ভাষা এবং ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ও ভাইরাস ধ্বস্ত আসামে এবারের উনিশে মে উদযাপন এক অদ্ভূত বিচ্ছিন্নতার ঘেরাটোপে। একদিকে এনআরসি সিএএ অন্যদিকে করোনা লকডাউন। সোশ্যাল আইসোলেশনে পালিত হচ্ছে বরাক-উপত্যকায় আজ ১৯শে মে, বাংলা ভাষা শহীদ দিবস। ১৮২৬ সালে বহু লড়াই এ বিধ্বস্ত আরাকান বনাম বৃটিশের যুদ্ধের পরিসমাপ্ত ঘটে “ইয়াণ্ডাবুর সন্ধি” স্বাক্ষরের মাধ্যমে। আরাকানরাজের হাত থেকে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চল (তৎকালীন আসাম) ব্রিটিশের হাতে আসে। আজও অধিকাংশ অসমীয়ার প্রাণের অভ্যন্তরের বিশ্বাস আসাম কোনদিনই ভারতভুক্ত ছিল না। এখন বিস্তৃত এই অঞ্চল ব্রিটিশের হাতে আসার পর স্বভাবতই সেখানের জনজীবনের উপর ব্রিটিশ শাসনপ্রণালীর প্রভাব পড়তে শুরু করে। ব্রিটিশরা জয়লাভ করেই আসামের সমগ্র অঞ্চলে আসামের বিভিন্ন জনগোষ্ঠিকে একত্রিত করে। অঞ্চলের দখলদারিত্বের পরই ব্রিটিশরা আবিষ্কার করে আসামে চা চাষের উপযোগী মাটি ও জলবায়ু পাওয়া যায়। তাই তারা চা বাগানে কাজ করার জন্য বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও উড়িষ্যা থেকে বিপুল সংখ্যক মজুর নিয়োগ করে। পূর্ব বাংলার কৃষকদের, মূলত ময়মনসিংহের মুসলমানদের, এখানে নিয়ে এসে কৃষিকার্যের উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করে ব্রিটিশরাই। ব্রিটিশরা পূর্ববাংলা থেকে যে সব কৃষককে নিয়ে এসেছিল, তারা ধর্মে প্রধানত ছিল মুসলমান। আসামে মুসলমানদের প্রবাহ তখন থেকেই নিরবচ্ছিন্ন এবং স্বাভাবিক ছিল।
১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে ইংরাজীর সাথে বাংলাকেও এই অঞ্চলের সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় ব্রিটিশ প্রশাসন। ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দে আসামকে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সী থেকে পৃথক করে আলাদা প্রদেশ গঠন করা হয়। এই অব্দি কোন সমস্যা ছিল না। সমস্যার সূত্রপাত হয় এরপরেই। ১৮৭৪ সালে ব্রিটিশ প্রশাসন অভিভক্ত বাংলাকে ভাগ করে বাংলার গোয়ালপাড়া এবং শ্রীহট্ট এই দুই জেলাকে নবগঠিত আসামের সাথে জুড়ে দেয়। একটি অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘকাল ধরে একটি ভৌগলিক অঞ্চলের মাটির সঙ্গে নিবিড় আত্মীয়তা, সেই মানুষদের আকাঙ্খা, আর স্বকীয় পরিচিতির তোয়াক্কা না করে, ১৮৭৪ সালে বাংলার থেকে শ্রীহট্টকে এবং গোয়ালপাড়া জেলাকে উত্তরবঙ্গ থেকে কেটে আসামের সঙ্গে যে জুড়ে দেওয়া হয়, এই কাটা জোড়ায় জেলাদুটির বাসীন্দাদের মতামতের কোন মূল্যই দেওয়া হয় নি। কেননা রেভিনিউ স্টেট হিসেবে আসাম স্বনির্ভরতা পাবে। অর্থাৎ কাল পর্যন্ত যারা বাংলার অধিবাসী ছিল নেহাৎ-ই প্রশাসনিক কারণে তারা হয়ে গেল আসামের বাসিন্দা। গোয়ালপাড়া ও শ্রীহট্ট জেলার অধিবাসী বলতে প্রায় সবাই তখন বাংলা ভাষাভাষী। সামাজিক বিরোধের বীজ উপ্ত হল এখানেই। বাঙালিরা কোনদিন অসমীয়া ভাষাকে নিজের ভাষা হিসাবে মেনে নিতে পারে নি, আর অসমীয়াভাষীরাও কোনদিন বাঙালীকে ভ্রাতৃপ্রতিম বলে মন থেকে স্বীকার করতে পারেনি। জওহরলাল নেহেরু যখন নির্বাচনী প্রচারের জন্য ১৯৩৭ সালের নভেম্বরে আসামে আসেন, তখন তাঁর কাছে অসমীয়া জাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি একটি বিস্তারিত প্রোগ্রাম এর প্রস্তাব দেওয়া হয় -
(১) সিলেটকে আসাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলার অন্তর্ভূক্ত করা
(২) অন্তত কুড়ি বছরের জন্য ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাঙালীদের অভিবাসনের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা, এবং
(৩) আসাম প্রদেশের বাসিন্দা বাঙ্গালী অভিবাসীদের জন্য কঠোর ন্যায্যকরণ আইন।
উল্টো দিকে ১৯০৫-এর দ্বিতীয় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়ও কিন্তু কলকাতা এবং ঢাকা কেন্দ্রিক বঙ্গসমাজের দাবিদাওয়ার মধ্যে অবিভক্ত বাংলার এই অঞ্চলগুলি বাদ পড়ে যায়। বাংলার একটি বিস্তৃত অংশ বাংলার বাইরেই পড়ে থাকলো প্রথম বঙ্গভঙ্গের অনুচ্চারিত বেদনার ইতিহাস নিয়ে। বাংলা এবং আসাম দু জায়গাতেই অবহেলিত, অনাকাংক্ষিত, অনাদৃত হয়ে। পিতৃপুরুষের ভিটে মাটি নিয়েই এক বিস্তৃত অঞ্চলের বাঙালির পরিচয় হয়ে গেল আসামে বসবাসকারী বাঙালি হিসাবে।
১৯৪৭-এর ১৪ই আগস্ট। বাংলা দু ভাগ হয়ে গেল বঙ্গভাষীদের মতামত ছাড়াই, কতিপয় বৃদ্ধ রাজনীতিকের ব্যক্তিগত মোহগ্রস্ততা, ক্ষমতার লোভ, স্বার্থসিদ্ধি, লবিবাজীর ভুলভাল অংকে। সেই অমোঘ ভবিষ্যতের বিপন্নতা ঠেকানোর তবু একটা চেষ্টা করেছিলেন শরৎ বসু, আবুল হাশিম, কিরণশংকর রায়েরা। কিন্তু যেহেতু তাঁরা কেউই জননেতা ছিলেন না, তাই বৃটিশ সিংহ তাঁদের প্রয়াসে জল ঢেলে দিতে সমর্থ হয়েছিল। তাদের ভারতীয় এজেন্ট কংগ্রেস, মুসলীম লীগ ও হিন্দু মহাসভার সক্রিয় সহায়তায়। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন এই বঙ্গভঙ্গের মূল প্রবক্তাদের অন্যতম। ব্রিটিশের আমদানী করা দ্বিজাতিতত্ত্বকেই সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে তারা সফল করে। মনে রাখতে হবে দেশভাগের সময় একমাত্র শ্রীহট্টেই গণভোট হয়েছে। গণভোটের ফলে শ্রীহট্টের মূল অংশটা চলে গেছে পূর্ব পাকিস্তানে। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল, হিন্দুরা তো ভারতের পক্ষে ভোট দেওয়ারই কথা। কিন্তু এক বিশাল সংখ্যক মুসলমান জনতা ভারতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। এই যে দেশভাগ হয়ে গেল, খুব স্বাভাবিকভাবেই বিপুল সংখ্যক হিন্দু এদেশে ঢুকে পড়ছে তখন। আশ্রয়ের জন্য, আত্মরক্ষার জন্য, তারা রিফিউজি হয়ে ক্যাম্পে থেকেছে, রিফিউজি কার্ড পেয়েছে। এরা যখন চলে আসছে, তখন বাঙালির সংখ্যা আরও বেড়ে গেল আসামে। পূর্ব পাকিস্তান অঞ্চল থেকে প্রদেশে শরণার্থীদের প্রবাহের ফলে সৃষ্ট অবস্থা এবং শহরে ও গ্রামগুলিতে শান্তি, শৃংখলা ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকার তার নীতি পুনর্ব্যক্ত করছে যে অ-আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতেই জমি হস্তান্তর বা কোন সেটেলমেন্ট করা যাবে না। লব্ধ জমি, জীবিকা, এবং নিরাপত্তা হারানোর ভয়ে দলে দলে বাঙালী মুসলমান নিজেদের অসমীয়া হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করে। ১৯৫১ সালের আগুপিছুতে চর এলাকার ময়মনসিংহ মুসলিমরা নিজেদের অসমীয়াভাষী হিসাবে ঘোষণা করে সেন্সাসে। ১৯৩১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যায় অসমীয়া ভাষাভাষীদের সংখ্যা শতকরা মাত্র ৩১.৪% ছিল। কিন্তু ১৯৫১ সালে প্রথম স্বাধীনতা-উত্তর আদমশুমারিতে দেখা যাচ্ছে যে অসমীয়া ভাষাভাষী মানুষদের সংখ্যা বিশ বছরে প্রায় ১৫০% বেড়েছে। এই অলৌকিক ঘটনা ঘটে কারণ ১৯৫১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী অভিবাসী বাঙালি মুসলমানরা তাদের মাতৃভাষা হিসাবে নিজেদের অসমীয়াভাষী হিসাবে ঘোষণা করেছিল।
অসমীয়া ভাষা সংখ্যাগুরুর ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলো আসামে। তার আগেই আসামের সকল সাইন বোর্ডেই অসমিয়া ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক-এই দাবির ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালেই শুরু হয় আসামের জাতিদাঙ্গা। ১৯৫৫ সালে গোয়ালপাড়া জেলা, যা ১৮৭৪ সালে বৃটিশ উত্তরবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আসামের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, তা আসামে রাখার দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা। ভাষা দাঙ্গার নৃশংসতা চরমে পৌঁছায়, এবং প্রায় গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার বাঙালী ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে আশ্রয় নেয় পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। আরও প্রায় ৯০০০০ আশ্রয় নেন বরাক উপত্যকায় ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ১৯৬০ সালে ঘোষণা করা হল আসামের রাজ্যিক ভাষা হবে অসমিয়া এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালি অঞ্চল। বরাক উপত্যকায় তারই প্রতিবাদে গড়ে ওঠে ১৯৬১-র ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন। ১৯ মে, ১৯৬১, শিলচরে গুলি এবং এগারো জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে অধ্যায়ের আপাত সমাপ্তি। মনে রাখতে হবে ১৯৬১ সালে বরাক-উপত্যকার মুসলমানদের একটা অংশও ছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার হিন্দু অসমীয়াদের সঙ্গে।
এই পর্যায়ে পূর্বপাকিস্তানের ২১শে ফেব্রুয়ারীর সঙ্গে আসামের বরাক-উপত্যকার প্রভূত মিল। বিবদমান দুটি ভাষা গোষ্ঠির মধ্যে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংঘর্ষ। ৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রবিরোধি এই আন্দোলনে মোট সাতজন শহীদ হন। আর ১৯৬১ সালের ১৯শে মে রাষ্ট্রবিরোধি সেই আন্দোলনে এগারোজন শহীদ হন। তফাৎটা হয় পরবর্তী পর্যায়ে। ২১শের কৌলিন্য বাড়তে থাকে আর ১৯ ধীরে ধীরে তলিয়ে যায় বিস্মৃতির অতলে। ১৯৬১ সালের ১৯শে মে ১১ জন শহীদ শুধু নয়, তারপরেও ১৭ই অগাষ্ট, ১৯৭২ সালে বিজন চক্রবর্তী, ২১শে জুলাই ১৯৮৬ সালে আরও যীশু আর জগন, বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। মার্চ ১৬, ১৯৯৬ শহীদ হয়েছেন সুদেষ্ণা সিংহ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার স্বীকৃতির দাবীতে। সবই অসমীয়া রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন গোষ্ঠির ভাষিক আগ্রাসনের ফলশ্রুতি।
সমস্যা তীব্র হয় ১৯৭১ সাল থেকে। যে বৎসর বাংলাদেশ স্বাধীন হলো সেই বৎসরেই শুরু হলো আসুর বিদেশী বিতাড়ণ আন্দোলন।বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীরা আসামের কৃষ্টি সংস্কৃতি অর্থনীতি সব ধ্বংস করে দিচ্ছে এই বিদেশীরা। ৮১ সালে সেন্সাস হয়নি। কিন্তু ৯১ সাল থেকে অসমীয়াভাষীর সংখ্যা শতাংশ হিসেবে কমতে শুরু করে। এই সময় থেকেই অলক্ষ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হিন্দুত্ববাদের উত্থানপর্বের সূচনা। এবারে প্যরাডাইম শিফট হতে থাকে। আসু-র বঙালখেদা সূক্ষ্মভাবে রূপান্তরিত হতে থাকে মুসলিম খেদা অভিযানে। ইলেকশান পলিটিক্সে উথালপাথাল হতে থাকে। এর সঙ্গে ক্রমান্বয়ে যুক্ত এবং বিযুক্ত হতে থাকে বোডো, ডিমাসা, চুতিয়া, বিষ্ণুপ্রিয়া, মার, নাগা, মিজো সর্বোপরি হিন্দী এবং ইংরেজী। সঙ্গে খৃষ্টান, আদিবাসী এবং উপজাতি ধর্ম। হিন্দী ভাষার পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের আগ্রাসনকে প্রতিরোধ না করে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করাই একমাত্র পথ বলে যারা উদ্বাহু নৃত্য করছেন তাঁরা ভাষিক আগ্রাসনও বোঝেন না তার সমাধানও বোঝেন না। কিন্তু অজস্র উপভাষা (!!), অন্য ভাষা, অসংখ্য বিরোধিতার চোরাস্রোত, আগ্রাসী রাজনীতি, প্রতিরোধের রাজনীতি, ভাষায় বিদেশী শব্দের অনুপ্রবেশ ঠেকানো এসব বিতর্কের সমাপ্তি কোথায়? এক-জাতি-এক-প্রাণ-এক ধর্ম-এক ভাষা-এক রাষ্ট্র-এক নেতা-র যে জিগির তুলেছে হিন্দুত্ববাদীরা, সেটাতে তারা আপাতবিজয়ী। হিন্দুত্ববাদের উত্থানে ভাষা সাম্প্রদায়িকতার স্থান দখল করেছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা।
এতদিন ভারতবর্ষের বাঙালীরা বাংলাদেশের ২১ শে ফেব্রুয়ারী উদযাপনে এত উৎসাহ দেখালেও পাশের রাজ্য আসামের ১৯ শে মে উদযাপনে নিরুৎসাহ ছিল। কেন? শুধুমাত্র বিনোদন এবং ঝুঁকিমুক্ত প্রগতিশীলতা বলে? অসমীয়া ভাষিক রাজ্য আসামে যদি বাংলাভাষা, বোডো ভাষা বা বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার সমমর্যাদার দাবীকে যদি লেজিটিমেট বলতে হয় তবে সত্যিই তো পশ্চিমবঙ্গে নেপালী, কামতাপুরী, রাজবংশী, হিন্দী এই ভাষাগুলির সমমর্যাদার দাবীকেও তো লেজিটিমেট বলতে হয়। ভাষা রাজনৈতিক আগ্রাসনের একটি টুল হতে পারে, কিন্তু শিক্ষা এবং ভাববিনিময়ের জন্য ভাষাকে বাধ্যতামূলক করা অন্যায়। একথা আসামের ক্ষেত্রে সত্য, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও সত্য। আমি সত্যিই এখনও মনে করি যে স্কুলে যে ভাষা মাধ্যম, শুধু সেই ভাষাটি বাধ্যতামূলক থাকুক। বাকী সব ভাষা ঐচ্ছিক হোক। এটি একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এসব আলোচনায় যাদের অংশ নেওয়া উচিৎ সেই সব নিম্নবর্গীয় মানুষ চিরকাল এসব বৌদ্ধিক আলোচনায় উপেক্ষিত থাকে। এঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশপাশি ভাষা তাত্বিক, সমাজ তাত্বিক, ভাষা বিজ্ঞানী, সমাজের প্রতিটি স্তরের বিশেষজ্ঞকে নিয়ে দীর্ঘকালীন মেয়াদে পুংখানুপুংখ বিশ্লেষণে এ সমস্যার সমাধান হলেও হতে পারে।