এই লেখাটি বিভিন্ন দুষ্টুমি করার পর বিবেককে নাড়া দেওয়া, লজ্জায় মাথা নত করে কান লাল করে শোনা সেইসব দিদিমণিদের ভুল শোধরানোর সেশনের মত। এই অতিমারি সাংঘাতিক রূপ দেখায় নি এখনও, কিন্তু তাতেই কী কথাগুলো মিথ্যে হয়ে যায়? পার্টি-হুইহুল্লোড়-তাত্ত্বিক আড্ডার উষ্ণতায় আমরা সিনিয়র সিটিজেনদের ফেলে রাখি হিমশীতল একাকীত্বে। নিজেরই মনে পড়ল কতদিন মাকে ফোন করিনি। অসুস্থ শয্যাশায়ী মেহেরপুরের সেই যৃঁই মাসীমণির খবর নেওয়া হয়নি বহুকাল। একদা বাঘাটে তেজে লেখালেখি-বিতর্ক চালান এখন প্যারালাইজড-নিশ্চুপ শেখরকাকুরও খবর জানি না। সবাই হারিয়ে যাবেন। মাস দু'মাসের শোক-অপরাধবোধ শেষে সেই চলবে পার্টি-হুইহুল্লোড়-তাত্ত্বিক আড্ডা। যতটুকু সময় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারতাম, পাশে বসে গল্প শুনতে পারতাম সেটাই খরচ হবে ফেসবুকের বুদ্বিদীপ্ত বিতর্ক-তরজায়, ছুঁচোলো টুইটে। তবে সাময়িকভাবে হলেও লেখাটি পড়ে লজ্জায় যে কান গরম হল, সেটাই বা এই বিবেকহীনতার যুগে কম কীসে?
করোনা এসেছে সভ্যতার মুখোশ ছিঁড়ে ফেলতে।
লেখা, সে ও প্রতিভা দি'র বিতর্ক উপভোগ্য।
কিন্তু সে'র বক্তব্যে কিছু অহেতুক শ্লেষ রয়েছে, নিছকই রজ্জুতে সর্প ভ্রম, বা পূর্ব ধারণা। উড়ুক