৩১ জানুয়ারি, ২০২০। বেলা ১১ টা। ত্রিস্তরের নিরাপত্তা বলতে যা বোঝান হয়, প্রথমেই কার্যত তার সম্মুখীন হই আমরা। তবে সরকারি বাহিনীর অতিরিক্ত নিজস্ব বাহিনীও যে ছিল তা আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি। দ্বিতীয় বাঁকের সামনে থেকে সরাসরি দেখতে পাওয়া গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস-এর প্রধান কার্যালয়। গেটের অনেক আগেই আমাদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। প্যারামিলিটারি ফোর্সের দুইজন জওয়ান জানান ভিতরে যাওয়া যাবে না। জানতে চান আমরা কেন এখানে এসেছি। আমরা জানাই আমরা লাইব্রেরিতে যাব, যাব সংগ্রহশালায়। “কিন্তু লাইব্রেরি তো বিকেল ৪ টায় খোলা হবে”, জানানো হয় আমাদের। আমরা অনুরোধ করি, একটু অফিসের সঙ্গে আমাদের কথা বলতে দিন, আমরা বহু দূর থেকে এসেছি ইত্যাদি। অফিস মানে গেটের সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর অফিস। সেখানে মেটাল ডিটেক্টার, স্ক্যানার, ক্যামেরা। সেখানেও একই প্রশ্ন করা হয়। এবার আমরা উদ্দেশ্য হিসাবে জানাই গবেষণার অংশ হিসাবেই লাইব্রেরি এবং সংগ্রহশালা দেখার অভিপ্রায়ের কথা। দায়িত্বে থাকা আদিবাসী মহিলা অফিসার আমাদের পরিচয় জানতে চান, দেখতে চান আধার কার্ড। এবারে একটু ফাঁপরে পড়ি আমরা, আমাদের দুই সদস্যের দলে দ্বিতীয়জন নাম-পরিচয়ে ছিলেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুভুক্ত, আরবি নাম। আমরা দুজনেই কার্ড দেখাতে তৎপর হয়ে উঠি। কার্ড বের করার সময় অন্য এক অফিসার উপস্থিত হন, জাতিতে মারাঠি ব্রাহ্মণ, তিনি কর্কশ স্বরে বলে ওঠেন, যদি গবেষণার উদ্দেশ্য তাহলে সঙ্গে ক্যামেরা কেন? আমরা জানাই আমরা নাগপুরে নতুন, বেড়াতে বেরিয়েছি, তাই; “এই যেমন দীক্ষাভূমি গিয়েছিলাম”। উনি এবার তুলনামূলক স্বাভাবিক গলায় বলেন, “জমা দিয়ে ভিতরে যান”। আমরা জানাই, “আপত্তি নেই, কিন্তু দামি ক্যামেরা আপনাদের জিম্মায় রেখে যেতে পারি, দায়িত্ব আপনাদের”। এই জবাবে কাজ হয়, “ঠিক আছে নিয়ে যান, কিন্তু ক্যামেরা ভিতরে অ্যালাও নয়, আমরা সব নজরে রাখছি”, জানান তিনি। মেন রোড থেকে সিসি ক্যামেরার নজরে যখন আমরা, তখন একথা আমাদের জানাই। কথা না-বাড়িয়ে আমরা এগোতে যাব, মহিলা অফিসার কার্ড-এর কপি জমা রাখতে বলেন। একটা রেজিস্টার্ড খাতা দেওয়া হল। ইতিমধ্যে সেখানে একটি যুব দল উপস্থিত হয়েছে, ফোন এসেছে ভিতর থেকে তাদের নির্বিঘ্নে ভিতরে পৌঁছে দিতে। নিরাপত্তা অফিসটির অন্যরা যেন একটু বেশি ব্যস্ত মনে হল, ব্যস্ত হয়ে উঠলেন সেই মহিলা অফিসারও। আমাদের নিয়ে তাঁদের বাকি কাজগুলো (অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন, কার্ড দেখা ইত্যাদি) দায়সারা গোছের হয়ে উঠল। আমরা বাগানের সামনে উপস্থিত হলাম।
গলায় গেরুয়া উত্তরীয়ধারী কয়েকজন সেখানে আমাদের থামায়, জানতে চায় লাইব্রেরি তো এখন বন্ধ, যাবেন কোথায়?
আমরা- আমাদের ট্রেন তো সন্ধেয়, ফিরে যেতে হবে। এত কাছে এসেছি, তাই ডাক্তারজির স্মৃতিধন্য সংগ্রহশালায় একবার যেতে চাই।
গেরুয়া উত্তরীয়ধারী- আপনারা কারা?
আমরা- নাগপুরে এসেছি একটি অনুষ্ঠানে। খুব ইচ্ছে ছিল এখানে আসার, লাইব্রেরিতে শুনেছি বই কেনারও অপশন আছে।
গেরুয়া উত্তরীয়ধারী- তাহলে বিকেলে আসুন। কিন্তু আপনাদের পরিচয়?
আমরা- জমা দিয়েছি অফিসে। (মহিলা অফিসারের নাম নিয়ে), উনিও তাই জানালেন, লাইব্রেরি বিকেলে খুলবে। বাঃ, আপনাদের বাগান তো বেশ ভালো।
গেরুয়া উত্তরীয়ধারী- হ্যাঁ, পরিচর্যা করা হয়। কোথা থেকে আসছেন?
আমরা- মতলোগজি এখানে আছেন শুনেছি, বহুদিন ছিলেন তিনি ওখানে, আমরা আসছি সেই কলকাতা থেকে।
গেরুয়া উত্তরীয়ধারী- ও আচ্ছা। (আপাদমস্তক নজর করে) একটু এগিয়েই বাঁদিকে সংগ্রহশালা, যান।
ভেবেছিলাম কলকাতা আর-একটা গেরো হয়ে উঠবে, কিন্তু এক্ষেত্রে তা সহজ এন্ট্রির টোটকা হয়ে উঠল। যাইহোক আমরা এগোতে থাকলাম। আমাদের অল্প পিছনেই তখন সেই যুবদল, যথারীতি বাগান ও গেরুয়া উত্তরীয়ধারীদের মুখোমুখি (পরে অবশ্য বুঝেছিলাম তাঁদের আমাদের মতো প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হয়নি, হওয়ার কথাও অবশ্য নয়)।
সংগ্রহশালার রিসেপশনে এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক। ‘লাইব্রেরি এখন বন্ধ—আমাদের উদ্দেশ্য—ডাক্তারজির স্মৃতিধন্য ভবন দেখার ইচ্ছা’ এই পর্ব যখন চলছে, তখনই যুবদলটির প্রবেশ। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা বজরং দলের রাজ্য কমিটির সদস্য এরা। এরা সরাসরি তিনতলায় সংগ্রহশালায় যাবার জন্য অগ্রসর হতেই আমরাও পিছু নিলাম।
সংগ্রহশালাটিতে কী আছে সে তালিকা দেওয়া এই লেখার উদ্দেশ্য নয়, বলা যেতে পারে হিন্দুত্বের ভক্তদের কাছে তা আগ্রহের ও অবশ্যজ্ঞাতব্য একটি বিষয়। বিশাল এই সংগ্রহশালাটি ডা. হেডগেওয়ারের জীবনের বিভিন্ন ‘কীর্তি’-র বিবিধ চিহ্ন, স্মারক, ছবি (ফোটোগ্রাফি ও পেন্টিং) ও ব্যবহৃত দ্রব্যের আধার। ভক্তদের বাইরে গবেষকদের কাছেও তা আগ্রহের বিষয় হতে পারে। ভক্তদের কাছে অবশ্য এটি কাশী-কাবার থেকে কম কিছু নয়। যেমন এই বজরং দলের কর্মকর্তাদের কাছে। সংগ্রহশালার গাইড/কিউরেটর হেডগেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল, তিনি বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে বর্ণনা দিচ্ছিলেন। আমরা শুনছিলাম, নোটও নিচ্ছিলাম। ক্যামেরা তা সে মোবাইল ক্যামেরা হোক না কেন, তা থেকে ছবি তোলার অনুমতি নেই। কিন্তু একটা ছবির কাছে গিয়ে আমাদের চোখ আটকে গেল।
একদল লোক মারছে কাউকে, যাকে মারছে তার গায়ে রক্তের ছাপ। একটু কাছে যেতেই নজরে পড়ল, প্রহৃত ব্যক্তিটি মুসলমান। গাইডকে প্রশ্ন করা হল, এই ছবির ইতিহাস কী?
গাইড- গোমাতা রক্ষা করতে ডাক্তারজির যুদ্ধের একটি দৃশ্য এটি।
আমরা- যুদ্ধ, কার সঙ্গে?
গাইড- (এইটা আবার প্রশ্ন নাকি, এই চোখে তাকিয়ে) কাদের সঙ্গে আবার, মুসলমানদের সঙ্গে!
আমরা- (কৌতূহলী ছাত্রের মতো) একটু যদি বিশদে বলেন।
গাইড- ডাক্তারজি গিয়েছিলেন জল সত্যাগ্রহের জন্য... । রাস্তায় দেখলেন একদল মুসলমান জবাই করবে বলে গরু নিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারজি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় নিয়ে যাচ্ছ, উত্তর আসে জবাই করতে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন তিনি, দাম দিয়ে গরুটি কিনে নিতে চান। কিন্তু বদমাশরা রাজি হয় না। তখন উত্তমমধ্যম দেওয়া হয়।
আমরা- ডাক্তারজি প্রহার করেন?
গাইড- শুধু তিনি কেন, সঙ্গে উপস্থিত সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরাও।
আমরা- এই যে রক্তপাত হচ্ছে মুসলমানদের, তার মানে তারা শুধু মার খেয়েছে, প্রতিরোধ করতে পারেনি?
গাইড- ডাক্তারজির প্রতাপের সামনে বাঘও মূষিকে পরিণত হয়, তো এই মুসলমানরা কোন্ ছার।
এই কথোপকথনের সময় বজরং দলের যুবকেরা খুব উত্তেজিত এবং ডাক্তারজির প্রতি সপ্রশংস হয়ে ওঠে। আমরা বাস্তবিক বাকরুদ্ধ হয়ে যাই, হেগডেওয়ারের জীবনীতে এই ঘটনার উল্লেখ থাকলেও, তা আঁকা ছবি হিসাবে সংগ্রহশালায় থাকতে পারে তা ছিল আমাদের চিন্তার বাইরে। আমরা গাইডকে জিজ্ঞেস করি (যতটা সম্ভব আমাদের উষ্মা, ক্ষোভ প্রকাশ না করে)।
আমরা- এখানে তো অনেক ছবি আছে, আছে বিভিন্ন স্থান বা সংগঠন থেকে ওঁর প্রাপ্ত উপহার সামগ্রীও। কিন্তু এই ছবি অন্যরকম।
গাইড- হ্যাঁ হিন্দু শৌর্যের জাগরণ ঘটিয়েছিলেন উনি। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন ছিল ওঁর। এই ছবি আমাদের শেখায় কী করতে হবে।
আমরা- ‘গোমাতা’ রক্ষার জন্য সারা দেশে হিন্দু যুবকেরা এখন যা যা করছে, এই ঘটনা, এই ছবি তার প্রেরণা বলতে চাইছেন?
গাইড- অবশ্যই।
আমরা- এই ছবি প্রিন্ট নিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায় না?
গাইড- না। নির্দেশ আছে ছবি তোলা যাবে না।
আমরা- ছবি তোলার কথা বলছি না। এই ছবি ছাপিয়ে বার্তা দেওয়ার কথা বলতে চাইছি।
পাশ থেকে বজরং দলের একজন সদস্য বলে ওঠে, সেকুলার আইন আছে। কী করা যাবে। অর্থাৎ কিনা দেশ হিন্দু রাষ্ট্র হলে এসব করা যাবে? মৃদু স্বরে তাদের কাছে জানতে চাই। সম্মতির হাসি দিয়ে এগিয়ে যায় দলটি। আমরা দুজনে ভাগ হয়ে যাই, একজন গাইড সহ দলটিকে নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকে। বিশেষত তারা যখন হেডগেওয়ারের কলকাতা পর্বের ছবিগুলির সামনে। অন্যজন আরএসএস হেডকোয়ার্টারের ‘আইন’ অমান্য করে ছবি তোলে, এবং সঙ্গে সঙ্গে তা হোয়াটসঅ্যাপে আমরা গ্রুপে শেয়ার করে দেয়। বলাবাহুল্য মোবাইল কেড়ে নেওয়ার বা জোর করে ছবিগুলি ডিলিট করার সম্ভাবনা ছিলই। এই ঘৃণ্য ঘটনার ছবি তোলা যাতে আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতার নিরীহ মুসলমানদের রক্তপাত করে ‘শৌর্য’ প্রকাশ করা যায়, তা আমাদের মানবিক কর্তব্য বলেই আমরা মনে করেছি।
উল্লেখ্য, উক্ত ছবির পিছনের একটা ইতিহাস আছে, যার উল্লেখ গাইড করেছিলেন। নারায়ণ হরি পালকর রচিত, হেডগেওয়ার জীবনচরিত (পৃষ্ঠা-১৯৩-১৯৪) বইয়ে এই রকম একটি ঘটনার উল্লেখ আছে। যদিও তাতে মুসলমানদের মারধরের কথা নেই। উক্ত বইয়ে ‘জঙ্গল সত্যগ্রহ’-তে হেডগেওয়ারের শামিল হওয়ার উল্লেখ আছে। সেখানে যাওয়ার সময়, পুসদের একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
প্রাতঃকালে নদী থেকে শৌচাদি সমাপ্ত করে ডাক্তারজী ফিরে আসছিলেন, তখন তিনি দুজন মুসলমানকে এক হৃষ্ট-পুষ্ট জোয়ান গরুকে ধরে নিয়ে যেতে দেখলেন। ডাক্তারজী জানতে চাইলেন, ‘গরু কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?’ তাঁরা উত্তর দিন, ‘নিয়ে যাচ্ছি না কোথাও। একটু পরেই এখানে কুরবানি করব।’ ডাক্তারজী ক্রুদ্ধ হলেন, তিনি গরুর দাম জিজ্ঞেস করলেন। ওরা জবাব দিল, ‘বারো টাকায় কিনেছি, কিন্তু আমাদের কসাইয়ের ব্যবসা, তাই এটা আমরা বিক্রি করব না।’ হেডগেওয়ার নাছোড়, আর কসাই গরু দিতে চাইছে না। হেডগেওয়ার গরুর দড়ি নিজের হাতে নিয়ে হুমকি দিতে থাকলেন। কসাই বোঝাতে থাকেন, ‘এখানে গরু কাটা একটা প্রথাগত ব্যাপার, আপনি আমাদের ছেড়ে দিন’। একজন বোঝাবার চেষ্টা করেন, ‘এখানে জঙ্গল সত্যাগ্রহে এসে ফালতু বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন কেন?’ হেডগেওয়ার গর্জে ওঠেন, ‘হিন্দুদের পূজ্য গরুকে রক্ষা করা কি ফালতু ব্যাপার? জঙ্গল সত্যগ্রহ করা বা গরুর জন্য সত্যগ্রহ করা আমার কাছে দুটোই সমান’। সঙ্গে থাকা স্বয়ংসেবকরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এক পুলিশ অফিসার এসে দুই পক্ষকে থামাবার চেষ্টা করেন, গ্রেফতার করার হুমকি দেন শেষ পর্যন্ত মুসলমানরা গরু কুরবানি থেকে বিরত হয়। হেডগেওয়ার টাকা দিয়ে গরু কিনে তা স্থানীয় গো-রক্ষণ সংস্থাকে উপহার হিসাবে দিয়ে দেন।
এরপর আমরা সেই গাইডকেই শ্রীকৃষ্ণ মতলোগের সঙ্গে মোলাকাত করিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই, আমাদের ‘গবেষণা’র কাজে তা জরুরি, তাও জানাই। গাইড জানায় তা সম্ভব নয়। আমরা ‘কলকাতা-পূর্ব পরিচয় (স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি)-গবেষণা’ আওড়াতে থাকি, অনুরোধ করি বারংবার। ইতিমধ্যে বজরং দলটিও চলে গেছে। অবশেষে গাইড ফোন করে, আমাদের বিষয়ে কারও কাছে অনুমতি চায়। অপেক্ষা চলে। প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর আমাদের জানানো হয়, অল্প সময়ের জন্য এই কথোপকথন বরাদ্দ হয়েছে, আমাদের কথা বলতে হবে অন্যের উপস্থিতিতে। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যাই।
এরপর আমরা সেখান থেকে চলে আসি।
(সেইদিন আর-একবার আমরা একটা প্রয়াস চালাই লাইব্রেরি যাওয়ার।সফলও হই। তখন আরও কিছু মানুষ এসেছিলেন লাইব্রেরিতে। কিন্তু আমাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল তা আমরা বুঝতে পারি। লাইব্রেরি সংলগ্ন অংশে একজন মোবাইলে কাউকে বলছিলেন, ‘কলকাত্তা সে আয়া’। ইতিপূর্বে প্রাপ্ত তথ্যগুলির সংরক্ষণের জন্য আমরা চলে আসি। গেরুয়া গামছা গলায় একজনকে দেখি আমাদের অনুসরণ করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু ঘটেনি।)
কামান দেগে মশা ও মরল না।এই সাক্ষাৎকার নিতে অতদূর যাওয়া ? যে কোনো শাখার মাঠে ৩দিনের ক্যাম্প করা স্বয়মসেবক ও এই একই কথা গুলো বলবে। নতুন কিছু জানা গেলো না।
খুব তাৎপর্য পুরনো লেখা !!এই সময়ে যখন সারা ভারত এই সংঘটন টার দৌলতে নিপীড়িত ।..জর্জরিত !!আমরা অনেকে এই আরএসএস সম্পর্কে ভাসা ভাসা জানি।... খুব উপকৃত হবো !!পরিকল্পনা মাফিক ওনারা এগোচ্ছেন ।...মোটেই খাটো করে দেখা যাবে না !!শক্তিমান শত্রু !!!
রীতিমতো নাজি সদর দফতরে হানা! আসলে ধর্ম-বর্ণ-জাত-পাতের বিভাজন একই!
হা শিরিরাম!