দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের শিবির-১
তেলেনিপাড়া ও গোন্দলপাড়া পাশাপাশি দুটি জনপদ। গোন্দলপাড়াতে এই হিন্দি মিডিয়াম স্কুলটি। দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা এখানে আশ্রয় নেয়। সবমিলিয়ে ২৫ টি পরিবার তখন ছিলেন। ৩ জুন, ২০২৯০ তারিখে আমরা যখন পৌঁছয় তখন সকাল ১১ টা। ক্যাম্পে তখন কয়েকজন মহিলা। বাকিরা বাড়িতে। পুরুষরাও বাড়িতে, যেহেতু পৌরসভার অর্থে মেরামতির কাজ চলছে। মেরামতির জায়গায় এবং শাস্ত্রী স্কুলে আমাদের দেখা হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি ওয়ার্ড কমিশনার পান্নালাল সাহুর সঙ্গে। পৌরসভার অর্থেই এই মেরামতির কাজ চলছে, তিনি জানান। রাজ্য সরকারের প্রদেয় ত্রাণ এই শিবিরে দেওয়া হচ্ছে, তিনি জানান। তবে সরকার এই শিবির বেশি দিন চালাবে না তাও জানান। কেন তা মনে হচ্ছে, জানতে চাইলে উনি ইঙ্গিতপূর্ণ হাসেন। উনি এর বেশি কিছু বলতে চাননি।
মুসলিম পাড়া, কালি মন্দির ইত্যাদি স্থান থেকে দাঙ্গাপীড়িতরা এখানে আসেন। মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা বছর ষাটের সাবিত্রী দেবী বলেন,
সাবিত্রী- এই স্কুলে এসে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছি। না হলে মুসলমানরা আমাদের যে কি করতো?
আমরা- হঠাৎ এই রকম হলো না আগে থাকতে কিছু আঁচ করতে পেরেছিলেন?
সাবিত্রী- না, বেটা। আগে কখনও এইরকম হয়নি।
আমরা- কেন হলো?
সাবিত্রী- ওরা আমাদের তাড়াতে চাইছে।
আমরা- কেন?
সাবিত্রী- আমাদের অনেকে ভাড়া ঘরে থাকে, তাড়াতে পারলে মুসলিম ভাড়াটে রাখতে পারবে। বা...।
আমরা- বা?
সাবিত্রী- বড় মকান বানাতে পারবে।
উল্লেখ্য, ‘আমরা’ তথ্যানুসন্ধান দলের মহিলা সদস্যা এখানের (এবং পরবর্তী দিনে ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ উর্দু হাইস্কুলের)মহিলাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। মহিলারা অন্তর্বাস, স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং পরিধানের সমস্যার কথা জানান। ১১ জুন দুটি স্কুলেই মহিলাদের হাতে উক্ত দ্রব্যগুলি দেওয়া হয়। সঙ্গে আশ্রয় শিবিরে থাকা শিশুদের জন্য খেলনা।
দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের শিবির-২
দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের শিবির-৩
(৩) যারা আগুন লাগালো
যাদের হাতে জল ছিল
(ক্রমশ…পরের পর্ব পড়ুন আগামী শনিবার)
শেষটা পড়ে ভালো লাগলো। এখনো এই দেশে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়।
নাইস পোস্ট https://www.missiongovtexam.com