এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • পুরানো কথা পর্ব ২০

    Jaydip Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৮ জুন ২০২১ | ২৫১১ বার পঠিত
  • রণর সাথে সম্পর্কটা শেষ হয়ে যাওয়াটা আমি কিছুতেই মানতে পারিনি। প্রতিটা মানুষ তার জীবনে গুরুত্ব দেয় ভালবাসাকে। আমিও দিয়েছিলাম। অতগুলো বছর আগে আমার কুড়ি একুশ বছর বয়সে একজন ছেলে হয়ে আর একজন ছেলের সাথে প্রেম বা ভালোবাসার কথাই যেখানে কেউ জানতো না সেখানে নিজের ভালোবাসা ভেঙে যাওয়ার কথা বলতে পারিওনি কাউকে। বলার মত লোক ছিলই বা কোথায়!

    একবার মনে হয়েছিল কাউন্সেল ক্লাবে যোগাযোগ করি। কোলকাতায় তখনও সমকামী মানুষদের মিলিত হওয়ার মত সংগঠন বলতে তো ওই একটাই। রণর বিয়ের আগে আগে যোগাযোগ করেছিলাম যখন তখন তো যাদের সাথে আলাপ হয়েছিল তাদের কথাতে আমিই কনফিউসড। ভরসা করে তাই যোগাযোগ করতে পারিনি। তাই নিজের মনেই নিজে গুমরে ছিলাম। আজ ভাবলে অবাক লাগে আমার মত দৃঢ়চেতা মানুষও অন্যান্য অনেকের মত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার যন্ত্রনা থেকে পালাতে প্রথমেই চেষ্টা করে আত্মহননের। যদিও সফল হতে পারিনি। ব্যর্থ প্রেমিক মরতেও ব্যর্থ। কষ্ট বেড়েছিল বই কমে নি। অনেক গল্পের মতই এ গল্পের খবরও তখনও কেউ জানত না।

    আমার জীবনের নানা ঘটনার মত এই সময়টায় অনেকগুলো পরিবর্তন ঘটছে কোলকাতার কুইয়ার কমিউনিটিতে। একমাত্র সাপোর্ট গ্রুপ কাউন্সেল ক্লাবের ভেতরেও অনেক পরিবর্তন হচ্ছে বলে কানে আসছে। ওখানকার তাবড় তাবড় মাথাদের বেশির ভাগেরই তো নিজের আত্মবিশ্বাস ছিল না জানতাম। ঘোমটার তলা থেকে আজও সে সব মানুষ বেরোতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। তথাকথিত ইংরেজি বলা, উচ্চশিক্ষিত এই সব মানুষদের সাধারণ লোকদের নিয়ে ভাবার সময় কোথায় ছিল সেদিন! এই সব লোকদের আত্মকেন্দ্রিকতা তথা হিপোক্রেসির সঙ্গে আদর্শগত বনিবনা না হওয়ায় কাউন্সেল ক্লাব থেকে বেশ কিছু মানুষজন বেড়িয়ে এসে ইনটিগ্রেশন সোসাইটি নামে আরও একটি সাপোর্ট গ্রুপ তৈরী করেছে বলে শুনতে পাই।

    একদিন গঙ্গার ঘাটে বসে বসে অনেক ভাবলাম, মনে হল, আচ্ছা ছোটবেলা থেকে শেখা মুল্যবোধ আর সংস্কারের বিসর্জনও তো আত্মহত্যারই নামান্তর। তাহলে আর সতীত্বের সংস্কারে নিজেকে বেঁধে, বেঁচে থেকে কি লাভ!

    তাই একগামিতা-সতীত্ব-সংস্কার বিসর্জন দিয়ে শুরু করলাম সেক্স ওয়ার্ক। ম্যাসাজ পার্লার, টয়লেট, হাইওয়ে যা এতদিন দূরে ছিল সেই সব জায়গায় যাওয়াও শুরু হল আমার। ভাষা ভাষা ধারণা ছিল "বহুজনের সাথে সেক্স করলে এডস হয় আর এডস হলে মানুষ মরে যায়।' আর তাই এই সহজ ও পেইনলেস আত্মহত্যার এই রাস্তাই বেছে নিয়েছিলাম সেদিন।

    তখনও এত ম্যাসাজপার্লারের ছড়াছড়ি কোলকাতা শহরে হয়নি। দক্ষিণ কোলকাতার সদ্যগজানো সেসব পার্লারে পয়সা ওয়ালা অভিজাত লোকেদের আসর।যদিও আজন্মলালিত সংস্কার বিসর্জন দেব বললেই দেওয়া যায় না। আর তাই একদুদিন যেতে না যেতেই ম্যাসাজ পার্লারের ম্যাসিওর কাম পুরুষ যৌনকর্মী হওয়া মোটেই শান্তি দিচ্ছিল না আমাকে। এরকম সময় আলাপ হল আকাশের সাথে। আকাশের হাত ধরে ওই জীবনটাকে আমি ফেলে আসি। আবারও ভরসা করতে ইচ্ছে করে কাউকে।

    সবমিলিয়ে আমিও তখন অনেকটা থিতু। খালি মনে হত কত মানুষ নিজেদের ভালবাসার কথা বলতে পারেনা। নিজেদের মধ্যে গুমরে গুমরে মরে। যদি তাদের পাশে থাকতে পারতাম। একদিন জানলাম আকাশ ও আকাশের কয়েকজন বন্ধুরা মিলে "বন্ধু" নামে একটা সংঠন তৈরী করেছে।যা আমাদের মত মানুষদের পাশে থাকার জন্যই। আকাশের হাত ধরে আমিও সেখানে এলাম। কয়েকদিন বাদেই বুঝলাম আকাশও কাউন্সেল ক্লাবের মূল ভাবনা নিয়ে “কাউন্সেল ক্লাব” থেকে বেড়িয়ে এলেও ,যতনা মানুষের কথা ভাবে তার চেয়েও নিজের আখের গোছানোর নামে সংগঠন তৈরী করতে চায়। এন জি ও শব্দটা এই জন্যই লোকের কাছে এত খারাপ ভাবতে ভাবতে আকাশের সঙ্গে সঙ্গে "বন্ধু"-র বন্ধুত্ব থেকেও পালিয়ে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।

    এসময় হঠাৎ করেই আলাপ হয়েছিল এক মধ্যবয়স্ক আই পি এস অফিসারের সাথে। তখন আমি নিজের মনে মনে অন্তত এটুকু জানি সমকামিতা পাপ না, নয় অন্যায়, জীবনের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি মাত্র। তাতে আরও বেশি ধোঁয়া দিলেন ভদ্রলোক। ওনার থেকে জানলাম ভারতবর্ষের সংবিধানের তৎকালীন আইনের ব্যখ্যা অনুসারে সমকামিতা কে আইনত অপরাধ বলা হয়। যদিও ৩৭৭ ধারার কোথাও সরাসরি সমকামিতা অপরাধ বলা হয়নি এটাও ওনার থেকেই জানতে পারি। উনিই প্রথম বুঝিয়েছিলেন পুরুষে পুরুষে সেক্স করা বা পায়ুমৈথুনে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা।বহুদিন পর্যন্ত ওনার সাথে যোগাযোগ ছিল। উনিই যোগাযোগ করতেন। ওনার ফোন নম্বর যদিও কখনোই দেননি। পরবর্তী কালে আমাদের বাড়ীর ল্যান্ডলাইন নম্বর পরিবর্তন হওয়ায় যোগাযোগ হারিয়ে যায়।

    বিতান আর রণ-র সম্পর্কের ঘটনায় রণ-র মিথ্যাচারে খারাপ লাগলেও বিতানকেই আমি এড়িয়ে চলতে চাইতাম তারপর থেকেই। হয়তো বা ভালবাসায় অন্ধ হয়ে রণর দোষত্রুটিগুলোকে চাপা দিতে চাইতাম আমি। বিতান কিন্তু আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করেনি। আমার কাছ থেকে কাউন্সেল ক্লাবের কথা জানতে পারার পর থেকে নিয়মিত সেখানে যেত বিতান। এমনকি কোলকাতার বিভিন্ন ক্রুসিং স্পটেও যাতায়াত ছিল ওর। বিভিন্ন হাউসপার্টিতেও যেত ও। ওর কাছ থেকেও কখনও কখনও কোলকাতার ক্যুইয়ার দুনিয়ার গল্প কানে আসে।কোলকাতা ও তার আসেপাশেও আমাদের মতো অন্য যৌনতার মানুষদের ভিতর অনেক কিছুই সে সময় হয়ে চলেছে যার আঁচ আমিও অল্প বিস্তর পাচ্ছিলাম।

    হাতে হাতে মুঠোফোন সেসব তখন স্বপ্ন। বাড়ির কড়কড়ে আওয়াজের মাঝে মাঝে ক্রসকানেকশানের ল্যান্ডলাইন টেলিফোনের স্বপ্নও অনেকের কাছেই তখনও অধরা। অগত্যা আশপাশের বাড়ির ফোনই ভরসা। নয়তো ভরসা মিনিটে একটাকা দিয়ে কথা বলা লোকাল ফোনের পি সি ও বুথ। এসটিডি আই এসডিতে দূরের সম্পর্ক মেনটেন করার সামর্থ্যটাও স্বপ্ন । ডেটিং অ্যাপ খায় না মাথায় দেয় জানতুম না বাপু। আর মফস্বলি আমরা তো আরও অন্যরকম। তখন তো ক্রুশিং পয়েন্ট বলতে পাবলিক টয়লেট আর পার্ক ই ভরসা। কোলকাতা শহরে কত যে কতিপীঠ ছিল (কতি শব্দের আস্ফালন তখনও আমাদের সামনে আসেনি, অনেক পরে জেনেছি কোতি মানে মেয়েলি পুরুষ সে কথায় পরে আসবো) যা আজকে হারিয়ে গেছে। মিন্টোপার্কের অন্ধকারে অফিস ফেরত সো কলড এলিট লোকের মাঝে দাদা কটা বাজে দিয়ে শুরু হত আলাপ। ঢাকুরিয়া লেকের পাড়ে আড্ডা দিতে গিয়ে বা পছন্দের লোক খুঁজে পেতে ছিনতাইবাজের পাল্লায় পড়েনি এমন লোক কমই আছে। তবুও সে অমোঘ টানে আবারও যাওয়া। সাউদার্ণ অ্যাভিনিউ এর বেশি রাতে হাঁটতে হাঁটতে পাশে দাঁড়ানো গাড়ির ভিতরের হাতছানি ছিল ভালই। তবে তা আজকের মত এত বেশি রূপান্তরকামী যৌনকর্মীদের রমরমায় আটকে ছিল না। ধর্মতলার কে শি দাসের সামনে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ পড়ে চুম্বকের মত আটকে যাওয়া সে যে জানে সে জানে। এসব স্থানমাহাত্ম্য ইন্টারনেটের তোড়ে ভেসে গেছে। লোকে আজকাল ডেটিং / মেটিং -এর জন্য লোকে ‘ছায়া’ সিনেমায় যায়। আমরা যেতাম ‘নিউ অ্যামপায়ার সিনেমা হল’- এ, যা আজ আর নেই। মিন্টো নন্দন শেষে ফ্লোরিয়ানার ডান্সিং ফ্লোর সেও তো আজ অতীত। ধর্মতলার ঝিকঝ্যাক বাথরুমের মাহাত্ম্য নিয়ে যত বেশি কথাই বলিনা কেন কম পড়বে। যার খোলনলচে পুরো বদলে গেছে। ডেটিং শেষে মেটিং এর জন্য ছিল হাওড়া ময়দানের কাছে বারিক বোস ( নাম পরিবর্তিত ) এর বাড়ি/খোল, আর এসপ্ল্যানেড পেরিয়ে এলিট সিনেমার কাছে বিজনদার ( নাম পরিবর্তিত ) আস্তানা / খোল, সেসব আজকাল কালের স্রোতে হারিয়ে গেছে। মফস্বল শহর গুলোর বাসস্ট্যন্ড আর রেল স্টেশনের আলো-আঁধারি আর জি.আর.পি রা ছিল অনেক ঘটনার সাক্ষী। পুলিশি বা জি আর পি এফ হেনস্থা ছিল জলভাত। কখনও টাকা বা কখনও যৌনসুখের পরিবর্তে মিলত ছাড়। ভিতরে ভয় থাকত বাড়ীর লোক যদি জেনে যায়। তখনও ৩৭৭ কি খায় না মাথায় দেয় আমাদের সকলের কাছে সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়, পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদ এসব তো ভাবনারও অতীত। সব কিছুর সঙ্গেই পরিচিত হতে হতে চলছি।

    একদিন কথায় কথায় বিতানের থেকে জানতে পারলাম বিতান ও বিতানের কয়েকজন বন্ধু মিলে হুগলী হাওড়া চত্বরে আমাদের মত মানুষদের পাশে থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে একটা সংগঠন তৈরী করেছে। বিতানের খোলা প্রস্তাব আমার আগ্রহ থাকলে আমিও সেখানে যেতে পারি।"বন্ধু" নিয়ে আমার সংগঠন প্রেম তখন শিকেয়। সেই সঙ্গে সামনেই গ্র্যাজুয়েশন সবমিলিয়ে বিতানদের সংগঠনের ভাবনা চিন্তায় ধোঁয়া দেওয়ার ইচ্ছে ও মানসিকতা কোনওটাই তখন নেই।

    কোলকাতার কলেজে পড়ার সময় থেকেই জানতাম আপ লোকাল ট্রেনের শেষ কামরা তথা ডাউন ট্রেনের প্রথম বগিতে প্রচন্ড ভিড় হয়। আর এই ভিড়ের সুযোগে পুরুষ শরীরের ছোঁয়াপেতে ভালবাসেন এমন অনেক পুরুষই সে কামরায় য়াতায়াত করেন। স্বীকার করতে লজ্জা নেই তাদের অনেকের মত বহুকাল পর্যন্ত এ কামরায় উঠতে আমিও ভালবাসতাম। মোটামুটি একসাথে রোজকার যাতায়াতের ফলে পরিচিত মুখও তৈরী হয়ে গিয়েছিল বেশ কিছু। এই পরিচিত জগতে একটা অলিখিত নিয়ম চালু ছিল। কাউকে কারও ঘনিষ্ঠ দেখলে বাকিরা সেখানে তার অনুমতি ছাড়া ঘনিষ্ঠ বা আলাপ পরিচিত হতে চাইতেন না কেউ।তখন কিন্তু ভরসা ট্রেনের শেষ/ প্রথম কামরার উষ্ণ স্পর্শ। তারপর কখনও হাতে গুঁজে দেওয়া একটুকরো কাগজে বাড়ির ফোন নম্বর। নামধাম ফেক বলা সেকালেও ছিল। কতবার বাড়ির লোক ফোন ধরে রংনম্বর কইত তার ইয়ত্তা নেই। আজকাল যেমন মনে হয় অপছন্দের লোকটা কেন প্যান্টের চেনে হাত দেবে তখন কিন্তু সেটাই চাহিদা। নইলে কোথায় পাব তারে... সেদিনের কত ভাললাগার, ভালবাসার সাক্ষী যে লোকাল ট্রেনের কামরার ভিড় তা যারা জানে তারাই জানে। শুধু মাত্র একসাথে যাতায়াতে পাশে দাঁড়ানো বা ভিড়ের মাঝে পিঠে বুকে মুখ গোঁজার নির্মল সান্নিধ্য লাভের জন্যই কলেজ শেষেও তার অফিস শেষের অপেক্ষা। স্টেশনে এসে একটার পর একটা ট্রেন ছাড়া। গে রেডার ছিল চোখ। আর হাতের আঙুল। হালকা স্পর্শে সম্মতি অসম্মতিতে ছিল সম্মানজনক সহাবস্থান । কেউ কেউ আরও একটু সাহসীও যে হোত না তেমন না। রনজয়ের সঙ্গে সম্পর্কের টাটকা স্মৃতি তখনও এত বেশি প্রকট যে কারও কারও সাথে পরিচিতির গন্ডীর পরিধিটা বাড়লেও তার সীমানা ভীষণই ছোট ছিল। বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা তৈরী হলেও একটা থিতু সম্পর্কের প্রত্যাশাও মনের মধ্যে রয়েছে তখনও।

    এরকমই একদিন রাতে ট্রেনে ফেরার সময় বিতানের সাথে দেখা। দেখলাম একজন মানুষ বিতানের সঙ্গে রয়েছেন। সাধারণত অল্পবয়স্ক মানুষেরা ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে চলা ফেরা করেন না এই ভদ্রলোকের তায় এক মুখ দাড়ি। বিতানের সাধারণ পছন্দ বলে যা জানি তাতে মানুষটা বিতানের পাশে বড়ই বেমানান। বিতানই ডেকে আলাপ করিয়ে দিল।বিতানদের তৈরী নতুন সংগঠনের সদস্য। ভদ্রলোক চন্দননগরেই থাকেন। স্কুলে পড়ান।নিজেদের সাংগঠনিক কাজকর্ম সেরে তাঁরা দুজনে বাড়ী ফিরছেন। আমার আবার শ্রশ্মুগুম্ফ সম্বলিত পুরুষমানুষ বেজায় পছন্দের। যদিও রণ ছিল বড়াবড়ই ক্লিনসেভেন, তা নিয়ে ভালরকম আফসোস ছিল। একটা দুটো কথা বলেই মার্জিত রুচিসম্পন্ন বিপ্রদাস মিশ্র কে ঘিরে বুকের ভেতরটা কুড়কুড় করে উঠল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৮ জুন ২০২১ | ২৫১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ১৯ জুন ২০২১ ০৭:২১495066
  • সাহসী ও অকপট লেখা। কতো প্রেম ও দুঃখ পাথর চাপা ঘাস হয়ে থাকে। 


    শুভ কামনা

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন