এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • বরাক-উপত্যকায় বাঙালির ধারাবাহিক সমস্যা: ভাষাশহিদ স্টেশনের দাবি প্রত্যাখ্যাত -- প্রথম পর্ব

    পার্থপ্রতিম মৈত্র
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৩৯৫ বার পঠিত
  • বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে ১৯৬১ সালের ১৯শে মে তারিখে শিলচর স্টেশনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন ১১ জন আন্দোলনকারী, তার মধ্যে অন্যতমা হচ্ছেন কমলা ভট্টাচার্য, যিনি সম্ভবত পৃথিবীর ভাষা আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ। ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে শিলচর স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে “ভাষা-শহিদ স্টেশন” করার দাবি দীর্ঘদিনের। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিতে সোচ্চার হওয়ার পর উপত্যাকাবাসীর মন রক্ষার্থে ৭ নভেম্বর ২০১৬ সালে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর প্রস্তাবটিতে তাদের “নো অবজেকশন” জানায় এবং প্রস্তাবটি রাজ্য সরকারের কাছে গেজেট নোটিফিকেশনের জন্য কাছে পাঠানো হয়। তারপরেই এই বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। আসামে বাংলাভাষার বিরুদ্ধে অসমীয়াভাষী রাজনীতিকদের বৈরিতার সম্পর্ক সুবিদিত। বহু কাল ধরে, বহুভাবে তারা চেষ্টা করেছে বাঙলাভাষীদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে। ব্যর্থ হলেই নামিয়ে এনেছে ভাষাগত আক্রমণ। বারে বারে অসমীয়া ভাষার ধ্বজাধারীদের আগ্রাসনে কেঁপে উঠেছে বরাক উপত্যকা, যার একদা নাম ছিল কাছাড় জেলা (অবিভক্ত)। গত পরশুদিন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের প্রশ্নের জবাবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী জানান যে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর আপত্তির কারণে এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হতে পারে এই আশঙ্কায় প্রস্তাবটিতে সম্মত হওয়া যাচ্ছে না। প্রস্তাব আপাতত স্থগিত।

    এখানে বলে রাখি ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের নাম পরিবর্তনে আমার আপত্তি রয়েছে। একটি ঐতিহাসিক স্থানমাহাত্ম্য একটি নামের সঙ্গে বিজড়িত থাকে। তাকে অন্য ইতিহাস দিয়ে রিপ্লেস করার মধ্যে আবেগের আকুলতা যত না থাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি থাকে রাজনৈতিক ব্যলান্সশিট। কিন্তু এই প্রবন্ধের পরিসর সে আলোচনার উপযুক্ত স্থান নয়। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের চাইতে এখানে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক ভাষা শহিদেরা এবং তাদের স্মৃতিব্যথিত একটি উপত্যকার জনপদ, যারা শতাব্দী কাল যাবৎ তাদের মাতৃভাষা বাঙলা বলেই জানে, মানে।

    পাটোয়ারী সোমবার বিধানসভায় জানিয়েছেন ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার শিলচর স্টেশনের নাম ভাষা শহিদদের নামে করার ব্যাপারে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয় এবং রাজ্যের সরকারকে এ সংক্রান্ত গেজেট নোটিফিকেশন জারির নির্দেশ দেয়। পাটোয়ারী এও বলেছেন যে বিভিন্ন সংগঠন (পড়ুন, ভাষিক ও ধর্মীয় কিছু অতি অতি ক্ষুদ্র সদ্যোজাত সংগঠন) স্টেশনের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। এই সার্বিক বিরোধিতার প্রেক্ষাপটে সরকার মনে করে যে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয় ও সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার তাগিদে এবং সমগ্র অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে স্টেশনের নাম পরিবর্তন স্থগিত রাখাই সুবিবেচনার পরিচায়ক। অর্থাৎ বিধানসভায় রাজ্য সরকারের মুখপাত্র হিসাবে কথা বলা মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারীর বক্তব্য হলো প্রথমত ভাষা শহীদ নামটিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের (ভাষিক এবং ধর্মীয়) প্রবল আপত্তি রয়েছে। দ্বিতীয়ত এই নাম পরিবর্তনের ফলে ঐ অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হবে। দুটি কারণই সর্বৈব মিথ্যা আশ্রিত।

    এই মিথ্যা প্রমাণের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন এই সত্য অনুধাবন করা যে, বরাক উপত্যকার মুখ্য ভাষা প্রথমাবধি (স্বাধীনতার অব্যবহিত আগে ও পরে) বাংলা। ১৮৭৪ সালে সিলেট ও গোয়ালপাড়া জেলাকে আসামের সঙ্গে বাংলা থেকে বিযুক্ত করে আসামের সঙ্গে সংযুক্ত করলেও স্বাভাবিক ভাবেই এতকালের বাংলাভাষী মানুষ রাতারাতি অসমীয়া হয়ে যেতে পারেনা। এদিকে বাঙলাভাষীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আসামের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে। নিজেদের ভয়, অসমিয়া তৎকালীন নেতৃত্ব অসমিয়াদের মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। প্রচার চললো বাঙালি ইনফ্লাক্স এর। বাঙালিরা আসছে, ঢুকে পড়ছে, এর ফলে আমাদের কৃষ্টি, ভাষা, সংস্কৃতি সমস্ত কিছু এরাই ডমিনেট করবে। চর এলাকা, দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্রের পারের চর, সেই চরে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর কৃষক এসেছে। তখন বাংলাদেশ হয়নি, তখন পূর্ব পাকিস্তানও হয়নি, তখন ওটা অবিভক্ত বাংলা। ময়মনসিংহের বাঙালি এপারে চলে এসেছে। তারা এসে জমিকে আবাদ করে ওখানে বসবাস করতে আরম্ভ করেছে।

    আসামের মেনস্ট্রিম রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং একশ্রেণির অসমীয়া বুদ্ধিজীবী প্রথম থেকেই চায়নি সিলেট আসামে থাক। সিলেট রেফারেণ্ডামের ফলে শ্রীহট্ট অঞ্চলের মূল ভাগ কিন্তু ফিরে গেলো বিভক্ত পূর্ব বাংলায়। কিন্তু সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকেই শিরোধার্য্য করে শ্রীহট্টের বাঙালি হিন্দু এবার ছড়িয়ে পড়লো পার্শ্ববর্তী বাংলার অংশ করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি কাছাড় সহ গোটা নদীপ্লাবিত বরাকউপত্যকায়। এমনকি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও। বাড়তে থাকলো বাঙালি জনসংখ্যা। বাড়তে থাকল অসমীয়া ভাষা-সংস্কৃতি বিলুপ্তি আশংকা। আসামের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এটাকেই পুঁজি করে জাল বিছাতে শুরু করে। শুরু হলো স্বাধীন ভারতের আসামে বাঙালি বিদ্বেষের রাজনীতি। মানুষ ভুলে গেল মূল বাংলা থেকে আসামের সাথে জুড়ে দেওয়া জনপদগুলির আসল ভূমিপুত্র কারা।

    ১৯৪৮ সালের ৪ মে আসাম মন্ত্রিসভার উদ্যোগে নিচের সরকারি বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়: “পূর্ব পাকিস্তান অঞ্চল থেকে প্রদেশে শরণার্থীদের প্রবাহের ফলে সৃষ্ট অবস্থা এবং শহরে ও গ্রামগুলিতে শান্তি, শৃংখলা ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকার তার নীতি পুনর্ব্যক্ত করছে যে অ-আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতেই জমি হস্তান্তর বা কোন সেটেলমেন্ট করা যাবে না। বর্তমান আপৎকালীন অবস্থায় যারা এই প্রদেশের আদিবাসী নয় সেইসব ব্যক্তিরাও অন্তর্ভূক্ত হবে, যারা অ-আদিবাসী বাসিন্দা কিন্তু এই প্রদেশেই ইতিমধ্যে নিজেদের জমি এবং ঘর তৈরী করেছে এবং আসামকে নিজস্ব ভূমি হিসাবে বিবেচনা করছে। (রাজস্ব বিভাগ সংখ্যা ১৯৫/৪৭/১৮৮ তারিখ ৪.৫.৪৮)।”

    লব্ধ জমি, জীবিকা, এবং নিরাপত্তা হারানোর ভয়ে দলে দলে বাঙালি মুসলমান নিজেদের অসমীয়া হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করে। ১৯৫১ সালের আগুপিছুতে চর এলাকার ময়মনসিংহ মুসলিমরা নিজেদের অসমীয়াভাষী হিসাবে ঘোষণা করে সেন্সাসে। ১৯৩১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যায় অসমীয়া ভাষাভাষীদের সংখ্যা শতকরা মাত্র ৩১.৪% ছিল। কিন্তু ১৯৫১ সালে প্রথম স্বাধীনতা-উত্তর আদমশুমারিতে দেখা যাচ্ছে যে অসমীয়া ভাষাভাষী মানুষদের সংখ্যা বিশ বছরে প্রায় ১৫০% বেড়েছে। এই অলৌকিক ঘটনা ঘটে কারণ ১৯৫১ সালের সেন্সাস অনুযায়ী অভিবাসী বাঙালি মুসলমানরা তাদের মাতৃভাষা হিসাবে নিজেদের অসমীয়াভাষী হিসাবে ঘোষণা করেছিল।

    অনসমীয়া জনগোষ্ঠির সংখ্যাবৃদ্ধি অসমীয়া উচ্চবিত্ত হিন্দু অংশকে চিরকাল আতঙ্কিত রেখেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়। তাদের ঔদ্ধত্যে বিরক্ত একের পর এক জনগোষ্ঠী আসাম থেকে বিযুক্ত হয়েছে। প্রথমদিকে তারা চেষ্টা করেছে বাঙালী প্রধান সিলেট অঞ্চলকে আসাম থেকে আলাদা করে দিতে। সিলেট রেফারেণ্ডামের পর তাদের উপলব্ধী হয় যে এতে হিতে বিপরীত হবারই সম্ভাবনা। অধিকাংশ মুসলিম একটা সময়ে নিজেদেরকে অসমীয়া পরিচয় দিয়ে আসামেই থিতু হতে চেয়েছে। কিন্তু নেলীর ঘটনা তাদেরকে পূর্ব অবস্থানে ফিরে যেতে প্ররোচিত করে।

    অসমীয়া ভাষা যখন সংখ্যাগুরুর ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলো আসামে, তার আগেই আসামের সকল সাইন বোর্ডেই অসমীয়া ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক-এই দাবির ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালেই শুরু হয় আসামের জাতিদাঙ্গা। ১৯৫৫ সালে গোয়ালপাড়া জেলা, যা ১৮৭৪ সালে বৃটিশ উত্তরবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আসামের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, তা আসামে রাখার দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা। ভাষা দাঙ্গার নৃশংসতা চরমে পৌঁছায়, এবং প্রায় গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার বাঙালি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে আশ্রয় নেয় পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। আরও প্রায় ৯০০০০ আশ্রয় নেন বরাক উপত্যকায় ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ১৯৬০ সালে ঘোষণা করা হল আসামের রাজ্যিক ভাষা হবে অসমিয়া এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালি অঞ্চল। বরাক উপত্যকায় তারই প্রতিবাদে গড়ে ওঠে ১৯৬১-র ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন। ১৯ মে, ১৯৬১, শিলচরে গুলি এবং এগারো জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে অধ্যায়ের আপাত সমাপ্তি। মনে রাখতে হবে ১৯৬১ সালে বরাক-উপত্যকার মুসলমানদের একটা অংশও ছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার হিন্দু অসমীয়াদের সঙ্গে। যার ফলশ্রুতিতে ঘটেছিল ১৯শে জুনের হাইলাকান্দি ফায়ারিং এবং আরও ১১ জনের মৃত্যু।

    ভাষাশহীদ স্টেশনের দাবির বিরোধিতা করার জন্য অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাষিক গোষ্ঠীকে মাঠে নামানো হয়েছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে সিলেটি স্বতন্ত্র ভাষার দাবীদারেরা। রয়েছে সমতলের ডিমাসাদের একটি ক্ষুদ্র অংশ। মৈতেই মণিপুরী, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের অতি ক্ষুদ্র এক একটি অংশ। নিজেদের ভাষার অধিকার রক্ষার দাবীতে শহীদ হওয়া সুদেষ্ণা সিংহ এই বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষিক গোষ্ঠীজাত। এদের সঙ্গেই মাঠে নেমেছে মুসলিম ধর্মগোষ্ঠির হাতেগোনা কিছু মানুষ, আর বরাকের আদিবাসিন্দা হওয়ার দাবিদার কিছু মাইক্রো গোষ্ঠী। এরা কেউ কেউ নিজেদের গোষ্ঠী পছন্দের কিছু নাম ভাসিয়ে দিচ্ছেন আর কোনও কোনও মাইক্রো গ্রুপ বরাক উপত্যকাকে বাংলাভাষাবিহীন এক জনপদ প্রমাণে ব্যস্ত, নিজেদের অসমীয়া হিসাবে প্রতিষ্ঠাপ্রয়াসী।

    কেন্দ্রীয় সরকারের “নো অবজেকশন” লেটারের বয়ানটি এখানে প্রণিধান যোগ্য। ৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষে ডিরেক্টার (সি.এস.-২) শ্রী আশুতোষ জৈন মহাশয় রাজ্য সরকারের গৃহ ও রাজনৈতিক দপ্তরের অতিরিক্ত সচিবকে এক চিঠিতে জানিয়েছেন যে, “আপনার দপ্তরের ১০.০২.২০১৬তারিখের চিঠি (নং পি.এল.এ /৪৬৩/ ২০০৮/ ৪৩২, উপরিল্লিখিত বিষয়ে (শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের নাম ভাষাশহিদ স্টেশন শিলচর করা) আমি এই কথা বলতে আদিষ্ট হয়েছি যে, এতে ভারত সরকারের কোন আপত্তি নেই।’ তিনি আরও বলেন যে “সায়েন্স অ্যান্ড টেকলোলজি দপ্তরের ২০.১০.২০১৬ তারিখের চিঠিতে (নং-এস.এস/২৮/০৫/২০১৬), যে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয় এই স্টেশনের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে, তাতে বলা হয়েছে যে, (নং এস.এম/২৮/০৫/২০১৬ সম্বলিত), ২০.১০.২০১৬ তারিখের একটি চিঠিতে নতুন নাম ভাষা শহিদ স্টেশন শিলচর, এই নামের বানান দেবনাগরী হিন্দি এবং রোমান স্ক্রিপ্টে লিখে এর সঙ্গে এনক্লোজ করা হয়েছে। আসামের রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় গেজেট নোটিফিকেশন জারি করতে, যেখানে এই নামের বানান দেবনাগরী হিন্দি এবং রোমান স্ক্রিপ্টে এবং আঞ্চলিক ভাষায় থাকবে। এই নোটিফিকেশনের কপি দয়া করে সার্ভেয়ার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার, অফিসে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্যও অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৩৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কমলিণী সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত। | 103.216.***.*** | ১৯ মে ২০২১ ২৩:৪৮106191
  • অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তথ্যবহুল ও প্রাসঙ্গিক রচনা।

  • চার্বাক | 117.254.***.*** | ২৪ মে ২০২১ ১৪:৩৬106392
  • হাইকোর্টে এই অধ্যাদেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্কোয়াশ করানো উচিত।  কারন তা না হলে তো পূর্ববঙ্গ থেকে আসা কেউ ওই দিনের পরে জমি নিয়ে থাকলে সেটার সেটেলমেন্ট বাতিল হয়ে যায়। -


    “পূর্ব পাকিস্তান অঞ্চল থেকে প্রদেশে শরণার্থীদের প্রবাহের ফলে সৃষ্ট অবস্থা এবং শহরে ও গ্রামগুলিতে শান্তি, শৃংখলা ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকার তার নীতি পুনর্ব্যক্ত করছে যে অ-আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতেই জমি হস্তান্তর বা কোন সেটেলমেন্ট করা যাবে না। বর্তমান আপৎকালীন অবস্থায় যারা এই প্রদেশের আদিবাসী নয় সেইসব ব্যক্তিরাও অন্তর্ভূক্ত হবে, যারা অ-আদিবাসী বাসিন্দা কিন্তু এই প্রদেশেই ইতিমধ্যে নিজেদের জমি এবং ঘর তৈরী করেছে এবং আসামকে নিজস্ব ভূমি হিসাবে বিবেচনা করছে। (রাজস্ব বিভাগ সংখ্যা ১৯৫/৪৭/১৮৮ তারিখ ৪.৫.৪৮)।” 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন