এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আবহে বঙ্গ রাজনীতি

    Majibur Rahaman লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আবহে বঙ্গ রাজনীতি
    মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল

    দেশজুড়ে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গেছে। লোকসভার আসন সংখ্যার নিরিখে উত্তর প্রদেশ (৮০) ও মহারাষ্ট্রের (৪৮) পর পশ্চিমবঙ্গ (৪২) ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রাজ্য। তবে গণতন্ত্রের উৎসব উদযাপনের প্রশ্নে আমাদের 'সোনার বাংলা' সকল প্রদেশের শীর্ষে অবস্থান করতেই অভ্যস্ত। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই উৎসব শুরু হয়, শেষও হয় সবার শেষে। এখানকার সংবাদ মাধ্যম, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সরকার গঠন বা জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের অনুষ্ঠানকে আক্ষরিক অর্থেই ভোটযুদ্ধে পরিণত করে। বাংলার মাটিতে এই যুদ্ধ কখনও রক্তপাতহীন থাকে না; বহু মানুষ হতাহত হয়। ধর্মীয় উৎসবে পশুবলির মতো বাংলায় গণতন্ত্রের উৎসবে নরবলি দেওয়া হয়। এবারের নির্বাচনেও এই 'ঐতিহ্য' অক্ষুণ্ন থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

    গত দুই-আড়াই দশকে আমাদের বঙ্গে রাজনীতির অনেকটাই অবনমন ঘটেছে। এই অবনমনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল দলবদল। খেলার জগতে খেলোয়াড়দের ক্লাব বদল এবং কীটপতঙ্গের মধ্যে গিরগিটির রং বদলের মতোই রাজনীতিতে নেতানেত্রীদের দলবদল অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আর, নির্বাচন হল দলবদলের সেরা মরসুম। রায়গঞ্জ, রানাঘাট ও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে এবার যাঁরা টিএমসি'র প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা ২০২১ সালে বিজেপি'র টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই রকম ভাবে বরানগরের টিএমসি'র বিধায়ক পদত্যাগ করে লোকসভায় কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি'র প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাটপাড়া থেকে জয়ী টিএমসি'র বিধায়ক ২০১৯ সালে বিজেপি'র টিকিটে ব্যারাকপুরের সাংসদ নির্বাচিত হয়ে টিএমসি'তে চলে যান। তিনি পুণরায় বিজেপি'র প্রার্থী হয়েছেন। আইনসভার সদস্যদের এমন অজস্র দলবদলের উদাহরণ রাজনৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের প্রমাণ।

    রাজনীতিকদের সাধারণত সংগঠক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। জনপ্রতিনিধিরা বেতন ভাতা সহ নানান সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। প্রাক্তন হলে পেনশন পান।দলীয় সাংগঠনিক পদের সঙ্গে সেসবের সম্পর্ক নেই। সেজন্য 'জনগণের সেবা' করতে উদ্গ্রিব রাজনীতিকদের আইনসভার সদস্য হওয়ার প্রবল ইচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীপদ না পাওয়ার জন্য অনেককেই প্রকাশ্যে অসন্তোষ ও অভিমান প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে, দলীয় পদ ত্যাগ করে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। এই ঘটনা থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, রাজনীতি দল ও দশ তথা দেশের স্বার্থে কাজ করার একটি প্ল্যাটফর্ম হওয়ার পরিবর্তে ক্রমশ অর্থ উপার্জন ও আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করার ক্ষেত্র হয়ে উঠছে।

    সম্প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে একই লোককে প্রার্থী করার একটা প্রবণতা তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে।এর ফলে লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরেই আবারও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন করার প্রয়োজন হচ্ছে। এবার অন্তত ১৬ জন সিটিং এম এল এ এবং ১ জন রাজ্যসভার এম পি লোকসভার এম পি হওয়ার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। আজকের দিনে রাজনীতিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা, সততা, ভদ্রতা ইত্যাদি ইতিবাচক গুণের খুব একটা গুরুত্ব আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু ভোটে জিততে বা ভালো ভাবে লড়তে অর্থবল, বাহুবল, লোকবলের দরকার হয়। এগুলো যাঁদের আছে তাঁরা প্রার্থীপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকেন। এজন্য একই লোককে বারবার ময়দানে নামানো হয় এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই আরেকটি নির্বাচনের ঝক্কি এসে পড়ে। রাষ্ট্রের অর্থ ও সময়ের শ্রাদ্ধ হয়।

    সরকারি চাকরিতে যোগদানের একটা ন্যূনতম বয়সের পাশাপাশি চাকরিকালেরও একটা উর্ধ্বসীমা থাকে। একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া, পদ্ধতি ও প্রস্তুতির মধ্য দিয়েই প্রবেশ-প্রস্থান করতে হয়। রাজনীতিতে সেসবের বালাই নেই। ইচ্ছে হলেই হল। কোনো ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়সের সামান্য বিধিনিষেধ ছাড়া যে কেউ যেকোনও বয়সে রাজনীতিতে যোগদান করতে পারে এবং যতদিন খুশি থাকতে পারে। পেশাগত প্রভাব, প্রতিষ্ঠা ও পরিচিতি থাকা লোকদের সাধারণত সাধারণ কর্মী হিসেবে অথবা দলের কোনো সাংগঠনিক পদে অভিষিক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে না। আইনসভার নির্বাচনে প্রার্থীপদ পাওয়ার মধ্য দিয়েই তাঁদের যাত্রা শুরু হতে দেখা যায়। এবারের নির্বাচনে হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, দু'জন চিকিৎসক, চারজন আই পি এস অফিসার চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। ৯-১০ জন অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং ভারতীয় দলের দুজন প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শিক্ষিত ও সফল পেশাজীবীরা আইনসভার সদস্য হলে সেটা অবশ্যই ভালো। কিন্তু সরকারি চাকরি থেকে অবসরগ্ৰহণের আগেই অথবা কোনো কুলিং অফ পিরিয়ড ছাড়াই হঠাৎ কোনো বড় দলের প্রার্থী হওয়াটা ভালো বার্তা বহন করে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাঁর সদ্য ছেড়ে আসা পেশায় দায়িত্ব পালনের সময় রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ ছিলেন কিনা সে প্রশ্ন ওঠে। তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। তবে নায়ক-গায়ক-খেলোয়াড় অর্থাৎ তথাকথিত সেলিব্রিটিরা দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া সেই অর্থে শিক্ষিত নন এবং আইনসভার সদস্য হিসেবে অতি নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এঁদের দিয়ে রাজনীতি ও জনগণের বিশেষ কোনো লাভ হয় না।

    পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন দলকে একই পরিবার থেকে প্রার্থী করতে দেখা যায়। পিতা-পুত্র, দাদা-ভাই, জা-ননদ একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রাজনীতির মাঠে ব্যক্তিগত বিবাদ বা পারিবারিক দ্বন্দ্বকে উস্কে দেওয়া হয়। এবার লোকসভা নির্বাচনে যেন পঞ্চায়েতী কৌশলের প্রতিফলন ঘটতে দেখা যাচ্ছে। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। শ্রীরামপুরে লড়ছেন প্রাক্তন শ্বশুর-জামাই। হুগলি কেন্দ্রে দুই অভিনেত্রী চুলোচুলি করছেন। ঘাটালে দুই নায়কের মধ্যে ফাইট হচ্ছে। এতে কিন্তু বাংলার রাজনীতির হাইট বাড়ছে না।

    সম্প্রতি ভাষা সন্ত্রাস পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছে। নেতানেত্রীরা একে অপরকে অত্যন্ত কদর্য ভাষায় আক্রমণ করছেন। লেখা বা বলার অযোগ্য শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হচ্ছে। অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি বা মিমিক্রি করে প্রতিপক্ষকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। সমালোচনা গালি গালাজে পরিণত হচ্ছে। রাজনৈতিক বিরোধিতা ব্যক্তিগত কুৎসায় পর্যবসিত হচ্ছে। কেউ কাউকে সমকামী বলে বিদ্রূপ করছেন তো কেউ কাউকে রেজিস্টারড মাতাল বলছেন। কারোর পিতৃমাতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।পুত্রের জন্য পিতার শ্রাদ্ধশান্তি করা হচ্ছে। ভোটের সময় 'বেল্টের নীচে আঘাত' বেড়ে যায়। তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর বউ কেন তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শ্রীরামপুরের টিএমসি প্রার্থী। বিজেপি'র প্রার্থী পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, টিএমসি'র প্রার্থীর মেয়ে-জামাইয়ের ডিভোর্স কেন হয়েছে। এই অকথা কুকথার কালচার বঙ্গ রাজনীতিকে খুব খারাপ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।

    পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেয় করার জন্য কখনও কখনও সেই নেতা বা নেত্রীর নাম মুখে না নেওয়ার একটি চল আছে। জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় বিরোধী দলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নাম মুখে না নিয়ে তাঁকে 'ফোর টোয়েন্টি' (৪২০) বলতেন। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলতেন, মমতা ব্যানার্জির নাম মুখে নিতে তাঁর রুচিতে বাধে। এখন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা অভিষেক ব্যানার্জিকে 'রেকগনাইজ' করতেই অস্বীকার করছেন। এটা সঠিক মনোভাব বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে এত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হবে কেন? এভাবে কি কাউকে জনগণের কাছে গুরুত্বহীন করে তোলা যায়? ভেবে দেখা দরকার। রাজনীতিতে উন্নাসিকতা প্রদর্শনের স্থান থাকতে পারে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিরোধীদলের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জিও অত্যন্ত অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত।

    এক রাজ্যের অধিবাসীর অন্য রাজ্য থেকে রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমাদের দেশের সংসদীয় রাজনীতিতে একটি অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। লোকসভাতেও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বিশেষ উদ্দেশ্যে নিজ রাজ্যের বদলে ভিন রাজ্য থেকে প্রার্থী করার দৃষ্টান্তের অভাব নেই। যেমন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের কোনো কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম তীর্থস্থান বারাণসী থেকে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু এখন অন্য রাজ্যের রাজনৈতিক গুরুত্ব না থাকা ব্যক্তিদেরও পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে। আসানসোল, বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বহরমপুর কেন্দ্রে এরকম তিনজন তথাকথিত বহিরাগত প্রার্থী হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের কোনো নেতানেত্রীকে কিন্তু অন্য রাজ্য থেকে নির্বাচিত করে লোকসভায় পাঠানোর কথা কোনো দলই কখনও ভাবে না।

    শতাংশের নিরিখে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ও পৌরসভায় মহিলাদের সদস্য হওয়ার সংখ্যা সর্বাধিক। জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ এখনও কার্যকর হয়নি। কিন্তু বিগত এক দশকে এই রাজ্যে মহিলা সাংসদ-বিধায়কের সংখ্যা ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৭তম লোকসভায় এরাজ্য থেকে ৪২ জন সাংসদের মধ্যে মহিলা সদস্য ছিলেন ১১ জন- টিএমসি'র ৯ ও বিজেপি'র ২। এবার কেন্দ্র-রাজ্যের দুই শাসকদল ও বাম-কংগ্ৰেস মিলিয়ে দুই ডজনের বেশি মহিলা প্রার্থী রয়েছেন।অন্তত এক ডজন মহিলার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

    দেশের সরকার গঠন করার উদ্দেশ্যে লোকসভা নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এজন্য এই নির্বাচনে মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্মের ওপর আলোকপাত করা উচিৎ। গত পাঁচ বছরে দেশ কতটুকু এগিয়েছে অথবা পিছিয়েছে তার হিসেব নিকেষ করতে হবে। বিভিন্ন মানদণ্ডে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের উত্থান-পতনের পরিসংখ্যানে দৃষ্টিপাত করতে হবে। দেখতে হবে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ শক্তিশালী হচ্ছে নাকি দুর্বল হয়ে পড়ছে।দেশবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে হবে। সাংসদদের পারফরম্যান্সকে আতস কাঁচের তলায় ফেলতে হবে। এই নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসকদলকে জবাবদিহি করতে হবে। রাজ্য সরকার ও স্থানীয় শাসকদলের কর্মকাণ্ডের কথাও কিছুটা উঠে আসবে। জাতীয় ও প্রাদেশিক শাসকদলের বাইরে থাকা বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ভূমিকাও নির্বাচকমণ্ডলীর আলোচনার মধ্যে আসবে। মানুষ তার অভিজ্ঞতা দিয়ে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন