এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • পুরানো কথা পর্ব ৩৩

    Jaydip Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৪ জুলাই ২০২১ | ২৩৬৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • এন. রবিকুমার, আমাদের সকলের রবিদা, অত বড় পুরুষযৌন স্বাস্থ্য প্রকল্পের বিভিন্ন জেলার ড্রপ ইন সেন্টারে চালু যৌনরোগের ক্লিনিকের পরিকাঠামো দেখাশোনা, ওষুধের হিসাবপত্র, কন্ডোম-ল্যুবের হিসাব রাখার পাশাপাশি এইচ আই ভি আক্রান্ত দের চিকিৎসা পরিষেবার সাথে যোগাযোগ করানো মায় তারা যাতে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনে উৎসাহ পায় সব ব্যাপারে খুঁটিনাটি নজর রাখতেন। এই মানুষটার কাছে আমার অনেক ঋণ।

    খুব ছেলেবেলায় একবার আমার তরকা-জ্বর হয়েছিল। তারপর থেকে মনিমা পুসুমা পাপা - মা (জ্যেঠু -জ্যেঠিমা) ভীষণ আতুআতু করত আমায়। কোনওকালে হাসপাতাল তো অনেক দূর শরীরখারাপ হলে ডাক্তারখানায়ও যাইনি কখনও। কিছু হলে পাপার বন্ধু কেষ্ট কাকুই ছিল ভরসা, দরকারে বাড়িতে আসতেন উনি।

    তাই নিজের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হবে ভেবে একটু হলেও থমকে ছিলাম। অগত্যা রবিদার স্মরণাপন্ন আমি। যদিও সকাল বেলা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কোলকাতার হাসপাতালে একা একা পৌঁছানো আর এভারেস্ট জয় আমার কাছে দুটোই সমান ছিল সেদিন।

    তার ওপর আমাদের সরকারি হাসপাতাল, গিয়ে তো বাকী লোকজনকে দেখে প্রথমেই মনে হল, এবাবা আমাকে এত বাজে দেখতে হয়ে যাবে।এমন মড়াকাঠ চেহারা হলে তো কেউ ফিরেও তাকাবে না। মুখে যতই চওড়া হাসি থাক না কেন, মনে মনে কত কি ভাবি।একসময় বলেই ফেললাম রবিদাকে। রবিদা আস্বস্ত করল,"ধুর পাগল! ও সব তো লোকে পরীক্ষা করায় না দেরীতে ধরা পড়েছে তাই। সময় মত ওষুধ খেলে আর নিয়ম মত চললে কিসসু হবে না।"

    চিকিৎসার প্রোটোকল অনুযায়ী সে সময় প্রথমেই আজকের মত প্রথমেই এইচ আই ভি ধরা পড়লেই ওষুধ চালু করা হত না। প্রথমেই রোগ আটকানোর ক্ষমতাবাহী কোষের (সিডি -৪) পরিমাপ দেখা হত। নির্দিষ্ট মাপকাঠির কম হলে তখন ওষুধ চালু করা হত। সঙ্গে অন্যান্য অনেক রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শারীরিক অবস্থা কেমন আছে দেখা হয়।

    নিয়ম অনুসারে একটা কেস হিস্ট্রি রাখা হয় সকলের। সম্ভাব্য সংক্রমণের কারণটাও তাতে লেখা থাকে। আউটডোরে বড় ডাক্তারবাবুর সাথে জুনিয়ররাও থাকেন। যখন সেই চিকিৎসকমন্ডলী সংক্রমনের ইতিহাস দেখে জানতে পারলেন আমি একজন সমকামী অথচ তথাকথিত ভাবে বাহ্যিক রূপে দাড়িগোঁফ নিয়ে সাধারণ পুরুষ তখন চিকিৎসকদের অবাক হওয়ার পালা দেখে আমিই অবাক হয়েছিলাম। তারপর হাসপাতালের বিভিন্ন ঘরে ঘরে গিয়ে সম্ভাব্য দিন ও সময় জানার পালা কবে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেছিল ডাক্তার দেখিয়ে আর এসব করে। তার সঙ্গে ছিল লোকজনের অবান্তর কৌতূহল, কি করে হল। "আহারে এই বয়সে...!" গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছিল যেন এইচ আইভি সংক্রমনের আবার বয়স থাকে। শেষবেলায় শেষের ঘরে গিয়ে সেদিন আর ধৈর্য্য থাকেনি। রেগে মেগে বলে বসেছিলাম," কি করে হল জেনে আপনাদের কি দরকার! কতজনকে বলতে হবে পিছন মাড়িয়ে এইচ আই ভি হয়েছে।" চিরকাল সাতচড়ে রা না কাটা আমাকে এতটা রাগতে রবিদা আগে কখনও দেখেননি। সব দেখেশুনে রেগে গিয়েছিলেন উনিও।

    এত গেল প্রথম দিন। তারপর প্রায় একমাস ধরে বিভিন্ন দিন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা। (আজকাল যদিও একদিন একজায়গা থেকে একবার রক্ত নিয়েই সব পরীক্ষা করা হয়)। সকালে উঠে কোনওদিন খেয়ে কোনওদিন না খেয়ে, বাড়ীর কাউকে না বলে আমার একা একা হাসপাতাল অবধি যাওয়াটা ছিল সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ। প্রতিটা দিন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমি পৌঁছানোর আগেই ঠিক পৌঁছে যেতেন রবিদা।

    সে বছর দুর্গাপুজোয় অষ্টমীতেই বাড়ির কাছের এক পুজোপ্যান্ডেলে আমাদের সংগঠনের তরফে এইচ আই ভি এডস সচেতনতার জন্য "মাই ব্রাদার নিখিল" দেখানোর আয়োজন করা হয়েছিল। আর তার পরে একটা প্যানেল ডিসকাশন হওয়ার কথা ছিল। দুপুরে বিতান অনুরোধ করেছিল প্যানেলে ওর সাথে বসতে। রাজীও হয়ে ছিলাম। পর্দায় মাই ব্রাদার নিখিল দেখতে দেখতে চোখের কোনটা ভিজে উঠেছিল সেদিন নিজের অজান্তেই। ওদিকে তখন আমার সামনেই আলো-আঁধারিতে ঘনিষ্ঠ বিতান আর ওর নতুন সঙ্গী। খালি মনে হচ্ছিল, "আমার নাইজেল আজ আমার পাশে নেই।" মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পর্দার নিখিলের সাথে কোথাও যেন মিলেমিশে এক হয়ে গেছিলাম। আর তাই চোখের জল বাধা মানে নি, বেড়িয়ে এসেছিল গাল বেয়ে। হঠাৎ জানলাম রাত হয়ে যাওয়ায় প্যানেল ডিসকাশনটা হবেনা। পরিবর্তে কানে এল মাইকে বিতানের কন্ঠ, "আমাদের সংস্থার নিখিল আজ আমাদের মধ্যে উপস্থিত। আমি জয়কে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করছি। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব আমি। সামলে নিয়ে মাইক তুলে নিয়েছিলাম হাতে। যতটা পারা যায়, নিখিলের সাথে আমাদের কথা, নিখিলের ক্রিয়েটিভিটির কথা, অজান্তেই এইচ আইভি হলে দূরে সরিয়ে না দিয়ে পাশে থাকার কথা বলে মঞ্চ থেকে নেমে এসেছিলাম আমি।

    বেড়িয়ে আসার সময় ছেঁকে ধরেছিল অর্বাচীন দর্শকের দল, জানতে চেয়েছিল, "আপনাকে কেন বিতানবাবু নিখিল বলে পরিচয় করালেন বুঝলাম না।" বিব্রত আমি শুধু হেসে বলেছিলাম, "সিনেমার নিখিল সমকামী, এইচ আই ভি পজিটিভ, আমিও সমকামী মানুষ আর এইচ আই ভি আক্রান্ত।" বলতে বলতে বেড়িয়ে স্টেশনের রাস্তা ধরেছিলাম সেদিন। বিতান সহ সঙ্গের সঙ্গীরা ট্রেন এলে উঠে চলে গিয়েছিল। দাঁড়িয়ে রইলাম স্টেশনে আমি একা। আমার গন্তব্য তো আসলে অন্যদিকে...

    বড্ড একা লেগেছিল সেই মুহুর্তে। বিপ্রদাসকে তখন ফোনে পাওয়া সম্ভব ছিলনা। বাড়ীর দূর্গাপুজোর সন্ধিপুজোয় ব্যস্ত বিপ্রর ফোন ছিল বন্ধ। কেটির ফোনটাও বেজে বেজে থেমে গেছিল একসময়। দুর্গাপুজোর আনন্দ ম্লান হয়ে গেছিল এক লহমায়...

    ফিরতি ট্রেনে ওঠার থেকে ট্রেনের নিচে যাব কিনা ভাবতে ভাবতেই স্টেশনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই শেষ ট্রেন টাও প্লাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যায়। পুজো আসে পুজো যায়। অষ্টমীর সন্ধ্যের ঢাকের আওয়াজে সেদিনের ঘটনাটা মনে পড়ে আর আমার পুজোর গন্ধটা আজও ম্লান করে দেয়...

    আস্তে আস্তে বিষয়টা জানাজানি হতে শুরু করল। নন্দন চত্বরে আগের মত আড্ডা দিতে গেলে শুরু হল কানাঘুষো। রেলিং এর ওপরে গিয়ে বসলে দেখলাম আস্তে আস্তে নানা ছুতোয় সকলে রেলিং থেকে সরে গেছে আমার পাশ থেকে। আমি একাই বসে আছি। অবাক হইনি। কিন্তু সপক্ষে কোনও কথাও বলতে পারিনি। স্বাভাবিক ভাবেই খারাপ লেগেছিল ফেরার সময় শেয়ার ট্যাক্সিতে উঠলে ছুতো খুজে বাকীদের নেমে যাওয়ায়। মনে মনে নিজেকে বোঝালাম ওদের জায়গায় আমি থাকলেও আমি হয়তো এটাই করতাম। ওরা হয়তো জানতই না এভাবে সাধারণ মেলামেশায় এইচ আই ভি ছড়ায় না। তবে আমি তারপর থেকে আড্ডাজোন গুলো এড়াতে শুরু করলাম।

    এই জানাজানির ভাল দিকও ছিল।কমিউনিটির সবাই ভাবত আমি প্রচন্ড একগামী, বা তারা আমার ব্যক্তিগত শোয়াবসা সম্পর্কে খুব বেশি জানত না।আমার এইচ আই ভি ধরা পড়ার খবরে হুগলী হাওড়া কোলকাতার আমার পরিচিত অনেকেই ভয় পেয়ে নিজের নিজের এইচ আই ভি পরীক্ষা করাতে শুরু করল। অনেকেরই এইচ আই ভি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। আর অদ্ভুত ভাবে এরা অনেকেই আমাদের ড্রপ ইন সেন্টার এ কাউন্সেলিং এর জন্য সুমিতার কাছে আসা শুরুও করে। অনেক সময় মনের জোর বাড়ানোর জন্য আমিও ওদের সাথে কিভাবে আমরা ভাল থাকব আলোচনা করতাম। আসলে অতগুলো বছর আগে কাজের সুবাদে আমার নিজের জানাটা বাকিদের থেকে বেশিই ছিল। আর সবকথা বলার মত আসেপাশে লোকই বা কোথায়। আর একটা বিষয়ে অদ্ভুত ভাবেই এই মানুষগুলো আমাকে বিশ্বাস করত। কেননা ততদিনে তারা জানত আমার কাছে কোনও গোপন কথা বললে তা আমি পাঁচকান করে বেড়াই না।

    এখন হয়তো কাউন্সেলিং ব্যবস্থা অনেক পাল্টেছে। আসলে এইচ আই ভি কাউন্সেলিং এর ভাবনা চিন্তা এখনকার মত তখন ছিল না। এইচ আই ভি প্রোগ্রামের খোলনলচে বদলেছে অনেক পরে। তখন অনেকেই মনে করত এইচ আই ভি আক্রান্তের যৌনজীবন থাকা উচিত না, আজও অনেকে করে। কাউন্সেলিং ব্যবস্থায় কন্ডোমের ব্যবহার করতে বলা হত নীতি পুলিশি দেখিয়ে, বলা হত, "কন্ডোম ব্যবহার না করলে, তোমার থেকে অন্যের এইচ আইভি ছড়াতে পারে" বিষয়টা যতটা সত্যি ততটাই এইচ আই ভি আক্রান্ত ব্যক্তির পুনঃসংক্রমণ বা অন্যান্য যৌনসংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা সব পরিসরে হত না। আজও অনেক কম হয়। দুজন এইচ আইভি আক্রান্তেরও যে যৌনমিলনে কন্ডোম ব্যবহার প্রয়োজন তা নিয়েও কথা কমই হয়। আসলে যৌনতা বিষয়টা নিয়েই তো খোলাখুলি আলোচনা আমাদের সমাজে আজও কম হয়।

    আরও একটা অদ্ভুত বিষয় এই কমিউনিটির লোকজনও মনে করে কারও এইচ আই ভি আছে তা বাকীদের জানালে বোধহয় বাকীরা সুরক্ষিত থাকবে। আসলে অনেকেই নিজের রক্তপরীক্ষা করায় না, নিজের অজান্তেই তারাও এইচ আই ভি-র বাহক হতে পারে তাদের থেকেও এইচ আই ভি ছড়াতে পারে এ সত্যটা মেনে নিতে মানুষজন কিছুতেই পারেনা। সকলেরই নিজেকে এইচ আই ভি বা যৌনরোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে কন্ডোমের ব্যবহার জরুরি এই সহজ তথ্যটা সকলের বোধগম্য আজও নয়। এই ধারণা থেকেই হয়তো বা আমার সম্পর্কে লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল বিতান। কেননা এভাবে মাউথ ক্যম্পেনিং যে ও করে বেড়াচ্ছে সে খবর ততদিনে আমার কাছেও এসে গেছে যে!

    এসময় একটা মজার ঘটনা ঘটে।একদিন ড্রপ ইন সেন্টারে বেশ কয়েকজন এইচ আই ভি পজিটিভ বন্ধু এসে আমার এইচ আই ভি রিপোর্টটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং রিপোর্টটার সত্যতা যাচাই করতে চায়। কেননা ওদের মনে হয় আমার তো কান্নাকাটি করা উচিত ছিল। আমি তো তার বদলে এইচ আই ভি নিয়ে কি ভাবে ভাল থাকা যায় সে কথাই বলছি। ওরা তো আমাকে মনখারাপ করতে দেখে না। মন খারাপ হলেও কখনও সেটা বাইরে প্রকাশ করতাম না। খুব কাছের লোকের কাছেও মনখারাপ প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আসলে বিষয়টা আমার কাছে একটা সাধারণ ঘটনা ছিল। আমি তার বাইরে আলাদা করে কিছু তখনও বুঝিনি।(আজ হয়তো অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। সময়ের সাথে আন্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসায় শারীরিকভাবে ভালো থাকলেও নানা অভিজ্ঞতায় মনের ভিতরে আজও মাঝে মাঝেই ঝড় ওঠে তা আমিই জানি। ) সেদিন ওদের মনে হয়েছিল আমি আসলে এইচ আই ভি পজিটিভ ভুয়ো রিপোর্ট তৈরী করে আসলে এইচ আই ভি প্রকল্পের টাকায় বিভিন্ন কনফারেন্স যাওয়ার নাম করে বিমানচড়ে বিদেশ ভ্রমণ করে বেড়াতে চাই। হঠাৎ করে এমন আক্রমণে আমি পুরো হতভম্ব। ব্যাপারটা সামাল দেয় কাউন্সেলর সুমিতা। জানতে পারি এমন ঘটনার নেপথ্য নায়ক আসলে বিতান। কেননা ওর অভিজ্ঞতায় একসময় ও কাউকে কাউকে দেখেছিল, তাদের নিজের দিদি জামাইবাবুকে যৌনকর্মী ও তার বাবু সাজিয়ে এমন কনফারেন্স অ্যাটেন্ড করতে।এমন কি কোনও একজন সেই সময়কার প্রথম শ্রেনীর আন্দোলনকর্মী নিজেকে নাকি এমন ভুয়ো এইচ আই ভি আক্রান্ত পরিচয়ে এমন বিদেশ ভ্রমণ করতেন বলেও ও জানত । বিতানের কাছে কোনও একসময় গল্প শুনেছিলাম অনেকেই নাকি এইচ আই ভি পজিটিভ পরিচয়ে অনেক সুবিধা নেয়। পরে যত দিন গেছে আমি দেখেছি এন. জি. ও জগতে এমন কত বিচিত্র ঘটনাই ঘটে। যদিও এমন ঘটনা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা।

    তবে সেদিনই সিদ্ধান্ত নিই আর যাই হোক কোনওদিন কোনও এডস কনফারেন্সে যাওয়ার কোনও আবেদন তো আমি করবই না এমনকি সুযোগ এলেও যাব না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৪ জুলাই ২০২১ | ২৩৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন