এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জিমি আর কলতান ৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ আগস্ট ২০২৪ | ২২৩ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
    ( ৩ )

    বেলা দশটা নাগাদ মাথায় একটা টুপি পরে, তার ওপর হেলমেট চড়িয়ে আর মুখে মাস্ক লাগিয়ে কলতান বাইকটা নিয়ে একটা চক্কর দিতে বেরোল। চোখে লাগানো রয়েছে রোদ চশমা। টুপি আর মাস্ক পরা থাকলে খুব চেনা লোককেও চিনতে পারা যায় না, স্বল্প পরিচিত হলে তো দূরের কথা।
    লেবুবাগানে একশ তেইশ বি বাড়িটার সামনে ফুটপাথের ধারে এসে দাঁড়াল। সে গাড়িতে বসে বাড়ির ছাদের দিকে তাকাল।
    আলসেতে নানা ফুলের চারা লাগানো টবের সারি। হঠাৎ চোখে পড়ল ব্যালাস্টারের ফাঁকে দেখা যাচ্ছে জিমির মুখ। কলতানের মনে হল জিমি তাকেই দেখছে। কলতান ওই দিকে তাকিয়ে রইল। মোটামুটি তিরিশ সেকেন্ড পরে দেখা গেল জিমি আর ওখানে নেই। নীচে গেটের দরজাটা বোধহয় শুধু ভেজানো ছিল। সামনের একটা পা দিয়ে একটা পাল্লা খুলে দেখা দিল জিমি। দরজার চৌকাঠ পেরিয়ে বেরিয়ে এল না। তার সে অভ্যেস নেই। ওখানে দাঁড়িয়ে ঘনঘন লেজ নাড়াতে নাড়াতে কলতানের দিকে তাকিয়ে দুটো সংক্ষিপ্ত আওয়াজ দিল ---- ভুক ভুক ...। মাস্ক, হেলমেট, টুপির আড়ালে থেকে জিমির কাছে পরিচয় গোপন করা সম্ভব না। ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের মতোই তীক্ষ্ণ তার পর্যবেক্ষণ শক্তি। জিমি ঠিক চিনে নিয়েছে কলতানকে।

    জিমি আবার দুবার আওয়াজ দিল ---- ভুক ভুক ....। কলতান বাইক থেকে নেমে বাড়ির গেটের চৌকাঠ পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে জিমির মাথায় হাত রাখল। জিমি মুখ উঁচু করে কলতানকে
    দেখতে লাগল। কলতান খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। জিমি দু একবার হাঁটুর কাছে নাক বুলিয়ে শ্বাস নিল। তারপর লেজ নাড়াতে নাড়াতে কলতানের চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে আরম্ভ করল। কলতান জিমির মনের কথা বোঝার চেষ্টা করতে লাগল। তার মনে হল জিমি বোধহয় কোন ব্যাপারে তার সাহায্য চাইছে। মনোময়বাবুর হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যে কলতান সাহায্য করতে এসেছে এখানে তা বোধহয় জিমি বুঝতে পেরেছে। কলতান জিমির পিঠে কয়েকবার আদরের চাপড় মারার পর জিমি এক জায়গায় দাঁড়াল কলতানের গা ঘেঁষে। কলতান জিমির পিছনে ছোট্ট একটা ঠেলা মেরে বাড়ির ভিতরে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত করল। জিমে আবার বলল -- ভুক ভুক ....। তারপর আস্তে আস্তে বাড়ির ভিতরে চলে গেল।

    কলতান আবার বাইকে গিয়ে বসল। হঠাৎ দেখল স্বর্ণালি রাস্তার ওদিকে একটা বাইক থেকে নামল। একটা পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের যুবক বাইকের চালক। স্বর্ণালি বাইক থেকে নেমে একগাল হেসে ছেলেটাকে কি সব বলতে লাগল। ছেলেটাও হাসিমুখে মাথা নাড়তে লাগল। তারপর স্বর্ণালি হাত নেড়ে 'টা..টা ' ধরণের কিছু একটা বলে ঝট করে রাস্তার এপারে চলে এল বাড়িতে ঢোকার জন্য। টাইম ইজ দা বেস্ট হিলার --- শোক তাপ বেশিদিন মানুষকে বিবশ করে রাখতে পারে না। বাইকের সওয়ারিও পা দাবিয়ে ইঞ্জিন চালু করতে লাগল রওয়ানা দেবার জন্য। তার অজান্তেই তার একটা ছবি উঠে গেল কলতানের মোবাইলে।

    কলতান বাইকটা এনে দাঁড় করাল আমহার্স্ট স্ট্রীট পোস্ট অফিসের কাছাকাছি একটু ফাঁকা জায়গায়। মাস্ক, হেলমেট সব খুলে ফেলল। শুধু টুপিটা মাথায় রইল। ওখান থেকে কল দিল মনোময়বাবুর ব্যাঙ্কের সহকর্মী পার্থসারথি অধিকারীকে।
    নীচু গলায় উত্তর এলো, ' হ্যালো ... '
    ---- ' মিস্টার পার্থসারথি অধিকারী বলছেন ? ' কলতান নম্র কন্ঠে বলল।
    ---- ' বলছি ... '
    ---- ' নমস্কার .... আমার নাম কলতান গুপ্ত .... একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর .... '
    ---- ' কি বললেন .... কলতান গুপ্ত ? আচ্ছা আচ্ছা ... আমি চিনি আপনাকে .... মানে, নাম শুনেছি ... হ্যা, বলুন কি ব্যাপার .... মনোময়ের কেসটা আপনি টেক আপ করেছেন ... না কি ?'
    ---- ' আরে ব্বা! আপনার গেসওয়ার্ক তো দুর্দান্ত। যাক, আপনাকে তাহলে আর ব্যাপারটা ইলাবোরেট করার দরকার নেই। আপনি তো এনাদের পারিবারিক বন্ধুও বটে। বলছি যে, মনোময় বাবুর ডেথ সার্টিফিকেটটা কি আপনার কাছে আছে ? ' কলতান সোজাসুজি জিজ্ঞাসা করল।
    পার্থবাবুও সোজাসুজি উত্তর দিলেন ....
    ---- ' হ্যা ... আছে তো .... ওটার দরকার ? '
    ---- ' হ্যা একটু দরকার ছিল। তাছাড়া আপনার সঙ্গেও একটু কথা বলতে চাই .... আপনি তো এদের ফ্যামিলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ... '
    ---- ' হ্যা হ্যা ... বলুন না ... কোথায় কবে কথা বলতে চান ? আমার দিক থেকে সবরকম কো-অপারেশান পাবেন। ' পার্থসারথিবাবু এক কথায় সম্মত হয়ে যান।
    ---- ' আপনার যদি অসুবিধে না থাকে আপনার বাড়িতে যেতে পারি আমি। আপনি কোথায় থাকেন ? '
    ---- ' আমি থাকি উত্তর কলকাতায় টবিন রোডে। ঠিকানাটা আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি আপনাকে। কাল রবিবার আছে .….. কাল আসতে পারেন .... '
    ---- ' ঠিক আছে কালই যাব ... '
    ---- ' কখন আসতে চান যদি বলেন .... '
    ---- ' সকাল এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে যাব। '
    ---- ' নো প্রবলেম .... চলে আসুন। '

    টবিন রোডে একটা বিল্ডিং-এর দোতলায় ফ্ল্যাট পার্থবাবুর। ওনাকে দেখে মনে হল পঞ্চান্ন ছাপ্পান্ন বছর বয়স হবে। কলতানকে যথেষ্ট সাদরে আপ্যায়ন করলেন পার্থসারথিবাবু।
    ---- ' আসুন আসুন .... বসুন ‌। আপনার মতো একজন বিখ্যাত ডিটেকটিভ যে কোনদিন আমার বাড়িতে আসবেন ... ভাবতেও পারিনি।'
    কলতান আর কি বলবে। ' কি যে বলেন ... ' বলে চুপ করে রইল। পার্থবাবু ডেথ সার্টিফিকেট টার্টিফিকেট গুছিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বেশি সময় নষ্ট না করে ওটা আলমারি থেকে বার করে কলতানের হাতে দিয়ে বললেন, ' এই যে .... '
    ---- ' ধন্যবাদ ... '
    ---- ' আসলে ... ওরা মা মেয়ে মানসিকভাবে এত বিক্ষিপ্ত হয়ে ছিল যে এটা তখন ওদের হাতে দিতে পারিনি। সেই থেকে আমার কাছেই থেকে গেছে .... দু কপি জেরক্স করে রেখেছি। এই নিন ... '
    ---- ' হুমম্ ... '
    কলতান কাগজটা হাতে নিয়ে চোখ বোলাতে লাগল। দুটো জায়গায় একটু খটকা লাগল।
    কলতান অবশ্য পার্থবাবুকে কিছু বলল না। দুটো ফটোকপি অ্যাটাচিতে রাখল।
    তারপর বলল, ' মনোময়বাবুর বডি কি পুলিশই হসপিটালে ট্রান্সফার করেছিল ? '
    ---- ' হ্যা .... সেরকমই তো জানি ....'
    ---- ' কোন পুলিশ স্টেশন কেসটা ডিল করছিল জানেন কি ? '
    ---- ' ওই তো .... ওখানকার লোকাল থানা .... কদমতলা থানা বোধহয় ... '
    কোন কিছুই পরিষ্কারভাবে জানা গেল না এখন পর্যন্ত। কলতান অন্য কোন রাস্তার কথা ভাবতে থাকে। পার্থবাবুকে জিজ্ঞেস করে ...
    ---- ' আপনাকে কে বলল হাসপাতালে যেতে ?'
    ---- ' কাকলিই ফোন করে ব্যাঙ্কে খবর দিয়েছিল। তারপর আমরা ব্যাঙ্কের কয়েকজন মনোময়ের বাড়ি ঘুরে হাওড়ায় অ্যাক্সিডেন্ট স্পটে পৌঁছই .... তারপর ওখান থেকে ওই হসপিটাল ... '
    ---- ' আপনারা মনোময়বাবুর বডি আইডেন্টিফাই করতে পেরেছিলেন ? '
    ---- না : .... অ্যকচুয়ালি জোরালো অ্যক্সিডেন্টের ফলে মুখটা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। বাকি বডি সাদা চাদরে ঢাকা ছিল ? '
    ---- ' বডি পোস্ট মর্টেম হয়নি ? '
    ---- ' না ... সেরকম তো কিছু শুনিনি। পুলিশ বা হাসপাতাল মনে হয় অত ঝক্কি নিতে চায়নি .... তাদের কাঁধ থেকে কেসটা নামিয়ে ফেলতে চেয়েছিল আর কি .... সকলেই তো শর্ট কাটে কাজ সারতে চায় ... তাই না ? '
    ---- ' হ্যাঁ সে তো বটেই ....। আচ্ছা পার্থবাবু ... আপনি কি জানেন, মনোময়বাবু কোনা এক্সপ্রেস দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওই সময়ে কোথায় যাচ্ছিলেন ? '
    ---- ' না : .... একেবারেই কোন আইডিয়া নেই এ ব্যাপারে ... ও অবশ্য একটু ভবঘুরে টাইপের ছিল .... হুটহাট কোথায় চলে যেত তার ঠিক নেই ... '
    ---- ' অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার পর মনোময়বাবুর গাড়িটা আপনি নিজের চোখে দেখেছেন ? '
    ---- ' না ... একেবারেই না। আমরা পৌঁছনোর আগেই পুলিশ গাড়ি সিজ করে কোথায় ডাম্প করেছে কে জানে .... এ ব্যাপারটা অবশ্য কাকলির দাদা ভাল বলতে পারবে। '
    ---- ' হুমম্ ... বুঝলাম ... '
    ---- ' কাকলি দেবী এবং তার মেয়ে সম্বন্ধে আপনার কিরকম ধারণা ? '
    ---- ' ওরা দুজনেই খুব ভাল .... আমার যতটুকু দেখবার সুযোগ হয়েছে। তবে, মনোময়ের স্ত্রীর আর একটু খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল ওর ওপর .... ওরকম বাউন্ডুলে নেচারের লোক ... '
    ---- ' হ্যাঁ... সে তো ঠিকই। আচ্ছা ... ওদের যে গোল্ডেন রিট্রিভার কুকুরটা আছে তার সঙ্গে তো ওদের খুব ক্লোজ বন্ডেজ .... তাই না ? '
    ---- ' হ্যা... এটা একদম ঠিক বলেছেন। তবে সম্পর্কটা মনোময়ের সঙ্গে সবচেয়ে জোরালো ছিল। এতটা ইন্সটিঙ্কটিভ কানেকশান খুব বেশি দেখা যায় না। ওদের দেখলে আমার 'হিজ মাস্টার্স ভয়েস'-এর কুকুরটার কথা মনে হত। কুকুরটা অনেক দূর থেকে মনোময়ের গন্ধ শুঁকে বুঝতে পারত মনোময় কোথায় আছে। যাই বলেন ... এটা একটা আশ্চর্য ব্যাপার কিন্তু .... '
    ---- ' হুঁ .... মোটামুটি কত দূর থেকে জিমি মনোময়বাবুকে লোকেট করতে পারে ? '
    ---- ' তা ধরুন ... মোটামুটি এক কিলোমিটার ... '
    ---- ' অনেক ধন্যবাদ মিস্টার অধিকারী। অনেক হেল্প পেলাম আপনার কাছ থেকে ... '
    ---- ' না না .... ঠিক আছে .... এ আর কি এমন ... আমাকে আবার দরকার হলে বলবেন
    কোন দ্বিধা না করে .... '
    ---- ' হ্যাঁ নিশ্চয়ই ... অনেক ধন্যবাদ ... '

    বাড়ি ফিরে উজ্জ্বল দত্তের কাছে থেকে আনা ইনসিয়োরেন্স ক্লেমের কাগজটা আগাগোড়া খুঁটিয়ে দেখতে লাগল কলতান। গাড়ির নম্বরটা যা লেখা রয়েছে সেটা হল ---- WB .... T 1006. ফটোকপিতে অনেকসময় দু একটা ক্যারেকটার একটু অস্পষ্ট লাগে। এখানেও T -টা যেন একটু অস্পষ্ট লাগল।
    সন্ধেবেলা দ্বৈপায়নকে একটা ফোন করল।
    ---- ' হ্যাঁ .... বল কলতান ... '
    ---- ' অফিস থেকে ফিরে গেছিস .... ভাবছিলাম যে ফিরেছিস কিনা ... '
    ---- ' আরে ... ওটা কোন ব্যাপার নয় ... বল বল ... '
    ---- ' বলছি যে .... কাকলি ঠাকুরদের মারুতি জেন-এর নাম্বারটা কত ছিল জানিস কি ? '
    ---- ' নাম্বারটা ... নাম্বারটা .... মানে, কি বলে .... যদ্দুর মনে পড়ছে ... ওয়ান জিরো জিরো সিক্স ... '
    ---- ' আচ্ছা আচ্ছা .... ওই নাম্বারটার আগে কি লেটার ছিল মনে আছে ? ' কলতান উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞাসা করে।
    ---- ' এই মরেছে .... সেটা তো ঠিক খেয়াল নেই .... আচ্ছা দাঁড়া দাঁড়া .... যদ্দুর মনে পড়ছে .... আই ... হ্যা, আই-ই হবে মনে হচ্ছে...'
    ---- ' ও আচ্ছা ... একটু মনে করে দেখ তো ... ওটা 'টি' নয়তো ? ' কলতান আবার বাজায় দ্বৈপায়নকে।
    ---- ' টি ? কি জানি সেরকম তো মনে হচ্ছে না .... কি বলব ? আমার তো ক্যাপিটাল আই-ই মনে হচ্ছে ... কেন ওটা তোর ইনভেস্টিগেশানে লাগবে বুঝি ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... ওইরকমই আর কি .... ঠিক আছে ... রাখছি এখন ... তোকে ডিসটার্ব করলাম ....
    ---- ' আরে দূর .... কি যে বলিস .... '

    রাত প্রায় দশটা বাজে। বসে বসে একমনে চিন্তা করছিল কলতান। একটা T কিংবা I ....
    মাথায় শুধু একটা দাগের তফাৎ। কিন্তু এইটুকুতেই বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু। একটা ছোট্ট সূত্র কিভাবে পাওয়া যেতে পারে ? কদমতলা পুলিশ স্টেশনে একবার খোঁজ করতে হবে, কিন্তু এতদিন পরে কতটুকু সূত্র সেখান থেকে পাওয়া যাবে খুব সন্দেহ আছে। নানা চিন্তা ঘুরপাক খেতে খেতে শেষ পর্যন্ত একটা কুকুরের অবোলা মুখ ভাসিয়ে তুলল তার মনে।

    নীরব নিবিড় চোখে মুখ তুলে তার দিকে তাকিয়ে আছে জিমি।

    ( ক্রমশঃ )

    ******* *********** *********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sch | 115.187.***.*** | ১১ আগস্ট ২০২৪ ১২:২৮536161
  • তারপর?
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩৬536193
  • গোয়েন্দা গল্প বা সিনেমায় কারুর মৃতদেহে মুখ বিকৃত হয়ে গেছে শুনলেই আমার মনে হয় তার মানে এটা তার বডি নয়। সে লোক নির্ঘাত বেঁচে আছে। দেখি এই গল্পে কী হয়।
  • Anjan Banerjee | ১২ আগস্ট ২০২৪ ০৮:২১536215
  • দেখুন
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন