এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  বই

  • সুলতান - দ্য লাস্ট অব দ্য বোহেমিয়ানস  

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | বই | ১৪ মে ২০২১ | ২৯০৭ বার পঠিত


  • ঢাকা শিল্পকলা একাডেমিতে হুট করে আহমদ ছফা দেখলেন এক আজব শিল্পীকে। তিনি ক্রমাগত ছবি আঁকছেন। ছবি আঁকছেন না নাচছেন বুঝে উঠা যাচ্ছে না। এত দ্রুত কেউ ছবি আঁকেন এই বোধ আহমদ ছফার ছিল না। একজন তাঁকে দেখে এগিয়ে এসে বললেন, শিল্পীর সাথে কথা বলতে চান কি না? ছফা না করে দিলেন। তিনি মুগ্ধ হয়ে দেখে যেতে থাকলেন তার সম্পূর্ণ অচেনা এই শিল্পীর কাজ। জিজ্ঞাস করলেন উনার নাম কী? নাম শুনলেন সুলতান। বাংলাদেশের শিল্পীদের মোটামুটি চিনেন বলেই ভাবতেন আহমদ ছফা, তাহলে ইনি কে? শুলেন সুলতান এতদিন বিদেশে ছিলেন, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ভারত পশ্চিম পাকিস্তানে বেশ কয়েকটা প্রদর্শনী করেছেন। কিন্তু এই শিল্পীকে আহমদ ছফা চিনেন না এটা তিনি মানতেই পারছেন না। পরের দিন গেলেন ঢাকা আর্ট কলেজে, বর্তমান ঢাকা চারুকলা একাডেমী। খুঁজে বের করলেন ভাস্কর শামিম শিকদারকে। জিজ্ঞাস করলেন সুলতান নামে কোন শিল্পীকে সে চিনে কিনা? শামিম শিকদার দিলেন সুলতানের পরিচয়। এস এম সুলতান, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চরিত্রের নাম সুলতান। তাদের এক শিক্ষক সুলতান সম্পর্কে বলেছেন সুলতান ইজ দ্য লাস্ট অব দ্য বোহেমিয়ানস!

    আসলেই লাস্ট অব দ্য বোহেমিয়ানস কিনা আমি জানি না। আমার আর জানার পরিধি কতটুকু? কিন্তু এমন ধারার বোহেমিয়ানের পরিচয় আমি আর পাইনি। শামিম শিকদার এমন একজনের সামনে এই কথাটা বলেছেন যিনি আরেক পাগল চরিত্র, বোহেমিয়ানদের সর্দার হওয়ার দৌড়ে আগের দিকেই রয়েছেন। আহমদ ছফা সাথে সাথে শামিম শিকদারকে জিজ্ঞাস করেছিলেন, তিনি লাস্ট অব দ্য বোহেমিয়ান হলে আমি কি? ছফাকে সুলতানের তুলনায় জাস্ট তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি, তুমি আবার কিসের বোহেমিয়ান!

    হাসনাত আব্দুল হাইয়ের এস এম সুলতানের জীবনীমূলক উপন্যাস সুলতান পড়ার আগ পর্যন্ত আমিও জানতাম না বোহেমিয়ান জীবন কাকে বলে বা কাকে বলা যায় বোহেমিয়ান! এক জীবনে সুলতান কি না করেছেন! মানুষের পরশ পাথরের গল্প জানে, আর সুলতানের দুই হাত যেন পরশ পাথর। যা স্পর্শ করছেন তাই সোনায় রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। মুসৌরির মত ঠাণ্ডা জায়গায় কোন শীতের কাপড় না নিয়ে হেঁটে রউনা দিয়েছেন। দূরত্ব সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা না নিয়ে মাইলের পরে মাইল হেঁটে গেছেন। গিয়ে শীতে মরতে বসেছেন। মন্দিরে বিছানো চাটাই গায়ে দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে গেছেন! বিন্দু মাত্র চিন্তা না করে মনে যখন যা চেয়েছে তাই করে গেছেন। ত্যাগ করেছেন অনেক কিছুই, তা এক জীবনে যে কোন মানুষের সর্বোচ্চ সাফল্য যদি হয় তাও সই!

    জীবনে পেয়েছেন এমন সব মানুষের সংস্পর্শ যা অনেকের কাছে কল্পনাতীত। নামের কথাই ধরুন, পিতার নাম শেখ মেসের, পেশায় রাজমিস্ত্রি। উনার নাম লাল মিয়া! কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তি হতে গেছেন কিন্তু এন্ট্রান্স পাস করেননি। ভর্তি হওয়া যাবে না। সাহায্য করলেন হাসান শাহেদ সোহরাওয়ার্দী, উনার কাছে গিয়ে বললেন ভর্তি পরীক্ষায় তিনি প্রথম হয়েছেন কিন্তু বিপত্তি হচ্ছে এন্ট্রান্স পরীক্ষার সনদ নাই। হাসান শাহেদ সোহরাওয়ার্দী সাহায্য করলেন, বিশেষ সুবিধা নিয়ে ভর্তি হলেন আর্ট কলেজে। শাহেদ সোহরাওয়ার্দী ভর্তির সময় দিলেন নাম বদলে, পিতার নামের সাথে মিলিয়ে রাখলেন শেখ মোহাম্মদ সুলতান, এসএম সুলতান। হাসান শাহেদ সোহরাওয়ার্দী হচ্ছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভাই। সুলতান পরবর্তীতে শহীদ সোহরাওয়ার্দীরও সান্নিধ্য পেয়েছেন।

    প্রথগত শিক্ষা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি এই বনের পাখিকে। থার্ড ইয়ারে দুনিয়া ঘুরে দেখার নেশায় বের হয়ে গেলেন কলকাতা থেকে। এই যে বের হলেন আর ঘর মুখো হননি তিনি। মাঝে একবার দেশে মানে নড়াইলে ফিরছিলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরে। গিয়ে জড়িয়ে জান কৃষক আন্দোলনের সাথে। সেই আন্দোলনও ধরে রাখতে পারেনি তাঁকে, আবার ছুটে চলা। আগ্রা, দিল্লী, আজমীর, লক্ষ্ণৌ চলছে সুলতানের দেশ ভ্রমণ। পকেটে টাকা নাই, সম্বল হচ্ছে অদ্ভুত সুন্দর ছবি আঁকার ক্ষমতা। যারাই উনার সংস্পর্শে এসেছেন মুগ্ধ হয়ে মিশে গেছেন উনার সাথে। কত ধনী জমিদার ধরে রাখতে চেয়েছেন, রাজা ধরে রাখতে চেয়েছেন কিন্তু তিনি বন্ধন হারা চিড়িয়া! সিমলায় বিদেশি এক মহিলার সাহায্যে করলেন প্রথম চিত্র প্রদর্শনী। খুব সুনাম হল উনার। কিন্তু আবার আগের মতোই। উনাকে ধরে রাখে সাধ্য কার? এর মধ্যে দেশ ভাগ হল। তিনি তখন কাশ্মীরের শ্রীনগরে। কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তান জোর গণ্ডগোল। একদিন তুমুল বোমাবাজি শুরু হয়ে গেল। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বোমা থেকে, মাঝে প্রাণ বাঁচাতে উঠে পড়লেন এক ট্রাকে। সেই ট্রাক নিয়ে নামাল লাহোরে! সাথে কিচ্ছু না। উনার কাজ গুলো সব পরে রইল কাশ্মীরে।

    কিন্তু তিনি তো তিনিই! জমিয়ে ফেললেন লাহোরে। পরিচয় হল ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, সাদাত হোসেন মান্টো মত কিংবদন্তীর সাথে। মান্টো তখন ঠাণ্ডা গোশত লিখে মামলা খেয়ে পেরেশানির ওপরে রয়েছেন। লাহোরেও টিকলেন না। চলে গেলেন করাচি। ভাগ্য মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলে আর তিনি ভাগ্যকে নিয়ে নিজেই যেন ফুটবল খেলছেন! বিশেষ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে চলে গেলেন আমেরিকা। চলল জয় রথ। আমেরিকা থেকে ইংল্যান্ড। সেখানে অপেক্ষা করে রয়েছে খান আতা, ফতেহ লোহানী, যাদের সাথে পরিচয় হয়েছে করাচিতে। তাঁদের সহযোগিতায় লন্ডনে হল চিত্র প্রদর্শনী, সেই প্রদর্শনীতে ছিল পিকাসো, মাতিসের মতো শিল্পীদের ছবিও! এরপরেই আবার উল্টো হাঁটা। ঠিক যখন আন্তর্জাতিক খ্যাতি স্পর্শ করার এক কদম দূরে। প্যারিস, শিল্পীদের তীর্থভূমি প্যারিস থেকে যখন ডাক আসল, যখন তাঁকে ভ্যান গগ অব ইস্ট খেতাব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে ঠিক সেই সময় সব ফেলে চলে এলেন করাচি!

    উঠলেন ক্যাসিনো গেস্ট হাউজে। ধীরে ধীরে সেটাই হয়ে উঠলো করাচির শিল্পী সাহিত্যিকদের আড্ডা। অবাক করার মত কাণ্ড করে এই আড্ডায় নিয়মিত আসতেন বড়ে গোলাম আলীর মতো শিল্পী। আর হাতে পরশ পাথর নিয়ে বসা সুলতান, বড়ে গোলাম আলীর মত শিল্পীর সাথে বসে তবলায় তাল দিয়ে যাচ্ছেন! এই জন্যই শুরুতে বলেছি যে হাতই যেন পরশ পাথর। তবলা বাজাচ্ছেন বড়ে গোলাম আলীর মত শিল্পী তারিফ করে যাচ্ছেন। তিনি যদি নাচতেন তবুও তিনি ভাল করতেন। উনার মত গানের সমঝদার সেও খুঁজে পাওয়া ভার।

    দেশে ফেরার পরেই যেন শুরু হল অন্য এক সুলতানের জীবন। প্রথাগত শিল্পীরা তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেয়নি এ নিয়ে সাড়া জীবন অভিমান করে থেকেছেন। দোষ? দোষ হচ্ছে তিনি নিয়মের বাইরের লোক। নেশা করেন, গাঁজা খান নিয়মিত। উনার সংগ্রহে বিচিত্র ধরনের কলকি ছিল। নিজের নেশা প্রসঙ্গে বলেছেন তিনি নিজে নেশা করেন, কাউকে জোর করে নেশা করান নাই কোনদিন। তিনি কেন করে? তিনি নেশায় নানান রঙ দেখতে পান, এক অদ্ভুত জগতের খোঁজ পান যা উনার আঁকার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। তিনি বলেছেন নেশা করলে নেশা যেন আপনাকে না ধরতে পারে! সম্ভবত এ এক অন্য মাত্রার ব্যাপার, যা সাধারণের বুঝের বাহিরে।

    শুধু নেশা না। উনার জীবন যাপনের ভঙ্গিও সকলের পছন্দ না। কখনো আলখাল্লা পরছেন, কখন শাড়ি পরে ঘুরছেন, পায়ে কখনো খড়ম কখনো খালি পা! যা উপার্জন করতেন তা এক বিচিত্র সংসারের পিছনে খরচ করে উড়িয়ে দিতেন। বিচিত্র কেমন? উনার সংসারে ছিল কুকুর বেড়াল, সাপসহ নানান পশু পাখি। এদেরকে দৈনিক নিয়ম করে খাওয়ানো হত উনার বাড়িতে। বাড়িতে স্থিতি হওয়ার আগে থেকেছেন নমশূদ্রদের পাড়ায়। যে লোক আহমদ ছফাকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল শিল্পকলা একাডেমিতে, তিনি একজন নরসুন্দর, নাপিত। নাম মণীন্দ্র রায় ওরফে বাটুল! সুলতান ডাক দিয়েছে তিনি সব ফেলে চলে এসেছিলেন ঢাকায় সুলতানকে সাহায্য করার জন্য! সাধারণ মানুষের ভালবাসা এমন করেই পেয়ে গেছেন সারা জীবন।

    শিল্পী সুলতানের কথা আমার বলার অধিকার আছে? আমি জানি না। উনার কিংবদন্তী কাজ গুলো সম্পর্কে তো খুব অল্প জানি। এদিক সেদিকে কিছু কাজ দেখার সুযোগ হয়েছে। যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা আমাকে করে ছিল। ক্ষেতে খামারে কাজ করছে কিন্তু একেকজনের কী পেশিবহুল শরীর একেকজনের। সুলতান লেখককে ব্যাখ্যা করেছে কেন তার চরিত্ররা এমন দারুণ স্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি বলছেন বাঙালিকে দুর্বল ভাবার কোন সুযোগ নাই। যারা প্রতি বছর ঝড় বন্যার সাথে যুদ্ধ করে ক্ষেতে খামারে কাজ করে টিকে আছে তারা কীভাবে দুর্বল হয়? তিনি এই খেটে খাওয়া মানুষদের ভিতরের শক্তির ছবি এঁকেছেন! তখন প্রশ্ন আসছে উনার আগের ছবিতে কেন এমন চরিত্র আঁকেন নাই? তখন কি তিনি তেমন ভাবতেন না? সুলতান জবাব দিয়েছেন তখনো তিনি তেমনই ভাবতেন। কিন্তু আঁকেন নাই। কেন? কারণ হচ্ছে তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি! মুক্তিযুদ্ধের পরে উনি যা এঁকেছেন সব জায়গায়ই এমন পেশিবহুল মানুষের আনাগোনা। উনার কথা হচ্ছে পরাধীন একটা জাতিকে এমন শক্তসমর্থ করে আঁকলে তা বিশ্বাস যোগ্য হত না। কী দারুণ না!

    এমন একজন বোহেমিয়ানের সাথে তুলনা চলে এমন কোন চরিত্র আমার জানা নাই। পুরো উপন্যাস জুড়ে সুলতানের বর্ণাঢ্য জীবন এত চমৎকার করে ফুটে উঠেছে যে কখন যে বই শেষের প্রান্তে এসেছে তা বুঝে উঠতে পারিনি। হাসনাত আব্দুল হাইয়ের এর আগে শিল্পী নভেরা আহমেদকে নিয়ে লেখা উপন্যাস নভেরা পড়ে ছিলাম। সেটাও একই রকম দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে গিয়েছে। এই বইয়ের সাহিত্যিক গুণ বিচার করার চেষ্টা আমি করব না। কারণ তার সম্ভবত প্রয়োজন নাই। কারো যদি এমন দুর্দান্ত একটা চরিত্রের সাথে পরিচিত হতে ইচ্ছা হয় তাহলে সুলতান বইটা হাতে নিতে হবে, এরপরের দায়িত্ব হাসনাত আব্দুল হাইয়ের, তিনি আপনাকে এক টানে নিয়ে যাবে এই অসম্ভব মানুষটার অদ্ভুত সুন্দর জীবনের মাঝে।

    তাই সুলতানের মাঝে হারিয়ে যেতে চাইলে খুঁজে নিন ইউনিভারসিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত সুলতান বইটি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অন্যান্য | ১৪ মে ২০২১ | ২৯০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন