এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • মুসলিম মহিলা, খতনা ও গোবি মাঞ্চুরিয়ান

    সোমনাথ গুহ
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ২৫ মে ২০২৫ | ২০৪৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন)
  • ছবি: রমিত 



    কর্ণাটকের হাসান শহরের সাতাত্তর বছর বয়সী লেখিকা বানু মুশতাক তাঁর গল্প সংকলন ‘হার্ট ল্যাম্প’ (হৃদয় দীপ)-এর জন্য ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জিতেছেন। ২০০৪ সাল থেকে অনুবাদ সাহিত্যের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রথম কন্নড় ভাষার সাহিত্য এই পুরস্কারে ভূষিত হলো; এই প্রথম কোনো ছোট গল্প সংকলন জয়ী হলো; এই প্রথম কোনো ভারতীয় অনুবাদক, দীপা ভাস্থি এই পুরস্কার পেলেন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে গীতাঞ্জলি শ্রী তাঁর উপন্যাস ‘টুম্ব অফ স্টোন’ (রেত সমাধি) উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

    অনেকেই এই বারোটি গল্পের সংকলনটিকে নারীবাদী বলে বর্ণনা করেছেন, যদিও সমাজে শ্রেণী-অসাম্য, প্রচলিত ধর্মীয় প্রথার বীভৎসতা, এমনকি গোবি মাঞ্চুরিয়ান নামক খাদ্যটি সম্পর্কে এক আরবিক ভাষার শিক্ষকের মোহগ্রস্ততা বইটিকে এক বহুমাত্রিক রূপ দিয়েছে। অধিকাংশ গল্পেই পিতৃতন্ত্রের নিষ্পেষণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে; লেখিকা তাঁর গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সমাজে নারীর অবস্থান, বিশেষ করে মুসলিম সমাজে ধর্মের কঠোর ও নির্দয় নিগড়ে বাঁধা নারীদের অসহায়তা নিপুণভাবে বর্ণনা করেছেন। ‘বি আ উওম্যান ওয়ান্স, ওহ লর্ড’ গল্পে মহিলার বিলাপ আল্লাহ, প্রভু নামক সৃষ্টিকর্তাকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বিদ্ধ করে। ধারাবাহিকভাবে বঞ্চিত সেই সহায়সম্বলহীন মহিলার কাতর আবেদন পুরো সংকলনটি জুড়ে অনুরণিত হয়। ওই সৃষ্টিকর্তাকে মহিলা তীক্ষ্ণ অভিযোগে বিদ্ধ করে, "নারী হয়ে একবার ধরিত্রীতে আসুন, প্রভু! আবার কোনোদিন যদি আপনি বিশ্বকে সৃষ্টি করেন, আবার যদি পুরুষ, মহিলা গড়ে তোলেন তাহলে এক অনভিজ্ঞ কুমোরের মতো কাঁচা কাজ করবেন না।"

    প্রভু কী ভাবে সৃষ্টি করেছেন নারী পুরুষকে? মহিলা স্বগোতক্তি করছেন: "আমার আর কিছু নেই যা আমার নিজের। অন্যের উঠানে আমাকে শিকড় গাড়তে হয়েছে। তিনি (পুরুষ) সংশ্লিষ্ট হচ্ছেন, যেখানে আমার পরিচয় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমার নাম পর্যন্ত হারিয়ে যাচ্ছে। আমার নতুন নাম কি, না তার স্ত্রী! আমার শরীর, মন আমার নিজের নয়। আশ্চর্য, সে আমার শরীর চায়... সে আমাকে ভক্ষণ করে... আমার শরীর তার খেলার ময়দান; আমার মন তার খেলনা। স্ত্রী শুধুমাত্র সন্তান উৎপাদনকারী। যখন সে অভিযোগ করে প্রসব যন্ত্রণার কারণে সে ক্লান্ত, তখন গোঁফ মোচড়ে স্বামী বলে, ‘আমি তো তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিচ্ছি, তাদের জন্ম দিতে তোমার অসুবিধা কি?’" ‘আ ডিসিশন অফ দ্য হার্ট’ গল্পে বানু লিখছেন, বলা হয়ে থাকে, মহিলার কোনো স্থায়ী বাসস্থান নেই: তাকে পিতার নয়, স্বামীর নয়, পুত্রের ঘরে থাকতে হয়। ‘ব্ল্যাক কোবরা’ গল্পে দশ বছরে সাত সন্তানের জন্ম দেওয়া জননী আমিনা আর্তনাদ করে, "এই বয়সে অনেকের শাদি হয় না আর আমি তো একটা বুড়ির মতো হয়ে গেছি। আমার শরীর ভগ্নপ্রায়, এত বাচ্চা, ঘর, সংসার, আমার নিজের কি এক মুহূর্তও সময় আছে? প্রতি বছর যদি আমি সন্তানের জন্ম দিই, তাহলে আমার অবস্থা..."

    অপর দিকে পুরুষকে কী ভাবে গড়ে তুলেছেন তথাকথিত ওই সৃষ্টিকর্তা? ওই একই গল্পে অটোওয়ালা ইয়াকুব তিন কন্যার জননী তার স্ত্রী আশরাফকে মনে করে সে বিষ্ঠার মতো তার পায়ে সেঁটে আছে। তিনটি মেয়ে সন্তানের বোঝা চাপিয়ে সে তার জীবন নরক করে দিয়েছে। সে নতুন বিয়ে করবে যে তাকে পুত্র সন্তান দেবে, চিন্তা কি, ধর্মে তো চার বিয়ের অনুমতি আছে। তাকে শহরে খুঁজে পাওয়া যায় না। সে তো পুরুষ, তাই না? সে যেখানে খুশি থাকুক, সে দায়িত্ব পালন করতেও পারে নাও করতে পারে, সে যদিও বা অবহেলা করে, কে তাকে কৈফিয়ত চাইবে? তার কাকে উত্তর দিতে হবে? ...সে তো পুরুষ, সবার প্রিয় বন্ধু। তার অতীত তাকে তাড়া করে না, জনসমক্ষে বিব্রত করে না। বর্তমান সময় তাকে ছুঁতে পারে না। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার কোনো হেলদোল নেই, সেটা তার কাছে কোনো অজানা কিছুও নয়। তাকে লজ্জায় অবনত হয়ে ছায়ালোকে বিচরণ করতে হয় না। তাকে বলতে হয় না সে কার। তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয় না, কোনোদিনও নয়, কোনো ভাবেই নয়, কারণ সে কখনোই কোনো ভুল করতে পারে না। ‘বি আ উওম্যান.....’ গল্পে স্ত্রী প্রভুকে অভিযোগ করে, "যদি পুরুষ জানত সন্তান জন্ম দেওয়ার কত ধকল! যেন এটা কণ্ঠনালীর কফ নির্গত করার মতো, মূত্রত্যাগ করার মতো সহজ! প্রভু, আপনি একটা প্রাণী সৃষ্টি করেছেন যে উদ্ধত অথচ পুলকিত, আর সেটা করে আপনি নির্বিকার। ... কিন্তু আমি এসব জিজ্ঞাসা করার কে, আপনি তো সৃষ্টিকর্তা, এবং সে তো আপনার ভালোবাসার সৃষ্টি। আমি কি তাহলে আপনার অনাদরের সৃষ্টি?"

    গল্পের চরিত্রগুলি যেমন সৃষ্টিকর্তার জবাবদিহি দাবি করে, একই ভাবে মর্ত্যে নামাবলী গায়ে যারা ধর্মের ধামাধরা তাদেরকেও লেখিকা নিন্দা, সমালোচনায় বিদ্ধ করেন। ‘ব্ল্যাক কোবরা’ গল্পে জুলেখা, এক আলোকপ্রাপ্ত নারী, আশরফকে বলে নবীর নিজের কন্যা সন্তান ছিল। বিবি ফতিমা তাঁর জান ছিলেন। শোনো, শুধুমাত্র যুদ্ধের সময় যখন অনেক পুরুষ মারা যায়, কিংবা কারো স্ত্রী যদি কোনো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, কিংবা বন্ধ্যা হয়, কিংবা স্ত্রী যদি তাকে সন্তুষ্ট না করতে পারে, তবেই সে চারটে বিয়ে করতে পারে। করলেও তাকে সব স্ত্রীকে সমান সুবিধা দিতে হবে, অর্থাৎ একজনের জন্য বাড়ি বানিয়ে দিলে, শাড়ি কিনলে, অন্যজনের জন্যও সেটা করতে হবে। আশরফ এত কিছু চায় না, সে শুধু তার রুগ্ন শিশুর চিকিৎসার জন্য কিছু পয়সা চায়। এর জন্য সে আমিনার স্বামী আব্দুল কাদের যে স্থানীয় মসজিদের মুতাওয়াল্লি (ওয়াকফ সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক), তার কাছে বারবার লিখিত আবেদন করে। সে তার পিটিশন হারিয়ে ফেলে, তাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে। নিরুপায় হয়ে আশরফ যখন বলে ইয়াকুব হাজারটা শাদি করুক, শুধু তার মরণাপন্ন শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক, তখন কাদের সাহেব তাকে ধমক দেয়, "শোন, মৌত আর হায়ত, মৃত্যু আর জন্ম, আল্লাহর হাতে। আল্লাহ মনে করলে সে বাঁচবে, নয় সে মরবে, এর জন্য ইয়াকুবকে দোষ দিচ্ছিস কেন?" জুলেখা জানতে পেরে বলে ইসলাম ধর্মে মেয়েরা স্কুলে, দোকানে যেতে পারে, বাইরে কাজ করতে পারে, সম্পত্তির অধিকার পেতে পারে, কিন্তু হ্যাঁ এটা ঠিক তাদের শরীর, সৌন্দর্য প্রদর্শনের ওপর বিধিনিষেধ আছে। ঘটনা হচ্ছে ধর্মের তল্পিবাহকরা মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে তাদের সচেতন করে না, তাদের দাবিয়ে রাখতে চায়। ওই মুতাওয়াল্লি যদি এসব অস্বীকার করে তাহলে পায়ের চটি খুলে তার গালে মার। ভিক্ষা চেয়ো না, দাবি করো। দাবি না করলে কোনো ন্যায়বিচার তুমি পাবে না।

    বৈপ্লবিক কথাবার্তা! বাস্তবিক বানু মুশতাক-এর (সৈয়দ খুশতারা বানু) রক্তে বিদ্রোহ, প্রতিবাদ। ছোটবেলায় উর্দু স্কুলে কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। পরে কন্নড় মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি হন, যদিও তখন কন্নড় হিন্দু ভাষা এবং উর্দু মুসলমানদের ভাষা হিসাবে গণ্য করা হতো। ওই সময়ে তিনি শহরে সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কারণে মৌলবীদের রোষানলে পড়েন। এমনকি শহরের ছেলেরা তাকে শারীরিকভাবে আটকানোর চেষ্টা করলে, তিনি তাদের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। সামাজিক কাজের প্রতি তাঁর আকর্ষণ বোঝা যায় যখন তিনি হাসানের কো-এড স্কুলে ইউনিয়নের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। বিজ্ঞানে স্নাতক হয়ে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে চাকরি করেন এবং যদিও তাঁর মা মাত্র বারো বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন, তিনি ছাব্বিশ বছর বয়সে নিজের পছন্দের পুরুষকে বিবাহ করেন। মনে রাখতে হবে এটা এমন এক সমাজে যেখানে পরিবারের পছন্দের পুরুষকেই মেয়েরা বিয়ে করতে বাধ্য হয়। এসবই সম্ভব হয়েছিল কারণ ছোটবেলা থেকে তিনি তাঁর বাবার অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন উদার ও প্রগতিশীল। পরিবারে সুফি শিকড়ের প্রভাব ছিল, তাঁর দাদা সুফি সাধিকা জামাল বি মা সাহিবার মাজারের রক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন।

    বিবাহের পরে শ্বশুরালয়ের কঠোর সাংসারিক শৃঙ্খলার কারণে তিনি একবার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর স্বামী তাঁকে নিরস্ত করেন এবং তারপর থেকে লেখিকার সমস্ত কাজকর্মে তিনি যথার্থ সহযোগীর ভূমিকা পালন করে এসেছেন। ১৯৭৮ সালে বাবা তাঁকে পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থী করে দেন। তিনি বোরখা বর্জন করে ঘরে ঘরে প্রচার করেন। যদিও মুসলিমরা তাঁর সমস্ত আচরণ অ-ইসলামিক মনে করত, তবুও তিনি মাত্র সামান্য ভোটে পরাজিত হন। এরপরে পরপর দুটি নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। আশির দশকে তিনি ‘দলিত সংঘর্ষ সমিতি’ এবং অধ্যাপক নানজুন্দাস্বামীর কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। এই সময়েই তিনি বান্দায়া সাহিত্য আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। এই আন্দোলন সাহিত্যে উচ্চ জাত এবং পুরুষতান্ত্রিকতার বিরোধিতা করেছিল এবং দরিদ্র, প্রান্তিক ও প্রতিবাদী সাহিত্যের পক্ষে প্রচার করেছিল। কয়েক বছর পরে তিনি ‘লঙ্কেশ পত্রিকে’-তে একটি বিতর্কিত প্রবন্ধ লেখেন। একটি শহরের মৌলবীরা মুসলিম মহিলাদের হলে গিয়ে সিনেমা দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বানু মুশতাক এর প্রবল সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, "তাহলে মুসলিম মহিলাদের বিনোদনের উপায় কি, নাকি তাদের কোনো বিনোদন প্রয়োজন নেই! আর মুসলিম মহিলাদের জন্য যদি এটা হারাম হয়, তাহলে পুরুষদের জন্য নয় কেন?" এই প্রবন্ধ আলোড়ন সৃষ্টি করে, লেখিকার বাবাকে মসজিদে ডেকে নিয়ে তিরস্কার করা হয়।

    আরও কয়েক বছর বাদে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইসলাম ধর্মে এরকম কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও, মুসলিম মহিলাদের কেন মসজিদে প্রার্থনা করতে দেওয়া হয় না? এই সময় তাঁর মা তাঁকে সমর্থন করেন কারণ তিনি মক্কায় মহিলাদের মসজিদে প্রার্থনা করতে দেখেছেন। পুরো সমাজ তিনি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে চলে যায়, তাঁদেরকে জামাত (সম্প্রদায়) থেকে বহিষ্কৃত করা হয়। লেখিকার অ-মুসলিম বন্ধুরা এর বিরুদ্ধে মুসলিম ব্যবসায়ীদের বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয়। পুরো ঘটনা সাম্প্রদায়িক মোড় নেওয়ার উপক্রম হয় এবং লেখিকা কোনো রকমে তাঁদের নিরস্ত করেন। এরপর বিভিন্ন উপায়ে ঘটনার সমাধান হয়। কট্টরপন্থী মুসলিমদের বিরুদ্ধে লেখিকার এই ধারাবাহিক প্রতিবাদের কারণে হিন্দুত্ববাদীদের উল্লসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বানু একই রকম ভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রবল ভাবে সরব। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর তিনি ত্রাণের কাজ করেন। ২০০৪ সালে যখন কর্ণাটকের বিখ্যাত সুফি দরগা বাবাবুদানগিরিকে সঙ্ঘীরা একটি হিন্দু ধর্মস্থানে পরিণত করার চেষ্টা করে তখন সেটা রক্ষা করার জন্য কোমু সৌহার্দ বেদিকে নামক সংগঠন গড়ে ওঠে। বানু বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও গৌরী লঙ্কেশ এবং গিরিশ কারনাডের মতো বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি সংগঠনের এক আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে রাজ্যের একটি কলেজে যখন হিজাব পরা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় তখন লেখিকা ছাত্রীদের হিজাব পরা সমর্থন করেন।

    এই একই প্রতিবাদী সুর তাঁর বিভিন্ন গল্পে প্রতিধ্বনিত হয়। গল্পগুলির নানা বৈচিত্র্য আছে। যেমন ‘রেড লুঙ্গি’ গল্পে তিনি খতনা বা সুন্নত প্রথা কীভাবে অল্পবয়সী মুসলিম ছেলেদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে সেটা নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘দ্য আরবিক টিচার অ্যান্ড গোবি মাঞ্চুরিয়া’ গল্পে যেন জাদু বাস্তবতাবাদের ছোঁয়া পাই। শিক্ষক গোবি মাঞ্চুরিয়ার স্বাদে এতই আচ্ছন্ন যে তাঁর স্ত্রী সেটা সুস্বাদু ভাবে রান্না না করতে পারার জন্য সে তাকে মারধোর করে। একই সুর পাই ‘হাই-হিলড শু’ গল্পে। নায়াজ খান তার সুন্দরী ভাবী নাসিমার হিল-তোলা জুতোয় মুগ্ধ, যখন সেটা পরে ভাবী হাঁটত তার মনে হতো সে হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। তার প্রবল ইচ্ছা তার বউ আসিফাও একই ধরনের জুতো পরে ঘুরে বেড়াক। সে ওই জুতোর চিন্তায় বুঁদ হয়ে থাকে আর অন্য দিকে আসিফা, তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, শুকিয়ে রোগা হয়ে যায়, সন্তানের ভার তার চেহারাকে ফ্যাকাশে করে দেয়। তবুও নায়াজ তাকে ওই ধরনের মহার্ঘ জুতো পরতে বাধ্য করে এবং তার ফলে কী পরিণতি হয় সেটা নিয়েই গল্প। শেষোক্ত দুটি গল্পে লেখিকার অসাধারণ কৌতুকবোধ প্রকাশ পায়।

    ‘রেড লুঙ্গি’ এবং ‘দ্য শ্রাউড’ গল্পে শ্রেণী বিভাজনের রূপ ফুটে ওঠে। প্রথম গল্পটিতে দরিদ্র মা শুধু উপহার সামগ্রীর লোভে যে সন্তানের খতনা হয়ে গেছে তাকে পুনরায় সুন্নত করাতে নিয়ে আসে। দ্বিতীয় গল্পটিতে বড়লোক গিন্নি শাজিয়া হজে যাচ্ছে, তাকে তার চাকরানি ইয়াসিন বানো জমজম জলে ধৌত একটা কাফন নিয়ে আসার জন্য টাকা দেয়। শাজিয়া আবিষ্কার করে গরীব লোকের টাকা ঠিক তাদেরই মতো – ভাঙা, ছিন্ন, কুঁচকানো, ভাঁজ-পড়া, রূপ ও নির্যাসে যেন অনেক খাটো। এই সংকলনের গল্পগুলির অনুবাদক দীপা ভাস্থি লিখেছেন যে গল্পকার তাঁকে বলেছিলেন যে মহিলাদের সর্বত্রই একই রকম না হলেও মূলত অভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই ‘সিস্টারহুড’, ভগিনীত্ব তাঁর অনুবাদের মূল ভিত্তি। বিভিন্ন গল্পে আমরা এই ভগিনীত্বের প্রকাশ পাই। ‘ব্ল্যাক কোবরা’ গল্পে আশরফের সন্তানের মৃত্যুর পর এলাকার সাধারণ মহিলারা যে ভাবে মুতাওয়াল্লিকে ব্যঙ্গ করে, তার কর্তৃত্বকে বুড়ো আঙুল দেখায় তা অনবদ্য। ‘দ্য শ্রাউড’ গল্পে শাজিয়া ইয়াসিনের কাফন না আনতে পারার কারণে কাতর ভাবে তার মৃতদেহের সামনে অনুতাপ প্রকাশ করে। সর্বোপরি ‘হার্ট ল্যাম্প’ গল্পে আত্মহত্যার কিনারা থেকে মেহরুনের জ্যেষ্ঠা কন্যা সালমা তার মায়ের পা জড়িয়ে ধরে তাকে উদ্ধার করে এবং সংকলনের সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত সৃষ্টি করে।

    অনুবাদকের কথায় আমরা জানতে পারি বানু যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা অভিনব। এটা কন্নড়, উর্দু, আরবিক, দাখনি (যা আবার ফার্সি, দেহ্লাভি, মারাঠি, কন্নড় এবং তেলুগুর মিশ্রণ) এবং হাসান জেলার বিশেষ সম্প্রদায়ের বিশেষ ধরনের কন্নড়ের মধুর মিশ্রণ। অনুবাদকের কাজও অভিনব। তিনি অ-ইংরাজি শব্দ, যেমন কাফন, সেরাগু (আঁচল/পাল্লু), নিয়াত (আল্লাহকে খুশি করার জন্য সংকল্প), যখন ব্যবহার করেছেন তখন কোনো তীর্যক ছাঁদ বা ইটালিক প্রয়োগ করেননি। ভাই, সাহেব ইত্যাদি সম্বোধন একই রেখেছেন।

    পুরস্কার প্রাপ্তির পর বানু মুশতাক বিবিসিকে সাক্ষাৎকারে বলেন, "এই সংকলন এই বিশ্বাস থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে যে কোনো গল্পই তুচ্ছ নয়, মানুষের সামগ্রিক অভিজ্ঞতার নকশায় প্রতিটি সুতো সমগ্রর ওজন বহন করে। যখন আমাদের বিভাজিত করার চেষ্টা হচ্ছে তখন সাহিত্য এখনো একটা পবিত্র পরিসর যেখানে আমরা পরস্পরের হৃদয়ে কিছু লিখিত পাতার মাধ্যমে আশ্রয় নিতে পারি। বাক-স্বাধীনতার পরিসর ছোট হয়ে এসেছে। সত্য কথা বলা কেউ পছন্দ করছে না। ভিন্ন মত পোষণ করার কারণে শিল্পী, লেখক, বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই সময় শিল্প-সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা পরস্পরের হাত ধরে থাকতে পারি।"






    বই: হার্ট ল্যাম্প (নির্বাচিত গল্প)
    লেখক: বানু মুশতাক
    কন্নড় থেকে অনুবাদ: দীপা ভাস্থি
    প্রকাশক: পেঙ্গুইন র‍্যান্ডম হাউস
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৫ মে ২০২৫ | ২০৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • | ২৫ মে ২০২৫ ১৩:৩৬731663
  • এই বই পুরস্কার পাওয়ায় অন্তর্বাসদের ইকোসিস্টেমও দেখলাম বেজায় ক্ষেপে গেছে। 
     
    ধন্যবাদ আলোচনাটির জন্য।
  • asim nondon | ২৫ মে ২০২৫ ১৫:৪৮731666
  • উনার বইটা পড়ার আগ্রহ বহুগুণে বেড়ে গেল। খুব শীঘ্রই সংগ্রহ করতে হবে এবং পাঠ করতে হবে।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ২৫ মে ২০২৫ ১৭:৫৯731668
  • বুকার এর খবরে আগেই খুশি হয়েছিলাম। এই আলোচনার জন্য ধন‍্যবাদ।
  • sangeeta das | ২৫ মে ২০২৫ ১৯:৪৪731669
  • ব‌ইটা আনতে দিয়েছি। আশা করি শিগগীর পাবো। ইসলামে মেয়ে সন্তানের‌ও খতনা ধরণের জিনিস হয়ে থাকে। ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশান বলা হয় তাকে। যদিও সদকা, কুরবানি ইত্যাদি অনুষ্ঠান দিয়ে সুগার কোটিং করা হয়। অনেকটা ছাগল বলির সময় জোরে ঢাক বাজানোর মতো। 
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:fcba:c311:8d11:***:*** | ২৬ মে ২০২৫ ০২:২৯731676
  • সঙ্গীতা , FGM সম্ভবত  ঠিক ইসলামী জিনিস নয়, এই প্ৰথাকে লোক্যাল কাস্টম ​​​​​​​হিসাবে ​​​​​​​দেখাই বোধ  হয় ভাল। প্রাক-ইসলামিক আফ্রিকায় এর চলন ছিল। মুসলিম ​​​​​​​অধ্যুষিত ​​​​​​​অনেক দেশেই এই ​​​​​​​প্ৰথা সম্পূর্ণ অজানা।  অমানবিক এই প্রথার ​​​​​​​খুব বেশী প্রচলন আফ্রিকার ​​​​​​​দেশগুলিতে বিশেষতঃ সোমালিয়া, গিনি, জিবুতি, মিশর, সিওরে লিওনির মতো সাব সাহারান দেশগুলোতে যেগুলো ঘটনাক্রমে মুসলিম মেজরিটি দেশ। অপরপক্ষে আলজিরিয়া, মরোক্কো, টিউনিশিয়া, তুরস্ক, আজারবাইজান ইত্যাদি মুসলিম মেজরিটি দেশে  এর হার নগণ্য। মিশরে সুন্নী এবং কপ্টিক ক্রিশ্চিয়ান উভয় সম্প্রদায়ই এটা প্র্যাক্টিস করে, যদিও 2007 সালে ইজিপ্টে FGM ব্যান করা হয় এবং মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি এটাকে অপ্রয়োজনীয় প্রথা হিসাবে ঘোষণা করেন। সুন্নী ইসলামের হেড কোয়ার্টার সৌদী আরবে প্রায় 20% মেয়েরা এই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গেছে। ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়াতে এই কুপ্রথার প্রাদুর্ভাব বেশ বাড়াবাড়ি রকমের। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের মধ্যে  একমাত্র বোরা কমিউনিটি ছাড়া FGM বেশ অপরিচিত একটা কাস্টম। ইরাক, ইরান, টার্কিতেও FGM এর প্রচলন নেই কুর্দিশ কমিউনিটি ছাড়া। < 80% ক্রিশ্চিয়ান​​​​​​​ অধ্যুষিত দেশ কেনিয়াতে চল্লিশ বছর আগেও মহিলাদের মধ্যে FGM এর হার  ছিল 40%, সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটা একটা geographical কাস্টম।   

    আমি ব্যক্তিগতভাবে মেল এবং ফিমেল দুই ধরণেরই জেনিট্যাল মিউটিলেশনের তীব্র বিরোধী এবং আমি মনে করি নিতান্তই মেডিক্যাল প্রয়োজন ছাড়া এগুলো করা উচিত নয়। 
  • Ranjan Roy | ২৬ মে ২০২৫ ০৪:৩৯731677
  • স্যান্ডি ঠিক বলেছেন। 
     
     
    বইটির সমীক্ষক সোমনাথকে ধন্যবাদ। 
     
    বই 31 নাগাদ পেয়ে যাব।
     
    ভারতের মহিলাদের কণ্ঠস্বর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে। একই দশকে দুই দক্ষিণ ভারতীয় মহিলা,, দুই ধার্মিক সম্প্রদায়ের , বুকার্স পেলেন ---- এটা অত্যন্ত আনন্দের। 
  • sangeeta das | ২৬ মে ২০২৫ ০৭:০২731678
  • স্যান্ডি, এ জিনিস চলে। এবং খোদ কোলকাতাতে চলে। কেবল তথ্য‌নির্ভর কথা বলছি না এবং আমি কোনো বিশেষ মুসলিমবিদ্বেষী রাজনীতিও করি না। সেকুলার ন‌ই। কারণ, সেকুলার হতে গেলেও কিছু সঠিক তথ্য নির্ভর হ‌ওয়া উচিত বলে মনে করি। 
    চলে। এবং ধর্মের নাম দিয়েই চলে। এবং ঐ ঢাক ইত্যাদি। 
  • . | ২৬ মে ২০২৫ ১১:৪৯731683
  • শুধুই ধর্ম? মেয়েদের হাল সব ধর্মে অধর্মেই মন্দ। যারা এই বইটি বুকার পাওয়ায় ধিনতা ধিনা করে নাচছে, বইটির প্রশংসা করছে সরবে, তারাও ব‍্যতিক্রম না এই অসাম‍্যে যোগদান করতে। এই হিপোক্রিসি যেমন বর্তমান, তেমনি অসাম‍্যও বর্তমান। ক্ষমতার লোভ, ঈর্ষা, এগুলো যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত এই সব চলবে।
  • হোহোহো | 2a0e:4005:1002:ffff:185:40:4:***:*** | ২৬ মে ২০২৫ ১৭:৩১731686
  • ভারতের মেয়ে  অনুবাদ হলেও অর্জিনালি ভারতীয় ভাষায় লিখে প্রাইজ পেয়েছে।  ভারতপেরেমি গর্ভিত হেঁদু চাড্ডিনির সেটা মোট্টে পচুন্দ হয় নিকো।
  • ঋতব্রত ঘোষ | ২৬ মে ২০২৫ ১৮:২৩731687
  • সত্যিই ইনি অনেক সংগ্রাম করেছেন। আর তাঁর লেখা একটিও বাক্য অনুবাদেও না পড়া হলেও, শুধুমাত্র বিষয় নির্বাচনের জন্য লেখিকা হিসেবে তাঁর স্তর চেনানোয় সক্ষম।
     
    এরকম লেখিকা আরও উঠে আসুন। ওঁর প্রতি শ্রদ্ধাবান হলাম।
     
    এই বই "পড়ব" তালিকায় যোগ হল।
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:6944:e9bb:f16d:***:*** | ২৬ মে ২০২৫ ২৩:৩৪731697
  • সঙ্গীতা 2011এর সেন্সাস ডেটা অনুযায়ী ভারতের টোট্যাল মুসলিম পপুলেশন 17.22 কোটি মত। তার মধ্য়ে বোরা কমিউনিটির পপুলেশন 10-12 লাখ। তাহলে জেন্ডার ফ্য়াক্টরকে ধর্তব্যের বাইরে রাখলে হিসেবে দাঁড়ায় ভারতের ইসলাম ধর্মাবলম্বী নারীদের মাত্র 0.69% FGM এক্সপিরিয়েন্স করেছেন। এটা 0.69 না হয়ে 0.00 হলেই আমি বেশী খুশি হতাম। কিন্তু 'ইসলামে ঢালাওভাবে FGM চলে' জাতীয় যে প্রেমিস আপনি দাঁড় করানোর চেষ্টা আপনি করছেন একটা-দুটো অ্যানেকডোটের ভিত্তিতে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ যদি বলে "ভারত হিন্দু মেজরিটি দেশ, এখানে পণপ্রথা চলে; অতএব হিন্দুধর্মে পণপ্রথা চলে"— এটা যে কারণে একটা ভিত্তিহীন কথা। আশা করি বোঝাতে পেরেছি আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে।
     

    ইসলাম এবং মুসলিমদের অনেক সমস্যা আছে, এবং হাজারটা কারণে ওদের সমালোচনা করা যায়। কিন্তু 'ইসলামে FGM চলে' —এটা একেবারে ভিত্তিহীন কথা। নয়ত মিশরের কপটিক ক্রিস্টিয়ান কমিউনিটিতে এই প্রথার এত গ্রহণযোগ্যতা আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? ক্রিস্টিয়ান মেজরিটি দেশ কেনিয়াতে ক্রিস্টিয়ান মহিলাদের মধ্য়ে এই কুপ্রথা বিস্তার লাভ করল কেন? ইথিওপিয়া থেকে ইজরায়েলে চলে আসা ইহুদীদের মধ্যে FGM-এর এত প্রেভ্য়ালেন্স কেন? আর আলজিরিয়া, মরোক্কো, টিউনিশিয়া, তুরস্ক, আজারবাইজান এমনকি সৌদী আরবের বেশীরভাগ মহিলা ইনট্যাক্টই থাকল কিভাবে? আমি আগেই বলেছি FGM একটা ভৌগলিক ক্ষেত্রের রীতিমাত্র।
     

    অবশ্য আপনি যদি ডেটা-স্ট্যাটিসটিক্স ইত্যাদিকে ফালতু বলে উড়িয়ে দিয়ে শোনা কথাকে বেশি গুরুত্ব দেন তাহলে আলাদা কথা। তবে everything is just a belief unless it is supported with data
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:6944:e9bb:f16d:***:*** | ২৬ মে ২০২৫ ২৩:৪০731699
  • সঙ্গীতা,তথ্যে বিশ্বাস না করতে চাইলে আপনার ফিমেল মুসলিম বন্ধু বা পরিচিতদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন যে তারা FGM-এর স্বীকার কিনা? আপনার পরিচিতরা যদি বোরা কমিউনিটি না হয় তাহলে 99.99 % কেসে উত্তর 'না' পাবেন। এরকম কাস্টম যে আছে সেটাই বেশীরভাগ ভারতীয় মুসলিম মহিলারা জানেন না। আর আপনি যদি বেছে বেছে বোরা মহিলাদের সাথে বন্ধুত্ব করেন তাহলে আলাদা কথা, সেক্ষেত্রে আপনার অবজারভেশন স্যামপ্লিং বায়াসজনিত কারণে ত্রুটিপূর্ণ। 
  • sangeeta das | ২৭ মে ২০২৫ ১১:০৬731704
  • স্যান্ডি, খুব অবাক হ'লাম কমেন্ট পড়ে। কারণ 'ঢালাওভাবে হয়' এইটা কোথাও লিখিনি। কী করে আন্দাজ করলেন? তার মানে, যদি কেউ এমন কিছু বলে, যা কোনো একটা অংশের ঘটনা, তাহলেই সেটা ইন জেনারেল হয়ে যায়? 
    ০ শতাংশ যদি হয়, তাহলে তো আমিও খুশিই হ‌ই আন্তরিকভাবে। তা ঐ বিষয়‌ই হোক বা ধর্মের নামে অপরকে ন্যাড়া করা থেকে গায়ে কাঁটা বিঁধিয়ে শো করার বিষয়ে মগজধোলাই অবধি সবকিছুকেই। কিন্তু, এখানে তো সে বিষয়ে কথা হলো না। 
    আমি জানালাম যে, খোদ কোলকাতাতে ঐ ব্যবস্থা এখন‌ও চলে এবং সেইটা এখন‌ও জানাচ্ছি। অ্যানেকডোটাল কি না, কেমন করে আন্দাজ করলেন? মানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করে, তাই নিয়ে হাউমাউ করব, বলে আন্দাজ করলেন কি? 
     
    সমস্যা কোথায় বলুন তো? অনেকেই যা বলেন, তা কেবল তথ্যাদি দ্বারা ক্রস করার ইচ্ছা মানুষের হয়। জানা যে কেবল তথ্যসংগ্রহ নয়, অনেক সময় তা বিলম্বিত কিন্তু স্থির, এবং বাস্তবক্ষেত্র থেকে সংগৃহিত এইটা কিছুতেই বোঝানো যায় না। 
  • . | 37.32.***.*** | ২৭ মে ২০২৫ ১৩:২২731705
  • FGM এর জন্য ভারতে আইন নেই? এর বিরুদ্ধে সরব হওয়া দরকার।
  • স্বপন সেনগুপ্ত ( ঝানকু ) | 45.64.***.*** | ২৭ মে ২০২৫ ১৮:৪৫731709
  • অসাধারণ আলোচনা।
    বইটি সংগ্রহ করার আগ্রহ বেড়ে গেল!!!
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:7c74:b168:2024:***:*** | ২৮ মে ২০২৫ ০০:৫১731712
  • @ Sangeeta Das, আপনার প্রেমিসটা আমার কাছে পরিষ্কার নয় একেবারেই। আপনি ২৫ মে ২০২৫ ১৯:৪৪-এর পোস্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন "ইসলামে মেয়ে সন্তানের‌ও খতনা ধরণের জিনিস হয়ে থাকে। ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশান বলা হয় তাকে।" এই জাতীয় জেনারেল স্টেটমেন্টের নিরিখে আমি আমার ২৬ মে ২০২৫ ২৩:৩৪- এর পোস্টের সেকেন্ড প্যারাগ্রাফে আপনাকে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্ন করেছি, কিন্তু আপনি একেবারে হিরণ্ময় নীরবতা পালন করছেন। উল্টে গোল-গোল ঘুরছেন আর ঘোরাচ্ছেন।

    আপনার ২৭ মে ২০২৫ ১১:০৬-এর কমেন্টে আপনি লিখছেন
    “খুব অবাক হ'লাম কমেন্ট পড়ে। কারণ 'ঢালাওভাবে হয়' এইটা কোথাও লিখিনি। কী করে আন্দাজ করলেন? তার মানে, যদি কেউ এমন কিছু বলে, যা কোনো একটা অংশের ঘটনা, তাহলেই সেটা ইন জেনারেল হয়ে যায়?” 
    FGM ঢালাওভাবে হয় এটা আপনি লেখেননি স্বীকার করি। তাহলে কি ধরে নেব আপনি বোঝাতে চেয়েছিলেন এটা একটা বিচ্ছিন্ন প্র‍্যাকটিশ?

    এর পরে আপনি ২৭ মে ২০২৫ ১১:০৬-এর কমেন্টে লিখছেন
    "আমি জানালাম যে, খোদ কোলকাতাতে ঐ ব্যবস্থা এখনও চলে এবং সেইটা এখনও জানাচ্ছি। অ্যানেকডোটাল কি না, কেমন করে আন্দাজ করলেন?"
    তার পরেই আবার লিখছেন
    “অনেকেই যা বলেন, তা কেবল তথ্যাদি দ্বারা ক্রস করার ইচ্ছা মানুষের হয়। জানা যে কেবল তথ্যসংগ্রহ নয়, অনেক সময় তা বিলম্বিত কিন্তু স্থির, এবং বাস্তবক্ষেত্র থেকে সংগৃহিত এইটা কিছুতেই বোঝানো যায় না।“

    আপনার জানার বেসিস যদি পার্সোন্যাল অ্যানেকডোট না হয় তাহলে কি কোন স্ট্যাটিসটিক্যাল স্টাডি বা সার্ভে? যদি তাই হয় তাহলে আমাকে অনুগ্রহ করে জানান যে  কলকাতায় FGM-এর প্র্যাকটিস নিয়ে কোথায় স্টাডি হয়েছে এবং সেই রেফারেন্স দিন। আর আপনার কাছে যদি আপনার নিজের স্টেটমেন্ট "খোদ কোলকাতাতে ঐ ব্যবস্থা এখনও চলে"— সাপোর্ট করার জন্য অ্যানেকডোট  বা  স্ট্যাটিসটিক্যাল স্টাডি ব্য়াতিরেকে অন্য কিছু সোর্স থাকে সেটাও জানান। অবশ্য আমার জানা নেই যে কোন ইনফর্মেশন জানার জন্য 'অ্যানেকডোট' বা ' সার্ভে' ছাড়া আর কি সোর্স হতে পারে। গোদা বাংলায় বললে আমি আপনার কাছে জানতে চাইছি আপনার ঐ "খোদ কোলকাতাতে ঐ ব্যবস্থা এখনও চলে" — দাবী করার আগে যে ইনফর্মেশন আপনি সংগ্রহ করেছেন তার উৎসটি কোথায়? সেটি ' অ্যানেকডোটাল' বা ' সার্ভে' বা তার বাইরের কিছু?

    আপনার কথায় খোদ কলকাতায় FGM-এর প্র্যাকটিস চলে। ঠিক আছে যদি তর্কের খাতির মেনেও নি যে কলকাতায় এগুলো ঘটে, তাহলে তার size of prevalence কি রকমের?

    আপনার প্রেমিসের বেসিসটা যে অ্যানেকডোটাল সেটা আকারে-ইঙ্গিতে অস্বীকার করছেন "অ্যানেকডোটাল কি না, কেমন করে আন্দাজ করলেন" — জাতীয় প্রশ্ন তুলে। আবার পরক্ষণেই "অনেক সময় তা বিলম্বিত কিন্তু স্থির, এবং বাস্তবক্ষেত্র থেকে সংগৃহিত" — জাতীয় কথাবার্তা লিখে স্বীকার করছেন যে আপনার হাইপোথিসিসের বেস অ্যানেকডোটাল। আপনি কি বুঝতে পারছেন না যে আপনার কমেণ্ট স্ববিরোধী?

    ২৭ মে ২০২৫ ১১:০৬-এর কমেন্টে আপনি লিখছেন “মানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করে, তাই নিয়ে হাউমাউ করব, বলে আন্দাজ করলেন কি? 
    দেখুন আপনি FGM নিয়ে হাউমাউ করছেন এমন অভিযোগ তো আমি করিনি। কিন্তু যদি করতেই হয় তাহলে জেনে করাটাই শ্রেয়—তাই নয় কি? কোন স্ট্যাসটিক্যাল ডেটা না থাকলে অন্তত জানাশোনা মুসলিম মহিলাদেরকে জিজ্ঞাসা করে ভেরিফাই  নেওয়াটা খারাপ কিছু নয়।

    আমি পশ্চিমবঙ্গের যেছোট মফঃস্বল অঞ্চলে বড় হয়েছি সেখানে হিন্দু-মুসলিমের অনুপাত মোটামুটি ভাবে 70:30 ছিল, স্কুলে বা কলেজে আমার ক্লাসমেটদের মধ্য়ে মুসলিম বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যাও ছিল অনেক। আর যে টিমের হয়ে খেলাধুলা করতাম সেই টিমে হিন্দু-মুসলিমের অনুপাত ছিল প্রায় 50-50। তো আমি 2007 সালে FGM সম্পর্কে জানার পরে দেশে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময়ে এই প্রসঙ্গ তুলি। আড্ডাতে বেশ কয়েকজন উচ্চশিক্ষিত মুসলিম বন্ধু ছিল যাদের অনেকেই ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার এবং অনেকেই মাস্টার্স ডিগ্রী করা এবং প্র‍ত্য়েকেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। FGM-এর প্রসঙ্গ উঠতে তাদের চোখে-মুখে যে অকৃত্তিম বিস্ময়ের ভাব ফুটে উঠেছিল সেটা আজও মনে করতে পারি। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করায় তারা সবাই একযোগে বলল যে তাদের পরিচিতবৃত্তে এইরকম কোন কাস্টম অনুসরণ করা হয় না এবং আমি হলফ করে বলতে পারি যে ওরা কেউই মিথ্যা বলছিল না। ওরা সবাই বলল ছেলেদের ক্ষেত্রে এটা হয়, অর্থাৎ যেটাকে মেল সারকামসিশন (male genital mutilation বা MGM) বলে সেটার ব্যাপারে কেউ ডিনায়াল মোডে তো গেলই না, বরং FGM-এর প্রসঙ্গ ওঠায় নিজেরাই MGM টেনে নিয়ে এল।

    আপনাকে আমি বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছি। আশা করি সেগুলোর সৎ এবং ডাইরেক্ট উত্তর দেবেন বিটিং এরাউন্ড দ্য বুশ না করে। সেটা না পারলে বুঝব আপনি ওয়াটস আ্যাপ ইউনিভারসিটির ছাত্রী এবং ফ্য়াক্ট ভেরিফাই করার অভ্যাস আপনার মধ্যে গড়ে ওঠেনি।
     
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:7c74:b168:2024:***:*** | ২৮ মে ২০২৫ ০২:০৬731713
  • আমি ব্যক্তিগতভাবে FGM এবং MGM (male genital mutilation) দুটোরই বিরোধী; এবং body integrity-তে বিশ্বাসী। আমি চাই FGM এবং MGM দুটোকেই নর্ডিক মডেল অনুসরণে সারা বিশ্বে ক্রিমিনালাইজ করা হোক। একটা ছোট বাচ্চা যার মতামত দেওয়ার মত বয়সই তৈরী হয়নি তার নিজের অনুমতি ব্যতিরেকে তার বডি ইররিভার্সিবলি মডিফাই করার অধিকার কারোরই থাকা উচিৎ বলে মনে করি না। বাচ্চার পেরেন্টসদেরও এই অধিকার থাকা উচিৎ বলে মনে করি না। শুধুমাত্র যথেষ্ট মেডিক্যাল কারণ (যেমন ফাইমোসিস বা অন্যান্য কম্প্লিকেশন) ছাড়া মেল সারকামসিশনও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং ক্রিমিনালাইজ করা উচিত।

    কিন্তু মুশকিলটা হল ভারতের বেশীরভাগ লোক এমনকি উচ্চশিক্ষিতরাও মেল সারকামসিশনকে একান্তভাবেই অসভ্য় মুসলিমদের রীতি বলে জানেন এবং ভাবতে ভালবাসেন। তাঁরা জানেনই না যে ইহুদিরা মেল সারকামসিশনকে ইহুদী হওয়ার একটি ইম্পর্ট্যান্ট ক্রাইটেরিয়া হিসাবে দেখেন এবং এটা ইহুদি ধর্মের একটি  অবশ্য পালনীয় রীতি। অন্য় ধর্মের লোক কোন ইহুদী কন্যার প্রেমে পড়ে ইহুদী হতে চাইলে mohel-এর ছুরিতে তার সাধের ফোরস্কীন বিসর্জন দিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ইংলিশ-স্পিকিং দেশগুলোতে বিশেষত ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যাণ্ড, কানাডা এবং ইউ এস এ –তে মেল সারকামসিশন ঢালাওভাবে প্র‍্যাকটিস হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যাণ্ড ও কানাডাতে মেল সারকামসিশনের প্রেভেল্যান্স কমে গেলেও USA-তে প্রেভেল্যান্স এখনো প্রায় 80%। এছাড়া সাউথ কোরিয়া, ফিলিপাইনস, ক্যামেরুন, গানা, সাউথ আফ্রিকাতেও মেল সার্কামসিশনের হার খুব বেশী, লক্ষ্য করুন এগুলো কিন্তু কোনটাই মুসলিম মেজরিটি দেশ নয়।
  • sangeeta das | ২৮ মে ২০২৫ ০৯:০২731714
  • স্যান্ডি, ডাইরেক্ট তথ্যের সোর্স আপনাকে দিলে আপনি ঠিক কী করবেন জানতে মন চায়। বাকি, আপনি যত‌ই শ্লেষযুক্ত বাক্যবাণ ব্যবহার করুন, আর আমাকে হোয়াট‌অ্যাপ শিক্ষিত বলে অভিনন্দন জানান, আমি এর অধিক কিছু বলব না। কেন বলব না, যদি আপনি নিজের বোধকে ব্যবহার করেন আশা করি বুঝবেন। 
     
    আমার কথাকে স্ববিরোধী বলতে পারেন। কিন্তু যেটুকু তুলে বোল্ড করেছেন, ঐটুকু বারংবার পড়ুন। 
     
    সারকামসিশান নিয়ে বক্তব্য নেই। দরকার হলে নিশ্চিত করাতে হবে। এই তো আমার ভাইপোর গত জানুয়ারি করালাম আর জি কর থেকেই। মারাত্মক খারাপ অবস্থা হয়েছিল চামড়াটা আটকে গিয়ে। কে জানিয়ে, বুঝিয়ে তারপরেই করা হলো। বাড়িতে বকাবকিও করলাম, ওর অসুবিধাটা ও কাউকে আগে বলতে কেন পারেনি বলে। অন্ততঃ এইটুকু খোলাখুলি ইনফরমেশন বাড়ির লোকেদের দেওয়া উচিত ছিল, তাহলে এই বিপদ আসতো না। 
     
    যাই হোক, স্যান্ডিবাবু, আপনাকে জানাই, যা আপনার আমার জানার পরিধি, তার বাইরেও এমন কিছু আছে,যা আমরা জানি না। কিন্তু আছে।  এর বেশি বলার প্রয়োজন নেই। কারণ সবাইকেই বাঁচতে হবে, তাই না?
  • নিরমাল্লো | ২৮ মে ২০২৫ ১৫:০৪731721
  • সংগীতা কি এটা বলতে চাইছেন যে - যেখানে কলকাতায় যেখানে FGM হয়, সেখানে সার্ভে করার অসুবিধা আছে? আমার অবশ্য এমনিতেও এইসব সার্ভে স্ট্যাটিস্টিক্সের উপরে ঘোরতর সন্দেহ হয় - বিশেষ করে যেখানে রিলিজিয়াস বা স্টেটের বায়াসের স্ট্যাটিস্টিক্স কষা হয়। যেমন ধরুন কোভিডে ভারতের মৃত্যুর হার ইত্যাদি। তবে সেটা পার্সোনাল বায়স। এইসব নিয়ে যদুবাবুর একখানা বই আছে গুরুতেই - পড়লেই বুঝবেন কি মুশকিল এসব বোঝা।
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:7c74:b168:2024:***:*** | ২৮ মে ২০২৫ ১৬:২৯731722
  • @sangeeta das,
    ২৮ মে ২০২৫ ০৯:০২-এর কমেন্টে আপনি লিখছেন “ডাইরেক্ট তথ্যের সোর্স আপনাকে দিলে আপনি ঠিক কী করবেন জানতে মন চায়।“
    আমি কিছুই করব না। আমি সোর্স এজন্য জানতে চাইছি যে আপনি বেসলেস কথা বলছেন না সেটা কনফার্ম করার জন্য। একটা উদাহরণ দিই। কেউ যদি এখানে লেখে যে 'কৃষ্ণবর্ণ লোকেদের মাথায় বুদ্ধি কম থাকে' সেক্ষেত্রে আমরা তার কাছে কি জানতে চাইব না যে তার এইরকম সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ কি বা কোন রেফারেন্স আছে কিনা এই হাইপোথিসিস সাপোর্ট করার জন্য? এখন সে যদি আপনার মতো এই ভাবে প্যাঁচাতে থাকে আর গোল-গোল ঘোরাতে থাকে তাহলে বুঝে নেব সিদ্ধান্ত লেখকের মনের মাধুরী বই আর কিছু নয়। এটাও বুঝে নিতে হবে লেখক পাক্কা রেসিস্ট তা তিনি যতই নিজেকে নন-রেসিস্ট বা unprejudiced বা inclusive হিসাবে ঘোষণা করুন না কেন।

    আপনি বলছেন
    “আর আমাকে হোয়াট‌অ্যাপ শিক্ষিত বলে অভিনন্দন জানান, আমি এর অধিক কিছু বলব না। কেন বলব না, যদি আপনি নিজের বোধকে ব্যবহার করেন আশা করি বুঝবেন।“
    আবারও সেই প্যাঁচানো গোল-গোল কথাবার্তা। এটা ভুলে যাচ্ছেন যে আমি আপনাকে 'ওয়াটসঅ্যাপ শিক্ষিত' বলেছি শর্তসাপেক্ষে। আপনি আপনার স্টেটমেন্টে এর সাপোর্টে ডেটা দিলেই  ওয়াটসঅ্যাপ শিক্ষিতের তকমা আপনার গায়ে লাগবে না। এখন বল সম্পূর্ণভাবে আপনার কোর্টে।

    আপনি আরও লিখছেন
    “আমার কথাকে স্ববিরোধী বলতে পারেন। কিন্তু যেটুকু তুলে বোল্ড করেছেন, ঐটুকু বারংবার পড়ুন

    আপনার লেখা কমেন্টগুলো অনেকবার পড়লাম এবং আমার আগের কমেন্টে (২৮ মে ২০২৫ ০০:৫১) করা বোল্ড করা জায়গাগুলো (যেগুলো আপনার কমেন্ট আদতে) সেগুলো inconsistent,  contradictory এবং incoherent লাগল। আপনি একবার ইঙ্গিত দিচ্ছেন আপনার বক্তব্য অ্যানেকডোটাজাত, আবার পরেই লিখছেন 'বাস্তবক্ষেত্র থেকে সংগৃহিত'। সম্ভবত আপনি নিজেও কনফিউজড বা একটা মনগড়া বক্তব্য লেখার পরে আর সামলাতে না পেরে বিটিং অ্যারাউণ্ড দ্য বুশ খেলছেন। রঞ্জনদা বা অন্যান্য গুরুরা আমাকে একটু ধরিয়ে দিন তো আমি সঙ্গীতার বক্তব্যের কোন জায়গাটা মিস করছি বা ধরতে পারছিনা। আমি সত্যিই বুঝতে পারছিনা বার বার পড়ার পরও।

    আপনি দাবী করছেন "খোদ কোলকাতাতে ঐ ব্যবস্থা এখনও চলে এবং সেইটা এখনও জানাচ্ছি"

    আমি তো বলছি কলকাতাতে হয়, তবে সেটা একমাত্র বোরা কমিউনিটির মধ্যে। বোরা হল শিয়া কমিউনিটির একটা মাইনর শাখা। ভারতে মুসলিমদের মধ্যে  শিয়া হল সংখ্য়ালঘু, আর বোরা হল  শিয়াদের মধ্যে সংখ্য়ালঘু। ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে বোরা সম্প্রদায় 0.7% এর মত। বোরা কমিউনিটির বাইরে FGM এর প্র্য়াকটিস প্রায় 0% এবং সেটা মুসলিম পরিচিতজনদের জিজ্ঞাসা করে ভেরিফাই করে নেওয়া যায়। অবশ্য কেউ যদি ভুলের জগতে বিচরণ করে সুখী থাকেন তাকে শোধরানো স্বয়ং শিবের অসাধ্য।

    অন্যথায় কোন পরিচিত গাইনোকোলজিস্টকেও জিজ্ঞাসা করে যাচাই করে নিতে পারেন যে তাঁর মুসলিম রোগিণীদের মধ্যে FGM -এর prevalence কি রকমের? এটা একজ্যাক্ট স্ট্যাটিসটিক্সকে প্রেজেন্ট না করলেও একটা মোটামুটি ধারণা দেবে। নিশ্চিতভাবেই কোন ইউরোলজিস্টকে তার মেল মুসলিম রোগীদের মধ্যে circumcision prevalence এর ব্য়াপারে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর invariably 100% পাবেন।
     
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:7c74:b168:2024:***:*** | ২৮ মে ২০২৫ ১৬:৩৩731723
  • "২৮ মে ২০২৫ ১৫:০৪, 

    আপনি কি বলতে চাইছেন FGM কলকাতার শুধু মাত্র কিছু পকেটে প্র‍্যাকটিসড হয় যেখানে সার্ভে করা অসুবিধা? রেড লাইট এরিয়াতে কি? তাহলেতো এটা মেইন-স্ট্রীমের লোকেদের রীতি নয়। 
  • Ranjan Roy | ২৮ মে ২০২৫ ১৮:১৬731724
  • @ স্যান্ডি,
    সংগীতা ম্যামের প্রথম দুটো পোস্ট পড়লাম। 
     
    "ইসলামে মেয়ে সন্তানেরও খতনা ধরনের জিনিস হয়ে থাকে" । এটা ওনার  FGM নিয়ে প্রথম বাক্য। 
     
    বাক্যটি যেহেতু ছেলে সন্তানদের খতনা প্রথার  সন্দর্ভে বলা, তাতে  আমার মত সাধারণ  পাঠকের মনে হয়েছে লেখিকা খতনা ও FGM কে সমান্তরাল ভাবে পেশ করছেন।
     
    অর্থাৎ FGM ও খতনার মতই  ইসলামের ধর্মীয় আচারের অঙ্গ  এবং খতনার মতই বহুল প্রচলিত প্রথা।
    দ্বিতীয় পোস্টে উনি কোলকাতার মুসলিম সমাজে এই প্রথা চলে --এরকম বলেছেন। 
     
    আমি চমকে গেছি। খাস মুসলিম পাড়া পার্কসার্কাসে বড় হয়েছি। বালক বয়েসে মুসলিম মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও খেলাধূলো ছিল।
    ছেলেদের খতনা বলে কিছু হয় সেটা মুসলিম মেয়ের থেকেই জেনেছিলাম। 
     
    কিন্ত মেয়েদের ওই জাতীয় কিছু?
    না। মুসলিম ছেলে বা মেয়ে কারও থেকে শুনি নি।
    সংগীতা তথ্য বা ডেটা না দিয়েও যদি বলেদেন যে কোলকাতার কোন অঞ্চলে বা কোন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রথা চলে তাহলে ভাল হয়।
     
    কারণ, নতুন কিছু বললে তার বিশ্বসনীয়তা স্থাপন করার দায়িত্ব তো বক্তারই।
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:41b9:37d1:420a:***:*** | ২৮ মে ২০২৫ ১৮:৩৩731726
  • ধন্যবাদ রঞ্জনদা। সঙ্গী্তার কাছে এটা আমিও অনেকবার জানতে চেয়েছি যে কোলকাতার কোন অঞ্চলে এটা হয় বা হলেও prevalence কোন লেভেলের। কিন্তু উনি কেবল কথার খেলা খেলছেন আর আমাকে গোল-গোল ঘোরাচ্ছেন। আপনি উপরের কনভারসেশান পড়লে বুঝতে পারবেন। 
  • sangeeta das | ২৯ মে ২০২৫ ১২:৫৩731736
  • স্যান্ডি,  কোলকাতাতে হয়, এবং বোরা কম্যুনিটির মধ্যে হয়। এর মধ্যে প্রথমটা আমি বলেছি সম্ভবতঃ। আপনি পার্সেন্টেজ দিয়ে বারংবার আমাকে ভুল প্রমাণ করতে চাইছে আবার মাধুরী ফাধুরী ও বলছেন। স্ববিরোধী নয়? 
    কারা কারা যেন এ বিষয়ে শুনে চোখ কপালে তুলেছে এবং গাইনো ডাক্তার তথ্য দেবেন, অ্যানেকডোটাল নয়? 
    হাসালেন সত্যি! বারবার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন যে, আমি ভুল বলছি কারন আপনার কোট আনকোট তথ্য বলছে অমুক সম্প্রদায়, তমুক পার্সেন্টেজ। তা, আমার বক্তব্যে কোথায় পার্সেন্টেজ, অবাধ, সকল সম্প্রদায় ইত্যাদি পাচ্ছেন? 
     
    যেইটা পাচ্ছেন না তা হলো, জায়গার নাম। 
    স্পষ্ট জানাই, আমি বলব না। কারন আমার ব্যক্তিগত অসুবিধা আছে। এইটাও ক্লু দিয়েছি, কিন্তু নিজেকে ঠিক প্রমাণ করার জেদে, পারেননি। 
     
    এইবার মাধুরী বা হাইপোথেটিক্যাল বা অ্যানেকডোটাল ইত্যাদি যাইই বলুন,  কিছু বলার নেই। 
    চাইলে আরো অনেকে স্বপক্ষে বলতেই পারেন। কিন্তু আমার এখন‌ও ভীমরতি ধরেনি, ঘরে বসে তথ্য সংগ্রহের জীবন‌ও নয়। আমার জানাটা এইপথে বদলাবে না। 
  • sangeeta das | ২৯ মে ২০২৫ ১২:৫৭731737
  • নিরমাল্লো 
    হ্যাঁ। সার্ভে করার অসুবিধা অবশ্য‌ই আছে। পতিতাপল্লী নয়। তবে, অনুষ্ঠানটির সদকা, কুরবানি ইত্যাদি পার্ট সরাসরিই হয়। এফ জি এম অন্দরমহলের ব্যাপার। 
    দয়া করে ক্রস করার জন্য অন্দরমহলকে কী করে চিনলাম এই প্রশ্ন করবেন না। খুব পার্সোনাল। উত্তর দেব না। তাতে করে বিশ্বাস করতেও পারেন। না করলেও অভিযোগ নেই। 
  • sangeeta das | ২৯ মে ২০২৫ ১২:৫৮731738
  • মজার বিষয় হল, পোস্টটির শেষে একটা প্যারাতে যা লেখা আছে, তা মনে হয় অনেকেই পড়েনি। 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:a4eb:982d:103c:***:*** | ২৯ মে ২০২৫ ১৫:৪২731742
  • যারা তথ্য জানতে ইচ্ছুক, আমি একটু খুঁজেপেতে দেখছিলাম, 
    "
    Estimates for the prevalence of FGC among female members (aged 18–85) of the Dawoodi Bohra community in India vary from 75% to 85%. The Dawoodi Bohra community is the only group in India known to carry out FGC regularly. It has been suggested that FGC may be occurring on a smaller scale in other groups (such as the Sulemani Bohras and a sub-sect of Sunnis in Kerala), but no surveys of size have been conducted in these communities.
    The Dawoodi Bohra community comprises over a million people across 40 countries, although the majority live in India, mainly in the states of Gujarat, Maharashtra, Madhya Pradesh and Rajasthan. There are also communities in Pakistan, Yemen and the Middle East, and small groups in Australia, Canada, the UK and the US.
    Prevalence: 75% to 85% in the Dawoodi Bohra community"
    ( fgm/c research ইনিশিয়েটিভ: https://www.fgmcri.org/country/india/ )
     
    Sahiyo'r ৮৩ পাতার রিপোর্ট 
     
     
    রিপোর্টটির ১৭ পাতায় লিখছেন এ নিয়ে সার্ভে করার নানান  ঝামেলার কথা যে কথা সঙ্গীতাও বলছেন । নির্মাল্যও লিখেছেন । 
     
    https://joshuaproject.net/people_groups/16494/IN (Joshua project) বলছে ভারতে ৬২,০০০ বোহরা থাকেন; ধরুন তাদের মধ্যে ৩০০০০ মহিলা যদি থাকেন এবং সেখানেও যদি ৭৫% FGM prevalence হয়, তাহলেও সাড়ে বাইশ হাজার (আন্দাজ, আমার ভুল ও হতে পারে) । কলকাতায় যদি ৪০০০ এর মত বোহরা সম্প্রদায়ের লোক থাকেন (ধরছি), তাহলেও হাজার ১৫০০ কলকাতাতেই পাওয়া যাবে । 
    এ সবই অবশ্য অঙ্কের হিসেব। 
     
     
     
     
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:41b9:37d1:420a:***:*** | ২৯ মে ২০২৫ ১৭:০৪731743
  • অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার ২৯ মে ২০২৫ ১২:৫৭ এর পোস্টের জন্য এবং ঐ পোস্টে ক্লীয়ারলি মেনশান করার জন্য় যে আপনি FGM এর প্র্য়াকটিস দেখেছেন (বা শুনেছেন) বোরা কমিউনিটির মধ্যে। এটা আগে বললে আপনার সাথে আমার এত বিতর্কের কোন প্রয়োজনই থাকত না এবং দ্বিমত পোষণের কোন জায়গাও থাকত না কারণ আমি খুব ভালো করে অবহিত আছি যে বোরা মহিলাদের মধ্যে FGM এর হার উদ্বেগজনকভাবে বেশি।

    এই থ্রেডে আমি মোট আটটা কমেন্ট পোস্ট করেছি, তার মধ্যে অন্তত চারটিতে আমি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছি যে ভারতে বোরা মহিলাদের মধ্যে FGM একটা widely practiced রীতি। আমার ২৬ মে ২০২৫ ০২:২৯, ২৬ মে ২০২৫ ২৩:৩৪, ২৬ মে ২০২৫ ২৩:৪০ এবং ২৮ মে ২০২৫ ১৬:২৯ পোস্টে বারবার বোরা কমিউনিটির কথা উঠে এসেছে। আপনি এই পোস্টগুলোর উত্তর নিয়মিত দিচ্ছেন, কিন্তু একবারও বলছেন না যে আপনার FGM সংক্রান্ত আপনার জানাশোনা ঘটনাগুলো বোরা কমিউনিটির মধ্য়ে ঘটেছে। আপনি যদি শুরুর দিকে আমাকে এটা জানাতেন তাহলে আমাকে এত কিছু টাইপ করার কষ্ট করতে হত না। আবারও বলছি ভারতে বা ভারতীয় উপমহাদেশে বোরা কমিউনিটির বাইরে FGM এর চল নেই একেবারেই।

    আপনি এই থ্রেডে আপনার প্রথম পোস্টেই (২৫ মে ২০২৫ ১৯:৪৪) একটা বাক্য লিখেছেন "ইসলামে মেয়ে সন্তানের‌ও খতনা ধরণের জিনিস হয়ে থাকে।" এই পোস্টের নিরিখে আপনার এই কমেন্ট পড়লে পাঠকের মনে হবে FGM মুসলিমদের একটা অবলিগেটরী কাস্টম এবং এটা widely practiced মুসলিম সমাজে। এটা রঞ্জনদাও ওনার কমেন্টে (২৮ মে ২০২৫ ১৮:১৬) মেনশান করেছেন। আপনার এই মিসলিডিং স্টেটমেন্টের পর আমি আপনাকে বারবার বোরা সমাজের কাস্টম হিসাবে FGM মেনশান করার পরও আপনার কাছ থেকে কোন ক্লীয়ার উত্তর পাইনি যে আপনি এটা বোরা সমাজে দেখেছেন বা শুনেছেন।

    কমেণ্টে vague বা ambiguous কথাবার্তা না লিখতে অনুরোধ রইল।
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:41b9:37d1:420a:***:*** | ২৯ মে ২০২৫ ২২:১১731747
  • @ sangeeta das
    আপনি ২৯ মে ২০২৫ ১২:৫৩ -এর পোস্টে লিখছেন  “কোলকাতাতে হয়, এবং বোরা কম্যুনিটির মধ্যে হয়। এর মধ্যে প্রথমটা আমি বলেছি সম্ভবতঃ।“

    হ্যাঁ প্রথমটা বলেছেন নিশ্চয়ই, কিন্তু বারবার জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও দ্বিতীয়টা নিয়ে মৌন থাকার কারণটা কি? এই মৌনতা কি স্ট্র্যাটেজিক? নাকি পরিচিতা ঐ মুসলিম মহিলাদের থেকে FGM সম্পর্কে জেনে অজ্ঞনতাহেতু ধরেই নিয়েছিলেন কি যে সমগ্র মুসলিম সমাজেই এটাই রীতি? নাকি ঐ পরিচিতা মুসলিম মহিলাদের sectarian identity নিয়ে আপনার অজ্ঞতাটাই কারণ? 

    তারপরে আপনি লিখছেন 
    “আপনি পার্সেন্টেজ দিয়ে বারংবার আমাকে ভুল প্রমাণ করতে চাইছে আবার মাধুরী ফাধুরী ও বলছেন। স্ববিরোধী নয়?”

    আজ্ঞে হ্যাঁ, আপনাকে ভুল প্রমাণ করতেই চাইছিলাম। সেটা স্বীকার করতে বাধা নেই। আপনি এই থ্রেডের প্রথম কমেন্টে (২৫ মে ২০২৫ ১৯:৪৪)  যেটা লিখেছেন   "ইসলামে মেয়ে সন্তানের‌ও খতনা ধরণের জিনিস হয়ে থাকে"— সেটা এই টই এর নিরিখে পড়ে যে কোন পাঠকেরই মনে হবে এটা মুসলিমদের মধ্যে একটা ব্যাপকভাবে অনুশীলীত একটা রেওয়াজ। পাঠক যাতে বিভ্রান্তি এড়িয়ে যেতে পারেন সেজন্যই পারসেন্টেজ বা স্ট্যাটিসটিকসের অবতারণা করেছি। এর মধ্যে স্ববিরোধীতার কি দেখলেন? এছাড়া পারসেণ্টেজ, স্ট্যাটিস্টিক্স ইত্যাদি নিয়ে আপনার এত অসূয়ার কারণটা ঠিক কি? অর্ধসত্য ছড়াতে অসুবিধা হয় এসব স্ট্যাটিসটিক্যাল প্যারামিটার ধর্তব্যের মধ্যে এসে গেলে —তাইতো?

    আপনি উল্লেখ করছেন
     “বারবার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন যে, আমি ভুল বলছি কারন আপনার কোট আনকোট তথ্য বলছে অমুক সম্প্রদায়, তমুক পার্সেন্টেজ। তা, আমার বক্তব্যে কোথায় পার্সেন্টেজ, অবাধ, সকল সম্প্রদায় ইত্যাদি পাচ্ছেন?” 

    অমুক সম্প্রদায়, তমুক পার্সেন্টেজ নিয়ে আমি কথা বলতে বাধ্য হয়েছি আপনার ঐ vague বাক্যগঠনের জন্যই। আমি আমার অন্ততঃ চারটে কমেন্টে গত ২৬ মে থেকে বলে যাচ্ছি যে ভারতে বোরা কমিউনিটিতে FGM একটা pervasive practice। অথচ এই ব্যাপারে আপনি খুব সুচারুভাবে  নিশ্চুপ থেকে এমন একটা ভাব করলেন যেন  FGM মুসলিম সমাজের একটা  widely practiced প্রথা। এই  ambiguity বা obscurity এর আশ্রয় নেওয়া কেন? বললেই মিটে যেত যে আপনার জানা FGM সংক্রান্ত ঘটনাটি  বা ঘটনাগুলো বোরা কমিউনিটির। সেক্ষেত্রে আমারও টাইপ করার পরিশ্রম ও সময় বাঁচত। অবশ্য লোকজনের সাথে অনলাইন ঝগড়া-ঝামেলা করা যদি আপনার হবি হয় তাহলে আলাদা কথা।
     
    আপনি বলছেন “যেইটা পাচ্ছেন না তা হলো, জায়গার নাম। স্পষ্ট জানাই, আমি বলব না। কারন আমার ব্যক্তিগত অসুবিধা আছে। এইটাও ক্লু দিয়েছি, কিন্তু নিজেকে ঠিক প্রমাণ করার জেদে, পারেননি।“ 

    জায়গার নাম আমি জানতে চাই না, আপনি কিভাবে জেনেছেন সেটাও জানতে আগ্রহী নই। আপনি বলে দিয়েছেন ওটা বা ঐগুলো বোরা কমিউনিটির ঘটনা, এটাই যথেষ্ট।
     
    আপনি লিখছেন  “কিন্তু আমার এখন‌ও ভীমরতি ধরেনি, ঘরে বসে তথ্য সংগ্রহের জীবন‌ও নয়। আমার জানাটা এইপথে বদলাবে না।“ 

    আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র আগ্রহী নই। ভাল থাকবেন।
     
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন