এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • সাতাশ সেকেন্ড, মৃত্যুর মুখোমুখি

    সোমনাথ গুহ
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ১২ মে ২০২৪ | ১২৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)

  • লেখক সলমান রুশদি নিজেই এক চলমান থ্রিলার; বিতর্ক, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ তাঁর সাহিত্যের সাথে হাত ধরাধরি করে চলে। ভারতীয় ইংরাজি সাহিত্যে তাঁর আত্মপ্রকাশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ১৯৮১তে প্রকাশিত তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস বুকার তো পেয়েছিলই, এছাড়াও ১৯৯৩ এবং ২০০৮ সালে যথাক্রমে বুকার পুরস্কারের ২৫তম এবং ৪০তম বার্ষিকি উপলক্ষে দুবার ‘বুকার অফ বুকারস’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিল। জাদু বাস্তবতার ধারায় লেখায় এই বইয়ে বর্ণীত উপমহাদেশের ইতিহাস পাশ্চাত্যে প্রবল ভাবে জনপ্রিয় হলেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে একটি ‘কটূক্তির’ কারণে ভারতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল।

    তাঁর পঞ্চম উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হওয়ার পর তো লঙ্কাকাণ্ড বেধে গেল। ১৯৮৯ এর ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খোমেনি ওই বইয়ে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করার কারণে লেখকের মৃত্যু কামনা করে ফতোয়া জারি করেন। লেখক আত্মগোপন করেন, ভারত সহ নানা দেশ বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১২ই অগস্ট, ২০২২, এক আততায়ীর আক্রমণ থেকে প্রায় অলৌকিক ভাবে রক্ষা পেয়ে ওই অভিজ্ঞতার ওপর লিখিত তাঁর সাম্প্রকিতম ‘নাইফঃ মেডিটেশন্স আফটার অ্যান অ্যাটেমটেড মার্ডার’ বইয়ে লেখক তাঁর ফতোয়ার দিনগুলিতে বারবার ফিরে গেছেন। ঘটনার প্রায় আট মাস বাদে লন্ডনে পোঁছে রুশদি চৌত্রিশ বছর আগের দিনগুলো স্মরণ করছেন যখন কিছু এয়ারলাইন্স তাঁকে বহন করতে ভীত ছিল, অজ্ঞাত কারণে তাঁর হোটেল বুকিং বাতিল হয়ে যেত, প্রকাশ্য জায়গায় যাওয়া বারণ ছিল, একান্ত পারিবারিক মিলনের সময়েও পুলিশের চর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলত, যখন তাঁকে সর্বত্র ‘অদৃশ্য’ থাকতে বলা হতো।

    কিন্তু এই সাড়ে তিন দশকে বিশ্ব তো পালটে গেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ানের পতন ঘটেছে, ৯/১১ ঘটে গেছে, আল-কায়দা, আইসিসের উত্থান পতন হয়েছে, প্রযুক্তির অভাবনীয় উল্লম্ফন ঘটেছে, সর্বোপরি লেখকের আরও প্রায় পঁচিশটি গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশিত হয়েছে; মানুষ রুশদিকে ‘দ্য মুরস লাস্ট সাই’ বা তাঁর আত্মজীবনী ‘জোসেফ অ্যান্টন’-এর লেখক হিসাবে চেনেন, ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ তাঁরা প্রায় ভুলে গেছেন। এখন লন্ডনে গেলে তিনি যে কোন জায়গায় যেতে পারেন, পুলিশ আড়ালে আবডালে নজর রাখেন; কোন বন্ধু, আত্মীয়র বাড়ি গেলে তাঁরা ঘরে ঢুকে পাশে বসেন না, বাইরে অপেক্ষা করেন। তাহলে এখন কেন? নিউইয়র্কের শতকোয়ার অ্যাম্ফিথিয়েটারে তিনি যখন দেখলেন এক যুবক তাঁর দিকে দৌড়ে আসছে তখন ওই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রথম তাঁর মনে হলঃ তাহলে এটাই তুমি, এসে গেছ! দ্বিতীয় চিন্তা যা তাঁর মস্তিষ্কে ঝিলিক মারলঃ এতদিন বাদে? কতো দিন হয়ে গেল, এখন কেন, এতো বছর বাদে কেন? পৃথিবী তো অনেক এগিয়ে গেছে? ওই অধ্যায়টা তো সমাপ্ত, চ্যাপ্টার ক্লোজড!

    লেখকের ওপর আক্রমণটা এরজন্যই এতো বিস্ময়কর। তাঁকে এতটাই বিপদমুক্ত মনে করা হতো যে শতকোয়ায় কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থাই ছিল না। পরে তিনি যখন লন্ডনে যান সিকিউরিটি অফিসার তাঁকে বলেন, ইংল্যান্ডে অন্তত আপনার কোন বিপদ আছে বলে আমাদের জানা নেই, কিন্তু কোথায় কোন উন্মাদ অপেক্ষা করে আছে কে জানে! হাদি মাতার সেই নিঃসঙ্গ নেকড়ে, লোন উলফ, যিনি লেখককে ভণ্ড মনে করতেন, যে ওই উপন্যাসের মাত্র দুটি পাতা পড়েছেন, ইউটিউবে ধর্মগুরুদের বাণী শুনে উদ্দীপ্ত হয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে তিনি লেখকের প্রতি রাগ পুষে রেখেছেন, নিজেকে তৈরি করেছেন কিন্তু হায়, তবুও তিনি পেশাদার খুনি হতে পারেননি। অন্তত পনেরো বার তিনি তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন, চোখে, মুখে, বুকে, পেটে, হাতে, ঘাড়ে, তাঁর এক চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন, তবুও তিনি তাঁকে হত্যা করতে পারেননি। পুত্র মিলন লেখককে জানান কতো ঘটনা আছে যেখানে ছুরির একটি মাত্র আঘাতে মৃত্যু ঘটে, আর তোমার ক্ষেত্রে... এই লেখায় ওপরে অলৌকিক শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু লেখক তো অলৌকিক, নিয়তি এসবে বিশ্বাস করেন না, তিনি নিখাদ নাস্তিক। ডাক্তার তাঁকে বলেন, জানেন আপনি কতো ভাগ্যবান? আপনার কপাল ভালো ওই ছেলেটা একটা মানুষকে কীভাবে ছুরি দিয়ে খুন করতে হয় জানে না। কিন্তু রুশদি তো ভাগ্যে-টাগ্যে বিশ্বাস করেন না, গুলি মারো ভাগ্য! তিনি আততায়ীকে করুণা করেন, যে এতটাই অপদার্থ যে পঁচাত্তর বছর বয়সের এক বৃদ্ধকে বারবার আঘাত করেও হত্যা করতে ব্যর্থ হয়।

    ছুরি যেমন হিংসার প্রতীক, ভাষাকে ছুরির মতো ব্যবহার করে সেই হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, তাকে প্রতিরোধ করা যায়। এই বিষয়ে লেখক মিশরের দিকপাল সাহিত্যিক নাগিব মাহফুজকে স্মরণ করেন। তিরিশ বছর আগে নোবেলজয়ী লেখক যখন হেঁটে কফির দোকানে যাচ্ছিলেন একটি গাড়ি তাঁর পাশে গড়িয়ে আসে। লেখক ভেবেছিলেন বোধহয় তাঁর কোন গুণগ্রাহী, কিন্তু এক ব্যক্তি লাফিয়ে নেমে তাঁর ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করেন। কিছু দিন পূর্বে তাঁর একটি বই নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছিল এবং তাঁর নাম ‘হিট লিস্টে’ উঠে গিয়েছিল। তিনি দেহরক্ষী রাখতে অস্বীকার করেছিলেন, বলেছিলেন, কী আসে যায় ওরা যদি আমাকে পেয়ে যায়? আমি আমার জীবন অতিবাহিত করেছি এবং আমার যা মনে হয়েছে তা করেছি। রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির পর একশো জন মুসলিম লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে তিনি তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি যা বলেছিলেন তা চিরস্মরণীয়, একটা চিন্তাকে শুধুমাত্র অন্য চিন্তা দিয়ে বিরোধিতা করা যায়। যদি কাউকে শাস্তি দেওয়াও হয়, চিন্তাটা থেকেই যাবে, বইটাও থেকে যাবে।

    ২০২১ এর মে মাসে রুশদি আমেরিকান সাহিত্যিক এলিজা গ্রিফিথকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর জীবন স্বস্তি, শান্তি, ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। উক্ত ঘটনার মাত্র তিন মাস আগে তিনি পেন, আমেরিকার একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন, যেখানে বিষয় ছিল বর্তমান বিশ্বের সংকট। তিনি বলেনঃ রাশিয়ায় এক স্বৈরাচারীর উত্থানের কারণে ইউক্রেন আজ নির্মম অত্যাচারের সম্মুখীন। আমেরিকা মধ্য যুগে ফিরে যাচ্ছে যেখানে শ্বেতাঙ্গরা শুধুমাত্র কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর খবরদারি করছে না, নারীর শরীরের ওপরেও প্রভুত্ব করার চেষ্টা করছে। ভারতে ধর্মীয় সংকীর্ণতাবাদ ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদ মাথাচাড়া দিয়েছে এবং হিংসা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, গণতন্ত্রের বিনাশ ঘটছে। ইতিহাসের মিথ্যাচার হচ্ছে যা সংখ্যাগরিষ্ঠদের সুবিধা প্রদান করে, সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন করছে; এবং এটা জানা দরকার এই যে মিথ্যা আখ্যানের ঢক্কানিনাদ শোনা যাচ্ছে তা জনপ্রিয়, মানুষ বিশ্বাস করছে, ঠিক যে ভাবে রাশিয়ার স্বৈরাচারীর মিথ্যাও সবাই বিশ্বাস করছে। এটাই আজকের বিশ্বের কুৎসিত বাস্তবতা।

    লেখকের ওপর আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা পরেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন, ফ্রান্সের মাকোঁ এমনকি ইংল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, যিনি মনে করেন রুশদি যথেষ্ট উচ্চমানের লেখক নন, তাঁরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দেন। কিন্তু তাঁর চৈতন্যে তাঁর বহু লেখার কেন্দ্রে যে দেশ ভারত তা এখনো সদা জাগ্রত। সেই দেশের প্রতিক্রিয়া তাঁকে মর্মাহত করে। তিনি লিখছেন, ভারত আমার জন্মস্থান, আমার প্রেরণা ওই দিন কোন কথা খুঁজে পায়নি। (২৫শে অগস্ট, ঘটনার প্রায় দু সপ্তাহ বাদে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওই ঘটনার নিন্দা করেন।) রুশদি লিখছেন উলটে অনেকে উল্লাস প্রকাশ করেন; মানুষ তো ঘৃণা করবেই যদি চৌত্রিশ বছর ধরে তাঁকে ঘৃণার প্রতিমূর্তি করে গড়ে তোলা হয়।

    ঘৃণা, হিংসার এই বাতাবরণে একজন লেখক কী করবেন? রুশদি মিথিক্যাল গ্রিক পয়গম্বর, সংগীতকার অরফিউয়াসকে স্মরণ করছেন। তাঁর মাথা ছিন্ন করে যখন তাঁকে হেব্রাস নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখনও অরফিউয়াস গান থামাননি, তাঁর সংগীত দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই ভয়াবহতার আবহে আমাদেরও আজ গান গেয়ে যেতে হবে, জোয়ারের দিক পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।




    KNIFE: MEDITATIONS AFTER AN ATTEMPTED MURDER
    SALMAN RUSHDIE
    PENGUIN RANDOM HOUSE, INDIA


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১২ মে ২০২৪ | ১২৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১২ মে ২০২৪ ১৮:৫৩531638
  • "একটা চিন্তাকে শুধুমাত্র অন্য চিন্তা দিয়ে বিরোধিতা করা যায়। যদি কাউকে শাস্তি দেওয়াও হয়, চিন্তাটা থেকেই যাবে, বইটাও থেকে যাবে।" - অরফিউয়াসের গান ছড়িয়ে যেতেই থাকে।
  • Ranjan Roy | ১৪ মে ২০২৪ ১০:৪৩531719
  • হোক 'অরফিয়ুসের  গান, ধ্বনিত হোক আমার দেশের প্রান্তরে, বন্দরে এবং কন্দরে!
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৬ মে ২০২৪ ১৭:১১531816
  • এমন এক ধর্ম যা মানুষের মতামত অন্য কিছু হলে তাদের গলা নামিয়ে দেবার চেষ্টা করে। পরাধীন ভারতে টেক্সট বুকে নবীর ছবি প্রকাশ করতে অপরাধে প্রকাশক খুন হন। সেই খুনির সমর্থনে কয়েক লাখ মানুষ মিছিল করে। তাকে ফাঁসি দেবার পর শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়।
    ডিটেলস 
    available at

    http://hdl.handle.net/10871/14871

    cOPYRIGHT AND REUSE

    Open Research Exeter makes this work available in accordance with publisher policies.

    A NOTE ON VERSIONS

    Images of Islam: A Murder in Colonial

    Calcutta

    NANDINI CHATTERJEE
    Department of History, University of Exeter

    On the morning of 7 May 1931, College Street in northern Calcutta must have been already
    quite hot and busy. This favourite haunt of indigent students and intrepid scholars alike
    offers, then as now, a virtual warren of bookshops, small and large, with endless treasures
    for those willing to look - from cheap examination guides to rare out-of-print treatises on
    all sorts of subjects. In one such bookshop situated at a prime location off College Square,
    the middle-aged proprietor, a man called Bholanath Sen, was browsing the catalogue,
    while his employees were busy writing out cheques and dealing with mufassil ['provincial']
    correspondence - presumably with small-town retailers whom the store supplied. The
    day's business had yet to pick up.

    Into this still languorous bookshop twwo men suddenly burst in, with cries of "Allahu
    Akbar!" ['God is Great']. One man stabbed Bholanath Sen in his chest. As his employees
    began screaming, the other intruder attacked the two employees called Hari Das and Satish,
    who had been writing letters and cheques, respectively. Utter chaos broke loose as the rest
    of the men in the shop screamed, ran, tripped, tried throwing books at the attackers and
    pouring water over the victims, while the attackers ran out of the shop. Chased by a typical
    Calcutta crowd of public-minded pursuers, and a constable on his beat who had been alerted,
    the two intruders ran northwards along Shyama Charan De Street and inside the College
    Street Market. One of the men emerged in a few minutes and threw out a challenge "Koi
    hai pakarne-wala, ao!" ['Come, let's see who can get me'| And then he threw his knife away,
    at which the constable, who had been joined by an Assistant Sub Inspector, stepped up and
    arrested him.!

    Within an hour, the stabbed men had been taken to hospital, another suspect had been
    arrested, and the colonial machinery of law-keeping and enforcement had started to roll, in an
    attempt to restore order and meaning, which had been so rudely interrupted by two strange
    intruders, who had brought blood, gore and religion into the cultivated and rational world
    of books, catalogues and commerce. Although there were many eye-witnesses to the attack,
    it was necessary to establish the motives of the attackers in order to establish criminal intent.
    Thus, following the standard procedure of criminal investigations, various professionals
    (police, magistrates, lawyers, judges) and participants of the legal system (witnesses, accused,

    1 'Depositions as recorded by the Committing Magistrate', The Emperor of India v Abdulla Khan and anr, Legal
    Adviser's papers (uncatalogued), temporary reference IOR/L/L (B41), 2 folders, India Office Records, British
    Library (henceforth The Emperor of Indiav Abdulla Khan and anr, LA Papers').
  • Somenath Guha | ১৭ মে ২০২৪ ০০:৫০531838
  • যে কোনো ধর্মে কিছু মানুষ থাকেন উন্মাদ, ধর্মান্ধ। তার জন্য পুরো ধর্মটাকে বা সেই সম্প্রদায়কে দায়ী করা উচিত না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c5cb:a310:651:***:*** | ১৭ মে ২০২৪ ০৪:৪১531839
  • "যে কোনো ধর্মে কিছু মানুষ থাকেন উন্মাদ, ধর্মান্ধ"
     
    ঠিক। এম এফ হুসেনকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করেছিল কিছু হিন্দু ধর্মের লোক। কালবুর্গি, গৌরী লং্কেশ, দাভোলকার ইত্যাদিদের মেরে ফেলেছিল কয়েকজন হিন্দুত্ববাদী। 
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৭ মে ২০২৪ ০৬:২৪531840
  • হিন্দুত্ববাদীদের উত্থান সেদিনের ঘটনা। বামপন্থীদের তোয়াজ নীতি স্বাধীন ভারতে এদের আসার পথ করে দিয়েছে। এই বঙ্গে এত বাম সব রাম হয়ে গেল কি করে?
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c5cb:a310:651:***:*** | ১৭ মে ২০২৪ ০৭:০৬531841
  • আরেসেস কিছু করেনি? 
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৭ মে ২০২৪ ১১:০৫531848
  • দেশ ভাগের সময় ওরা যদি শক্তিশালী হত ওরা মোদির মত কাউকে দিয়ে পশ্চিম বাংলায় গণ হত্যা চালাত।
  • sch | 45.64.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৫:১০534426
  • এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সম্পূর্ণ ভাবে গুজরাট মডেলে ethnic cleansng হবে। রাজারহাট খিদিরপুরে দাঙ্গা লাগানো খুব সহজ - তার পর সেই দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়া হবে মূর্শিদাবাদ অঞ্চলে। বর্তমান শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীর যে মানসিকতা সোস্যাল মিডিয়াতে দেখতে পাই তাতে তারা মাথায় LED TV, হাতে ম্যাকবুক এসব লুঠের মাল  নিয়ে ভালোই ফায়দা লুঠবে। কৌশিক সেন পরমব্রত টাইপের লোকজন খালাসও হয়ে যেতে পারে -  কারণ রুদ্দরনীল হিরণদের হিসেব মেটানোর আছে। 
    এবার অপেক্ষা  হোক কবে হয় সেই গণহত্যা। তার পর শুভেন্দু গাঁদমারি বিধান রায় হবেন - নতুন বাংলার রূপকার
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন