এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • উত্তরবঙ্গ - ১১

    শমীক মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ৩০ জানুয়ারি ২০১১ | ১০৫৩ বার পঠিত
  • হংকং মার্কেট

    কলেজের সামনে দিয়ে লম্বা রাস্তা চলে গেছে পূব থেকে পশ্চিমে। ময়নাগুড়ি বাইপাস। এ দিকে ময়নাগুড়ি পেরিয়ে এই রাস্তা ভূটান, এবং আসাম হয়ে বাকি উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী একমাত্র রাস্তা। ওদিকে পঞ্চাশ কিলোমিটার মত দূরত্বে গিয়ে এই রাস্তা শেষ হয়েছে শিলিগুড়ি শহরে, মহানন্দা ব্রিজের কাছে গিয়ে। যে মহানন্দা ব্রিজ পেরোলেই বিখ্যাত তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস। মহানন্দা ব্রিজের এপারেই, এই ময়নাগুড়ি রোডের সঙ্গে আংশিক সমান্তরালভাবে কিছুদূর গিয়ে শিলিগুড়ি শহরের ভেতর ঢুকে পড়েছে যে চওড়া রাস্তাটা, তার নাম হিলকার্ট রোড। শহরের মুখ্য বিজনেস হাব। সমস্ত বড় বড় দোকানপাট, শোরুম, সমস্তকিছুই এই হিলকার্ট রোডের ওপরে। খানিক দূর এগিয়ে বাঁদিকে একটা রাস্তা বেরিয়ে গেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের দিকে, এই রাস্তাটার নাম বিধান রোড।

    এই বিধান রোড আর হিলকার্ট রোডের মধ্যবর্তী কৌণিক অবস্থানের মধ্যে ছন্নছাড়াভাবে গড়ে উঠেছে আরেকটা মার্কেট এলাকা, যার পোষাকি নাম বিধান মার্কেট। তবে লোকে একে অন্য নামে চেনে। হংকং মার্কেট। হ্যাঁ, এইই সেই শিলিগুড়ির বিখ্যাত হংকং মার্কেট। স্মাগলড চাইনিজ জিনিসের অঢেল লেনদেন হয় এখানে। বেশ শস্তা দামে। তবে সব চোরাই মার্কেটের মতই এই মার্কেটেও ঠকবার সম্ভাবনা অন্তত নব্বই শতাংশ। আপনি যদি একেবারে একজন আনকোরা টুরিস্ট হিসেবে হঠাৎ আবিষ্কার করে ফেলেন হংকং মার্কেট এবং প্রচুর বার্গেন করে একপিস চাইনিজ সেলাই কল বা ব্যাটারি লাইট বা এফ এম রেডিও কিনে নিয়ে "আহা কী ডিল পেলাম' ভেবে কলকাতা ফেরেন, তা হলে নব্বই পার্সেন্ট চান্স আছে কলকাতা ফেরার এক মাসের মধ্যে আপনার সে জিনিস গেঁজে যাবে। কারণ, এখানে বিক্রি হওয়া চাইনিজ জিনিসের অধিকাংশ জিনিসই মেড ইন শিলিগুড়ি। এমন অপূর্ব ফিনিশিং করবে, দেখে আপনি বুঝতেই পারবেন না জিনিসটা চিনে তৈরি না শিলিগুড়িতে। যেমন চার্জেবল পেনসিল ব্যাটারি। হলুদ রংয়ের ব্যাটারি, পরিষ্কার ছাপ মারা মেড ইন চায়না, সে ব্যাটারি তৈরির জায়গা আমি নিজের চোখে দেখে এসেছি।

