এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মঙ্গলকাব‍্য ও মুঘল : বাস্তব চিত্রায়ণ ও কাগুজে বাঘের একটি সমীক্ষা

    Manali Moulik লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | ১৩৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পর্ব ১ | পর্ব ২
    ইতিহাসকে দেখার জন‍্য প্রকৃতপক্ষে হাতের কাছে কয়েকটা চশমা রাখার প্রয়োজন। একেকটির স্বচ্ছতা একেকরকম, একেকটি দিয়ে একেকরকমভাবে ইতিহাসকে দেখা যায়। কোনো চশমা অনেকটাই ঝাপসা হয়ে এসেছে, কোনোটার বা ঔজ্জ্বল‍্য অমলিন রয়েছে। একই ইতিহাসকে দেখার জন‍্য নিত‍্যনতুন রকমের চশমাবদল করাটাই ঐতিহাসিকের কাজ। 
    আসলে এবার তো আসার কথা উইলিয়াম মোরল‍্যান্ড ও উইলিয়াম আরভিনের কাজের আলোচনায়, তাহলে ধান ভানতে শিবের গাজন গাওয়া কেন? কারণ মুঘল যুগের প্রশাসনিক কাঠামো তথা সংস্কৃতিকে দেখার পদ্ধতির বিবর্তনটাও এখানে বোঝার জিনিস। যাক, যা বলছিলাম। উইলিয়াম মোরল‍্যান্ডের কাজের বিষয় হলো মুঘল ভূমিরাজস্ব ব‍্যবস্থা এবং প্রশাসনিক কাঠামো। বৃহত্তর সাম্রাজ‍্যকে ধরে রাখতে জমির ভাগ কীভাবে করা হতো, রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ও হিসাব কেমন ছিলো ও এই বিষয়ে কর্মচারীদের স্তরায়ণ কেমন ছিলো, ইত‍্যাদি নিয়ে মোরল‍্যান্ড তাঁর গবেষণাসন্দর্ভ প্রস্তুত করেন। অপরদিকে আরভিনের কার্যক্রমের বিষয় হলো মুঘল সামরিক ব‍্যবস্থা ও আকবর পরবর্তীযুগের মুঘল রাজতন্ত্র। এখানে বলে রাখা ভালো, আরভিনের কাজও কিন্তু ঘুরেফিরে সেই মুঘল রাজতন্ত্রের সর্বময় নিয়ামক হিসাবে বাদশাহকেই দেখানো হয়েছে। ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী সময়ে এমন ব‍্যক্তিত্ব, দূরদর্শীতা ও বুদ্ধিসম্পন্ন শাসক আর তেমন কেউ ছিলো না যে এই সাম্রাজ‍্যের হাল ধরতে পারে। ফলে আঠারো শতকের গোড়ার দিক থেকেই বিচ্ছিন্নতা, বিদ্রোহ ও আঞ্চলিক শক্তির দ্বারা মুঘল শাসনের কেন্দ্রীভূত কাঠামোটির অবক্ষয় শুরু হয়ে যায়। ভারতের ইতিহাসে নেমে আসে অন্ধকারময় যুগ। আগেই বলেছি, রানী ভিক্টোরিয়া  'ভারতসম্রাজ্ঞী'  খেতাব পাওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিসরেলির তত্ত্বাবধানে মুঘল সাম্রাজ‍্যের উন্নত দিকগুলি নিয়ে কাজ শুরু হয়। ইঙ্গিতটা ছিলো এইরকম, কেন্দ্রীভূত মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের পরে কিছু হরে-খুড়ো-মালাইদাস দেশটাকে দখল করে গোল্লায় দিয়েছিলো, ব্রিটিশ এসে সেইদশা থেকে উদ্ধার করেছে! এতে ব্রিটিশ শাসনের কাঠামো জনমানসে একটা ভিত্তিভূমি পাবে। মোরল‍্যান্ড এবং আরভিন দুজনেই ছিলেন তেমন উপনিবেশবাদী - শ্বেতাঙ্গ গবেষক। তবে তাঁদের গবেষণা সূচনা করলো ব‍্যক্তিকেন্দ্রিকতা বাদ দিয়ে প্রশাসনযন্ত্র ও সাম্রাজ‍্যগঠনে  মুঘল সংস্কৃতির অনুসন্ধানের উষাযুগের। জাতীয়তাবাদী গবেষক স‍্যার যদুনাথ সরকার যখন এলেন পূর্বতনদের পথ ধরে, পাঁচ খন্ডে রচিত ঔরঙ্গজেবের জীবনীতে তাঁকে দেখালেন  শেক্সপীয়ারের ট্র‍্যাজিক নায়ক হিসাবে। এমন এক বাদশাহ যাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, অসীম দূরদর্শীতা, অফুরান প্রাণশক্তি ও দৃঢ় মনোবল। কিন্তু সাম্রাজ‍্যের স্বার্থেই ওনাকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিলো তা সাম্রাজ‍্যেরই ক্ষতি ডেকে আনে। যেমন জিজিয়া কর ফিরিয়ে আনার ফলে অমুসলিম রাজন‍্যবর্গের ক্ষোভ এবং অবশ‍্যই দাক্ষিণাত‍্যের যুদ্ধে একটানা ছাব্বিশ বছর কাটানোর ফলে সাম্রাজ‍্যের দ্রুত অবনমন।  সুতরাং অবশেষে নেপোলিয়নকে যেভাবে স্পেনীয় ক্ষত শেষ করেছিলো, ঔরঙ্গজেবকে শেষ করলো দাক্ষিণাত‍্য ক্ষত। এখন প্রশ্ন ওঠে, ১৯৩০  - ৫০ -এর দশকের ঐতিহাসিকরা মুঘলদের উন্নত দিকগুলি দেখিয়েছিলেন অপূর্ব স্থাপত‍্য নির্মাণশেলী, উন্নত পরিকাঠামো ইত‍্যাদির প্রেক্ষিতে কিন্তু মূলকথা ছিলো সেই বাদশাহ-কেন্দ্রিক। অতো বৃহৎ সাম্রাজ‍্যের ক্ষেত্রে মধ‍্যমণি হিসাবে কেবল বাদশাহের আলোচনা করাটা ভিক্টোরীয় ও উত্তর -ভিক্টোরীয় যুগেও রয়ে গেল কেন?  ব্রিটিশ শাসনের শেষভাগ বা স্বাধীন ভারতের শুরুর দিকে দেশের নেতৃবৃন্দের মধ‍্যেও উজ্জ্বল ছিলেন নেহেরু, বল্লভভাই প‍্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ও অবশ‍্যই গান্ধীজী। নেহেরুজী তাঁর রচনায় আকবরের ধর্মনিরপেক্ষতার  আদর্শকে প্রশংসা করেছেন ও নতুন ভারতকে মুক্তচিন্তার প্রেক্ষিতে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। তাহলে উদারবাদী, মুক্তমনা, ধর্মমমতসহিষ্ণু ও প্রগতিশীল আকবর এবং অত‍্যাচারী ও পরধর্মবিদ্বেষী ঔরঙ্গজেবের ব‍্যক্তিত্বের বৈপরীত্য বা দারাশিকোহ - ঔরঙ্গজেবের বিরোধ কি তৎকালীন বর্তমানের প্রেক্ষাপটে নেহেরু ও জিন্নার ছায়াযুদ্ধ? ব‍্যক্তিকেন্দ্রিক রোমান্টিসিজমকে এর একটি কারণ হিসাবে হয়তো দেখা চলে। কিন্তু একটি সুবৃহৎ সাম্রাজ‍্য যে কেবল বাদশাহের ব‍্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে না, সম্রাটের বদলে সাম্রাজ‍্য নিয়ে ভাবনার শূরু হলো ১৯৫৬ - ১৯৬৫ -এর মধ‍্যে। তিনটি বইয়ের নাম এখানে পরপর সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত ডি.ডি.কোসাম্বীর 'An introduction to the study of Indian history' 
    রামশরণ শর্মার 'Indian Feudalism'  (1965) এবং শেষেরটা  প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে। যেটা হলো ইরফান হাবিব রচিত  'The agrerian system of Mughal India.'
    শর্মার বইটির পরিপ্রেক্ষিতে মুঘল শাসনে জমির বন্দোবস্তের মধ‍্যে দিয়ে ভারতে সামন্ততন্ত্র ছিলো কি ছিলো না তার বিতর্কে ঘৃতাহূতি পড়েছে। অপরদিকে ইরফান হাবিবের বইটির বক্তব‍্য হলো বৃহৎ মুঘল শাসন পরিচালনা করতে যে পরিমাণ করের প্রয়োজন তা সংগৃহীত হতো কৃষকের থেকে। খরা বা ফসল নষ্ট হলেও ভূমিরাজস্ব ব‍্যবস্থায় পরিবর্তন খুব কমই হতো। ক্রমাগত শোষণের ফলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কৃষকেরা বিদ্রোহ করে যা মুঘল শাসনের ভিত অনেকটা নড়িয়ে দেয়। জাঠ, সৎনামী, শিখ ও রাজপুত বিদ্রোহগুলি অনেকটা এরকম ছিলো। তবে মার্কসবাদের বিশ্বব‍্যাপী চর্চা যেহেতু এই ৬০ এর দশক থেকে গড়ে উঠতে শুরু করে তাই কৃষক-অর্থনীতি ও মুঘল রাজস্ব কাঠামোয় নজর ফেরান ঐতিহাসিকগণ। মুঘল সাম্রাজ‍্যের বাঁধনের জন‍্য 'সংমিশ্রণের সংস্কৃতির' কথা একমাত্র মার্কিন ঐতিহাসিক জন রিচার্ডস ছাড়া কেউই বলেননি। জায়গিরদার ও মনসবদারদের মধ‍্যে অভিজাত ক্ষমতা নিয়ে বিরোধের প্রসঙ্গটি কিছুটা উঠে আসে ড.সতীশচন্দ্রের 'Parties and politics in the Mughal Court' (1959) গ্রন্থটি থেকে। অবশ‍্য বর্তমান রাষ্ট্রকাঠামোর মতো সম্পূর্ণ আমলাতান্ত্রিক গঠন মুঘল রাষ্ট্রের যে ছিলো না, সেবিষয়ে সংশয় নেই। একপ্রকার পারিবারিক ধাঁচের অভিজাত-আমলাতন্ত্রের অবস্থান দেখা যায়। স্টিফেন ব্লেক  একে Patrimonial- Bureaucratic গঠন বলেছেন। তবে বাংলা প্রদেশ এবং উত্তর ভারতের ক্ষেত্রে মুঘল শাসনের শেষদিকে যে কৃষক ও রাষ্ট্রের মধ‍্যে একটি মধ‍্যবর্তী শ্রেণী দেখা দিয়েছিলো,  তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আরো স্পষ্ট ব‍্যাখ‍্যা পাওয়া যায় Christopher Beily -এর 'Rulers, Townsmen and Bazars' গ্রন্থে। তাই শেষপর্যায়ে ধনী ও অভিজাত শাসকরা নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হলেও এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে সেই জটিল অবস্থার হাওয়া লাগেনি। বরং আঁটোসাটো কাঠামো (structure) এর বদলে চলছিলো একটি পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া (process) যার দ্বারা একদিকে মুঘল শাসনের জীর্ণ কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসা অভিজাতরা নিজেদের শক্তিশালী করে তুলছিলো, অপরদিকে চলছিলো আসন্ন ঔপনিবেশিক শাসনের জন‍্য প্রস্তুতি।
       
                                                                      (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১ | পর্ব ২
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রীমল্লার বলছি | ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:২৬734894
  • লেখাটা পড়তে পড়তে ঘোরের মধ্যে চ'লে এসেছিলাম সম্ভবত। সত্যিই দারুণ লিখেছ! একটুও বাড়িয়ে বলছি না... 
  • Manali Moulik | ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৫৬734895
  • ধন‍্যবাদ।
     
     
  • সোমনাথ | 203.***.*** | ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৪৯734911
  • উৎসাহ নিয়ে পড়ছি। এই প্রসঙ্গে আইনি আকবরিতে একটা অমুল্য লাইন পেয়েছিলাম। আবুল ফজল লিখছেন আকবর কোনও রাজ্য দখলের পর সেখানকার স্থানীয় রীতিকে মান্যতা দিয়ে শাসন চালাতেন। উদাহরণ দিচ্ছেন যে বাংলায় পাবলিক ট্রাঞ্জাকশনের ভার পরিবারের মহিলাদের উপর ছিল, তিনি তা জারি রাখেন।
  • <> | 2405:201:802c:7858:f12f:59df:2845:***:*** | ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৫৫734913
  • এই লেখাটার উদ্দেশ্য কী, দুই পর্ব পড়েও আমি ধরতে পারিনি । মুঘল সাম্রাজ্যের সাঅধারণ চরিত্র কী ছিল সেটা নির্ণয় করা ? বাংলায় মুঘল সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল কিনা , সেটা , নাকি সঞ্জয় সুব্রক্ষ্যনম আর মোহম্মদ আলমের সম্পাদিত বই যেটা (গুগল করে জানলাম) সে বই নিয়ে লেখা ? নাকি, মুঘল সাম্রাজ্য সম্বন্ধে ইতিহাসবিদদের জ্ঞান কীভাবে বদলেছে, সেটা ? এও মনে হল, গুগল করে, যে , মুঘল সাম্রাজ্য লেভিয়াথান না কাগুজে বাঘ, সে মনে হয় তপন রায়চৌধুরীর প্রশ্ন ছিল, ঐ দুই সম্পাদকের নয়। নাকি, বর্তমানের ভারতের পরিস্থিতি দেখে এসবের আলোচনা চলছে ?

    বাংলায় যে মুর্শিদকুলি খাঁয়ের আমল থেকে একটা স্বাধীন নবাবী আমল ছিল যারা মুঘল সাম্রাজ্যকে টাকা দিত কিন্তু পুরো নিয়ন্ত্রণে ছিল না, এটা তো মোটামুটি জানা। কিন্তু আর কী ? সেই নবাবী আমল আর হুসেন শাহর আমলের মধ্যে তফাত কি, এসব কী আসবে ?

    মানে ব্যাপার হল, প্রি - ইংরেজ আমল নিয়ে আলোচনা হলেই, আমরা সবাই খুশী হই, কিন্তু এই লেখাটার উদ্দেশ্য কী ? মুঘল আমলের জীর্ণ দশা (এই পর্বের শেষ বাক্য) কীভাবে ইংরেজ শাসন নিয়ে এল, সেই নিয়ে আলোচনা হবে ? তাহলে আমি আগ্রহী ।
  • Manali Moulik | ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০১734919
  • স্বাভাবিকভাবে মনে করা হয় মুঘল শাসনযন্ত্র ছিলো বাদশাহকেন্দ্রিক একটি রাজতন্ত্র। এই ধারণা কীভাবে বদলেছে, তার ধারা অনুযায়ী আলোচনা। এবং তার নেপথ‍্যে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গী বদলের সময়গত কারণ অনুসন্ধান।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন