জনজীবন ‘নর্মাল’ – স্বাস্থ্যব্যবস্থা? : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১০৬৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
সরকারী মতে জনজীবন “স্বাভাবিক”। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ও জীবনদায়ী ওষুধ পর্যাপ্ত। বেবিফুডেরও স্টক যথেষ্ট। সরকারী সুত্রে এও জানানো হয় যে প্রায় ২৪ কোটি টাকার ওষুধ আগস্ট ৫- ২৫ তারিখের মধ্যে দোকানগুলোতে পৌঁছেছে। বেসরকারী খবর অতটা আশাপ্রদ নয়। ওষুধের দোকান, স্টকিস্ট আর ডিপোর মধ্যে যোগাযোগ নেই কোন। ওষুধের অর্ডার দিতে পারছেন না দোকান-মালিকেরা। অর্ডার যেখানে দিতে পারছেন, সেখানেও মিলছে চাহিদার থেকে অনেক কম। যেসব জীবন-দায়ী ওষুধকে তাপমান-নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে হয়, সেগুলো ঠিকমত কোঅর্ডিনেশনের অভাবে ওয়্যারহাউসে বিনা-রেফ্রিজারেসনে পড়ে থেকে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে – মানুষের কাজে লাগে নি। শ্রীনগরের অবস্থা যদিবা মন্দের ভালো হয়, বাইরের দিকে যে কি অবস্থা তা কল্পনাতীত। আগস্টের ৫ তারিখের পর থেকে সেখানে কোন ওষুধ যেতে পারে নি। ইনহেলার, ইনসুলিনের মত ওষুধও সেখানে অমিল – পাওয়া যাচ্ছে শুধুই অ্যান্টিবায়োটিক । সঠিক তথ্য পাওয়া এখন অসম্ভব।
সব মা মা নয়, কেউ কেউ মা : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৩ মে ২০১৯ | ১০৪৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
যেহেতু ২০১৭ সালে মায়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচার চরমে উঠেছিল, তাই গত বছরের মাঝামাঝি রিফিউজি ক্যাম্পে শিশু-জন্মের ঢল নেমেছিল। তখনই ইউনাইটেড নেশন জানিয়েছিলেন যে প্রতি দিনে প্রায় ৬০টি করে শিশুর জন্ম হচ্ছে। এই শিশুদের অধিকাংশই জন্মায় সরকারী বা বেসরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানার বাইরে। গ্রাম্য দাই-এর হাতে জন্ম। জন্মের পরে এদের কোন রেজিস্ট্রেসন হয় না। তাই সরকারী ভাবে এরা অদৃশ্য – কোন সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের সুযোগ এদের কাছে আকাশের চাঁদ। উদবাস্তু শিবিরের পানীয় জল, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন, তাতে এই শিশুগুলির সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা কতটা সেটা বেশ চিন্তার। শিশুমৃত্যুর হার বোঝার চেষ্টাও বাতুলতা কারণ সরকারী হিসেবে শিশুগুলি স্রেফ নেই।
শ্রদ্ধা যখন কাঠগড়ায় : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১২৬৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
কাকে বলব শুভ বুদ্ধি আর কাকেই বা বলি অশুভ বুদ্ধি? পুলওয়ামা কান্ডের পরে সেটাই গুলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।নিতান্ত ছা-পোষা গেরস্ত মধ্যবিত্ত মানুষেরা এতকাল সুখে সোস্যাল-মিডিয়ায় সেলফি-যাপন করছিল। তারাও হঠাৎ হাল্লা রাজার মতন যুদ্ধু- যুদ্ধু বলে লাফিয়ে উঠল। যারা সেই তালে তাল মেলাতে রাজী নয়, তাদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের ঝড় উঠল।এই অবধি হলে ঠিক ছিল। এসব চেনা ঘটনা। এ রকম দেশাত্মবোধের জোয়ার ২০১৬ সালেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার ঘটনা গড়িয়ে চলল আরো একটু দূর। একদিকে রাজ্যপাল থেকে সেনা-নেতা, সব তাবড় লোকেরা কাশ্মিরীদের বয়কটের ডাক দিচ্ছেন – পুরো দেশটাকে একটা বাইনারীতে ভেঙ্গে ফেলার মরিয়া চেষ্টা, অন্য দিকে সামান্যতম বিরোধীমতের আভাসে সোস্যাল মিডিয়ায় ভয় দেখান, যৌন-হেনস্থা, নোংরাতম কথা বলা পেরিয়ে শুরু হল বাড়ি ধাওয়া করে হেনস্থা, ভাঙচুর। এবং চাকরী থেকে তাড়ানো। কারণ?
কাব্যে উপেক্ষিত : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৪ জুলাই ২০১৯ | ১১৮৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
তবে ঘোরতর অবাক লাগে শাহুর ১৯১৯-২০ সালে আনা খান-কতক আইনে। ব্রাহ্মণ্যবাদের – তথা – বর্ণভেদ প্রথার যে সব থেকে বড় সামাজিক প্রয়োগ, সেই বিয়ে ব্যাপারটার গোড়া ধরে টান মারলেন। এর আগে ১৯১৭ সালে নিজ রাজ্যে বিধবা বিয়েকে আইনতঃ সিদ্ধ বলে আইন চালু করেছেন। এবার এক কলমের খোঁচায় অসবর্ণ বিবাহ এমনকি আন্তঃধর্ম বিবাহকে আইনসিদ্ধ করে দিলেন। আর যেহেতু অসবর্ণ বিয়ে তখন ধর্মমতে করানো দুস্কর, তাই বিবাহ রেজিস্ট্রেসনের ব্যবস্থা করলেন। ভাবা যায়! যদিও ভারতে আন্তঃবর্ণ বিয়ে সমর্থন করে আইন হয়েছে ১৮৭২ সালে, তবু তার ১৩০ বছর পরে ২০০৫-০৬ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের থেকে জানা যাচ্ছে যে গোটা ভারতে অসবর্ণ বিয়ের ঘটনা মাত্র ১১% সেখানে মহারাষ্ট্রে অসবর্ণ বিয়ের ঘটনা ১৭%। সহজেই অনুমেয় যে শাহু মহারাজের এর পিছনে দুই সেন্ট হলেও অবদান আছে। এই আইনে তিনি আরো বললেন যে বিয়ে করতে হলে মেয়ের বয়েস ১৪ বা তার বেশি হতেই হবে – গোটা ব্রিটিশ ভারতে তখন বিয়ের বয়স কিন্তু ১২। ১২ র থেকে ১৬ হতে আরো প্রায় তিরিশ বছর অপেক্ষা করতে হবে। মনুস্মৃতির নারীর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব না থাকার বিধান উড়িয়ে দিয়ে বললেন যে মেয়ের ১৮ বছর হয়ে গেলে বিয়ের জন্য কারোর অনুমতি লাগবে না। ডানা মেলল স্বাধীনতা। এই আইনের আর একটা ইন্টারেস্টিং দিক হল এখানে সম্পর্ক-বিচ্ছিন্ন বা একপক্ষের মৃত্যুর আগেই বিবাহ করলে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ধরা আছে। যেহেতু এই মূল গেজেটগুলির ইংরাজী আন্তর্জাল ভার্সন অমিল, তাই বোঝা যায় নি এই মোনোগ্যামির ধারাটা কি ছেলে মেয়ে দুই এর জন্যেই প্রযোজ্য কি না। এই আইন যত না মেয়েদের উপকারের জন্য, তার থেকে অনেক বেশি অবশ্য ব্রাহ্মণ্যবাদকে আঘাত করার জন্য। তবু মেয়েদের স্বাধীনতাকে তিনি বেশ অনেকটা জায়গা করে দিলেন।
ধর্ষণ প্রসঙ্গে : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৬৭৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৬
নাকি আদতে ভাবনাটা এই যে, যে বস্তুটি আমার হাতের আওতার মধ্যে তার আবার মতামত কি? মতামত কার থাকে? যে প্রাণহীন বস্তু নয়, তারই থাকার কথা। জড় পদার্থের অবশ্য থাকে না। অবশ্য এই মতামতের বোধটা সবার এক নয়। কেউ কেউ ভাবেন যে দিনের পর দিন একটি মেয়েকে উত্যক্ত করে গেলে বা অ্যাসিড মারার ভয় দেখালে সে যখন একটি খাঁচায় পরা ইঁদুরের মত হ্যাঁ বলে সেও সম্মতি। রাজেশ খান্নারা তাই শিখিয়েছেন। কিশোরকুমাররা গানের সুরে তাকে মোলায়েম, দৃষ্টিনন্দন করেছেন মাত্র। আবার কারও কারও মনে হয় সময়বিশেষে এই মতামতের কোন দরকার নেই। আজকের দিনেও। এমনকি শিক্ষিত মানুষেরাও তাই বলেন। তাই উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে তাকে বিয়েতে বাধ্য করেন প্রেমিকপুরুষটি - তার মধ্যে কোন হিংসা দেখতে পান না অনেকেই।
দাক্ষিণাত্যের পালমিরা, বিজাপুর : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | ভ্রমণ | ০৩ জানুয়ারি ২০২০ | ২৭৭৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
আঁকা বাঁকা সরু সরু রাস্তা দিয়ে চলেছি। পুরোন শহর। ঝাঁ চকচকে নয় মোটেই। বরং একটু ধুলোভরা, অগোছালো – পথের পাশের বেআব্রু দারিদ্রে একটু যেন আবছা মত। পথের বাঁক ঘুরলে হঠাৎ হঠাৎ চোখে ভেসে ওঠে এক একটা পাথরে গড়া মায়া – কালের প্রলেপে ধুসর তাদের রং। ট্যুরিস্ট নেই মোটেই – শুধু পাড়ার দু চার জন লোকের ইতস্তত ঘোরাফেরা, নতুন লোক দেখে একবার তাকিয়ে দেখা – ব্যস ওইটুকুই। অটো নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে থামছে, ড্রাইভার শুধু জায়গার নামটা বলে দিচ্ছেন। বেশি কথাবার্তা হচ্ছে না, দুপক্ষেরই ভাষাজ্ঞানে ঘাটতি হচ্ছে। এরই মধ্যে দেখে নেওয়া গেল ইব্রাহিম রোজা। দ্বিতীয় ইব্রাহিম আদিল শাহের স্ত্রী তাজ সুলতানার সমাধি, সুলতানেরও। পাথরের দৃঢ়তার সঙ্গে অলংকরণের সূক্ষ্মতার আর আর্চের পেলবতার মিশেলে তৈরি একটা ছবি।
হ্যাপি মাদারস ডে : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৪ মে ২০১৭ | ১০০৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩০
পরবর্তী সময়ে প্রমাণিত হল, মা ছাড়াও অন্যরা এ দায়িত্ব বেশ নিতে পারে। কোলের শিশুটিকে নামিয়ে রেখে যখন দেশান্তরে যেতে হয়, তখনও মায়ের কোল ছেড়ে মাসির আদরে শিশুটি ভালোই থাকে। এরপরে স্কুলে ভরতির পালা। এদিক-ওদিক স্কুলে স্কুলে ঘুরে যে জ্ঞানটা পেলাম, সেটা হল মায়েরা চাকরী করলে সেই সন্তানেরা মানুষ হয় না। অতএব কোন কোন স্কুল চাকরী করা মায়েদের সন্তান ভর্তি করে না। কেউ বা ইন্টারভ্যুতে মায়ের ডিউটি-আওয়ারস শুনলে সেই যে চোখ মাথায় তোলে, শিশুটি দরজা দিয়ে বেরনর আগে আর সে চোখ নিচে নামে না। প্রশ্ন শুনলাম, how do you expect your daughter to grow up, if you do not give her time? উত্তরটা জানা ছিল। কারণ আমি নিজে চাকরী-করা মায়ের মেয়ে। যদিও সত্যির খাতিরে বলতেই হয় আমার মায়ের অফিসিয়াল ডিউটি আওয়ারস আমার থেকে অনেক কম ছিল, কিন্তু সাংসারিক কাজের ঘণ্টা যে মায়ের অন্তহীন ছিল! সে খবরে কারোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু মোদ্দা কথা বুঝলাম, আমার মত ট্যাঁরা মা, যে সন্তানের স্কুলে ভর্তির মত মহান কাজের জন্য নিজের তুশ্চু চাকরী ছাড়তে রাজি না, সে রকম মা থাকাটাই স্কুলে ভর্তির জন্যে বিপদ।
মানবিকতা ও বৈধতার অন্ধকার চেহারা : আসামের 'বিদেশি' আটক-শিবিরের ঝাঁকি-দর্শন - প্রথম পর্ব : হর্ষ মন্দার, অনুবাদ - স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২১৩৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ মনিটর হিসাবে, আক্টিভিস্ট হর্ষ মন্দার জানুয়ারিতে আসামের দুটি আটক শিবিরে যান। এই লেখাটি তাঁর অভিজ্ঞতার হাড়-হিম করা বিবরণ। প্রথম প্রকাশঃ ২৬ শে জুন, ২০১৮, দ্য স্ক্রোল। লেখক ও স্ক্রোলের অনুমতিক্রমে প্রকাশিত।
মানবিকতা ও বৈধতার অন্ধকার চেহারা : আসামের 'বিদেশি' আটক-শিবিরের ঝাঁকি-দর্শন - দ্বিতীয় পর্ব : হর্ষ মন্দার, অনুবাদ - স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৮০৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
আন্তর্জাতিক আইনও স্পষ্টভাবে বলেছে যে অভিবাসীদের জেলে আটকানো যাবেনা, এবং তাঁরা অপরাধী নন। জাতিসংঘের শরণার্থীদের নির্দেশনার হাইকমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত আটক শিবির গুলিতেই কেবল কাউকে আটকে রাখা যাবে। নির্দেশনাগুলি বলে যে, সরকার “শরণার্থী বা অভিবাসীদের, অপরাধ আইনের অধীনে বন্দী ব্যক্তিদের থেকে আলাদা করে কোন জায়গায় রাখতে” বাধ্য। ২0১২ সালে প্রকাশিত জাতি সংঘের নির্বিচারে আটকদশার বিষয়ে কার্যনির্বাহীপরিষদের (UN Working Group on Arbitrary Detention) রিপোর্টে, নয় নং নীতিতে বলা হয়েছে "শরণার্থী বা অভিবাসীদের রক্ষণাবেক্ষণ, এই উদ্দেশ্যটির জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি পাবলিক জায়গায় করা দরকার; তবে বিবিধ বাস্তব কারণে যদি সেটা করা সম্ভব নাও হয় সেক্ষেত্রেও তাঁদের অবশ্যই আইনতঃ অপরাধীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কোন জায়গায় রাখা উচিত।" UNHRC এও বলে যে আটক-আদেশ কোনভাবেই শাস্তি্মূলক নয়। জেলখানা, কারাগার এবং কারাগার বা জেলের মত ু’রে যেসব জায়গা ব্যবহার করা হয় সে সব জায়গাগুলিকে এ বাবদে ব্যবহার করা উচিত না।
তাগাথাং, মূলখারকা : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | বাকিসব : মোচ্ছব | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১৭৪৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
আমরা ঝটপট শহুরে ক্লেদাক্ত জামাকাপড় ছেড়ে ফেলে টুপি-মোজা-জ্যাকেট সম্বলিত হয়ে চল্লুম রান্নাঘরের পানে, সেখানে তখন অপেক্ষা করছে গরমাগরম মোমো আর কফি। সেই সন্ধ্যায় আমরা দু'রকম জায়গার চারজন মানুষ গল্প করতে করতে কখন একাত্ম হয়ে গেছিলাম টের পাইনি। হুঁশ ফিরলো জীবন দা, যে কিনা এই হোমস্টের মালিক তার কথায়। 'এখানে অনেক গেস্ট আসেন, কিন্তু সেরকম কোনো সাইট সিইং, বাজার-মল, সিনেমা হল এসব কিচ্ছু না থাকায় ফিরে চলে যান একদিন বাদেই।' হায়রে Mall, Hall ও কোলাহল প্রেমী বাঙালী, প্রকৃতির কাছে এসেও প্রকৃতিকে না ছুঁয়ে সেই গতানুগতিক "এখানে দেখার কী আছে"?
আমাদের এখানে একদিন থেকে পরদিন মূলখারকা চলে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তাগাথাং ঢুকেই আমরা ঠিক করে ফেলেছিলাম একদিনে আমাদের মন ভরবে না।
অথ বিবাহ-কথা : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | বাকিসব : মোচ্ছব | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ৩৪৩৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪৯
মালতীর বাড়ীতে এক তুতো দিদির বিয়ে। বিয়ে বাড়ীর লাখো কথা, হট্টগোল, খাওয়া-দাওয়া, আত্মীয়-কুটুম সে এক এলাহি ব্যাপার! কিন্তু সব ছেড়ে মালতীর চোখ পড়ল দুটো জিনিসে। প্রথমতঃ বিয়ের সব দায়িত্ব দিদির বাবা-মা’র অথচ বিয়ের কার্ডটি বাড়ীর এক অনুপস্থিত দাদুর ( বাবার জ্যাঠামশায়ের ) নামে। আশ্চর্য এই কারণে যে যৌথ পরিবার হলেও নাহয় কথা ছিল – কিন্তু সেসবের পাট চুকেছে বহুদিন আগে। এখন সব যার যার নিজের সংসার। তাই দিদির রোজকার খাওয়া-ঘুম-পড়াশোনার দুনিয়ায় তিনি কোথায়? অথচ এটাই নাকি নিয়ম! আর সেই প্রসঙ্গে শোনা গেল, দিদিকে সম্প্রদান করবেন দিদিরই আরেক প্রবাসী জ্যেঠু। এ তো আরও বড় অনুপপত্তি!
আসামের বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রোজনামচা : সৌরদীপ দে - অনুবাদ স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১০ আগস্ট ২০১৮ | ২৬০৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ২২
এই আটক-হওয়া মানুষদের অবস্থা বন্দীদের থেকেও খারাপ। তিনি ক্যাম্পের একটি দুঃখজনক বিবরণ দিয়েছেন, যেখানে দেখিয়েছেন যে এঁরা অন্যান্য "নাগরিক বন্দীদের" তুলনায় কেমন অনেক বেশি বিধি নিষেধের মধ্যে থাকেন। কোকড়াঝাড় কারাগারের নারী বন্দীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, এই মহিলাদের প্রায় এক দশকের মধ্যে একটি মোটামুটি ৫০০ বর্গ মিটারের ঢাকা জায়গার বাইরে বেরোতে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এই আটক-হওয়া মানুষদের অধিকার সম্পর্কে কেন্দ্র বা রাজ্যের থেকে কোন নির্দেশিকা বা নির্দেশ নেই। আসাম জেল ম্যানুয়ালের দ্বারা এই আটককেন্দ্রগুলি পরিচালনা করা হয়। রাজ্য আটক-কেন্দ্র ও কারাগারের মধ্যে বস্তুতঃ কোন তফাত করে না , এবং জেল কর্তৃপক্ষ আটক-হওয়া-মানুষ আর কোন অপরাধের-দায়ে-অভিযুক্ত বা দোষী-প্রমাণিত-হওয়া কারাবন্দীদের মধ্যে বেছে বেছে আসাম জেল ম্যানুয়ালের বিধিগুলোর প্রয়োগ করেন। জেল-নিয়মের আওতায় থাকা বন্দীরা প্যারোল বা কাজ-করে-মাইনে পাওয়ার মত যে সব সুবিধাগুলি পান, সেগুলোর থেকে এই আটক-হওয়া মানুষেরা বঞ্চিত।
পুরুষ, নারী ও ছয় বছরের উপরের ছেলেদের তাদের পরিবার থেকে পৃথক করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি বলে যে কীভাবে এই নির্বিচারে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারাবন্দীদের মত অবস্থায় আটক করে রাখা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। প্রতিবেদনটি আরও জানায় যে আসন্ন NRC র ( যা কিনা সম্ভবতঃ লাখ লাখ মানুষকে রাজ্যহারা করবে) প্রেক্ষিতে কিভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার, বিশেষতঃ সব থেকে পবিত্র সংবিধানের আর্টিকল ২১ দ্বারা সুনিশ্চিত করা যে অধিকার, বিপন্ন। এই সব রাজ্যহারা মানুষদের নিয়ে কী করা হবে, সে বাবদে ভারতের কোন নীতি নেই।
সুতরাং, আটক শিবির সম্পর্কে সত্যিগুলো বাইরে বেরিয়ে এসেছে। রিপোর্টে অনেককিছু আছে এবং পরিস্থিতির গভীরতা বোঝার জন্য, আমি আন্তরিকভাবে চাই যে সবাই এই নিবন্ধ এবং পূর্ণ রিপোর্টটি পড়ুন
সাজ - এক অবান্তর সংলাপ : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৫ মার্চ ২০১৮ | ৯৮৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
"ওঃ দিদুন! তুমি না ইনকরিজিবল! আমাদের চিড়িতন, হরতন, ইসকাবনের মতন দেখতে লাগে?"" কী জানি! আমার তো বয়স হচ্ছে – চোখে হাই পাওয়ারের চশমা – আমার চোখে তো সব এক ধাঁচের লাগে! ওই যে সেদিন তোর তুলিদিদির এনগেজমেন্টের পার্টি ছিল, আমি তো এক জায়গায় বসে বসে দেখছিলাম – সবাই কেমন একই রকমের ঢেউ খেলান চুল, একই রকমের মেকআপ, ঝকঝকে দামি শাড়ি- গয়না পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল – আমার তো সবাইকেই এক রকম লাগছিল। সবই ছিল – সবার ঝকঝকে মুখ, তকতকে চেহারা – কিন্তু কেমন মেকিয়ানা, নকলনবিশি - নিজস্বতা ব্যাপারটা খুঁজে পেলাম না রে!"" তুমি না আমার সব কেমন ঘেঁটে দিচ্ছ! তুমি বলছ আমরা কসমেটিক্স কোম্পানি গুলোর অন্ধ অনুসরণ করি!""একদম। আর জানিস-ই তো কস্মেটিক্স তৈরি করতে, তাঁর টেস্টিং করতে কত কত নিরীহ প্রাণী মারা যায়। তারপরেও তোরা তাদের বয়কট করিস না। অবশ্য শুধু কসমেটিক্স কোম্পানিই তো নয়, সে দলে আছে সব গয়নার কোম্পানি, জামা কাপড়ের, অ্যাক্সেসরীজের ব্র্যান্ড, হেয়ার স্টাইলিং এর ব্র্যান্ড – সবাই। একজন বলল, হীরে হল মেয়েদের শ্রেষ্ঠ বন্ধু – ব্যস অমনি সবার হীরের গয়না কেনার হিরিক পড়ে গেল।
দেশভ্রমণের দশ, উপলক্ষ্য নারীদিবস : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৮ মার্চ ২০২০ | ৪১৪৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
আমি মনে করি না ঘরে বসে কেক কেটে বা পার্টি করে, শপিং মলে কিছু বিশেষ ছাড়, পার্লারে কিছু বিশেষ ইভেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে নারী দিবস পালন করা যায়। নারীদের জন্য বছরের প্রত্যেকটা দিনই সমান। প্রতিটা দিন সমান লড়াইয়ের, সমান ভাবে বাঁচার। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে যখন নিজের শিক্ষার অধিকার নিজে বুঝে নিয়েছেন, নিজের পেশাগত যোগ্যতায় কারো থেকে কম নন, কারোর চেয়ে এক বিন্দু কম প্ররিশ্রম করেননি উলটে প্রতি মূহুর্তে আপনাকে প্রমাণ দিয়ে যেতে হয়েছে নারী বলে আপনি মেধায়, দক্ষতায় কম নন তখন নিজের ভালো লাগা, মুক্তির স্বাদ টুকু বলি কেনো দেবেন কারোও কথা ভেবে? জীবন বিশাল বড়। বুড়ো বয়েসে অচল অবস্থায় শুয়ে আক্ষেপ করবেন না অ্যালবামের পাতা ওল্টাবেন আপনার পছন্দ। নিজেকে ভালোবাসা স্বার্থপরতা নয় এটা বুঝতে বুঝতেই জীবন অতিক্রান্ত করে দেবেন? নিজেকে ভালো রাখতে না পারলে যে পৃথিবীর কাউকে ভালো রাখার ক্ষমতা কারোরই নেই।
লীলাবতীর কিসসা-ওয়ালী : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৮ মার্চ ২০২০ | ৩৯৩৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
বিজ্ঞান মানে তো শুধু যুগান্তকারী আবিস্কার নয়, রোজ একটু একটু করে প্রদীপের সলতে পাকানোটাও বিজ্ঞান, যাতে পরের আবিষ্কারের কাজটা সহজতর হয়। তবে আমাদের সাধারণ হিরো-নাহলেই-জিরো ভাবার মানসিকতার প্রেক্ষিতে এই সলতে পাকানোর কাজটাও যে গুরুত্বপুর্ণ, এ না হলে বিজ্ঞানের এগোন বন্ধ হয়ে যাবে এই বোধ তৈরি করা খুব দরকার। এই বইটা খুঁজে খুঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন শাখার বিজ্ঞানীদের নীরব কাজ তুলে এনে কিছুটা সেই ধারণাও তৈরি করতে পেরেছে। আর বহুদূর দেশের বিদেশিনী না বা ইতিহাস খুঁড়ে বার করে আনা আগের যুগের বিজ্ঞানী না, আমারই সময়ে আমারই দেশে এই বিজ্ঞানীরা এত কিছু কাজ করছেন, এটা পড়ে বুড়োরাও এক্সট্রা উজ্জীবিত বোধ করছেন, বাচ্চারা এ লেখা পড়ে মোটিভেটেড হবে বলেই মনে হয়। কোন কোন বাচ্চা হয়তো এই বইএর চরিত্রদের মধ্যে থেকে রোল মডেল খুঁজে নেবে।
সার্স-কোভ২ ভাইরাসও সম্ভবত আমাদের সঙ্গে অনেক দিন থাকবে: পিটার পিওট (২) : অনুবাদঃ স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৮ মার্চ ২০২০ | ৪৫২৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
আমার বিশ্বাস যে সম্ভবত আগামী কয়েক মাসে, আমরা খুব সম্ভবত এখানকার ওষুধগুলোরই এমন কোন off-label” ব্যবহার পাব যেটা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিত্সা করতে সাহায্য করবে। অন্য ভাবে বললে, এখনকার কোন ওষুধেরই, যেটা আদতে হয়ত HIV র মত অন্য কোন ভাইরাল সংক্রমণ সারাতে ব্যবহার হয়, তার নতুন কোন ব্যবহার পাব । তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সময় লাগবে আর অনেক অনেক সত্যিকারের পরীক্ষা করতে লাগবে। নতুন রোগাপহরক ওষুধগুলোর ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে চলছে অনেক জায়গাতেই, বিশেষত চীনে। এটা খুবই আশার কথা।
সার্স-কোভ২ ভাইরাসও সম্ভবত আমাদের সঙ্গে অনেক দিন থাকবে: পিটার পিওট (৩) : অনুবাদঃ স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৮ মার্চ ২০২০ | ৪৬৫৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
পিটার পিওট জনস্বাস্থ্য ও বিশ্ব স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা, স্নাতকোত্তর গবেষণা এবং উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের ডিরেক্টর।ফিনান্সিয়াল টাইমস তাঁর সম্বন্ধে বলেছে "বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত 'ভাইরাস শিকারী' "। প্রফেসর পিওট ১৯৭৬ সালে জাইরেতে ইবোলা ভাইরাসটির আবিষ্কর্তাদের মধ্যে একজন। তিনি ১৭টি বই আর ৬০০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। বই এর মধ্যে আছে ২০১২ সালে WW Norton থেকে প্রকাশিত 'No Time to Lose' নামের ওঁর স্মৃতিকথা, যেটা ফরাসী, ডাচ, জাপানি এবং কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত, আর আছে 2015 সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে প্রকাশিত 'AIDS between science and politics'।
আদালত, শাঁখা-সিঁদুর এবং কিছু ভাবনা : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৫ জুলাই ২০২০ | ৫২৬৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ২১
আস্তে আস্তে পিতৃতান্ত্রিকতা শব্দটার সঙ্গে পরিচয় হল। বুঝলাম, রবি ঠাকুর থেকে শুরু করে কবি সাহিত্যিকরা যতই মিলনের রোম্যান্টিকতার ছবি আঁকুন না কেন, বিয়ে নামক মিলনের সমাজ-স্বীকৃত পথটি আদতে পিতৃতন্ত্রের মেয়েদের তাঁবে নিয়ে আসার অন্যতম রাস্তা। আর সেই বিয়েতে পাওয়া সম্পত্তিটিকে চিহ্নিত করে দেওয়ার ইচ্ছে থেকেই আদতে শাঁখা-সিঁদুরের জন্ম। এই বোঝার ঢেউ এসেছিল আমাদের আগের প্রজন্মেই, আমাদের প্রজন্মে বোঝাটা একটু বেশি জোরদার হল। অনেকেই বর্জন করলেন বিবাহের চিহ্ন। অনেকে নিলেন মধ্য পন্থা – কিছু বর্জন, কিছু রেখে দেওয়া, নিজের ইচ্ছা মত। একের দেখাদেখি আরও অনেকে।
উত্তমকুমার, চন্দ্রমুখী এবং ... : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব | ২৭ অক্টোবর ২০২০ | ৪৩০৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৭
সেদিন থেকেই শুরু। রাতের বেলায় উপর নীচ করতে থাকা ঘামাচি ভরা পিঠে হাত রেখে মালতী ভাবে উত্তমকুমারের পিঠে হাত রেখেছে। স্তনের মোচড়েও ব্যথা লাগে না আর। বরং শরীর গলে গলে পড়ে। সব থেমে গেলে তেলচিটে বালিশে মাথা রেখে বচ্চন মুখ হাঁ করে ঘুমায়। মুখের গড়ানো লালে বালিশ ভেজে। পাশে শুয়ে মালতীর কিছুই চোখে পড়ে না। ঠোঁটের উপর ঘামের বিন্দু জমে। আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো হাতে মুছে দেয়। উত্তমকুমারের নরম ছোঁয়ার মত । ঘরে অলীক সুবাস ঘোরে। ইচ্ছে করেই বুকে কাপড় টানে না। একটুকরো চাঁদের আলো এসে পড়ে গলায়, পেটে, স্তনবৃন্তে। যেন ওই পুরু ঠোঁট ঘুরে বেড়ায় তার শরীরে। কল্পসুখে সে শিউরে শিউরে উঠে। তারপর কখন ঘুমের অতলে তলিয়ে যায়। স্বপ্নে সুচিত্রাকে সরিয়ে দেয় মালতী, ঢুকে পড়ে উত্তমকুমারের বাহুর মধ্যে।
উত্তমকুমারই অবশ্য থেকে যান। মাত্র দেড় বছরের মাথায় লাথি মেরে মেরে বচ্চন একদিন ঘর থেকে বার করে দেয়। ততদিনে ভাইরা ডাগর হয়েছে। নিজের নিজের কাজ-কর্ম শুরু করেছে। তারা দিদির পাশে দাঁড়ায়। বলে, “বাড়িতে এসে কদিন বসে থাক। দেখবি, সুড়সুড় করে ল্যাজ নাড়তে নাড়তে আবার এসে তোকে নিয়ে যাবে।” প্রথম প্রথম মালতীও তাই ভাবে। কিন্তু দেখে বচ্চন ফেরত নিতে এলে, বাড়ির সকলের বিগলিত মুখ। আর শোনে, “মায়ের শরীর খারাপ, রান্নাবান্না নিয়ে বহুত ক্যাচাল। রোজ রোজ ভাল লাগে না। নাহলে কোন শ্লা ...।” আবার বচ্চনের হাত ধরে নদী পেরোয়, শ্বশুরবাড়ি যায়। শরীরের ঘা এতদিনে শুকিয়েছে। আরেকবার উত্তমকুমারকে আঁকড়ে ধরে হাত ।
সাদায়-কালোয় : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | ভোটবাক্স : বিধানসভা-২০২১ | ০৫ এপ্রিল ২০২১ | ৩০০৬ বার পঠিত
বাস্তবে কী হয় সেটা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুন্ডে। ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে, ২০১৩ সালে তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন যে ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৯০০০ টাকা আর ২০০৯ সালের নির্বাচনে তাঁর কেন্দ্রে তিনি ৮ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। আলোড়ন উঠেছিল তাঁর এই কথায়। ২০০৯ সালে তাঁর কেন্দ্রে খরচের উর্ধ্বসীমা ছিল ২৫ লাখ টাকা। মজা এই যে, নির্বাচনী কমিশনের কাছে মুন্ডের খরচের যে হিসেব জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে তাঁর নির্বাচনী খরচ বলা হয়েছিল মাত্র ১৯ লাখ টাকা।
লকডাউন(মে, ২০২১) নিয়ে দু-চার প্রশ্ন : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | খবর : টাটকা খবর | ১৫ মে ২০২১ | ৩৮৬৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ১১
প্রথম কথা লকডাউন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। এই রাজ্যের একটা বড় জনভারের অংশ ইতিমধ্যেই গত লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তার উপর রাজ্যের উপর দিয়ে গেছে আম্ফানের মতন বড় দুর্বিপাক। গ্রামে-গঞ্জে দিকে দিকে কোভিড ছড়িয়ে পড়েও রুটি-রুজি মার খেয়েছে অনেকের। তার উপর এই আচমকা একদিনের নোটিসে লকডাউন। পেটের ভাত জুটবে তো সকলের? উপোষী পেটে কোভিড সংক্রমণ কিন্তু প্রায়-নিশ্চিত মৃত্যুর প্রেসক্রিপশন। কেন “দুয়ারে রেশন” এর মত সুবিধার কথা ভাববে না সরকার? আর শুধু তো রেশন নয়, বেঁচে থাকতে লাগে আরও কিছু জিনিস। যেসব মানুষ লকডাউনের চক্করে সাময়িক জীবিকাহারা হলেন বা আগেই জীবিকা হারিয়ে অসহায় বিপন্নতার দরজায়, সেই অজস্র অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত / একদা-জড়িত মানুষদের জন্য কেন সরাসরি সাময়িক আর্থিক ভাতা দেওয়া হবে না? এবং কেন নিশ্চিত করা হবে না যে সেই অর্থ বিপন্ন মানুষ পাবেন ‘দাদা’ না ধরে, কাউকে তার থেকে ভাগ না দিয়ে?
শেষ অভিষেক : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : ইদের কড়চা | ২১ মে ২০২১ | ৩৫২০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
কিসের বই তা জানে না মানোয়ারা, শুধু তার প্রথম পাতায় লেখা ‘আশিস চৌধরি’। এই নামটা আম্মি বারে বারে লেখাত। নামটা যে আব্বুর, সেটা মানোয়ারা জেনে ফেলেছিল। আম্মিকে আর জিজ্ঞেস করার দরকার পড়ে নি। আম্মির কথায় ও শুধু বড় বড় অপটু হরফে লিখত, আশিস চৌধরি। একটা কুড়িয়ে আনা পেন্সিল আঁকড়ে। হলদেটে কাগজের উপর আবছা লেখা। আম্মি মারা যাওয়ার পর আবার একদিন কাগজের তাড়াটা নিয়ে বসেছিল মানোয়ারা। আগের লেখাগুলো আর পড়াই যায় না, এতই আবছা।
আম্মি মারা যাওয়ার পর এই ঘরটার অলিখিত মালিক হয়ে গেছে মানোয়ারা। কে যেন একবার বলেছিল, বাচ্চা মেয়ে, একা থাকলে জিন-পরিতেও ধরতে পারে, নাজনিনের ঘরের মেঝেতে শুক বরং ও। তাতে খালা ভাগ্যিস রাজি হয় নি। খুব কেঁদে কেঁদে বলছিল, “কী দোষ করেছি আমি যে আমার ঘরে ওই বেজন্মা বাচ্চাটাকে ঢোকাতে বলছ?”
সুতারা, বাসন্তীদের কথা : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | পড়াবই : কাঁটাতার | ১৫ আগস্ট ২০২১ | ৫২৩৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
"আমাদের দেশভাগ এক জটিল, বহুস্তরীয় ইতিহাস। বিভিন্ন ছোটগল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথায় তার বিভিন্ন দিক উন্মোচিত হয়েছে। কোনও একটি লেখা তো তার সব কোণ ধরতে পারে না। তার উপর উদ্বাস্তু শব্দটা তো আর কোন সমসত্ত্ব গোষ্ঠীকে বোঝায় না। বিভিন্ন জাত-ধর্ম-লিঙ্গ-দেশ-কালের স্থিতির ভিত্তিতে একেক জনের দেশভাগের স্মৃতি একেক রকমের। প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন লেখা জুড়ে জুড়ে তৈরি হয় এক রক্তমাখা ইতিহাস। সেখানে হতাশা, দুঃখ, যন্ত্রণার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সংগ্রাম, সাফল্য আর ব্যর্থতার কাহিনি। যে দেশভাগ মধ্যবিত্ত উচ্চবর্ণ বাঙালি পুরুষের কাছে ধন-মান-প্রাণ নিয়ে পলায়ন, এবং পরবর্তীকালে এক ধরণের স্মৃতিমেদুরতার জন্মদাতা, সেই একই দেশভাগ অন্য অনেক মেয়েদের ব্যক্তিগত যাতনার উৎসমুখ।"
জ্যোতির্ময়ী দেবীর "এপার গঙ্গা, ওপার গঙ্গা" আর গোপালচন্দ্র মৌলিকের "দেশভাগ ও ননীপিসিমার কথা" - পড়লেন স্বাতী রায়।
জাদুগর, জাদুগর : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | পড়াবই : মনে রবে | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২২৯৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
২০১৯ র দিল্লি বইমেলাতে কুমুদির এতাবৎ প্রকাশিত লেখাগুলোর থেকে কিছু লেখা একসঙ্গে করে একটা বই বেরোল। কুমুদির রোমহর্ষক গল্পসমূহ। গুরুচন্ডা৯-র থেকেই। এই বইতে সব গল্পই অতি প্রিয়। আর বইটা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমার ইচ্ছে করে পুরো বইটাই কোটেশন হিসেবে তুলে দেই। গল্পগুলো মানে প্লটগুলো মজাদার তো বটে, কিন্তু প্লটের অন্তর্নিহিত মজা আর চরিত্র বর্ণন কুমুদির অননুকরণীয় সরস বর্ণনায় যে কোথায় উঠে গেছে তা আর কি বলব। ই যেমন ধরুন না সাইকেল চালাতে শেখার গল্পটাই – প্রথম সাইকেল চালাতে শেখার অনেক মজার মজার গল্প আমাদের অনেকেরই স্টকে আছে, কিন্তু সেই গল্পই একবারটি পড়ে দেখুন কুমুদির বয়ানে, “একটি সাইকেল ও দেহলিজ”
। দেখবেন কখন যেন আপনিও আওড়াতে শুরু করেছেন, “ডরাইলেই ডর”। কোন গল্প ছেড়ে কোন গল্পের কথা বলি! কেবলীর কলেজ জীবন, গোবু মহারাজের সঙ্গে তার প্রেম জীবন এবং বিবাহপর্ব - এসব তো আমাদেরই গল্প, শুধু নিজেরা যেন দেখতে শিখি নি – কুমুদি হাতে ধরে দেখিয়ে দিলেন।
ভালোবাসি, ভালোবাসি : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | পড়াবই : প্রথম পাঠ | ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ | ৩১৩৬ বার পঠিত
কেন দেখে সে? কারণ, ‘রূপ লাগি আঁখি ঝুরে’। ষোল’র স্বচ্ছ চোখে টলটল করে ভালবাসা। ভাব গোপন করার অভিজ্ঞতা-শাসন তখনও তার অনায়াস-আয়ত্ত নয়। সহজেই সে চোখের ভাষা পড়ে নিতে পারে উদ্দিষ্ট জন। একের মনে যে সুন্দরের তৃষ্ণা, তবে অপরজনের মনের সুরটি যদি অন্য তারে বাঁধা হয়? বেদনার অনিবার্যতা হেমন্তের আবছা হিমের মত জড়িয়ে থাকে সে সম্পর্কের গায়ে। অথচ মুর্শেদরা জানেন, বেসুর থাকে বলেই না আমাদের সাধনা জীবনে সুরকে ছোঁয়ার। বেসুরকে ছেঁটে দিলে সুরের সৌন্দর্যও ঝলক হারায়। তাই কখনো কখনো বেদনাকে আশ্রয় করেই লতিয়ে বাড়ে জীবন। আশায় আশায়। যেমনটা হয়েছিল মল্লারের।
জঙ্গ-কি-ময়দান : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০৬ মে ২০২২ | ১৯৩০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
রুদ্র জ্যৈষ্ঠ। সকাল নটা-দশটাতেই রোদের যা তাত! গা যেন ঝলসে যায়, সওয়া যায় না। পিরবাবার মাজারের দিক থেকে হাওয়া আসে। হাওয়া তো নয়, আগুনের হলকা। পাক খেতে খেতে ছুটে আসে গ্রামের দিকে। ঝলসিয়ে দেয় চামারদের বিবর্ণ গেরস্থালির আয়োজন। নেহাতই একটেরেতে বাসের ব্যবস্থা, গ্রামের অনেকটা দক্ষিণে। এদের গায়ের হাওয়া যেন আশরাফদের গায়ে না লাগে। হাওয়াকে নিয়মের গণ্ডিতে বাঁধে কার সাধ্যি। তবু চেষ্টার কমতি নেই!
কার বোঝা কে বয়? : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : পরিবেশ | ০৫ জুন ২০২২ | ২৭০০ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৮
সুন্দরবনের একটা একদম অন্যরকম, অন্যত্র না-দেখা-যাওয়া সমস্যাও আছে। প্রতিবার সেখানে সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয় আর মানবতার খাতিরে প্রচুর ব্যক্তি/ সংস্থা সেখানে ত্রাণ দিতে এগিয়ে আসেন। কিন্ত সমস্যা হল এই ত্রাণের সঙ্গে আসা প্লাস্টিক। কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নামের একটি এনজিও একটি প্রাথমিক সার্ভে করে জানিয়েছেন যে আমফান বিপর্যয়ের পরে কমপক্ষে ২৬ মেট্রিক টন প্লাস্টিক সুন্দরবনে এসে জমা হয়েছে। ইয়াসের পরেও, তুলনায় ছোট স্কেলে হলেও, এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বিপর্যয়ের ত্রাণ হয়ে যাচ্ছে ত্রাণের বিপর্যয়।
রুদালি টু ডট ও : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব | ১১ অক্টোবর ২০২২ | ২০৩৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
কিন্তু কাল রাতে একটা জব্বর নাম এসেছে মাথায়। সেটা নিনিকে বলতে হবে। আর দশটা কাজে জড়িয়ে পড়ার আগে। তাই অপেক্ষা করে পৃথা। মেপে মেপে ক্যারাফেতে জল ঢালে। বসিয়ে দেয় বার্নারে। তারপর গ্যাসের নব ঘোরায়। খোলা জানলা দিয়ে চুইয়ে আসে ভোরের তরল, পাতলা অন্ধকার। এক দৈবী আলোর মত গ্যাসের শিখারা লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠে। হাইড্রোকার্বনের অণুগুলো ক্যারাফের তলা ছোঁয়। পৃথার মনে পড়ে যায়, ওর মায়ের কথা। প্রথম যেদিন ওকে কাঁচের ক্যারাফে গ্যাসের আগুনে বসাতে দেখেছিল, কি ভয়টাই না পেয়েছিল! যদি আগুনের শিখায় কাঁচ ফেটে যায়! ওই ভয়টা! ভয়টাও ওদের পোর্টফোলিওতে চাই। মনে মনে নোট করে পৃথা। হয়ত এক্ষুণি কাজে লাগবে না। কিন্তু ইটস ইউনিক। কিছুটা না-জানা, ফ্লেম প্রুফ ব্যাপারটাই মা বোঝে না, কিছুটা মেয়েকে সব বিপদ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাওয়া, সব কিছুর একটা পারফেক্ট পাঞ্চ।
গুনিন ও বেলেহাঁস - পাঠ প্রতিক্রিয়া(১) : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | পড়াবই : প্রথম পাঠ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৬৩৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
ধুন্দুলের লতা বা আকন্দের চারা যদিবা দেখেছি, তাও মনে হয় যেন বিগত জন্মের স্মৃতি, কাউরি গ্রাম-ফেরতা কোন গুনিনের সঙ্গেই কোনদিন কোন লেনাদেনা গড়ে ওঠেনি। না ভয়ের, না ভালবাসার। অবশ্য সে দেখলে শ্যাখের বিবি হালিমার ঘরকন্নাই বা কোন সুতোয় চেনা! তবু একুশ বছরের দিদির বিয়ের দায় মাথায় চাপানো চৌদ্দর ছোটভাই এর শিশু শ্রমের গল্পটা চেনা চেনা লাগে যে! আর তারই মাঝে লেখক কেমন বুনে দেন শবেবরাতের মোমের আলো আর দোলের চাঁদের পৃথগন্ন হওয়ার কিসসা।
টঙ্কা নাকি ফক্কা – মেয়েদের হালচাল : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : সমাজ | ০৯ মার্চ ২০২৫ | ৬৩৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
পরিবার নিরাপদ আশ্রয় হলেও, জীবনে এমন পরিস্থিতি আসতে পারে যখন একা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কারও নিরাপত্তার ছাতা সরে যেতে পারে, আবার কেউ ইচ্ছাকৃতভাবেও একা থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আজ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকলেও ভবিষ্যতে কী হবে বলা যায় না। তাই নিজের টাকা-পয়সার ব্যাপারে নিজে সতর্ক থাকা জরুরি।
সমীক্ষার ফলাফল বলছে, বেশিরভাগ মেয়ে অর্থ সম্পর্কে সচেতন, কিন্তু আত্মবিশ্বাসী নন। ২১% মেয়ে এখনো বিনিয়োগ বা সঞ্চয় বুঝতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। আবার যারা আত্মবিশ্বাসী, তাঁদের অনেকেই পরিবারের ওপর নির্ভর করেন। সেই সঙ্গে
ঝুঁকি নেওয়ার বিষয়ে মেয়েদের দ্বিধা স্পষ্ট। তবে যাঁরা নিজেদের আর্থিক জ্ঞান নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, তাঁদেরও অনেকেই কোন ঝুঁকি নেন না! জ্ঞানটি যথেষ্ট সময়-উপযোগী ও সম্পুর্ণ তো? প্রশ্ন থেকেই যায়।
পুণ্য টু পুঁজি ভায়া লোভ : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১২৮০ বার পঠিত | মন্তব্য : ১২
মুসলিম ধর্মীয় আইন অনুসারে ধর্মীয় কারণে ( মসজিদ ইত্যাদি তৈরির জন্য ) বা জনহিতকর কাজে ( স্কুল, হাসপাতাল তৈরি বা দরিদ্র আতুরের সেবার জন্য ) দান করা সম্পত্তিই হল ওয়াকফ। লিখিত ওয়াকফনামার মারফৎ তো সম্পত্তি দান করাই যায়, এছাড়াও দীর্ঘকাল ব্যবহারের দরুণ ওয়াকফ (বা ওয়াকফ বাই ইউজেস ) এবং ওয়াকফ-আলাল-আউলাদ ( যা কিনা প্রাইভেট ওয়াকফ যার থেকে অর্জিত অর্থ বংশধরদের কাজে লাগবে এবং বংশলোপ পেলে সেই সম্পত্তি ওয়াকফের হাতে চলে যাবে। ) ও মান্য হত। যিনি সম্পত্তি দান করতেন তিনি হলেই ওয়াকিফ। ওয়াকফ ছিল চিরস্থায়ী ব্যবস্থা, তার মালিক হলেন আল্লাহ স্বয়ং। বোঝার সুবিধার জন্য ধরা যায়, এটা অনেকটা আমাদের দেবোত্তর সম্পত্তির অনুরূপ। দেবোত্তর সম্পত্তির ক্ষেত্রে যেমন সেবাইত থাকেন ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনা করেন মুতওয়ালি। খালি বিবাদ বিসম্বাদ উপস্থিত হলে দুই আলাদা আলাদা আইনের মাধ্যমে দেবোত্তর ও ওয়াকফ সম্পত্তির মীমাংসা হয়। ওয়াকফ সম্পত্তির পঞ্জীকরণ ও পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের। এটা মুসলমান পার্সোনাল আইনের অংশ।