    হংকং মার্কেটে ছিল আমাদের অবাধ যাতায়াত। প্রথম যাওয়া শুরু সিনিয়রের হাত ধরে, ক্যালকুলেটর কিনতে যাবার সময়। হংকং মার্কেট, আমরা শর্টে বলতাম হংস্‌, সেখানে হাতে গোনা দু তিনটি দোকান ছিল, যেখান থেকে ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ছেলেপুলেরা জিনিসপত্র কিনত। তো, এই দোকানগুলোতে ছানাদের ই®¾ট্রাডিউস করিয়ে দিতে প্রথমবার যেত কোনও না কোনও সিনিয়র। একবার মুখচেনা হয়ে গেলে ব্যস, আর কোনও টেনশন নেই। ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ছেলেকে কখনও ঠকায় না তারা, কারণ আমরা রেগুলার কাস্টমার। জলপাইগুড়িতে আসার আগে হুগলিতে যে ক্যালকুলেটরের দর করেছিলাম ৯০০ টাকা, হংকং মার্কেটে সেই ক্যালকুলেটরই পেলাম সাড়ে চারশো টাকায়। এবং সে ক্যালকুলেটর সেই পঁচানব্বই সালে কেনা, আজও চলছে। একবারও শোয় নি।

    দোকানদুটি আমাদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকত। কখনও হয় তো চাইনিজ রেডিও কিনতে গেছি, দোকানদার বলল, নেই, পরের শনিবার আসেন, আনায়ে রাখব। এদিকে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি ওদিকে শোকেশের ধারে থরে থরে সাজানো সেই রেডিও, বললাম কী ব্যাপার দিলীপদা, ঐ তো রয়েছে। দোকানে তখন আরও কিছু ফ্লাইং কাস্টমার, দিলীপদা চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিল, ওগুলো আসল মাল নয়। নেই মানে, জেনুইন মাল নেই। পরের সপ্তাহে আসবে। কখনও নকল মাল গছাত না আমাদের।

    ভারতের বাজারে পনেরো হাজার টাকা দামের লেন্সওলা পেনট্যাক্স না কী যেন ক্যামেরা কাঠমান্ডু থেকে তারা আনিয়ে দিত সাত হাজার টাকায়। বললে কলকাতাতেও ডেলিভারি দিয়ে দিত, টেন পার্সেন্ট কমিশনে।

    অনেকদিন পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল সেই দোকানদারের সাথে, তারপর যা হয়, এখন আর কোনোই যোগাযোগ নেই। তবু এখনও গিয়ে পৌঁছলে হয় তো দোকানটাকে চিনে নিতে অসুবিধে হবে না।

    বিধান রোডের ধারেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম। সেখানে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বসত শীতবস্ত্রের এক বিশাল মার্কেট। ভুটিয়া মার্কেট। অত্যন্ত ভালোমানের সোয়েটার কার্ডিগান জ্যাকেট দস্তানা টুপি আর যা যা হয় ঠান্ডায় পরার জিনিস, সব পাওয়া যেত, যেত বলছি কেন, এখনও যায়, আমার কাছেই কেবল এটা অতীত স্মৃতি, খুব শস্তায়। ভুটিয়া মার্কেটে কেনা জ্যাকেট আমি এখনও পরে চলেছি। ১৯৯৭ কি ৯৮ তে কেনা।

    এই টুকুই আমাদের শিলিগুড়ির জ্ঞান। এর পর খাঁ খাঁ শূন্যতা, মাটির বাড়ি, চাষের ক্ষেত, আর বিধান রোড হিলকার্ট রোডের আশেপাশে একটু অঞ্চল জুড়ে কেবল পাকা বাড়ির সমাহার, কলেজ পাড়া, বাবুপাড়া ... এই সব। যেখানেই ঘোরো, সবসময়ে পেছন দিকের আকাশ গার্ড করে আছে নীলচে সবুজ রংয়ের বিশাল বিপুল হিমালয়। শিলিগুড়ি শহরটা আসলে খুব ছোটো। শহর না বলে ঐ টাউন বলাই ভালো। এখন অবশ্য হয় তো শিলিগুড়ি আয়তনে অনেক বেড়েছে। অনেক নতুন কলেজ খুলেছে। নতুন বিজনেস সেন্টার হয়েছে। তবু, শহর বা শহরের কেন্দ্রস্থল বলতে ঐ, মহানন্দা ব্রিজ থেকে শুরু হওয়া হিলকার্ট রোড। হিলকার্ট রোড মানেই শিলিগুড়ি।

    শিলিগুড়ির আরও অনেক নামকরা রাস্তা আছে, পাঙ্খাবাড়ি রোড, সেভক রোড; যে রাস্তায় গেলে সেভক ব্রিজ পড়ে, কিন্তু সে সব শহরের সীমানার বাইরে।

    =======================================
    বাঁধ ভেঙে জল এসেছে, বানভাসি
    খাস কলকাত্তাইয়া না হলেও কলিকাতা শহরতলির ছেলে, নিজের চোখে বন্যা সেভাবে দেখি নি কখনও। জলপাইগুড়িতে সে সুযোগ জুটে গেল।

    পাহাড় থেকে নেমে এসে তরাইতে আচমকা সমতলভূমি পেয়ে তিস্তা এখানে অনেক বেশি শান্ত, চওড়া, এপাড় থেকে ওপাড় দেখা যায় না। সমরেশের উত্তরাধিকার উপন্যাসে এই তিস্তার বর্ণনা সবাই পড়েছে। অন্য সময়ে এখানে ধূ ধূ বালি মাটি, তাতে কাশফুল ফোটে। সমরেশ মজুমদারের ছোটবেলায় সেখানে ভাঙাচোরা জিপগাড়ি চলত, এখন কিছু চলে টলে না।

    এই মরা তিস্তাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠত বর্ষার সময়ে। পাহাড় থেকে আচমকা নেমে আসা জলের ঢল ভাসিয়ে দিত তরাইয়ের অববাহিকা। ১৯৬৮ সালের কোজাগরী লক্ষীপুজোর মাঝরাতে এমনি এক আচমকা বানের তোড়ে জীবন্ত সলিলসমাধি ঘটেছিল অসংখ্য জলপাইগুড়ি শহরবাসীর। সেই বেদনাদায়ক স্মৃতি বুকে নিয়ে সার্কিট হাউসের কাছে তিস্তা উদ্যানের পাশেই রয়েছে একটা ছোট কালভার্ট, সেই সমস্ত ভেসে যাওয়া অসহায় মানুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত।

    কোন বছর এখন আর মনে নেই, সে বছর প্রচন্ড বৃষ্টি হল। আমাদের কলেজ উঁচু জায়গায়, শহর থেকে অনেক শরণার্থী এসে আশ্রয় নিল, তাই দু সপ্তাহের জন্য কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হল। ভয়ঙ্কর বন্যা, সেনা নামানো হয়েছিল।

    দু দিন হস্টেলে বন্দী থাকার পর রমাবৌদি (আসলে রমাপ্রসাদ ঘোষ) এসে বলল, জীনু, বন্যা দেখতে যাবি টাউনে? সীতেশ নিয়ে যাবে।

    সীতেশ মালবাজারের ছেলে, লোকালাইট, দারুণ ফুটবল খেলে, বৌদিও ব্যাপক ফুটবল খেলে, আমাদের গেম সেক্রেটারি সে, আমার মত নন খেলোয়াড়কে কেন ডাকল জানি না, কিন্তু এমন সুযোগ হাতছাড়া করলাম না। বন্যা কী ভয়ানক জিনিস সে তো জানা নেই, কিন্তু বয়েসটাই ছিল ঐ রকম, ভয় টয় করার কথা মাথাতেই আসে নি।

    কলেজ মোড় থেকে দু কিলোমিটার লম্বা সোজা রাস্তা মাষকলাইবাড়ির দিকে। আমরা বলি মস্কো। দশ পা-ও এগোই নি, দেখি রাস্তা আর নেই, পাগলের মত ঘোলা জল বাঁদিক থেকে ডানদিকে ধেয়ে যাচ্ছে। অসম্ভব কারেন্ট। তিনজনে কোমর জড়াজড়ি করে নিলাম, তারপরে একসাথে পা ফেলে এগোতে লাগলাম সেই কারেন্টের আড়াআড়ি। সোজা দাঁড়ানোই দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। করলা নদীর জল খ্যাপার মত বইছে চতুর্দিক জুড়ে। তিস্তা থেকে বানের জল ঢুকেছে উল্টোবাগে। ভাসিয়ে দিয়েছে শহর। টিবি হাসপাতালের অর্ধেক জলের তলায়। বেশ খানিকটা এগিয়ে হাল ছাড়তে হল, তখন আমাদের বুকজল, যে কোনও মুহুর্তে মনে হচ্ছে তিনজনেই ভেসে বেরিয়ে যাব, পায়ের নিচে রাস্তা সরে সরে যাচ্ছে।

    ফিরে এলাম কলেজ মোড়ে। তিনজনে তিনটে সাইকেল নিয়ে অন্যদিকের উঁচু রাস্তা দিয়ে ঢুকলাম শহরে। রাজবাড়ি উঁচু জায়গায়, সেখানে জল নেই, কিন্তু কাছেই রায়কতপাড়া জলে হাবুডুবু, আরও কোন কোন গলিতে লেনে নিয়ে গেল আমাদের সীতেশ, জলে ডুবে থাকা বাড়িঘর, আর ঘরের চালে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন দেখে বুঝলাম বন্যা ব্যাপারটা মোটেই এনজয়েবল কিছু নয়। যাদের সর্বস্ব যায়, তারাই জানে মেঘদূতের আরেক নাম আহাম্মক।

    সারাটা দিন ঐভাবে শহর চষে বন্যা দেখে বিকেলের দিকে হস্টেলে ফিরে নিশ্চিন্তের ভাত খেলাম মেসে।

    ... এমনি আরেক বছর, সে বছর বন্যা হয় নি, এমনিই বর্ষার সিজনে, তিস্তার পাড়ে বেড়াতে গিয়ে ফিরে এল না আমাদের এক বছরের জুনিয়র অর্ঘ্য। উত্তাল প্রাণবন্ত ছেলে, গলায় হাইফাই সুর ছিল না, কিন্তু টেবিল বাজিয়ে গান গেয়ে আড্ডা মাত করে দিতে আর ভাট বকতে তার জুড়ি ছিল না, প্রাণশক্তিতে ভরপুর এক ছেলে, সাইকেল চেপে গেছিল তিস্তার পাড়ে। তিস্তার নাকি তখন পাড় ভাঙছিল। একটা চাঙড়ের সাথে সে-ও তিস্তার জলে পড়ে যায়। সাঁতার জানত না।

    কলেজের তরফে কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না। কিন্তু ভার্সন শোনা যায় কিছু কিছু। সে জলপাইগুড়ি শহরেরই এক লোকাল মেয়ের প্রেমে পড়েছিল। ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ছেলে লোকাল মেয়েকে "তুললে' সেটা শহরের এক ধরণের অপমান হয়ে দাঁড়ায়, কারণ আর যাই হোক, আমরা ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ছেলেরা, আসলে কলকাতা বা তদ্‌সন্নিহিত অঞ্চল থেকে আসা একদল বহিরাগত গুণ্ডা অ্যান্টিসোশ্যাল প্রকৃতির ছেলে ছাড়া তো কিছু নয় টাউনের লোকেদের কাছে! সেই ছেলেদের কারুর প্রেমে পড়বে জলপাইগুড়ি টাউনের মেয়ে, এটা কী করে মেনে নেয় টাউনের এলিজিবল ব্যাচেলরের দল? শোনা যায়, অর্ঘ্যও টার্গেট হয়েছিল সেইভাবেই। মেয়েটিরও দেখা করতে আসার ছিল তিস্তার পাড়েই, তাকে কোনওভাবে ঘরে আটকে অন্যরা আসে, এবং একা অর্ঘ্যকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বর্ষার ভরা তিস্তার জলে। কোনও সাক্ষী ছিল না, কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই, কেস উঠেছিল, কিন্তু টেঁকে নি। কেবল মনে সন্দেহটা রয়ে গেছে। জলপাইগুড়ির বর্ষার কথা মনে পড়লেই এখনও অর্ঘ্যকে মনে পড়ে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ৩০ জানুয়ারি ২০১১ | ১০৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন