এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  শিক্ষা

  • বিবর্তন বিতর্ক! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ২৪৭৩ বার পঠিত | রেটিং ৩ (২ জন)
  • বাংলাদেশে জনমতের উপরে ভিত্তি করে বিবর্তন সংক্রান্ত একটা অধ্যায় ক্লাস সিক্সের পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিবর্তন নিয়ে আমার জ্ঞানে যতদূর ধরল তা লেখার চেষ্টা করলাম। 
     
    বানর থেকে মানুষ হইছে এমন কথা ডারউইন বলছে না বলে নাই এই বিতর্ক পরে করি। আপনি বিবর্তন শুনলেই যে ক্ষেপে জান তার কারণ কী তা আগে শুনি। বানর মানুষ এগুলা অনেক দূরের বিষয়। বিবর্তন বলতে আসলে কী বুঝায় আগে ওইটা বুঝেন। বিবর্তন অবৈজ্ঞানিক বলে কোন বিজ্ঞানী রায় দিল তা আমার জানা নাই। আমার জানা আছে বিবর্তন অস্বীকার করলে জিনতত্ত্ব, মাইক্রোবায়োলজি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা সব বাতিল করে দিতে হবে। যাই হোক, এগুলা ম্যালা উপরের বিষয়, মাথা গরম হয়ে যেতে পারে। সহজে বিবর্তন বলার চেষ্টা করে দেখি। 

    মূল কথা হচ্ছে প্রকৃতিতে প্রাণীর টিকে থাকা দিয়েই সব হচ্ছে। ধরেন একটা জায়গা বরফে ঢাকা। সেখানে প্রাণী সাদা রঙের, বা এমন একটা রঙ যা নিজেকে লুকিয়ে রাখতে সহজ হয়। কারণ? কারণ হচ্ছে টিকে থাকা। সাদা বরফে নিজেকে লুকিয়ে রাখা সহজ হয়, শিকার আর শিকারি দুইয়ের জন্যই তাই সাদা রঙের জরুরি দরকার। এই যে প্রাণীর রঙ সাদা বা ধূসর রঙের হল মেরু অঞ্চলে, এইটা বিবর্তনের ফলে হইছে। সময় লাগছে কিন্তু এক সময় প্রাণীর টিকে থাকার জন্য প্রাকৃতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে সাদা রঙের প্রাণী হাজির হয়েছে মেরু অঞ্চলে। একই রকম মেরু অঞ্চলের আরেক প্রাণী শীল মাছ, পেঙ্গুইন, শরীরে গঠন এমন যে প্রচণ্ড শীতের ভিতরে পানিতে নামছে, গোসল করছে। শরীর ওইভাবেই তৈরি হয়েছে। এমন হাজারও উদাহরণ আছে। মরুভূমিতে উট মাইলের পরে মাইল চলে, কীভাবে? শরীরে পরিবর্তন এসেছে, পাকস্থিলিতে পানির আলাদা ব্যাগ আছে, উট নিজের ওজনের চেয়ে তিন গুন বেশি পানি পান করতে পারে। এগুলা সবই উটের টিকে থাকার জন্য হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বছরের অভিযোজনের ফলে তৈরি হয়েছে।  উট পাখি এক সময় উড়তে পারত, এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে পাখা, দরকার নাই তাই শরীরে বিবর্তনের মাধ্যমে বাদ পরে যাচ্ছে পাখা। আমাদের শরীরেও বিবর্তনের চাক্ষুষ প্রমাণ রয়েছে। আমাদের আক্কেল দাঁত, এপেন্ডিক্স, টনসিল, এগুলার এক সময় কাজ ছিল, এখন নাই তাই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে এই সব অঙ্গ। আপনার পায়ের কড়ে আঙুল ছোট কেন? এইটা এক সময় থাকবেই না। এবং এইটা এখন যেমন আজ থেকে দুই তিন হাজার বছর আগেও এমন ছিল না। লক্ষ বছর আগে তো অবশ্যই অন্য রকম ছিল। আমাদের চলমান বিবর্তন শরীর থেকে ওই আঙুল বাদ দিচ্ছে ধীরে ধীরে। এর সাথে প্রাণীর আবির্ভাবের সম্পর্ক কী? বিজ্ঞান বলছে এমন করে করে আলাদা প্রাণীই সৃষ্টি হয়েছে এক সময়। টিকে থাকছে যে সে আছে বাকিরা হারায় গেছে। প্রকৃতিই ধীরে ধীরে টিকে থাকার জন্য যেমন দরকার তেমন করে এনেছে বর্তমান চেহারায়। 

    কঠিন বা বিশ্বাস হচ্ছে না? আরও বাস্তব কিছু উদাহরণ দেই। এখন একজন শিশু অতি সহজে স্মার্ট ফোন চালায় ফেলে, কীভাবে? ঠিকমত কথা বলতে পারে না কিন্তু লক খুলে ইউটিউব চালাচ্ছে এমন দৃশ্য আমরা এখন দেখে অভ্যস্ত। আপনার মনে হয় নাই যে এই আশ্চর্য কাণ্ড কীভাবে ঘটছে? কে শিখায় ওই বাচ্চাকে? দেখে শিখলে তো সবারই পারার কথা, আমি তো এমন অনেক মানুষকেই চিনি যারা স্মার্ট ফোন আতঙ্কে ভুগেন! ও সহজে টেকনোলোজি আয়ত্তে নিয়ে নিচ্ছে এইটা আমার কাছে বিবর্তন বলে মনে হয়। 

    আপনি খেয়াল করে দেখেন রাস্তাঘাটে এত কুকুর, অথচ কয়টা কুকুর গাড়ির নিচে চাপা পরে মরে? আমাদের বাচ্চাকে আমরা সাবধানে রাখি, রাস্তা পাড় হাওয়া শিখাই। ওদেরকে কে শিখাইছে? ওদের মস্তিষ্ক বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়েছে। আজকে থেকে দুই তিনশ বছর আগের কোন কুকুরকে যদি আজকের রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া যায় চোখের নিমিষে গাড়ির নিচে পরে মরে যাবে। কিন্তু এখনকার কুকুরেরা ঠিক নগর সভ্যতার সাথে অভিযোজিত হয়ে গেছে। এমন অনেক প্রাণী আছে যারা বিবর্তনের মাধ্যমে প্রকৃতিতে টিকে আছে। আর এগুলাই বিবর্তনের পক্ষের যুক্তি। ক্ষুদ্র জীবাণুতে এর উপস্থিতি আরও পরিষ্কার বুঝতে পারা যায়। এই যে অ্যান্টি বায়োটিক খান আর কয়দিন পরেই বলেন যে কাজ করে না, অন্য আরেকটা দেন, পাওয়ার বাড়ায় দেন, কেন বলেন? ওই ব্যাকটেরিয়া সমানে বিবর্তনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে চলছে। অ্যান্টি বায়োটিক যেটা ওকে মেরে ফেলছে ওইটার প্রতিরোধ নিয়ে পরেরটা আসছে, বিবর্তনের মাধ্যমেই এই কাজ হচ্ছে। মশার কয়েলে কাজ করে না বলে চিল্লাফাল্লা করেন, কাজ করে না কেন? মশাও বিবর্তিত হচ্ছে, আপডেট কয়েল না ফলে মশা তাড়াতে পারবেন না। 

    কাজেই বানর মানুষ দিয়ে চিন্তা না করে প্রকৃতিতে বিবর্তনের উপস্থিতি দিয়ে চিন্তা করেন তাহলে উত্তর পাবেন। বিবর্তনকে অস্বীকার করার কোন উপায় এখন আর নাই। বিবর্তন মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে লক্ষ লক্ষ টাকা পুরস্কারে ব্যবস্থা আছে। যারা মিথ্যা দাবী করে তারা এইসবে সময় নষ্ট না করে ভাল মত ঝাঁপিয়ে পড়ুন আর লক্ষ টাকা কামই করে নিন আর আমরাও ভুল একটা তত্ত্ব থেকে মুক্তি পাই! 
    এবার আসি ধর্মর সাথে বিরোধ নিয়ে। ধর্ম দিয়ে বিবর্তনের উত্তর পাওয়া যাবে না। ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞানের উত্তরই দেওয়া যাবে না। বিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে নানা প্রশ্ন করা, উত্তর খোঁজা। আর ধর্মের কাজ হচ্ছে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা। বাইবেল মতে ধর্ম বলছে ঈশ্বর ছয় দিনে মহাবিশ্ব তৈরি করে সাত নাম্বার দিনে বিশ্রাম নিয়েছেন। বিজ্ঞান বলছে সূর্য গ্রহ নক্ষত্র যদি তৈরি করে থাকে তখন তাহলে সূর্য ছাড়া কোন দিনের হিসাব দিলেন ঈশ্বর? দিন রাতের পরিমাপ কীভাবে করল? এমন বেমাক্কা প্রশ্নের সোজা সহজ উত্তর দেওয়া যাবে না, আধ্যাত্মিক উত্তর হয়ত দেওয়া যাবে। কিন্তু আসলে দরকারও নাই। ধর্ম ধর্মের জায়গায়, বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায়। আপনি যদি ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞান বই লিখতে চান তাহলে বিবর্তন না শুধু বই থেকে আরও অনেক কিছুই ফালায় দিতে হবে, বিজ্ঞান বইই হয়ত ছুঁড়ে ফেলে দিতে হতে পারে। সব ধর্মগ্রন্থে আছে এইটা ধর্মগ্রন্থে কোথাও লেখা আছে? ভারতে সব বেদে আছে বলে আর আমাদের এখানে সব কোরানে আছে! একেবারে সব তত্ত্ব নিখুঁত ভাবে মিলায় দিবে বেদের নানা শ্লোক দিয়ে, মানতে পারবেন? আর কোরানে কই লেখা আছে দুনিয়ার সব আবিষ্কারের সূত্র কোরানে দেওয়া আছে? যেইটা আল্লা কয় নাই ওইটা আপনে হুদাই বলে পাপ বাড়াচ্ছেন কেন? বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায় থাকতে দিন আর ধর্মকে ধর্মের জায়গায়। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ২৪৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • kk | 2601:14a:500:e780:145e:19fc:af32:***:*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:২০516269
  • কথ্য ভাষা আর লেখ্য ভাষার ফারাকটা অনেকটাই কমে গেছে ঠিকই। কিন্তু পুরোপুরি নেই তাও বলা যায়না। এখানেই দেখো একজন জানিয়েছেন যে লেখকের এই ভাষা কথায় বলার সময় তাঁর আপত্তি নেই, কিন্তু লেখায় এই রকম ভাষা তিনি পড়তে ভালোবাসেননা। কিছুকাল হলো আমার খুবই ইচ্ছে ও চেষ্টা যে ঠিক যেমন ভাবে কথা বলি, এখন থেকে সেভাবেই লিখবোও। কিন্তু আজন্মলালিত অভ্যেসের থেকে বেরোতে অসুবিধে হয়। নিজের অজান্তেই সুক্ষ্ম একটা লেখ্য ভাষা থেকেই যায়। কথা বলার সময় আমি এক লাইনে কুড়িটা শব্দের মধ্যে গোটা সাত-্দশ ইংরেজি শব্দ বলি। লেখার সময় দেখি কখন অবচেতনেই সেগুলো বাংলা করেই লিখছি। অনেকের লেখাতেও দেখি 'রোদচশমা', 'মুঠোফোন' এইসব শব্দ। এগুলো কথায় আর কজন বলেন? তবে এটাও ঠিক যে বেশ কিছু লেখক পুরোপুরি কথ্য ভাষাকেই লেখায় নামিয়েছেন। সেটাও অবশ্যই আমার কাছে অ্যাপ্রিশিয়েবল।
    পূর্ব আর পশ্চিম বাংলার ভাষা নিয়ে আমার অবশ্য বেশি কিছু বলার নেই। এদের মধ্যে এটা কিম্বা ওটা হতে হবে কেন সেটাই আমার কাছে স্পষ্ট নয়। দুটোর মধ্যেই নিজস্ব মিষ্টত্ব আছে। ঠিক একই ভাবে আমার কাছে বর্ধমানের 'করেনিকো, যায়নিকো' আর বীরভূমের 'বোস করা, দাঁড়া করা' অথবা মেদিনীপুরের 'পারবোনি, যাবোনি' সবগুলোই সুন্দর, শ্রুতিমধুর লাগে। কোনো একটা কিছু ভালো লাগতে হলে অন্য একটাকে বাতিল করে তবে জায়গা দিতে হবে কেন সেটা আমি কোনোদিনই বুঝতে পারিনা।
  • র২হ | 96.23.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৯516271
  • সেই, একটা শুদ্ধ মান্য প্রমিত অন্যটা আঞ্চলিক - ওসব হায়ারার্কির দিন গিয়াছে।
     
    লেখাটা একটু ভেবে হয় তাই অলংকার, সচেতন ভাষাপ্রয়োগ হয় - আমার সেসব ভালো লাগে। 
    আবার কেউ একেবারে বলার মত লিখতে চান - ইমানুলদারই যেমন, ওটা ঘোষিত সচেতন ধরন - সেও একটা ধরন।
     
    কিছু জিনিসে আমার নজর টানে। ভারতের বাঙালীরা বলে ফোন কোরো। বাংলাদেশের বাঙালীরা বলে কল দিও। 
    ভারতের বাঙালীদের অনেকের কাছে এই কল দিও একটা হাস্যকর ধারা। তো ওরকম টুকটাক উচ্চমন্যতা দেখি যেগুলো আসলে ফাঁপা। 
    নিশ্চয়ই অন্যদিকেও অনেক কিছু আছে। ভারতীয় বাঙালী বন্ধু পরিচিত বেশি বলে এগুলো চোখে পড়ে বেশি।
    সব রকমই হয়, সবগুলি ধারার মধ্যে চেনা পরিচয় হলে ভালো!
     
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৯516272
  • ওঁরা বলেন, আমারে ফোন দিও। ও আমারে ফোন দিল। কী রে আমারে ফোন দিবি বলছিলি, দিলি না তো?
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০২516273
  • ভারতীয় বাঙালি বলেন, রান্নাটা খুব ভালো খেতে হয়েছে। বাংলাদেশের বাঙালি বলেন, রান্নাটা অনেক মজার হইসে।
    অনেকে ভাবেন, মজার মানে বুঝি ফানি বোঝাতে চান। কিন্তু সম্ভতঃ তা নয়, এই মজার মানে হচ্ছে মজে যাওয়া, যা খেলে মন মজে যায়।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৩516274
  • সম্ভবতঃ
  • kk | 2601:14a:500:e780:145e:19fc:af32:***:*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২৩516275
  • হিন্দীভাষীরাও তো বলেন 'মজেদার খানা'। আমার বড় জামাইবাবু (উত্তরপ্রদেশে বর্ন অ্যান্ড ব্রট আপ) কোনোকিছু ভালো লাগলেই বলতেন "এতে দারুণ মজা আসলো"। এখন অবশ্য অনেক কলকাতায় বড় হওয়া বাঙালীকেও এই কথা বলতে শুনি।
  • | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:০৯516278
  • প্রসঙ্গ জামবাগান 
    আমরা ২০১৯ এ হিঞ্জেওয়াড়ির একটা পাহাড় জুড়ে হাজার তিনেক জামের চারা লাগিয়েছিলাম। ২০২০তে গোটা গরমকাল হোয়াটস্যাপ আর এমএস টিম জুড়ে হাহুতাশ করতাম চারাগুলো বোধয় জলের অভাবে মরে গেল। এইবার গিয়ে দেখতে হবে কজন বেঁচে আছে। কোভিড না এলে ওইটি এক জামবাগানে পরিণত হত এদ্দিনে। 
     
    প্রসঙ্গ আঞ্চলিক ভাষা
    সুবর্ণরেখা সুবর্ণরেণু প্রায় পুরোটাই মেদিনীপুরের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা। তো এটা পুরস্কার পাবার পরে এক উঠতি লেখক ফেবুতে বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন উহা সহি মেন্নিপুরি ভাষা নয় বলে। এদিকে তাঁকে আগেপরে কখনোই কলকাতার প্রমিত বাংলা ছাড়া কিছুই লিখতে দেখি নি। 
     
     
  • r2h | 165.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৫516284
  • হ্যাঁ, মজা মানে উৎফুল্লকর আরকি!

    দমদির জামবাগান, ঠিক এই যেমন প্রকৃতির ন্যাড়া পাহাড়ে জামবাগান বানিয়ে ফেলা, কী সুন্দর কাজ।
    যদিও সরকার বা শিল্পপতির, এমনকি মেজো ধরনের প্রোমোটারেরও বাসনা হলে জামগাছ তো তুশ্চু পাহাড় শুদ্ধু তক্তা করে দেবে, কিন্তু সে তো বাবু কহিলে অতিবৃদ্ধ পিতামহের ব্যক্তিগত ফসলী জমিও গাড়ি কারখানার জন্যে ছেড়ে দিতে হয়। সুতরাং ঐসব ভেবে লাভ নেই।
  • r2h | 165.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৬516285
  • প্রসঙ্গত জামবাগানের প্রস্তাবনায় অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন কেন জাম, কেন চালতা বরবটি বকফুল বাঁধাকপি বাওবাব এইসব নয়।

    আমার মনে হয় দমদির কাছে এই প্রশ্নটার উত্তর আছে!
  • a | 14.2.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩৫516286
  • ভাষার দিকটা বাদ দিয়ে লেখাটার বিষয় বস্তু নিয়ে কেউ বললে ভাল হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উটের পাকস্থলি হয়ে গিয়েছে। মিউটেশন আর এভোলুশনে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে বারবার। সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে তথ্যমূলক দিকগুলিকে অতিরিক্ত অবহেলা করা হয়েছে। কুকুর আর বাচ্চাদের উদাহরণ সম্পূর্ণ ভুল। এইসব আজাইরা লেখা আসলে বিবর্তন তত্ব বিরোধী যুক্তিগুলিকেই পুষ্ট করে। 
  • r2h | 192.139.***.*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:২৩516290
  • যার যেটা এজেন্ডা সে সেটা নিয়ে কথা বলবে, পাকস্থলীসচেতনরা তো শুধু এ বাবা পাকস্থলী কী হাসির কথা এর বাইরে পরিষ্কার করে কিছু বলেছেনই নাঃ)

    অতিসরলীকরণ তথ্যভ্রান্তি ইত্যাদি আছে তবে সেসব নিয়ে কেউ ঠিকঠাক বললে ভালো কথা, খিল্লি করলে আরো ভালো কথাঃ)

    অরণ্যদা তাও আসলে কী সেসব কোট করে দিয়েছে (আমি অবশ্য পড়িনি, আমি বিবর্তন উট হাঁচি টিকটিকি কালো বেড়াল সব বিষয়েই বিবাগী)।
  • কিংবদন্তি | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:০৪516321
  • লেখাটা নিয়ে আলাপ হলে আমার কিছু উপকার হইত। এইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। উটের পাকস্থলীর বিষয়টা অনেকদিন আগে পড়া, প্যাঁচ লেগে গেছে। ভুল ধরায় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। যারা বিবর্তন নিয়ে জানে ভাল তারা আরও এই বিষয় নিয়ে বললে আরও ভাল হত। বাংলাদেশে এইটা এখন সিরিয়াস একটা বিষয়। বই থেকে বাদ দিচ্ছে বিবর্তন! আলোচনাটা এইটা নিয়ে হলে ভাল হত। অন্য কেউ লেখলে, আরও ভাল হত। আমি পড়ে সমৃদ্ধ হতাম। 
    ভাষার সমস্যাটাই আমি বুঝি নাই। আমি কথাও খুব বড় কোন ভুল করেছি? একেবারে কাঁচা হাতের লেখা এমন কিছু? পুরো লেখাটাই রাগের মাথায় এক টানা লিখে দুম করে পোস্ট করে দিয়েছি। এক পেস্ট আমার ফেসবুকে আরেক পেস্ট এখানে। এরপরে এখানের আলোচনার পড়ে আবার পড়ে দেখলাম। আমি যথারীতি কিছুই বুঝি নাই। কেউ আঙুল দিয়ে দেখায় দিলে আমার জন্য সুবিধা হত। শুধরে নিতাম। 
     
    কে জানি লেখছে আমরা খাবার মজা হইছে বলি। এখন মজা হইছেও বলি না, বলি জটিল হইছে! হা হা হা! 
  • Falguni Mazumder | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৪৯516441
  • সুন্দর লেখা
  • Ranjan Roy | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৭516476
  • 1983 সালে ভারত বিশ্ব কাপ জিতলে রাঢ় বাংলার অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় দেশ পত্রিকায় কবিতা লিখেছিলেন:প্রুডেনশিয়াল কাপের গল্প নামে।
     
     "বাজি ফুটবল ইহার উধার,
    মেঘে মেঘে বাইজল কাঁড়া,
    রাত বারোটার কঠিন আঁধার 
    চাঁদ কইরলেক ডিংলা ফাড়া।
     
    ই বইলছে জিতে ইলম  
    উ বলছে জিতে লীলম্।
    রাত বারোটার রাজা ইখন 
    দেশের বেবাক ছেইলা গুলান।
    ----------------------
    আমরা কেনে চোদুর পারা
    গাইল্ পাড়ছি খালভরা 
    এ উয়াকে ?
    রাত বারোটার বাজি ফুটা  ,
    লাইগছে বটে দিনমানে 
    সবই ঝুটা।।
     
     
  • Ranjan Roy | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৯516477
  • হিন্দিতে বলি
    মজা আ গয়া!
  • kk | 2601:14a:500:e780:b163:7f74:93b1:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৯516495
  • রঞ্জনদা,
    কাঁড়া না কাড়া? কাড়া মানে মোষ। বাঁকুড়া অঞ্চলে এই ভাষা বলে। ডিংলা মানে কুমড়ো। অনেকদিন পর শব্দগুলো শুনে ভালো লাগলো। কবিতাটা খুব সুন্দর। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন