত এবার ভেঙে পড়লেন। তিনি কাঁচুমাচু করে বললেন, ' আচ্ছা ঠিক আছে .... মানে, আপনি যেমন বলবেন .... আমি তো আর একা করিনি ... বলব, সব বলব ... '
    ---- ' হ্যা... বলবেন ... সব বলবেন ... '

    মনোময়বাবুর হঠাৎ নাক ডাকতে লাগলেন। তিনি চেয়ারে বসে বসে ঘুমিয়ে পড়েছেন এক ফাঁকে। কাকলি দেবী এক বুক সন্তাপ নিয়ে কান্নাভেজা চোখে আঁচল চাপা দিয়ে প্রায় ছুটে বেরিয়ে গেলেন ঘর থেকে।

    জিমি আবার দুবার বকে দিল কাকলি ঠাকুরের ভাই উজ্জ্বল দত্তকে ---- ' ভুক ... ভুক ... '

    ( সমাপ্ত )

    *************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন