এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সরকারি হাসপাতাল যাদবপুর বেসরকারি হাসপাতাল

    Eman Bhasha লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮৫ বার পঠিত
  • (বিধিবদ্ধ সতর্কতা : খুন হওয়া চিকিৎসকের ন্যায্য বিচার চাই। স্বাস্থ্য দপ্তরে সবরকম ও সব রঙের দুর্নীতির অবসান ও দোষীদের শাস্তি চাই। বেসরকারি হাসপাতালেও কমিশন রাজ ও দুর্নীতির অবসান চাই। বেশি বিল করা বন্ধ হোক। ) 

    কলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের আন্দোলন ছিল ফার্স্ট ইয়ারের সঙ্গে সিনিয়রদের থাকতে দিতে হবে। সেই নিয়ে শুরু। 
    পরে নানা বিষয় যোগ করে। 
    স্বাস্থ্য সচিব অনিল ভার্মাকে সরিয়ে দেওয়া হল। 

    অনিল ভার্মা বলেছিলেন, জেলা বা কোনও হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করলে লিখিত বার্তা তাঁকে পাঠিয়ে রেফার করার কারণ দেখিয়ে জানাতে হবে।। তবে অনুমতি মিলবে রেফার করার। 
    যথেচ্ছভাবে রেফার চলবে না। 
    আর তিনি স্পট ভিজিট করতেন। 
    অনেক ডাক্তারই জেলায় থাকেন না। 
    একদিন দুদিন থেকে   কলকাতা চলে আসেন।। 
    মালদহে অনিল ভার্মা বলে কয়ে গিয়ে দেখেন, সব ডাক্তার হাজির। 
    তারপর উনি রটিয়ে দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ যাবেন। 
    গাড়ির সারি বের হয়ে গেল। 
    তারপর রাতে অনিল বাবু ও অন্য কয়েকজন অফিসার হাজির হলেন মালদহ স্টেশনে। দেখলেন বহু ডাক্তার গৌড়ে ধরতে ডাক্তার হাজির। 

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে খারাপ ব্যবহার এই অজুহাত দেখিয়ে অনিল ভার্মাকে সরানো হল।

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্ন.. র মৃত্যু সিনিয়র এবং ফার্স্ট ইয়ার এক ছাত্রাবাসে থাকার ফলে। জুনিয়র সিনিয়র এক হোস্টেলে থাকলে রাগিং বন্ধ করা কঠিন। 
    কেউ কি বললেন, মেডিকেল কলেজের ছাত্র আন্দোলন ভুল কারণে শুরু হয়েছিল?. 

    এন আর এস কলেজের আন্দোলনের নেতা ইন্দ্রনীল খানকে বামপন্থীদের কত প্রশংসা। 
    বিখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বানিয়ে দিল। 
    কী দেখা গেল? 

    কসবা বিধানসভা থেকে বিজেপির প্রার্থী। 

    এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নেতা কে? 

    সংগঠনের সভাপতি সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের নাম কেউ জানেন? 
    কারা কমিটি সদস্য? 

    কবে কমিটি হল? 
    কোথায় কনভেনশন বা সম্মেলন? 

    যদি জানা থাকে, জানালে খুশি হবো।

    আমাকে গাল দিয়ে কোনও লাভ নেই। 
    আমি কোনও দিন কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে কবিতা পড়িনি, ভাষণ দিই নি। 
    বাম আমলে এস এফ আই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যের টুকলি ধরে মার খেয়েছি, লিখিত অভিযোগ করেছি। 
    কাগজে প্রকাশিত। 
    আর এই আমলেও সরকারি কলেজের একমাত্র অধ্যাপক, লিখিতভাবে তোলাবাজি ও টুকলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। 

    আমি যা বিশ্বাস করি লিখি। 
    কে চটল কে খুশি হল পরোয়া করি না। 

    আর আমাদের সংগঠন কোনও সরকার থেকে এক পয়সা চাইনি। 
    সংগঠনের বয়স ২৭ বছর পার।

    আমি তো বাস্তবে তিন মুখো লোক দেখছি বেশি। 
    ফেসবুকে /  আড্ডায়/ বড় মিছিলে / দলের অফিসে ঘোর বাম। 
    জীবনযাপন বিলাসবহুল। 
    ব্রান্ডেড পোশাক জুতো। 

    বিনা পয়সায় কাউকে পড়ান না। 
    মার্কসবাদী বইপত্র পড়েন না। 

     কর্মক্ষেত্রে  চুপ / পাড়ায় সব দেখেশুনে চুপ। 

    আর দু জায়গায় ক্ষমতাশালী তৃণ নেতার সঙ্গে গোপন সম্পর্ক রেখে সুবিধা নেওয়া বা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। 

    আর ভোটের বেলায় বিজেপি।
    সূক্ষ্ম সুপ্ত সাম্প্রদায়িক কারণে

    এমনি এমনি বাম ভোট ৪% হচ্ছে না

    আর চতুর্মুখও বলতে পারেন। 

    কিছুজন আছেন, কোনও সামাজিক কাজ করেন না, ফেসবুকে অন্যকে গাল দিয়ে ছোট করে সুখ পান।

    একটু কাজ করুন, মানুষের জন্য। 
    নিজের পকেট থেকে দু পয়সা খরচ করার অভ্যাস করুন। 
    তারপর গাল দেবেন।

    আর একটা কথা:

    গৌড় টু গৌড় বলে একটা কথা চালু মালদহে। 
    বহু জেলা হাসপাতালে এক চিত্র। 
    জেলায় থেকে যাওয়াদের কথা আলাদা। 
    সন্দেহ নেই, ভালো চিকিৎসক আছেন। 
    না হলে হাসপাতালগুলো চলছে কী করে। 
    অন্য ক্ষেত্রে যাই ঘটুক, এই আমলে সরকারি হাসপাতালে চুরি দুর্নীতি বাড়া সত্ত্বেও, রোগীদের জন্য পরিষেবা ভালো হয়েছে। 
    বিনা পয়সায় বহু দামি ওষুধ মেলে। 
    বিনা পয়সায় বহু দামী পরীক্ষা হয়। 
    ৪২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচের অপারেশন বিনা পয়সায় হয়। 
    গ্রুপ ডির অত্যাচার বাম আমলেও ছিল। এই আমলেও আছে। 
    তবু হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। 
    রোগীদের পরিবারের লোকজন রাতে ঘুমাতে পারবেন এই ব্যবস্থা হয়েছে। 
    গাল দেওয়ার আগে ঘুরে আসবেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:196b:9737:678:5634:1232:***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১২537635
  • সরকারি, বেসরকারি; সব হাসপাতাল ঘুঘুর বাসা! তা এতোদিন এসব নিয়ে লেখেননি কেন? 
    গাঁজা খেয়ে দিবানিদ্রা দিয়েছিলেন বুঝি? 
     
    স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, একশ্রেণীর অসাধু চিকিৎসক, হাসপাতালের কর্মচারী; এদের নিয়ে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে নানারকমের ব্যবসা চলে! দাদা অবশ্য কোনোদিন এসব নিয়ে কিছু লেখেননি! এখন অবশ্য বড়োই ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন!
  • দীপ | 2402:3a80:196b:9737:678:5634:1232:***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১৫537636
  • বিগত কয়েক দশক ধরেই হাসপাতালগুলো দুর্নীতির আড্ডাখানা।
    পছন্দের ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন বলে দেওয়া, মৌখিক পরীক্ষায় নিজের খুশিমতো নাম্বার দেওয়া দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। সিনিয়র ডাক্তার হাসপাতালে ঘন্টাখানেক থেকেই প্রাইভেট নার্সিংহোম বা চেম্বারে চলে যান, অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। প্রত্যেকটি হাসপাতালকে কেন্দ্র করে নানারকম বেআইনি কাজকারবার চলে, একশ্রেণীর চিকিৎসক ও স্টাফ এদের সঙ্গে জড়িত।
    অবশ্য‌ই বর্তমান শাসকের সক্রিয় সহযোগিতায় এই দুর্নীতি উত্তুঙ্গ শিখর স্পর্শ করেছে।
    ডাক্তার ও সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে এসব নিয়ে অনেক কথাই শুনেছি!
     
    পণ্ডিতমহোদয় অবশ্য এনিয়ে কখনো একটি শব্দও ব্যয় করেননি! এখন বড়োই ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন! 
    এখন দাদারা বোধহয় এসব লেখার আদেশ দিয়েছে!
  • হেহেহে | 2405:8100:8000:5ca1::8:***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৫537637
  • সিকিরে চাড্ডিপো তুই দেখিস নি খুজতে জানিস না গাধার বাচ্চা বলে কেউ লেখে নি ইমানুল লেখে নি ভাবচিস নাকি? তোর তসলিমা পোতিবাদ খুজে পেলি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন