আমার ওয়ার্ডের সামনের টানা বারান্দা দিয়ে নিচে দেখা যায় স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিন এর আউটডোর। কারমাইকেল হাসপাতাল। কাতারে কাতারে লোক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমার ওয়ার্ডের পিছনের টানা বারান্দা দিয়ে একটু দূরে দেখা যায় কলকাতা মেডিকাল কলেজ এর আউটডোর। কাতারে কাতারে লোক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে। কত লোক? তিন হাজার বা পাঁচ হাজার, বা দশ হাজার? আমার কোনও আন্দাজ নেই। “এখানে স্কিনের দিন সবচেয়ে বড় লাইন পড়ে। এইডস আর থ্যালাসেমিয়ার দিন কম। ডেঙ্গুর সময় তো দাঁড়াবার জায়গা পাবেন না।” সব ইনফরমেশন আমাকে জোগায় রুগীর আত্মীয়েরা, ওয়ার্ড অ্যাটেনডেন্টরা এমনকি নার্সেরাও। দু টাকার টিকিট, ডাক্তার লিখে দিলে ওষুধও ফ্রী। সারাটা দিন হয়তো এখানেই কাটবে, কিন্তু তাতে কী? পাড়ার ডাক্তারও ভিজিট একশো টাকা করে দিয়েছে। ওষুধের দাম আকাশছোঁয়া। চুলকুনি হলেও খরচ আছে তিনশো টাকা। জ্বরজারি হলেতো কথাই নেই। টেস্টের খরচ আছে কম করে পাঁচশো টাকা। তার চেয়ে একটা দিন নষ্ট হলে কী আর লোকসান।
আমার ওয়ার্ডের সামনে টানা বারান্দা, পিছনেও তাই। তিন চারটি জেনারেল ওয়ার্ড, আর আটটা কেবিন। ওয়ার্ডের নামগুলোও অদ্ভূত। পাইকপাড়া ব্লক, তার পাশে লুকাইস ব্লক। আমি আছি লুকিস-আট নম্বর কেবিনে। কেবিন মানে বহুত উঁচু বড় বড় ঘর। কেবিন ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ। মেল ওয়ার্ডে একটিই মাত্র কেবিন, যেখানে অ্যাটাচড বাথরুম আছে। ট্রপিকাল সবাইকে অফার করে, আমাকেও করেছিল। কিন্তু কেউ সেটা নিতে চায়না। আমিও না। আমার পাশের ঘরে একটি হোমোসেক্সুয়াল ছেলে। তার পাশের ঘরে স্পুটাম পজিটিভ, মানে টিবি। তার পাশে সুন্দরপানা একটি ছেলে সম্ভবত অতিরিক্ত তাম্বাকু সেবনের অপকারিতায় আক্রান্ত। তার পাশে ছোট্ট একটা ছেলে যার অজানা রোগের জ্বর নামছেনা। তাকে ঘিরে সব সময়ে ডাক্তার এবং নার্সের ভীড়।
আমার ছাতার মাথা একটা রোগ হয়েছে। মানে মাথার মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণ। লেফট স্পেনয়েড রিজিয়নে অ্যাসপারোজিলেসিস। চোখ, নাক, ব্রেন সব ডাক্তার দেখিয়ে, কলকাতার সবচাইতে দামি হাসপাতালে অপারেশন করিয়ে, নিঃস্ব হয়ে, লাভের মধ্যে এই হলো যে বাঁ চোখে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার, আর ডান চোখে শুধু আণ্ডার-এক্সপোজড ব্ল্যাক অ্যাণ্ড হোয়াইট ছবি। আমি দশ বছর ধরে ক্রিপ্টোজেনিক সিরোসিস অব লিভারে আক্রান্ত। পিজির ডাক্তার অভিজিত চৌধুরী বলেছিলেন “সো নাউ ইউ হ্যাভ লার্ণড হাউ টু লিভ উইথ সিরোসিস।” আজ পর্যন্ত কখনও এমন হয়নি ইউ-এস-জি করতে গিয়ে ডাক্তার জিজ্ঞাসা করেনি “খুব দারু খেতেন?” আমার তো দারু, সিগারেট, পান, এমনকি গুটকার নেশাও নেই। বন্ধু বান্ধবের সৎসঙ্গে যতটুকু হয়। নেশা বলতে বই পড়া আর মাঝখানে হয়েছিল সিনেমা করার নেশা। সেই রঙ্গিন পৃথিবীটা চোখের সামনে সাদাকালো হয়ে যেতে দেখেছি আমি। আর তার সঙ্গে মাথার তীব্র যন্ত্রণা। বই পড়তে না পারা, আর মৃত্যু তো সমার্থক।
যাকগে অসুখের কথা। আগেতো মানুষের কথা বলি। যদিও আমার এক শুভানুধ্যায়ী সতর্ক করে দিয়েছেন “ফেসবুকে একসঙ্গে বেশী কথা লিখতে যেওনা। লোকে ভীষণ বিরক্ত হয়। ফাস্টু খেয়ে যাবে।” তাই শেষ করার আগে একটা ঘটনা বলে শেষ করি। গত আট মাসের মধ্যে একটা দিনও রাত্রে ঘুমাইনি, ব্যথায় চিৎকার আর ছটফটানিতে ইন্দ্রাণী আর বিহানও ঘুমায় নি কয়েক মাস। সেদিন সন্ধ্যাবেলা হাসপাতালে, কেউ নেই ঘরে। চোখটা একটু বুজে এসেছে, হঠাৎ তীব্র চিৎকারে ধড়মড়িয়ে উঠে বসলাম। পাশের ঘর থেকে আসছেনা ? ড্রিপ চলছে, ফলে উঠে বেরুতেও পারছি না। আমি চিৎকার করে ডাকলাম “খোকন দা…।” অ্যাটেনডেন্ট খোকনদা ছুটে এলো।
- “আমার ড্রিপটা একটু বন্ধ করবেন”?
- “কেন টয়লেট যাবেন?”
- “না পাশের ঘরে কে যেন চিৎকার করছে।”
খোকনদা এবার গম্ভীর। “চুল কেটে দিয়েছে বলে।”
আমি বল্লাম “বাচ্চা ছেলে? আগের ছেলেটা কোথায় গেল?”
খোকনদা আগের চেয়েও গম্ভীর। “আগের ছেলেটাই চিৎকার করছে।”
- “আগের ছেলেটার মাথায় অত বড় বড় চুল, কেটে দিল কেন?”
- “মাথায় ঘা হয়ে গেছিল। ঘুমের মধ্যে কেটে দিয়েছে। এখন জেগে উঠে বুঝতে পেরে চিৎকার করছে। আসলে একটু লেডিজ টাইপ তো। লম্বা চুল ভীষণ ভালবাসতো।” খোকনদা প্রায় ছেলেটার মতই বিধ্বস্ত। “কত ভাল বাড়ির ছেলে, কেন যে এরকম হয়ে যায়!”
তার পরদিন থেকে দেখেছি খোকনদা পরম যত্নে হুইলচেয়ারে বসিয়ে ছেলেটিকে টয়লেটে নিয়ে যাচ্ছে, স্নান করিয়ে দিচ্ছে। যে ছেলে বাড়ির লোকদের দেখেও চিৎকার করতো, ফল ছুঁড়ে মারতো, ডাক্তার এলেই বলতো “ভেতরে ঢুকলেই ছুরি চালিয়ে দেবো,” সে খোকনদার কাছে শান্ত সুবোধ তরুণ। আমি দাবি করছিনা যে বেসরকারি হাসপাতালে এই সার্ভিস পাওয়া যায় না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে হয়তো বেশীই পাওয়া যায়, তবে তার দামও বেশী থাকে। কিন্তু অ্যাপোলো-গ্লেন ঈগলস, সল্টলেক আমরি, মেডিকা বা টাটার মত হাসপাতালে থেকে দেখেছি এই ইমোশনটা কোথাও পাওয়া যায় না। সব কেমন যেন রোবোটিক। অবশ্য এসবই আমার দেখার ভুলও হতে পারে। সাদা-কালোয় দেখেছি তো।
কলকাতার অধিকাংশ বেসরকারী হাসপাতাল হচ্ছে সরকারী ডাক্তারদের (বর্তমান ও কিছু প্রাক্তন) প্রাইভেট প্র্যাকটিসিং গ্রাউণ্ড। এ অনেকটা প্রাইমারী স্কুলে বারোশো টাকায় শিক্ষকতা করে বাড়িতে পনেরো হাজার টাকায় প্রাইভেট ট্যুইশন করার মত। ছিপ ফেলে বসে থাকো, আর কোনও মাছ ঘাই মারলেই তুলে নিয়ে নিজের নীল অ্যাকোয়ারিয়ামে ঢুকিয়ে ফেলো। যে কতিপয় ডাক্তারের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যত্যয় দেখেছি তার মধ্যে একজন হচ্ছেন পিজির হেপাটোলজিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী। নাইটিঙ্গেলেও বসেন। পিজিতে সেই দীর্ঘলাইন আর অফিস কামাই এড়াতে নাইটিঙ্গেলেই চলে গেলাম। যথারীতি অনেক পরে আমার নাম। রাত প্রায় সাড়ে আটটায় যখন গিয়ে ঢুকলাম তখন তিনি আমায় চিনতে পারেন নি। দেখতে শুরু করার পর হঠাৎ বললেন, “আপনি সেদিন পিজিতে দেখিয়ে ছিলেন না? এখানে এসেছেন কেন? আমি তো পিজির পেশেন্ট এখানে দেখিনা, আর এখানকার পেশেন্টদের পিজিতে ডাকিনা।” আমি সাধ্যমত বোঝাতে চেষ্টা করলাম। তিনি বল্লেন, “সব বুঝলাম কিন্তু প্রিন্সপল ইজ প্রিন্সিপল। আপনার জন্য আমি সেটা ভাঙ্গতে পারি না।” বলে প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়েই বার করে দিলেন। এখানেই থামেন নি। নান্দীকারের গৌতম হালদার (যিনি আমায় পিজিতে ডাঃ চৌধুরীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন) কে ফোন করে জানতে চেয়েছেন এই পার্থপ্রতিম লোকটার সুলুক সন্ধান কি তুমি জানো? কাল তো পিজিতে আমার আউটডোর নেই, উনি যেন আমার রুমে আমার সঙ্গে দেখা করেন। পরদিন ভয়ে ভয়ে ঘরে ঢুকতেই বল্লেন শুয়ে পরুন। প্রায় আধঘন্টাটাক দেখলেন। নিজের লেখা ছড়া শোনালেন এবং যখন ঘর থেকে বেরুলাম তখন আমি অনেকটা সুস্থ। পরবর্তী সময়ে ডাঃ বিভূতি সাহা যখন বল্লেন, “আমি আপনাকে নাইটিঙ্গেল বা সিএমআরআই তে ভর্তি করতে পারবো, কিন্তু এই কেসে আমি ট্রপিকালে আমার টিমকে নিয়ে কাজ করতেই বেশী পছন্দ করবো”, তখন আমার এই কথাটাই মনে পড়লো। অতএব ডাক্তারীর এক্সপার্টাইজ এর দিক থেকে বেসরকারী হাসপাতালের সঙ্গে সরকারী হাসপাতালের কোনও তুলনামূলক আলোচনাই সম্ভব নয়। তবু আমরা কেন বেসরকারী হাসপাতালের দিকে পতঙ্গের মত ছুটি?
এ সমস্যা আমাদের মত একান্ত মধ্যবিত্তদের। গরীব-গুর্বোদের এ সমস্যা নেই, কেননা তারা জানে তাদের অন্য কোনও অপশন নেই। তাই অসুখ গম্ভীর হলেই তারা আজ্জি-কল বা মেডিকাল বা এনারেস, বা চিত্তরঞ্জন ছোটে। যারা সেটুকু করতেও অপারগ তাদের জন্য মিউনিসিপালিটির হাসপাতাল ভরসা। আর যাদের অগাধসম্পত্তি বা যারা প্রিভিলেজড ক্লাস তারা জানে সরকারী হাসপাতাল গরীবদের জন্য। যা কিছু হাই-এণ্ড সব আমাদেরি জন্য। এসব বেসরকারী হাসপাতালও আমাদেরই জন্য। মাঝখানে ফাটা বাঁশে আটকে গেছে মিডলক্লাস। যাদের সাধ আছে সাধ্য নেই। যথারীতি তাঁরা বেসরকারী হাসপাতালেই যান, নিঃস্ব হয়ে ফেরেন, এবং হীনমন্যতায় ভোগেন। বেসরকারী হাসপাতাল কী খারাপ বলে শাপশান্ত করেন। কিন্তু কদাপি সরকারী হাসপাতালে যাবার কথা ভাবেন না।
বেসরকারী হাসপাতাল আমাদের কী কী দেয়। পেশেন্ট পার্টির জন্য দেয় পূজা মন্দির, ঝকঝকে তকতকে ওপর নিচ, ফ্রন্ট ডেস্কে চোখে আউটার লাইন কাজল লাগানো পরী-সেবা, এসি ওয়েটিং লাউঞ্জ, ডক্টর উইথ কো-অর্ডিনেটর (আসলে সেক্রেটারী), কাফেটেরিয়া (চায়ের নূন্যতম দাম কুড়ি টাকা, এক লিটার জল পঁচিশ টাকা, লাঞ্চ চালকুমড়োর ঘ্যাঁট দিয়ে নিরিমিস্যি ভাত ষাট থেকে আশী টাকা) সিস্টেম জেনারেটেড বিল, রেকর্ড মেনটেনেন্স চার্জ, ভিজিটিং আওয়ার্সে ডিসিপ্লিন মেনটেনেন্সের জন্য বাউন্সার অবধি। আর পেশেন্ট দের জন্য আছে স্লিপার, অক্সিজেন মাস্ক (দরকার না থাকলেও), টুথপেস্ট, টুথ ব্রাশ ( বাড়ি থেকে আনলে হবে না) উত্তরপূর্ব অথবা দক্ষিণ ভারতীয় ট্রেনি নার্স (যারা অন্তত বাংলা ভাষাটা জানেনা, এবং হিন্দীতেও দুর্বল), হাউসকিপিং দাদা (আসলে গ্রুপ-ডি স্টাফ), ডায়েটিসিয়ান, ক্লিনিং স্টাফ (আসলে সুইপার), ছোট্ট কিন্তু ঝকঝকে টয়লেট উইথ ওয়েস্টার্ণ কমোড, টিভি, হাইড্রোলিক বেড, একজন আরএমও (যাকে ডেকে ডেকে সারা)। খেয়াল করে দেখুন এগুলোর অধিকাংশই সরাসরি চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত নয়। ট্রপিকালে সারাদিন ডক্টর সাহা, ডক্টর শুভায়ণ বা ডক্টর দেবজ্যোতি বা ডক্টর বৌধায়ন বা অন্য কোনও ডাক্তার (যাদের ছাই নামও জানা হয়নি) না এলে মনে হতো ব্যাপারটা কী? এরা কী বুঝে গেল আমার কেসে আর কিছু হবার নেই? গন কেস? ট্রপিকালের ভোকাবুলারিতে "পেশেন্ট খারাপ হয়ে গেছে?" আর আমরি বা অ্যাপোলোতে ডাক্তার ভিজিটে এলেই বুক ধড়াস ধড়াস করতো আবার সন্ধ্যেবেলা আসবে না তো! পার ডাক্তার পার ভিজিট আটশো থেকে বারোশো টাকা। আমার কাকার ক্ষেত্রে মেডিকায় দেখেছি টিইউআরবিটির জন্য প্যাকেজ চুয়ান্ন হাজার, কিন্তু মেডিক্লেইম থাকলেই সেটা বেড়ে হয়ে যাচ্ছে চুরানব্বই হাজার।
- “কেন?”
- “না ম্যাম আমরা তো প্যাকেজের জন্য ডিটেল ব্রেক আপ দিই না, আপনার রিইমবার্সমেন্টে প্রবলেম হয়ে যাবে।”
- “কেন দেবেন না?”
- “এটাই এখানকার সিস্টেম ম্যাম।”
আর সিস্টেম দেখতে হলে চলে যান যে কোনও বেসরকারী হাসপাতালে। উরি শ্লা কী চার অক্ষর রে। একেই বলে পরী-সেবা। আড়াই মিনিট ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার জন্য অর্থদণ্ড ছাড়াও খরচ হচ্ছে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময়। ডিসচার্জ সামারি উইথ বিল বার করতে সাত থেকে আট ঘন্টা। যাঁরা এটিএম থেকে দুহাজার টাকা তোলার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যে লাইন দিতে পারেন, ডাক্তার সন্দর্শনের জন্য কতকগুলো নির্বোধ বালক-বালিকার নির্দেশে স্টিলের চেয়ারে বসে অপেক্ষা করতে পারেন ঘন্টার পর ঘন্টা, তাঁদের জানাই সরকারী হাসপাতালে বিল বা ডিসচার্জ সামারি নিতে কিউ এ এত সময় লাগেনা। কথাগুলো বল্লাম এই কারণে যে অ্যাপোলোতে দুদিনে জেনারেল ওয়ার্ডে থাকতে এবং অপারেশনে আমার খরচ হয়েছে (তার মধ্যে বেড ভাড়া পার ডে তিন হাজার টাকা) কমবেশী দু লক্ষ টাকা। আর ট্রপিকালে প্রায় একমাস কেবিনে থাকার খরচ (সব টেস্ট মিলিয়ে) হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। এবার কোন দিক সাথী/ কোন দিক তুই / কোন দিক বেছে নিবি বল।
যাকগে, এবার একটা জরুরী তথ্য বলে শেষ করি। ট্রপিকালেও একটা ক্যান্টিন আছে বটে। ছোট। কিন্তু যদি কোনদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা, সময় পান, যাবেন। আমি নিজে খাইনি, মানে টোস্ট ছাড়া কিছু খাইনি, বারণ বলে। কিন্তু অনেকে খেয়েছে। তারা উচ্ছসিত। রিজনেবল দামে এমত পরিচ্ছন্ন ক্যান্টিন কলকাতায় কম আছে। দেখবেন ডাক্তাররাও বসে নিশ্চিন্তে খাচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনের জন্য আমি কোনও পয়সা পাবো না, মাইরি বলছি, শুধু একটা ঠেক চেনানোই উদ্দেশ্য।