এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খ্যাঁটন  হেঁশেলে হুঁশিয়ার  খাই দাই ঘুরি ফিরি

  • ডিডি-র কিচাইন - সীজন টু - ২

    ডিডি
    খ্যাঁটন | হেঁশেলে হুঁশিয়ার | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪৩৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • ডিডি-র কিচাইন আবার শুরু হল... আগের সিজন পড়তে এইখানে ক্লিক করতে হবে


    আরে, এই হয়েছে মুশকিল।
    বড়ো মুখ করে খুব তো ইজারা নিলাম মাসান্তিক গোছের "কলাম" লেখার। আবার আদিখ্যেতা করে নামও দিলাম সিরিজ টু। ওঃ। ইদিকে মগজে কার্ফু। বয়স তো হলই। এখন তো উত্তর সত্তর, তো কী? অভিজ্ঞতা কী? খাওয়া দাওয়া নিয়ে যে লিখবো, তো জানি টা কী? দেশ বিদেশে ঘুরে ঘুরে, বহু যায়গার আর খাবারের ফটো টটো দিয়ে তেমন জমজমাট লেখার মতন অভিজ্ঞতাই বা কই? আমি কি পেরুতে গিয়ে গিনিপিগ ভাজা খেয়েছি বা উগান্ডায় গিয়ে কুমীরের রোস্ট খেয়ে বলেছি হলদি নদীতে এর চেয়ে বেশি সরেস মাল পাওয়া যায়?

    শালা, সারা জেবন ধরে একই জিরা,ধনে,লংকা,হলুদ (একটু গ্যাপ দিয়ে পড়বেন প্লীজ) ঐ সব দিয়ে একই ঘ্যাঁট রেঁধেছি আর খেয়েছি- দিনের পর দিন। তা ও ভালো ইউ টিউব আসায় গুল তাপ্পি মারা সহজ হয়েছে। কিন্তু মাসের পর মাস - কতোই বা লিখবো? সুবিধের মধ্যে এই, যে আপনেরাও বিশেষ পড়েন টড়েন না।

    তা ও, কথা যখন দিইছি, তখন লিখবোই। এইবারের থিম হচ্ছে "হারিয়ে যাওয়া খাবার"। জানেননি তো, যাদের আর কিছু নেই, তাদের নস্টালজিয়াই সম্বল।

    তবে আগেই চেতাবনি (ডিসক্লেইমার রে বাবা) - এটা হচ্ছে বেসিক্যালি আত্মজীবনী মার্কা লেখা। এতোটা বয়স হল - কিন্তু জীবনের ফার্স্ট হাফটাই (সে ও তো এক ধ্যাড়ধ্যাড়ে লম্বা ইনিংস, ছ্যাঃ) তো সাধের পশ্চিমবঙ্গে - প্রথমটায় নিদেন মফঃস্বলে আর শেষটায় কলকেতায়। আর সেকেন্ড হাফটা পুরোটাই প্রবাসে। আমার কাছে যেটা "হারিয়ে যাওয়া খাবার" সেটার সাথে আপনাদের কি খাপ খাবে? পেত্যয় হয় না। তায় আপনেরা যদি ফিনল্যান্ডে বড় হয়ে থাকেন, আর চাকরী করেন টোকিওয়ে - বা এক বিশ্ব নাগরিক, আজ কামচাৎস্কায় তো পরশু পোপোকেটাপোটোলে - তাহলে ঠিক বুঝবেন (ইন্টার্নালাইজ করবেন) ক্যামনে?

    তা ধরুন, ব্রেকফাস্ট থেকেই শুরু করি। খেতাম একঘেয়ে নিতান্ত মামুলি। সেই পাউরুটি আর মাখন। কখনো জ্যাম, জেলি। না রে বাবা, ডিম ফিম হতো না। চীজ চোখেও দেখি নি।

    হারিয়ে যাওয়া খাবারের মধ্যে জেলি ও আছে। ফলের রস দিয়ে হয় জেলি আর পাল্প দিয়ে জ্যাম। তো বহুদিন হল দোকান টোকানে "জেলি" বস্তুটি আর দেখি নি। ফলেদের কি আর রস হয় না? কে জানে? পেয়ারা থেকে জেলি হতো সবুজ রঙের, আর একটা লাল রঙের জেলিও হতো। বোধয় আমের। কোথায় গেলো সেই জেলি? মার্মালেড? নাম ও শুনিনি।

    আর পাউরুটির কথা বলি। তখনো কোনো ব্র্যান্ডেড পাউরুটি ছিলো না। প্রতিটি পাড়ায় বেকারি থাকতো। বড়ো টিনের বাক্সে তিন চাকা লাগিয়ে "পাউরুটি, ব্রেড" বলে ভোর থেকেই চেঁচিয়ে মেচিয়ে বিক্রি হতো। ওভেন থেকে সদ্য নামানো হাতে গরম পাউরুটি। কী সুবাস। কিন্তু এমনি নরম যে কাটাও যেতো না। একটু অপেক্ষা করতে হতো । প্রতি বাড়ীতেই রুটি কাটার দাঁতালো ছুরি থাকতো। স্লাইসড ব্রেড? হাসাবেন না মশাই। আমি সত্য যুগের কথা বলছি - কুল্লে তখন সিপিএম এসেছে মসনদে। মানুষ চাঁদে যাবে শিগগিরই কিন্তু ছাতার ফোল্ডীং দশা বা সুটকেসের নীচে চাকা আবিষ্কার হতে আরো এক যুগ বাকী। সত্যি, প্রযুক্তির গতি কী কুটিল!

    আর পাউরুটিও নিছক ময়দার হতো। সাদা, ফ্যাটফ্যাটে। নরম সরম। তখনো তো ফাইবারের কথা লোকে জানতো না। কোষ্ঠে কাঠিন্য থাকলে রাত্রে ইসব গুলই সেব্য। সকালের পাউরুটিতে আটা, হোল হুইট, ফাইভ গ্রেন .... ধুর, এসব তখন কোথায়?

    চেরি (অভাবে চিনির রসে চুবানো করমচা) দিয়ে একটা মিষ্টি পাউরুটি পাওয়া যেতো - তবে সে সব সাহেব পাড়ায়, কেৎএর দোকানে। না হলে সোজা দার্জিলিং'এ। আরেকটা জিনিস ছিলো। লোকে বাসী পাউরুটি বিশেষ খেতো না। এক পাউন্ড বেশি ঠেকলে হাফ পাউন্ড এমন কী কোয়ার্টার পাউন্ডেরও রুটি পাওয়া যেতো।

    টিপিনের সময় কয়লার উনুনে সেঁকে, একটা মাখনের ইশারা, তার উপরে গোল মরিচ- চাইলে ঝাল আলুদ্দম দিয়ে দিব্বি পেট ভর্তি লাঞ্চ বা টিপিন হয়ে যেতো - কোনো অপচয় হতো না।

    আর একটু পুরোনো হয়ে গেলেই সেই কোয়ার্টার পাউন্ডের রুটি একেবারে শক্ত ইট হয়ে যেতো। তো, কুছ পরোয়া নেই, মধ্যিখানে খুবলে একটু গর্ত মতন করে সোডা (ফটাস জল- সেই যে - ছিপিটা খুললেই ফট করে আওয়াজ হতো - বোতলের মুখের কাছে একটা কাঁচের গুলি? সেই ফটাস জল) ঢেলে দিলেই রুটি অতীব নরম ও সুস্বাদু। খান, ভালোবেসে খান।

    জানি না, স্কুলের গেটের কাছে সেই ছোট্ট মাদ্রাজি কুল - কারেন্ট নুন দিয়ে খেতে হতো? সেগুলো ও আর পাওয়া যায় কি না। সার্কাস বিস্কুট, হাতি ঘোড়া বিস্কুট (ও আরো নানান জন্তুর শেপের বিস্কুট; বেশির ভাগ সময়েই প্রজাতি ঠিক আইডেন্টিফাই করা যেতো না) - তারাও আর নেই। রাস্ক তো সর্বত্র পাওয়া যায়ই- কিন্তু আদি লেড়ে বিস্কুটের মতন অভিমানী ঝুরঝুরে নয়। কোথায় সেই চুড়মুহে বনেদীয়ানা?

    আর ছিলো ফল। ফল এবং ফ্রুট। তফাৎটা কী? ফল হচ্ছে পাতি, কলা, বেল, আতা, পেয়ারা, শাঁকালু, নারকেলি কুল..... ইত্যাকার আর ফ্রুটসের মধ্যে আপেল, আঙুর, নাসপাতি এইসব ছ্যাঁকা দেওয়া দামের খাদ্য বস্তু। অন্ততঃ ১০৩ ডিগ্রি জ্বর না হলে সাধারণ বাড়ীতে ঢুকতোই না ঐ সব ফ্রুট। কিন্তু তাবলে হারিয়ে গেলো কে? তাহলে জেনে রাখুন হারিয়ে গেছে অস্বাভাবিক টক সব ফলেরা। আপেল, আম, আঙুর বা কমলালেবুও - সবকটা নয়, কিন্তু একেকটা এমনি বাদশাহি টক হতো যে এক কামড় দিলেই পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঝন ঝন করে উঠতো। অনেকক্ষণ পর্যন্ত দাঁতে কোনো সার থাকতো না।

    নঃ। সেই প্রথম কামড়ের বুক ঢিপ ঢিপ উত্তেজনা, শিহরণ, রোমাঞ্চ এবং পতন ও মূর্ছা আর নেই। এখন আর বেছে বেছে কিনবার দরকার নেই - কোনো ফলই ফেল করে না। কোথায় গেলো সেইসব শিরদাঁড়া কাঁপানো যক্ষ টক ফলেরা? সিলেকটিভ ব্রিডিং? বা কোনো সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র?
    এর ফলেই কি গ্লোবাল ওয়ার্মিং?

    হ্যাঁ, ওয়ার্মিংএর কথায় মনে পড়লো - সেই ওয়ার্ম বা পোকা গুলোই বা কোথায়? মটরশুঁটি বাছতে হতো। পিলপিল করে বেরত সবুজ রংএর পোকা। ফুলকপিতেও। আরো নানান সবজী কাটতে গেলেও ওয়ার্মিংএর চোটে অস্থির হতাম। চালে, ডালে, পাতায় পাতায় - সর্বত্রই নানান রঙের ছোটো বড় পোকা হতো। আম এবং আরো অনেক ফল কাটলেই বোঝা যেতো ভেতরটা কতোটা পোকায় ভর্তি। বাইরে থেকে কিছুই দেখে টের পাওয়া যেতো না। এখন আর নেই। ভারতে ব্যান হলে কী হবে? দেশের সহজ সরল চাষি ভাইরা (সবজিদাতারা) স্মাগল করে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসছে বিটি বেগুন। পোকাহীন বেগুন - এ তো ভাবতেও পারতাম না। এখন সবই হয়। আরে না রে না, সেরকম সজল নয়নে 'সেই যে আমার পোকা বাছার দিনগুলি' বলে স্মৃতি ভারাক্রান্ত হচ্ছি না। সে ভাবে বলতে গেলে সত্যি কি আর মিস করছি কাঁকর সম্পৃক্ত চালকে? একমাত্র ভামেরাই জানবেন, কাঁকর কাকে বলে। চালের মধ্যে সে এক অদ্ভুত পাথর কুচি- ঝট করে বোঝাই যেতো না কোনটি চালের দানা, কোনটি পাথর কুচি। কুলোয় ফেলে চাল অনেকক্ষণ বাছা হতো - তাও অসাবধানে এক আধটা চালের ছদ্ম বেশি পাথর থেকেই যেতো আর জানান দিতো ঐ ভাত খাবার সময়। কড়াত কড় করে মুখের মধ্যেই বজ্রপাত। ভাত খেতে গিয়ে একবারও আহত, রক্তাক্ত হন নি ও রকম লোক তখন কমই ছিলো।

    আর পাঁঠার কথা নতুন কী বোলব। অলরেডি একবার লিখেছি সেই হারিয়ে যাওয়া ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটেদের কথা। - সিজন ওয়ানের কোনো এক প্রাতঃস্মরণীয় পর্বে। সেই হাবলা দুবলা হাড় সর্বস্ব প্রজাতি এখন বিরল। হাইব্রিড পাটনাইয়া পাঁঠায় এখন ভরে গেছে মাংসের দোকান। ফলে সেকালের মাংস কেনার মতন এখন অ্যাডভেঞ্চারে পূর্ণ নয় মাংস কেনার দিনগুলি। সকাতরে অনুনয় বা সগর্জনে হুমকিতেও অবিচলিত কসাই নির্বিকারে চোখের সামনেই প্রায় সবটাই হাড় ভর্তি মাংস দিয়ে দিতো, আর হাড় মেনে পরাজিত সৈনিকের মতন বাড়ীতে এসে আর এক প্রস্থ লাঞ্ছনা জুটত কপালে।

    বাড়ীতে লাঞ্চে বা আপিসের টিপিনে, এলুমিনিয়ামের বাক্স খুলে ঐ বরাদ্দ আটারুটি আর তরকারীই মিলত। ছুটির দিনে শেষ পাতে অবশ্যই থাকতো টক বা অম্বল। কুলের বা চালতার। ট্যালট্যালে ফিকে রংএর জলের মতন, একটু কালোজিরের ছিটে। লিখতে গিয়ে মনে পড়লো - কতো বছর হয়ে গেলো চোখেও দেখিনি সেই সব টকের চেহারা। হারিয়ে গেছে না কি আমিই এক অম্বলবিছিন্ন প্রবাসী দ্বীপবাসী?

    মুখরোচোকের মধ্যে খেতাম গোলাপ লেউরী আর তিলে খাজা। এখানে ওখানে খুঁজলে হয়তো এখনো পাবেন - কিন্তু সহজলভ্য নয়। পিঠে পুলি কিন্তু হারায় নি। বরং আরো ফ্যাশনেবলি জাঁকিয়ে বসেছে। কেতাদুরস্ত মিষ্টির দোকানে পাটিসাপটা বা লবঙ্গলতিকা দিব্বি পাওয়া যায়। যদিও খেয়েই বলতে হয়, আরে, ধুর, বাড়ীর মতন টেস্ট কই? এই প্রবাসে, দৈবের বশে, এক বাঙালি পার্টিতে (পার্টি, নেমন্তন্ন নয়) গিয়ে বোঁদে দেখে উচ্ছ্বসিত সমবেত জনতা। খাবে কী- কেঁদেই ভাসিয়ে দিচ্ছে। তবে ৯কার মার্কা গুজিয়া এখনো দেখি নি।
    যারা বয়সে তরুণ, তাদের কাছে এগুলো রিলেটেবল হবে না। তা ও, ইতিহাসের কথা ভেবে একটু ইয়ে হতেও পারেন।

    এমন কি প্রবাসে বাঙ্গালর শহরে ঠেলা গাড়ীতে করে বিক্রি হতো পানিফল। সে ও কতদিন হয়ে গেলো আর দেখি না। পশ্চিমবঙ্গে কি বকফুল, কুমড়ো ফুল - এখনো বাজারে গেলেই পাওয়া যায়? না কি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে লোকে এখন টিউলিপ ভাজাই খায়?

    জানেন, সাধারণ বাড়ীতে তখন আট নয় দশবার বা আরো বেশিবার চা হতো। হতেই থাকতো। কফি খুব একটা ছিলো না। ইনস্ট্যান্ট কফি সবে আসতে শুরু করেছে আর বাড়ীতে তৈরি ফিলটার কফি শুধু মাদ্রাজিরাই খেতো। সেই টেকনোলজি ট্র্যান্সফার তখনো ঘটে নি। হারিয়ে গেছে গ্রীষ্মকালের বাড়ীতেই রাখা স্কোয়াশ বা ক্রাশ। জলে গুলে চিনি ঢেলে দেদার ফুর্তি। আর বরফ দিতে পারলে তো দেমাকে পা পড়তো না। আর সেই হজমি গুলি? এখনো পাওয়া যায়? আমরা খুব মশকরা করতাম, হাতের তেলোর ঘেমো ময়লা রগড়ে রগড়ে হজমি গুলির সাইজ বাড়ানো হতো। ইইক। বলতাম, খ্যা খ্যা করে হাসতাম আর আবার হজমি গুলি খেতে যেতাম। নিশ্চয়ই ভক্তি ভরে খুঁজলে আলুকাবলি পাওয়া যাবে, আর হরিদাসের চুড়মুড় ভাজাও।
    তবে গোদা বাংলায় সহজ কথাটা বলি।

    হারিয়ে গেছে তো অনেক কিছুই - কিন্তু পেয়েছি অনেক অনেক বেশি। কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে দু-একটা খাবার এর কথা মনে হয়। কিন্তু স্মৃতি মেদুরতায় ভারাক্রান্ত হই না।

    আসলে জানেন, ভাষা বলুন, পোশাক বলুন, প্রিয় গান বলুন, দুর্ধর্ষ নায়ক বলুন, খ্যাতনামা গুন্ডা বলুন.... বা খাওয়া দাওয়া। খুব কম জিনিসই সারা জীবন টিকে থাকে। কৈশোর তো পলক ফেলতেই কেটে যায়। সেই সময়ের স্বাদ গন্ধ - সেই সবই বা আর পাবো কোথায়? সুতরাং এক অনামা পাশ্চাত্য দার্শনিকের সাথে একমত হয়ে, ভবদুলালীয় দর্শন মানতেই হয়।
    সেই যে, শ্যামল মিত্তির যেমনটি বলেছিলেন "যা গেছে তা যাক, যা গেছে তা যাক" সেইরকমই…


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খ্যাঁটন | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:০২518595
  • হে হে হে হে 
    সিপিএম সবে এসেছে মানে ৭৭ সাল? তখন তো দিব্বি স্লাইসড পাঁউরুর্টি পাওয়া যেত। মডার্নের সাদার উপরে লাল নীল ডোরাকাটা প্যাক। হয় কোয়ার্টার নয় খুব জোর হাফ পাউন্ডই কেনা হত আমাদের বাড়ি। তখন বাপুজি কেক ছিল পূর্ণ মহিমায়, এখনকার মত তেল চিপচিপে লাগত না। 
    জেলি আমি অবশ্য পুণেতে দিব্বি দেখি দোকানে সাজানো। জ্যাম আর মার্মালেডের পাশেই হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে থাকে। তবে ব্লুবেরি জ্যাম বা জেলির ছোট কি মেজবেলাতেও শুনি নি। 
  • যোষিতা | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১৮518596
  • পেয়ারার জেলি ঘন লাল হয়, আমের জেলি সবুজ।
  • যোষিতা | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:২০518597
  • ষাটের দশকেও নীল টিনের কৌটোয় আমূল চীজ মিলত। মাখন দুরকমের আমূল এবং পলসন। পলসনস বাটারে নোনতা স্বাদ বেশি।
  • b | 14.139.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৩৫518598
  • কারেন্ট নুন  পাওয়া যায়। এমনকি আমি রেসিপিও জানি। তবে ওই  বিশ্রী কালো রং আনতে পারবো না .
  • সিপিএম সবে এসেছে মানে ৭৭ সাল? | 165.225.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:১৬518603
  • ডিডি মনে হয় দশ বছর আগের কথা বলছেন - বাংলা কংগ্রেস, ইউনাইটেড ফ্রন্ট।  সিপিএম মন্ত্রী হয়েছে। 
    মানুষ চাঁদে যাব যাব করছে।  
  • dd | 49.207.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৩৪518605
  • হ্যাঁ
  • dc | 2401:4900:2312:fa72:3043:248e:c382:***:*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৪৫518612
  • "...উগান্ডায় গিয়ে কুমীরের রোস্ট খেয়ে বলেছি হলদি নদীতে এর চেয়ে বেশি সরেস মাল পাওয়া যায়"
     
    ক্লাসিক ডিডিদা laugh
     
    ছোটবেলার সেই লোফ আর জেলি মাঝখানে উধাও হয়ে গেছিল ঠিকই। তবে এখন দেখছি কিছু কিছু আর্টিজানাল বেকারিতে আবার পাওয়া যাচ্ছে। চেন্নাইতে যেমন ওল্ড ম্যাড্রাস বেকারি নামের একটা দোকান আছে, সেখানে হোমমেড জেলি, আচার, পেসতো, হামাস ইত্যাদি নানান কিছু বিক্রি করে, নানা রকমের লোফও বিক্রি করে। লোফগুলো পাউন্ড দরে পাওয়া যায়, বললে স্লাইসও করে দেয়। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৫০518615
  • চাঁদে যাবার সেই উত্তেজনা আর পরে তো হল না! এখন আবার নীলবাবুর মতন কেউ যদি যান, হাঁটেন আর কথা বলেন---কী ভালোই না হবে! সবাই মোবাইলে মোবাইলে দেখতে পাবো।
    রোয়াল ফল পাওয়া যেত আগে, কেউ তাকে বলতেন হরবড়াই। চুকাই বলে একরকম লালচে-খয়েরী ফল পাওয়া যেত, বেশ টকমতন। ওগুলো দিয়ে চাটনি হত। খারকোন বলে একরকম ডাঁটা পাওয়া যেত। খারকোন বাটা খুবই সুস্বাদু খাবার বলে গণ্য হত। গ্রামের দিকে গেছো-আলু বা চুবড়ি-আলু পাওয়া যেত,নানা ব্যঞ্জনে ব্যবহার হত। বহুরকমের শাক পাওয়া যেত।
  • সেই উত্তেজনা | 2600:1002:b056:29d5:c7e:85ee:d4cd:***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৫৯518622
  • হারিয়ে যাওয়া চাঁদ?! wink
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:49f8:8c19:6463:***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:৫৯518623
  • কুমড়ো ফুল আমেরিকায় ফার্মার্স মার্কেটে গেলে পাওয়া যায়। ইতালিয়ানরা নাকি চিজ ভরে ব্রেড ক্রাম্ব জড়িয়ে অলিভ অয়েলে ভেজে খায়। দেখে বন্ধু বলল সাধে কি ওরা মারাদোনার ভক্ত, বাঙালিদের সাথে কত মিল।
     
    ভিয়েতনামি দোকানে কলমি শাক পাওয়া যায়, আর থানকুনি। মেক্সিকানরা বাসক পাতার রস মেশানো মধু বিক্রি করে, সর্দির ওষুধ।
  • Prativa Sarker | ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৩০518627
  • টক ফলের কথা বললেন, অথচ কামরাঙা আর রয়েল ফল বাদ দিলেন !  এরাই তো ছিল টকের রাজা বাদশা।
     
     
  • dd | 49.207.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:২৩518628
  • @প্রতিভা
    আরে, কামরাঙা  তো বুক ফুলিয়ে ট্ক ফল। ওঁর হনেস্টি আর ইন্টেগ্রিটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন কোনোদিনই ছিলো না। যারা খেতো তাদের সাহস ছিলো - সন্দেহ নয়। যেমন কবি বলেছেন "আমি জেনে শুনে কামরাঙা খেয়েছি কাল / এখনো দেখছেন দাঁতের হাল ?"

    আর আমি যাদের কথা কইছি , তারা গুপ্তঘাতক। দেখতে যতোই নিরীহ হোক , প্রথম কামড়েই ডান পটকান দিয়ে মাথার ঘিলু  ঘুলিয়ে দিতো। ভুত তাড়ানো টক। সেই সব হিপোক্রিটদের কথা।
  • π | ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:০৩518689
  • ডিডিদা, কুল আর চালতার টক এখনো হয় আমাদের :).
    তবে সেই ডালিমের হজমিগুলি আর পাইনা!  সব এখন জোয়ানের হজমি। কিম্না ওই নানাপ্রদেশের জিরা আম এসবের হজমি।
    তবে মা যে কোথা থেকে থেকে সব কিনে আনত, আপিস ফেরত, সে সব চিত্রবিচিত্র দেখন আর নামবাহার, তারাই বা যে কই গেল!  একটার নাম আজও মনে আছে।  'টাইমবোম হরর'!  একটা অদ্ভুত ইংরাজিতে লেখা থাকত। ওটা হরর না হরহর ( পরের দিনের এফেক্ট),  সে নিয়ে আমাদের মত ভারি তর্ক চলত। তবে, এও মনে পড়ল, দাদা ওগুলোর একেকটার নামকরণ করেছিল,  কোনটা ছাগলের নাদি তো কোনটা টিকটিকির ইয়ে। খেতে গেলেই মনে পড়ত কিন্তু তাতে কৌটো খালি করে খাওয়া আটকায়নি মোটে!  আর কিমাশ্চর্যম  এখন দেখি, সবকটা ভারাইটির স্বাদও পুরো রোমন্থন কর‍্তে পারছি! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন