বাংলাদেশে এখন চলছে ষড়যন্ত্র, কাউন্টার ষড়যন্ত্র! কে যে কোন উপলক্ষে কাকে খেয়ে দিচ্ছে ধুলায় অন্ধকার। আজকে গলা ধরে গান গাচ্ছে পরেরদিনই দেখা যাচ্ছে একজন আরেকজনকে ধুয়ে দিচ্ছে! চোখ কান খোলা রেখেও এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত সত্য বুঝা মুশকিল। আর এদিকে আমাদের আম জনতা তো আছেই, যেখানে চোখ খুলেই বুঝা মুশকিল সেখানে তারা চোখ বন্ধ করে সব বুঝার চেষ্টা করছে, আওয়াজ যেদিকে সুবিধার মনে হয় সেদিকেই ঢলে পড়ে সবাই। সঞ্জীবের উপন্যাসে পড়েছিলাম দুইটা কলস একে ওপরের গায়ে সখি লো বলে ঢলে পড়ে, এখানেও অমন, সমানে এদিক সেদিক ঢলে পড়ছে!
রাজনীতির জন্যই হোক বা যে কারণেই হোক পুরো সরকার হুট করেই মুক্তিযুদ্ধের দিকে ফিরে আসা শুরু করেছে। শিবিরের এক নেতার লেখা শিবিরের একটা পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পরে মাহফুজ আলম তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে! মুক্তিযুদ্ধ মানেই বাংলাদেশ বলে হুঙ্কার দিছে। তার ফেসবুক পোস্ট প্রসব হওয়া মাত্র জি হুজুরেরা সবাই এখন বলা শুরু করছে, মুক্তিযুদ্ধের কোন অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না! হইছে না কাম? মাহফুজ এখন বলতেছে শেখ মুজিবকেও ৭২ পূর্ববর্তী সময়ের জন্য যথাযথ সম্মান দিতে হবে! যদি এখন পর্যন্ত তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
এই আলাপে যাওয়ার আগে জামাত শিবিরের কথা একটু বলি। গুরুর পাঠকের অনেকের মনে হতে পারে জামাত শিবির সম্পর্কে আমি বোধহয় একটু বেশি বেশিই বলি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অকারণেই শঙ্কা প্রকাশ করি। তাদের জন্য এই সময়টা হচ্ছে উপযুক্ত সময় জামাত শিবিরকে চেনার। এখন ওরা খোলস ছেড়ে বের হচ্ছে, খোলাখুলি বলা শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধ একটা ফাঁদ ছিল। বলছে মুক্তিযুদ্ধে মুসলমানদের অংশ গ্রহণ ছিল একটা ভুল, স্বাধীনতার পরে না কি মুসলমানরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে! স্বাধীনতার পরে তারা বুঝে যে এইটা পুরোটাই ভারতের চক্রান্ত ছিল, তারা এখন অনুতপ্ত। এইটাই হচ্ছে ওদের চরিত্র। অনেকেই জামাতের বর্তমান আমিরের এতদিনের নানা বক্তব্যে ভাবা শুরু করেছিল জামাত শুদ্ধ হয়ে গেছে। তারা এখন শিবির নেতাদের বক্তব্য গুলো কান খুলে শুনলেই পারে। খালেদ মহিউদ্দিনের অনুষ্ঠানে এক শিবির নেতা সরাসরিই বলল যে জামাত ৫৩ বছর আগে যেটা বুঝেছিল মানুষ এখন তা বুঝতেছে! কী সেই ঐশী বানি? মুক্তিযুদ্ধ ভারতের ষড়যন্ত্র ছিল! এই চরিত্র তাদের যা আমরা আগে থেকেই জানতাম। জামাতের এই স্ট্যান্ড জীবনেও পরিবর্তন হবে না। এই স্ট্যান্ড যদি তারা পরিবর্তন করে তাহলে তাদের পূর্বের সমস্ত নেতাদের সাথে বেইমানি করা হবে, যা তারা কোনদিনই করবে না। আর এই কারণেই আমাদের স্বাধীনতার এতদিন পরেও সজাগ থাকতে হয়, লেখালেখি করে যেতে হয়, না হয় এই পিশাচেরা যে কোন সময় স্বাধীনতা নিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করে দিবে।
আমরা কিন্তু এইটাই চেয়েছিলাম। অন্তত আমি আমার কথা বলতে পারি। ডক্টর ইউনুসের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল, আমার আগের লেখা পড়লেই বুঝা যায়, আমি বেশ লম্বা সময় পর্যন্ত সরাসরি তাকে দোষারোপ করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল না, ইনি তো এমন করার কথা না, কোথাও ভুল হচ্ছে, তিনি ঠিক সামাল দিয়ে দিবে। কিন্তু না! তিনি আজব এক চরিত্রের রঙ দেখালেন আমাদেরকে। আমি তাদের এখন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ফেরার কথাই শুরু থেকে আশা করেছিলাম। শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের বর্তমান নেতাদের নানা কুকীর্তি এক দিকে আর স্বাধীনতা যুদ্ধে আওয়ামীলীগ, বঙ্গবন্ধু একদিকে। তুমি কেন তখন কঠোর হাতে এইসব বিষয়ে যারা ফাইজলামি করতেছিল তাদেরকে দমন করলা না? কেন একটা শব্দ বের হল না তখন? কেন তখন ৩২ নাম্বার প্রশঙ্গে তোমার মুখ দিয়ে বের হল রিসেট বাটন চাপ দিয়ে আগের সব মুছে দেওয়া হয়েছে? এই ভূখণ্ডের ইতিহাসে, এই জাতির ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে বড় কোন ঘটনা ঘটে নাই, এর চেয়ে গর্বের আর কিছু নাই আমাদের। এইটাকে বাইপাস করে কই যেতে চাইছিলা তোমরা? কতদূর যেতে পারছিলা?
এত বছর মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যবসা করে আজকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পলটি মেরে অনেকেই বলছে মুজিব আবার ক্যাডা? তারা যথারীতি ওপর থেকে সংকেত পাওয়া মাত্র আবার মুক্তিযুদ্ধ, মুজিব নিয়ে লেখালেখি শুরু করে দিয়েছে। আজকে একজনের একটা লেখা চোখে পড়ল, তিনি লিখেছেন এখন আবার এগুলা বলার সময় হয়েছে, আন্দোলনের পরে ইদ্দতকাল শেষ হইছে! এখন মুজিবকে সঠিক সম্মান দেওয়া হবে! এদিকে তাদের ইদ্দতকালের মধ্যে পুলিশের হিসাবে গত চার মাসে বাংলাদেশে খুন হয়েছে ৯৪৭টি। এই সময়ের মধ্যে ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা হয়েছে প্রায় ৮০০টি! এগুলাও ইদ্দতকালের মধ্যেই পড়েছে না? খুব স্বাভাবিক ঘটনা এগুলা?
মুক্তিযুদ্ধকে আজকে এরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে। কারণ বুঝে গেছে উপায় নাই। এই উপলব্ধি যে আসলে রাজনৈতিক উপলব্ধি তা আমরা বুঝি, না হলে কেউ অন্তত এখন ৩২ নাম্বারের ব্যাপারে কোন একটা উদ্যোগ নিত। কিন্তু তারাও জানে ওইটা নিয়ে কিছু বলা যাবে না। যে ফারুকি লিখেছিল সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত ৩২ নাম্বার সংস্কার করে শেখ মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটাকে আবার আগের রূপে ফিরিয়ে নেওয়া। তিনি নিজে সরকার হয়ে এখন এই বিষয়ে চুপ। তার স্ত্রী মুজিব সিনেমায় মুজিবের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করে দিব্যি আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছে অন্যদিকে আরফিন শুভ মুজিব সিনেমায় মুজিব চরিত্রে অভিনয় করে দৌড়ের উপরে রয়েছে! বেচারার মা মারা গেছে, এই জন্য আন্দোলনের সময় কোন পক্ষে কথা বলে নাই। কিন্তু কে শোনে কার কথা? সরকারি একটা প্লট পেয়েছিল, ওইটা কেড়ে নেওয়া হয়েছে!
হুট করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলা নিয়ে লেখক দার্শনিক মহিউদ্দিন মোহাম্মদ তার ফেসবুকে একটা পোস্ট লিখেছেন, তা থেকে কিছু অংশ এখানে দিলাম প্রাসঙ্গিক ভেবে, এইটা ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে উনার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে - “ছাত্র-উপদেষ্টারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ নিচ্ছে, এটা তো খুশি হওয়ার মতো সংবাদ ছিলো, কিন্তু জনগণ খুশি না হয়ে সন্দেহের চোখে দেখছে কেন? কারণ আপনার বিহ্যাভিয়োরাল প্যাটার্ন ভালো নয়। সারা জুলাই শেখ মুজিবের ভাষণ বাজিয়েছেন, মুজিবের বই থেকে মুক্তিবাক্য উদ্ধৃত করে মানুষকে শুনিয়েছেন, মুজিব দিয়ে কার্যোদ্ধার করেছেন, কিন্তু বিজয়ের প্রথম মুহুর্তেই মুজিবের শেষ স্মৃতিচিহ্ন ৩২ নম্বর পুড়িয়ে দিয়েছেন। ৩২ নম্বর তো শুধু মুজিবের বাড়ি নয়। এটা বাংলাদেশেরও বাড়ি। আপনি বাংলাদেশের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ নিচ্ছেন, মুজিবকে পচাত্তর-পূর্ব গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, এটা হাইলি সাসপিসিয়াস মুভ। এবং এটা কখন করছেন? যখন বুঝতে পেরেছেন যে আপনার অবস্থা লেজেগোবরে, জনগণের সাথে আপনার দূরত্ব প্রকট, জনগণ আপনাকে শত্রু ভাবছে, তখন। ৫ আগস্টের পর থেকেই দেখা গেলো বাংলাদেশের জন্মশত্রু জামাতের জরায়ুতে আপনাদের মাতৃঋণ। সবাই জামাতের সাথে হ্যান্ডশেক করছেন। আস্কারা দিচ্ছেন তৌহিদী জনতা নামক ইবলিশী জনতাকে। ২৪ দিয়ে ৭১-কে মোছার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবকে মোছার সর্বোচ্চ আয়োজন চোখে পড়েছে। বেগম রোকেয়ার ছবিতে ‘মাগী’ লেখা হয়েছে। কালি লেপ্টানো হয়েছে।"
এর চেয়ে যথার্থ আর কারো লেখায় আমি পাই নাই।
ঢাকায় একুশে বই মেলা শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের দিনেই প্রেস সচিব ভাইরাল! কেন? কোন এক ছাগল শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে ডাস্টবিন বানিয়েছে, তিনি সেই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলছেন এমন একটা ছবি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছে! এই কাজ কতটা বিকৃত রুচির তা নিয়েই চলছে অনলাইন যুদ্ধ। আমার কাছে এরচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে বইমেলার পোস্টার দেখে। সেখানে লেখা ৫২ এর চেতনা ২৪ এর প্রেরণা! যে ছবি ব্যবহার করা হইছে তা ৭১ সালের কিন্তু ৭১ নাই! আজকে আবার বাংলা অ্যাকাডেমি এই পোস্টার সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গেছে। ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার পোস্টার সচেতন যে কোন মানুষেরই খারাপ লাগবে। বিশেষ করে সরকারের কেউ যখন তা নিয়ে পোস্ট করে তখন তা সত্যই মেনে নেওয়ার মত না।
এরপরে যা হচ্ছে তা মেনে নেওয়ার মতো না। কট্টর আওয়ামীপন্থীরা প্রেস সচিবের বউ বাচ্চাদের ছবি দিয়ে বিকৃত এক খেলা শুরু করেছে। উল্টা পাস থেকেও শুরু হয়েছে একই কাজ! পরিবারের সদ্যসদ্যের নগ্ন করা হচ্ছে অনলাইনে। আমি এই রাজনীতির অর্থ বুঝি না। মানুষের জন্যই তো রাজনীতি, তাই না? মানুষের পালস কেন আমি বুঝব না? এই দেশের সাধারণ মানুষের একটা ধারা আছে, সম্ভবত এইটা এই দেশ না, দেশ কাল জাতি নির্বিশেষে সবার জন্যই প্রযোজ্য যে মানুষ যাকে মজলুম ভাবে তার পক্ষ নেয়। সে দুই দিন আগে কী করছে তা অতি দ্রুত ভুলে যায়। যদি দেখে কেউ অন্যায় ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যায়ের স্বীকার হচ্ছে তাহলে আগ পিছ না ভেবেই তার পক্ষ নেয়। শেখ হাসিনার ছবি ডাস্টবিনে ব্যবহার করাটা একই রকম কাজ করেছে। মানুষ এইটা ভালো ভাবে নেয় নাই। যারা করছে তাদেরকেই মানুষ সমালোচনা করেছে। স্বয়ংক্রিয় ভাবেই মানুষের সহানুভূতি পেয়ে যাচ্ছিল শেখ হাসিনা। কারণ, ওই যে বললাম মানুষ সব সময় মজলুমের পক্ষে থাকে। কিন্তু এখন যে ন্যাকারজনক কাজ করা হচ্ছে এইটা আবার ঠেলে আগের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতিকে।
প্রতি বছর আয়োজন করে বইমেলায় যাই আমি। সারা বছরের বই কিনে ফেলতাম। আমি একবার কুলি দিয়ে বই টানতে হবে এমন পরিমাণ বই কিনে ফেলছিলাম। মেলা থেকে বের হওয়ার সময় বুঝছিলাম যে ভুল কইরালচি! এত বই এক সাথে কেনা উচিত নাই! এখন এগুলা নিয়া যাব কীভাবে! সেই আমি এবার সম্ভবত বইমেলার আশেপাশেও যাব না। রুচিই হচ্ছে না। এক সময়ের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু বিক্রি করা এক দালাল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে বইমেলায় আওয়ামীলীগ পন্থিরা সাবধানে আইসেন, পাবলিক প্লেসে পাবলিক ধরে কালানি দিলে কিছু করার থাকবে না! এমন করে মব উস্কে দেওয়া হচ্ছে, অথচ সবাই চুপ। আমার কেলানি খাওয়ার সম্ভবনা নাই। কিন্তু এমন একটা আবহাওয়ায় বইমেলার ওপরে বিতৃষ্ণা এসে যাচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরে সাত কলেজের এক কলেজ তিতুমির কলেজের ছাত্ররা আমতলী থেকে গুলশান একের রাস্তা আটকিয়ে আন্দোলন করছে, দাবি হচ্ছে তাদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দিতে হবে। মানুষ ঢাকার জ্যামে এমনেই অতিষ্ঠ তার মধ্যে এই ফাইজলামি। দৈনিকই এই কাজ করে যাচ্ছে। সামনে আরও বৃহতর আন্দোলনে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা, কারণ আজকে শিক্ষা উপদেষ্টা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে তারা এই মুহূর্তে তিতুমির কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর কোন কারণ দেখেন না, এইটা এখন হবে না! অন্যদিকে শ্যামলীতে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে জুলাই আন্দোলনে আহতরা, তাদের আত্মীয় স্বজনেরা চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে রাস্তা বন্ধ করে! এই লেখা যখন লিখছি ( রাত ০১ টা, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) তখন সমস্ত ব্যারিকেড ভেঙ্গে আহাত, তাদের আত্মীয়স্বজনেরা যমুনার সামনে চলে গেছে, প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবন হচ্ছে যমুনা! এই মাত্র একটা ভিডিও দেখলাম সমন্বয়ক হাসনাত কথা বলে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করছে।
ছাত্ররা এখন পর্যন্ত পাঠ্যবই হাতে পায় নাই। বিশাল অংশের লেখাপড়ায় আগ্রহ নাই। বুলেটের গতিতে অন্ধকার খাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নাই। সবাই মিল জিদ করেছে খাদেই পড়বে! দেশে মাদ্রাসায় এমনেই উপচে পড়ছে, এখন শুনছি সরকারি খরচে মাদ্রাসা বানানো হবে দুইশ! এই হচ্ছে সংস্কার! এই নিয়েই আশা দেখব? যখন চায়না সস্তা এআই মডেল এনে দুনিয়াকে চমকে দিচ্ছে, যখন মনে হচ্ছিল এত অল্প খরচে একটা এআই মডেল দাঁড়া করানো গেলে আমরাই তো চেষ্টা করতে পারি এখন তখন দিবাস্বপ্ন ভেঙ্গে যায় আমার যখন দেখি নারীরা যেন খেলতে না পারে তার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে দাঁড়ি পাঞ্জাবি পড়া একদল নরপশু! যখন দেখি ব্র্যাকের নারীর বাল্য বিয়ে রোধের ফেসবুক পোস্টের নিচে কুৎসিত মন্তব্যের বন্যা বয়ে যাচ্ছে তখন বুঝি ওগুলা আমাদের জন্য না। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এগুলা আমাদের জন্য না। আমরা আবার ফিরে গেছি ঠিকঠাক ত্রিশ চল্লিশ বছর আগের বাংলাদেশে, কিংবা কে জানে হয়ত আরও বহু পিছনে। আর একটু পিছনে গেলে হয়ত এখানে ডায়নসোরও দেখা দিবে, কে জানে, কিছুই আশ্চর্য করে না এখন!
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।