পনের বছর আগে Coursera থেকে অনলাইনে লজিকের একটা চমৎকার কোর্স করেছিলাম। তাতে চারটে ভাগ ছিল । কমনসেন্স ও লজিক, ডিডাকটিভ ও ইনডাকটিভ লজিক, লজিক্যাল ফ্যালাসি এবং ট্রুথ ফলস্ টেস্ট।
তাতে ছিল কী কী কন্ডিশনে একটা স্টেটমেন্ট বা প্রপোজিশন ভুল হলেও ফর্মালি করেক্ট হতে পারে এবং ভাইস ভার্সা।
এখন সব ভুলে গেছি।
তাই পলিটিশিয়ানের ইন্টারেস্টিং প্রশ্নে অংশগ্রহণ করতে পারছি না।
বরং জানা-অজানা জ্ঞেয়-অজ্ঞেয় প্রশ্নে কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য আড্ডায় পেশ করছি।
জনৈক দার্শনিকের কান্টের তোলা প্রশ্নে 115 বছর আগের কিছু বক্তব্য:
1 Absoute Truth
অসম্ভব। জ্ঞান স্থান কালের উর্ধ্বে বা স্থান কাল নিরপেক্ষ কোন সত্য হতে পারে না। তাই আমরা ব্রহ্মাণ্ডের বিষয়ে যা জানি তা হল Relative Truth.
মানবজাতির জ্ঞান ভাণ্ডার হল একটা নিরন্তর চলমান প্রক্রিয়া। An infinite series of summation of many relative Truth.
কারণ, বিশ্ব গতিশীল ও পরিবর্তনশীল। তাই পদার্থের নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার হতে থাকবে। অণু পরমাণুর স্থান নিয়েছে ইলেকট্রন প্রোটন। ভবিষ্যতে আরো মৌলিক আরো সূক্ষ্ম কণার খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা।
আজ যা অজানা কাল তা জানা যাবে। বিজ্ঞান কখনও শেষ বা অন্তিম সত্য জানার দম্ভ করবে না।
কাজেই Absolute unknowable and absolute or permanent Truth দুটোই ভুল ধারণা।
2 Objective Truth
কথাটা গুরুত্বহীন। ধরুন, Paris is the capital of France. Objective Truth. এটা একটা অবহেলিত স্টেটমেন্ট বটে, কিন্ত Ultimate বা absolute নয়।
কারণ, আগামী দিনে রাজধানী অন্য শহরে যেতে পারে অথবা ফ্রান্স নামে কোন দেশ না ও থাকতে পারে।
3 ultimate knowledge of cosmos/ universe
মানবজাতি কোনদিনই সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের স্বরূপ জানতে পারবে না।
(এই অর্থে কান্ট নির্ভুল?)
কারণ,মানুষ বিশাল ব্রহ্মাণ্ডের অংশ। অংশ কখনও সমগ্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। গতিশীল বিশ্ব পরিবর্তিত হতে থাকবে। মানব নিত্য নতুন রহস্যের মুখোমুখি হয়ে তার জট খুলবে। এই প্রক্রিয়া নিরন্তর।
কারণ গতিই জড়বিশ্বের অস্তিত্বের স্বরূপ।
এ নিয়ে সবার মন্তব্য চাইছি। দার্শনিকের নাম আপাতত গোপন রাখছি।