এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • কোল্যাটারাল ড্যামেজ - করোনা কে সাইড-এফেক্টস

    Bishan Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৮ এপ্রিল ২০২০ | ৪৬৯২ বার পঠিত
  • কোল্যাটারাল ড্যামেজ - করোনা কে সাইড-এফেক্টস

    বিষাণ বসু

    ডামাডোল আর হইচইয়ের বাজারে অনেকেরই নজর এড়িয়ে গিয়েছে - গত মাসের ছাব্বিশ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - সংক্ষেপে হু - তাঁদের ভ্যাক্সিন-বিষয়ক কমিটি - স্ট্র‍্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি কমিটি অফ এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন - সংক্ষেপে সেজ - তাঁরা জানালেন - এই মুহূর্তে প্রতিটি দেশের যাবতীয় ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম স্থগিত রাখা জরুরী। অর্থাৎ দেশজোড়া যে ভ্যাক্সিন প্রোগ্রাম, টীকাকরণ কর্মসূচী - আপাতত বন্ধ।

    গণ-টীকাকরণ কর্মসূচী চালু রাখতে গেলে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধরেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা - অতএব, আপাতত ওসব বন্ধ রাখাই ভালো - মতামত এমনই। করোনা না হয় থামানো গেল - কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের চোটে টীকা দিয়ে আটকানো যায়, সে অসুখগুলোর পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে??

    একটি একটি অসুখ ধরে বিশ্লেষণ করতে গেলে লেখা লম্বা হয়ে যাবে। একটি উদাহরণ নেওয়া যাক।

    হাম, বা মিজলস।

    শুনতে নিরীহ হলেও, আশির দশক নাগাদ এ অসুখে মারা যেতেন পঁচিশ-তিরিশ লাখ মানুষ - প্রতি বছর - বেশীর ভাগই শিশু - এবং তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই অপুষ্টিতে ভোগা। ভ্যাক্সিন আসার পর মৃত্যুহার অনেকখানিই কমে যায় - এবং সার্বিক টীকাকরণ কর্মসূচীর আওতায় হামের টীকাকে আনা গেলে - বিশ্বের পঁচাশি শতাংশ শিশুকেই টীকার আওতায় আনা সম্ভব হয় - বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যাকে পঁচিশ লক্ষ থেকে সত্তর হাজারের ঘরে নামিয়ে আনা গিয়েছিল।

    কিন্তু, যা হয় আর কি, মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলে টীকার ব্যাপারেও ঢিলেঢালা শুরু হয় - এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বয়ং জানাচ্ছেন, দুহাজার আঠারো সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মারা যান হাম বা তার থেকে উদ্ভূত বিবিধ জটিলতায়।

    হ্যাঁ, আপনারা যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন করোনার জন্যে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের - সেই ভ্যাক্সিন কবে আবিষ্কার হবে, তার কার্যকারিতা কেমন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী, দাম কী দাঁড়াবে, কজনের কাছে পৌঁছানো যাবে - সবই অজানা - যাকে বলা যায় এনিবডিজ গেস - সেই সময়েই একটি কার্যকরী ও প্রমাণিত ভ্যাক্সিন, যে ভ্যাক্সিন সার্বজনীন টীকাকরণ কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত, এত বছর ধরে তা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বে দেড় লাখ মানুষ মারা যান সেই রোগে এবং তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই শিশু।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্বিক টীকাকরণ বিষয়ে এহেন পরামর্শ পাওয়ামাত্র বিশ্বের চব্বিশটি দেশ টীকাকরণ কর্মসূচী স্থগিত করে দেয় - আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে দশ কোটিরও বেশী শিশু হামের টীকা থেকে বঞ্চিত হবে। পরিণাম অনুমান করতে জ্যোতিষী না হলেও চলে।

    হু এবং তাঁদের কমিটি অবশ্য জানিয়েছেন, টীকা না হলেও এরই মধ্যে টীকার গুরুত্ব বিষয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যেতে হবে, সব শিশুর টীকার যাবতীয় হিসেব রেখে চলতে হবে - এবং প্রথম সুযোগেই বকেয়া টীকা দিয়ে দিতে হবে। খুবই উচ্চস্তরের ভাবনা নিঃসন্দেহে - ধনী দেশে অধিকাংশ শিশু টীকা পায় হাসপাতাল বা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সরাসরি, টীকার হিসেব রাখেন সচেতন সম্পন্ন অভিভাবক (যেমনটি আপনি-আমি করি আর কি!!) - সেখানে হিসেব রাখতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু, গরীব দেশে? এসব দেশে সার্বজনীন টীকাকরণ কর্মসূচীর গুরুত্ব তো একারণেই বেশী - ঘটা করে পোলিও ডে-র প্রাসঙ্গিকতার একটা বড় কারণ এখানেই - যে, সময় গুণে হিসেব করে বাবা-মা সবসময় টীকা নেওয়াতে না-ও আসতে পারেন।

    দ্বিতীয়ত, এসব দেশে স্বাস্থ্যপরিকাঠামোর হাল এতখানিই নড়বড়ে, যে, কোন শিশু টীকা নিল এর মধ্যে আর কে নিল না, সে হিসেব রাখা শুধু মুশকিলই নয়, স্রেফ অসম্ভব।

    মাথায় রাখা যাক, কোভিড উনিশ সমাজ থেকে ভ্যানিশ করে যাওয়ার সম্ভাবনা এখুনি দেখা যাচ্ছে না - লকডাউন থাকুক বা না থাকুক, দূরত্ব বজায় রাখার নীতি জারি থাকবে আরো বেশ কয়েক মাস। গ্রামে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে সার্বিক টীকাকরণ করলে কোভিড উনিশ ছড়িয়ে যাওয়ার যে ঝুঁকি - অন্তত, যে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে টীকাকরণ কর্মসূচী স্থগিত রাখার পরামর্শ - সেই ঝুঁকি আচমকা উবে যাওয়ার সম্ভাবনা কোথায়??

    একথাও মনে করিয়ে দেওয়া যাক, পালস পোলিও কর্মসূচীর ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ - আগামী ছয় মাসের জন্যে যাবতীয় পোলিও রবিবার বন্ধ - বন্ধ বাড়ি বাড়ি গিয়ে আপনার শিশুটি পোলিও খেয়েছে তো, সে যাচাইয়ের প্রক্রিয়াও।

    বিশ্ব থেকে পোলিও ভ্যানিশ করে দেওয়ার একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিলাম আমরা - সে দাবী নিয়ে তর্ক চালানোই যায় - কিন্তু, কথাটা হল, এই পোলিও ভ্যানিশ সম্ভব হওয়ার কথা ছিল দুহাজার সালের মধ্যে - সে হয়ে ওঠে নি - এই দুহাজার কুড়ি সালে পোলিও কর্মসূচী বছরের আদ্ধেক ধরে বন্ধ রাখার পরিণাম কী হতে পারে??

    এ তো গেল শুধু টীকার ব্যাপার।

    পাশাপাশি মনে রাখা যাক, বিশ্ব জুড়ে পনের লক্ষ মানুষ মারা যান টিবি-তে - যক্ষ্মায় - প্রতি বছর। এর মধ্যে আড়াই লক্ষ মানুষ এইডস এবং টিবি - দুটিতেই আক্রান্ত। বিশ্বে টিবি রোগে মৃত্যুর হিসেবে আমরা এক নম্বর - অর্থাৎ, এদেশেই টিবি-তে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক।

    বছরভর টিবির ওষুধ খান যাঁরা, নিয়মিত ওষুধ পৌঁছানো যাচ্ছে তো তাঁদের কাছে? যদি তাঁরা ওষুধ না খান - তাহলে অসুখ বেড়ে যেতে পারে তো বটেই, সাধারণ টিবি জটিল ধরণের টিবি-তে পরিণত হয়ে যেতে পারে। এমনিতেই মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা এমডিআর টিবি, এমনকি এক্সটেন্ডেড স্পেক্ট্রাম ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা এক্সডিআর টিবি বেড়ে চলেছে চারপাশে - এই বাজারে সংখ্যাটা বেড়ে গেলে??

    অথবা যাঁরা এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত? যাঁরা বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধ সংগ্রহ করেন - তাঁরা সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র (অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি সেন্টার, সংক্ষেপে এআরটি সেন্টার) থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছেন তো নিয়মিত - লকডাউনের চোটে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে?

    এইডস-এর ওষুধ স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কিছু মুশকিল আছে। যে দেশে সন্দেহজনক রোগীর চিকিৎসা করার কারণে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়িছাড়া করা হয় - সে দেশে পাড়ার লোক এইডসের খবর পেলে আক্রান্ত মানুষটির হাল সহজেই অনুমেয়। তাহলে??

    আবার, বাইরে বেরোলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যাঁদের বেশী - এবং আক্রান্ত হলে বাড়াবাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা যাঁদের বেশী - তাঁদের মধ্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এইডস আক্রান্ত মানুষেরা অন্যতম। সেক্ষেত্রে??

    হ্যাঁ, এইচআইভি-এইডস প্রোগ্রামের সাথে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে ওষুধ বাড়ির কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা জারি রেখেছেন - এমনকি, রাস্তায় দেখা করে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ইনোভেটিভ বন্দোবস্তও করছেন - কারণে-অকারণে যতো খিস্তিই করুন, এসব ক্রাইসিসের মুহূর্তে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থাই একমাত্র ভরসা - কিন্তু, ঝুঁকি এড়ানো যাচ্ছে কি? সবার কাছে পৌঁছানোও কি সম্ভব?

    এ তো গেল তাঁদের কথা, যাঁরা সরকারি বিভিন্ন হেলথ প্রোগ্রামের মধ্যে থেকে চিকিৎসা পান। কিন্তু, বাকিরা?

    ধরুন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যাঁরা ক্যানসারের চিকিৎসা করাচ্ছেন? সরকারি হাসপাতালের কথা একারণেই বললাম, কেননা বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা ক্যানসারের চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁদের বড় অংশই অবস্থাপন্ন - ধনী না হলেও মধ্যবিত্ত নিঃসন্দেহে - তা নাহলে দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাঁদের হয় গাড়ি আছে - নাহলে নিজ উদ্যোগে গাড়ি জোগাড় করার উপায় আছে - গাড়িতে ক্যানসার-পেশেন্ট লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়া কঠিন নয় তেমন - আর জানেনই তো, ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা চলাকালীন বারবার হাসপাতালে যেতে হয় - রেডিওথেরাপি চললে রোজই প্রায় - কেমো চললে মাসে দুবার বা আরো বেশী।

    সরকারি হাসপাতালে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, ডেট দিয়ে রাখা সত্ত্বেও আসতে পারছেন এক-চতুর্থাংশ রোগী - অথচ এঁদের অনেকেরই ডেট নেওয়া ছিল প্রায় মাসখানেক আগে। যাঁরা আসতে পারছেন, সামান্য রক্তপরীক্ষাটুকু করাতেও বিস্তর হয়রানি হচ্ছে স্থানীয় অঞ্চলে - হাসপাতালে রক্ত দিয়ে গেলে রিপোর্ট নিয়ে দেখা করতে আরো একদিন আসতে হবে - লকডাউনের বাজারে সে এক বড় সমস্যা। রিপোর্ট না পেয়ে ক্লিনিকালি দেখার উপর ভরসা করে কেমোথেরাপি দিতেও দুশ্চিন্তা হচ্ছে - কেননা, শরীরে রক্ত কমে গেলে রক্ত জোগাড় করা দুঃসাধ্য। এই ছয় সপ্তাহে যাঁরা আসতে পারলেন না, বা চিকিৎসা নিতে পারলেন না - তাঁদের অসুখের পরিস্থিতি ঠিক কী দাঁড়াবে?

    আবার অনেকের ক্যানসার প্রথমে কেমোথেরাপি দিয়ে ছোট করে নিয়ে পরে অপারেশন করার কথা ভাবা হয় - পরিভাষায় যাকে বলে নিও-অ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপি। যাঁদের অসুখ ছোট করে আনা গিয়েছে - এইবার অপারেশন করলেই হয় - কিন্তু, অপারেশন করানো সম্ভব হচ্ছে না - কেননা এমার্জেন্সি অপারেশন বাদ দিয়ে ইলেক্টিভ সার্জারি আপাতত বন্ধ। সরকারি হাসপাতালে এমনিতেই রোগীর ভিড়, চিকিৎসক সীমিত - ডেট পেতে সমস্যা হয় - করোনার দিনগুলো কেটে গেলে এই এত সপ্তাহের বকেয়া অপারেশনের লাইন কত দাঁড়াবে? এই ক্যানসার রোগীদের অপারেশনের কী হবে শেষমেশ??

    এ তো গেল সামান্য দুতিনটে অসুখের কথা - টীকাকরণ কর্মসূচীর কথা। আরো হাজারো অসুখে ভুগছেন আরো কত মানুষ - যাঁদের নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হয় - নিয়মিত চিকিৎসা-তত্ত্বাবধানে থাকতে হয় - কোল্যাটারাল ড্যামেজের অংশ হিসেবে তাঁরাও আছেন।

    আর, দিল্লীর বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হওয়া শুকনো মুখ, বান্দ্রা রেলস্টেশনে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষের চটির স্তূপ, মাঠ-ঘাট পেরিয়ে কাঁধে শিশু নিয়ে হেঁটে চলা মানুষের সারি, গ্রামে ফিরেছেন এই অপরাধে সারি দিয়ে বসে যাঁদের গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিসইনফেক্ট্যান্ট….

    কোল্যাটারাল ড্যামেজ…

    আজ না হোক কাল, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটায় আমরা জিতব নিশ্চিত - কিন্তু, এঁরা??

    তথ্যসূত্র -

    https://science.sciencemag.org/content/368/6487/116.full

    https://www.nytimes.com/2020/04/13/health/coronavirus-measles-vaccines.html

    https://abcnews.go.com/International/wireStory/polio-immunization-suspended-amid-coronavirus-pandemic-69930797
    https://www.who.int/immunization/policy/sage/en/

    https://www.who.int/news-room/detail/05-12-2019-more-than-140-000-die-from-measles-as-cases-surge-worldwide

    https://www.who.int/news-room/fact-sheets/detail/tuberculosis

    (লেখাটি ডক্টর্স ডায়লগ ওয়েবজিনে প্রকাশিত)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৮ এপ্রিল ২০২০ | ৪৬৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 14.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৬:২০92457
  • যোগী জী শুনলাম 3 লক্ষ কিট আনিয়েছেন
    কেরালার পর এবার UP করোনা মুক্ত
  • র২হ | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪৭92459
  • এটা আমি নই, অন্য কেউ r2h নামে লিখেছেন।

  • | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৭:০১92461
  • না প্রথম কমেন্টটা, এটা হুতো নয়। চাড্ডি ট্রোল। জিনাতের ব্লগে ট্রোল করছিল। মন্তব্যে গোবরের গন্ধ।
  • র ২হ | 14.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৪৭92466
  • ☹️☹️
  • লোচবক্ষুলা | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ২০:৫১92475
  • ইম্পস্টারবাবু, ছদ্মবেশ পরেছেন এদিকে গোঁপের আঠা খুলে গেল, এরকম করলে লোকে চিনে ফেলবে যে।
  • r2h | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ২০:৫৩92476
  • যাগ্গে, এসবের সমস্যা একটাই, লক্ষ্য সরে যায়। ভালো লেখার মধ্যে উল্টোপাল্টা আলোচনা।

    এই জিনিসটা এখন কদিন চলবে মনে হচ্ছে, তা কী আর করা।
  • r2h | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ২৩:১৩92489
  • যারা আমার লেখার সাথে পরিচিত তারা নিশ্চয়ই আসল নকল এর ফারাক ধরতে  পারবেন এই আশা রাখি 

    কিন্তু এই বিশ্বব্যাপি দুর্দিন এ এই ধরণের রসিকতা মানসিক সঙ্কুলান নষ্ট করে দেয় 

    গত  তিন  রাত এই নিয়ে অস্বস্তি তে স্বাভাবিক বিশ্রাম করতে পারি নি , শারীরিক অবস্থা ও ভালো নয় 

    গুরু তে যারা আমার থেকে পুরোনো তারা কি এই ব্যাপার থেকে পরিত্রান এর কোনো উপায় বলবেন?

  • কোল্যাটারাল ড্যামেজ | 172.69.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০৭:৩১92513
  • শহর থেকে একটু দূরে,  নানা রাজ্যেই সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থা বন্ধ প্রায়। পশ্চিমবংগে বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলছেনা, উড়িষ্যায় ও না, প্রায় সবই হোম ডেলিভারি সেখানে, ছোট সব প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ, হয়তো উঠেই যাবে। আবার ত্রিপুরার মত রাজ্যে গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলছে, অন্যন্য স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম ও চলছে।  কোলকাতাতে তো সংক্রমণের ভয়েই অনেকের স্যাম্পল টেস্টের জন্য নিচ্ছেনরা স্বাস্থ্যকর্মী টেকনিশয়ানেরা। মানে অন্য রোগের টেস্টও হবেনা। উত্তরপ্রদেশে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভয়ের চোটে ঘরে বসে। না তো এই কাজের জন্য কিছু করছেন, না অন্য রোগের পরীক্ষার কাজ। সারা দেশে ছড়ানো যেসব ভাইরাল ডায়গন্সটিক ল্যাবে সারাদিন নানাবিধ অসুখের জন্য অজস্র নমুনা পরীক্ষা হত, যার মধ্যে ডেংগু, চিকেনগুনিয়া, জাপানিজ এনকেফেলাইটিস থেকে স্ক্রাব টাইফাস, মিজলস, হেপাটাইটিস, সব আছে৷ সেখানেও ফ্লু আর কোভিড বাদে আর কোনই পরীক্ষা হচ্ছেনা। 

  • ar | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১০:০১92519
  • "ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ‘ভয়’ দেখিয়ে বাড়ি পাঠানোর অভিযোগ উঠল এনআরএসের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে। আতঙ্কিত প্রসূতি হাসপাতালের বদলে নিজের বাড়িতে ফিরে শৌচাগারে পুত্রসন্তান প্রসব করলেন। যদিও সেই সন্তান বাঁচেনি।"

    এনআরএসের ঘ্টনাটাকে কি কোল্যাটারাল ড্যামেজ বলে কাটিয়ে দেওয়া যায়? এ তো আমাদের সামাজিক অপরাধ আর লজ্জা। অবশ্য সমাজের লজ্জাবোধের কিছু অবশিষ্ট যদি থেকে থাকে তবেই।
    বাচ্চাটার মৃত্যুর কারণ করোনা/কোভিড-১৯......, এটা নথীভুক্ত হবে তো??
  • বছিরুদ্দি | 14.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২০ ০১:০৪92579
  • করোনা এমন একটি ভাইরাস, যার সমাধান একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তার হাতে। অযথা এধরনের স্বপ্ন দেখানো পোস্ট করা থেকে নিজেদের কে বিরত রাখুন এবং সবাই আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করুন, যেন খুব দ্রুত এই মহামারী থেকে আমাদের হেফাজত করেন।
  • শালিখ | 172.69.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৫২92581
  • আপনি কি বিজেপির ট্রোল? মুসলিম বিরোধী সেন্টিমেন্ট খুঁচিয়ে তোলার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
  • @শালিখ | 172.69.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২০ ১১:০৫92589
  • @শালিখ,
    পাতি ইগনোর করুন। কুস্তি ও কাদা সংক্রান্ত বার্নার্ড শ এর উক্তিটি একটু পড়ে নিন, লেখার দরকার নেই।
  • @শালিখ | 162.158.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৫৩92594
  • @শালিখ 
    ইগনোর করা ছাড়া উপায় নেই 
    আমি ট্রল এর প্রতিবাদ করায় এর আগের বার আমার গুরুচন্ডালি প্রোফাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল 

  • বড়সড় কোল্যাটারাল ড্যামেজ | 162.158.***.*** | ০৩ মে ২০২০ ১০:৩৩92939
  • #ডা_নন্দ_ঘোষের_চেম্বার পর্ব ৩১

    #করোনা_ও_টিকাকরণ

    *************************

    ডা. ঘোষের চেম্বারে আজ ভ্যাক্সিন নেওয়ার ভিড়। সরকারি নির্দেশিকা মেনে ডা. ঘোষ ভ্যাক্সিনেশন বন্ধ রেখেছিলেন। সরকারি নির্দেশিকার '১৪ ই এপ্রিল' বহুদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সরকারি তরফে এখনো ভ্যাক্সিনেশন শুরু হয়নি। তাই সপ্তাহ দুয়েক হ'ল ডা. ঘোষ করোনার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে ভ্যাক্সিনেশন শুরু করেছেন। অভিভাবকদের নানাবিধ সমস্যা, প্রশ্ন আর উৎকন্ঠায় ডা. ঘোষ জেরবার।

    - ডাক্তারবাবু, বাচ্চা তো নার্সিং হোমে সিজার করে হয়েছে। লক ডাউনের জন্য কোথাও টিকা দিতে পারিনি। কী হবে?

    - দেখুন, বাচ্চার সাতাশ দিন বয়স হয়ে গেছে। এখন শুধু বিসিজি টিকাটাই দেওয়া যাবে।

    - বাকি দুটো না দিলে কিছু ক্ষতি হবে না তো স্যার?

    - সব টিকাই বাড়তি সুরক্ষা দেয়। কাজেই পুরোপুরি আশ্বস্ত করি কীভাবে? এখন আর এসব ভেবে মন খারাপ করে লাভ নেই। দেড় মাসের টিকা সময় মতো দিয়ে নেবেন।

    - আচ্ছা স্যার।

    ঝড়ের মতো ঢুকে এলেন পরবর্তী ভদ্রমহিলা।

    - ডক্টর, ওকে কিন্তু বাজারের সবচেয়ে দামীটা দিতে হবে। দাম যাই হোক ওটাই দেবো। নন্দিনীর মা সব দামী ভ্যাক্সিন দিয়েছে। আমিও ওগুলোই নেবো।

    এই টাইপটা ডা. ঘোষ বেশ ভালো করে জানেন। এঁদের কাছে স্বাস্থ্যের বিষয়টিও স্টেটাস সিম্বল। ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা বা রোগ-প্রতিরোধ বড় কথা নয়। আসল ব্যাপার কমদামী ভ্যাক্সিন দিয়ে নন্দিনীর মা'র কাছে হেরে যাওয়া চলবে না। এঁদের কাছে 'উমুক রোগের টিকা' নয় 'এত দামের টিকা' ব্যাপারটিই গুরুত্বপূর্ণ। এসব লোকজন দেখলে স্যার পারতপক্ষে দু-একটার বেশি কথা বলেন না। কোনও পরিষেবা দিয়েই এঁদের খুশি করা মুশকিল।

    পরের জন এলেন। পোশাকে কিংবা ব্যবহারে আগের জনের সাথে বিস্তর ফারাক।

    - ডাক্তারবাবু, সব টিকাগুলাই কি লিতে হবে? খরচার ব্যাপার আছে ত.. এখন ত ইনকামও বন্ধ। আপনি য্যামন বলবেন সেউরকম লিব।

    - দেখুন কিছু টিকা আছে যেগুলো নিতেই হবে। কিছু আছে 'নিলে ভালো'। আমি আপনাকে লিস্টে দাগ দিয়ে বলে দিচ্ছি।

    - আপনি য্যামন ভাল বুঝ্যান করে দিন।

    আরও প্রায় জনা দশেক বাচ্চার টিকা ও বাবা-মায়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর শেষের ভদ্রলোক গলা খাঁকারি দিয়ে ভেতরে এলেন।

    - বলছি ডক্টর, ওর দেড় মাসের বুস্টারটা বাকি আছে। ওটা কি মাসখানেক দেরি করা যাবে?

    - হ্যাঁ। বুস্টার ডোজ একটু পেছানোই যায়। প্রথম একবছরের টিকা আর যেসব টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে সেগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    - আর ওর হেপাটাইটিস-এ ফার্স্ট ডোজটাও মিস গেছে।

    - এটাও দেরি করে দেওয়া যায়। হেপাটাইটিস এ জলবাহিত রোগ। কাজেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, হাত ধোওয়া, শুদ্ধ পানীয় জল ব্যবহার.. ইত্যাদি বজায় রাখবেন।

    - আচ্ছা স্যার, করোনার জন্য আদা আর হলুদ বেটে খাচ্ছি। অসুবিধে নেই তো?

    - অসুবিধে নেই। তবে আলাদাভাবে সুবিধে কিছু হয় বলে আমার জানা নেই।

    - আপনি তাহলে.. এই যে দেখুন, দেখুন। আদা-হলুদ-কালো মরিচ দিয়ে চা খেলে করোনার সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

    - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সব ধরনের শাকসব্জী, পরিমিত ঘুম, ফলমূল, প্রোটিন, শরীরচর্চা ইত্যাদি সবকিছুর গুরুত্ব আছে। আলাদাভাবে ওসব হলুদ-আদা-মরিচ খেয়ে ইমিউনিটি বাড়িয়ে করোনা আটকানো যায় বলে কোনও প্রমাণ নেই।

    - এই যে আপনাদের দোষ.. অর্গানিক জিনিসের গুণ মানতে চান না।

    ডা. ঘোষ অস্ফুটস্বরে বিড়বিড় করেন..

    - হুঁ, অর্গানোফসফেটেরও গুণ মানতে কষ্ট হয়।

    - কিছু বললেন?

    - হ্যাঁ। বলছি, আদা-মরিচ-হলুদ থেকে শুরু করে জবাফুলের পরাগরেণু বা দুর্বাঘাসের রস যা খুশি খান। তবে দয়া করে ওতে ইমিউনিটি বেড়ে যাওয়ার আনন্দে হাত ধোওয়া, মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারগুলো ভুলে যাবেন না যেন..

    চেম্বার শেষ হতে হতে দুপুর দেড়টা পেরিয়ে যায়। একটা প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে ঘুরঘুর করছিল। ফাঁকা পেয়ে স্যারকে জিজ্ঞেস করলাম..

    - আচ্ছা স্যার, আপনি ভ্যাক্সিনের ব্যাপারে এত জোর দিচ্ছেন কেন? তার চেয়ে তো বরং করোনা এড়ানোর জন্য বাড়িতে থাকাই ভালো।

    - দ্যাখ, এটা শাঁখের করাত অবস্থা ভ্যাক্সিন নিতে বেরোলেও ভয়, না বেরোলেও ভয়। কিন্তু এটা মাথায় রাখিস ভ্যাক্সিন দিয়ে যে রোগগুলো রোধ করা হয় তারা ভয়াবহতার বিচারে করোনাকে ধরে ধরে দশ গোল দেবে। এই একই ঘটনা ২০১৪-১৫ সালে ইবোলার সময় হয়েছিল। দেখা যায় ভ্যাক্সিনেশন দেরিতে হওয়ার জন্য ইবোলার চেয়ে তিনগুণ মৃত্যু হয় হামে। তাও ইবোলার মারণক্ষমতা ছিল গড়ে ৬০%, কখনও বেড়ে ৯০% অব্দি। অর্থাৎ, ইবোলার মারণক্ষমতা করোনার চেয়ে বহুগুণ বেশি।

    - কিন্তু স্যার, ১৩০ কোটির দেশে ২-৩% লোকেরও রোগ হয়ে গেলে আমরা কি সামাল দিতে পারবো? আর হাম কি সত্যিই এতটা মারণ রোগ?

    - ভালো প্রশ্ন করেছিস। এখানেই তো ভ্যাক্সিনের আশীর্বাদ রে.. শুধু ২০০০-২০১৭ সালের মধ্যে হামের টিকা দিয়ে ২১ মিলিয়ন মৃত্যু ঠেকানো গেছে। এখনো প্রত্যেক বছর টিকাকরণের মাধ্যমে গড়ে ২-৩ মিলিয়ন মৃত্যু রোধ হয়। ডিপথেরিয়া-হুপিং কাশি- ধনুষ্টঙ্কার-মাথার টিবি.. এগুলো সবই ভয়ানক। টিকার রক্ষাকবচ থাকে বলে ভয়াবহতা বোঝা যায় না। টিকাকরণ কর্মসূচী দুর্বল হয়ে গেলে এই রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এটা প্রতিষ্ঠিত। কাজেই করোনাতে কী হতে পারে সেটা ভেবে তার চেয়ে বহুগুণ ভয়ংকর শত্রুকে অবহেলা না করাই ভালো।

    - তাহলে যতদিন না সরকারি টিকাকরণ আবার শুরু হচ্ছে..

    - একদম ঠিক জায়গায় ধরেছিস। যাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে তাঁরা বাইরে থেকে টিকা দিয়ে দিচ্ছেন। দেশে অগণিত মানুষ আছেন যাঁদের থাকার ঘর নেই অথবা থাকলেও গাদাগাদি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হয়। এই লকডাউনের জন্য কাজও বন্ধ। অর্থাৎ, পেটে খাবার নেই, হাতে পয়সা নেই। ভ্যাক্সিন কিনে নেওয়া তাঁদের দূরবর্তী কল্পনাতেও আসে না। বিশেষত সেইসব জায়গায় এই রোগগুলোর প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। অন্তত প্রথম এক বছরের টিকা দিয়ে দিতেই হবে। দেড়-আড়াই-সাড়ে তিন মাসের টিকায় এক মাসের জায়গায় খুব টেনেটুনে দেড় থেকে দু'মাসের ফাঁক রাখা যায়। তার বেশি হয়ে গেলে মুশকিল।

    - যতদিন না টিকা দেওয়া যাচ্ছে ততদিন কোনও সতর্কতা নেওয়া যেতে পারে?

    - হ্যাঁ। যেমন ধর, হুপিং কাশি বা হাম। এগুলো করোনার মতোই হাঁচি-কাশি থেকে ছড়ায়। করোনার মতোই একই সতর্কতা নিতে হবে। রোটা ভাইরাসঘটিত ডায়েরিয়া রোধের জন্য সাধারণ পরিচ্ছন্নতা। তাছাড়া সুষম আহার, ঘুম ইত্যাদি যা যা বললাম..

    - আচ্ছা স্যার, যাঁরা টিকা নিতে আসবেন আর যাঁরা দেবেন তাঁদের সবার যাতায়াত, টিকাকরণ কেন্দ্রে দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া, বয়স্ক কারো সাথে বাচ্চাকে না পাঠানো, মাস্ক পরা.. এগুলোও তো গুরুত্বপূর্ণ। তাই না?

    - হ্যাঁ। সে তো বটেই। দূরদূরান্ত থেকে টিকা নিতে আসাই মুশকিল। তুই যদি মহামারীকে একটা যুদ্ধ হিসেবে দেখিস তাহলে মাথায় রাখিস যেকোনো যুদ্ধে বোমা-বন্দুকে যত ক্ষয়ক্ষতি হয় তার চেয়ে বহু বহুগুণ হয় তৎপরবর্তী আর্থ-সামাজিক ধ্বস, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদিতে। অবশ্য যত সহজে এতগুলো কথা বলে দিচ্ছি, পুরো ব্যাপারটা সামাল দেওয়া তার চেয়ে অনেক কঠিন।

    বলতে বলতে ডা. ঘোষ চেম্বার থেকে বেরিয়ে যান। ঘড়ির কাঁটা ততক্ষণে আড়াইটা ছুঁয়েছে..

    **********

    ডক্টরস' ডায়ালগে পড়ুন..

    https://thedoctorsdialogue.com/corona-and-vaccination/
    © Soumyakanti Panda
  • @২১ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৫৩ | 172.68.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ১৯:১৫93021
  • ২১ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৫৩ - গুরুচণ্ডালি প্রোফাইল কী? ওটা কীভাবে বন্ধ হয়?
  • অন্য রোগের কোলাটেরাল ড্যামেজ | 2402:3a80:a43:4321:0:4e:5565:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ১৪:০৩93847
  • কোল্যাটেরাল ড্যামেজ এবার আবার হিসেব কষে বের করার সময় এল। অন্যান্য রোগের চিকিৎসার ক্ষতি হল কতটা, রোগীদের ভোগান্তি হল কত? সে নিয়ে লেখা আসুক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন