দিল্লী জিন্দাবাদ! সকালে ব্লাস্ট,রাত্তিরে ভূমিকম্প,তবু সকাল সাড়ে নটার মধ্যে সবাই আপিসে। রাত্তিরে সব কত্তব্য সমাধান করে সবে বিছানায় বসে আনন্দবাজারটি হাতে নিয়েচি(মনের এক্কোণে মৃদু খচখচ-একটা এটিএম কার্ডকে কদিন হল দেকচি না),এমন সময় -দুলিল রে।বেশ জোর কাঁপুনি-পাঁচ/ছসেকেন্ড ধরে।থেমে গেলে ভাবলুম এইবার শুয়ে পড়ি,আফটারশক হলে আবার উঠলেই হবে। কোথায় কী,বন্যার মত ফোন,এসেমেস।কয়েকটি নমুনা-
কত্তা-এখন একদম শোবে না,জেগে থাকো। ছেলে-মাম,তোমার ব্যাগে কয়েকটা ওষুধপত্র আছে তো,ব্যাস,নীচে রাস্তায় চলে যাও। বন্ধু-শোন,জেগে আছিস তো,আমি শুলাম রে-আবার ভূমিকম্প হলে ডেকে দিস।
তবে মাক্কালী,সিকিকে এসেমেস করব ভেবেছিলুম-কিন্তু এইসব ফোন সামলাতে সামলাতে এত রাত হয়ে গেল,তখন আর বেচারাকে ডাকলুম না।তবে সিকি যে ভূমিকম্প থামতেই গুরুতে বসে গেছে এইটে দেখে সত্যি অ-বাক হয়ে গেলাম। রাত্রে টিভির সব চ্যানেলে বল্ল ৬।৬,আজ পেপারে ৪।২-কওনা ইহার কারণ কী?
Sibu | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:১৫ | 68.29.162.183
ভিআইপি ব্যান করাটা ভাল আইডিয়া। ৯/১১-র পরে ট্রেড সেন্টারে চোঙা হাতে বুশের বক্তৃতার টেপ দেখলেই মাথায় চড়াৎ করে রাগ চড়ে যায়।
siki | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:১২ | 123.242.248.130
কাল আর এম এলে গেছিল নীল পুতুল। এক মহিলা ফেটে পড়েছিল তার ওপর। ব্লাস্ট হয়, আপনারা দু লাখ, চার লাখ টাকা দিয়ে দেন, দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলেন। তারপরে খবরও রাখেন না, যে চলে গেল, তার ফ্যামিলি কীভাবে দিন গুজরান করছে। তারা কীভাবে বেঁচে রইল। আপনি অন্তত একটা ইনস্ট্যান্স দেখাতে পারবেন, যেখানে আপনারা কোনও ব্লাস্ট ভিক্টিমের ফ্যামিলি মেম্বারকে একটাও চাকরি দিয়েছেন?
নীল পুতুল নাকি কাল টেম্পার হারিয়ে বলেছিল, আমি কি হাতে সবসময়ে হিসেবের খাতা নিয়ে ঘুরি নাকি?
যে কোনও ব্লাস্ট সাইটে সবার আগে ভিআইপিদের ব্যান করে দেওয়া উচিত। হাসপাতালেও, পরের দুদিন পর্যন্ত। এই নিয়ে একটা বিল আনলেই হয়। কাল রাহুল গান্ধিও নাকি ঢিল খেতে খেতে বেঁচে গেছে হাইকোর্টের সামনে।
byaang | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:১২ | 122.172.247.125
*জেনারেশান, গা-সওয়া
byaang | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:১০ | 122.172.247.125
আরে কি মুশকিল! ডিসক্লেইমার কে চাইছে! আমি তো জানিই এখানে আমরা কেউই কোনোধরণের খুনকেই সমর্থন করি না। আসলে আমার এমন একটা বিতিকিচ্ছিরি রাগ হচ্ছে বলে বোঝাতে পারবো না। বম্বেতে লোক্যাল ট্রেনে এপাড়া, ওপাড়া কম করি নি। ঐ ওয়েডনেজডে সিনেমাতে যেমন দেখিয়েছিল, রোজ অফিস থেকে ফেরার সময়ে এমন অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়ে গেছিল যাদের ওঠানামার স্টেশন দিয়ে শুধু তাদের চিনতাম, বা খবরের কাগজ ভাঁজ করে করে ওয়ান কলামে নিয়ে আসার যে কায়দা শুধু বম্বের ট্রেনের লোকেরা জানে, সেই কলামগুলো একসঙ্গে পড়তে পড়তে কত মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়ে গেছিলো। পরে যখন ঐভাবে ট্রেনগুলোয় ব্লাস্ট করানো হল, তখন অন্য শহরে বসে ভেবেছিলাম, আমার যাদের সঙ্গে আলাপ হয়ে গেছিলো, মুখ চেনা হয়ে গেছিলো, তাদের কারুর কিছু হয় নি তো! অথচ ঋভুদের জেনেরাশেন এগুলো গাসওয়াভাবে নিতে নিতে বড় হচ্ছে ভাবলেই সেই বিচ্ছিরি রাগটা ফিরে ফিরে আসছে, অথচ কিছু করতেও পারি না। ঐ রাগ চেপেই বাঁচতে হবে।
মুশকিল হল র্যাব বাহিনী তৈরী করলেও অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের বলি হওয়া তো বাঁচবে না। মানে কত লোক ব্লাস্টে মারা গেছে আর কত লোক এনকাউন্টারে মারা গেছে সেটা পাওয়া গেলে বোঝা যেত।
শিবুদা, আমারো মাঝে মাঝে মনে হয় জানেন,আমাদের এই সাবকন্টিনেন্টের প্রবলেমটা জনসংখ্যার থেকেও বেশী মাইন্ডসেট নিয়ে।দেখুন আমাদের আগেই ভেবে ফেলতে হয়, অপব্যবহার নিয়ে।
আপনি ঠিক ই বলেছে। লিখেই এইটাই মনে হলো আমার।
byaang | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫৬ | 122.172.247.125
একজন মানুষ নিরপরাধ নাকি নিরপরাধ নয়, সেই প্রমাণে বছরের পর বছর কেটে যাবে, আর অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ সেই দ্বিধার বলি হবে?
byaang | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫৪ | 122.172.247.125
ও হরি! এই ছোটো কে টা তাহলে দেফু!!
pi | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫১ | 72.83.92.218
দেফু, ঃ)
কিন্তু দু দি এটা কী বল্লে ? সে যদি নিরপরাধ হয়, তাহলেও তাকে মেরে দেওয়া ! এনকাউণ্টারও তালে সমর্থন করো ?
Sibu | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫০ | 68.29.162.183
কিকি,
বাংলাদেশে এরকম একটা সিস্টেম আছে, র্যাব বাহিনী। তারা ঐ রকম লোক তুলে নিয়ে গিয়ে এনকাউন্টার করে শেষ করে দেয়। শুনেছি ভারতেও সেরকম হয়। মুশকিল হল, যে লোকগুলোকে মেরে দেয় তারা দোষী কিনা তা তো জানি না। পাড়ার দারোগার হাতে (বা যে কারো হাতে) ঐ রকম ক্ষমতা থাকলে তো ভয় করবে। মানে প্রতিবেশীর সাথে বাগানের পাতা পরিস্কার নিয়ে ঝগড়া হল। তার আদরের শালীর বর র্যাব কমান্ডার। বোঝো। তাহলে আর মাওবাদীরা কি দোষ করল?
pi | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৪৬ | 72.83.92.218
তারপর তো হল ট্রেনের সেই সিরিজ ব্লাস্ট। ট্রেনে না চড়ে উপায় ছিল না। আর পালাবোই বা কোথায়। ট্রেন এড়াতে গেলে যেখান দিয়ে যেতে হয়, সেখানেও একদিন ব্লাস্ট হয়ে গেল। কিন্তু উঠলেই ঐ শিরশিরানিটা হত।
এমনকি এখনও হয়। মুম্বইতে কিছু হলে। চেনা জায়গাগুলোয়। দিন রাত যখন তখন ঘুরে বেড়ানো জায়গাগুলোতে হলে। সেই জায়গাগুলোর দুমড়ানো মুচড়ানো ছবিগুলো টিভিতে যখন দেখি। এখনও হয়।
k | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৪৩ | 61.12.12.83
একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস মেসেজ -
"rofl -- NDTV loser journo interviewing random labourers at 12:45 midnight, about their earthquake experience...one of them (who is clearly drunk) mentions LIVE on TV.."hum to khana kha rahe the..tabhi bhenchod jhatka lag gaya"
:-B
pi | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৪০ | 72.83.92.218
এই ভয়টা সত্যি হয়। আই আই টি হপ্তান্ত কাটিয়ে সোমবার টি আই এফ আর ফিরছি। ডাক্তার দেখানো ছিল বলে বেরোতে দেরি হয়ে গেছিল। ভিটি তে ইন্সটটিউটের বাসটা মিস করলাম। তাড়াতাড়ি করবো বলে বলে সামনে যা বাস পেলাম তাতেই উঠে পড়লাম। কোলাবায় নেমে বাস বদল। এদিকে অত তাড়া করছি, ওদিকে ঐ কোলাবা কজওয়ে যে আমাকে কোন চুম্বকের আকর্ষণে টানতো ! ফুটপাত ঘেঁষা দোকান সারি। মিনি ইন্ডিয়া। হস্তশিল্প প্রদর্শনীর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত যেন। ঐ চত্বরে গেলে ঐ ফুটপাথ ধরে একবার অন্তত এমোড় ওমোড় না করলে শরীর খারাপ করতো। তো, সেদিনও গেছি। ঐ তাড়ার মধ্যেও। এবং করতে গিয়ে দেরিও। ল্যাবে যখন ঢুকলাম, একটা বেজে গেছে। তখনও সেলফোনের মালকিন হইনি। ল্যাবে ঢুকে মশামেসোকে পৌঁছানো সংবাদ দিতে গিয়ে দেখি ফোন কাজ করছে না। করিডরে ততক্ষণে শোরগোল পড়ে গেছে। পাশের ল্যাবের একজনের মোবাইলে সেমেস এসেছে, গেটওয়ে অব ইন্ডিয়াতে ব্লাস্ট। গেটওয়ে, ঐ কোলাবাতে। তারপর তো আরো ব্লাস্টের খবর। খবরের চেয়েও বেশি গুজব। কিছু ভেরিফাই করারও উপায় নেই। সেলফোন নেটওয়ার্কও কাজ করছেনা আর।
এরপর অন্ততঃ সাত আট মাস আর ঐ কোলাবাতে যেতে পারিনি। ইনস্টিটিউটের বাস ছাড়া চড়তাম না। এমনি বাস হলে কোলাবার ঐ এলাকা দিয়ে যেতেই হত।
নেভিনগর আর ইন্সস্টিটিউটে শুরু হল সিকিওরিটি চেকিং এর বজ্র আঁটুনি ( ফস্কাগেরোও ছিল। জানিনা, কেউ সেই প্রোগ্রাম দেখেছিল কিনা। সে এক যা তা কেলেংকারি কাণ্ড। সিকিওরিটির মুখে গুচ্ছ চুনকালি। কোন এক চ্যানেল, বোধহহ্য এন ডি টিভির সাংবাদিকরাই কয়দা করে ইন্সটিটিউটে ঢুকে সমস্ত ল্যাবের ছবি তুলে, কিছু হাই সিকিওরিটি ল্যাবের পুংখানুপুংখ ছবি তুলে টেলিকাস্ট করে দিয়েছিল, ইন্সটিতিউটগুলোর সিকিওরিটির বেহাল অবস্থা বোঝাতে। এটা বোধহয় আই আই এস সি তে সেই সাঙ্ঘাতিক ঘটনাটার পর)। তো, অনেক রাত্রে যখন ইন্সটিটিউটের রাস্ত দিয়ে একা একা হেঁটে ফিরতাম, একস্ট্রা সিকিওরিটিদের দেখতাম, কী একটা অদ্ভুত শিরশিরানো অনুভূতি হত। ব্লাস্টের অনেকদিন পরেও। নিজেরই অবাক লাগতো। কীসের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছি অনেক। ভয়ের ।
kiki | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৩৯ | 59.93.213.114
শিবুদা, মাফিয়াদের জেলে রাখাই কেন? সেগুলোকে এনকাউন্টারে শেষ , কেস করে দিলেই তো মেটে।বা খবর বার করতে হলে শেষ বলে প্রচার করে গুম করে রাখুকনা কেন!
Sibu | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:২৪ | 68.29.162.183
দু-র বুদ্ধি দেখে আমার মাথাতেও একটা বি্হ্দ্ধ এল। অক মাফিয়ার শত্রু (সেও আর এক মাফিয়া) জেলে আছে। এবারে সেই মাফিয়া শত্রুর মুক্তির দাবীতে একটা ব্লাস্ট করাল। ব্যাস, শত্তুর শেষ। কি বলব? মার্ডার বাই কপস?
byaang | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:২৩ | 122.172.247.125
হেডলাইন্স টুডে তে কিছু আহত মানুষের পরিবারের লোকজনদের দেখাচ্ছিল। মনমোহন সিং নাকি বাংলাদেশ থেকে ফিরে সোজা হাসপাতালে গেছেন, আর যেসব ক্রিটিকাল পেশেন্টদের অপারেশন শুরু করার কথা ছিল সেই সময়ে, তাদের ফেলে রাখা হয়েছে পিএমের ভিজিটের কারণে।
byaang | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:১৯ | 122.172.247.125
দু, তোমার লেখাটাকে সাপোর্টালুম বিশেষ করে লাস্ট লাইনটা। ওদিকে দোষারোপের নাটক শুরু হয়ে গেছে। চিদুবাবুর বক্তব্য, দিল্লি পুলিশকে আগেই জানানো হয়েছিল, সেই জুলাই মাসে। আর দিল্লি সরকার বলছে এতো প্রায় প্রতি মাসেই জানাও একবার করে, দিল্লিতে টেররস্ট্রাইক হতে পারে।
Du | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:১২ | 117.194.192.100
আমি এই ব্লাস্ট নিয়ে সরকারকে একটা সাজেশন দিই। অমুককে ছাড়াতে কি তমুকের ফঁসি রদ করানোর উদ্দেশ্যে এই টাইপের ব্লাস্ট করালে সঙ্গে সঙ্গে সেই লোকটাকেই মেরে দাও। সেই বিশেশ লোকটি এবং তার পরিবারের লোক বলি হবে কিন্তু বেঁচে যাবে অন্য অনেক লোক। ঘোষনা করে হোক কি রটিয়ে হোক মেসেজটাও এই খুনীদের কাছে যাওয়া উচিত যে যাকে বাঁচাতে চাইছে, ব্লাস্ট করালে সে কিছুতেই বাঁচবে না। প্রাঞহানি না করালে বেঁচে যাবার ভালো সম্ভাবনা থাকবে সেটাও জানাতে পারে।
যা লিখলাম তা হয়তো কোন সম্ভবপর/বাস্তব/সেন কথা নয় কিন্তু আততায়ীদের জানা উচিত ঘোরা টেনে দেবার পর আর মাথায় বন্দুক লাগিয়ে দরদাম করা যায়না।
siki | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:১১ | 123.242.248.130
কাল অনেকক্ষণ ঘুম আসছিল না। এদিকে ঘুমোতেই হবে, নইলে সকালে উঠতে পারব না। ঐ একটাই ঝাঁকুনি। এমনিতে এর আগেও ভূমিকম্প ফেস করেছি, আমাদেরেই বাড়িতেই, কিন্তু সেটা ছিল দিনের বেলা সাড়ে দশটা। অনেকক্ষণ ধরে দুলেছিল পুরো বিল্ডিংটা। কিন্তু এটা রাত সাড়ে এগারোটা।
একবার বাইরে বেরিয়ে দেখলাম, করিডর শুনশান, সে¾ট্রাল পার্কও শুনশান। শুধু আনসাল প্লাজার দিকে দুটো কুকুর, কান খাড়া করে বসে রয়েছে। মাঝরাত্তিরে ঘুমের ঘোরে যদি কিছু হয়ে যায়, ঘুম ভাঙার আগে সব শেষ হয়ে যাবে। পনেরোতলা বিল্ডিংয়ের নতলায় বাস। জাস্ট স্যান্ডুইচ হয়ে যাব।
এইসব ভাবতে ভাবতেই কখন ঘুমিয়ে পড়েছি, খেয়াল নেই। ঃ)
byaang | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:৫০ | 122.172.247.125
আমার এক বন্ধু পনেরো বছর ইউরোপে কাটিয়ে মাস তিনেক হল দিল্লিতে বাস করছে। কাল হাইকোর্টের কাছাকাছিই সে ছিল ব্লাস্টের সময়। কাল রাত্তিরে যখন তার সঙ্গে ভালো করে কথা বলার জন্য ফোন করলাম, সে তখনো খুব ঘাবড়ে আছে, রাতে ঘুমোতে পারছে না, সে নাকি থেকে থেকেই অ্যাম্বুলান্স আর দমকলের গাড়ির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে চোখ বন্ধ করলেই। এক বন্ধুকে ডেকেছে তার সঙ্গে রাতে থাকার জন্য। গুরুতে ভূমিকম্পের খবর দেখে তাকে ফোন করলাম, বেশ কয়েকবার, ফোন বেজে গেল, ধরলো না। ভেবেছিলাম, যাক তাহলে মোবাইল সাইলেন্ট রেখে ঘুমোতে পেরেছে ফাইন্যালি। আজ সকালে আবার ফোন করলাম, ওর সঙ্গে যে বন্ধু রাতে ছিল সে ফোন ধরলো, সে জানালো আজ সকাল থেকে আর কথা বলতে পারছে না, ভূমিকম্পের সময় প্রচন্ড ভয় পেয়ে কাঁপছিল, তারপর থেকে আর কোনো কথা বলছে না। ওর বাড়ি মালদায় ফোন করেছে, বাড়ি থেকে লোক আসছে দিল্লিতে, ওকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কাল রাতে যখন ফোনে কথা হচ্ছিলো, তখন বলেছিল ""তোদের হয়তো অভ্যেস হয়ে গেছে, আমার কিন্তু খুব ভয় করছে। বলে বোঝাতে পারবো না, কেমন ভয়!'' অথচ ওকে দিব্যি ডাকাবুকো ছেলে বলেই জানতাম। মনটা খারাপ হয়ে আছে সকাল থেকে। গুরুর বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
pi | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:৪৭ | 72.83.92.218
তা আর বলতে !
siki | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:০০ | 123.242.248.130
পাই নিশ্চয়ই সর্ষে লেখা কাটিয়ে দেবে?
siki | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:৫৭ | 123.242.248.130
অচিন্ত্যরূপ,
মেল করেছি। মোবাইল থেকে বাংলা এখনও লেখার উপায় নেই। কেবল পড়া যায়।
আকা আর কিকি মিলে আমার স্যাম্পল সাইজ দাঁড়াল তিন। কেবল আঁচড় কামড়টাই খেতে হয় নি এখনো।
কাল একযোগে সব চ্যানেল বলছিল ৬.৬ ম্যাগনিচ্যুডের ভূমিকম্প। আজ সকালে দেখি সবাই বলছে ৪.২। কাল রাতে বলছিল এপিসেন্টার ট্র্যান্সযমুনা এরিয়া। মানে আমাদের বাড়ি। আমাদের পাড়া। আজ সকলে বলছে সোনেপত।
পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থ দেখে হিংসেয় জ্বলে দুর্যোধন তার অনতিদূরে এক নতুন নগরী বানিয়েছিলেন, সোনা দিয়ে মুড়ে। নাম দিয়েছিলেন স্বর্ণপ্রস্থ। অনেকে মনে করে, সেদিনের সেই স্বর্ণপ্রস্থই আজকের সোনেপত।
কোনও ঐতিহাসিক উপাদান পাওয়া যায় নি, কোনও বিল্ডিংয়ের অবশেষও নেই। যেমন নেই ইন্দ্রপ্রস্থেও। খনন করে সেই সময়ের কিছু পোড়ামাটির বাসনের টুকরো উঠেছে, ঐতিহাসিকরা বলেন, পাণ্ডবরা পাথর টাথর দিয়ে মোটামুটি থাকার যোগ্য ঘর বানাতে পারত। তার বেশি উন্নত তখন ছিল না মানুষ। ইন্দ্রপ্রস্থের ঝাঁচকচকে সভাগৃহের বর্ণনা, কেবলই কবির কল্পনা।
aranya | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৬:২২ | 144.160.226.53
আমি ছুটি চাই, কাজের এই ঘানি থেকে বরাবরের মত। জঙ্গলের মধ্যে টিলার ওপর একটা ছোট্ট বাড়ী চাই, এক কামরার হলেই চলবে - একটা দেয়াল হবে কাঁচের, যা দিয়ে দেখা যাবে দূরের ধোঁয়া ধোঁয়া পাহাড়, দিগন্ত জুড়ে মেঘের মত। আর ঘন সবুজ অরণ্য - শৌখিন ইউক্যালিপটাস নয়, সতেজ শাল বন
pi | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:৫২ | 128.231.22.133
কিঞ্চিৎ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তবে, ব্যাপক। আগে এত ছবি দেখেছি। ভেবেছিলাম, নতুন করে অবাক হবার কিছু নেই। কিন্তু দেখে সেই ধাক্কাই খেলাম। এমনও হয় ? অনেকবার ক্যাসেটে শোনা গুলাম আলিকে লাইভ শোনার মতন।
aranya | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:৪০ | 144.160.226.53
আমিও কেস খেয়ে আছি, পীড়ের একটা মন্দির বানিয়ে হত্যে দিলে হয়। পাই, কেমন বেড়ালে?
pi | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:৩৮ | 128.231.22.133
একে কী বলা যায় ? বর্ণচচ্চড়ি ?
achintyarup | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:৩১ | 59.93.244.147
ঐটে হল পরীক্ষা
pi | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:৩০ | 128.231.22.133
পর্ল্ক্ষা ?? অচিনদা কোন অচিন ভাষায় ভাষায় কথা কয় ? চিনা নয় এটুকু শিওর।
achintyarup | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:২৭ | 59.93.244.147
হল না। টেলিফোন থেকে ইউনিকোডে গুরু পড়তে শেখাল সিকি, কিন্তু বাংলায় লিখতে তো পার্ছিনা দেখছি
achintyarup | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:২০ | 80.239.242.54
parIxaa karachhi
S | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:৫১ | 90.200.14.238
ইশশ দিল্লি তে যে কিসব হচ্ছে? সবাই ভালো থাকুন। byang thank u গো। কিন্তু আরেকজনের মতে ঐ অখাদ্যগুলো লুতে বসে পড়ার পক্ষে খুব ভালো। তাই জানছিলাম কোনটা বেশী কোনটা কম। রিমি, আপনার স্যাম্পল টা অনায়াসে চার থেকে বাড়িয়ে দেওয়া যায়। কারণ এরমধ্যে বোধহয় কম বেশী সবছেলেরাই পড়ে। শুধু কাজের জায়্গার কাজ গুলো যে এরা কিভাবে ঠিকঠাক করে তা বোধহয় আল্লা জানেন।
কিকি, তোমার ছবি আমি দেখেছি , সুতরাং আটভাট বোকো না।
r2h | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:৪৮ | 198.175.62.19
আমি আছি, কেস খেয়ে, কানে ফোন, চাদ্দিকে অলাতচক্র, না থাকারই মত ঃ( পীড় ভরসা
aranya | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:০৮ | 144.160.226.53
কেউ আছে?
nk | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:৪৬ | 151.141.84.194
এরচেয়ে নিশিকুটুম হলে কাজে দিতো হে বড়াই। ব্যায়াম কে ব্যায়ামও হলো, রোজগার কে রোজগারও হলো। ঃ-)
I | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:৩৮ | 14.99.101.112
ভাটাড়ুর সংখ্যা বেশ কমে গেছে। রাতের ঝোঁকে শুধু নিশিকান্ত নাম বাঁচানোর তাগিদে একা একা লড়ে যাচ্ছে।
I | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:২৬ | 14.99.101.112
এইটে শুনে দেখেন তো , মন লাগে না কি !
I | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:২৪ | 14.99.101.112
না না ! এখন তো খালি গান শুনি ।
nk | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:১৭ | 151.141.84.194
নেতাই কি ক্যাপ্টেন হ্যাডকের ভূমিকায় নামছেন? ঃ-)
achintyarup | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:১৩ | 121.241.214.34
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন