এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • জালিয়াঁওয়ালা বাগের জার্ণাল

    প্রতিভা সরকার
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮৯৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • বইটির কথকতা শুরু হয়েছে ৯৩ বছরের ভি এন ডাটের স্মৃতিচারণা দিয়ে। হত্যাকাণ্ডের ৭ বছর বাদে জন্মানো মানুষটি কান্নায় ভেঙে পড়েন সেদিনের কথা বলতে গিয়ে, আর কথক বলেন, সে জায়গাটা 'বাগানে পরিণত হওয়া তখন ছিল কল্পনারও অতীত!' হঠাৎ সেদিনের অসহনীয় শোক তার সমস্ত তীব্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক অর্বাচীন পাঠকের ওপর, কারণ সদ্যই সে ফিরেছে ঐ তীর্থ পরিক্রমা করে। শব্দের কী বিচিত্র শক্তি! কত স্বল্প আয়াসেই সে মিলিয়ে দিতে পারে চোখে দেখা, কানে শোনা আর পাঠসঞ্জাত উপলব্ধিকে।

    যা ছিল হাহাকার থেকে উদ্ভূত এক বিরাট অনুভূতি-স্থল, দেশপ্রেমের চরম নিশান, তা হয়ে গেল 'বাগান', প্রমোদ-উদ্যান না হলেও ভ্রমণবিলাসীর রম্য কানন! তবে কি পাঞ্জাবেরই একার দায় ইতিহাসের এই রক্ত দিয়ে লেখা অধ্যায়কে অটুট রাখবার? দিল্লি- হরিয়ানা সীমান্তে কিষাণ কিষাণীরা উধম সিং-এর ছবি-আঁকা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আন্দোলন করেন আর আমরা দলে দলে ছুটি ওয়াগা বর্ডারে, যেখানে দু দেশের ইউনিফর্ম পরা সৈনিকের দল ঝুঁটিওয়ালা মোরগের মতো বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে রোজ অবনমিত করে যার যার দেশের পতাকা। প্রবল করতালি, হাজার মোবাইলের ঝলকে শেষ হয় সেই বিচিত্র নাচনকোঁদন, নকল দেশপ্রেমের উচ্ছাসে আকাশ বাতাস ভরে ওঠে। অথচ জালিয়ানওয়ালাবাগ আমাদের ভ্রমণ সূচিতে কদাচিৎ থাকে, ঘরের শিশুটিকে কখনও বলি না উধম সিং, ভগত সিং-এর কাহিনি! এই সত্যিকারের শহিদ-এ-আজমদের ভুলে গিয়ে নির্মাণ হতে থাকে নতুন শহিদ, ব্রিটিশের কাছে লেখা মুচলেকাকে কার্পেটের নীচে ঠেলে দিয়ে শহিদত্ব আরোপকে নতমস্তকে মেনে নিই।

    এইখানে, এই পরিস্থিতিতে আলোচ্য বইটির গুরুত্ব অসীম। খুবই সুলিখিত, অজস্র সাদা কালো ছবিতে সাজানো বইটি হাত ধরে আমাদের নিয়ে যায় সঠিক ইতিহাসের কাছে, সেই অর্থে সত্যেরও কাছাকাছি।
    একথা কি ঠিক স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ ছিল সকলের, কিন্তু সামনের সারিতে ছিল পাঞ্জাব আর বাংলা? প্রবাসী থেকে লেখক-উদ্ধৃত অংশ আমাদের পরিষ্কার জানায় রাওলাট এক্ট পরবর্তী পাঞ্জাব যেন ঠিক এখনকার কাশ্মীর! সেখানে কেউ যেতে আসতে পারছে না, সামরিক আইনে যাদের বিচার হচ্ছে তাদের আইনি সহায়তা দেবার কেউ নেই। এমনকি বাংলা চিঠি খুলে পড়ার জন্য বাংলা থেকে অনেক বাঙালি ক্লার্ক অবদি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একটা সময় ছিল যখন গোটা দেশে ১৩ই এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ দিবস পালিত হত। অনেকে উপবাসে থাকতেন, অরন্ধন রাখতেন। আর আজ? ইতিহাসে বইয়ের পাতায় চার লাইন। তাও আছে কিনা আমি সঠিক জানি না।

    জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডে শুধু নাইটহুড ত্যাগ করেই রবীন্দ্রনাথের কাজ শেষ হয়নি, তার প্রমাণ এই বইয়ে পরিশিষ্টতে গ্রন্থিত দুটি চিঠি। চিঠিদুটির প্রেরক এন্ড্রুজ, প্রাপক রবীন্দ্রনাথ। চিঠি দুটি সাক্ষ্য দিচ্ছে, কোনো তদন্ত কমিশন বসবার আগেই কবির নির্দেশে এন্ড্রুজ পৌঁছে গিয়েছিলেন পাঞ্জাবে, গ্রামে গ্রামে ঘুরে অসংখ্য লোকের সঙ্গে কথা বলে, সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে, বোঝার চেষ্টা করেছিলেন জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার এবং তার পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের ওপর শাসকের নামিয়ে আনা চূড়ান্ত অবদমনের স্বরূপকে। গ্রামের পর গ্রাম সফর করেছেন এন্ড্রুজ এবং স্বচক্ষে দেখেছেন কিভাবে মানুষ সন্ত্রাসের বলি হচ্ছে। গোটা গ্রামে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ চলছে, পুরুষদের বলপূর্বক নাঙ্গা করে দিয়ে দুপুরের খরতাপে ঘন্টার পর ঘন্টা মাটিতে উপুড় করে শুইয়ে রাখা হচ্ছে। মেয়েদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ঘর গেরস্থালী তছনছ করে দেওয়া, অসংখ্য মানুষকে কারারুদ্ধ করা এসবই ঘটে যাচ্ছিল গ্রামীণ পাঞ্জাবে। দলে দলে মানুষ আসছিল এন্ড্রুজ সাহেবকে তাদের দুর্দশার কথা জানাতে। তারা দু হাত তুলে আশির্বাদ জানাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথকে, যিনি খেতাব ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাষায় লাগাতার প্রতিবাদ করে যাচ্ছিলেন এই পরিকল্পিত গণহত্যার বিরুদ্ধে। ভাইসরয়কে লেখা চিঠির ছত্রে ছত্রে ফেটে পড়ছিল সেই প্রতিবাদ। রবীন্দ্রনাথের এই ভুমিকা খুব বেশি মানুষ জানেন না, আমাদের দৌড় ঐ নাইটহুড ত্যাগ অবদিই। তাই ভবিষ্যতের গবেষকদের কাছে এ চিঠিদুটি অমূল্য। এদের সংগ্রহ করা, অনুবাদ করিয়ে সংকলিত করা গবেষক- লেখকের মূল্যবান কৃতিত্ব।

    একটা তফাত কিন্তু চোখে পড়ে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সেদিন সারা দেশ গর্জে উঠেছিল। রবীন্দ্রনাথের খেতাব ত্যাগ ও লাগাতার প্রতিবাদ ইতিহাসের অঙ্গ। কিন্তু আজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে এইরকম সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিবাদ চোখে পড়ে কই? তার কারণ কি কেবলই রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের জাল বহুগুণ শক্ত হওয়া? আমাদেরও কি তাতে কোনও দায় নেই? আত্ম-পর্যালোচনায় উৎসাহ হারান জাতিই তো শেষ অব্দি আত্মবিস্মৃত হয়ে পড়ে। এই বিশাল দেশে বর্তমান অবস্থা দেখে মনে সেই অধোগতির দিকেই আমাদের অনিবার্য যাত্রা!

    লড়াই সংগ্রামে মেয়েদের ভূমিকা আলাদা করে উল্লেখ করবার রেওয়াজ ছিল না বহুদিন। এখন হয়েছে, লেখক এই বইতে তার পূর্ণ সদব্যবহার করেছেন। মাতা আত্তর কৌর, রত্তন দেবী, পূরণ দেবীদের কথা তিনি বলেন গভীর মমতার সঙ্গে। প্রথম জন ইংরেজ সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা তিন তিন বার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অথচ স্বামীকে হারিয়েছেন বাগের সেই কুখ্যাত দিনে, ঘরে তিন শিশু সন্তান। রত্তনের সম্বন্ধে জনশ্রুতি তিনি সারা রাত লাঠি হাতে স্বামীর মৃতদেহকে কুকুরের দাঁত থেকে রক্ষা করেছিলেন। শেষের জনের আত্মত্যাগ বড়ই করুণ, একটু উদ্ধৃত করি তাঁর কথা, " স্বামী যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স ১৯। গর্ভে একমাত্র সন্তান। সুনীল বলছিলেন, পরে যাতে কলঙ্ক না রটে, তাই তার প্রপিতামহের দেহ সৎকার হওয়ার পূর্ব মূহুর্তে সমবেত জনতাকে পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে ঘরের বৌটির গর্ভে লালিত হচ্ছে 'শহিদ' স্বামীর সন্তান! মেয়েটির শোক-নিভৃতি এখানে ধর্তব্যের মধ্যেই নয়! "(পৃষ্ঠা ৪৭)

    ৭৫ বছরের বৃদ্ধা এই নীরক্ত স্বাধীনতা শুধু চেয়ে দেখছে ফাদার স্ট্যান স্বামীর হত্যা, সাইবাবার হেনস্থা। শত সহস্র সাধারণ মানুষের হেনস্তা আর খিদেয় কুঁকড়ে মরা। অতিমারির সময়কার চরম দুর্দশা। সবই সে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে, কারণ বাজারে চলে এসেছে দুটি ক্ষমতাবান শব্দ, উন্নয়ন আর পরিবর্তন। আজ ম্যুরাল বাহারি বাগান ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে " ভ্যানিশ" করে দেওয়া হল বাইরে বেরোবার পথ রুদ্ধ করে রাখা সেই অন্ধগলির ভয়াবহতা আর আতঙ্ক। আজকের জালিয়ানওয়ালাবাগে ট্যুরিস্টের দিল খুশ। পয়সা ভি উসুল। অনুভবের কোনো দায় তার নেই। তার সহায়ক পরিবেশও নেই। লেখক উদবেগ প্রকাশ করেছেন যে শোনা যাচ্ছে এই সৌন্দর্যায়নের পরের বলি সবরমতী আশ্রম। কিন্তু ইতোমধ্যে আর একটি বলি চড়েছে, সেটি হচ্ছে দিল্লির লাল কেল্লা। বিশাল বিশাল চারতলা প্রাসাদ হেরিটেজ স্থলে কী ভাবে নির্মিত হল জানি না। টয়লেট, খাবার দোকান, কফির স্টল, ২৪ ঘন্টার লাইট এন্ড মিউজিক, কী নেই সেখানে! এমনই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা, মনে হয় প্রাচীন সৌধ তার সমস্ত সৌন্দর্য আর ইতিহাস হারিয়ে পরিণত হয়েছে এক হট্টমেলায়।

    তাই প্রায়ই বেরিয়ে পড়ি। ঘুরে বেড়াই এই দেশের কোণায় কোণায়। সব ধ্বংস হয়ে যাবার আগে চোখ ভরে উঠুক। এই বইটি পড়ে আবার যাব জালিয়ানওয়ালাবাগে। দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে যে ইতিহাস তাকে সযত্নে ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে এই বইটির পাতায় পাতায়। সেই অর্থে এটি একটি অমূল্য দলিল। অনেক আদরে একে বার বার পড়ে চলেছি। আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি লেখক প্রকাশক এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে।





    শর্মিষ্ঠা দত্তগুপ্ত
    দে'জ পাবলিশিং
    মুদ্রিত মূল্য ৩৯৯ টাকা


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শক্তি দত্ত রায় | ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:২৭514409
  • প্রতিভার লেখা বিষয়ের গুরুত্বে এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র হবেই, পড়তে হবে। 
  • Suman Chakraborty | ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৪২514410
  • আমরা হতবাক হয়ে গেছিলাম পরিবর্তনের পর জলিয়ানওয়ালাবাগের পবিত্র ভূমির এই পরিণতি কাগজে দেখে। ইতিহাস কে ভুলিয়ে দেওয়ার আশ্চর্য প্রতিভা এই সরকারের।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:266:2393:ce75:***:*** | ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৫৯514412
  • খবরে পড়েছিলাম সাদা প্রভুদের মনে আঘাত লাগবে বলে সর্দার উধম মুভিটা অস্কারের জন্য পাঠানো হয়নি।
  • শিবাংশু | ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:১৭514421
  • @প্রতিভা, 
    কয়েকদিন আগেই এই মুহূর্তের 'জালিয়াঁওয়ালাবাগ' দেখে এলুম। বছর তিরিশ আগেও একবার দেখেছিলুম। বিষয়টি নিয়ে কিছু লেখার প্ররোচনা বোধ করতে করতে এই লেখা চোখে পড়লো। 

    রবীন্দ্রনাথ ও জালিয়াঁওয়ালাবাগ নিয়ে আমার নিবন্ধটি হয়তো দেখেছেন। সেকালের কংগ্রেস নেতৃত্ব, গান্ধিজিসহ, কীভাবে এই উপলক্ষে তাঁদের 'মাটির পা' প্রদর্শন করেছিলেন, তার ইতিবৃত্ত সামান্য আছে সেখানে। 

    জালিয়াঁওয়ালাবাগ আমাদের জন্য ক্র্যাকাউয়ের আউসভিৎস, হিরোশিমার গেনবাকু বুরুজ। বিন্দুমাত্র ইতিহাসজ্ঞানহীন বর্বররা তাকে কীভাবে একটি বনভোজন উদ্যানে পরিণত করেছে দেখলে অতি বড়ো মূর্খেরও কষ্ট হবে। 
  • | ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০১514427
  • ভাল আলোচনা। বইটা কিনবো। 
     
    @অ্যাডমিন্প্যানেল, 
    লেখার শেষে বইয়ের নামটা যোগ করে দেওয়া যাবে? ছবি জুম করে নামটা দেখতে একটু অসুবিধে হচ্ছে। 
  • S | 185.246.***.*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০৬514428
  • আমি জায়্গাটা দেখেছিলাম ২০১১তে। তখনও তো জায়্গাটার গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে। অ্যাট্রোসিটি যে কি ভয়ানক্ভাবে হয়েছিলো, বেশ ভালই দেখা যাচ্ছে। ভারতের আসল ইতিহাস ওদের ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে। তাই ইতিহাসটাই পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর ওখানে অত ক্যাফের কি দরকার। বাইরেই তো একগাদা খাওয়ারের দোকান, রেস্তোরা সব আছে।
  • | ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:১৯514429
  • আমি ২০০৬ এ। খুবই চাপের। তারপরে এই অশ্লীল ঝকমকেটার ভিডিও দেখতে গিয়ে পুরোটা আর দেখতে পারলাম না। এত জঘন্য করেছে। 
  • একরামূল হক শেখ | 43.23.***.*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৫১514430
  • দারুণ ভালো আলোচনা। বইটি সংগ্রহের আগ্রহ সৃষ্টি হল।    
  • guru | 103.2.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:২২514620
  • আমার মনে হয় পাঞ্জাবীদের কাছে এখনো জালিয়ানওয়ালাবাগ খুবই প্রাসঙ্গিক |
     
    এর সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ হলো যে গত ২৫ মে তে লাহোর ও পাঞ্জাবের বড়ো শহর গুলি তে রাজনৈতিক আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ প্রবল লাঠি চার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করার পরে রাজনৈতিক নেতারা একযোগে বলেন এযেন পাঞ্জাবে আরেকটা জালিয়ানওয়ালাবাগ ফিরে এলো |
     
    কাজেই পাঞ্জাবীদের কাছে এখনো জালিয়ানওয়ালাবাগ খুবই প্রাসঙ্গিক |
     
    অ - পাঞ্জাবীরা জালিয়ানওয়ালাবাগ মনে রাখলো কিনা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই আমি মনে করি |
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:২১514673
  • ইন্টারেস্টিং লাগল।  একটা জিনিস জানতে চাই, আলোচ্য বইটি কী পপুলার ইতিহাসের বই নাকি কোন গবেষণা গ্রন্থ ? কোন genre -এর বুঝতে চাইছি। এই সমসাময়িক লোকদের সাক্ষাৎকার কি এই বইএর জন্য নেওয়া নাকি অন্য সোর্স  থেকে সংগৃহীত? আর এন্ড্রুজের চিঠিগুলির সোর্স কী সেটা একটু জানা যাবে?  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন