এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • লং মার্চের ডায়েরি - সপ্তম কিস্তি

    নাসরিন সিরাজ লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ২৯ আগস্ট ২০১১ | ৯৮৪ বার পঠিত
  • ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটে পৌঁছে দেখি আমরা ছাড়াও লং মার্চের বেশ কজন অংশগ্রহণকারী সেখানে উপস্থিত। মেয়েদের জন্য যে দুটো ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে সেগুলো সম্ভবত: ইন্সটিটিউটটির ট্রেইনিং-এর ঘর। একটি ঘরে ঢুকে দেখি ঘরের সোফাসেট, টেবিল, চেয়ার সরিয়ে ফ্লোরে বিছানার চাদর বিছিয়ে কয়েকজনের ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘরের সাথে লাগোয়া বাথরুম দুটি। গোসল করার জন্য সেগুলোর সামনে ততক্ষণে লাইন লেগে গেছে। দুপুরবেলার পর আমার আর টয়লেটে যাবার সুযোগ হয়নি। টয়লেটে যাবার জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমার এক বসনিয়ান বান্ধবীর একটি উক্তি মনে পড়ল।

    আমস্টারডাম শহরে আমি আর মায়া খুবই কাছাকাছি থাকতাম। মাস্টার্স থিসিস লেখার কাজ শেষ হওয়া উপলক্ষ্যে আমাদের বাসার কাছে একটি পার্কে ও আর ওর ছেলেবন্ধু একটি পিকনিকের আয়োজন করে। মানে ৬-৭ জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিলে সকাল থেকে রাত অবধি মাংস পোড়ানো আর খানা-পিনা। বিকালের দিকে মায়া আমার আরেক ক্রোয়েশিয়ান বান্ধবীসহ দ্বিতীয়বারের মত টয়লেটের দিকে রওনা হবার মুখে আমাকে সারাদিনে একবারও টয়লেটে যেতে দেখেনি বলে রসিকতা করে বলে, "তোমাদের বাংলাদেশের মেয়েদের ব্লাডার কি বেশি বড়? আমি অবাক হয়ে যাই কিভাবে তোমরা এতোক্ষণ পেশাব না করে থাকো।' মায়া কখনও বাংলাদেশে আসেনি। হাসি ছাড়া আর কোন উত্তর আমি দিইনি সেদিন। আসলে, বাংলাদেশে পাবলিক পরিসরে মেয়েদের জন্য টয়লেট প্রায় নেই বললেই চলে আর যেগুলো আছে সেগুলো অতীব অস্বাস্থ্যকর তাই বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা সফরের সময়ে বা ঘরের বাইরে বের হলে কম পানি খাওয়া ও টয়লেটে না যাওয়া অভ্যাস করে ফেলেছে।

    বাথরুম থেকে বের হয়ে আমি সোজা চলে আসলাম বিল্ডিংটির সামনে খোলা জায়গায়। ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটটি বেশ বড় জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা যেখানে থাকছি সেটা মূল প্রবেশদ্বারের কাছেই। গবেষণার জন্য বরাদ্দ ক্ষেত, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছাড়াও এখানে আছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য কোয়ার্টার, তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য স্কুল। আমি যেখানে দাঁড়িয়েছি সেখান থেকে ক্ষেতগুলো দেখা যাচ্ছিল। ঘরের ভেতরে মেয়েরা গরম আর মশার আধিক্য নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করছিল। ঘরের বাইরে হালকা ঠান্ডা বাতাস, চাঁদের সুন্দর নরম আলো আর আকাশে অগণিত তারা চিক চিক করছে। ঠাণ্ডা বাতাসে এই প্রথমবারের মত মনে পড়ল এখন অক্টোবর মাসের শেষের দিক আর শীত খুব সন্নিকটে। হেঁটে একটু এগিয়ে যেতে দেখি আরও দুজন তরুণী বিল্ডিংটির পোর্চের নীচে বসে গল্প করছে। কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেল। আগামী অন্তত: এক ঘন্টা বিদ্যুৎ আসবে না এই আন্দাজ করে আমি ওদের কাছাকাছি বসলাম।

    এখানে আমি লোডশেডিং বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আমার বাবা ব্যংকে চাকরী করতেন আর সেই সুবাদে আমরা ঢাকার বাইরে চারটি শহরে বসবাস করেছি। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি মফস্‌সল শহরে বেশীরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকত না। সারাদিন স্কুলে থাকতাম যখন তখন বিদ্যুৎ আছে কি নেই সেই খবর রাখতাম না। স্কুলগুলোতে পাখা থাকত বলেও মনে পড়ে না। ১৯৯০ এর মাঝামাঝির আগ পর্যন্ত দেশে রাত-দিন টিভি চলত না সরকারী টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে বিকালের পর টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হত। স্কুল জীবনে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে সাধারণত: পড়তে বসতাম হ্যারিকেনের আলোয়। পড়া না থাকলে চার ভাইবোন মিলে লোডশেডিংএর অন্ধকারে লুকোচুরি খেলতাম। এক ঘন্টা পর বিদ্যুৎ চলে আসবে এবং একঘন্টা থাকার পর পরবর্তী এক/দুই ঘন্টা আবার বিদ্যুৎ থাকবে না - এটাই ছিল সাধারণ আর স্বাভাবিক ঘটনা।

    যথারীতি এক ঘন্টা পর বিদ্যুৎ আসলো। আমি আমার ঘুমানোর জায়গা খুঁজতে দ্বিতীয় ঘরে ঢুকলাম। এরই মধ্যে সেখানে ৪-৫ জন বিছানা পেতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। আমিও একটি কোণায় আমার বিছানার চাদর বিছিয়ে অনলাইনে পত্রিকা দেখার উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ খুলে বসলাম। বিডিনিউজ ২৪ ডট কম পত্রিকাটি ই?টারনেটে ঘন্টায় ঘন্টায় খবর আপডেট করে। সেটা খুলে দেখি সেখানে বিকালের সমাবেশ পর্যন্ত আপডেট নিউজ দেওয়া আছে। নিউজটা ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম। ফেসবুকের চ্যাট খুলতেই লন্ডন প্রবাসী নৃবিজ্ঞানের ছাত্র মিশু আহাসানের সাথে দেখা। সে আমাকে লংমার্চের খবরাখবর জিজ্ঞেস করলো। এরকম একটি রাজনৈতিক ইভেন্ট এত কাছ থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছি বলে ও আমাকে ডায়েরী লেখারও পরামর্শ দিল। একই সময়ে প্রথম আলোর কলামনিস্ট ফারুক ওয়াসিফের সাথেও দেখা হল অনলাইনে। সেও আমাকে ডায়েরী লেখার জন্য উৎসাহ দিল। বলল, ব্লগ সাইটে এরকম লেখা প্রকাশ করা যেতে পারে।

    ওদের সাথে কথা শেষ করে ফিরে দেখি মিশু আপা ঘুমের প্রস্তুতি হিসেবে তাঁর আঁটসাঁট খোঁপা খুলেছেন। তাঁর যে কোমর ছাপানো লম্বা চুল আছে সেটা আমি জানতাম না। তাই তাঁর সুন্দর চুলগুলো ছড়ানো অবস্থার একটি ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না আমি। লং মার্চের কর্মী মেয়েরা রাতে কী পরিবেশে ঘুমাচ্ছে সে রকম একটি ছবি তোলার জন্য অনুমতি নিয়ে ছবি তুলতে গিয়ে দেখি কমিউনিস্ট পার্টির নেত্রী জলি আমার কাণ্ড দেখে চোখ ঢেকে হাসছে। মশা আর ভ্যাপসা গরমে এমনিতেই সবার অবস্থা খারাপ, তাই তাদের আর বিরক্ত না করে আজকের মত আমার "পর্যবেক্ষণ' শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

    ২৫ অক্টোবর, ২০১০। লং মার্চের দ্বিতীয় দিন।

    বাসে বসে আবার নোট লেখা শুরু করেছি। এখন সকাল প্রায় নয়টা বাজে। গত রাতের ঘোষণা অনুযায়ী এই সময়ই আমাদের রওনা হবার কথা। কয়েকটি পথসভা করে আজ দুপুরে জনসভা করা হবে টাঙ্গাইল জেলা শহরে। দুপুরের পর আমরা আবার বিভিন্ন স্থানে পথসভা করতে করতে চলে যাবো সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে।

    বাস থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম ভাওয়াল বদিউল আলম স্কুলের বারন্দায় লং মার্চের কর্মীরা সকালের নাস্তা করছেন। অনেকে নাস্তা খাওয়া শেষ করে রাস্তার পাশে বাসের কাছকাছি টি স্টল ঘিরে চা, সিগারেট খাচ্ছেন। আমাদের মানে মেয়েদের নাস্তা সকাল ৮টাতেই ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটে পৌঁছে গিয়েছিল। মেন্যু ছিল গরম সবজি খিচুড়ি আর লবণ।

    সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাথরুমে গোসলের পানি নেই বলে হৈ চৈ চলছে। পানির পাম্প ছাড়ার যে লোক সে চাবি সহ লা পাত্তা। তাকে ডাকতে কেউ একজন সাইকেলে করে ছুটল। সকালের আলোতে আর হৈ চৈ এ বুঝলাম শুধু মহিলা নয় অনেক পুরুষ কর্মীরাও এই ইন্সটিটিউটে রাত্রি যাপন করেছেন। এই সব হৈ চৈ এর মধ্যেই আমাদের খাবার নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন গাজীপুরের ওয়ার্কার্স পার্টির একজন কর্মী (নাম মনে নেই)।

    বাসে বসে প্রথমেই আমি খোঁজ নিলাম কিভাবে দৈনিক পত্রিকাগুলো লং মার্চের নিউজ করেছে। প্রথম আলোর নিউজ ট্রিটমেন্ট দেখার জন্য আমার খুব আগ্রহ ছিল। আগ্রহ এ কারণেই যে এই খবরের কাগজটি বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী প্রচারিত পত্রিকা হিসেবে সবাই জানে। এই পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান এক সময় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। সে সময় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র একতারও সম্পাদক ছিলেন। প্রথম আলোর আগে তিনি প্রথমে আজকের কাগজ বলে একটি দৈনিক পত্রিকার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ছিলেন ও পরে ভোরের কাগজ নামক আরেকটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।

    ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক শাসক এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশেষ মাত্রা পায়। এরশাদ পতন পরবর্তী "স্বাধীন' গণমাধ্যমের যুগের সূচনায় আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ এই দৈনিক পত্রিকাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। দেশের ব্যবসায়ীরা এদের আর্থিক সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছিল। যেমন: নাইমুল ইসলাম খান (বর্তমানে আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক) সম্পাদিত আজকের কাগজের (এখন আর প্রকাশিত হয় না) প্রকাশক ছিলেন কাজী শাহেদ। আর ভোরের কাগজের প্রকাশক ছিলেন সাবের হোসেন। ১৯৯৮ সালে প্রথম আলোর প্রকাশক হিসেবে আবির্ভূত হয় একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান যেটা ট্রান্সকমের সাথে সরাসরি জড়িত। এই একই প্রতিষ্ঠান ইংরেজী দৈনিক দি ডেইলি স্টার, সাপ্তাহিক ২০০০ ও আনন্দধারা নামক ম্যাগাজিনগুলোও প্রকাশ করে (সূত্র: http://transcombd.com/templatecontact.php)।

    খেয়াল করলে দেখা যায় ২০০৬ এর ২৬ আগস্ট ফুলবাড়িতে গণঅভ্যুত্থান ও তার উপর পুলিশী হামলা ফলে ৩ জনের মৃত্যু ও দুই শতাধিক আহত হবার আগ পর্যন্ত প্রথম আলো (এবং অন্যান্য জাতীয় দৈনিক) উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলনের খবর উপেক্ষা করেছে। যদিও এই আন্দোলনটি ২০০৫-এর শুরু থেকেই দিনাজপুর অঞ্চলে চাঙ্গা ছিল। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মতে সেই সময়ে এশিয়া এনার্জি (উন্মুক্ত কয়লা খনি করার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্রিটিশ কোম্পানী) বেশ কিছু সাংবাদিকদের জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতসহ যে সব দেশে উন্মুক্ত কয়লাখনি চালু রয়েছে সেসব দেশ সফরের জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়। তার ফলে উন্মুক্ত খনির বিপক্ষে স্থানীয় মানুষের গণরোষের খবরের বদলে তখন পত্রিকায় প্রকাশ পায় উন্মুক্ত খনি ওকালতি করা খবর, সম্পাদকীয় ও অভিমত। উপরন্তু, পত্রিকাগুলো ফুলবাড়ি কয়লা প্রকল্পের অর্থনৈতিক লাভের কথা প্রচার করতে দেশের অর্থনীতিবিদদের বদলে এশিয়া এনার্জির কর্মকর্তাদের জন্য বেশী জায়গা বরাদ্দ করে। যেমন: ব্রায়ান মুনি, এশিয়া এনার্জির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের প্রধানের একটি আর্টিকেল ডেইলি স্টার প্রকাশ করে (Brian Mooney, 20/02/2006, Separating myths from the facts about Phulbari, The Daily Star, Editorial Page)। পরে সেটা অনুবাদ করে প্রথম আলোতে ছাপা হয় (ব্রায়ান মুনি, ২৮/০২/২০০৬, ফুলবাড়ি নিয়ে অলীক কাহিনী ও বাস্তবতা, দৈনিক প্রথম আলো, সম্পাদকীয় পাতা)। কিন্তু জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ তার একটি উত্তর দিলে (আনু মুহাম্মদ, ১০/০৩/২০০৬, ফুলবাড়ি হ্যঁ¡, ধ্বংসযজ্ঞ না, দৈনিক প্রথম আলো, সম্পাদকীয় পাতা) সেটা সংক্ষিপ্ত করে শুধুমাত্র প্রথম আলোতে ছাপা হয় (মুহাম্মদ, আনু, ২০০৭, ফুলবাড়ি কানসাট গার্মেন্টস ২০০৬, ঢাকা: শ্রাবন প্রকাশ। পাতা: ৫২)। মুহাম্মদ তাঁর লেখায় এও যুক্তি দেন যে ২৪/২/২০০৬ তারিখে প্রথম আলো একজন "স্বাধীন' লেখক (এ, জেড, এম আব্দুল হাই)এর মন্তব্য ছাপে (শিরোনাম: "দুই পক্ষের বক্তব্যের সারাংশ') কিন্তু সেটাও আসলে ব্রায়ান মুনির বক্তব্যকেই সমর্থন করে। এবারেও দেখি প্রথম আলো ৩-৪ লাইনের লং মার্চ যাত্রার একটি খবর প্রকাশ করেছে।

    ২০০৮ এর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের সাথে আমার একটি সাক্ষাত হয়। প্রথম আলোর সম্পাদক তাঁর পত্রিকার তরুণ প্রদায়কদের সাথে আলাপ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে এই মোলাকাতের ব্যবস্থা করেন। ২০০৫ সাল থেকে ফুলবাড়ির খনিবিরোধী আন্দোলনের সপক্ষে জনমত তৈরী করার লক্ষ্যে সাংবাদিক সুলভ কিছু অভিমত লেখা প্রথম আলোতে আমি প্রদান করি। সেই সুবাদেই ঐ সভায় আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়। কেন প্রথম আলো ফুলবাড়ির সম্ভাব্য উন্মুক্ত কয়লা প্রকল্পকে ফুলবাড়ির সাধারণ মানুষের বদলে এশিয়া এনার্জির মত করে দেখছে এই প্রশ্ন করি আমি। তিনি উত্তর করেন যে তাঁরা এই বিষয়ে একদমই কিছু জানেন না। আর বিশ্ব ব্যাংক বা এই ধরনের যে সব সংস্থার সাথে তাঁর যোগাযোগ আছে বলে মনে করা হয় আসলে তাদের দাওয়াতে তিনি যানই না।

    "ক্যান আই আসক ইউ এ কোয়েশ্চেন?' আচমকা এই সময়ে এই প্রশ্নে আমার চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটে। তাকিয়ে দেখি আমার এক সহযাত্রী আমাকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করছেন। ইনি ঢাকা থেকেই আমাদের সাথে এসেছেন প্রায় ২০ জনের একটি দল নিয়ে। প্রথম থেকেই লক্ষ্য করছি বাসের আসন দখল নিয়ে ক্ষণে ক্ষণে অন্যদের সাথে তারা বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। তাদের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন আমার কাছে প্রথম দিনই ব্যতিক্রম লেগেছিল কারণ সেগুলো অন্যদের মত পোস্টার পেপারে হাতে লেখা না বরং "ডিজিটাল প্রিণ্ট' করে আনা। আমার প্রশ্নবোধক চোখে তাকিয়ে থাকা দেখে প্রশ্নকর্তা আবার বললেন, "আপনার পোশাক আশাক চাল চলন "ইউরোপিয়ানদের' মত। কাল রাতে দেখলাম আপনি স্মোকিংএও অ্যাডিকটেড। আমি কি আপনাকে প্রশ্ন করতে পারি?' সাধারণত বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে অতি আগ্রহী পুরুষদের যেভাবে আমি উত্তর করি সেভাবে মুখটা শক্ত করে তাকে বললাম, "না আপনি প্রশ্ন করতে পারেন না।' ভয়ে আমার বুকটা ঢিপ ঢিপ করছিল আর মনে মনে ভাবছিলাম, "আল্লাহ তুমি আমাকে এই লোকের হাত থেকে বাঁচাও।' আমার প্রার্থনা শুনেই যেন বাসের অপর মেয়ে সহযাত্রীটি বাসে উঠল তখন। মেয়েটিরও পরনে ছিল "পশ্চিমা' ধাঁচের পোশাক মানে জিন্সের প্যান্ট আর টি-শার্ট। তার সাথে তার ছাত্র সংগঠনের বন্ধুরা। তারা সকালের নাস্তায় খিচুড়ি খেতে না পারা নিয়ে আলাপ করতে করতে যার যার আসনে বসল। বাসটা চলতে শুরু করলে আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৯:১০ বাজে।

    আমরা প্রথম পথসভা করলাম কোনাবাড়িতে সকাল ১০:৩০ এ আর দ্বিতীয় পথসভা হল নবীনগর কালিয়াকৈর-এর বাস স্টপেজে সকাল ১১:৩০এ। কোনাবাড়ির পথসভা চলাকালে একটা সময় গণসংহতির নেতা জোনায়েদ সাকীর সাথে আমার দেখা হলে তিনি ডেইলি স্টার পত্রিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন। উল্লেখ্য ডেইলি স্টার বরাবরই জাতীয় কমিটির খবর ছাপে না। আজকেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। লং মার্চের প্রস্তুতি পর্বে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময়েও জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ খোলাখুলিভাবে ডেইলি স্টারকে নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন।

    কালিয়াকৈরএর পথসভা শেষ করে আমরা মিছিল শুরু করলাম। মিছিলের মূল উদ্দেশ্য "উন্মুক্ত না, রপ্তানী না, বিদেশী না' এই শ্লোগান প্রচার। মিছিলকারীদের গলায় শ্লোগান, হাতে ব্যনার ও প্ল্যাকার্ড। রাস্তা ছেড়ে যারা দাঁড়িয়ে মিছিল দেখছে তাদের কাছে লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে। আমিও কিছু লিফলেট বিলি করতে করতে খেয়াল করলাম এটা আমার পড়া হয়নি। মিছিল করে আমরা বাইপাস বলে একটা জায়গায় এসে বাসে উঠলাম। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য টাঙ্গাইল। সেখানে জনসভা হবে ও দুপুরের খাবার বিরতি হবে। বাসে বসে আমি লিফলেটটা পড়তে শুরু করলাম। লিফলেটটি ছোটখাটোই। লিফলেটের এক পৃষ্ঠায় ছয়টি মূল দাবি আর সরকারের অবশ্যকরণীয় হিসেবে চৌদ্দটি পয়েন্ট লেখা হয়েছে। অপর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে কিছু শ্লোগান, অনুষ্ঠানসূচী আর জাতীয় কমিটির দাপ্তরিক ঠিকানা। পাঠকের সুবিধার জন্য লিফলেটটি নীচে হুবহু টাইপ করে দিলাম।

    বহুজাতিক কোম্পানী বা দেশী লুটেরা গোষ্ঠী নয়, বাংলাদেশের তেল গ্যাস কয়লা সমুদ্রসহ সকল সম্পদের মালিক এই দেশের জনগণ

    • জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে "ফুলবাড়ি কয়লা প্রকল্প', "উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) ২০০৮' ধরনের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল কর্মসূচি বাতিল ও দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে স্থলভাগে পিএসসি স্বাক্ষরের পাঁয়তারাসহ বহুজাতিক কেয়ার্ন এনার্জিকে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির অনুমতির সকল অপতৎপরতা বন্ধ করা এবং এসব তৎপরতার সঙ্গে অতীতে ও বর্তমানে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা
    • বিদ্যুৎ উৎপাদন বিতরণ সংস্থাসহ সকল রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থার সর্বময় পরিধি ও কর্তৃত্ব সংকুচিত করার তৎপরতা বন্ধ করে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করার উদ্যোগ গ্রহণ
    • সংসদে উত্থাপিত "খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধকরণ আইন' অবিলম্বে পাস করা
    • জ্বালানী মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিবাজ ও বহুজাতিক কোম্পানির রাহু থেকে মুক্ত করে সার্বিক ভাবে দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ
    • জাতীয় সক্ষমতা বিকাশে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা
    • শতভাগ মালিকানা, রফতানি নিষিদ্ধকরণ, জাতীয় সংস্থার কর্তৃত্ব ও সক্ষমতা নিশ্চিত করে নতুন নীতিমারার অধীনে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন ত্বরান্বিত করা এবং এই জন্য সংশ্লিষ্ট জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুরির যোগ্যতা বৃদ্ধি ও কয়লাসহ খনিজ সম্পদ সম্পর্কে জ্ঞান দান ও অর্জনের জন্য নতুন প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা
    বর্তমান গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে সরকারের অবশ্য করণীয়:

    • কয়লার সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য বিশ্বব্যাপী যেসব পদ্ধতি আছে তার মধ্যে বাছাই করবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অমূল্য পানি সম্পদ, আবাদী জমি ও জনবসতি বিবেচনা করা
    • নিরাপদ পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করবার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা
    • নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহারে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন, সমর্থনদান ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা
    • তিতাস ও হবিগঞ্জের মতো সমৃদ্ধ গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধি করা
    • পেট্রোবাংলার কর্তৃত্বাধীন ১২টি বন্ধ গ্যাসকূপ দ্রুত চালু করা
    • বিদেশী কোম্পানীগুলোর হাতে থাকা যেসব গ্যাস ব্লকে এখোনো অনুসন্ধান ও উত্তোলন করা হয়নি সেগুলো থেকে নির্দিষ্ট মেয়াদে গ্যাস উত্তোলন করতে বাধ্য করা নয়তো চুক্তি বাতিল করা
    • কেয়ার্ন এনার্জির সাথে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির চুক্তি বাতিল করা
    • নতুন প্রাপ্ত গ্যাসক্ষেত্র সর্বসময় মালিকানা ও কর্তত্বের নীতি অনুযায়ী অবিরম্বে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ করা
    • গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিবহস লাইন মেরাতম ও নবায়ন করা
    • বড়পুকুরিয়ায় কয়রাচালিত বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট মেরামত ও নবায়নে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা
    • সকল বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট জরুরি ভিত্তিতে মেরামত ও নবায়ন করা
    • কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন পাবার জন্য রাষ্ট্রীয় খাতে চালু প্ল্যান্টে গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার দেয়া
    • ব্যয়বহুল কুইক রেন্টাল বা বিদেশী নয়, দ্রুত বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা
    • নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য জাতীয় সংস্থাকে ক্ষমতা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ দেয়া।
    কিন্তু সরকার এসব প্রয়োজনীয় কর্মসূচি না নিয়ে বহুজাতিক কোম্পানি ও দুর্নীতিবাজদের স্বার্থে আরো সর্বনাশা চুক্তি করতে যাচ্ছে। গ্যাস খাতের পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতও চলে যাচ্ছে বিদেশী মুনাফাখোর কোম্পানীর হাতে।

    দুর্নীতিবাজ ও বিদেশী কোম্পানীর রাহু থেকে তেল-গ্যাস-কয়লা সম্পদ ও বিদ্যুৎ খাত মুক্ত করতে হবে

    উন্মুক্ত না, বিদেশী না, রফতানি না,
    দেশের সম্পদ দেশেই থাকবে

    বিদ্যুৎ, শিল্প, কৃষিসহ দেশের প্রয়োজনে এর
    প্রতিটি বিন্দু ব্যবহার করতে হবে

    গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে দ্রুত কূপ থেকে গ্যাস তুলতে হবে এবং
    জীবন-জীবিকা পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে কয়রার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে

    আরে কোন পিএসসি নয়। জাতীয় সম্পদের ওপর জনগণের শতভাগ মালিকানা ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে

    চল চল ফুলবাড়ি চল
    জনগণের শক্তি গড়ো
    দেশের স্বার্থ ও সম্পদ রক্ষা কর
    সার্বভৌমত্ব রক্ষা কর

    ২৪-৩০ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে বড়পুকুরিয়া ফুলবাড়ি অভিমুখে লংমার্চ

    উদ্বোধনী সমাবেশ: মুক্তাঙ্গন, ২৪ অক্টোবর, সকাল ১১টায়
    সমাপনী সমাবেশ: ফুলবাড়ী, ৩০ অক্টোবর, বেলা ২টায়

    দলে দলে যোগ দিন
    তেল-গ্যাস-কনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি
    জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কর্তৃক ১৩৭/সি গ্রিন রোড, জাহানারা গার্ডেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত। তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১০
    ফোন: ৮১৪১৯৫২। ওয়েব: www.protectresourcesbd.org


    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ২৯ আগস্ট ২০১১ | ৯৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন