এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • পুরানো কথা পর্ব ২৭

    Jaydip Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ০২ জুলাই ২০২১ | ২১৭২ বার পঠিত
  • কোলকাতায় রামধনু পদযাত্রার প্রথম দিকের কথা মনে পড়লেই সিদ্ধার্থ গৌতম মেমোরিয়াল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এর কথাও মনে পড়ে যায়। কাউন্সিল ক্লাব, ইন্টিগ্রেশন সোসাইটির দিন গুলো পেরিয়ে পবন ঢাল তখন SAATHII (Solidarity and Action Against The HIV Infection in India) র কোলকাতা অফিসএর কর্নধার। শুধুমাত্র এইচ আই ভি নিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসা সংগঠনগুলির ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বা টেকনিক্যাল সাপোর্টই দেওয়াই না, অনেক সময় সরাসরি এইচ আই ভির ঝুঁকি আছে এমন মানুষ জনের পাশেও আইনি ও বিভিন্ন পরামর্শও দিতে শুরু করে SAATHII প্রথম থেকেই। আর পাশাপাশি পবন নিজে যেহেতু কোলকাতায় এল-জি-বি -টি আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে জড়িয়ে তাই এই ধরনের মানুষদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর চেষ্টাও নিজের মত করে করা শুরু করেছিলেন। এইচ আই ভি-র পাশাপাশি জেন্ডার ইস্যু গুলোও যাতে লোক জনের কাছে পৌঁছায় সে ব্যাপারেও তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। মোটামুটি ভাবে সকলের কাছেই এই আন্দোলন তথা ইস্যুটা যাতে পৌঁছায় সে চেষ্টা তিনি প্রথম থেকেই করে এসেছেন। যাদের হাত ধরে এসব কাজকম্ম শুরু হয়েছিল তাদের কথাও পবন চেষ্টা করেছেন সবসময় বলতে।

    পেশায় আইনজীবী সিদ্ধার্থ গৌতম ছিলেন ভারতবর্ষে প্রথম এল জি বিটি ও এইচ আইভি নিয়ে কাজ করার পথিকৃৎ। এইডস ভেদভাব বিরোধী আন্দোলন (AVBA) নামে ওনার কাজ ভারতবর্ষের রামধনু ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ এর বিরোধিতা করে দিল্লী হাইকোর্টে প্রথম পিটিশনটা দাখিল করেছিল ABVA। পরবর্তী কালে কয়েকজন আইনজীবী মিলে একটা কালেকটিভের মাধ্যমে আবারও পিটিশন ফাইল করা হয়।

    মাত্র আঠাশ বছর বয়সে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে সিদ্ধার্থ মারা গিয়েছিলেন।। তাঁর স্মৃতিতে কোলকাতা শহরে পবনের উদ্যোগে SAATHII কোলকাতাও সিদ্ধার্থ গৌতম মেমোরিয়াল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এর আয়োজন শুরু করেছিল। যা পরবর্তী কালে রামধনু পদযাত্রার সময়ের আশেপাশে করার কারণে রামধনু উৎসবের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায় সে সময়। এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হাত ধরেই এল-জি-বি-টি ও এইচ আইভি বিষয়ক সচেতনতামূলক চলচ্চিত্র,তথ্যচিত্রের প্রদর্শন ও আলোচনা শহর থেকে শহরতলিতেও শুরু হয়েছিল।

    আমাদের মত মানুষদের একটা বড় অংশই তথাকথিত মেয়েলি হাবভাবাপন্ন। আবার এর একটা বড় অংশ নিজেকে সিনেমার হিরোইনদের সঙ্গে তুলনা করে মনে মনে হিরোকে নিয়ে স্বপ্নও দেখে। যেমন লাক্স সাবানের বিজ্ঞাপনে তাবড় তাবড় সিনেসুন্দরীদের দেখে অনেক মানুষ লাক্স ব্যবহারে নিজের না পাওয়া বোধটা চরিতার্থ করে। মনে মনে নিজেকে ওই সিনেসুন্দরীদের সমতুল ভেবে আনন্দ পায় তেমনই এই মেয়েলি ছেলেরাও নাচ বা ঠমকে নিজেদের মনে মনে ওই হিরোইন ভাবতে থাকে। আবার বেশির ভাগেরই মনের মধ্যে মর্দ পুরুষ হিসাবে পরিশ্রমী খেটে খাওয়া পুরুষমানুষের ছবি আঁকা থাকে। আর এই মর্দ পুরুষদের বিনোদনে সিনেসু্ন্দরীর কল্প-কামের পোলাওতে ঘি ঢালতে থাকে এই সকল মেয়েলী হাবভাবের রূপান্তরকামী পুরুষরা। এ এক অদ্ভুত ইক্যুয়েশন।

    রূপান্তরকামী পুরুষের বেশিরভাগ মানুষই পরিবার ও সামাজিক ব্যুলিড হতে হতে পড়াশোনার চৌহদ্দি থেকে সরে আসে। অথচ একটু নাচের প্রতি আগ্রহ, মঞ্চের হাতছানি, সঙ্গে দুয়সা রোজগারের স্বপ্ন সবমিলিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে পিছপা হয়না আজও অনেকেই। বিহার, উত্তর প্রদেশের বিয়ে শাদী শুভ অনুষ্ঠানে বা লগনে এক প্রথা লণ্ডা নাচ। এই লন্ডা নাচে প্রতিবছরই ভিড় জমায় পূর্বভারত ,নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলের রূপান্তরকামী পুরুষেরা। অল্পবয়স আর সুন্দরী লন্ডাদের কদর অনেক বেশি। কখনও কখনও সন্ধ্যে থেকে সারা রাত ধরে চলে নাচের আসর। সিনেসুন্দরী হুর-পরীর মত সাজগোজে এইসকল রূপান্তরকামী পুরুষেরা নাচের পর, বিশ্রামের সময় অনুষ্ঠানে আগত পরিবারের পুরুষদের শারীরিক লালসার শিকার হন অনেকেই। কখনও কখনও গণধর্ষণের শিকারও হন কেউ কেউ। লগন শেষে যখন নিজের রাজ্যে ফিরে আসে তখন অনেকেই যৌনরোগ বা এইচ আইভির শিকার।

    বিতান ঠিক করে উদয়ের সাথে মিলে এ ব্যাপারে একটা তথ্যচিত্র বানানোর। আর তাই ওরা পৌঁছে যায় বিহার ও উত্তর প্রদেশের কয়েকটা জায়গায়। সরাসরি ফিল্ড থেকে ঘুরে আসার পর লগনে লন্ডা নাচ করতে যান এমন বেশ কিছু মানুষের ইন্টারভিউ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়, আমাদের ড্রপইন সেন্টার এ।

    মাহেশের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ইতিহাসপ্রসিদ্ধ্।রথের পাশেই বাড়ি হওয়ায় ছোট থেকে দেখে আসছি সোজারথ বা উল্টোরথ দুদিনই বাড়ীতে প্রচুর লোকসমাগম হতে। আমাদের বাড়ীর ছাদ থেকে রথের টান খুব ভাল দেখা যায়। একান্নবর্তী পরিবারের আত্মীয়-বন্ধু সমাগমে রথের দিন জনা পঞ্চাশেক পাত পড়ত আমাদের বাড়িতে। ঠাকুমার কাল থেকে চলে এসেছে, আত্মীয় বন্ধু যেই আসবে তাকে খাইয়ে পুণ্য।সে ট্র্যডিশন কিছু বছর আগেও ছিল। সকলের খাওয়া শেষ হয়ে মা জ্যেঠিমাদের খাওয়া শুরু হতে হতে রথের রশিতে টান পড়া শুরু হয়ে যেত। আর ওদিকে উনুনের মরা আঁচে কয়লা দিয়ে বৈকালিক চায়ের আয়োজনের জলও ফুটতে শুরু করত ততক্ষণে। সুতরাং লোক লৌকিকতার অভ্যেস আমার ছোট থেকেই। তাই যখন বিতান জানাল ওর তথ্যচিত্রের কাজ সকালে শুরু করে শেষ হতে হতে বিকাল হবে আর দুপুরের খাবারের কি ব্যবস্থা করা যায় সে নিয়ে ও চিন্তায় আছে মুশকিল আসান হয়ে আগবাড়িয়ে বলেই বসলাম, সকলেই তো ঘরের লোক না হয় পিকনিকের আমেজ, আমিই কুড়ি পঁচিশটা লোকের রান্না করে সামলে দেব পুরোটা। বিতান নিশ্চিন্ত মনে সব দায় সঁপে দিল আমার ওপর।

    অতগুলো লোকের রান্না সেই আমার প্রথম। তাও তেমন কিছু না, ভাত, মুরগীর ঝোল আর চাটনি । একটু হলেও ভয় ছিল, টেস্ট করতে এগিয়ে এল বিতান আর রিকি, তখন কি আর জানি ওদের ঝাল নুনের বোধে ওরা তালকানা, একজন প্রেমে অন্ধ, আর একজন একটু ঝাল হলেই আহা উহু। খেতে বসে সবার আগেই নাক সিঁটকালেন বিপ্রদাস, কাঠবাঙালের জিভে ঝাল লাগেনা কিছুতেই ওদিকে নুনটাও কম। আয়ুর্বেদরত্নের ছেলের হাতের এ রান্না বিপ্রদাসের কাছে নাম পেল "কোবরেজি পাঁচন "

    তারপর থেকে অনেক ভেবে চেখে রান্না করে আমার রান্নার হাতযশ আর সুখ্যাত যতই বাড়ুক না কেন, বিটলে বামুনের মন কখনই পেলাম না! যত ভাল খাবারই বানাইনা কেন আজও তা "কোবরেজি রান্না" নামেই বিবেচিত হয় ওর কাছে।

    একদিন আমরা ড্রপ ইন সেন্টারে বসে কাজ করছি, এমন সময় কয়েকজন মিলে সেখানে এসে নিজেদের এইচ আইভি পজিটিভ বলে পরিচয় দিলেন। ওনাদের সংগঠন কয়েকটি জেলায় এইচ আইভি আক্রান্তদের খুঁজে বার করে তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবায় সংগে সংযোগ সাধনের জন্য রাজ্য এডস কন্ট্রোল সোসাইটির আর্থিক সহায়তায় ছোট্ট একটা প্রজেক্ট পেয়েছে। প্রথমে ওনারা অন্য যায়গায় ড্রপইন সেন্টার চালু করলেও মানুষজনের যোগাযোগের সুবিধার জন্য শ্রীরামপুর বা তার আসে পাশে জায়গা খুঁজছেন বলে জানালেন। মহকুমা শহর ও ট্রেন ও বাস যোগে হুগলির বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধা, মহকুমা হাসপাতালটিও স্টেশন থেকে হাঁটা পথ, ও কোলকাতার কাছে হওয়ায় এ শহরটি গুরুত্ব সকলের কাছেই অনেক বেশি। ততদিনে আমাদের প্রজেক্টের কাজের পরিধিও বেড়েছে, আর আমরাও একটু বড় জায়গা খু্ঁজছিলাম। আমাদের অফিসের দোতলার একটা অংশ ভাড়ার জন্য খালি হয়েছিল। আমরা ওপরে শিফট করার কথা ততদিনে প্রজেক্ট হেড অফিসে জানিয়েও রেখেছিলাম। এরমধ্যেই সেখান থেকে সবুজ সংকেত মেলায় ঠিক হল আমরা ওপরে শিফট করব। বাড়ীর মালিকের সঙ্গে এদের অফিস করার কথাও দরবার করলাম। উনিও সহজে রাজী হয়ে গেলেন। একই বাড়ীর দুটি তলায় দুটো দু’ধরনের ইন্টারভেনশন শুরু হল। দুটি সংগঠনের কাজের বিষয়টা প্রায় এক এবং একই সংগঠনের আর্থিক সহায়তা পাওয়ায় নিজেদের মধ্য অফিসিয়াল সংযোগ তৈরি হল। এই সংগঠনটি এইচ আইভি পজিটিভ মানুষদের নিয়ে তৈরী জেলা ভিত্তিক সংগঠন। তখনও আমরা কেউই কাজের জগতে পেশাদার না হলেও হয়তো কিছু কিছু অভিজ্ঞতা বা পেশাগত কর্মশালায় যোগদানের দিকে আমরা এগিয়ে। আবার যেহেতু এইচ আইভি জনিত সামাজিক বৈষম্যের শিকার হওয়া ও তার মোকাবিলা নিজেরা করছেন বলে সে অভিজ্ঞতা ওনাদের বেশি। আস্তে আস্তে মানুষ গুলোর সঙ্গে একটা মেলবন্ধনের সুচনা হল। এইসময় জাতীয় স্তরে সারা দেশব্যাপী এইচ আইভি জনিত সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এডস ওয়াক ফর লাইফ নামে একটা পদযাত্রা ও হয়। বিভিন্ন রাজ্য পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যখন হুগলী জেলার মধ্যদিয়ে এ পদযাত্রা হয় তখন তার পুরো দায়িত্ব প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ ও অন্যান্য লজিস্টিকের সাংগঠনিক দায়িত্ব জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ভরসা করে তুলে দিয়েছিলেন আমাদের কাঁধে।

    বিতানের প্রথাগত অ্যকাডেমিক ডিগ্রির ঘাটতি থাকলেও পেশাগত বিভিন্ন পড়াশোনায় আগ্রহ ছিল। তারজন্য বিভিন্ন ছোট খাটো পেশাদার কোর্স এর খোঁজও রাখত।কোলকাতার ইলিয়ট রোডে একটা সংগঠন তখন কাউন্সেলিং ও বেসিক কমিউনিকেশন এর কোর্স করাত। বিতান এই কোর্সটা করার পরের বছর ওর প্রবল উৎসাহে এই কোর্সটায় আমিও ভর্তি হই। একবছরের সার্টিফিকেট কোর্স।এই সংগঠনটা মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করত। বিভিন্ন অনুন্নত শ্রেনীর মহিলারা সেখানে আসতেন। তাদের বয়স্ক শিক্ষা, কারিগরী শিক্ষার পাশাপাশি সংগঠনের ক্যাম্পাসের সংলগ্ন একটা অংশে এই মহিলাদের পরিচালিত ও একটা বাঙালী রেঁস্তোরা আছে। কলকাতার বাঙালি খাবারের নামি রেঁস্তোরা। কোর্সের দুদিন ওই রেস্তোরাঁতে দ্বিপ্রাহরিক আহারের বন্দোবস্ত ছিল। আমার মত পেটুক মানুষের কাছে পড়াশোনার তুলনায় এই আহার পর্বটাই অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল। বিতানের ঠেলাগোঁজা না হলে এসব পড়াশোনায় খুব বেশি আগ্রহ আমার কোনকালেই ছিল না। তবে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে জানতাম আমাদের মত মানুষদের মনের ওপর দিয়ে অনেক ওঠাপড়া যায়। সে পরিবার সমাজের কাছে নিজেকে নিয়ে অস্বাচ্ছ্যন্দই হোক আর প্রতিনিয়ত সম্পর্কের ওঠাপড়া ভাঙাগড়াই হোক না মনের যত্ন নেওয়ার মত পাশে থাকার লোকের বড়ই অভাব, সেদিনও ছিল আজও আছে। তাই কোথাও লোকজনের মনের যত্ন নেব এ ইচ্ছেটাও এই পাঠক্রমে নিজেকে নিয়োজিত করার একটা কারণ ছিলই। এখান থেকে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্হাপনের যে কুশলাদি শিখেছিলাম তা পরবর্তীকালে আমার কাজের জায়গায় অনেক কাজে দিয়েছিল তা স্বীকার না করে আজ আর উপায় নেই ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০২ জুলাই ২০২১ | ২১৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন