দেখুন, রবীন্দ্রনাথের ছবি বিষয়ে সকলেই সমান শ্রদ্ধাশীল নন – অন্তত আগে তো ছিলেনই না। তাঁর সময়ে ছবির ব্যাপারে এককথায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিতে অনেকেই চাননি –এদেশে তো নয়ই। অবনীন্দ্রনাথ-নন্দলাল-প্রমুখ তাঁর ছবির ব্যাপারে প্রাথমিক যে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন, এমনকি যামিনী রায়ও, তার কতোখানি গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধাবশত আর কতোখানি ছবির নৈর্ব্যক্তিক বিচার, সে আন্দাজ করা মুশকিল। সন্দেহ আরো বাড়ে, কেননা তাঁর সমকালীন শিল্পীরা তো বটেই, এমনকি পরবর্তীতে যখন এদেশের শিল্পকলায় আধুনিকতার রমরমা শুরু হল, তখনও – সে বোম্বে প্রগ্রেসিভই হোক বা ক্যালকাটা পেইন্টার্স – কোনো শিল্পীই রবীন্দ্রনাথের পথ ধরে সেভাবে এগোলেন না। এদেশে রবীন্দ্রচিত্র নিয়ে মুগ্ধতা বেশ হাল আমলের ব্যাপার।
মাথায় রাখা যাক, বিদেশে রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে যখন বেশ কথাবার্তা হচ্ছে, সেই সময়েই কবি এজরা পাউন্ড বলেছিলেন, "এগুলো ছবি নাকি? কেউ এই সমস্ত হিজিবিজি কাটাকুটি দেখতে আগ্রহী ছিল না। কিন্তু কেউ টেগোরকে সত্য কথাটা গিয়ে বলেনি।"
আর কবির একান্ত সুহৃদ ও শুভানুধ্যায়ী রোমা রঁল্যা লিখেছিলেন, "ছবিগুলো ইউরোপে যে অভ্যর্থনা পেয়েছে, তাতে তিনি বুঁদ হয়ে আছেন। কিন্তু এর মধ্যে স্নবারি ও মিথ্যা ভদ্রতার অংশ যে কতখানি তা তিনি ধরে উঠতে পারেননি।" অতএব…
আসলে শেষের কবিতা নিয়ে বিস্তর বিতর্কের পরিস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যে কথাটি বলেছিলেন, তাঁর ছবি নিয়েও সেকথা সমান প্রযোজ্য –
"আমার একটা দুর্ভাগ্য আছে, যেখানে আমার হাঁটু জল, লোকে সেখানে ডুব জল ধরে নেয়।"
ছবি নিয়ে তিনি আঁচড় কাটতে কাটতে যে গভীরতায় পৌঁছেছিলেন, আজীবন সাঁতারু বহু শিল্পীর সে জলে পৌঁছানো হয়ে ওঠে না। অতএব, প্রত্যাশিতভাবেই, ইউরোপীয় চিত্রদর্শনে অভ্যস্ত চোখ বা প্রাচ্য চিত্ররীতিতে অভ্যস্ত অনুভূতি – দুইয়ের কেউই রবীন্দ্র-অনুভবে গভীর অবগাহনে সক্ষম হলেন না – হওয়া সম্ভবই ছিল না, হয়ত। একটি সাক্ষাৎকারে এই সময়ের শিল্পী লালুপ্রসাদ সাউ বিমূর্ত শিল্পকলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের ছবি, তাঁর মননটাই সম্পূর্ণ আলাদা স্তরের – সেই চেতনার স্তরে উত্তরণ সবার পক্ষে সম্ভব নয়।
তবু মনে রাখা যাক, রোমা রঁল্যা বা এজরা পাউন্ড যা-ই বলুন না কেন, পশ্চিমের দেশে রবীন্দ্রনাথ চিত্রকর হিসেবে ভালোই প্রশংসা পেয়েছিলেন – নিজের ছবির স্বীকৃতি বিষয়ে কবি ছিলেন শিশুসুলভ উত্তেজিত – নির্মলকুমারী মহলানবিশকে চিঠিতে জানান –
"জার্মানিতে আমার ছবির আদর যথেষ্ট হয়েছে। বার্লিন ন্যাশনাল গ্যালারি থেকে আমার পাঁচখানা ছবি নিয়েছে। এই খবরটার দৌড় কতকটা আশা করি তোমরা বোঝো। ইন্দ্রদেব যদি হঠাৎ তাঁর উচ্চৈঃশ্রবাঃ ঘোড়া পাঠিয়ে দিতেন আমাকে স্বর্গে নিয়ে যাবার জন্য তা হলে আমার নিজের ছবির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারতুম।"
বার্লিন ন্যাশনাল গ্যালারি স্রেফ ভদ্রতাবশত কবির ছবি সংগ্রহ করেছিলেন, এতটা হজম করা মুশকিল।
সেই আমলের প্রাচ্যবিশেষজ্ঞ শিল্পবেত্তা আনন্দ কুমারস্বামী রবীন্দ্রনাথের ছবির মধ্যে আধুনিক চিত্রকলায় আদিমতার সার্থকতম প্রয়োগ লক্ষ্য করেছিলেন – বলেছিলেন, তাঁর ছবিতে শিশুর সারল্য, কিন্তু সে ছবি শিশুসুলভ নয়।
মোদ্দা কথা, রবীন্দ্রনাথের ছবি সার্থক ছবি কিনা – তাঁর ছবি স্রেফ রবীন্দ্রনাথ এঁকেছেন বলেই দেখার যোগ্য কিনা – এসব সংশয় সেসময়ে অল্পবিস্তর থাকলেও তার বিপরীত মতেরও অভাব ছিল না – তাঁর ছবিকে মাস্টারপিস বলে যাঁরা সেসময় মন্তব্য করেছিলেন, তাঁদের অন্ধ-রবীন্দ্রভক্ত বলে দাগিয়ে দেওয়া গেলেও পরবর্তী সময় সাক্ষী, শিল্পী রবীন্দ্রনাথকে যথার্থ চিনতে পেরেছিলেন তাঁরাই – সে অর্থে তাঁদের চিত্র-অনুভব সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিল।
কেননা, কোনোরকম ধানাইপানাই ছাড়া একথা মেনে নেওয়া যাক, ভারতীয় চিত্রকলার ইতিহাসে চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় – এবং ভারতবর্ষে আধুনিকাতার জনক অভিধার অন্যতম প্রধান দাবীদার তিনি (অপরজন নিঃসন্দেহে অমৃতা শেরগিল)।
কিন্তু, আমরা আদার ব্যাপারী – জাহাজঘাটার খবর নিয়ে আমাদের বিচলিত না হলেও চলবে। আসুন, একখানা প্রকৃতিদৃশ্য একসাথে দেখে নিই এই পঁচিশে বৈশাখের বাজারে।
রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার ইচ্ছে যে আমার নেই, এমন নয় – কিন্তু, নিজের যোগ্যতা আর সীমাবদ্ধতা বিষয়ে আমি সম্যক ওয়াকিবহাল – কোথায় নিজের ইচ্ছের লাগাম টানতে হয়, সেটুকু কাণ্ডজ্ঞান আমার রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথের ছবির মধ্যে বিভিন্ন ভাগ রয়েছে – লেখার মাঝে কাটাকুটি করে ছবির রূপ দেওয়া, মানুষের মুখ, বেশ কিছু অর্ধপরিচিত বা অপরিচিত প্রাণীর রূপ, আত্মপ্রতিকৃতি ইত্যাদি ইত্যাদি – কিন্তু, আমাকে সবচাইতে বেশী করে টানে তাঁর ল্যান্ডস্কেপ – কালিতে আঁকা ল্যান্ডস্কেপের চেয়েও বেশী করে রঙীন ল্যান্ডস্কেপ।
একটা বিষয় আলাদা করে বলার মতো, তাঁর বাকি চিত্রকলায় মানুষ এবং প্রাণীর ছড়াছড়ি – অথচ, প্রকৃতির ছবি ভয়ানক নির্জন – মানুষের দেখা নেই। এই নির্জনতা তাঁর প্রকৃতিকে একটা ভিন্ন রূপ দিয়েছে – খোলা প্রকৃতি প্রায় অশরীরীতুল্য শিরশিরে অনুভূতির সৃষ্টি করতে পেরেছে। ছবিতে রঙের ব্যবহার, গাঢ় রঙের ব্যবহার এবং একটি রঙের পাশে ঠিক কোন রঙটি ব্যবহৃত হলে ছবির সেই নির্জনতা প্রায় শারীরিকভাবে অনুভবযোগ্য হয়ে উঠতে পারবে – সন্দেহ নেই, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন সে বিষয়ে অতিমাত্রায় সচেতন।
এখানে আরো একটা কথা মনে করিয়ে দেওয়া যাক, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বর্ণান্ধ বা রঙকানা – লালরঙ ভালো করে দেখতে পেতেন না, লাল আর সবুজকে তিনি কাছাকাছি দেখতেন – আবার সবুজের মধ্যে বিভিন্ন স্তর খুব সুন্দর বুঝতে পারতেন – এতটাই ভালো বুঝতেন যা মাঝেমধ্যে অনুযোগ করতেন, এতগুলো বর্ণকে সবাই সবুজ বলে ডাকে কেন – এবং নীল রঙ অনুভব করতে পারতেন বাকিদের চেয়ে বেশী গভীরভাবে। নির্মলকুমারী মহলানবিশ যেমন বলেছিলেন–
"পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল যে উনি রঙকানা ছিলেন। লাল রঙটা চোখে পড়তো না, মানে লাল আর সবুজের বেশী পার্থক্য বুঝতে পারতেন না। কিন্তু কোন জায়গায় নীলের একটু আভাসমাত্র থাকলেও সেটি তার দৃষ্টি এড়াতো না। বাগানে ঘাসের মধ্যেও খুব ছোট নীল রঙের একতা জংলী ফুল ফুটে থাকলেও ঠিক ওর চোখে পড়তো। বলতেন, ‘দ্যাখো দ্যাখো, কী চমৎকার ফুলটা’। অথচ আমরা হয়তো লক্ষ করেও ফুলটি খুঁজে বের করতে মুশকিলে পড়তাম। হাসতেন আর বলতেন, ‘কী আশ্চর্য, এত স্পষ্ট জিনিসটা দেখতে পাচ্ছো না? অথচ আমি তোমার লাল ফুল ভাল দেখতে পাইনে বলে আমাকে ঠাট্টা করো। নীল রঙটা যে পৃথিবীর রঙ, আকাশের শান্তির রঙ, তাই ওটার মধ্যে আমার চোখ ডুবে যায়; আর লাল রঙটা হল রক্তের রঙ, আগুনে রঙ অতএব প্রলয়ের রঙ, মৃত্যুর রঙ – কাজেই বেশী না দেখতে পেলে দোষ কি?"
অতএব, বসন্তে শান্তিনিকেতনে আগুন-ধরানো পলাশফুলকে দেখার ব্যাপারেও তাঁর দৃষ্টি, বা তাঁর রঙের বিচার ছিল স্বতন্ত্র–
"পলাশটা কি শুধুই লাল? ওতে কতখানি হলদে মেশানো রয়েছে, তাছাড়া ঘোর সবুজ – প্রায় কালো আর একটা রঙ আছে, এই দুই মিলিয়ে তবে তো পলাশের বাহার? তাছাড়া পলাশের গড়নটার কথাও তো ভুললে চলবে না।"
কথাটা হচ্ছে, বর্ণান্ধতার জন্যে একটা-আধটা রঙ দেখতে না পেলে প্রকৃতির রসাস্বাদনে কতখানি সমস্যা হয়, তা তর্কযোগ্য হলেও, ছবি আঁকার মুহূর্তে তা রীতিমতো বড় প্রতিবন্ধকতা। ছবিতে আলো-ছায়ার সঙ্ঘাতের মধ্যে দিয়ে নাটকীয়তার আভাস আনা যায়, সেক্ষেত্রে রঙের গুরুত্ব অসীম।
সচরাচর এই আলো-ছায়ার খেলা ধরা হয় সাদা-কালো পাশাপাশি রেখে – ছবির ভাষায় সাদা, কালো ও তার মধ্যে থাকা বিবিধ ঘনত্বের ধূসর, এসবই নিউট্রাল রঙ – এই নিউট্রাল রঙের সঙ্ঘাতের ফলে সৃষ্ট আলো-ছায়ার পদ্ধতিকে বলা হয় কিয়ারাস্ক্যুরো (রেমব্রান্ট দেখার অভ্যেস থাকলে এ বিষয়ে আর একটি শব্দ ব্যয়ও অপচয়)। আবার দুটি বিপ্রতীপ রঙকে পাশাপাশি রেখেও এই আলো-ছায়ার অভিঘাত আনা যেতে পারে – যাকে সাধারণত বলা হয় রঙের টোনালিটি। এই বিপ্রতীপ রঙকে বলা হয় কমপ্লিমেন্টারি কালার্স – যেমন লাল ও সবুজ, কমলা ও নীল ইত্যাদি।
এতদসত্ত্বেও রবীন্দ্রচিত্রে কখনোই লাল ও সবুজ পাশাপাশি আসেনি, এমন নয় – সে লাল ও সবুজের ঘনত্বও আলাদা থেকেছে – কিন্তু, সেক্ষেত্রে দুই রঙকে একেবারে গায়ে গায়ে ব্যবহার করতে তিনি ছিলেন সন্দিহান, সম্ভবত দুই রঙের বিভাজনরেখা গুলিয়ে ফেলে ছবিটিই হারিয়ে ফেলার ব্যাপারে সংশয়ে থাকতেন।
আনাড়ি কথায় হয়ত ভালো করে বোঝাতে পারলাম না, তাই শিল্পী-প্রাবন্ধিক দেবরাজ গোস্বামীকে উদ্ধৃত করা যাক –
"লাল রঙের পাশে সরাসরি কালো বা কোন গাঢ় অন্ধকার রঙ ব্যবহার করতে তিনি মানসিক দোলাচলের মধ্যে পড়েছেন। যেখানে এই দুটি রঙ পাশাপাশি প্রয়োগ করলেই একটা জোরালো বৈপিরত্য তৈরি হয় এবং ড্রইংটি বেরিয়ে আসে। সেখানে তিনি এই দু’রঙের মধ্যবর্তী স্থানকে সারফেসের সাদা কিংবা কোন হাল্কা রঙের একটি রেখা দিয়ে বিভাজন করেছেন। সম্ভবত হয় লাল ও কালো রঙের বৈপরীত্য সম্পর্কে কবি নিশ্চিত হতে পারতেন না অথবা তাঁর নিজস্ব বর্ণান্ধতার কারণে পাছে মূল ড্রইংটি হারিয়ে ফেলেন, এই আশঙ্কা থেকে ব্যাপারটি করতেন। কিন্তু এই কাজ করার ফলে আপনা থেকেই রবীন্দ্রনাথের ছবিতে একটা নিজস্ব চরিত্র তৈরি হয়েছে যা নান্দনিক বিচারে সদর্থক।"
না, কথাগুলো ল্যান্ডস্কেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন নি – কিন্তু, এই ছবিখানার ক্ষেত্রেও কথাটা প্রাসঙ্গিক। সবুজের বিভিন্ন স্তর বিভাজনের মাঝে রবীন্দ্রনাথ ব্যবহার করেছেন হাল্কা কিছু রঙ – মাঝেমধ্যে ঘটেছে তাঁর প্রিয় নীল রঙের অনুপ্রবেশ। না, সচরাচর রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতিদৃশ্যে যে আলোআঁধারি থাকে, এ ছবিতে সে কিছু কম – নীল পাহাড় আর গাছের সারি মিলে এ ছবি ভারী কাব্যময় – অতএব, তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে এটিই থাক।
ছবি নিয়ে আরো দু-চারকথা বাড়ানোই যেত। আচমকা চোখে পড়ে গেল স্বয়ং তাঁরই কথাটুকু –
"এই ছবি ব্যাখ্যা করার নয়, নিজেকে প্রকাশ করার ছবি। তাই ঐ ছবির মতো আমিও মৌন হয়ে থাকলাম।"
আগেই বলেছি, আর কিছু থাকুক বা না থাকুক, কান্ডজ্ঞানটুকু রয়েছে। কাজেই, মৌন রইলাম।
আর হ্যাঁ, ছবিটা দেখুন।
রবীন্দ্রনাথের প্রধান প্রধান ছবি গুলো নিয়ে, বিশেষত মুখাবয়বের বিচিত্র ব্যঞ্জনা নিয়ে একটি লেখার দাবী থাকলো।
এতো অল্পে প্রাণ ভরিল না।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনের,যোগ্য লেখা। অনেক তথ্য জানতে পেলাম।
চিত্রকলার জগতে রবাহুত আমি, আমার রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি কুহকের মতো লাগে। মৃত্যুচেতনাও জাগায়।
ভালো লাগল।
রবীন্দ্রনাথের আঁকা পোর্ট্রেটগুলোর অভিব্যক্তি আমাকে খুব আকর্ষণ করে।যেমন আকর্ষণ করে অপরিচিত জীবজন্তুদের ড্রইংও। তবে ল্যান্ডস্কেপ সেভাবে দেখিইনি মনে হচ্ছে এখন! সত্যিই বড়ো কোলাহল করেই জীবন অনেকখানি কেটে গেল...
ল্যান্ডস্কেপ টি দেখে চোখ আরাম পেলো। আপনার কাজ কমম দেখে মনে হয় কলাবিদ্যা র খতি হল না চিকিৎসা বিজ্ঞানের লাভ হল।
এজরা পাউন্ড বড় কবি । কিন্তু ছবি সম্পর্কে তাঁর থেকে আমার কাছে পাউল ক্লী, ক্যাথে কল উইৎস , ওয়াল্টার গ্রোপিয়াস, এমিল নলদে এবং অবনীন্দ্রনাথ এর মতামত এর মুল্য অনেক বেশী । আর নিজে ছবি আকিয়ে হিসেবে বুঝতেই পারি ছবি আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের গুরুত্ব কোথায় ।
দেবরাজ গোস্বামী | 162.158.167.19 | ০৯ মে ২০২০ ০০:৫০
- গুরুত্বপূর্ণ।
এই খোপে এই দুর্লভ ভিডিও স্লিপিংটিও থাক।
৯ অক্টোবর ১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে। সেখানে তাকে "বিখ্যাত ভারতীয় হিন্দু কবি" বলে উল্লেখ করা হয়!
৩৭ সেকেন্ডের নির্বাক ভিডিওতে কবিকে একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু দাঁড়ি গোফের আড়ালে ঠোঁট ঢাকা পড়ায় কবি ঠিক কী বলছিলেন, তা ঝানু "লিপ রিডারের" পক্ষেও উদ্ধার করা বোধহয় কঠিন হবে!
রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে অনেক ভেবেছি --কোনো কূলকিনারা পাইনি , কিন্তু তাকিয়ে থাকলে নেশা ধরে । চলমান নাটক মনে হয় । সেটা অবশ্য শিল্পসমালোচকদের বিশ্লেষণের আরোপিত প্রভাব কিনা বলতে পারি না ।
কেতকী কুশারী ডাইসন ও সুশোভন অধিকারীর গবেষণালব্ধ বই থেকেও চেষ্টা করেছি --কোনো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনি ।
আরো অনেক কথা , লেখা হোক এ বিষয়ে--
আর একখানি নিসর্গের ছবি মনে ভেসে এলো। সেখানে গাছের সারি, পিছনে আকাশ। উজ্জ্বল হলদে কমলা আর গাঢ় বাদামী এবং কালো রঙের খেলা। এই ছবিটি যেমন স্নিগ্ধ। ঐ ছবিতে একটা উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। রাঢ় বাংলার আগুনে দুপুর মনে পড়ায়। তোমার বিশ্লেষণী আলোচনা সাহিত্যের অপেক্ষায় রইলাম। নিরাশ কোরো না।
খুব সুন্দর লেখা