“...পিতঃ;
ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত”
দেশের সপ্তাদশ লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ২০১৯-এর ১৯ মে ভাটপাড়ার সাম্প্রতিকতম দাঙ্গার সূচনা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই সেখানে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভ্যুদয় লক্ষ করা গেছে। ‘আমরা এক সচেতন প্রয়াস ফোরাম’-এর পক্ষ থেকে ২০১৯-এর দাঙ্গার আগে এবং পরে আমরা একাধিকবার তথ্য নথিভুক্তিকরণের উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়েছি এবং সেখানকার মাত্রাহীন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন এবং সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের বিভিন্ন তথ্য নথিভুক্তিকরণ করেছি। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আমরা ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি এবং দাঙ্গাবিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছি। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যদিও এই তথ্য নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। আক্রান্তদের পরিবারের বিবৃতি, রাজ্য সরকারের বিবৃতি, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন দাবি এবং পালটা দাবির মতান্তরে এইসব মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়েও অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। বোমা এবং পুলিশের গুলিতে ভাটপাড়ায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুর কথা বহুল-প্রচলিত এবং আলোচিত। তবে পুলিশের গুলি চালানোর কারণ নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ভাটপাড়ার এই হিংসাত্মক সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে বিবৃতি এবং পালটা বিবৃতি। আর ভাটপাড়ার এই দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক, না সাম্প্রদায়িক, নাকি এই দুইয়ের সংমিশ্রণ—সেটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড়ো রহস্য।
আমাদের তথ্যানুসন্ধানের কাজ শুরু হয় ২০১৮-র এমন এক সময়, যখন ভাটপাড়ার অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবন আগুন আর ছাইয়ের উপর দাঁড়িয়েছিল। ভাটপাড়া নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির সহায়তায় আমরা বিভিন্ন সময়ে কিছু ফিল্ড সার্ভে-ও করেছিলাম। বছরখানেক পেরিয়ে এসে আমরা যখন পুরোনো বিবৃতিগুলির পর্যালোচনায় বসেছি, ঠিক তখনই কিছু নতুন শব্দকে কেন্দ্র করে নতুন করে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি রূপ নিতে শুরু করেছে—‘নিজামউদ্দিন-মুসলিম-করোনা’। ইতিমধ্যে তেলিনিপাড়াতেও দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়, এবং ফলস্বরূপ হুগলি নদীর দু-পারেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্বাধীনতার আগে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ার শিল্পসমৃদ্ধ অঞ্চলটি পাটশিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। এককালে এই এলাকায় ৮ টি পাটকল ছিল, যার মধ্যে ৪ খানাই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ছিল একটা উলের কারখানা আর একটা সুতোকল—সে দুটোও এখন বন্ধ। চাঁপদানি ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপের ফাইন ইয়ার্ন কোম্পানি যদিও এখনও চলছে।
আমাদের গবেষণা আমরা কাঁকিনাড়া জুট মিলের (কেজেএম) শ্রমিক লাইন (শ্রমিক-কলোনি)-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশ, বিহার, এবং ঝাড়খণ্ডের অভিবাসী। তাঁরা স্বাধীনতার আগে থেকে এখানে বসবাস করছেন এবং সেইসময় থেকেই জুট মিলে, বিশেষত কাঁকিনাড়া জুট মিলে কাজ করছেন। এই শ্রমিক-লাইনের ১৪০০ কোয়ার্টারে প্রায় ৭০০০ মানুষের বাস, যার মধ্যে ২০% মানুষের এখন আর জুট মিলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, কিন্তু তবু তাঁরা বংশপরম্পরায় এখানেই বাস করে চলেছেন। এখানকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং ১৫% মুসলমান। ২০১৯-এর দাঙ্গায় ১৩৪ টি ঘরের প্রায় ৬৭০ জন মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন, এবং এঁদের ৯০% মুসলমান। ঘরছাড়া মানুষগুলোর বাস ছিল দর্মা লাইন, টিন গুদাম, ৪ নম্বর লাইন, ৬ নম্বর লাইন, এবং ৫ নম্বর রেলওয়ে সাইডিং এলাকায়।
স্পষ্টতই, ভাটপাড়া এখনও খবরের শিরোনামে যথেষ্ট কুখ্যাতির সঙ্গে বিরাজমান। ব্যারাকপুর লোকসভা অঞ্চলের অন্তর্গত ভাটপাড়ায় রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কারণে মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এবং বহু মানুষ গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। ১০ জুন, ২০১৯ তারিখে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসবাদীদের হাতে দুজন মুসলিম ব্যক্তি নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। বারুইপাড়া এলাকায় ২০১৯-এর মে মাস থেকে মুসলিম বাসিন্দাদের বাড়িতে পরপর বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ এবং খোলাখুলি হুমকির ঘটনা নিয়মিত ভাবে ঘটেই চলেছে।
২০১৯-এর ২০ জুন ভাটপাড়া পুলিশস্টেশন উদ্বোধনের সময় পরিস্থিতি পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে সকাল ১১.০৩-এ রিলায়েন্স জুট মিল সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। সকাল ১১ টায় মর্নিং শিফট শেষ হবার পর শ্রমিকরা ছুটি পেয়েছিলেন। সেই সময় ওই জুট মিলের পাশের লেবার অফিসের উপর তিনখানা বোমা ছোড়া হয়। সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীর কাছে শ্রমিকরা কিছু ব্যবস্থা নেবার জন্য আবেদন জানালে তিনি তাঁদের এলাকা ছেড়ে তখনি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ব্যাপক বোমাবর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। ১০ জুনের ঘটনার পর কোনো সাবধানতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পুলিশ বাছবিচারহীন ভাবে গুলি চালানো শুরু করে। জুট মিল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে কাছারি রোডে ডিসি অর্জুন সিং ঠাকুরের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালায়।
দাঙ্গার পর সব মিলিয়ে ২৯ জন মানুষ কাজ হারান (জুট মিলের কাজ?)। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন মুসলিম এবং ২ জন হিন্দু। দাঙ্গা এবং দাঙ্গা পরবর্তী হিংসা-পরিস্থিতির কারণে সাতজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন হিন্দু।
টিন গুদাম, ৪ নং, ৬ নং, এবং ১৩ নং লাইন, দর্মা লাইন ইত্যাদি শ্রমিক-কলোনির প্রায় ২০০ পরিবার এর প্রত্যক্ষ শিকার। জীবিকা হারিয়েছেন বহু মানুষ. প্রায় সকলেরই সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।
আমাদের দল প্রায় সব ক-টি দাঙ্গা-উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে। আমাদের তরফ থেকে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার জন্য বারংবার অনুরোধ জানানো হলেও তাঁরা কথা বলতে অস্বীকার করেন। রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁদের তরফ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ‘লাইন’ কথার অর্থ কী? যদি আপনি ‘লাইন’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিত না থাকেন, যেমন ‘কুলি-লাইন’, ‘শ্রমিক-লাইন’, তাহলে ‘লাইন’-এর পরিধি নিয়ে কিছু কথা জেনে নেওয়া দরকার। লাইন হচ্ছে সেইসব ‘বহিরাগত’ মানুষদের রৈখিক বাসস্থান, যারা ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে আশেপাশের নানা জুটমিলে জীবিকার কারণে বসতি স্থাপন করেছেন। যদিও আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই রৈখিক বাসস্থান চিহ্নিত করা মুশকিল, কারণ বহু প্রজন্ম ধরে এই শ্রমজীবী মানুষেরা ছোটো ছোটো ঝুপড়ি বানিয়ে এইসব এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে জায়গায় জায়গায় কিছু পাড়া তৈরি করে নিয়েছেন। তবে নামগুলো থেকে গেছে। তাই এখনও এই অঞ্চলে দর্মা লাইন, টিন গুদাম, সর্দার লাইন, ৪ নং লাইন, ৬ নং লাইন, ১৫ নং লাইন, ৫ নং লাইন, রেলওয়ে সাইডিং প্রভৃতি নাম শুনতে পাওয়া যায়। ওঁদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে ওঁদের আদি বাড়ি কোথায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ উত্তর মিলবে—পশ্চিমবাংলা, কারণ ওঁদের প্রায় সকলেরই জন্ম এবং বড়ো হয়ে ওঠা এই ভাটপাড়াতেই। অবশ্য গা থেকে ‘বহিরাগত’ তকমাটা মুছে ফেলার জন্য এটা একটা সুপরিকল্পিত উত্তরও বটে। অনেকেই হয়তো জানতে চাইবেন, এই তথাকথিত শ্রমিক-লাইনগুলির গঠন ঠিক কীরকম। প্রথমত, একটা সরু দেয়ালের ব্যবধানে পাশাপাশি গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে বসবাস করার জন্য যথেষ্ট পারস্পরিক সহিষ্ণুতার প্রয়োজন। আমরা দেখেছি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে একই সঙ্গে পাশাপাশি থাকছেন, একই জায়গা থেকে জল নিচ্ছেন, তাঁদের স্নানের জায়গা, টয়লেট—সবই এক। কারও জন্য কোনো আলাদা ব্যবস্থা নেই। এই কমিউনিটি টয়লেটের গঠনও বেশ অদ্ভুত। দেখে মনে হয় যেন একটা পুরোনো পরিত্যক্ত বাড়ি, যাতে ২৪-৩০ ফুট উঁচু একটা চাতাল রয়েছে। এরকম একটা কমিউনিটি টয়লেট আয়তনে প্রায় ২৫ স্কোয়্যার ফুট পর্যন্ত বড়ো হতে পারে। বাইরে থেকে কিছু দেখতে না পাওয়া গেলেও, জানা গেল যে বাস্তবে টয়লেটগুলোর কোনো প্রাইভেসি নেই। চারপাশে মানুষের মল ভেসে বেড়াচ্ছে—এমন দৃশ্যও দেখা যায়। বর্ষাকালে এখানকার সরু গলিগুলোর অবস্থাও প্রায় একই হয়। আর যদি ভারী বৃষ্টি হয় তাহলে দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা জল এখানকার মানুষদের খুপরি খুপরি ঘরগুলোর ভিতর ঢুকে যায়। স্পষ্টতই, পারস্পরিক সহাবস্থান এবং সহযোগিতা না থাকলে এই মানুষগুলোর পক্ষে সেই ঔপনিবেশিক আমল থেকে টিকে থাকা সম্ভব হত না। আমরা দেখেছি একই জায়গায় হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি আর মহরমের তাজিয়া পাশাপাশি রাখা রয়েছে। আবার, রক্তপাত, পারস্পরিক ঘৃণা এড়িয়ে চলার ছবিগুলোও আমাদের চোখ এড়ায়নি।
ক্রমশঃ
এরপর?
চলতে থাকুক। জরুরী লেখা।
Promod Kumar Chakraborty লিখেছেন, "এই অনুসন্ধানের সমন্ধে কয়েকটি কথা না বলে পারছি না ।
1) দেশ ভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও , বিহার, উত্তর প্রদেশ ,মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বহু অবাঙালি মুসলিম পূর্ব পাকিস্তান বা বর্তমান বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই অবাঙালি মুসলিমদের দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশ সরাসরি অস্বীকার করে । আবার পশ্চিম পাকিস্তান বা বর্তমান শুধু পাকিস্তানও এদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে । বাঙালী কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ভাষা গত বিরোধের কারণে এরা বাংলাদেশ অবাঞ্ছিত ঘোষিত হয় । দিশেহারা জীবনে এদের লক্ষ্য হয় সেই ছেড়ে যাওয়া ভারত । কিন্তু পরিচয় প্রকাশের ভয়ে, ছেড়ে যাওয়া বাপ্ ঠাকুরদার ভিটেয় ফেরাও মুসকিল । এই অবস্থায়, তাদের প্রধান আস্তানা হয় , অবাঙালি মুসলিম অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা এই কাজে তাদের সাহায্য করে, বামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতানেতৃরা । দলের স্বার্থে এদের ব্যবহার করে, ভোটে জেতা থেকে, দাঙ্গা হাঙ্গামা করে বিরোধী গোষ্ঠীকে শায়েস্তা করা এবং এই কাজ করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী গোষ্ঠীর আর্থিক সাহায্যে পার্টি ফাণ্ড ও ফুলে ফেঁপে উঠেছিল । পরবর্তীতে তৃণমূলও একই কাজ করে যাচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গে থিতু হওয়ার পর এখান থেকে, ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ সংগ্রহের পর ভারতের অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে এরা ছড়িয়ে পড়ছে ।
পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পিছনে এদের বিরাট ভুমিকা আছে । কিন্তু, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকার কারণে, সবকিছু জানা সত্বেও সবাই এটাকে এড়িয়ে চলেন ।
তাই তো দলমত নির্বিশেষে, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দল NRC- বিপক্ষে এবং CAA তে মুসলিমদের নাগরিকত্ব দানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন ।
শুধু শুধু হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাকে দোষারোপ করে লাভ হবে । সমস্যা সমাধানের ইচ্ছা থাকলে মিথ্যা প্রপোগণ্ডা না করে, আসল কারণ গুলো বিনষ্ট করা জরুরী ।
স্যোশাল মিডিয়া বা ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম বা নবী কে অপমান করার জন্য, পাকিস্তান বা বাংলাদেশে দাঙ্গা হাঙ্গামা বা বিক্ষোভ হলেও ভারতে তা করার ক্ষমতা মৌলবাদি জেহাদি ইসলামের ছিলো না । কিন্তু , কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের প্রত্যক্ষ সাহায্য সহযোগিতায় সেটা এখন পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ।
বসিরহাট, কালিয়া চক, হাওড়ার সাঁকরাইল, উলুবেড়িয়া, ধূলাগড় এবং মাত্র কয়েক দিন আগের বাগনানের ঘটনা তার প্রমাণ ।"
আমার জন্ম ভাটপাড়ায়।১ নং ফেরিঘাট রোডে।সে বাড়িতে শেষ গেছি সত্তর দশকে।
এখন শরীকদের দখলে।
ভাটপাড়ার চোখে দেখলে আমিও উদ্বাস্তু হাওড়া জেলায়।বাগনানে স্কুলজীবন ও কৈশোর যৌবনের অনেকটা কেটেছে।
বাগনান আর ভাটপাড়া দুটোই আমার অস্তিত্বের অংশ।
ভাটপাড়া বাঁচুক।বাঙালি বাঁচুক।
এই মুহূর্তে যা হচ্ছে তা মুখ্যত হিন্দি আগ্রাসন।পেশ হচ্ছে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে।
অশুভ বিজেপি আরএসএস সংঘীদের পরাস্ত করতে হবে।