এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মঙ্গলকাব‍্য ও মুঘল : বাস্তব চিত্রায়ণ ও কাগুজে বাঘের একটি সমীক্ষা

    Manali Moulik লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ অক্টোবর ২০২৫ | ১০৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • পর্ব ১
    জুলিয়াস সিজার গর্বভরে বলেছিলেন, 'Veni, Vidi, Vici' অর্থাৎ কিনা 'আসিলাম, দেখিলাম, জয় করিলাম।' ভারতের ক্ষেত্রে শোনা যায় ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে ইব্রাহিম লোদীর পরাজয়ের মাধ‍্যমেই একচ্ছত্র মুঘল শক্তি তাদের রাজত্ব কায়েম করে। অবশ‍্য বাবরের 'সন্ততি' মোটেও স্বপ্নে থাকেনি, শেরশাহ তাঁকে বেশ বিপাকে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে মুঘলদের কেন্দ্রীয় শাসন ও সাম্রাজ‍্যবিস্তারের প্রক্রিয়া ছিলো ব‍্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। অর্থাৎ মুঘলবাহিনীর আক্রমণের সামনে অন‍্যান‍্য শক্তিগুলি 'ঝড়ের পাখি'-র মতো উড়ে গিয়েছিলো। আবার সম্প্রতি তাদের নিষ্ঠুরতার কথা কিছু ঐতিহাসিক মাধ‍্যম ও কিছু লোকশ্রুতির মাধ‍্যমে ছড়িয়ে পড়েছে অতিরঞ্জিত হয়ে (রঞ্জক পদার্থটি কীসের তা সবাই অবগত) যাই হোক, শাসকের নিষ্ঠুরতা কোনো 'শক-হূণ-দল-পাঠান-মোগল' -এর উপর নির্ভর করে না। এক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ে মুর্শিদকুলি খাঁ ও ভাস্কর পন্ডিতের নির্যাতন সমপর্যায়ভুক্ত। তবে আলোচনায় যদি মুঘলদের রণনীতি আসে, তবে তাদের জেতার প্রক্রিয়া পড়ে মাইকেল মধুসূদন দত্তের সেই উপমাটি মনে আসে,
     
       "পড়িল রক্ষোনরকুলরথী 
        পড়িল কুঞ্জর-পুঞ্জ, নিকুঞ্জে
        যেমতি; পত্র প্রভঞ্জনে।"

    আদৌ কি তাই? নাকি মুঘল সৈন‍্যদেরও পরাজয়ের শিকার হতে হয়েছিলো? সত‍্যিই কি এতো সহজ ছিলো সাম্রাজ‍্যবিস্তার? নাকি মুঘলদের আসল শক্তিকাঠামো ছিলো তাদের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনে?

    প্রশ্নটি গুরুতর হলো ড. সঞ্জয় সুব্রহ্মণ‍্যম ও মুজফ্ফর আলম রচিত একটি উক্তি পড়ে, "মুঘল রাষ্ট্র আসলে কী?  লেভিয়াথান না কাগুজে বাঘ?"

    আসলে মুঘল রাষ্ট্রের চরিত্র কি ছিলো? জাতীয় কাঠামোকেন্দ্রিক নাকি দুর্বল? 

    আঠারো শতকের গোড়ার দিকে কবি রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র লিখলেন দেবী অন্নপূর্ণাকে নিয়ে  'অন্নদামঙ্গল' কাব‍্য। দেবী নিজের পূজা প্রচলিত করার জন‍্য আশ্রয় নিলেন এক কৌশলের। সেখানে মুঘল রাজপুরুষ মানসিংহের বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লো প্রবল ঝড়-বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে। অবশেষে একটি নৌকায় উঠে প্রাণরক্ষা করলেন মানসিংহ। তখন ভবানন্দ মজুন্দারের পরামর্শে মানসিংহ দেবীর পূজা করলেন ও অবশেষে বাদশাহ জাহাঙ্গীর দেবীমাহাত্ম‍্য স্বীকার করায় দেবী অন্নপূর্ণার পূজা প্রচলিত হলো। এরপর থেকে অন্নদামঙ্গলের গল্প বইছে অন‍্যখাতে। কিন্তু এখানে দেবীর গল্পের পাশাপাশি মুঘল সাম্রাজ‍্যের কিছু দিকে মঙ্গলকাব‍্যটি আলোকপাত করছে। জাঁদরেল রাজপুরুষ মানসিংহের বাহিনীর বৃষ্টি ঝড়ে বিপর্যস্ত হ ওয়া বুঝিয়ে দেয় বাংলায় ক্ষমতা বিস্তার খুব সহজসাধ‍্য ছিলো না। পূর্বপ্রান্তে বাংলা ও আসামের ক্ষেত্রে ক্ষমতাবিস্তারের কালে কোনো শত্রুপক্ষ নয়, বরং মুঘলবাহিনীর বিপক্ষে গিয়েছিলো বাংলার ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ পরিবেশ, নদীনালা ও বৃষ্টির সমস‍্যা। যাকে কবীন্দ্র কালীদাস বহু আগেই বলেছেন 'প্রাচীপ্রচর্ং পয়েষী'।

    তাই মানসিংহকে বিপদে ফেলতে কবি বেছে নিয়েছেন বৃষ্টিপাতের সাহায‍্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আঠারো শতকে যেসময়ে এই অন্নদামঙ্গল রচিত হচ্ছে, তখন বাংলায় প্রায় আধাস্বাধীন শাসন কায়েম করেছেন মুর্শিদকুলি খাঁ। তাহলে গল্পে সেই হাল আমলের উদাহরণ না টেনে কেন সতেরো শতকের রাজপুরুষ মানসিংহের আগমন হলো? আর দেবীমাহাত্ম‍্যের প্রাধান‍্য ঘোষণায় বাদশাহের ভূমিকাকে এতো গূরুত্ব দেওয়ার কারণ কি? তবে কি মুঘল শাসন ধীরে ধীরে গ্রহণযোগ‍্য হয়ে উঠছিলো মানুষের কাছে? ঐতিহাসিক কুমকুম চ‍্যাটার্জী দেখিয়েছেন, প্রথমপর্বে 'মোঙ্গলদৈত‍্য'  ইত‍্যাদি নেতিবাচক আখ‍্যা পেলেও পরে মুঘলদের গ্রহণীয়তা বৃদ্ধি হচ্ছিলো। সুতরাং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ধীরে ধীরে নিম্নবর্গ - উচ্চবর্গ উভয়শ্রেণীর সঙ্গেই মুঘল রাজশক্তি বৃদ্ধি করেছিলো নিজেদের প্রয়োজনে। তাই ঐতিহাসিক বিতর্ক এখন আবর্তিত হয় দুটি ধারণার সাপেক্ষে মুঘল শাসনব‍্যবস্থা কি ছিলো বাদশাহের ব‍্যক্তিত্বকেন্দ্রিক নাকি আর্থসামাজিক ব‍্যবস্থার উপর নির্ভরশীল?  মানসিংহের মতো রাজপুরুষের মঙ্গলকাব‍্যে উল্লেখ অন্নদামঙ্গল ছাড়াও অম্বিকামঙ্গলে রয়েছে। প্রসঙ্গত:, বৈষ্ণবধর্মের একটি ধারা মানসিংহের হাত ধরেই বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের টেরাকোটা মন্দিরে বিস্তৃত হয়েছিলো। তাই অম্বিকামঙ্গলের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীও লেখেন,
     
    ধন‍্য রাজা মানসিংহ         বিষ্ণু পদাম্বুজ ভৃঙ্গ
                         গৌড়বঙ্গ-উৎকল অধীপ
    সেই মানসিংহের কালে          প্রজার পাপের ফলে
                         ডিহিদার মামুদ শরিফ 

    এই মামুদ শরিফের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়েই মুকুন্দ চক্রবর্তী ভিটেছাড়া হন বলে কথিত আছে। যাইহোক, পূর্বের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। মুঘল সাম্রাজ‍্যের সৈন‍্যবাহিনীর বাংলার বৃষ্টিতে নাকানি-চোবানি খাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করে তারাও পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিলো। এখন ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পর শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর নির্বাসিত হলেন বার্মামূলুকে এবং দোর্দন্ডপ্রতাপ মুঘল সাম্রাজ‍্যের শেষ দীপশিখা অস্তমিত হলো। মহারানী ভিক্টোরিয়া তথা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে ভারতশাসনের ভার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুঘল ইতিহাস সম্পর্কে ঔপনিবেশিক চিন্তাধারা পরিবর্তিত হওয়ার দৃষ্টিভঙ্গী জড়িত। ইতিপূর্বে প্রাচীন ভারতকে ভারতীয় সভ‍্যতার স্বর্ণযুগ বলে তুলে ধরা হতো এবং মূঘলরা যে বহিরাগত শক্তি হয়ে এদেশে এসেছিলো, অন্ধকারময় সভ‍্যতার প্রচলন করে, ইত‍্যাদি প্রচার করা হতো পুরোদমে। কিন্তু কথা বলে, লঙ্কায় যেই যায় সেই হয় রাবণ। ভিক্টোরিয়া  'ভারতসম্রাজ্ঞী' খেতাব পেয়ে যখন মুঘলদেরই উত্তরসূরী হিসাবে সুপ্রাচীন সিংহাসন আলোকিত করলেন, তখন থেকেই মুঘল সাম্রাজ‍্যের ভালো দিকগুলি খোঁজার ঐতিহাসিক ধারা গড়ে উঠলো। ফার্সি দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে মুঘল শাসনকে "কিছু ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একটি সুসংগঠিত ও নিপূণ প্রসাশনিক ব‍্যবস্থা'  বলে ব্রিটিশ ঐতিহাসিকগণ ঘোষণা করলেন। ভিক্টোরীয় ও উত্তর-ভিক্টোরীয় যুগের ধারণাটা হলো এরকম,  মুঘল যুগের শক্তিশালী পর্যায়টি প্রজাশাসনে উন্নত,  প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গঠনে কার্যকর ছিলো। তবে কেন্দ্রীয় শাসনব‍্যবস্থা দুর্বল হতেই বিভিন্ন রাজন‍্যবর্গ মাথা তোলার সুযোগ পেয়ে যায়। দিকে দিকে বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতা, আঞ্চলিক শক্তির জাগরণ ও লুঠতরাজ দেশকে মসীকৃষ্ণ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। ঠিক এরকম ক্রান্তিকালেই নতুন শাসক হিসাবে ব্রিটিশের আগমন, যারা পূর্ববর্তী মুঘলদের মতোই দেশের সামগ্রিক উন্নতিতে সচেষ্ট। এই ধারার ঐতিহাসিক গবেষণা বেশ কিছুকাল ধরে মুঘল শাসনের শক্তিশালী কাঠামোর মূল কারণ হিসাবে বাদশাহের ব‍্যক্তিত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তোলে। সুতরাং  ব‍্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব‍্যবস্থার গবেষণার ধারা এই উষলগ্নের বলা চলে। 

    এই পর্বের মুঘল ইতিহাসের গবেষণাটিকে জানার জন‍্য চোখ রাখতে হবে উইলিয়াম মোরল‍্যান্ড এবং উইলিয়াম আরভিনের রচনায়। 
     
     
    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রীমল্লার বলছি | ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:০৯734841
  • বেশ গোছানো লেখা। পছন্দ হয়েছে আমার। বানানে সামান্য গণ্ডগোল আছে। তবুও বলি, বেশ লিখেছ! 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৪৫734842
  • খুব ইন্টারেস্টিং বিষয়, লেখাটাও চমৎকার। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
  • হীরেন সিংহরায় | ১২ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৫৬734850
  • অসাধারণ সূচনা। সাগ্রহে প্রতীক্ষা করছিপরের কিস্তির। 
  • Manali Moulik | ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:১১734857
  • ধন‍্যবাদ সকলকে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন