এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • পুরানো কথা পর্ব ২৩

    Jaydip Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২৫ জুন ২০২১ | ২৫১৬ বার পঠিত
  • স্নাতক স্তরের পরীক্ষার পর থেকেই চাকরি খোঁজার চেষ্টা শুরু করছিলাম। সেই যে আমার নাচের দিদি বলেছিলেন,"জীবনে যদি একশ টাকাও রোজগার করো সেটা তোমার।" মনের মধ্যে কোথাও গেঁথে গিয়েছিল। দিদির কাছ থেকেই এ বোধ তৈরী হয়েছিল, "বাবার টাকা আমার না, উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া কোনও জিনিসে আমার কোনও কৃতিত্ব নেই।" নিজের পায়ের তলার জমি নিজেকে তৈরী করতে হবে। পরীক্ষার আগেই হাতখরচের জন্য টিউশনি শুরু করেছিলাম। সে অভ্যাস তখনও আছে। বাবা ওদিকে তোতাপাখির মত বলে যাচ্ছে মাস্টার ডিগ্রি পড়তেই হবে। যেন ওতেই জীবনের মোক্ষ লাভ। আসলে বুঝতে পারতাম ওনার ইচ্ছে মত ডাক্তারি বা বিজ্ঞান নিয়ে পড়িনি। আমার বাবার পরিবারে তথাকথিত উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি কারও নেই। তাই ওটাই বলে যেত।

    বিপ্রদাসের সঙ্গে রোজের কথা বলা বন্ধ হয়নি। বরং একটা নির্ভরশীলতা তৈরী হয়েছে। বিপ্রদাসের ওপর আমার ভাললাগাটা বিপ্রদাস জানলেও তার গভীরতা আমি তখনও ওকে জানাইনি। সবটাই ছিল মনে মনে।

    তবে বন্ধু হিসাবে সে কথা বলে ফেলেছিলাম বিতানকে। বিতান জানিয়েছিল অনেক আগেই বিপ্রদাস নিজের সঙ্গী পেয়ে গেছেন। কাউন্সেল ক্লাবের কোনও এক পার্টিতে বিপ্রদাসের সঙ্গীলাভ হয়েছে। এটা জানার পর আর তো কোনও কথা চলেনা। মনোবাসনা মনেই রয়ে গেল। তাবলে রোজকার ফোন করাটা বন্ধ হলো না কোনও পক্ষেই।

    ততদিনে জানি বেশ কিছুদিন হল ওদের সংগঠন ওই "পুরুষ যৌনস্বাস্থ্য প্রকল্পের" আওতায় হাওড়া হুগলীতে পুরুষ হয়েও পুরুষ শরীরের প্রতি যারা যৌন আকর্ষণ বোধ করেন ও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন এমন মানুষদের খুঁজে বের করে তাদেরকে এইচ আইভি এডসের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার কাজ শুরু করেছে। রাজ্য এডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এ ব্যাপারে আর্থিক সহায়তা করছে। এই প্রকল্পটা সারা পশ্চিমবঙ্গেই তখন চালু হয়েছিল। এই অঞ্চলের কাজের মুল দায়িত্ব বিতানের ওপর দেওয়া হয়েছিল ।

    একদিন বিপ্রদাস কথায় কথায় জানালেন, ওদের এই প্রকল্পের কাজের পরিধি বাড়বে। হুগলী হাওড়া ছাড়িয়ে বর্ধমান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে কাজ। বিতান কে হয়তো বর্ধমানের দায়িত্ব নিতে হবে। বিতানকে সাহায্য করার লোক চাই। যে আসবে বিতানকে সাহায্যের পাশাপাশি কাজ বুঝে নিলে বিতান একসময় তার ওপর দায়িত্ব দিয়ে নিজে পুরোপুরি বর্ধমানের দায়িত্বে মন দেবে। তবে পুরো কাজটাই বেগার না। এ বিষয়ে পারিশ্রমিক হিসাবে যা পাওয়া যেতে পারে তা শোনার পর আমার মনে হল সেটা আমার হাতখরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট । যদি রাজী থাকি তাহলে যেন বিতানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ও আমাকে অফিসিয়ালি প্রকল্পের হেড অফিসে ইনটারভিউয়ের জন্য নিয়ে যাবে। এই সেই বিতান যাকে কেন্দ্র করে একসময় আমার কাছে নগ্ন হয়ে গেছিল রণজয়ের মিথ্যাচার। বন্ধুত্ব থাকলেও খুব মাখামাখি ছিল না। ওর সঙ্গে কাজ করতে পারব কিনা ভাবতে ভাবতে রাজী হয়ে গেলাম। ভাবলাম ইন্টারভিউ দিলেই তো আর হবে না ইন্টারভিউ দিতে ক্ষতি কি!

    একদিন সন্ধ্যেবেলা বিতানকে ফোন করে হাজির হলাম বিতানদের অফিস। একটা বাড়ীর একতলায় দুটো ঘর নিয়ে অফিস। অফিস বলতে যা আমি তখনও বুঝি, এ অফিস তেমন না, আসবাব পত্র তেমন নেই। তবে ঢুকতেই সামনের একটা টেবিলে দুটো চেয়ার একটায় রিকি। একটা ফাঁকা বিতান বাইরে গেছে। সামনে একটা বেঞ্চ বসলাম। রিকির সাথে গল্প জমে গেল। ভেতরে একজন ডাক্তার মাঝে মাঝে বসেন শুনলাম। কেমন যেন পাড়ার ক্লাব ঘর মার্কা, যেখানে দাতব্য চিকিৎসালয় খোলা হয় তেমন। আগে যদিও কোনও এন জি ও র অফিসে যাইনি। ভাবলাম নতুন অফিস তাই বোধ হয় এমন গোছগাছ। খুব বেশি মনে ধরল না। বিতান এসে জানাল কদিন বাদে ও আমাকে নিয়ে কোলকাতার অফিসে যাবে। ফিরে এলাম। রাতের বেলা বিপ্রদাসকে ফোন করে মনের খুঁতখুঁতুনি বলেই ফেললাম যে অফিস পছন্দ হয়নি। ওনার থেকে জানলাম, আসলে অফিস বলতে যা আমরা সচরাচর বুঝি এটা তেমন না। ওরা এটাকে ড্রপ ইন সেন্টার বলেন। আসলে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেওয়া, যাতায়াতের পথে রেস্ট নেওয়া, সকলে এসে নিজের মত শ্বাস নেওয়া।সবকিছুর ফাঁকেও নিজের যৌনতা, যৌনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠার জায়গা।

    নির্ধারিত দিনে বিতানের সাথে কলকাতার অফিসে গেলাম। এই অফিসের মধ্যে অফিস ছাড়াও একটা অমন আড্ডাজোন বা ড্রপ ইন সেন্টার। দেখা হল চন্দননগরে আলাপ হওয়া কতি বন্ধুদের সাথে।বিতানকে দেখেই সকলে হইহই করে উলু দিল। বুঝলাম এ উলু দেওয়ার মধ্যে একটা আন্তরিক আপ্যায়নের ছোঁয়া। বিতান আর ওরা অনেকেই সেই উল্টি ভাষায় কথা বলছে। আমিও বেশ মজা পেলাম। খানিক বাদেই আলাদা করে আলাপ হল তিনজন মানুষের সাথে অফিসঘরে। প্রজেক্ট কো অরডিনেটর অফিস অ্যাডমিন আর অ্যাকাউন্ট্যান্ট। জাস্ট আলাপ হল, কোনও কথা হলনা। দেখানো হল না কোনও পরীক্ষার কোনও কাগজপত্র। সেদিন ছিল বিশ্ব এডস দিবস। এই উপলক্ষে সুজাতা সদনে ছিল কিছু অনুষ্ঠান, সেখানে যাওয়ার জন্য সবাই তারাহুড়োয় ছিল।

    বেরোতে গিয়ে চোখ আটকে গেল কর্পোরেট মহিলাদের মত পোষাকে একমুখ হাসিতে, বিতান আলাপ করাল ত্রিদীপ। বিতান কানে কানে বলল এটাই বিপ্রদাসের প্রেম। একটু যেন হুহু করল বুকের ভেতর টা। কিন্তু প্রথম আলাপেই তার এগিয়ে এসে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করায় মনে হল কত দিনের চেনা। সেদিনই এ মানুষটা আর সকলের মত আমারও হয়ে গেল বড়দি।

    বড়দি আমার দেখা সেই অর্থে প্রথম পুরুষ শরীরের খাঁচায় নারী মানুষ। যাকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। অসম্ভব দৃঢ়চেতা, প্রচন্ড আত্মসম্মানের সঙ্গে নিজেকে নিয়ে চলা, সর্বদা হাসিখুশি , কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলায় না জড়ানো, মনের কষ্ট মনের মধ্যে রেখে দেওয়া একজন মানুষ। না, আমার ভেতরে বড়দির মত মেয়ে হয়ে উঠতে চাওয়া বা সম্পূর্ণরূপে নিজেকে মেয়ে বলে ভাবার যন্ত্রণা ছিল না। আমি আমার ছেলের শরীরে সুখী। খুশি কিনা আজও ভাবিনা। ছেলে হয়ে জন্মানোর সুবিধা ভোগ করতে করতে অভ্যেস হয়ে গেছে। মনে মনে কখনও কখনও নিজেকে নারী ভাবলেও ছেলের শরীরটার পরিবর্তন আমি চাইনি কখনও । মেয়েদের "মত" হওয়া আর মেয়ে হওয়া এক না। আমার সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের খামতি, অনেক ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও আমি তা নিয়ে ভাল আছি। আমি আমার জন্মগত লিঙ্গচিহ্ন পরিবর্তনের কথা আজও ভাবিনা। অথচ হ্যাঁ একথাও সত্যি আমিও মনে মনে নিজেকে মেয়ে ভাবতেই ভালবাসি, তথাকথিত হেটারোনর্ম্যটিভ মানুষদের মতই বিছানা ও জীবনে আমার পুরুষ সঙ্গীর জন্য তার তথাকথিত স্ত্রী হয়ে থাকতে চাই। তারপরেও আমি চাইনা আমার স্তন নারীর মত হোক, বা আমার প্রশস্ত যোনি পথ থাকুক। শাড়ী আমার প্রিয় পোষাক আবার তার জন্য দাড়িও থাকবেনা এ ভাবনা আমার নেই। চিরকাল মনে ভেবে এসেছি পোষাক আমার পরিচয় না। যে গয়না আজ পড়লে লোকে হাসে, তাইই তো দেখি মন্দিরের দেবতার গায়ে। তবে কেন এ সামাজিক দ্বিচারিতা আজও বুঝিনা ...

    অথচ বড়দির গল্প যত জেনেছি ততই বুঝেছি মানুষটার ছটপটানি। বড়দি সমাজনির্মানের সমস্ত নিয়ম নিয়ে মেয়ে হতে চাইত। জীবনের অনেকটা সময় পরিবারের সঙ্গে সমাজের সঙ্গে লড়াই করা, শকথেরাপির ভুল চিকিৎসার ভেতর দিয়ে যাওয়া বড়দি, বহু কিছুর পর আজকের দিনে নিজের পরিচয়ে বাঁচে। আজ বাড়ীর সকলের কাছে মেয়ে হলেও, সমাজকর্মীর সম্মানজনক কাজ করলেও বৃহত্তর সমাজের কাছে সেদিনের ত্রিদীপ শুধুই দীপালী রায় না, দীপালি হিজড়া। কেননা, বড়দির মত এলাকার যে সমস্ত মানুষ অন্য কোনও পেশায় যেতে না পেরে হিজড়া পেশাকেই বরণ করতে বাধ্য হয়েছে বড়দি তাদের কাছেও বড়দিদির মত। মায়ের মত যত্ন নিয়ে তাদের আগলাতে চেষ্টা করে। সবসময় চায় যে কষ্ট নিজে পেয়েছে তা যেন অন্য কেউ না পায়। বড়দির কষ্ট আমি পেতে চাই না। তাই নিজের ভেতরে যত নারীসত্তাই থাকুক না কেন আমি আমার মতো ভালো আছি। সেক্সুয়ালিটি যত-ফ্লুইড হোক না কেন শরীর পরিবর্তন বা লিঙ্গ পরিবর্তন করার প্রয়োজন বোধ করিনি।

    বিপ্রদাসের সঙ্গে বড়দির সম্পর্ক জানার পরে অনেকবার বড়দিকে নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও আমি জানি, সেদিনের মতই আজও মানুষটার বুক ফাটলেও মুখ ফোটেনা। বিপ্রদাসও কোনওদিন বড়দিকে বুঝে বড়দির যোগ্য সম্মান দিতে পেরেছেন বলে আমি আজও বিশ্বাস করি না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৫ জুন ২০২১ | ২৫১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তন্বী হালদার | 2409:4060:e9d:5219:2d32:70:6894:***:*** | ২৫ জুন ২০২১ ১৬:২৬495281
  • লেখো লেখো তোমার কথা, অন্যের কথা যন্ত্রণার কথা

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন