এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জিমি আর কলতান  ১০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ আগস্ট ২০২৪ | ১৩৫ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
    গেস্ট হাউসের দোতলায় দুটো ঘর খুলে দেওয়া হল। একটা কাকলি আর স্বর্ণালির জন্য এবং তার পাশেরটা কলতানের জন্য। জিমি থাকবে স্বর্ণালিদের সঙ্গে। ঘর দুটোর আকার বেশ বড়। দুটো ঘরেরই একপাশে গ্রীলে ঘেরা বারান্দা আছে। জিমি বারান্দায় শুতে পারবে। কাকলিদের ঘরে ঢুকে কলতান বলল, ' ব্যাস... রাত কাটানোর ব্যবস্থা হয়ে গেল ... মনে রাখবেন বিশ্বম্ভরজি আছেন ওনার ওই অফিসঘরের লাগোয়া ঘরে। যদি কোন দরকার টরকার হয় ... ' তারপর কাকলির দিকে ঘুরে হঠাৎ জিজ্ঞাসা করল ---- ' .... আচ্ছা ম্যাডাম ... আপনার দাদা উজ্জ্বল দত্ত কি কোন ইনসিওরেন্স কোম্পানির এজেন্ট ? '
    ---- ' ঠিক জানিনা .... শুনেছি কার ইনসিওরেন্সের এজেন্ট .... কোন কোম্পানির বলতে পারব না ... '
    ---- ' ও আচ্ছা ... ঠিক আছে। আপনারা রেস্ট নিন। আমি আমার ঘরে যাচ্ছি। একসঙ্গে খেতে যাব আশ্রমের ডাইনিঙ হলে একটা নাগাদ। অবশ্য জিমিকে ওখানে নিয়ে যাওয়া যাবে না ... '
    কাকলি বলল, ' না না ... ওর জন্য চিন্তা নেই। ওর খাবার আমরা নিয়ে এসেছি ... ঘরেই দিয়ে দেব ... '
    ---- ' তাহলে তো কোন সমস্যা নেই ... ঠিক আছে ... '

    কলতান ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। বেরোবার সময় জিমির দিকে চোখ পড়ল। সে পিছনের পায়ে বসে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে কলতানের দিকে তাকিয়ে আছে।
    আশ্রমের নিরামিশ ভোজন অপূর্ব লাগল ওদের তিনজনেরই। এক এক জনের মাত্র পঞ্চাশ টাকা করে লাগল।
    খাওয়া দাওয়ার পর ওরা ঘরে ফিরে এল। সেই সকাল আটটা থেকে একটানা ধকল যাচ্ছে। ক্লান্তির ভারে কাকলি আর স্বর্ণালির চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসছে। বারান্দার দিক দিয়ে ঝিরঝির করে হাওয়া আসছে শালগাছের পাতায় সড়সড় আওয়াজ তুলে। ওরা দুজনেই শুয়ে পড়ল খাটে। সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে গেল ঘুমের অতলে। জিমি সামনের পায়ের ওপর মুখ রেখে চোখ বুজে ঝিমোতে লাগল।

    কলতানেরও বেশ ক্লান্ত লাগছে। কিন্তু তার ঘুমোলে চলে না। নিরিবিলিতে এই সময়েই চিন্তা ভাবনা করে নেওয়ার সবচেয়ে ভাল অবসর। হাতে সময় কম। বিশ্বম্ভর মহারাজ ফার্স্ট রাউন্ডের খেলায় অটল এবং অবিচল থেকে জিতে বেরিয়ে গেলেন। কলতান বুঝতে পারছে, তার ডিফেন্স ভাঙতে গেলে অ্যসিড টেস্টের সামনে ফেলতে হবে তাকে। তাকে দ্রবীভূত করার জন্য কি ধরণের অ্যসিড ব্যবহার করলে নিশ্চিত ফল পাওয়া যাবে তার চিন্তাতে ডুবে গেল কলতান খাটে কাত হয়ে শুয়ে। ভাবতে ভাবতে চিন্তাটাকে একজায়গায় গুটিয়ে আনতে লাগল কলতান। বিশ্বম্ভরবাবুর অ্যসিড টেস্টের প্রাইম এজেন্ট কে হবে ? কলতানের চিন্তার জট ওলোটপালোট খেতে খেতে একজায়গায় এসে থিতু হল। মনে মনে দেখল লেজ নাড়তে নাড়তে মুখ তুলে সামনে দাঁড়িয়ে আছে জিমি।

    বিকেল পাঁচটা নাগাদ কলতান নীচে নেমে আশ্রমের মন্দিরের সামনে এসে দাঁড়াল। এখনও মন্দিরের ভিতরে যাওয়া হয়নি। কলতান বাইরে জুতো খুলে মন্দিরের ভিতরে গেল। অনিন্দ্যসুন্দর একটা শ্বেতপাথরের শিবের মূর্তি রয়েছে। নটরাজ ধরণের প্রলয়ঙ্কর মূর্তি নয়। নীমিলিত নয়নে উপবিষ্ট ধবল গাত্র ধ্যানস্থ স্নিগ্ধ মহাদেবকে দেখা গেল। মূর্তিটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বেশ একটা অনাবিল আবেশ আসে মনে। সুঠামদেহী পিনাকপাণির কটিতে সামান্য আচ্ছাদন। শ্বেতশুভ্র অনুপম উর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত। দেবাদিদেব বসে আছেন যেন অনন্তকাল ব্যেপে অনন্তের ধ্যানে মগ্ন। দেবমূর্তির সামনে আট দশজন লোক বোধহয় সাংসারিক চিন্তার জাল থেকে একটু মুক্তি পাবার জন্য ঠিক শঙ্করের মতো ভাবাবিষ্ট ভঙ্গীতে ধ্যান করার চেষ্টায় চোখ বুজে স্থির হয়ে বসে আছে। মন্দিরের ভিতরটা বেশ বড়। দুচারজন মানুষ, বোধহয় আশ্রমের সেবায়েত হবে ... নানা কাজে ব্যস্ত। বোধহয় সন্ধেবেলার আরতির যোগাড়যন্ত্র চলছে। কলতান ভাবল, হায় ... তার অদৃষ্টে এমন প্রশান্ত অবসর উপভোগের সুযোগ একেবারেই নেই। সে তার নিজস্ব চিন্তার আবর্তে সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ। কটিমাত্র আচ্ছাদিত আবরণহীন নীলকন্ঠের উর্দ্ধাঙ্গ দেখে তার মাথায় একটা বুদ্ধি এসে ঢুকল। শ্বেতপাথরের মহেশ্বরের দিকে তাকিয়ে কলতান ভাবল, ঠিক যদি এই রূপে একবার বিশ্বম্ভর মহারাজকে পাওয়া যেত .... পেটের কাছটা পরখ করে নেওয়া যেত। অবশ্য প্লাস্টিক সার্জারির কারিকুরিতে সেটাও ঢেকে ফেলা সম্ভব। তবু ....

    ধীরে ধীরে সন্ধে ঘনিয়ে এল। সাতটার সময়ে সন্ধ্যারতি শুরু হল। সঙ্গে নানারকম বাদ্য সহযোগে শিবস্তোত্র হতে লাগল। একটা অপার্থিব পরিবেশ রচিত হয়েছে। এখানে উপস্থিত সকলে সেই ভাবসমুদ্রে ডুবে যেতে লাগল। মন্দিরের ভিতরে প্রায় তিরিশ চল্লিশ জন লোক। বাইরেও অনেক লোক হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে আছে। কাকলিদেবীও দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে। স্বর্ণালী জিমিকে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। কলতান দেখল বিশ্বম্ভরজি মহাদেব-এর মূর্তির সামনের সারিতে ভাবে বিভোর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে যে আমাদের জানা জগতের বাইরেও একটা প্রগাঢ় অনুভূতির জগৎ আছে। সেই জগতের টানেই বোধহয় কেউ কেউ ঘর সংসার ছাড়ে। কলতানের মনে হল তার গোয়েন্দা জীবনে একটা অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।
    আরতির শেষে ভক্তজনেরা ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে আসছে। কলতান বাইরে এসে দাঁড়াল। দেখল কাকলিও দাঁড়িয়ে আছে ওখানে। কলতান বলল, ' আপনি ঘরে যেতে পারেন ... স্বর্ণালি একা আছে ... আমি মহারাজের সঙ্গে একটু দেখা করে যাই ... '
    ---- ' হ্যা... তাই যাই ... মেয়ে একা আছে ... ' বলে কাকলি গেস্ট হাউসের দিকে চলে গেল।

    মিনিট পনের পরে বিশ্বম্ভর মহারাজ মন্দির থেকে বেরোলেন ধীর পদক্ষেপে। একটা নির্মল বিভোর ভাব তার চোখে মুখে লেগে আছে এখনও। কলতানকে ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্মিত হাসলেন। বললেন, ' কোন অসুবিধে হচ্ছে না তো .... খাওয়া দাওয়া ঠিকমতো হয়েছিল তো ? এখানে অবশ্য চায়ের কোন ব্যবস্থা নেই ... '
    ---- ' না না .... আমাদের কোন অসুবিধে হচ্ছে না ... ওসব না হলেও চলবে ... '
    মহারাজকে হঠাৎ যেন একটু আনমনা হয়ে গেলেন। বললেন, ' হ্যা... ভাল ভাল ... শুধু জিমির ... মানে কি বলে, আপনাদের ওই কুকুরটার বোধহয় খাওয়া দাওয়ার বেশ কষ্ট হচ্ছে ... '
    কলতানের মন এক লহমায় তীক্ষ্ণ ও সজাগ হয়ে উঠল।
    ---- ' না খাওয়া দাওয়ার কষ্ট তেমন হচ্ছে না। তবে ওর কষ্টটা অন্য জায়গায় .... ' কলতান মুখটা ততটা সম্ভব বিমর্ষতায় ঢেকে বলে।
    ---- ' কিরকম কিরকম ? ' মহারাজের গলায় স্পষ্ট উৎকন্ঠা।
    ---- ' না ... মানে, ওরা তো অবোলা প্রাণী। মনের কথাটা ওরা বলতে পারে না ... ওরা যাকে সবচেয়ে ভালবাসে, সে যদি ওকে অবহেলা করে ... চিনতেই না পারে, তাহলে যে কষ্টটা ওরা পায় সেটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ... কাউকে তো বোঝাতে পারে না .... ', বলে বিশ্বম্ভরজীর মুখের দিকে তাকিয়ে লক্ষ্য করতে লাগল কলতান। মহারাজ কেমন গুম মেরে গেলেন। বাঁ পাশের শালগাছের জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে রইলেন বেশ কিছুক্ষণ। তারপর একটা সম্পূর্ণ অন্য প্রশ্ন করলেন কলতানকে।
    ---- ' আচ্ছা ... আপনি ম্যাডামের কি ধরনের আত্মীয় হন ? '
    ---- ' দেখুন ... সত্যি কথা বলতে কি সেই অর্থে আত্মীয় বলা যায় না। ওনার পিসেমশাইয়ের ছেলে ... মানে পিসতুতো ভাইয়ের বন্ধু ... ' কলতান ঝটপট যা হোক একটা বলে দিল।
    ---- ' ও ... খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বলতে হবে ... আপনার সঙ্গে এতদূরে চলে এলেন .... '
    তুরীয়ানন্দে আকুল মহারাজের গলায় কেমন একটা সাংসারিক অনুসন্ধিৎসা এসে লাগল।
    ---- ' তাছাড়া উপায় কি ? দায়িত্ব নেবার মতো কেউ তো নেই .... ভরসা বলতে ওই তো একটা কমবয়েসী মেয়ে .... ' এরপর আচমকা ক'টা কথা ছেড়ে দিল ---- ' স্বামী যদি দায়িত্বজ্ঞানশূন্য, কান্ডজ্ঞানহীন বিবাগী বাউন্ডুলে লোক হয় তাহলে এইসব ভদ্রমহিলাদের অবস্থা তো এইরকমই হবে ... '
    ---- ' আপনি মনোময়ের কথা বলছেন তো ? গুরুর কথা অনুসরণ করে ভগবৎ প্রেমে প্রাণিত হয়ে অধ্যাত্ম মার্গের অনুগামী হওয়া কি নিতান্তই অর্বাচীন এবং অবিবেচক কাজ বলে মনে করেন? '
    কলতান বিশ্বম্ভরকে অ্যসিড টেস্টের মুখে ফেলতে চলেছে। সে সোজা সাপটা বলে দিল
    ---- ' অবশ্যই অবিবেচক কাজ .... যে মানুষের কোন পরিণত চেতনা জাগ্রত হয়নি সে আবার অধ্যাত্ম সাধনা করবে কি !'
    বিশ্বম্ভর বাবাজি কেমন থম মেরে গেলেন।
    বললেন, ' এ মহীমন্ডলে এক এক ব্যক্তি এক এক কাজ করতে আসে .... সেই বৃত্ত অতিক্রম করে অন্য বৃত্তে পা রাখতে পারে না সে। তার চলার পথ বাঁধা .... '
    মহারাজ আবার শালবনের দিকে উদাস চোখে তাকিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন।
    একটু পরে কলতানের দিকে তাকিয়ে বললেন, ' রাত এগারোটার পর ঘরে আসুন .... গূঢ় তত্ত্ব আলোচনা করা যাবে ... '
    কলতান বলল, ' নিশ্চয়ই যাব ... '

    ( ক্রমশঃ )

    *********************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন