এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জিমি আর কলতান ৮

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ আগস্ট ২০২৪ | ১৬৩ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
    গেটের সামনে ফিরে এসে কলতান গাড়িটা দেখতে পাওয়ার কথা জানাল কাকলিদের।
    মা আর মেয়ে বিস্ময়ে স্পৃষ্ট হয়ে তাকিয়ে রইল কলতানের মুখের দিকে। কলতান বলল, ' ব্যাপারটা সত্যি ... ওটা আপনাদেরই গাড়ি ...'
    কাকলির মুখ থেকে একটাই শব্দ বেরল ----
    ' সত্যি ! '
    ---- ' হ্যা ... সত্যি ... জিমি খুঁজে বার করেছে ... পুরোটাই ওর কৃতিত্ব ... '
    কাকলির মুখ হাসিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
    ---- ' ওমা ... তাই নাকি ! কি অদ্ভূত ব্যাপার ... তা'লে এবার ?'
    ---- ' এবারই তো আসল কাজ .... মনোময়বাবুকে খুঁজে বার করা ... জিমি আর স্বর্ণালী এখানে থাকুক ... জিমিকে ভেতরে যেতে দেবে না ... আমি ভিতরে অফিসে যাই কথাবার্তা বলার জন্য। আপনিও আমার সঙ্গে চলুন। এদের কথাবার্তা শুনে হয়ত কিছু আন্দাজ করতে পারবেন। '
    ---- ' আচ্ছা ... চলুন যাই ... '

    ভিতরে ঢুকে দোতলা বাড়িটার একতলার ঘরের দরজার ওপরে লেখা রয়েছে OFFICE . ভিতরে একটা বড়সড় কাঁচের স্ল্যাব ঢাকা টেবিলের পিছনে একটা হাতল ওয়ালা চেয়ারে বসে আছেন একজন হৃষ্টপুষ্ট গেরুয়া ফতুয়া এবং লুঙ্গির মতো করে ধুতি পরা গৌরবর্ণ চেহারার মানুষ। ঘরের ভিতর থেকে ধূপের অপূর্ব সুগন্ধ ভেসে আসছে। উল্টোদিকের চেয়ারে দুজন ভদ্রলোক বসে কি সব আলোচনা করছে।
    দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলতান বলল, ' আসব মহারাজ ? '
    মহারাজ কলতান এবং কাকলিকে দুজন সম্ভাব্য ভক্ত মনে করে স্মিত হেসে দুবার চিবুক ঝুঁকিয়ে তাদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে মৃদু স্বরে বললেন---- ' এস .... '।
    কলতানরা ঘরে ঢুকল। মধুর পবিত্র ধূপের গন্ধ শরীরে জড়িয়ে গেল। উল্টোদিকের চেয়ারে বসা দুজন ' আমরা তা'লে এখন আসি .... আবার সামনের সপ্তাহে ... ' বলে দুহাত জড়ো করে নমস্কার জানিয়ে বিদায় নিল।
    কলতান বলল, ' নমস্কার ... আমরা কলকাতা থেকে আসছি ... '
    মহারাজ প্রতি নমস্কার করে বললেন, ' বসুন ... '
    কলতান আর কাকলি বসল। কলতান বলল ---
    ' মহারাজ আমরা একজন মানুষের খোঁজে এখানে এসেছি। তিনি এই ভদ্রমহিলার স্বামী। আপনাদের এই আশ্রমের শিষ্য বলে জানি। খুব সম্ভবতঃ এখানে এসেছিলেন .... '
    কাকলির দিকে দেখিয়ে মহারাজ কলতানকে বললেন, ' ইনি আপনার কে হন ? '
    ---- ' ইনি আমার নিকট আত্মীয় '
    ---- ' অ ... তা বেশ ... তা বেশ '
    এটা বাবাজি কি ভেবে বললেন ঠিক বোঝা গেল না।
    ---- ' কি নাম বলুন তো ... '
    ---- ' মনোময় ঠাকুর '
    ---- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... ও এ আশ্রমের অনেকদিনের সন্তান ... মাঝে মাঝেই এখানে আসত। '
    ---- ' সম্প্রতি কি এখানে এসেছিল ? '
    ---- ' সম্প্রতি মানে ... কতদিন আগে ? '
    ---- ' এই ধরুন .... মাস তিনেক ... '
    ---- ' তিন মাস ধরে মিসিং ? আপনারা এতদিনে খোঁজ করতে বেরিয়েছেন ! পুলিশে ডায়েরি করেননি ? '
    এইসময়ে কাকলি বলে উঠল, ' মিসিং মানে ...একটা দুর্ঘটনা .... ', আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল। কলতান কোন উপায় না পেয়ে কাকলির হাতের ওপর হাত রেখে মৃদু চাপ দিল। কাকলি ইঙ্গিতটা বুঝতে পেরে চুপ করে গেল। সে মহারাজের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। মহারাজকে কেমন চেনা চেনা লাগছে যেন। আগে যেন কোথায় দেখেছে।
    কলতান বলল, ' না ... খোঁজখবর সব কিছু করা হয়েছে ... যা যা করা সম্ভব ... কিন্তু কোন হদিশ পাওয়া যায়নি ... '
    ---- ' এখানে তো ... আমার যতদূর মনে পড়ছে ... তেরই মে এখানে এসেছিল। তারিখটা মনে আছে কারণ সেদিন আশ্রমে একটা উৎসব ছিল। আমার সঙ্গে মনোময়ের দেখাও হয়েছিল। ও বলছিল যে হরিদ্বার যাবে। কবে যাবে কিছু বলেনি অবশ্য। পরদিন থেকে আমার সঙ্গে আর দেখা হয়নি। আবার কোথায় চলে গেছে কে জানে .... '
    ---- ' একটা ইনফরমেশান দিতে পারবেন ... মনোময়বাবু কি গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন ? '
    ---- ' তা তো বলতে পারব না .... আমার অত কিছু দেখার সময় নেই ... '
    ---- ' কিন্তু মহারাজ ... ওদিকের মাঠে, বটগাছটার নীচে মনোময়বাবুর গাড়িটা পড়ে রয়েছে। দরজা সব লক করা .... '
    ---- ' তাই নাকি ? বলেন কি ! '
    মাথা নীচু করে কি একটু ভেবে বললেন, ' এ তো ভারি আশ্চর্যের ব্যাপার ... এখানে গাড়ি রেখে সে গেল কোথায় ? আপনারা ঠিক দেখেছেন তো ? '
    ---- ' হ্যা.... একদম শিওর .... এই তো দেখে এলাম .... আপনি নিজে চেক করে নিতে পারেন .... ' কলতান বলে।
    ---- ' আচ্ছা ঠিক আছে ... চলুন তো দেখি .... '
    ---- ' হ্যা... চলুন না ... '
    কলতান এক ফাঁকে জিজ্ঞাসা করল, ' যদি কিছু মনে না করেন ... আপনার আশ্রমিক নাম কি জানতে পারি ? '
    ---- ' বিশ্বম্ভর ... বিশ্বম্ভর মহারাজ '
    ---- ' অনেক ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই অনেক দিন আছেন এ আশ্রমে ... '

    এসব প্রশ্নে মহারাজ এতটুকু বিরক্ত হলেন না ‌। শান্তভাবে বললেন, ' হ্যা... প্রায় কুড়ি বছর হল। আমরা শিবের উপাসক। শিব শুধু প্রলয়ের কর্ত্তা নন, তিনি সত্য ও সুন্দরের প্রতিমূর্তিও বটে। আমরা সেই সত্য ও সুন্দরের ভাবাদর্শে দীক্ষিত। আমাদের সাধন পদ্ধতিতে আচার অনুষ্ঠান বিশেষ কিছু নেই। সংসারী মানুষও এ সাধনপীঠে যোগ দিতে পারে। কোন বিধিনিষেধ নেই। তবে সংসারের মায়া না কাটাতে পারলে কোন সাধনপীঠে এসে নিবিড় শান্তি লাভ সম্ভব হয় না ... ' তারপর গেটের কাছাকাছি এসে একটা চমকপ্রদ কথা বললেন ---- ' সেই জন্য অনেকে দৈহিক রূপও বদলে ফেলেন এখানে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার কামনায়। দেহ এবং মন দুইয়েরই সর্বাঙ্গীন পরিবর্তন প্রয়োজন ... নাহলে গূঢ় প্রকারে সাধন মার্গ অনুসরণ করা যায় না ... '
    কলতান চুপ করে রইল।

    তিনজনে আশ্রমের গেট দিয়ে বাইরে এল। বাইরে একপাশে স্বর্ণালি আর জিমি দাঁড়িয়ে আছে। কলতানরা রাস্তায় বেরনো মাত্র জিমির শরীরে চঞ্চলতা দেখা দিল। সে ভীষণ উন্মুখ হয়ে কলতানদের দিকে ছুটে এল। না, কলতান বা কাকলির কাছে গেল না, বিশ্বম্ভরজির কাছে গিয়ে প্রবলভাবে লেজ নাড়তে নাড়তে প্রায় বিশ্বম্ভর মহারাজের বুকের কাছে উঠে পড়তে চাইছে। জিমির এই অতর্কিত ঘনিষ্ঠ হবার ইচ্ছায় মহারাজ যেন সিঁটিয়ে গেলেন। কাকলি স্বর্ণালিরা জিমির আচরণ দেখে চমকে গেল। কলতানের মনে নানা চিন্তা ওলোট পালোট খেতে লাগল। সে এক দৃষ্টে চেয়ে রইল জিমির দিকে। ব্যাপারটা ধরবার চেষ্টা করতে লাগল। সে এই কদিনে জিমিকে যতটুকু চিনেছে, জিমির এমন আচরণের পিছনে দুরকম কারণ থাকতে পারে ---- বিশ্বম্ভরবাবা হয় তার বন্ধু, নয় তার শত্রু। এখন সে বিশ্বম্ভরবাবুর শরীর থেকে বন্ধুর গন্ধ পাচ্ছে, না শত্রুর গন্ধ পাচ্ছে কলতান সেটা আন্দাজ করার চেষ্টা করতে লাগল। তবে যে ধরণের নানারকম সরু গলার আদুরে শব্দ জিমির গলা থেকে বেরোচ্ছে সেটা কোন কুকুর ভালবাসার লোকের দেখা পেলেই করে থাকে। খুব ধন্দে পড়ে গেল কলতান। মহারাজ অত্যন্ত বিড়ম্বিত অবস্থায় কাঠ কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। জিমি বাবাজিকে ছাড়তে চাইছে না। সে মহারাজের চারদিক ঘুরতে ঘুরতে হাঁটুর কাছে নাক ঘসতে লাগল। কলতান মনে মনে নানা হিসেব করতে লাগল। ব্যাপারটা ঠিক কি ঘটছে ?

    একটু পরে স্বর্ণালি জিমিকে সরিয়ে নিল মহারাজের কাছ থেকে।
    কলতান বলল, ' চলুন মহারাজ ... '
    মহারাজ উত্তর দিকের মাঠের বটগাছের দিকে হাঁটতে লাগলেন কলতানের সঙ্গে। কাকলি, স্বর্ণালী এবং জিমি পিছনে দাঁড়িয়ে রইল, যদিও জিমি যাবার জন্য ছটফট করছিল ওদের সঙ্গে, স্বর্ণালি তাকে আটকে রেখেছে।
    ঠিক এই সময়ে কলতানের ফোন বাজতে লাগল। স্ক্রীনে দেখা গেল 'গৌরীশঙ্কর পাল কলিং '।
    ---- ' হ্যা... বলুন গৌরীদা ... আপনার ফোনের অপেক্ষাতেই ছিলাম .... '
    ---- ' বলছি যে, ক্লেম অ্যপ্লিকেশানটা মনে হচ্ছে ফেক। এক, গাড়ির নাম্বার আর ওনারের নামে প্যারিটি আছে। তাছাড়া আর সব আলাদা। আর পলিসি নাম্বারটাই ভুল। এটা শোভাবাজারের ঠিকানায় আর এক মনোময় ঠাকুরের পলিসি নাম্বার। এরকম ফ্রড কেস আজকাল প্রায়ই হচ্ছে। যে এজেন্ট ... মানে যে পলিসি করিয়েছিল তাকে ধরুন। একজনের পলিসি আর একজনের গাড়ির অ্যক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে ক্লেমের টাকা বার করে আত্মসাৎ করছে। যে সব ক্লায়েন্টের পলিসি এজেন্টদের হেফাজতে পড়ে থাকে জেনারেলি সেই কেস গুলোর ক্ষেত্রেই এসব হয় .... '
    ---- ' হ্যা... গৌরীদা বুঝতে পেরেছি। মোদ্দা কথা হল এই দরখাস্তটাই ইমপ্রপার .... আমি যতদূর জানি এই নম্বরের গাড়ির তরফে এখনও ক্লেমই সাবমিট করা হয়নি .... ও কে ... অনেক ধন্যবাদ ... আমি একটু বাইরে আছি ... দু একদিনের মধ্যেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব .... '
    মাঠের দিকে হাঁটতে হাঁটতে কলতান ভাবল, কাকলি দেবীর দাদা উজ্জ্বল দত্ত ভেহিকল্ ইনসিওরেন্সের এজেন্ট কিনা এক্ষুণি জানতে হবে কাকলিদেবীকে জিজ্ঞাসা করে।

    ( ক্রমশঃ)

    ***************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন