এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  অর্থনীতি

  • নিতুই নব সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের পরমগতি প্রাপ্তি পর্ব ২ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ১৪ মার্চ ২০২৩ | ২৭৫৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • নিতুই নব : সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের পরমগতি প্রাপ্তি

    পর্ব ২

    ঋণ কখনো নেবে না, ঋণ কখনো দেবে না *



    জুলাই মাসের অন্তহীন দিন। ডেনমার্কে হেলসিঙ্গরের ফেরিতে গাড়ি উঠেছে, মাত্র আধ ঘণ্টায় পৌঁছে যাব সুইডেনের হেলসিংগর। পেছনে ফেলে যাচ্ছি ক্রোনবর্গ দুর্গ - বলা হয় এই সেই হ্যামলেটের এলসিনোর (হেলসিঙ্গর থেকে এইচ আর জি কাটলেই এলসিনোর) প্রাসাদ যার প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন এমন অনেক কিছু আছে হোরেশিও তোমার দর্শন যার ব্যাখ্যা করতে পারে না। সেদিকে চেয়ে ইন্দ্রনীলকে বললাম,  ‘বাবা আজ তোমাকে সেই উপদেশ দিই যা এইখানে এই বন্দরে দাঁড়িয়ে ডেনমার্কের এক প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুত্রকে প্যারিসগামী জাহাজে তুলে দিতে এসে বলেছিলেন – পুত্র, ঋণ কখনো নেবে না, কাউকে ঋণ কখনো দেবে না।’

    ইন্দ্রনীল বললে, জানি, এটা হ্যামলেট নাটকে পোলোনিউসের সংলাপ, আমাদের স্কুলে পড়তে হয়েছে। কিন্তু এ পরামর্শ তো তোমার পেশার পরিপন্থী (গোজ এগেনসট দি স্পিরিট অফ ইয়োর চোজন প্রফেশন!), কেউ যদি ধার না করতে চায় বা দিতে চায় তাহলে তোমাদের ব্যাঙ্ক বন্ধ হবে না কি?  

    আমার জ্ঞানটা মাঠে মারা গেলো।

    এর টাকা তাকে, শ্যামের টাকা ধার নিয়ে রহিমকে ধার বা গ্যারান্টি দেওয়ার নাম ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং - পরের ধনে পোদ্দারি আর কাকে বলে! এই বাজারে ধারের নেশাটা ওই আলিবাবার  চিচিং ফাঁকের মতন - রত্নের গুহায় ঢোকার মতন, মন্তরটা ভুলে গেলে সোনা দানা হীরে জহরত প্রাইভেট জেট, ইয়ট আর কিছুই মেলে না। মেরিল লিঞ্চ, বেয়ার স্টার্ন, লেমান ব্রাদার্সের মতন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক, ওয়াশিংটন মিচুয়ালের মতন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক সেই সত্য প্রমাণ করেছে ২০০৭-২০১০ সালের বৃহৎ মন্দার কালে। একজন পণ্ডিত সেদিন বললেন আমাদের ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুবই পোক্ত - গত আটশো দিনে এই প্রথম কোন ব্যাঙ্ক দেউলে হলো। এটা কেউ বললেন না যে ২০০৮ সালের পরে ছোটো মেজো মিলিয়ে ৫১২টি ব্যাঙ্ক দোকান বন্ধ করেছে তাঁদের সামগ্রিক সমস্যার চেহারা একই প্রকারের সম্পদের চেয়ে দায় বেশি।

    সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কে সেই অঙ্কটা মেলে না। গত শুক্রবার ব্যাঙ্কের কাছে জমা টাকার পরিমাণ ছিল প্রদত্ত ঋণের ডবল। একে আমরা বলি লোন টু ডিপোজিট রেশিও। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড লন্ডন বাজার থেকে ধার করে ডলার ধার দিয়েছে – একশো ডলার যদি ধার দেওয়া হয়েছে তার চল্লিশ শতাংশ বাজারে বা ব্যাঙ্কের অন্যান্য ব্রাঞ্চের কাছে হাত পেতে। আমাদের একটি ব্রাঞ্চ অবধি দেশে নেই যে কেউ দু পয়সা কৌটোয় ফেলে যাবে।  

    দীর্ঘ ব্যাংকিং জীবনে দেখলাম সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিবেশক আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক যারা ব্যাঙ্ককে টাকা ধার দিই, যৎ সামান্য সুদের বিনিময়ে। খুব একটা লোভ করি না, প্রত্যেক দিন খবরের কাগজের পাতা উলটে ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম চেক করি না। মাঝে মধ্যে অ্যাকাউনট ব্যাল্যান্স দেখি; অন্য কোন ব্যাঙ্ক দু পয়সা বেশি সুদ দিচ্ছে শুনেই সেদিকে ছুটি না। ছুটলেও অন্য ব্যাঙ্কে খাতা খোলা সহজ নয় – সেখানে আপনার ফোন, জল, বিজলির বিল, মাইনের প্রমাণ দিতে হবে। আপনার ব্যাঙ্ক কম সুদ দিচ্ছে বলে বন্ধু বান্ধবের কাছে অভিযোগ করেই ভুলে যাবেন। ফ্লোরেন্সের সেই মেদিচিদের আমল থেকে আপনারা এই দুনিয়ার ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। লন্ডন বাজারে আপনার আমার আমানতকে বলা হয় স্টিকি ডিপোজিট, যা আঠার মতন লেগে থাকে। জানি খাতার অ্যাকাউনট পিছু এই জমার পরিমাণ কম কিন্তু সেই যে ছোটবেলায় বীরভূমে একটা কথা শুনেছি – রাই কুড়িয়ে বেল হয় গো!

    কর্পোরেটরা অবশ্যই বিশাল সংখ্যা জমা দিয়ে থাকেন। তাঁদের বড়ো কর্তাদের আমরা উইম্বলডনে টেনিস, লর্ডসে ক্রিকেট দেখাতে নিয়ে যাই। যদিও জানি শুধু আমাদের আপ্যায়নের বহর দেখেই তাঁরা  ভুলে যাবেন না – একটা বড়ো পরিমাণ আমাদের দেওয়ার আগে কোম্পানির সিএফও আপন অফিসের চার জনকে ডেকে বলবেন, ‘মোটামুটি চেনা জানা বারোটা ব্যাঙ্কে ফোন করে জেনে নাও তো নব্বুই দিনের ডিপোজিটে কে কত সুদ দিচ্ছে। দু মিলিয়ন ডলার জমা দিচ্ছি বাবা, দর দাম করো’ (আপনি যা স্বপ্নেও করতে পারেন না)। তাগড়া রকম জমা পড়লে আমাদের ব্যাঙ্কের মানি মার্কেটের স্কটিশ ট্রেডার গ্রাহাম বলতো ‘যাক অন্তত নব্বুই দিনের মতো কিছু পাওয়া গেলো। তার পরে আবার পথে নামতে হবে’। কর্পোরেট ডিপোজিটকে আমরা  বলি নন স্টিকি – কবে আছে কবে নেই, আজ আছে কাল নেই!

    সিটি ব্যাঙ্কে যিনি আমাকে চাকরি এবং নব জন্ম দিয়েছিলেন সেই জো ম্যাকিয়েভিতস বলতেন, যখনই মনে হবে সবকিছু দেখা শোনা জানা হয়ে গেছে, একটা অচেনা অজানা জিনিসের মুখোমুখী হবে, তৈরি থেকো! 

    কনটিনেনটাল ইলিনয় ব্যাঙ্কে কাজ করেছি – ১৯৮২ সালে চল্লিশ বিলিয়ন ডলার নিয়ে সে ব্যাঙ্ক দেউলে হল ঋণের গোঁজামিলে, দুর্নীতিতে। ২০০৮ সালে বহু ব্যাঙ্ক বিপন্ন হলো সিডিও সিএলও স্বরূপ নব নির্মিত ব্যাংকিং বোমা নিয়ে খেলা করতে গিয়ে (যাকে ওমাহার সন্ত ওয়ারেন বাফেট বলেছিলেন ফাইনান্সিয়াল ওয়েপনস অফ মাস ডেসট্রাকশন) – টাকা ফুরিয়ে গেলো।

    সিলিকন ভ্যালিতে সিলিকন পাওয়া গেছে বলে জানা যায় নি। বছর পঞ্চাশ আগে এই অঞ্চলে ট্রানজিসটর রেডিও (পঞ্চাশের অনূর্ধ্ব পাঠক কখনো চোখে দেখেন নি!) ইত্যাদি তৈরি হয়েছে সিলিকন চিপ দিয়ে - রালফ ভেরসট নামে একজন ঠাট্টা করে বলেছিলেন, এখানে কেবল  সিলিকনের কাজ হয়! নামটা টিকে গেলো - আজকের টেকনোলজিকাল কোম্পানিতে সিলিকন চিপের ব্যবহার বিপুল।

    সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্যা অন্য রকম। মাত্র  চল্লিশ বছরের পুরনো এই ব্যাঙ্কে আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক খুব সামান্য টাকা রেখেছিলেন, মোট অঙ্কের দশ শতাংশও নয়। সেখানে যারা বৃহৎ অঙ্কের ডলার জমা রেখেছেন তাঁরা ব্যাংকিং জগতে হালে আবির্ভূত এক প্রজন্ম  – এঁরা উদ্যোগী মূলধনের সরবরাহকারি – ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। টাকার প্রকাণ্ড পোঁটলা নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন, আপনার আমার পাড়ায় নয়, সেই সিলিকন ভ্যালিতে যেখানে টেক জগতের অনেক উজ্জ্বল তারকা কিছু না কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন – তাঁদের মাথায় বুদ্ধি আছে, একটা দুর্দান্ত কিছু বানানোর পুরো ব্লু প্রিন্ট আছে। নেই শুধু অর্থ। তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ একদিন বিল গেটস হয়ে উঠবেন – এই উদ্যোগী মূলধনের মালিক আজকে তাঁদের শেয়ার সস্তায় কিনে নিয়ে অগ্রিম অর্থ সাপ্লাই করছেন। আশা রাখেন এই টেক তারকারা একদিন এমন কেরামতি দেখাবেন যে সে শেয়ারের দাম লক্ষ ডলার হবে। অবশ্যই দশ জন উদ্ভাবকের  মধ্যে দু চার জন এলিজাবেথ হোমসের মতন টোটাল ফ্রড হবেন (উনিশ বছরে স্ট্যানফোরডের ড্রপ আউট এই বালিকা নয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি  বানিয়ে ফেলেছিলেন - এক ফোঁটা রক্ত থেকে ১৮০ রকমের টেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে - এখন হাওয়ালাতে আছেন) তাতে কি? জুয়ার সব দান সমান হয় না, তাহলে তো সব খিলাড়ি রকিফেলার হয়ে যেত।

    এ ব্যাঙ্কের খাতাপত্র সম্বন্ধে যতটুকু জানা গেলো ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মালিকরা ডলার জমা করেন, টেক কোম্পানিগুলির চাহিদা মতন তাঁদের কর্মীদের বেতন, কর্তাদের বোনাস ইত্যাদি ক্ষেপে ক্ষেপে দিয়ে থাকেন। একসঙ্গে বেশি দেওয়ার নাকি প্রথা নেই – সবটাই ইকুইটি, তাঁরা টেকিদের ধার দিচ্ছেন না তবে সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক টেক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সরাসরি ধার দিয়ে থাকে। অত্যন্ত সহজভাবে বলতে গেলে যেদিন সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের দরোজায় তালা পড়লো সেদিন কাগজে কলমে তাদের মোট অর্থের পরিমাণ (লায়াবিলিটি) দেওয়া ঋনের (অ্যাসেট) চেয়ে অনেক বেশি।

    তাহলে ব্যাঙ্ক বন্ধ হল কেন?

    দুটো স্বতন্ত্র ঘটনা ঘটতে দেখা গেলো।

    এক : ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে বন্ড ও সরকারি ঋণপত্র সহ যে ১৮০ বিলিয়ন ডলার আছে তার দুয়োরে একটা ভারি তালা -  সেটি খোলা যায় দশ বছর বাদে। সে অর্থ অত্যন্ত সুরক্ষিত, প্রতি বছর ১.৫৬% সুদ পাওয়া যায় কিন্তু সম্প্রতি ফেডারাল রিজার্ভ সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে এই দীর্ঘ মেয়াদি কাগজের বাজার দর কমে গেছে আজ তার একটি অংশ মাত্র, ২৮ বিলিয়নকে, নগদে পরিবর্তিত করতে গেল দু বিলিয়নের লোকসান।

    দুই: টেক কোম্পানিগুলির বিজ্ঞাপনে, ওয়েব সাইটে চমক দেখা যায় সেটির পিছনে লাভের পরিমাণ অতি সামান্য কোভিডের কারণে তাদের অবস্থা আরও সঙ্গিন - আয় নেই, টাকার খাঁই বেড়ে উঠেছে (নাম করার কোন প্রয়োজন নেই - কয়েকটি নামকরা ভারতীয় টেক প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক হিসেব নিকেশ দেখে নিন গুগলে)। 

    আরও জানা গেল - প্রায় এক বছর যাবৎ সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কে রিস্ক ম্যানেজারের পদটি শূন্য পড়ে আছে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদি জমাকে প্রয়োজনে নগদ নারায়ণের রূপ দেওয়ার কথাটা কেউ ভাবেন নি। একটা দীর্ঘ মেয়াদি বন্ডের সঙ্গে চলতি দরের কোন কাগজের বিনিময় করা যায় যেখানে সেই ক্রেতা পাবে সেই বাৎসরিক ১.৫৬% আমি পাবো  চলতি সুদের হার (এখন ৪%)। এর খরচা আছে, তবে ওই জীবন বা মোটর গাড়ির বিমার মতন। এর নাম সোয়াপ (জটিলতর ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না)।  

    পু:  ১। সিইও শ্রী বেকার গত সপ্তাহে ৩৬ লক্ষ ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন। তিনি কি কিছু জানতেন?  

         ২। ব্রিটেনের এসভিবি ব্যাঙ্ক এক পাউনডে বিক্রি হয়েছে আজ সকালে। ক্রেতা হংকং সাংহাই ব্যাঙ্ক।

         ৩। যদিও ফেডারাল বিমা সংস্থা আমানতকারিদের প্রথম ২৫০,০০০ ডলার দিতে বাধ্য, এখন জানা গেছে সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সকল আমানতকারি পুরো জমা টাকা ফিরে পাবেন, শুধু বিমা করা ২৫০,০০০ ডলার নয়

    মার্চ ১৩ ২০২৩

     
    • ‘Neither a borrower nor a lender be’ Polonius to his son Laertes at the harbour: Hamlet: Act 1 Scene 3   

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ মার্চ ২০২৩ | ২৭৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • যোষিতা | ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৬:২২517472
  • Bei allen Schweizer Banken gilt der Einlageschutz, Kantonalbanken haben darüber hinaus eine Staatsgarantie. 
    ZKB র ক্ষেত্রেও ঐ এক লাখ সর্বোচ্য।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৮517477
  • প্রথম পর্বের শেষে রাখা প্রশ্নটি এখানেও রেখে যাই - কিছু ব‍্যাঙ্কের এই সর্বনাশের কালে পৌষের পিঠে-পুলি এল কার? 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৭517479
  • এই যে সোনার মানুষ ১০০ মিলিয়ন ডলার ফি নিলেন SVBর শেয়ার  ও ২৭ বিলিয়ন ডলার বন্ড বেচার ডবল ম্যানডেট নিয়ে (পারস্পরিক স্বার্থ বিরোধী)। পয়লা ডিল বেকার শেয়ার প্লেস করা গেল না বন্ড বেচে ১.৮ বিলিয়ন লস। কিন্তু সোনার মানুষ এবং জাকস ফি পেলেন । 
  • আশ্চর্য ব্যাপার  | 165.225.***.*** | ১৬ মার্চ ২০২৩ ২১:০১517482
  • SVB র প্রক্ত সি ই ও কেন উইলকক্স (2001-2011) না কি স্তম্ভিত। সে যাই হোক, উনি ব্যাখা করেছেন, ব্যান্কের হাতে গত কয়েক বছরে দিপোসিটের এত টাকা এসে গেছিল যে ধার দেবার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না! তাই তারা সেফ হ্যাভেন হিসেবে ট্রেজরি বন্ডে টাকা রেখেছিল। ইন্ফ্লেসান ইত্যাদির কারণে স্টার্ট আপ্গুলির বেশি বেশি টাকার দরকার হয়, সুতরাং ভেন্চার ক্যাপিটালিষ্টরাও বেশি বেশি টাকা তুলতে থাকে! তখন ব্যানকের লিকুইডিটি শর্ট হয়! 
    তারা প্রথমে ২১ বিলিয়ানের বন্ড বেচতে যায়। তাতে ১।৮ বিলিয়ান শর্ট খায়, ইল্ড পড়ে গেছে বলে! সেটা অ্যাভয়েড করার জন্যে বাজারে এক্যুটি বেচতেও গিয়েছিলো, কিন্তু কিনবে কে? ঐ একই ভেন্চার ক্যাপিটালিশ্টরা? 
    তখন ফেড বাজারে নামে! 
    তো, এই ব্যাপার্টা তো ব্যান্কিং এর বেসিক সমস্যা - চিরকালই রয়েছে! 
  • 4z | 2606:40:4d4:8561::a63:***:*** | ১৬ মার্চ ২০২৩ ২১:০৭517483
  • ফেড তো প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার ইমার্জেন্সি লোন হিসেবে ঢালতে চলেছে। আরেকটা বেল আউট? সেটা যদি হয় তাহলে Glass-Steagall অ্যাক্ট রিপিল হবার ১৫ বছরের মধ্যে তৃতীয় বেল আউট হবে।
  • dc | 2401:4900:1f2b:5989:d9a2:365d:e4e1:***:*** | ১৬ মার্চ ২০২৩ ২১:৩০517486
  • ইসিবি কিন্তু এক্কেবারে অকুতোভয় হয়ে ইন্টারেস্ট রেট আবার .৫% বাড়িয়ে দিল। 
     
    ওদিকে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বলেছে ক্রেডিট সুইসকে ৫০ বিলিয়ন ফান্ড যোগান দেবে। 
     
    একটা ভালো ব্যপার হলো, আমার কিছু কানারা ব্যাংক আর স্টেট ব্যাংকের শেয়ার আছে। এই বাজারে ভেবেছিলাম সেগুলো ধ্বসে গেল বুঝি, কিন্তু এখনো অবধি সেরকম দাম পড়েনি :-) 
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৪:১৫517489
  • পোস্ট ২০০৮ এক্সপেরিয়েন্স মনে হয় বেশির ভাগ দেশের সরকার ডমিনো এফেক্ট শুরু হওয়ার আগেই বেল আউট অপসন টা এক্সপ্লোর করতে চাইছে। এফেক্টটা সেই টু বিগ টু ফেল লেভেলের কোম্পানি গুলো অবধি পৌঁছনোর আগে। হয়তো এই স্ট্রাটেজি তে আরো স্পিল্যারিং ইফেক্ট আসবে কয়েক বছর পরে। আপাতত নেক্সট ​​​​​​​ইলেকশন গাঁট ​​​​​​​পেরোতে ​​​​​​​পারলেই ​​​​​​​শান্তিজল। 
     
    কিন্তু সমস্যা হলো লেস পেনফুল অল্টারনেটিভ গুলো আর কি কি আছে ? 
  • lcm | ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৪:১৬517490
  • ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংককে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অন্যান্য ব্যাংক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। জেপি মরগ্যান, ব্যাংক অফ আমেরিকা, ওয়েলস ফার্গো, সিটি ব্যাংক... প্রমুখ ব্যাংকগুলি সকলে মিলে ৩০ বিলিয়ন ডলার দেবে ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংককে।
    ব্যাংকদের মধ্যে এই সমঝোতা, বিপদে অন্যের পাশে দাঁড়ানো, এই ভ্রাতৃত্ববোধ, ইয়ে মানে...
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৪:৩১517491
  • "ব্যাংকদের মধ্যে এই সমঝোতা, বিপদে অন্যের পাশে দাঁড়ানো, এই ভ্রাতৃত্ববোধ, ইয়ে মানে..."
     
    এল সি এম, গুর্চর ইমোজি সংকলন বড়ই কম। একটা অট্টহাসির ইমোজির খুব দরকার ছিল।
  • | 146.196.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৫:০৫517492
  • @ যোষিতা, 
     
    "সাধারণ জনগনের টাকা একলাখ পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাংকে ইনশিওরড" এখন এটা বেড়ে পাঁচ লাখ হয়েছে না ?
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৫:১৩517493
  • ভ্রাতৃত্ববোধ তো থাকতেই হবে  মহায়। যে সব কারণে মমব্যান+ ভাইপো কোম্পানি অক্সিজেনহীন হনুব্রত বা লোলচর্ম প্রেমিক পাত্থ চাটুজ্জে দের সাপোর্টায় , ব্যাঙ্কগুলোও প্রায় তাই।  
     
    ভুতের ভবিষ্যৎ ভুলে যাবেন না কমরেড - " ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড - ডিভাইডেড উই মিসআন্ডারস্ট্যান্ড।"
  • bhabuk | 108.7.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪৩517494
  • ....অত্যন্ত সহজভাবে বলতে গেলে যেদিন সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের দরোজায় তালা পড়লো সেদিন কাগজে কলমে তাদের মোট অর্থের পরিমাণ (লায়াবিলিটি) দেওয়া ঋনের (অ্যাসেট) চেয়ে অনেক বেশি।...
     
    উল্টে গিয়েছে |
  • যোষিতা | ১৭ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৫517495
  • আমি সুইজারল্যান্ডের কথা লিখেছি। একলাখ সুইস ফ্রাংক আমাদের এখানে।
  • যোষিতা | ১৭ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৬517496
  • সুইটজারল্যান্ড*
  • হীরেন সিংহরায় | ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৩:২৯517499
  • অমিত 
     
    একবারে সেই একই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে । ভাই বেরাদরকে বাঁচাও । 
     
    ১৯৮২ সালের জুলাই মাসে কনটিনেনটাল ইলিনয় ( আমি তখন সেখানে কাজ করি ) চল্লিশ বিলিয়ন নিয়ে দেউলে হলে ফেডের (নেতার নাম  ফোলকার ) নির্দেশে ওয়াল স্ট্রিটের ২৪টি ব্যাঙ্ক মিলে একটি লক্ষণরেখা তৈরি করে- প্রতিদিনের অর্থ সরবরাহ অবিচ্ছিন্ন থাকে।  এইভাবে প্রায় তিন বছর চলে যতদিন না ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা দয়াপরবশ হয়ে কিনে নেয় ।  আজকে তিরিশ বিলিয়ন ডলারের পোঁটলা আমাকে সেদিনের কথা মনে করিয়ে দিল। এটাও জানা উচিত সে সময় Cap Adequacy Ratio, Min capital, RWA ইত্যাদি কোন লফরা সে আমলে ছিল না । মহা মন্দা থেকে ১৯৮৫ অবধি যত ব্যাঙ্ক ফেল করেছে তার দশগুণ ফেল করে ১৯৮৫-২০০০ সালে , BIS তার রাশ শক্ত করার পরে। 
     
    কাকতালীয় ? 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩২517500
  • যোষিতা 
     
    ওই একই আইন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি দেশে- আমানতের এক লক্ষ ইউরো বীমা দ্বারা সুরক্ষিত . ইউ কে £৮৫০০০ . 
  • Failures of all Institutions for the United States and Other Areas | 2607:b400:2:ef40::***:*** | ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৮:৪৯517502
  • "The previous recession was clearly associated with substantial problems in the financial sectors. As the graph shows, there has been a significant number of bank failures, as recorded by the Federal Deposit Insurance Corporation (FDIC), which is responsible for managing the closure process and insuring depositors. The number of failures, however, is nowhere near the peak around 1989, the time of the savings and loan crisis. The recession around that time involved different financial problems and thankfully was much less deep than the previous recession."

    [Gray columns indicate time & width of recessions.] 
     
  • s | 100.36.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:২৭517503
  • আবার সেই জন স্টুয়ার্ট। ল্যারি সামার্সকে ধুইয়ে দিয়েছে। যদিও এটা ছোটো একটা স্নিপেট। পুরো এপিসোড্টা আবশ্যই দেখবেন ইন্টারেস্ট থাকলে।
  • হীরেন সিংহরায় | ১৮ মার্চ ২০২৩ ০০:১৪517507
  • ধন্যবাদ ! আরমির ভাষায় Summers is a wastage of ration! হারভার্ডের কান্ড গুলো বাদ দিয়েও! 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৮ মার্চ ২০২৩ ০২:০৭517508
  • ব্যাঙ্ক ফেল করার হিসেব ( 1950-1989) - এর সংগে ভেবে দেখা যাক এত দীর্ঘ সময়ে ফেলের সংখ্যা নিতান্ত সীমিত। S&L সমস্যাটা আলাদা । কখনো মনে হয় কুক কমিটি  এবং বাসেল এক এর সংগে কোথায় যেন একটা সম্পর্ক আছে- ১৯৮৪ সালের আগে কোন ব্যাংক CAR RWA MCR জানতো না। জানতে হয় নি। জেনে কি লাভ হলো ? এটা নিয়ে আলোচনা হোক । 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন