গোকারাকণ্ডা নাগা (জি এন) সাঁইবাবা। পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে শৈশবকাল থেকেই শারীরিকভাবে পঙ্গু। ফলস্বরূপ, পাঁচ বছর বয়স থেকেই হুইল চেয়ার ছাড়া চলাচলে অক্ষম। মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। বিদগ্ধ লেখক। রাষ্ট্রীয় দমন পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদী। রাষ্ট্রীয় মদতে সংগঠিত ‘অপারেশন গ্রীনহান্টের’ কট্টর সমালোচক। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ রামলাল আনন্দ কলেজের ইংরাজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক। বর্তমান বয়স ৫৭ বছর। শারীরিকভাবে ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী এবং প্রায় চলৎশক্তি রহিত। আত্মগোপন করে থাকা মাওবাদীদের লেখাপড়া শিখিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী হিংসাত্মক কার্যকলাপে প্ররোচিত করার অভিযোগে ২০১৪ সালের ৯ই মে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৫ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুম্বাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেলেও, ঐ বছরেরই ১৪ই ডিসেম্বর আবার তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়। ২০১৬ সালে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পুনরায় তাঁর জামিন মেলে। ২০১৭ সালে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি দায়রা আদালত অধ্যাপক সাঁইবাবা ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের’ (ইউএপিএ) ১৩, ১৮, ২০, ৩৮ ও ৩৯ ধারায় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা করে। ফলস্বরূপ, ২০১৭ সাল থেকেই অধ্যাপক সাঁইবাবা যাবজ্জীবন কারাবাসের দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে নাগপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে একটানা বন্দী। যাবজ্জীবন কারাবাসের দণ্ডাজ্ঞা থাকায় ২০২১ সালে রামলাল আনন্দ কলেজে অধ্যাপনার চাকরি থেকে সাঁইবাবাকে পাকাপাকিভাবে বরখাস্ত করা হয়।
২০২২ সালের ১৪ই অক্টোবর মুম্বাই উচ্চ আদালতের নাগপুর বেঞ্চ, গড়চিরৌলি দায়রা আদালত ঘোষিত অধ্যাপক সাঁইবাবা ও তাঁর পাঁচ সহযোগীর যাবজ্জীবন কারাবাসের দণ্ডাজ্ঞা রদ করে নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সকলকেই কারাবাস থেকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। গড়চিরৌলি দায়রা আদালত ঘোষিত শাস্তি রদ করার পেছনে উচ্চ আদালতের যুক্তি ছিল, নিম্ন আদালত কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়াই অধ্যাপক সাঁইবাবা ও তাঁর পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে ‘ইউএপিএ’ আইনের বিধানে অভিযোগ এনে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেছে; যা কিনা আইন বিরুদ্ধ। উচ্চ আদালতের এ হেন রায়ে অসহিষ্ণু শাসক উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ে। তৎকালীন মহারাষ্ট্র সরকার তৎক্ষণাৎ নাগপুর বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে জরুরী ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানায়। কিন্তু শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে শুনানির আবেদন নাকচ করে দেয়। তথাপি, রাত পোহাতে না পোহাতেই আবার নতুন চিত্রনাট্য রচিত হয়ে যায়। পরদিনই মহারাষ্ট্র সরকার নাগপুর বেঞ্চের এই শাস্তি রদের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন ফাইল করে। ১৫ই অক্টোবর, শনিবার, ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার জরুরী ভিত্তিক শুনানি হয়। শুনানি অন্তে শীর্ষ আদালত সাঁইবাবা ও তাঁর পাঁচ সহযোগীর উচ্চ আদালত প্রদত্ত যাবজ্জীবন দণ্ডাজ্ঞা রদের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। শীর্ষ আদালতের ঘোষিত রায়ে বলা হয় যে, উচ্চ আদালত সাঁইবাবা এবং তাঁর সঙ্গীদের শাস্তি মুকুবের আবেদনটি যোগ্যতার নিরিখে বিবেচনা করেনি; বরং দায়রা আদালতের রায়ের পদ্ধতিগত ত্রুটিকে বিবেচনা করেই উচ্চ আদালত তাঁদের শাস্তি রদ করেছে। এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ছিল, “সাজাপ্রাপ্তদের অপরাধগুলি অত্যন্ত সাংঘাতিক এবং রাষ্ট্র যদি এই সকল অপরাধ প্রমাণে যোগ্যতার ভিত্তিতে সফল হয়, তবে সমাজের স্বার্থে এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে এই অপরাধগুলো অত্যন্ত গুরুতর”। ফলস্বরূপ, অধ্যাপক সাঁইবাবা ও তাঁর পাঁচ সহযোগীর কারারুদ্ধ জীবন থেকে অব্যাহতির আলোর রেখা আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য নিভে যায়।
শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ সাঁইবাবার উন্নততর চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁকে কারাগারে আটকে না রেখে গৃহবন্দী রাখার জন্য তাঁর আইনজীবী শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করলেও, আদালত সেই আবেদনও খারিজ করে দেয়। অধ্যাপক সাঁইবাবাকে গৃহবন্দী রাখার আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে সরকারের সলিসিটর জেনারেল আদালতে বলেন যে, “শহুরে নকশালদের তরফ থেকে কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দি থাকার আবেদনের প্রবণতা সাম্প্রতিক কালে প্রবলভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে। কারণ, তাহলে বাড়ির মধ্যে থেকেই, এমনকি ফোনেও, সবকিছু করা যায়। সেহেতু, এমন অপরাধীদের ক্ষেত্রে গৃহবন্দী কখনই কারাবাসের বিকল্প হতে পারে না”। অথচ সাম্প্রতিক অতীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন যে, “শহুরে নকশাল বলতে ঠিক কি বোঝায় তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জানা নেই। এমনকি এই শব্দবন্ধের কোন অর্থই তাদের অভিধানে নেই”। কিন্তু যে সকল প্রতিবাদীকে আইনের পরিধির আওতার মধ্যে এনে সরাসরি মাওবাদী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, তাঁদের আত্ম পরিচিতিতে ‘শহুরে নকশাল’ তকমা সেঁটে দেওয়ার কৌশল তো বর্তমান ভারতে আকচারই দেখা যাচ্ছে! তাই শীর্ষ আদালতের সওয়াল পর্বে অশীতিপর বিকলাঙ্গ এক অধ্যাপককে ‘শহুরে নকশাল’ হিসেবে দেগে দিতে সলিসিটর জেনারেলের কোথাও এতটুকুও বাঁধেনি! বোধহয় ‘কপটতাকে’ আড়ালে রাখার স্বার্থে সংসদ কক্ষে কিছুটা পট্টি পরানোর প্রয়াসটা প্রয়োজনীয় ছিল! শুধু তাই নয়, শুনানি চলাকালীন মাননীয় বিচারপতি শাহর অভূতপূর্ব মন্তব্য ছিল, “মানুষের মস্তিষ্কই হচ্ছে সব চেয়ে সাংঘাতিক। সন্ত্রাসবাদী ও মাওবাদীদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কই সব”!
অবশেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে মিলল সেই বহুপ্রতীক্ষিত মুক্তি। গত ৫ই মার্চ মুম্বাই উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে অধ্যাপক সাঁইবাবা সহ তাঁর বাকি পাঁচ সঙ্গীকে বেকসুর মুক্তি দেওয়া হয়। এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের সুস্পষ্ট পর্যবেক্ষণ ছিল, “অভিযুক্তদের জেলে আটকে রাখার মতো কোন প্রমাণ রাষ্ট্রের কাছে নেই”। তথাপি, জীবনের অতি মূল্যবান দশ-দশটা বছর তাঁদের কারাগারের বদ্ধ কুঠুরিতে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন কাটাতে হল! জেল থেকে মুক্ত হয়েই অধ্যাপক সাঁইবাবা রাষ্ট্রের কাছে, নাগরিক সমাজের কাছে, বিচার ব্যবস্থার কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, “তাঁদের জীবনের অতি মূল্যবান দশটা বছর কে ফিরিয়ে দেবে?” সেই সঙ্গে অশীতিপর শারীরিক প্রতিবন্ধী অধ্যাপকের আক্ষেপ, “উচ্চতর আদালত একাধিকবার জানিয়েছে যে, এই মামলায় প্রামাণ্য কোন তথ্য নেই, আইনসিদ্ধ কোন উপাদান নেই। তথাপি, রাষ্ট্রশক্তি অজানা কোন কারণে এই মামলা এতদিন ধরে টেনে গেল!” রাষ্ট্রীয় রোষানলে তিলতিল করে জীবন্ত দগ্ধ করার প্রকৃষ্ট উদাহরণ অধ্যাপক সাঁইবাবার প্রতি রাষ্ট্রের এই নগ্ন আচরণের থেকে বেশি আর কিই বা হতে পারে! শারীরিকভাবে ৯০ শতাংশ অক্ষম হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় রোষানল বর্ষণের কোথাও কোন খামতি ছিল না! ভাগ্যিস, অন্যায়-অবিচারকে রুখে দেওয়ার জন্য এই বহুত্ববাদী দেশের মহান সংবিধান এবং, বিলম্বিত হলেও, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা আজও অটুট আছে।
ইতিহাসের হলুদ পাতাগুলো সমস্বরে বলছে, অসহিষ্ণু স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপরিচালকরা নির্ভীক নাগরিক মতপ্রকাশকে যুগ যুগ ধরে ভয় পেয়ে এসেছে। বিশেষত সেই সকল শাসকেরা, যারা যুক্তিগ্রাহ্য মুক্তচিন্তার কণ্ঠ দুহাতে চেপে ধরে ক্ষমতার ঔদ্ধত্যে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকে। এ হেন রাষ্ট্রশক্তি এমন এক বিষবৃক্ষ সমাজ জমিনের স্তরে স্তরে সংগোপনে রোপণ করে ফেলে, যার প্রভাবে এক নতুন ‘গোয়েবেলসিও সত্য’ সৃষ্টি হয়ে যায়। সমাজ জীবনের আনাচে কানাচে নির্মাণ করা হয় দেশপ্রেমের অলীক মিথ। রাষ্ট্রশক্তির সুরে তাল মেলাতে পারলেই দেশপ্রেমী। আর রাষ্ট্রশক্তির চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করে ফেললেই দেশদ্রোহী। অর্থাৎ, প্রতিবাদীকে দেশদ্রোহিতার মোড়কে মুড়ে ফেলার ধুরন্ধর ফ্যাসিবাদী কৌশল। অকুতোভয় প্রতিবাদীর কণ্ঠরোধ করার সুনিপুণ চিত্রনাট্য। কখনও তা ‘শহুরে নকশাল’-এর মোড়কে, কখনও বা ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর আচ্ছাদনে মুড়ে। তারপর, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ প্রণীত কালা আইনের করাল প্রয়োগ এবং রুদ্ধ কারাগারে সন্ত্রস্ত অন্ধকার ভবিষ্যৎ। তাই, শারীরিকভাবে ৯০ শতাংশ অক্ষম, পঙ্গু, প্রায় চলৎশক্তি রহিত এক অশীতিপর ‘শহুরে নকশালের’ জন্যও প্রস্তুত থাকে কারাগারের অন্ধকার কুঠুরির আবর্তনে ধুঁকতে থাকা অমোঘ অদৃষ্ট! একই কৌশলে দুরারোগ্য ‘পারকিন্সন’ ব্যাধিতে ধুঁকতে থাকা মানবাধিকার ও সমাজকর্মী অশীতিপর বৃদ্ধ স্ট্যান স্বামীকে বিনা বিচারে দীর্ঘকাল কারাগারে অবরুদ্ধ রেখে মেরে তো ফেলা গেল! কিংবদন্তী ইংরেজ সাহিত্যিক আরনেস্ট হেমিংওয়ে অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করে বলেই চলেছেন ... “A man can be destroyed; but not defeated”। প্রতিবাদী কণ্ঠকে হারাতে না পারলেও, অনায়াসে ধ্বংস তো করে ফেলা যায়! তা না হলে, খুনের পর খুন ও ধর্ষণের পর ধর্ষণের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত অপরাধী গুরমিত রাম রহিম অনায়াসে বারংবার প্যারোলে মুক্তি পেতে পারে! কিংবা গুজরাটের গোধরা কাণ্ডে গণধর্ষণ ও গণহত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন কুখ্যাত অপরাধীর সাজা মহামান্য সরকার বাহাদুর এক লহমায় মুকুব করে দিতে পারে! অথচ রাষ্ট্র শক্তির চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করলেই ‘দেশদ্রোহিতার’ জালে জড়িয়ে বছরের পর বছর বিচারাধীন বন্দী! এমনকি বিচারাধীন বন্দী অবস্থাতেই নিষ্ঠুর মৃত্যু ফাঁদের সুবন্দোবস্ত! বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের চরাচর জুড়ে এইখানেই বোধহয় “ট্র্যাভেস্টি অফ জাস্টিস”!
এমনিভাবেই যদি কালা আইনের করাল প্রয়োগের জাঁতাকলে পিষে প্রথমে এক, তারপর আর এক, তারপর আরও এক প্রতিবাদীকে নিথর শব বা মস্তিষ্কহীন প্রাণে পরিণত করে ফেলা যায়, তাহলে হয়তো কোন একদিন বহুত্ববাদী এই দেশের মহান সংবিধানের পৃষ্ঠায় কালি ঢেলে দীর্ঘদিন ধরে লালিত গুপ্ত অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করা যাবে! গত ১০ই নভেম্বর, ২০২২, দেশের শীর্ষ আদালতে ভীমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত বিশিষ্ট সমাজকর্মী গৌতম নওলাখার গৃহবন্দীর আবেদনের শুনানি চলাকালীন সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এই মর্মে অভিযোগ আনেন যে, নওলাখার মত মানুষরা নাকি দেশকে ধ্বংস করতে চান! কিন্তু রাষ্ট্রের আনা এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের মাননীয় বিচারপতি কে এম জোসেফ ও হৃষীকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের মৌখিক পর্যবেক্ষণ ছিল - “আমরা মনে করি না নওলাখার মত মানুষরা দেশকে ধ্বংস করছে। এই দেশকে কারা ধ্বংস করছে? যারা দুর্নীতিবাজ তাঁরা”। তাই প্রজাতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আবর্তের প্রান্তে দাঁড়িয়েও আজও ন্যায়প্রার্থী আমজনতার অন্তিম আস্থার মরূদ্যান দেশের নির্ভীক নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থাই।