এটা কী ভাবে লিখবো সেটা নিয়ে খুব ভাবতে হলো, কারন জেনারালাইজিং, প্রোফাইলিং ইত্যাদি দিকে চলে যাওয়ার খুবই সম্ভাবনা। তারপর মনে হলে লিখেই ফেলি।
"...লোকাল ট্রেনের ভিড় কামরায় পুরুষের গা ঘষাঘষি, সাময়িক যৌন ভাললাগা, পাবলিক টয়লেটে পুরুষের যৌনতার হাতছানি..." এইটা পড়ে যেমন, ভারতীয় এলজিবিটিকিউ, বা আরো নির্দিষ্ট করে, হয়তো গে মানুষদের মধ্যে কখনো মনে হয় ফ্রিভোলাস যৌন এক্সপ্রেশন বা আকাঙ্খা কি অন্য রকম? মানে কোন স্ট্রেট পুরুষ মেয়েদের সম্পর্কে এরকম বললে, যে পাবলিক ট্রামে বাসে মহিলাদের সঙ্গে গা ঘষাঘষিতে যৌন ভালোলাগা, তাকে একটা পার্ভার্ট বদ ছাড়া কিছুই ভাববো না।
হোমোসেক্সুয়ালদের কাছে অন্তত আমাদের মত রিগ্রেসিভ মানসিকতার দেশে বাস্তবতা, অপ্রেশনের ছবি অন্যরকম, সেটা বুঝতেই পারি। সেসবের কারনে?
বা বহু যৌন সঙ্গী, এইটা কি স্ট্রেটদের থেকে বেশি? ভালো মন্দের কোন ব্যাপার নেই এতে, নীতিবিচারও না। কিন্তু আনপ্রটেক্টেড সেক্সজনিত রোগের বিচারে, এর কোন পরিসংখ্যান আছে? অন্তত স্ট্রেট ভারতীয় সমাজে সিরিয়াল মনোগ্যামি তাও একরকম, কিন্তু পলিগ্যামি, সাধারন, ধরা যাক মোটামুটি ছাপোষা মধ্যবিত্তদের মধ্যে খুব কমন তো না বোধয়। হোমোসেক্সুয়াল সম্পর্কে কি বহুগামিতা বা সম্পর্কহীন যৌনতা বেশি কমন? এর পুরোটাই একেবারে ভুল ধারনা হতে পারে, আবার এর পেছনে সামাজিক অবদমন ও নিরাপত্তাহীনতার একটা খুব বড় ভূমিকা থাকতে পারে। স্ট্রেট সম্পর্কে, সম্পর্কগুলির একটা পরিনতি বা ক্লোজার কল্পনা করা কঠিন না, এবং তার থেকে একগামিতা ইত্যাদি। কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে হয়তো একেবারে উল্টো, তার জন্যে কিছু?
@r2h
প্রথমেই ধন্যবাদ এই কমেন্ট টার জন্য।আমার এতবছরের অভিজ্ঞতায় কিছুটা সহমত পোষণ নিশ্চয়ই করি । তবে এ গল্প আজ থেকে ২০/২২ বছর আগের। আসলে সমকামী মানুষদের যৌনতা সাধন মুলসমাজের লোকজনের মত চারদেয়ালের নিরাপদ গন্ডীর মধ্যে বিভিন্ন কারণে সম্ভব ছিলনা , এবং আজকের মত ইন্টারনেটের কল্যানে ডেটিং সাইটের রমরমাও তখন ছিলনা, তখন বিশেষ বিশেষ অঞ্চল ও রেলের কামরা ছিল নিজের মত মানুষদের খুঁজে পাওয়ার জায়গা। আর এটা হেটারোনর্মাটিভ ভাবনায় পারভারশান বলে পুরোপুরি দাবি করা যাবে না কেননা এই গা ঘষাঘষি পারস্পরিক সস্মতিতে হত বেশির ভাগ সময়। এব্যাপারে আরও ডিটেইল পরের কোনও পর্বে লিখব।
বহুযৌনসঙ্গী তথাকথিত স্ট্রেটদের থেকে বেশি বা কম টাও তথাকথিত সমাজের ভাবনা। সম্পর্কহীন যৌনতা কমন সে ভাবনা থেকেই ভাবা। কেননা ৩৭৭ পরবর্তী সময়ে আজও সমলৈঙ্গিক সম্পর্কটাকেই তো তথাকথিত মূলসমাজ বিকৃতি ভাবে। কতজন এই অন্য(?) যৌনতাকে অন্তর থেকে মেনে নিতে পারেন!
আনপ্রটেক্টেড সেক্সজনিত রোগের পরিসংখ্যান অবশ্যই আছে। তা যদিও তথাকথিত স্ট্রেটদের মধ্যেও আছে। তবে অদ্ভুত ভাবে সত্য, এই রোগবালাই-ই এর আড়ালে এতবছর এলজিবিটি আন্দোলন আটকে গেছে অনেকসময়। ইচ্ছে আছে পরের কোনও পর্বে ডিটেইল লেখার।
থ্যাঙ্কিউ জয়দীপ।
হ্যাঁ, বাস্তবতা, পরিস্থিতি, এবং সবচে' বেশি বোধয় অননুমোদন, অবদমন, অস্বীকৃতি, অনিশ্চয়তা এসবের চাপ... অবদমন ও অস্বীকারকে কাউন্টার করার জন্যে যৌন আইডেন্টিটিকে ফ্লন্ট করা যেটা স্ট্রেট অবস্থানে বেশি বেশি মনে হয়, বা যেগুলোকে বেশি ফ্রিভোলাস মনে হয় - সেসব ডিসকানেক্ট... এগুলি হয়তো বাইরে থেকে বোঝা সম্ভবই নয়, যতই এমপ্যাথি প্র্যাক্টিস করা হোক।
সে যাক, পড়ছি। এই কথোপকথনগুলিই বোধয় জরুরী।