তোমার কথা হেথা কেহ তো...
তেত্রিশ বছরের একটা জোয়ান কিন্তু রুগ্ন ছেলে শুয়ে আছে জেলখানার ঠান্ডা মেঝেতে, গায়ে হয়ত শুধু একটা কম্বল। গরাদের ফাঁকে তাকে কড়া নজরে রেখেছে এদেশের কুখ্যাত ট্রিগারহ্যাপি পুলিশ বাহিনী, যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমাতে নিজেরাই সরকারি বাস পোড়ায়, গুজরাত মডেলে সংখ্যালঘুর দোকান ভেঙে দামী মাল লুঠ করে। আর দমাদম গুলি ছুঁড়ে শুইয়ে দেয় শিশুদেরও। আটক নাবালকদের সোডোমাইজ করার অভিযোগও ওঠে এদের বিরুদ্ধে।
ছেলেটার জন্য সারা দেশ ভয় পাচ্ছে। কারণ ওকে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছে হয়তো মরবারই জন্য। নাহলে ডাকাবুকো ছেলেটা যে একটা দুরারোগ্য রক্তের অসুখে ভুগছে, দিল্লী এইমস ছাড়া অন্য কোথাও যার চিকিৎসার বন্দোবস্ত নেই, সেটা ডাক্তার সমানে টুইট করে জানানো সত্ত্বেও কী করে সরকার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না, প্রয়োজনীয় ওষুধটুকুও দিচ্ছে না !
অথচ এই যে আজ সারা দেশ জুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন এক রক্তলাঞ্ছিত উৎসবের চেহারা নিয়েছে, শাহিন বাগ, পার্ক সার্কাসে মেয়েরাও রাত জাগছেন পথের পাশে, তাতে ওর অবদান অনেক। ও-ই মাঠে নেমে গরীবের শত্রু, ধর্মীয়বিভেদকামী, আধিপত্যবাদী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধতায় একাট্টা করবার চেষ্টা করেছিল গরীব শোষিত দলিত, আদিবাসী এবং মুসলমানদের। ওর নাম চন্দ্রশেখর আজাদ। ওর শিক্ষক বাবা বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণায় দুই ছেলের নাম দিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ আর ভগৎ সিং।
নীতিনিষ্ঠ শিক্ষিত এক পরিবারে জন্মানোর যে পরিশীলন ভীম আর্মির সর্বেসর্বা চন্দ্রশেখরের তা ভালোই আছে। জনতার মাঝে 'অপূর্ব একা' হবে না বলেই সে সেই পরিশীলনের ওপর কাদা লেপে দেয় ইচ্ছে ক'রেই। ল' পাশ করা প্র্যাক্টিসিং আইনজীবী নিজের নামের পেছনে লাগিয়ে নেয় 'রাবণ' কথাটি - চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণ। সাহারাণপুরে নিজের গ্রাম ঘাদখাউলিতে ঢোকার মুখে সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখে - মহৎ চামারদের নিবাস এই ঘাদখাউলিতে আপনাদের স্বাগত !
বুকটা ছ্যাঁত করে উঠলো তো ? চামার আর মহৎ, এই কথাদুটি একসঙ্গে যায় ! চামারদের এতোকাল থাকতে বাধ্য করা হতো গ্রামের বাইরে, তাদের দিয়ে মরা পশু বহন করানো হয় ভাগাড় অব্দি। চান্দ্রায়ণের দেশে দোপেয়েদের বিষ্ঠা পরিষ্কার করে ওরা। ঘরের উথলানো মেয়েগুলি ছাড়া ওদের আর সবই অস্পৃশ্য । গোবলয়ের উঁচু জাতরা ওদের ছায়া মাড়াতো না, ওদের নিজেদের গলায় মাটির খুরি দড়িতে বেঁধে রাখতে হতো, যদি হঠাৎ থুথু ফেলার প্রয়োজন হয়, এখনও গ্রামে আলাদা রাস্তা দিয়ে ওদের যাতায়াত করতে হয়। বিয়েতে বাদ্যি বাজালে, মোটা গোঁফ রাখলে, নতুন জুতো পরলে অথবা যে কোনো ছুতোতে ওদের বেধড়ক মার দেওয়া যায়। মরা পশু খালাস করতে গেলে ওদের ঘিরে ধরে গোমাতা হত্যার দায় চাপিয়ে লোহার চেইন দিয়ে মেরে পিঠ ফাটিয়ে দেওয়া যায়, যেমন দুবছর আগে করা হয়েছিল উনাতে।
ধরিত্রীর অপচ্ছায়া এই চামারগুলো আবার মহৎ! আরে বাবা, চামার কথাটা একটা জঘন্য গালি হয়ে গেছে কী আর এমনি এমনি !
চন্দ্রশেখর এ সবই জানে। জেনেই সে রাজপুতের মতো মোটা গোঁফ রাখে, সলমন খান স্টাইলের সানগ্লাস পরে, সিনেমার উচ্চবর্ণ জমিদারের মতো ওয়েস্টকোট। তার স্টাইল একটা স্টেটমেন্ট, একটা প্রবল ক্রোধ ও প্রতিবাদের প্রকাশ। এই তো তোদের মতো ধড়াচূড়া পরেছি, আয় এবার কী করিস দেখি - এই ধরণের পাঙ্গা নেওয়া যেন। ওই সাইনবোর্ডটাও তাই। গ্রামে বাস করা উচ্চবর্ণের ঠাকুরদের ইচ্ছাকৃত অপমান করবার জন্যই ওটা লাগানো। জন্ম জন্মান্তর ধরে অপমান অত্যাচার করেছ, এইবার পায়ের তলে থাকা চামারদের পরিচয়েই হবে গ্রামের পরিচয়।
মনে হতে পারে উচ্চকিত প্রতিবাদ। কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ঘাড়ে পা দিয়ে মাটিতে মুখ ঠুসে রাখবার পর যে প্রতিবাদের স্ফুরণ হবে অত্যাচারিতের প্রতিটি রোমকূপ থেকে, তার প্রাবল্য কোনো মাপকাঠিতে মাপা যাবেনা। ললিত শান্তির বাণী ওখানে ব্যর্থ পরিহাসের মতোই শোনাবে। চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণকে তাই আমাদের মাপে ছেঁটে ছোটো করে বোঝা যাবে না। তাকে বুঝতে হলে তার জন্ম, তার জীবন, তার ক্রোধ,অপমান, অত্যাচার, সব মিলিয়েই বুঝতে হবে।
মনুবাদী বিজেপির চক্ষুশূল, আবার একই সঙ্গে প্রভাব কমে যাবার ভয়ে এক ভাইবেরাদরির মায়াবতীর দারুণ অপছন্দের মানুষ এই চন্দ্রশেখর। নেতা হিসেবে তার পরিপক্কতা এদেরকে চিন্তায় ফেলে দেয়। সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার তো দলিত আদিবাসী আর মুসলমানরা। অথচ এরাই তো এদেশের ৮০%। এদের মিলিত শক্তির ঐক্যবদ্ধতার সামনে দাঁড়ানো যায় ? মনুবাদীরা যে এতোকাল ক'রে খেলো তার কারণ তো ঐ বিভেদ জাগিয়ে রাখা। দলিতের হিন্দুত্বতে সুড়সুড়ি দিয়ে তাকে অন্যদের ঘৃণা করতে শেখানো কী চতুর চাল ! আমরা সবাই হিন্দু, এই সামিয়ানার নীচে ঢুকিয়ে দিয়ে ভোট তো হাসিল হোক, তারপর দেখা যাবে। সেটা হয়তো হয়েছে, কিন্তু চাল বুঝে ফেলার লোকও আছে। তাই এখন ভীম আর্মির অন্তত ১০% মুসলমান। দলিতের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে সেও সোচ্চার জাতিগত বা ধর্মীয় বদমাইশির বিরুদ্ধে। এবং তাদের প্রতিবাদ সবসময় অহিংস নাও হতে পারে। উনায় শেকল বেঁধে মিথ্যে বদনাম দিয়ে দলিত মেরেছিস, আচ্ছা বেশ, তার পরদিনই ভীম আর্মির মদতে জেলা কালেক্টারের অফিসের সামনে মল মূত্রের গাড়ি উবুড় করা। বাবুদের জুতোয় সেসব মাখামাখি হলে তবে না মনে থাকবে দলিতও মানুষ।
এই প্রতিরোধের স্থপতি চন্দ্রশেখর আজাদ। মাত্র তেত্রিশ বছর বয়সের এক যুবক, যার শরীরে বাসা বেঁধেছে এক মারণ রোগ। নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে দিল্লী এইমসে নিয়ে গিয়ে তার পরীক্ষানিরীক্ষা ও যথোপযুক্ত ওষুধের ব্যবস্থা না করা হলে হঠাৎ তার কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়ে যেতে পারে, তার প্রাণহানি ঘটতে পারে। যোগীজি এসব খুব ভালো করেই জানে। তবে একটা চামার, দলিতের প্রাণের মূল্য আর কতো ! এইসব ফালতু ভেবে যোগনিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটালে চলে !
চন্দ্রশেখর শুধু ভীম আর্মি চিফ নয়।
সে সাম্প্রদায়িকতা, জাতপাতের ওপরে ওঠা একজন নেতা যাকে মনুবাদীরা যমের মতো ডরায়। নীতিনিষ্ঠ, বুদ্ধিমান এবং সাহসী। এই তো সেদিন সম্রাট শাজাহানের তৈরি জামা মসজিদের মস্ত উঁচু ভিত থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে সিঁড়ি ভাঙছিলো চন্দ্রশেখর। মাথায় নীল কাপড় জড়ানো। শরীর ঢাকা নীল অঙ্গবস্ত্রে। শেষ ধাপে এসে সম্রাটের মতোই রূপবান এই যুবক ফেলে দিল আবরণ, মুখে তার শ্লোগান, আও হামারা সাথ চলে / হম ইস দেশকা মালিক হ্যায়। তারপর পুরনো দিল্লির জামা মসজিদ আর দরিয়াগঞ্জ এলাকায় শুরু হলো ধামাকাদার এনার্সি,সিএএ বিরোধ। সবাই ছুঁতে চায় চন্দ্রশেখরের হাত, সবাই গলা মেলাতে চায় তার দেওয়া স্লোগানে।
দিল্লি পুলিশ তাকে এনার্সি, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেবে না কিছুতেই। চন্দ্রশেখর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তাকে দাঁড়াতেই হবে বিপন্নদের পাশে। বিরাট রাস্তা জুড়ে সশস্ত্র পুলিশ, বন্দুক, লাঠি, গুলি অগ্রাহ্য করে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে আত্মপ্রকাশ করলেন দেশের নেতা, গরীবের মসিহা, চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণ।
তার এই নাটকীয় চালেরও বিদ্রুপ ওড়ায় উচ্চবর্গের লোকজন, বলে, শালা নৌটঙ্কী ! যাকে চলতে হয় জীবন মৃত্যুকে ভৃত্য ক'রে তার কাছে পুরো জীবনটাই এক নাটক হবে এইই তো স্বাভাবিক। তার সর্বক্ষণের সঙ্গী গরীব নিপীড়িতদের দঙ্গলের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে আছে এদেশের যতো যোগীভোগী, মহামহিম বীর এবং দ্বেষভক্ত বীরপুরুষেরা যাদের অঙ্গুলিহেলনে লক্ষ লক্ষ লোক ভিটেহারা, দেশহারা হয়, ধড় থেকে মাথা গিয়ে পড়ে পায়ের তলে। এদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে চন্দ্রশেখর আজাদ যদি একটু নাটুকেপনাই করে তা কি খুব দৃষ্টিকটু ? জনসভায় মিথ্যে চোখের জলে ভোটারদের মন জয় করে বেড়ায় যে ক্ষমতার কুমীর তার নাটুকেপনা তো দিব্যি হাততালি পায়! সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখা নেতা নেত্রীদের লাফঝাঁপ দেখে তো নাটুকেপনা মনে হয়না আমাদের। দলিতরা জানে, মায়াবতী এখন সেই ভয়েই বিজেপির বি টিম। অখিলেশও তথৈবচ। এনার্সির বিরোধিতা করব, অথচ বিরোধীদের আনা বিল বিধানসভায় খারিজ করব, বিরোধী ঐক্যে সামিল হব না, এই গর্বোদ্ধত ভাবকে সস্তা নাটক ব'লে মনে হয়না আমাদের ?
এইসব নাট্যপ্রিয় নেতানেত্রীদের উল্টোবাগে দাঁড়িয়ে চন্দ্রশেখর। যেখানে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের অত্যাচার, সেখানেই ভীম আর্মি। বছরের বেশিরভাগ সময় জেলে কাটে এই যুবকের। এক সাহারাণপুরের মিথ্যা মামলায় পঁচিশটি এফ আই আর করা হয় তার বিরুদ্ধে আর কালকুঠরীতে ঢুকিয়ে প্রবল অত্যাচার। সেই অত্যাচারের ফলেই এই অসুখ কিনা কে জানে !
গৌরী লঙ্কেশ মারা যাবার পর প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল চন্দ্রশেখর। জেল থেকেই চিঠিতে নব্য শাসকদের সে "কালা আংরেজ" উপাধি দেয়। গৌরী তার আম্বেদকারীয় জ্যেষ্ঠা সহোদরা, এই কথা জানিয়ে সে লেখে, তার নিজের মৃত্যুতেও যেন থমকে না থাকে আন্দোলন। গৌরী যে ভয়হীনতার পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই পথেই আমাদের চিরকাল চলা।
সেই চিঠিতেই এ কথা লেখা যে প্রতিশোধপরায়ণ কালা আংরেজ সরকার তাকে বলে দিয়েছিল যেন সে জামিনের আবেদন না করে। করলেই তাকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এক্টে আটকানো হবে।
হয়েওছিল ঠিক তাই। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত চার্জকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব'লে খারিজ করে দেয়। পরদিনই যোগী সরকার তাকে এনএসএ তে আবার জেলে পুরে দেয়। সত্যিকারের শত্রু চিনতে ভুল হয়না ওদের। অকথ্য অত্যাচারে হুইলচেয়ার বন্দী চন্দ্রশেখরের ছবি নিয়ে তার মুক্তির দাবীতে সোচ্চার হয় জিগ্নেশ মেওয়ানী সহ সমস্ত ভীম আর্মি এবং অন্যান্যরাও।
এই সাহারাণপুর মামলাটি কি বস্তু ?
২০১৭ সালের ২০শে এপ্রিল উচ্চবর্ণ রাজপুতদের সঙ্গে দলিতদের ঝামেলা লাগে। কারণ সিদ্ধান্ত হয় দলিতদের বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিন পালন করতে দেওয়া হবে না। জলউঁচুরা কিন্তু মহারাণা প্রতাপের গলায় মালা দেবে, যাবে পায়ের নাগরা মসমসিয়ে দলিত কলোনির মধ্য দিয়ে। আদালতের বারণ আছে তারা যেন এই কলোনিতে না ঢোকে, কিন্তু তাতে কী ! আদালতের বারণ বাহুবলীরা কবে শুনেছে!
দলিতরা এমনিতেই খেপে ছিল, ঝগড়া পাকিয়ে উঠতে দেরি হল না। এর মধ্যেই আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত ক'রে দেওয়া হল ২৫ টি দলিত বাড়ি। আগুনে পুড়ে মরল এক রাজপুত ঠাকুর।
এইসবের বিরুদ্ধে স্থানীয় গান্ধী পার্কে দলিতরা জমায়েত করবে, মিটিং হবে, প্রশাসন অনুমতি দেবে না। ক্ষিপ্ত মানুষের ঢল আটকাতে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হলো। লড়াই ছড়িয়ে গেল অলিতে গলিতে। এক দলিতের মৃত্যু হল। প্রতিবাদে আরো আন্দোল, এমনকি যন্তর মন্তরেও বিশাল দলিত-ধর্ণা হলো। পুরো এপ্রিল মে মাস জুড়ে ধিকিধিকি জ্বলতে লাগলো আন্দোলনের আগুন। আর এই সব কিছুর জন্য আরো অনেকের সঙ্গে চন্দ্রশেখরকে জেলে পাঠালো উত্তরপ্রদেশ সরকার। তারপর থেকে জেলই তার বেশির ভাগ সময়ের ঠিকানা।
সিএএ, এনার্সি বিরোধী আন্দোলনে চন্দ্রশেখরকে জেলে পাঠানো হলো কেন ? নাকি সে মানুষজনকে উস্কেছিলো এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছিল। জেনে হাসি পায়। কারণ এতোদিনে আমরা জেনে ফেলেছি গাড়িতে কীভাবে আগুন লাগে, কীভাবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হয়। পুলিশ এরেস্ট করে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে গাড়িতে ওঠার আগে ব'লেই যাচ্ছে, হিংসা নয়, শান্তির পথে লড়ো ভাইসব। এরা এস সি, এস টি, সংখ্যালঘু, বনবাসীদের বাঁচতে দেবে না। এদের বিরাগভাজন যারা হবে, সাতপুরুষের দেশ ছেড়ে তাদেরই চলে যেতে হবে। বাবাসাহেব কা বেটা হুঁ, তাঁঁর নামে শপথ করেই বলছি এ দেশে আইনের শাসন আবার প্রতিষ্ঠা করব আমরা।
আজকের যা খবর তাতে মনে হয় দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে অবশেষে বোধহয় চিকিৎসার সুযোগ মিলবে চন্দ্রশেখর আজাদের। রোহিত, নাজিবের উত্তরাধিকারের পতাকা ঊর্ধ্বে রেখে এই যুবক ঐশী, শেহলা, কানাইয়া, জিগ্নেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আইনের শাসন ফিরিয়ে দিক আমাদের।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে, ভারতভাগ্যবিধাতা!
এই লেখাটি চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখরের সংগ্রামটিকে লাল সেলাম।
প্রতিভা দি, তোমার "ট্রিগারহ্যাপি পুলিশ বাহিনী" কথাটি চুরি করলাম। আরো লেখ।