পাহাড়ি শহর খাগড়াছড়ির উপত্যকার সীমানায় ধূসর মেঘ জমেছে, খুব শিগগিরই এখানকার বৌদ্ধমন্দির কিয়াং-এর করোগেটের ছাতের ওপর বৃষ্টি পড়বে। এই এলাকায় মূলত চাকমা আর মার্মা উপজাতিদের বাস। আমি, ঢাকানিবাসী একজন বাঙালি নৃতত্ত্ববিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্রী, গত তিন মাস ধরে এখানে রয়েছি, চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালি যাযাবর উপজাতিদের নৃতত্ত্বের বিষয়ে গবেষণা করবার জন্য।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল (সংক্ষেপে CHT)মূলত এগারো রকমের প্রাচীন সংখ্যালঘু জনজাতি এবং একটি প্রাচীন সংখ্যাগুরু বাঙালি জনজাতির বাসস্থান (van Schendel & Bal 2002)। এই জাতিগত বৈচিত্র্য শুধু CHT অঞ্চলেরই নয়, বরং সমগ্র ভারত-বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্ত এলাকার বৈশিষ্ট্য (Bhaumk 2009:1)। ভারতের উত্তর পূর্বের সাতটি রাজ্যে এবং সিকিমে এককভাবে প্রায় ৪৭৫টি প্রাচীন জনজাতি আছে যাদের মধ্যে প্রায় ৪০০-রও বেশি ভাষা প্রচলিত আছে। উত্তর পূর্ব এবং উত্তর পশ্চিমের সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং CHT এলাকা সমেত পুরো অঞ্চলটিই বিভিন্ন ধরণের প্রাচীন উপজাতি এবং জনগোষ্ঠীর বাসস্থান।
এই জাতিগত বৈচিত্র্যের ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এক কালচারাল হটস্পট তৈরি হয়েছে, এ কথা যেমন ঠিক, তেমনি এ কথাও সত্যি যে এর ফলে এই সব এলাকায় অশান্তি বেড়েছে। সীমান্ত এলাকার CHTতে, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত উপজাতি এবং রাষ্ট্রের মধ্যে একটি ছোট মাপের যুদ্ধ চলেছিল (van Schendel 2009)। এমনকি ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তিও এই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে সক্ষম হয় নি। যুদ্ধের সময়ে এক বিশাল পরিমাণ উপজাতি মানুষকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল, এবং যুদ্ধের পরে এই সব অঞ্চলে বাঙালিদের যথেষ্ট পরিমাণে মিশ্রণ ঘটে। ফলে CHT অঞ্চলের সামাজিক চিত্রপট বদলে যেতে থাকে। এখন এই অঞ্চলে স্থানীয় জনজাতি বা উপজাতিরা এবং পাহাড়ীরা সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। এই সমস্ত পরিবর্তনের মধ্যে আমি শুধু বাঙালিদের মাইগ্র্যান্টদের নিয়ে, এবং এই মাইগ্রেশন তাদের কাছে কী অর্থ বহন করে, সেই টুকু নিয়েই আমার গবেষণা চালাচ্ছি।
আজ সকাল থেকে আমি তাকিয়ে আছি আমার ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে, তাকিয়ে আছি কিয়াং-এর ছাত পেরিয়ে আকাশের সীমানার দিকে, এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায়। বৃষ্টিই একমাত্র শীতলতা নিয়ে আসে এখানে, যত কম সময়ের জন্যেই তা হোক না কেন। সারাটা দিন ধরে এখানে শাসন চালায় সূর্যের প্রখর তাপ, গাছের পাতায় কি উঠোনে যেটুকু বৃষ্টির ফোঁটা ঝরে, নিমেষে তাদের বাষ্পীভূত করে দেয় সে। বাষ্পের আধিক্যে দিনের গরমে মিশে যায় ঘামের আর্দ্রতা। যদিও আমি বাংলাদেশের ভাদ্রমাসের এই তাপপ্রবাহ আর আর্দ্রতার সাথে আজন্ম পরিচিত, তবু এখানকার আবহাওয়া আমার কাছেও অসহ্য হয়ে ওঠে।
আর এই তাপ বা আর্দ্রতার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য পাখা বা এসি চালানো এখানে দিবাস্বপ্নের সমান। এখানকার লোকেরা জানে, গরমকালে এই খাগড়াছড়িতে কতটুকু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ থাকে। "শীতকালে বরং অবস্থাটা একটু ভালো হয়", তারা বলে। আমি জানি, তারা ঠিকই বলে। যেদিন থেকে আমি এসেছি, কখনও কখনও বিদ্যুৎ সারাদিনের জন্য অনুপস্থিত রয়েছে দেখেছি, কখনও বা তার থেকেও বেশিক্ষণের জন্য। গরমের থেকে বাঁচবার জন্য আমি নিজেই ‘বিছনে’র পাখা নাড়িয়ে হাওয়া খাই, আমার ঠাকুরদার গ্রামে এক সময়ে লোকে যেভাবে হাওয়া খেত।
গরমে ঘামতে ঘামতে আমি দুদিন আগে সেই বাঙালি মুসলমান লোকটির সঙ্গে ট্যাক্সিতে হওয়া বার্তালাপগুলি মনে করি। "মুসলমান কখনও মদ খায় না, যে খায়, সে" - এই 'সে'-টি সর্বদাই পুরুষ, কোনও মহিলা নন - "সে মুনাফেক (দ্বিচারী বা হিপোক্রিট)"। আমার সঙ্গে সে কথা বলছিল, সিএনজি ট্যাক্সি ড্রাইভারের পাশের সীটে বসে। আমি তাকে খাগড়াছড়ির স্থানীয় উপজাতিদের ভাত পচিয়ে হাঁড়িয়া মদ খাবার ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম। আমরা মাইসছড়ির বাজারে ফিরছিলাম, এটি মাতাই পুকুরির কাছের একটি বাস স্টেশন, একটি পবিত্র স্থান এবং খাগড়াছড়ির মধ্যে একটি দর্শনীয় স্থান। লোকটা তার বন্ধুর সঙ্গে পুকুরে মাছ ধরতে এসেছিল। ওরা দুজনেই সিএনজির ড্রাইভার, ফলে আমাদের সিএনজির ড্রাইভারের সঙ্গে সহজেই তাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
এতটাই যে বন্ধুত্বের খাতিরে ফেরার ভাড়া নেয় নি আমাদের সিএনজি ট্যাক্সির ড্রাইভার। তাদের শুধু পেশাই এক নয়, তাদের বাড়িও মাতাই পুকুরির কাছে একই অঞ্চলে। যদিও তিনজনেই ত্রিপুরা কমিউনিটির সদস্য, তবে শুধু আমাদের ট্যাক্সি ড্রাইভারই সেখানে থাকত, বাকি দুজন কাছেই বেঙ্গলি "সেটলার"দের জন্য তৈরি করা একটা গ্রামে থাকত।
বাংলাদেশের জাতীয় আইনবলে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ, যদিও আমার কখনওই মনে হয় নি দেশে মদ বা মদ্যপদের সংখ্যা কমে গেছে তার জন্য। স্থানীয় বারে দেশি এবং বিদেশি, সব রকমেরই সুরা পাওয়া যায়, বিশেষত ঢাকায়। যদিও কেবল আইনি খরিদ্দার যেমন বিদেশি, বা মদ্যপানের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাংলাদেশি (উপজাতি বা অমুসলিম হবার দরুণ) এবং মুসলমান যাদের ওষুধ হিসেবে অ্যালকোহল খেতে হয় – তারাই এইসব বারে ভিড় করে না। বরং বাংলাদেশের মদের ক্রেতার একটা বড় অংশই মুসলমান। কেউ ধর্মনিরপেক্ষ, কেউ বা ধর্মপ্রাণ মুসলমান, কিন্তু মদ্যপানের সময়ে ধর্মীয় রীতিনীতি শিথিল করতে দ্বিধান্বিত হন না। অনেক মুসলিমই এই মদ খাওয়া এবং বেচার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় আইনের সমালোচনা করেন। পুলিশও তার পেট্রল ভ্যানে বা বারের সামনের চায়ের দোকানে বসে থাকে, এসব দেখেও না দেখার ভান করে। শুধু অপ্রাপ্তবয়স্ক কাউকে বারে যেতে দেখলে তাকে ধরে এবং বোতলটি তার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে, সামান্য কিছু উৎকোচ নিয়ে বাচ্চাটিকে ছেড়ে দেয়। কখনও কখনও সেই হতভাগ্য অপ্রাপ্তবয়স্কটির বাবা বা অভিভাবককে ফোন করে ন্যায়নীতির কিছু উপদেশ অযাচিতভাবে দিয়ে দেয়।
ঢাকায় মদ বেশ দামী। বিশেষত বিদেশী মদের ওপর আবগারী শুল্কের হার অত্যন্ত বেশি। অবশ্য, রেজিস্টার্ড বারের বাইরে শস্তার মদও মেলে। ঢাকাতে আমি সর্বত্র দেখেছি “বাংলা মদ” নামে ঘরে তৈরি সবচেয়ে শস্তার মদ তৈরি এবং বিক্রি হতে। ঢাকার পুরনো এলাকাগুলোতে এই বাংলা মদ এখনও মেলে। এক লিটারের দাম ৩০০ টাকা। এর মূলত খরিদ্দাররা হল ঝাড়ুদার, চামার, ডোম, দেহব্যবসায়ী এবং ইঞ্জিনীয়ারিং আর মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা। আসলে এটা হল জীবনদায়ী ওষুধ বানাবার জন্য শস্তায় বিদেশ থেকে আমদানী করা মিথাইল মেশানো অ্যালকোহল। প্রত্যেক বছর এই বিষাক্ত মেথিলেটেড স্পিরিট খেয়ে প্রচুর লোকের মৃত্যু ঘটে।
অবশ্য, ঢাকায় খানদানী মদ্যপায়ীর সংখ্যাও কম নেই। তাদের কেউ কেউ সামাজিক স্তরের অনেক ওপরের দিকে বাস করেন, ঢাকার খানদানী এলাকায় তাঁদের বাড়ি, দামি গাড়ি, বিদেশি পাসপোর্ট থাকে তাঁদের কাছে, অথবা খানদানী ক্লাব বা ডিলারদের সঙ্গে তাঁদের ওঠাবসা থাকে। বাকিরা হল মুখ্যত নতুন প্রজন্ম, যারা কর্পোরেট মিডিয়া হাউস, মোবাইল ফোন কোম্পানি, এনজিও বা বিজ্ঞাপন এজেন্সির হাত ধরে বড় হয়েছে। এই বিশাল মাইনের প্রফেশনালরা খুব দ্রুত বেড়ে উঠেছে ১৯৯০-এর মাঝামাঝি থেকে, সামরিক শাসনের শেষ হবার পরে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সাথে সাথে।
মেয়েদের বারে ঢোকা বারণ কিন্তু তাইতে আমার মেয়েবন্ধুদের মদ খাওয়া কমে না, ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারা খায়। আনন্দে বা বিষাদে তারা তাদের ছেলেবন্ধুদের দিয়ে বা বিদেশি বন্ধুদের দিয়ে মদ আনিয়ে নেয়। সাধারণত তারা ঘরোয়া পার্টিতেই মদ খায়। সম্প্রতি ঢাকার খানদানী এলাকায় একটি নতুন বার খুলেছে যেখানে মেয়েদের প্রবেশাধিকার আছে (হয় তো আইনী পথে নয়), কিন্তু বারটি ঢাকার সবচেয়ে বেশি মাইনের চাকুরিরতা মেয়ের কাছেও বেশ দামি। এর সঙ্গে বারটি তার জনপ্রিয়তাও হারাচ্ছে সেখানে কিছু অভদ্র ভিড়ের জন্য, মদ খেয়ে কিছু লোক যৌন হয়রানি করবার সুযোগ খোঁজে বারটেন্ডাররা দেখেও দেখে না। এই প্রসঙ্গে এটা এখানে উল্লেখ করা উচিত যে, বাংলাদেশের অনেক কমিউনিটিতে মেয়েরাই মূলত মদ তৈরি করে। বাংলা মদ, তাড়ি, সাঁওতালি হাড়িয়া, গারো চু, পাহাড়ি চুয়ানি এবং আরও বেশ কিছু রকমের ভাতের মদ তারা বানায়। আমার কিছু বাঙালি বান্ধবীও এখানকার উপজাতি মেয়েদের কাছ থেকে মদ বানাবার কায়দা শিখে রপ্ত করেছে। মাঝে মাঝে তারা তাদের নতুন জিনিস শেখার আনন্দে বাড়িতে পার্টি দেয়।
তো, ট্যাক্সির সেই লোকটি যখন বলল বাঙালি মুসলিম মদ্যপায়ীরা আসলে হিপোক্রিট, আমার শুনে বেশ মজা লাগল। তার কথায় আমার শুধু ঢাকার সমস্ত “মুনাফেক” বন্ধুদেরই মনে পড়ে গেল না, আমাকে আমার পুরুষ সঙ্গীটির দিকেও আড়চোখে তাকাতে বাধ্য করল। সে ছেলেটি প্রথমবার এসেছে খাগড়াছড়িতে, তার মতন করে সে উপভোগ করছে, পাহাড়ে চড়া আর গুহায় ঢোকার অ্যাডভেঞ্চার বাদ দিয়ে। সে চুয়ানি কিনে খেয়েছে আগের দিনই। যদিও সে খুব নিয়মিত মদ্যপায়ী নয়, সে শুধু পুলিশের নজর বিনা সহজলভ্য মদ আস্বাদনের আনন্দেই খেয়েছে, তার ওপর এর দাম রীতিমত শস্তা (ঢাকায় কালোবাজারে বিক্রি হওয়া বিদেশী মদের তুলনায়)। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, খাগড়াছড়ির রেস্টুরেন্টগুলো চালায় মার্মা উপজাতির লোকেরা, পর্যটকদের কাছে এই রেস্টুরেন্টগুলো খুবই প্রিয় এদের নিজস্ব উপজাতীয় খাবার এবং মদের জন্য। যদিও, ‘বাঙালি-মুসলিম’দের সাংস্কৃতিক সীমারেখার কথা মাথায় রেখে তারা মদ সার্ভ করে গোপনীয়তার সঙ্গে, প্লাস্টিকের রিসাইকেলড বোতলে ভরে। মদ্যপায়ীদের টেবিলও তারা লাগায় রেস্টুরেন্টের পেছনের দিকে, সাংকেতিক নাম দিয়ে (www.com বা মধু)। আমি দেখতে চেয়েছিলাম, খাগড়াছড়িতে একজন নতুন পর্যটক কীভাবে মদ পায়। সুতরাং আমি আমার সঙ্গীটিকে আমার চেনা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাই নি। সে নিজে নিজেই খোঁজ চালায় এবং অচিরেই আরেকটি দোকান খুঁজে পায় যারা চুয়ানি বিক্রি করে। তাকে সাহায্য করেছিল এক বাঙালি-মুসলিম টমটমওয়ালা (স্থানীয় অটো বা ট্যাক্সি) যে নিজেই ওই দোকান থেকে আগে চুয়ানি কিনে খেয়ে দেখেছে। হলিউডের সিনেমায় দুটি লোক যতটা সহজে একটি বিয়ারের পাব খুঁজে বের করে, ব্যাপারটা ঠিক ততটাই সহজ ছিল।
সিএনজি ড্রাইভারের পাশে বসা সেই লোকটি বাঙালি-মুসলমান মদ্যপায়ীদের "মুনাফেক" বলার পর অনেকদিন পেরিয়ে গেছে। খাগড়াছড়িতে আমার নতুন বন্ধুরা, বাঙালি এবং পাহাড়ি, তারা প্রথমে আমার ‘জাত’ জিজ্ঞেস করে, আর তার পরে এক সন্ধ্যেয় তারা নিমন্ত্রণ করে খাওয়ায় ভাত থেকে বানানো মদ আর তাদের অন্যান্য উপজাতীয় খাবারদাবার (শুওরের মাংস, শামুক, ইত্যাদি) যা কিনা মুসলমানদের জন্য "হারাম" বা অপবিত্র কিন্তু খাগড়াছড়িতে এগুলোই স্পেশাল খাবার। আমাকে আপ্যায়ন করার পাশাপাশি আমার তো মনে হয়েছিল তারা এটাও দেখতে চেয়েছিল কতটা জাতীয়তাবাদী এবং বিশুদ্ধ বাঙালি-মুসলমান আমি। হ্যাঁ, আমি হারাম খাবার খাই আর মদও খাই। শুধু ভালো অতিথি বা ভালো নৃতত্ত্ববিদ হবার তাগিদেই নয়, আমি এগুলো খাই কারণ আমি আমার ধর্মীয় পারম্পর্যের বাইরে গিয়ে খাবারদাবার চেখে দেখতে পছন্দ করি।
আমার নিজের রান্নাঘর চালু করতে আমার দু মাস লেগেছিল, ফলে ততদিন আমার উপজাতিদের রেস্টুরেন্টে গিয়ে দুবেলার খাবার জোটানো ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না। রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমি রেস্টুরেন্টের পেছনের দিকগুলোও দেখতাম। প্রায়ই দেখতাম, পাহাড়িদের পাশাপাশি কিছু বাঙালি মানুষ বসে বসে ভাতের মদ খাচ্ছে। কিন্তু আগেই বলেছি, গোপনীয়তা সযত্নে রক্ষিত হয়, ফলে কেউ তাদের পরে "মুনাফেক" বলতে পারে না আর। মনে মনে ভাবি, আমাদের চারপাশেই যখন এত মুনাফেক ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাভাবিকভাবে, তখন যারা এইগুলো প্রকাশ্যে স্বীকার করতে সাহস পায় না, তারা কি সবচেয়ে বড় মুনাফেক, সবচেয়ে বড় হিপোক্রিট নয়?
ভাষান্তর- শমীক মুখোপাধ্যায়